পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক মতান্তর, কলহে মনে হতাশা। কাজকর্ম ভালো হবে। আয় বাড়বে। ... বিশদ
গত মঙ্গলবার আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায় হলং বনবাংলো। তিন মাসের জন্য বন্ধ থাকাকালীন অবস্থায় কী করে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল বনদপ্তর। ইতিমধ্যে তারা রিপোর্ট জমা দিয়েছে। ওই রিপোর্টে উল্লেখ আছে, বাংলোয় কোনও পর্যটক ছিলেন না। ফলে বন্ধ ছিল এসি, গিজারের লাইন। তবে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য মাঝেমধ্যে বারান্দার লাইট জ্বালানো হতো। রিপোর্টে ইঁদুরের কাণ্ডকারখানা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছে। সুইচ বোর্ডের পিছনে ফাঁকা অংশ দিয়ে ইঁদুর ঢুকে বিদ্যুতের তার কেটে দেয়। সেখান থেকে শর্ট সার্কিট ঘটে। বনদপ্তরের আধিকারিকরা বলছেন, যেসব পর্যটক হলং গিয়েছেন, তাঁদের প্রায় সকলেই জানেন সেখানে ইঁদুরের কেমন উপদ্রব। ফলে ইঁদুরের দৌরাত্ম্যেই অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে বলে মনে করছেন আধিকারিকরা। দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ আছে হলং বনবাংলোর কর্মীরা আশপাশেই ছিলেন। তাঁরা পোড়া গন্ধ পান। তারপরেই তাঁরা আগুনের অনুসন্ধানে নেমে পড়েন। এর মধ্যে ঘরের চাবি সময়মতো খুঁজে না পাওয়ায় সমস্যা দেখা দেয়। ফলে দরজা কার্যত ভেঙে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু এসি মেশিন ফেটে যাওয়ার পর আগুন মুহূর্তের মধ্যে বাংলোর সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যে অগ্নিগ্রাসে ছাই হয়ে যায় ঐতিহাসিক বনবাংলো। সূত্রের খবর, কমিটির রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, বাংলোয় কাঠের রং ও পালিসের জন্যই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
এছাড়া রাজ্যের অন্য পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের জন্য বাংলোগুলি নিয়েও নতুন করে ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে। বনদপ্তর ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে। তারা রাজ্যের সর্বত্র ঘুরে দেখবেন, কোথায় কী কী সমস্যা রয়েছে। আগুন রোধের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ওই সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রে রয়েছে কি না, তাও দেখা হচ্ছে।