Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

জুটির লড়াই: মোদি-শাহ বনাম রাহুল-প্রিয়াঙ্কা
সমৃদ্ধ দত্ত

নেহরু-প্যাটেল থেকে রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। বাজপেয়ি-আদবানি থেকে মোদি-শাহ। স্বাধীনতার পর থেকে ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম চিত্তাকর্ষক প্রবণতা হল একটি করে রাজনৈতিক জুটির আবির্ভাব হওয়া এবং তাঁদের একজোট হয়ে দেশ পরিচালনা অথবা রাজনীতিকে প্রভাবিত করা।  স্বাধীনতার পর থেকে বিগত ৭৭ বছরে বারংবার দেখা গিয়েছে এরকম নানাবিধ রাজনৈতিক যুগলবন্দি। 
যাঁদের নাম বলা হল, তাঁদের পাশাপাশি ভারতে একাধিকবার ইতিবাচক এবং নেতিবাচক অভিঘাত নিয়ে এসেছে আরও কয়েকটি রাজনৈতিক জুটি। সবথেকে বিপজ্জনক জুটি কয়েক বছরের জন্য দেখা দিয়েছিল সাতের দশকে। ইন্দিরা গান্ধী-সঞ্জয় গান্ধী। তাঁরা আদৌ প্রথম থেকে রাজনৈতিক জুটি ছিলেন না। কিন্তু ১৯৭৪ সালের পর থেকে অন্ধ মাতৃস্নেহে ইন্দিরা গান্ধী সঞ্জয় গান্ধীকে অতিরিক্ত প্রশ্রয়ে অতি অধিকার দিয়ে ফেলায় তার পরিণাম পরবর্তী রাজনৈতিক জীবনে ভোগ করেছেন। এই জুটি ১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত যা যা করেছেন অথবা করার চেষ্টা করেছেন, সেগুলির মধ্যে যেমন বহু ভালো উদ্দেশ্য ছিল, তেমনই আবার ভারতের ভাগ্য বদলে দিয়ে স্থায়ীভাবে স্বৈরতন্ত্র কায়েমের প্ল্যানও নেওয়া হয়েছিল। অন্যতম উদারহণ হল, জরুরি অবস্থা চলাকালীন একবার ১৯৭৬ সালের শেষার্ধে সঞ্জয় গান্ধী নিজের মাকে বলেছিলেন, এসব নির্বাচন টির্বাচন বাতিল করে দিতে। সংবিধান সংশোধন করে সংসদীয় ব্যবস্থা বন্ধ করে পার্লামেন্টকে সংবিধান সভায় পরিণত করা হোক। আর ইন্দিরা গান্ধী নিজেকে আজীবনের প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করে দিন। একটি রিপোর্টও তৈরি হয়েছিল। যে রিপোর্ট লিখেছিলেন এ আর আন্তুলে। কিন্তু ইন্দিরা গান্ধী শেষ পর্যন্ত পিছিয়ে আসেন। এতটা বাড়াবাড়ি করতে চাননি। বরং কিছু এক অজ্ঞাত কারণে ১৯৭৬ সালের শেষ থেকেই তিনি নির্বাচনের একটা তোড়জোড় করছিলেন। কারণ, তাঁকে তাঁর অফিসাররা বলেছিলেন, দেশবাসী নাকি তাঁর কাজে সাংঘাতিক খুশি। অতএব ভোট হলে তিনি বিপুলভাবে জয়ী হবেন। অতএব বিরোধীদের জেল থেকে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে। ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে ভারতের গণতন্ত্রকে বিপদে ফেলার অপরাধে ভারতবাসী তাঁকে পরাস্ত করে। 
