Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

গাছ জগবন্ধু
অভিজিৎ তরফদার

—ও জগবন্ধু! এত দেরি হল যে? 
—কী করব? বাবলু যে পথ আটকাল। 
—কোন বাবলু? 
—যে আগে আপনাদের বাজার সরকার ছিল। 
—ও, যে টাকা পয়সা চুরি করে ভেগে গিয়েছিল? 
—সেই বাবলু। 
—কী বলল বাবলু? 
—নানারকম কথা। 
—যেমন? 
—বলল, তোমার কাজ তো বুড়োকে স্নান করানো, চুল আঁচড়ানো, জামাকাপড় পরিয়ে দেওয়া। বাজার করা কবে থেকে ধরলে? 
—কী জবাব দিলে? 
—বললাম, তুমি যবে থেকে ছেড়ে দিলে। 
—শুনে বাবলু কিছু বলল না? 
—বলল বই কি! বলল, ভালোই। তা আমদানি কেমন হচ্ছে? 
—আমদানি? 
—হ্যাঁ, আমদানি। জবাবে বাবলুকে বললাম, পা ভাঙা বুড়ো মানুষটাকে ঠকিয়ে যাচ্ছিলে। সেই জন্যে তোমার চাকরিটা গেল। আমার ওসব ধর্মে সইবে না। 
—বাবলু কী জবাব দিল? 
—হাজারটা সত্যি-মিথ্যে মেশানো কথা। ও আপনার শুনে কাজ নাই। 
—পরে দেখা হলে আর কথা বোলো না। পাশ কাটিয়ে যেও। 
—হবে না। 
—কেন হবে না? 
—তিনমনি গতর। চেষ্টা করেছিলাম পাশ কাটানোর। যেদিক দিয়েই এগোই, পথ আটকে দাঁড়ায়। 
—তাহলে উপায়? 
—কাল থেকে উপোস। 
—উপোস? কেন? 
—বিশ কেজি ওজন কমে বত্রিশে ঠেকলে ঠিক ফাঁক গলে বেরিয়ে যাব, বাবলু আটকাতে পারবে না। 
—জগবন্ধু! তুমি নাকি ব্যাঙ্কে গিয়েছিলে? 
—গেছিলাম। 
—ব্যাঙ্কে গিয়ে কী করলে? 
—মাস-মাইনে জমা করে এলাম। 
—তুমি... ব্যাঙ্কে টাকা জমা করলে? কেমন করে? 
—দিদিমণির হাতে টাকাগুলো দিলাম। দিদিমণি একখানা ফরোম দিল। সই করলাম। অ্যাকাউন্ট নম্বর খানা মেয়ে লিখে দিয়েছে। দেখালাম। কাজ হয়ে গেল। 
—টাকা ঠিকমতো জমা পড়ল কি না বুঝবে কী করে?
—ও মেয়ে ঠিক বুঝে নেয়। 
—মেয়ে বোঝে? কেমন করে? 
—ঠান্ডা ঘরে গিয়ে দেখে আসে। 
—টাকা ঘর? 
—ওই যে ঘরের মধ্যে টাকা মেশিন। বোতাম টিপলেই টাকা। 
—এটিএম? বেড়ে বলেছ তো! আচ্ছা জগবন্ধু, একটা কথা জিজ্ঞেস করব, কিছু মনে করবে না তো? 
—না না, মনে করবার কী আছে? গরিব মানুষের অত মনে করলে চলে না। 
—যে ক’টা টাকা পাও, মানে বেশি কিছু তো তোমায় দিতে পারি না, ওতে তোমার চলে? 
—মাথা তুলুন, জানলার দিকে বাড়ায়ে দ্যান, ...আর একটু... হ্যাঁ, ...কী দেখছেন বাইরে? 
—রাস্তা। 
—রাস্তায়? 
—লোক। গাড়ি। 
—কী গাড়ি? 
—বাস, লরি, অটো, প্রাইভেট কার, ঠ্যালা। 
—চলে? 
—বুঝলাম না। 
—একখানাই রাস্তা। সেখানে মোটর গাড়িও চলে, ঠ্যালাগাড়িও চলে। চলে, যে যার নিজের মতন। 
—বোঝা গেল। কিন্তু না চললে কী করো? 
—শ্বশুরবাড়ি পাঠায়ে দিই। 
—তোমার শ্বশুরবাড়ি? 
