পরিবারের সদস্যদের পারস্পরিক মতান্তর, কলহে মনে হতাশা। কাজকর্ম ভালো হবে। আয় বাড়বে। ... বিশদ
এবার যে হাতের কাজটা শেখাব সেটা একদম বাচ্চাদের জন্য নয়, বরং একটু বড়দের জন্য। এখন হাতে তৈরি ক্যান্ডেলের ভীষণ কদর। সাধারণত হাতে তৈরি মোমবাতি বানানোর জন্য ছাঁচ লাগে। কিন্তু আজ আমরা শিখব কেমন করে নারকেলের খোলা দিয়ে মোমবাতি তৈরি করা যায়। ইন্টিরিওর ডিজাইনার বিদিশা বসু তেমনই হাতের কাজ নিয়ে হাজির তোমাদের সামনে।
কী কী জিনিস লাগবে এবং কীভাবে তা দিয়ে সুদৃশ্য হাতের কাজটি বানানো যাবে সে বিষয়টি সবিস্তারে জানালেন তিনি।
মোমবাতি তৈরির উপকরণ: আধ মালা নারকেলের খোলা, স্যান্ড পেপার বা ওয়াটার পেপার, বড় সাদা মোমবাতি ৪টে, বেগুনি বা লাল ক্রেয়ন রং দুটো, ফুটন্ত জল ১ কড়াই, ঝাঁটার কাঠি ছোট টুকরো করে কাটা, টোন সুতো।
তৈরির পদ্ধতি: প্রথমে কুরুনি দিয়ে আধ মালা নারকেল কুরিয়ে নিতে হবে। খোলাটা ফেলে না দিয়ে তা ধুয়ে পরিষ্কার করে শুকিয়ে নিতে হবে। এবার স্যান্ড পেপার দিয়ে খোলার ভেতর ও বাইরের দিকটা ঘষে মসৃণ করে নাও। যদি স্যান্ড পেপার খুব শক্ত মনে হয়, তাহলে একধরনের ওয়াটার পেপার পাওয়া যায়, সেগুলো জলে ভিজিয়ে নারকেলের খোলার গায়ে অনবরত ঘষলেও তা মসৃণ হয়ে যাবে। এবার এই নারকেলের খোলা যখন পুরোপুরি মসৃণ হয়ে গেল, তখন তাকে আলাদা করে রেখে দাও। ইতিমধ্যে মোম বানানোর পদ্ধতিটা শিখে নাও। প্রথমে বাড়ির বড়দের সাহায্য নিয়ে একটা কড়াইতে জল নিয়ে তা গ্যাসে বসিয়ে ফোটাতে দাও। আগুন জ্বালা এবং গরম মোম নিয়ে কাজ করবে যখন, তখন অবশ্যই যেন সামনে অভিভাবক কেউ একজন তোমাদের সঙ্গে থাকেন। একা একা এই ধরনের কাজ কক্ষনও করবে না। যাইহোক, জল ফুটতে ফুটতে মোমবাতিগুলো ভেঙে নাও এবং সলতেটা বার করে ফেলে দাও। এবার এই ভাঙা মোমের মধ্যে ক্রেয়নগুলো ভেঙে দিয়ে দাও। তারপর একটা বড় বাটিতে ভাঙা মোম নিয়ে ফুটন্ত জলের কড়াইয়ের উপর বসিয়ে দাও। ক্রমাগত হাতার সাহায্যে নাড়তে থাকবে। দেখবে মোম গলে তরল হয়ে গিয়েছে। ক্রেয়নের রং তাতে ধরে যাবে। রং যাতে পুরো মোমে ধরে সেজন্য তা ভালো করে নেড়ে মেশাও। এরপর নারকেলের খোলার উপর একটা ঝাঁটার কাঠি আড়াআড়ি বসিয়ে সেট করে নাও। টোন সুতো দু’ফেরতা করে হাতে পাকিয়ে নাও। একটু মোটা করে পাকানোই ভালো, এতে সলতে মজবুত হবে। এবার তার একটা দিক ঝাঁটার কাঠির সঙ্গে বেঁধে নাও। আর অন্য দিকটা খোলার ভিতর শেষ পর্যন্ত ঝুলিয়ে দাও। এবার খুব আস্তে আস্তে খোলার ভেতর গলানো মোমটা ঢেলে দাও। সলতেটা যেন কিছুতেই ভেতরে পড়ে না যায় সেদিকে খেয়াল রেখ। এরপর এই মোম সেট হতে দাও। ঘণ্টাখানেক রাখলেই মোম শক্ত হয়ে যাবে। তখন উপর থেকে বাড়তি সলতের অংশ কেটে ফেলে দাও। কোকোনাট ক্যান্ডেল তৈরি।