আবার জননেতা নয় কেউই, ব্যক্তিগত গ্ল্যামার অথবা ক্যারিশমায় দলকে জিতিয়ে দেবেন একাই, এরকম জনপ্রিয়তাও নেই কারও, তথাপি স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ইতিবাচক জুটির নাম নরসিমা রাও-মনমোহন সিং। তাঁরা দুজনে ১৯৯১ সালে এমন একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছিলেন সংখ্যালঘু সরকার হয়েও। ভারতের অর্থনীতির দরজা খুলে দিয়েছিলেন উদারীকরণের হাওয়ায়। বস্তুত আজ আমরা আন্তর্জাতিকতা ও প্রযুক্তির যতরকম আধুনিক সুবিধা পাচ্ছি, তার জন্মদাতা মনমোহন সিং-নরসিমা রাওয়ের জুটি। 
১৯৪০ সালের জুলা‌ই মাসে বম্বে এসে জওহরলাল নেহরু কংগ্রেস কর্মীদের সম্মেলনে কঠোর ভাষায় বলেছিলেন, সর্দার প্যাটেলের বিরুদ্ধাচারণ আমি সহ্য করব না। সর্দারের সঙ্গে সবরকম সহযোগিতা করবেন আপনারা। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের সাফল্য পেতে হলে ভারতের দরকার প্যাটেলের নেতৃত্ব। 
আবার তারও আগে ১৯৩৬ সালের আগস্টে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকের পর গান্ধীজিকে বল্লভভাই প্যাটেল চিঠি লিখে বলেছিলেন, এই যে ইস্তাহার তৈরি হয়েছে, সেটি সম্পূর্ণ জওহরলাল করেছেন। এটা এক বিশেষ কৃতিত্ব। ওয়ার্কিং কমিটির কাজটা জওহরলাল এমনই অসাধারণ করেছেন ঩যে, আমাদের কারও তাঁর আনা বিষয়গুলিকে মেনে নিয়ে একমত হতে বিন্দুমাত্র অসুবিধা হয়নি। 
দেশের ১৩ রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি চেয়েছিল প্যাটেল হন দলের সভাপতি। কিন্তু গান্ধীজি চেয়েছিলেন নেহরুকে। একদিকে মৌলানা আজাদকে প্রার্থী পদ প্রত্যাহার করানো হল। আবার প্যাটেলকে সরে দাঁড়াতে হয়েছিল প্রায় গান্ধীজির প্ল্যানে। কেন? কারণ, প্যাটেল সভাপতি হওয়ার অর্থ অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রধান ও স্বাধীন ভারতের প্রধানমন্ত্রীও হবেন প্যাটেল। যা গান্ধীজি চাননি। তিনি চেয়েছিলেন নেহরুকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। প্যাটেলকে দেখতে চেয়েছিলেন দেশের সুরক্ষা সমন্বয় এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার সেনাপতি রূপে। প্যাটেল কি ক্ষুণ্ণ হননি? নিশ্চয়ই হয়েছেন। কিন্তু মেনে নিয়েছেন বাপুর ইচ্ছা। জওহরলালের প্রতিও তাঁর ভালোবাসা ও মিত্রতা সামান্য কমেনি। 
বাজপেয়ি ছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির উদার নীতির মুখ। আর আদবানি ছিলেন কট্টরপন্থী আরএসএস, জনসঙ্ঘ, বিজেপির আদি অকৃত্রিম এজেন্ডা প্রতিষ্ঠাকারী। বহু বার তাঁদের মধ্যে নীতি নির্ধারণ নিয়ে মতান্তর হয়েছে। কিন্তু সম্পর্ক তিক্ত হয়নি। সর্বশেষ যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, সেটি ছিল ২০০২ সালে। গুজরাত দাঙ্গার দায় মাথায় নিয়ে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী পদত্যাগ করুন। প্রধানমন্ত্রী বাজপেয়ির মনোবাসনা ছিল এরকমই। কিন্তু গুজরাতের সেই মুখ্যমন্ত্রীর বিশেষ বন্ধু ছিলেন অরুণ জেটলি। আর আদবানি ছিলেন রাজনৈতিক গুরু। দিল্লি থেকে আমেদাবাদ যাওয়ার পথে  জেটলি আদবানিকে বুঝিয়েছিলেন যে, এভাবে নরেন্দ্র মোদিকে পদত্যাগ করতে বলা হলে বিরোধীরা অনেক বেশি সুবিধা পেয়ে যাবে। আর হঠাৎ গুজরাতে একটা শূন্যতা তৈরি হবে। তাই এটা সঠিক হবে না। আদবানিও এতটা কঠোর হতে চাননি। কিন্তু বাজপেয়ি এই নরম মনোভাবে ক্ষুণ্ণ হয়েছিলেন। তবু বাজপেয়ি ও আদবানির পারস্পরিক সম্পর্কে মালিন্য আসেনি। 
২০০২ সাল থেকে গুজরাত দেখেছে, ২০১৪ সাল থেকে ভারত দেখছে নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের জুটির কার্যকলাপ। দেশ পরিচালনায় তাঁদের নীতি নির্ধারণ এবং সিদ্ধান্ত কার্যকর করার প্রক্রিয়ায় কেউ খুশি, কেউ ক্রুদ্ধ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই জুটির মধ্যে কোনও বিভেদ আসেনি। সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ হল, তাঁদের কোনও চ্যালেঞ্জারই ছিল না ১০ বছরে। বিরোধীরা ছিল ছত্রভঙ্গ। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই তাঁদের বারংবার রুখে দিয়েছেন। নবীনবাবু ছিলেন ওড়িশায়। তাঁর প্রতিরোধ এবার ভেঙে পড়ল। সবথেকে বেহাল দশা কংগ্রেসের। 
দেশবাসীর একাংশ ধরেই নিচ্ছিল যে, বিজেপির ‘কংগ্রেস মুক্ত ভারত’ স্লোগান এবার হয়তো কিছু বছরের মধ্যেই বাস্তবায়িত হয়ে যাবে। অতি আত্মবিশ্বাস কখনও ঔদ্ধত্যের জন্ম দেয়। তৃণমূলস্তরে কাজ করে আসা নরেন্দ্র মোদি কীভাবে এই দম্ভ ও দর্পের ফাঁদে পড়লেন, সেটা এক রহস্য। তিনি যে তার ফলাফল পেলেন এবারের লোকসভা ভোটে, সেটা বিশেষ প্রণিধানযোগ্য হলেও তার থেকেও অনেক বৃহৎ এক রাজনৈতিক নব ইতিহাসের জন্ম হতে চলেছে। সেটি হল, অপরাজেয় মোদি-শাহ জুটির চ্যালেঞ্জার হিসেবে ২০২৪ সালে আবির্ভূত হয়েছে আর একটি জুটি। রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। 
যে রাহুল গান্ধীকে পাপ্পু বলে অভিহিত করে হাসিঠাট্টা করে এসেছে বিজেপি নেতাকর্মীরা, আজ তিনি আচমকা কঠোর পরিশ্রমের আশাতীত সাফল্য পেলেন। ৪ হাজার কিলোমিটার পদযাত্রা। ভারতসফর। ব্যঙ্গবিদ্রুপ সহ্য করেও দাঁতে দাঁত চেপে মাটি আঁকড়ে পড়ে থেকেছেন। রাহুল গান্ধীকে দেখে যে শিক্ষাটি প্রতিটি ভারতবাসীর আত্মস্থ করা দরকার, সেটি হল, শতবার পরাস্ত হয়ে, অসংখ্য ব্যর্থতার শিকার হয়ে, চরম ব্যঙ্গ আর সমালোচনায় বিদ্ধ হলেও ফোকাস থেকে সরে না আসা। এবং ময়দান ছেড়ে না পালানো। অর্থাৎ পরিশ্রমের বিকল্প নেই। 