—আমার জিনিস... অন্যের শ্বশুরবাড়ি নেবে কেন? 
—তা বলছি না। কিন্তু শ্বশুরবাড়ি... তারাই বা যখন-তখন.... 
—যখন-তখন তো নয়। দায়ে-বেদায়ে। সেই জন্যই তো শ্বশুরবাড়ি। 
—এটা অবশ্য খারাপ বলোনি। 
—এই ভুলটাই নব্বইভাগ মানুষ করে। বিয়ে করার সময় যায় মেয়ে পছন্দ করতে। 
—মেয়ে পছন্দ করবে না? 
—না, করবে না। দেখবে শ্বশুরের ঘর, জমি-জিরেত, উঠোনে ক’খানা মড়াই। ঘর পাকা না কাঁচা। ছাদ দিয়ে জল পড়ে কি পড়ে না! 
—তুমিও তাই করেছিলে? 
—করেছিলাম বলেই তো বেঁচে-বর্তে আছি। তবে, একখানা জব্বর ভুল করে ফেলেছিলাম। 
—ভুল?
—আজ্ঞে হ্যাঁ, দু’খানা শালী। আশ মিটিয়ে দেখেছিলাম। শালাবাবুকে দেখা হয় নাই। 
—দেখলে কী করতে? 
—সে কথা আর একদিন হবে। 
—ওদিকে চেঁচামেচি হচ্ছিল কেন জগবন্ধু? 
—চেঁচামেচি তো নয়, আলাপ-আলোচনা। 
—কী নিয়ে আলোচনা? 
—দুধ বিষয়ে আলাচনা। 
—কী হল দুধে? 
—ঠিক দুধ নয়, দুধে দেশলাইয়ের কাঠি। 
—বাবা! এতো সুপার স্পেশালাইজেশন। কী বেরুল আলোচনায়? 
—ম্যাডাম জিজ্ঞেস করলেন, দুধে দেশলাই কাঠি এল কেমন করে? 
—কী জবাব দিলে? 
—বললাম, বিড়ি খেয়ে ছুড়ে ফেলেছে, কাঠিটা উড়ে পড়েছে দুধে। 
—গোরু বিড়ি খায়? 
—গোরু কেন খেতে যাবে? কলের দুধ যারা বানায়, তারা খায়।
—কলের দুধ? দুধ কত প্রকার? 
—অনেক প্রকার। গোরুকে দুইয়ে সঙ্গে সঙ্গে জ্বাল দিয়ে যে দুধ মেলে তা এক প্রকার। তাতে জল মিশিয়ে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয় গোয়ালা। তা আর এক প্রকার। আর আপনারা খান প্যাকেটের দুধ। দুধের গুঁড়োয় জল মিশিয়ে প্যাকেটে ভরে যা দোকানে বিক্রি হয়। 
—তা দুগ্ধ-বিষয়ে এত জটিল জ্ঞান হজম করে ম্যাডাম কী জবাব দিলেন? 
—কোনও জবাব দিলেন না। 
—বলো কী? কোনও কথাই বললেন না? 
—কথা বললেন না। তবে চুপ করেও রইলেন না। 
—তাহলে? 
—গজগজ গজগজ। 
—তখন তুমি কী করলে? 
—কী আর করব? কথা বললে তার উত্তর হয়। বকাঝকা করলেও তার একটা মানে হয়। গজগজের কোনও জবাব হয় না। 
—বাদ দাও। ও এমনিই চুকে যাবে। 
—যাবে না। বকাঝকা হম্বিতম্বি সঙ্গে সঙ্গে চুকে যায়। গজগজ সুতোর গুলির মতো। খুলতেই থাকে। 
—ঠিক আছে। অন্য কথা বলো। তোমার বাড়িতে গোরু আছে? 
—ছিল। এখন নাই। 
—সে কী? গেল কোথায়? 
—বেচে দিইছি। 
—বেচে দিয়েছ? কেন? 
—পেলে-পুষে বড় করেছি। চোখের সামনে মরে যাবে? তার চেয়ে বেচে দেওয়াই ভালো। 
—মরে যাবে কোন দুঃখে? অসুখ করেছিল? 
—অসুখে নয়। না খেতে পেয়ে মরত। 
—মানুষ না খেতে পেয়ে মরে শুনেছি। গোরুও মরে? 
—গোরু ঘাস খেয়ে বাঁচে। গ্রামে আর ঘাস নাই। 
—কী বলছ আবোল-তাবোল? গ্রাম মানেই তো ধানখেত আর মাঠ। মাঠ-ভর্তি ঘাস। 
—আপনার গ্রাম আপনি নিয়ে থাকেন। এখন গ্রামে ধানও ফলে না, আর মাঠে ঘাসও দেখতে পাওয়া যায় না। 
—তাহলে কী পাওয়া যায়? 
—মাছ। 
—মাছ? মাঠে ঘাসের বদলে মাছ? 
—মাঠ কোথায় দেখলেন? মাঠ-খেত সব সমান করে এখন ভেড়ির পর ভেড়ি। সেখানে মাছ-চাষ। চাষিবাসী সবাই ধান চাষ ছেড়ে মাছ চাষে নেমে পড়েছে। মাছেই লাভ। 
—বলছ কী? গ্রাম.... সেখানে মাঠ নেই? মাঠে ঘাস নেই? খেতে ধান ফলে না? 
—তাও চেষ্টা করেছিলাম। 
—কী চেষ্টা করেছিলে? 
—গোরু দুটোকে মাছ খাওয়ানো রপ্ত করতে। 
—ইয়ার্কি হচ্ছে? গোরু মাছ খায়? 
—খিদের চোটে মানুষ মানুষের মাংসও খায়। কিন্তু পারলাম না। নিরেট মাথা। সাধে কি আর বলে গোরু? ঘাস ছাড়া কিছু মুখে তুলল না। ...বাধ্য হয়ে বেচে দিলাম। 
—কিনল কারা? 
—ওই যারা গোরু পাচার করে। 
—গোরু পাচার? 
—নোট আর গোরু। বর্ডারে দুটোই তো ব্যবসা। 
—তা তুমিও কিছু একটায় হাত লাগাতে পারতে? 
—হতো না। 
—কেন জগবন্ধু? 
—শুনলেন না? অত চেষ্টাতেও গোরুকে মাছ খাওয়ানো গেল না। 
—আচ্ছা জগবন্ধু, গ্রামে আকাশ আছে? 
—কেন থাকবে না? নীল আকাশ। 
—নীল আকাশ কেন বললে? আকাশ তো নীলই হয়। 
—সবসময় হয় না। আপনাদের আকাশ নীল? 
—তা অবশ্য বটে। কলকাতার আকাশ ঘষা কাচের মতো। কেউ যেন ধুলো লেপে দিয়েছে। তোমাদের আকাশে সূর্য ওঠে? 
—ও বাবা! সে জব্বর সূর্য। নীচে দু’ দণ্ড দাঁড়ানো যায় না। বড্ড তাপ। এখানকার মতো মিয়ানো সূর্য নয়। 
—আর চাঁদ? 
—মেঘ না থাকলে চাঁদ ওঠে। ছমছমে জোছনায় ছেয়ে যায় মাঠ-ঘাট। তাকিয়ে থাকলে ভেতরটা শান্ত হয়। 
—গ্রামের মানুষ দেখে? সূর্য, চন্দ্র? 
—দেখে। তবে আকাশে নয়। 
—আকাশে নয়? তবে কোথায়? 
—যন্ত্রে। 
—যন্ত্রে? কী যন্ত্র? 
—ওই যে হাতে হাতে ঘোরে ফেরে যন্ত্র। যাতে কথা বলি, তাতেই দেখা যায়। সূর্য-চন্দ্র-নদী-পাহাড়। 
—ও, ফোন? সেলফোনের কথা বলছ? 
—সেখানেই মানুষ কাছের জনকেও দেখে নেয়। বাবা-মা, স্বামী-স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে। পাশে গিয়ে বসার দরকার করে না। পিঠে হাত রেখে শুধোতে হয় না। কাঁধে মাথাখানা রাখতে হয় না। 
—কী করবে জগবন্ধু? যে সময়ের যা রীতি। 
—তবে, একটা খরচা কিন্তু কমে গিয়েছে। আগে হাটে-মেলায় আয়না বিক্কিরি হতো। নকশাদার হাতল, কোনওটা গোল, কোনওটা বা ডিমের মতো। আজকাল আয়নার দোকান খাঁ খাঁ করে। খদ্দের নাই। 
—কেন জগবন্ধু? 
