পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক মতান্তর, কলহে মনে হতাশা। কাজকর্ম ভালো হবে। আয় বাড়বে। ... বিশদ
টেলিভিশনের দীর্ঘ কেরিয়ার এই সিরিজে শোলাঙ্কিকে তাঁর চরিত্র ‘অপলা’ হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। অভিনেত্রী বলেন, ‘চিত্রনাট্যে একটা চরিত্র নিয়ে যা লেখা থাকে, সেটা ছাড়াও প্রত্যেক চরিত্রের একটা ব্যাক স্টোরি থাকে। যেটা মাথায় নিয়ে আমরা চরিত্র গড়ে তুলি। অপলার ক্ষেত্রে সেই ব্যাক স্টোরিটা তৈরি করতে আমার গত ১০ বছরের টেলিভিশনের জার্নিটা খুব সাহায্য করেছে।’
দেবালয়ের পরিচালনায় এর আগে ‘মন্টু পাইলট’ সিরিজে কাজ করেছিলেন শোলাঙ্কি। সেই সিরিজ নিয়ে এখনও চর্চা হয় নানা মহলে। সেই নিরিখে এই জুটির কাছে দর্শকের প্রত্যাশা রয়েছে। ‘বোকাবাক্সতে বন্দি’ চলতি নানা কাজের থেকে কতটা আলাদা? শোলাঙ্কির উত্তর, ‘এই সিরিজটা একজন মানুষের দুটো সত্তার লড়াইয়ের গল্প। ইদানীং কাজের জগতে থাকতে গিয়ে আমরা বাকি জীবন থেকে যতটা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছি, সেটা সকলে নিজের জীবনের সঙ্গে মেলাতে পারবেন। অভিনেত্রীর জীবন এই গল্পটা বলার একটা হাতিয়ার মাত্র। অন্যান্য পেশাতেও যাঁরা রয়েছেন, তাঁরাও কাজ নিয়ে এত ব্যস্ত যে ব্যক্তি জীবনের সঙ্গে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছেন।’
গত ছ’মাসের বেশি সময় ধরে মুম্বইতে থাকছেন শোলাঙ্কি। জাতীয় স্তরে কাজের ইচ্ছে নিয়েই এই উড়ান। সেই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে অভিনেত্রী বললেন, ‘নিজের কাজের জগৎটা আর একটু ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যেই মুম্বইতে থাকছি। কিন্তু বাংলাতেও কাজ থাকলে অবশ্যই করব।’ একের পর এক অডিশন দিচ্ছেন। কিন্তু এখনও তেমন কোনও কাজের সুযোগ আসেনি মুম্বইতে। হতাশ লাগে? হেসে বললেন, ‘বেশ কিছু ভালো অডিশন দিয়েছি। কিছু কথা এগিয়েছে, এখনও কিছু ফাইনাল হয়নি। বাতিল হওয়া আর অপেক্ষা করা, এটা আমার পেশার অঙ্গ। ফলে অডিশনে ক্র্যাক করতে না পারলে আমি সেটা ব্যর্থতা হিসেবে দেখি না। অনেক ফ্যাক্টর একজায়গায় আসার পর একজন কোনও একটি চরিত্রে অভিনয় করেন। আমি এই ব্যাপারটার সঙ্গে পরিচিত ছিলাম না। কলকাতায় একটু আলাদা ভাবে কাজ হয়। মুম্বইয়ের ব্যাপারটা আলাদা। তবে একটা কাজ হলে যেমন ভালো লাগে, না হলে একটু মনখারাপ তো হবেই। তবে সেটাও এই পেশার অঙ্গ। সেটা মেনে নিয়েছি বলেই এই পেশা বেছে নিয়েছি।’
কলকাতায় শোলাঙ্কি রাস্তায় বেরলে চিনতে পেরে দর্শক এগিয়ে আসেন। মুম্বইয়ের চিত্রটা আলাদা। কোনটা এনজয় করেন? ‘দুটোরই ভালো এবং খারাপ দিক আছে। মুম্বইতে প্রচুর বাঙালি। ওখানে যে মানুষ চিনতে পেরে সেলফি তুলতে চান না, এমন নয়। কিন্তু কলকাতায় সংখ্যাটা অনেক বেশি। যখন মুম্বইতে থাকি তখন ফ্রিডম এনজয় করি। আর যখন কলকাতায় থাকি তখন স্পটলাইট এনজয় করি’, হাসলেন শোলাঙ্কি।