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দেশজুড়ে প্রচার করেছেন। কিন্তু তাঁর পাখির চোখ ছিল একটিই। আমেথি জয় করে আবার গান্ধী পরিবারের হৃতসম্মান ফিরিয়ে আনা। ২০১৯ সালে আমেথিতে রাহুল গান্ধী পরাস্ত হন স্মৃতি ইরানির কাছে। তারপর থেকে বহু অপমান অসম্মান সহ্য করেছে গান্ধী পরিবার বিজেপির কাছে। এবার একজন সাধারণ কংগ্রেস নেতাকে আমেথি থেকে জিতিয়ে এনে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রাহুল গান্ধীরা মধুর প্রতিশোধ নিলেন। উত্তরপ্রদেশের ফুরসৎগঞ্জ থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরের আমেথির গ্রামে  তাঁর প্রচার সভা দেখতে গিয়ে মে মাসে অবিস্মরণীয় দৃশ্যের সাক্ষী হয়েছিলাম উত্তরপ্রদেশের অসহনীয় তাপপ্রবাহের মধ্যে। জগদীশপুর পঞ্চায়েত থেকে আসা দেহাতি মহিলারা প্রিয়াঙ্কার হাত ধরে কেঁদে ফেলে বলেছিলেন, ইন্দিরাজিকে আবার দেখতে পেলাম তোমার মধ্যে। ইন্দিরাজিকে প্রধানমন্ত্রী দেখেছি। মরার আগে তোমাকেও দেখতে চাই! 
নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের সবথেকে বড় সমস্যা হল তাঁদের তূণে আর বেশি অস্ত্র নেই। সিংহভাগ ব্যবহার করা হয়ে গিয়েছে এবারের লোকসভা ভোটে। ধর্ম, এজেন্সি, জনকল্যাণ, হিন্দু মুসলমান। একসঙ্গে এত অস্ত্র থাকা সত্ত্বেও তাঁরা প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন বহু রাজ্যে। আবার পক্ষান্তরে কংগ্রেস তথা রাহুল-প্রিয়াঙ্কার উত্থানে একটা নতুন আকর্ষণের জন্ম হয়েছে। সর্বোপরি মোদিকে যে হারানো যায়, মোদি যে দুর্বল হতে পারেন, মোদি যে গরিষ্ঠতাহীন সরকার চালাতে বাধ্য হতে পারেন, এসবই আজ থেকে এক মাস আগে ভাবাই যেত না। চোখের সামনে এখন কিন্তু সেই সবই ঘটছে। অতএব লক্ষণীয়, মোদি-শাহের ইমেজ অনেকটাই দুর্বল তথা নিম্নগামী হয়েছে। আর রাহুল-প্রিয়াঙ্কার ইমেজ ঊর্ধ্বগামী হয়েছে। মোদি-শাহের সব ফর্মুলা ফ্লপ করেছে। রাহুল-প্রিয়াঙ্কার ফর্মুলা সাফল্য পেয়েছে। 
কেরলের ওয়েনাড় থেকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী লোকসভার উপ নির্বাচনে জিতে এলে এই রাজনৈতিক যুগলবন্দি আরও শক্তিশালী হবে। পার্লামেন্টের মধ্যে একদিকে মোদি-শাহ। আর তাঁদের ঠিক উল্টোদিকে বিরোধী আসনে বসে আছেন রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। সরকারে মোদি-শাহ। বিরোধিতায় রাহুল-প্রিয়াঙ্কা। এই গোটা দৃশ্যাবলী এক নতুন টানটান রাজনৈতিক ইতিহাসের অধ্যায় নির্মাণ করবে। জুটি বনাম জুটি। 
যে গান্ধী পরিবারের রাজনৈতিক সন্ন্যাস ও নির্বাসনই ছিল মোদি ও শাহের প্রধানতম উচ্চাভিলাষ, আজ সেই গান্ধী পরিবারের নবতম দুই সদস্য, রাজনৈতিক যুগলবন্দি হিসেবে মোদি ও শাহের কেরিয়ারে সবথেকে বড় ধাক্কা দিয়েছেন। আগামী পাঁচ বছর মোদি-শাহ দুর্বলতর চ্যাম্পিয়ন। আর রাহুল-প্রিয়াঙ্কা শক্তিশালী চ্যালেঞ্জার। এরকম চূড়ান্ত আকর্ষণীয় রাজনৈতিক সংগ্রামের সাক্ষী বহু বছর ভারত হয়নি। 
21st  June, 2024
সংসদে বিরোধীদের সামনে দুর্লভ সুযোগ
পি চিদম্বরম

