মুম্বই: সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে নয়া সমীকরণের ইঙ্গিত মিলল রবিবার। সংবিধানপ্রণেতা বাবাসাহেব আম্বেদকরের নাতি প্রকাশের দলের সঙ্গে হাত মেলাতে চাইছে এনসিপির অজিত পাওয়ার গোষ্ঠী। দলের বিধায়ক অমল মিথকারি বলেন, ‘একজন কর্মী হিসেবে আমার মনে হয়, প্রকাশ আম্বেদকর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতা। তিনি অজিত পাওয়ারের সঙ্গে হাত মেলালে মহারাষ্ট্রের মঙ্গল হবে।’ যদিও এটি তাঁর ‘ব্যক্তিগত’ মতামত বলে অমল দাবি করলেও জল্পনা থামছে না। পুরো বিষয়ে ভিন্ন অঙ্ক দেখছে রাজনৈতিক মহল। তাদের মতে, এনসিপি ভেঙে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধেছিলেন অজিত পাওয়ার। পুরস্কার স্বরূপ জুটেছিল রাজ্যের উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদও। কিন্তু, লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর তাঁকে গেরুয়া শিবির ঝেড়ে ফেলতে চাইছে বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই আরএসএস ও বিজেপির বিভিন্ন স্তর থেকে অজিত বিরোধিতা শুরু হয়েছে। উপ মুখ্যমন্ত্রীকে না-পসন্দ অন্য শরিক দল একনাথ সিন্ধের নেতৃত্বাধীন শিবসেনারও। এই অবস্থায় মহাজুতি জোটে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন অজিত। তাই সেখান থেকে বেরিয়ে বিকল্প জোটের পরিকল্পনা করছেন তিনি। তাঁর অংশ হিসেবে প্রকাশ আম্বেদকরের বঞ্চিত বহুজন আঘাড়ি (বিভিএ)-র সঙ্গে নয়া জোটের ইঙ্গিত হাওয়ায় ভাসিয়ে দিয়েছেন অমল। এরইমধ্যে বিভিএ-র মহারাষ্ট্র শাখার প্রধান রেখা ঠাকুর জানিয়েছে, এনসিপি যতক্ষণ বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটে রয়েছে, ততক্ষণ জোটের কোনও সম্ভাবনাই নেই। কিন্তু, অজিত যদি গেরুয়া সঙ্গ ত্যাগ করেন? সেপ্রশ্নের জবাব মেলেনি।
লোকসভার পর রাজ্য বিধানসভার ভোটেও বিজেপিকে ধাক্কা দিতে কোমর বাঁধছে কংগ্রেস, শিবসেনা (উদ্ধব) ও এনসিপি (এসপি)জোট। এক্ষেত্রে আসন সমঝোতা যাতে পথের কাঁটা না হয়ে দাঁড়ায় সেব্যাপারে সতর্ক মহাবিকাশ আঘাড়ি (এমভিএ) শরিকরা। শিবসেনা (উদ্ধব) নেতা সঞ্জয় রাউত সাফ জানিয়েছেন, কংগ্রেস বা এনসিপির শারদ পাওয়ার গোষ্ঠী—কারও সঙ্গেই আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়নি। তাই কে কত আসনে লড়বে, সেই প্রশ্ন এখন অবান্তর। বিরোধী শিবিরের আমরা সকলেই সমান। বিরোধীরা সকলেই যথেষ্ট পরিমাণ আসনে লড়বে। রাউত বলেছেন, লোকসভা ভোটে আমরা একজোট হয়ে লড়ে বিজেপিকে আটকে দিয়েছিলাম। বিধানসভাতেও আমরাই ভালো ফল করব।