পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক মতান্তর, কলহে মনে হতাশা। কাজকর্ম ভালো হবে। আয় বাড়বে। ... বিশদ
কলকাতা পুলিস সূত্রে খবর, শনিবার রাতে নিজের বাইকেই অফিস থেকে বাড়ি ফিরছিলেন শিবাজি ভট্টাচার্য (৪৬) নামে এক ব্যক্তি। তিনি ক্যানাল সাউথ রোডের বাসিন্দা। একটি নামী বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন পেশায় সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার শিবাজি। বেলেঘাটার চাউলপট্টি রোডে রাত ১টা নাগাদ একটি গাড়ি এসে তাঁর বাইকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে রাস্তায় ছিটকে পড়েন তিনি। মাথা সহ শরীরের একাধিক জায়গায় চোট লাগে তাঁর। স্থানীয়রা পুলিসে খবর দেন। দ্রুত চাউলপট্টি রোডে পৌঁছে যায় বেলেঘাটা ট্রাফিক গার্ড ও বেলেঘাটা থানার পুলিস। আহত অবস্থাতেই যুবককে উদ্ধার করে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিস সূত্রে খবর, ঘটনাস্থলের আশপাশের দোকানগুলি থেকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। কোন গাড়ি বাইকচালকে ধাক্কা দিয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে লালবাজারের ফেটাল স্কোয়াড।
এদিকে, বেলেঘাটার দুর্ঘটনার ঠিক চার ঘণ্টার মধ্যে ফের দক্ষিণ কলকাতায় বাইক দুর্ঘটনা ঘটে। রবিবারের ভোরবেলায় ঘুরতে বেরিয়েছিলেন এক যুগল। রাসবিহারী অ্যাভিনিউ ও মনোহরপুকুর রোড ক্রসিংয়ে একটি ট্যাক্সি এসে তাঁদের চলন্ত বাইকে ধাক্কা দেয়। দু’চাকার যানের পিছনের আসনে ছিলেন নেহা রায় (২৬)। বাইকটি চালাচ্ছিলেন আমন গুপ্তা (২৭)। দু’জনেই মহেশতলা এলাকার বাসিন্দা। ট্যাক্সির ধাক্কার জেরে দু’জনেই বাইক থেকে ছিটকে পড়েন রাস্তায়। তাঁদের মাথায় হেলমেট ছিল। তবে মাটিতে সজোরে পড়ায় মাথায় গুরুতর আঘাত পান নেহা। স্থানীয়রা দু’জনকেই উদ্ধার করে স্থানীয় শিশুমঙ্গল হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই সকাল সোয়া আটটা নাগাদ নেহাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আমনের ডান পা ভেঙেছে। ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় রবীন্দ্র সরোবর থানার পুলিস। ট্যাক্সিটিকে আটক করেছে পুলিস। তবে চালক পলাতক। তাঁর খোঁজ করছেন তদন্তকারীরা। লালবাজার সূত্রে খবর, দু’টি দুর্ঘটনার ক্ষেত্রেই গাড়ি দু’টির চালকের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে রাত ও ভোরের ফাঁকা রাস্তায় পরপর দুর্ঘটনায় রীতিমত চিন্তিত লালবাজারের কর্তারা। প্রতিটি ট্রাফিক গার্ড এলাকাকে রাতের শহরে নাকা চেকিং ও সারপ্রাইজ রেইডের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।