ষোড়শ এবং সপ্তদশ লোকসভায় শক্তিশালী সংসদীয় বিরোধী বলে কিছু ছিল না। অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল সেই অভাব পূরণ করেছে। ২০১৪ ও ২০১৯—পূর্ববর্তী পর পর দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস যথাক্রমে মাত্র ৪৪টি ও ৫২টি আসনে জিতেছিল। বিশদ

পরীক্ষা দুর্নীতির মাথা খুঁজে বের করুন মোদিজি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জোড়া দুর্নীতির দায় কার? প্রধানমন্ত্রীও কি এর নৈতিক দায়িত্ব এড়াতে পারেন? ইডি, সিবিআই, আয়কর, ছোটবড় সব কেন্দ্রীয় এজেন্সি যুদ্ধে ঝাঁপাতে প্রস্তুত তো! কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী, তাঁর মন্ত্রকের তাবৎ অফিসারকুল থেকে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির (এনটিএ) পদস্থ কর্তারা, রাজ্যে রাজ্যে শাসক দলের কেষ্টবিষ্টুরা সবাই আতসকাচের তলায়। বিশদ

23rd  June, 2024
মিথ্যে ফানুস ওড়ানোতেই ক্ষতি বিজেপির
তন্ময় মল্লিক

রাখালের গোরুর পালে বাঘ পড়ার গল্পটা মনে আছে? রাখাল মাঠে গোরু চরাতে গিয়ে অন্যদের ঠকিয়ে মজা নেওয়ার জন্য বাঘ, বাঘ বলে চিৎকার করত। তারপর একদিন সত্যি সত্যিই গোরুর পালে বাঘ হানা দিল। রাখাল তখন প্রাণভয়ে চিৎকার করলেও কেউ এল না। বিশদ

22nd  June, 2024
মোদির চ্যালেঞ্জ এখন ত্রিমুখী!
মৃণালকান্তি দাস

জওহরলাল নেহরুর মন্ত্রিসভার শেষ দিকে দপ্তরবিহীন মন্ত্রী ছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। নেহরু তাঁকে একবার অসমে পাঠাতে চাইলেন। সফরের সবকিছু বুঝে নিয়ে শাস্ত্রী নেহরুর রুম থেকে বেরিয়ে আসেন। নেহরুর হঠাৎ খেয়াল হল, অসমে তো এখন হাড় কাঁপানো শীত।
বিশদ

20th  June, 2024
বাংলা দখলের গেরুয়া স্বপ্ন, লক্ষ্য অতীত
হারাধন চৌধুরী

সমস্যা ভিতর থেকে বুঝতে হলে ফিরে যেতে হবে সাতচল্লিশে। স্বাধীনতার লড়াইয়ে পূর্ববঙ্গের মানুষের ভূমিকা দেশের বাকি অংশের তুলনায় কম ছিল না। সকলেই লড়াই করেছিলেন স্বাধীন ভারতের স্বপ্ন নিয়ে। সে-বছর আগস্ট মাসের ১৫ তারিখের মধ্য রাত্রি তাঁদের সেই স্বপ্ন চুরমার করে দিয়েছিল।
বিশদ

19th  June, 2024
মোদির ভোট-দিদির ভোট
শান্তনু দত্তগুপ্ত

ব্রাজিলের ওয়ার্কার্স পার্টি পোর্তো আলেগ্রেতে ক্ষমতায় আসে ১৯৯০ সালে। তখন শহরের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ মানুষই ঝুপড়িবাসী। রাস্তা নেই, জল নেই। বিদ্যুৎ বলে একটা বস্তু আছে বটে, কিন্তু তার সংযোগ নেই। বাড়িতে শৌচাগার বা নিকাশি ব্যবস্থাও নেই। পোর্তো আলেগ্রের অধিকাংশই নিরক্ষর।
বিশদ

18th  June, 2024
প্রত্যাখ্যাত নীতিতেই ফের আস্থা মোদির
পি চিদম্বরম

গত ৯ জুন যে নতুন সরকার শপথ নিল, তার গল্পটি অল্প কয়েকটি শব্দে বেঁধে ফেলা যেতে পারে: মানুষ পরিবর্তনের পক্ষে ভোট দিয়েছে, কিন্তু নরেন্দ্র মোদি বেছে নিয়েছেন তাঁর ধারাবাহিকতা। 
বিশদ

17th  June, 2024
সরকার গড়েও মুষড়ে কেন বিজেপি
হিমাংশু সিংহ

এত বড় জয়, টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার অতুল কীর্তি, তবু বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ এত ডিফেন্সিভ কেন? শপথ নিয়েও শাসকের অন্দরে উল্লাস নেই, স্বতঃস্ফূর্ত হাসিটুকুও উধাও, উপর থেকে নিচুস্তর পর্যন্ত সবাই ব্যস্ত আত্মরক্ষায়। বিশদ

16th  June, 2024
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিছক ভোটব্যাঙ্ক নয়
তন্ময় মল্লিক

লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কি শুধুই ভোটব্যাঙ্ক? লোকসভা ভোটে বাংলায় জোর ধাক্কা খাওয়ার পর বিজেপির অনেক নেতা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ‘ঢাল’ করে ব্যর্থতা ঢাকতে চাইছেন। তাঁরা এমন ভাব করছেন যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্যই বিজেপির বাংলায় ভরাডুবি হয়েছে। বিশদ

