সম্পত্তিজনিত বিষয়ে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা। আত্মীয়-পরিজনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি। শেয়ার, ফাটকা, লটারিতে অর্থাগম, কর্মক্ষেত্রে গোলযোগের ... বিশদ
সাকোত্রার আবহাওয়া বেশ রুক্ষ, শুষ্ক আর গরম। গড় তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকে। বালুময় সৈকত, পাথুরে সমভূমি। আর উঁচু উঁচু পাহাড় নিয়ে গঠিত সাকোত্রা। এসব তো ঠিকই আছে। কিন্তু এই দ্বীপের এমন অনেক গাছপালা-পশুপাখি পাওয়া গিয়েছে, যা পৃথিবীর অন্য কোথাও নেই। তাদের বিচিত্র গড়ন। বিচিত্র ধরন। গবেষকদের মত, এই দ্বীপের আবহাওয়া ঠিক পৃথিবীর মতো নয়। এই দ্বীপে ৮২৫ প্রজাতির গাছপালা-পশুপাখি মেলে। যার মধ্যে ৩০৭টি বিচিত্র রকমের। যা শুধু এই দ্বীপেই দেখা যায়। এর মধ্যে কোনও কোনও প্রজাতি আবার দুই কোটি বছর ধরে টিকে আছে। সাকোত্রা সবচেয়ে বিখ্যাত গাছটির নাম ‘ড্রাগন ব্ল্যাড’। গাছটি ছবি ইয়েমেনের কয়েনেও দেখা যায়। বড়ই অদ্ভুত দেখতে। অনেকটা ওল্টানো ছাতার মতো। শাখা-প্রশাখা সব আকাশের দিকে বাড়ানো। এই গাছ থেকে বের হয় ঘন লাল রঙের আঠা। যাকে স্থানীয়রা ড্রাগন ব্ল্যাড বলেন। শুধু এই গাছ নয়। সাকোত্রায় ভারি অদ্ভুত ধরনের শসা গাছ হয়। আমরা বাজারে যে রকম দেখি, তেমনটা নয়। এই গাছের ফুলে থাকা কাণ্ডটি মানুষের চেয়েও উঁচু। আরও আছে। আশ্চর্যজনক হলেও দ্বীপটিতে কোনও উভচর প্রাণী নেই। মানুষ বাদে স্তন্যপায়ী প্রাণী আর একটিও নেই। তবে হ্যাঁ। প্রচুর সরীসৃপ আছে। সেই সব সরীসৃপগুলি সাকোত্রা ছেড়ে কোনও দিন কোথায় যায়নি। তাই তাদের পৃথিবীর অন্য কোথাও দেখতে পাওয়া যায় না। গত কয়েক দশক ধরে এই অদ্ভুত দ্বীপটি নিয়ে গবেষণা চলছে। সাকোত্রার অধিবাসীদের নিয়ে অনেকের ধারণ ছিল, এঁরা বোধহয় জাদুটোনা জানেন। এমনকী সাগরের ঝড়-জল নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন তাঁরা। দ্বীপটি ইয়েমেনের অংশ হলেও এখনকার মানুষ ভীষণই শান্ত প্রকৃতির। আর খুবই সহজ-সরল। সাকোত্রায় বর্তমানে ৬০০টি গ্রামে প্রায় ৪০ হাজার মানুষ বসবাস করেন। কয়েক বছর আগে দ্বীপের একটি মাত্রা রাস্তা পাকা হয়েছে। তাও পর্যটকদের জন্য। ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে স্থান পাওয়া সাকোত্রা বরাবরই পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের। পৃথিবীর মধ্যে অন্য আর একটি পৃথিবী দেখতে প্রায় মানুষ এখানে ভিড় জমান। তাই ছোট্ট বন্ধুরা, বড় হলে তোমরাও সাকোত্রার মতো অদ্ভুত দ্বীপে একবার ঘুরে আসতেই পারো। রহস্যে ঘেরা সাকোত্রার ছড়িয়ে আছে রোমাঞ্চ।