পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক মতান্তর, কলহে মনে হতাশা। কাজকর্ম ভালো হবে। আয় বাড়বে। ... বিশদ
বালুরঘাট ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তরের আধিকারিক বিভাস বিশ্বাস বলেন, তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখা যায়, প্রচুর সরকারি জমি দখল হয়ে রয়েছে। আমরা সেই তথ্য সংগ্রহ করে জেলায় পাঠিয়েছি। সরকারি যেসব জমি দখল হয়ে রয়েছে, সেখানে সাইনবোর্ড লাগানো হবে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, সরকারি জমির মোট পরিমাপ, কোথায় দখল হয়েছে সেই তথ্য সংগ্রহ করে রিপোর্ট ব্লক ভূমি দপ্তরের তরফে জেলায় পাঠানো হয়েছে। জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর সেই রিপোর্ট নবান্নে পাঠিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে দখল হয়ে যাওয়া জমি কীভাবে পুনরুদ্ধার করা হবে, তা নিয়ে রাজ্যের তরফে এখনও নির্দেশ আসেনি। দখল হয়ে যাওয়া জমি যে সরকারি, সেই সাইনবোর্ড টাঙাবে ভূমি দপ্তর। জমি পুনরুদ্ধার করা নিয়ে রাজ্যের তরফে নির্দেশ এলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অভিরিক্ত জেলা শাসক (ভূমি) হারিশ রাসেদ বলেন, জেলায় সরকারি কতটা রয়েছে, জানতে চাওয়া হয়েছে রাজ্যের তরফে। সেই নির্দেশ পেতেই তথ্য সংগ্রহ করেছি। দখল হয়ে যাওয়া জমিগুলি পুনরুদ্ধার করা নিয়ে রাজ্য যেরকম নির্দেশ দেবে, আমরা সেভাবে কাজ করব।
সরকারি জমি দখল হয়ে যাওয়া নিয়ে গত ১১ জুন প্রশাসনিক বৈঠকে উষ্মা প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিটি জেলা এবং দপ্তরকে তাদের অধীন সমস্ত সরকারি জমির তথ্য নবান্নে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরেই নড়েচড়ে বসেন জেলা প্রশাসন এবং দপ্তরের আধিকারিকরা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা ভূমি দপ্তরের তরফে সরকারি জমি কত রয়েছে সেই হিসেব বের করা হয়। পাশাপাশি, কত জমি দখল হয়ে রয়েছে, সেই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছিল। জেলার বহু সরকারি জমি পরিত্যক্ত। কিছু জমিতে সরকারি পুরনো অফিস ভগ্নদশায় রয়েছে। সেগুলি দখল করে অনেকে বসবাস করছেন। যদিও রাজ্যের তরফে দখল জমি ফেরাতে কী পদক্ষেপ নিতে হবে, সেই নির্দেশের অপেক্ষায় জেলার আধিকারিকরা।
দখল হওয়া সরকারি জমি মাপজোখ চলছে। নিজস্ব চিত্র