15th  June, 2024
মানুষকে অপমান করা হচ্ছে কেন?
সমৃদ্ধ দত্ত

আমরা আউশগ্রামের প্রেমগঞ্জ অথবা বাবুইসোল কিংবা প্রতাপপুরে থাকি। সকাল ৬টার মধ্যে বাড়ির সব কাজ সেরে জঙ্গলে চলে যাই। খেজুর পাতা আনতে। ব্যাপারটা কঠিন। সেই পাতা রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। ঝাঁটা তৈরি হবে। বিশদ

14th  June, 2024
গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় বিনোদন!
মৃণালকান্তি দাস

চার্চিল নাকি বলেছিলেন, ‘পাবলিক ওপিনিয়ন’ বলে কিছু হয় না, পুরোটাই ‘পাবলিশড ওপিনিয়ন’! বিশদ

13th  June, 2024
পরমাত্মা এখন পরজীবী, প্রণত শরিক পদে
সন্দীপন বিশ্বাস

হে পরমাত্মা, হে নন বায়োলজিক্যাল প্রাণ, ধ্যানের খেলা যখন ভাঙল, তখন আপনি উঠে দেখলেন আপনার একচ্ছত্র সাম্রাজ্য চুরমার, আপনার শৌর্যের ঢক্কানিনাদ মাটিতে লুটোপুটি খাচ্ছে। দীর্ঘ ভোটপর্বের সমাপ্তি হয়েছে। আপনিও শপথ নিয়ে ফের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিশদ

12th  June, 2024
একনজরে
১৭ মার্চ থেকে ২১ জুন— তিন মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত। এতদিনেও পুরোপুরি সাফ করা গেল না গার্ডেনরিচে ভেঙে পড়া নির্মীয়মাণ বেআইনি বহুতলের ভগ্নস্তূপ। ফলে কলকাতা পুরসভার নিযুক্ত যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞ কমিটি তাদের অনুসন্ধান চালাতে পারছে না। ...

মালদহের আম চিনতে কিউআর কোড লাগাতে শুরু করেছে উদ্যান পালন দপ্তর। এজেলার আম যখন আধুনিকতার ছোঁয়া পেয়ে অর্থনীতি চাঙ্গা করছে, ঠিক তখনই আমগাছ নিধনে ব্যস্ত জমি মাফিয়ারা। ...

ফের বন্দুকবাজের তাণ্ডবে রক্তাক্ত আমেরিকা। এবারের ঘটনাস্থল আরকানসাস প্রদেশ। শুক্রবার সেখানকার শপিং মলে হামলা চালায় আততায়ী। দোকান লাগোয়া পার্কিং লটেও গুলি চালায় সে। ঘটনায় মৃত্যু ...

সামনেই বর্ষার মরশুম। বৃষ্টির সময় ইষ্টনাম যপেই মাটির বাড়িতে প্রায় দেড় লক্ষ পরিবার দিন-রাত কাটাবেন। তবে আশঙ্কার মধ্যেই তাঁরা আশার আলো দেখছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক মতান্তর, কলহে মনে হতাশা। কাজকর্ম ভালো হবে। আয় বাড়বে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

 
১৭৬৩ - ব্রিটিশ সৈন্যরা মুর্শিদাবাদ দখল করে মীরজাফরকে বাংলার নবাব নিযুক্ত করে
১৭৯৩ - ফ্রান্সে প্রথম গণতান্ত্রিক সংবিধান গৃহীত হয়।
১৮১৯ - শিল্পপ্রেমী লোকহিতৈষী তথা কলকাতার মার্বেল প্যালেস প্রতিষ্ঠাতা রাজেন্দ্র মল্লিকের জন্ম
 ১৮৮৩- অস্ট্রিয়-মার্কিন পদার্থ বিজ্ঞানী ভিক্টর ফ্রান্সিস হেসের জন্ম
১৮৯৭ - সংগীত শিক্ষক, সঙ্গীতজ্ঞ ও গোয়ালিয়র ঘরানার হিন্দুস্থানী শাস্ত্রীয় সঙ্গীতশিল্পী পণ্ডিত ওমকারনাথ ঠাকুরের জন্ম
১৯০৮ - সঙ্গীত-নাটক আকাদেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত বিশিষ্ট কথাকলি নৃত্যশিল্পী ও অভিনেতা গুরু গোপীনাথের জন্ম
১৯০৮- প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট গ্রোভার ক্লিভল্যান্ডের মৃত্যু
১৯১৮ - কানাডায় প্রথম এয়ার মেইল সার্ভিস শুরু হয়- মনট্রিল থেকে টরন্টো
১৯৭০- অভিনেত্রী জুন মালিয়ার জন্ম
১৯৮০ -ভারতের চতুর্থ রাষ্ট্রপতি ভারতরত্ন বরাহগিরি ভেঙ্কট গিরির মৃত্যু
১৯৮৭- আর্জেন্তিনার ফুটবলার লিওনেল মেসির জন্ম
২০০২ - আফ্রিকার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকর রেল দুর্ঘটনা ঘটে তাঞ্জানিয়ায়। ২৮১ জন মারা যায়।
২০১০ - জুলিয়া গিলার্ড অস্ট্রেলিয়ার প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৮২.৭৭ টাকা ৮৪.৫১ টাকা
পাউন্ড ১০৪.১৬ টাকা ১০৭.৬৩ টাকা
ইউরো ৮৮.০৭ টাকা ৯১.১৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
22nd  June, 2024
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৭৩,২৫০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৭৩,৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৭০,০০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৯০,৬৫০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৯০,৭৫০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
22nd  June, 2024

দিন পঞ্জিকা

৯ আষাঢ়, ১৪৩১, সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪। তৃতীয়া ৫১/৮ রাত্রি ১/২৪। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র ২৭/২৩ দিবা ৩/৫৪। সূর্যোদয় ৪/৫৭/২৩, সূর্যাস্ত ৬/২০/২৫। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩১ গতে ১০/১৮ মধ্যে। রাত্রি ৯/১০ গতে ১২/০ মধ্যে পুনঃ ১/২৫ গতে ২/৫০ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৩/৩৩ গতে ৪/১৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৮ গতে ৮/১৯ মধ্যে পুনঃ ৩/০ গতে ৪/৪০ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/২০ গতে ১১/৪০ মধ্যে।  
৯ আষাঢ়, ১৪৩১, সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪। তৃতীয়া রাত্রি ২/৫৭। উত্তরাষাঢ়া নক্ষত্র অপরাহ্ন ৫/৪৫। সূর্যোদয় ৪/৫৬, সূর্যাস্ত ৬/২৪। অমৃতযোগ দিবা ৮/৩৫ গতে ১০/২২ মধ্যে এবং রাত্রি ৯/১৩ গতে ১২/৩ মধ্যে ও ১/২৮ গতে ২/৫৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ রাত্রি ৩/৩৬ গতে ৪/১৯ মধ্যে। কালবেলা ৬/৩৭ গতে ৮/১৮ মধ্যে ও ৩/২ গতে ৪/৪৩ মধ্যে। কালরাত্রি ১০/২১ গতে ১১/৪০ মধ্যে। 
১৭ জেলহজ্জ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
টি-২০ বিশ্বকাপ: অস্ট্রেলিয়াকে ২৪ রানে হারিয়ে ম্যাচ জিতল ভারত

11:52:27 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ: ১৫ রানে আউট টিম ডেভিড, অস্ট্রেলিয়া ১৬৬/৭ (১৭.৫ ওভার) টার্গেট ২০৬

11:40:59 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ: ১ রানে আউট ম্যাথু ওয়েড, অস্ট্রেলিয়া ১৫৩/৬ (১৭.১ ওভার) টার্গেট ২০৬

11:35:15 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ: ৭৬ রানে আউট ট্রাভিস হেড, অস্ট্রেলিয়া ১৫০/৫ (১৬.৩ ওভার) টার্গেট ২০৬

11:30:48 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ: ২ রানে আউট মার্কাস স্টোইনিস, অস্ট্রেলিয়া ১৩৫/৪ (১৪.১ ওভার) টার্গেট ২০৬

11:18:26 PM

টি-২০ বিশ্বকাপ: ২০ রানে আউট ম্যাক্সওয়েল, অস্ট্রেলিয়া ১২৮/৩ (১৩.১ ওভার) টার্গেট ২০৬

11:13:37 PM