—লোকে আর আয়নায় নিজেকে দেখে না। 
—তাহলে কোথায় দেখে? 
—ওই যে হাতের যন্ত্র। সেখানেই নিজের ছবি। ছবির পর ছবি। সেই ছবিই দেখে। সেলপি। 
—সেলফি? 
—ওই হল। ...নিজেকে দেখতে দেখতে আর সব ভুলে যায়। সূর্য-চন্দ্র-আকাশ। পাশের মানুষ। কাছের মানুষ। 
—গ্রামে যেতে ইচ্ছে করে না? 
—করে। 
—মেয়েকে দেখতে ইচ্ছে করে? 
—করে। 
—মেয়ের মাকে? 
—তাও করে। 
—তাহলে যাও না কেন জগবন্ধু? 
—সে অনেক কথা। 
—বলো, শুনি সেসব কথা। 
—গ্রামে যাই, কিন্তু চেনা মানুষগুলোকে আর দেখতে পাই না। 
—সে কী? তারা গেল কোথায়? 
—আছে। আশপাশেই আছে। কিন্তু অচেনা লাগে। 
—অচেনা? কেন জগবন্ধু? 
—মেয়ে, মেয়ের মা দু’জনকেই দু’খানা যন্ত্র এনে দিয়েছে মেয়ের মামা। সে জাহাজে কাজ করে, দেশ-বিদেশ ঘুরে বেড়ায়। বাহারি জিনিস যা পায় নিয়ে আসে। দু’ হাতে বিলোয়। ঝকমকে জিনিস তো! চোখে ধাঁধা লেগে যায়। তখন কাছের মানুষকে চিনতেও ভুল হয়ে যায়। 
—তাদের খাওয়া-পড়ার সংস্থান? 
—আমিই করি। ভাত-কাপড়, মেয়ের লেখাপড়া। মন ওঠাতে পারলাম কই? 
—তাও যাবে। চোখের আড়াল মানেই মনের আড়াল। 
—যাই তো। ছুটে ছুটে যাই। মেয়েকে দেখলেও ভেতরটা শান্ত হয়। কিন্তু দু’দিনের জায়গায় তিনদিন থাকলেই তাদের যে অস্থির অস্থির লাগে সেটা বুঝতে পারি। আসলে বুঝি ভাঙা কাচ জোড়ে না। তাই যাবার ইচ্ছেটাই মরে মরে যায়। 
—কেন এমন হয় জগবন্ধু? 
—ওই যে যন্ত্র। যন্ত্রে সেলপি। 
—এখানেও সেলফি? 
—যন্ত্রে জায়গাটা ছোট তো! পর্দায় বেশি আঁটে না। নিজে। বড়জোর পাশে একজন। মেয়ের মামা। বউয়ের ভাই। সেখানে জগবন্ধু ঢোকে কী করে? 
—তখন কী করো? ফিরে আসো গ্রাম থেকে? 
—ফিরি। তার আগে ভিটেতে দু’দণ্ড বসি। গোরু দুটো ছিল, খোঁটা দু’খানা পড়ে রয়েছে, সেখানে হাত বোলাই। দাওয়ায় বসে মেয়েকে গান গেয়ে ঘুম পাড়াত মেয়ের মা। সেদিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকি। তারপর পুকুরধারে গিয়ে বসি, গাছের নীচে, গুঁড়িতে হেলান দিয়ে। 
—কী গাছ জগবন্ধু? 
—তালগাছ। 
—সে তো মস্ত গাছ! 
—মনে পড়ে, ভাদ্দরমাসে তাল পাকত, পড়ত ধুপধাপ শব্দ করে, মেয়ে ছুটত তাল কুড়োতে। সেই তাল এনে তালের বড়া, তালক্ষীর। 
—তালগাছে আর তাল ফলে না? 
—ফলে নিশ্চয়ই। পড়েও। কেউ কুড়োয় না। কাকে ঠুকরে খায়। 
—গ্রামের লোক আর তাল খায় না? কী খায় তাহলে? 
—শহরে যায়। পয়সা দিয়ে বিষ কিনে তারিয়ে তারিয়ে খায়। 
—বিষ? 
—ওই যে কেঁচোর মতো, প্যাঁচানো প্যাঁচানো। খেলেই পেট ব্যথায় কাত। 
—বুঝেছি, নুডলস। তোমাকে নিয়ে আর পারা যায় না। 
—তালগাছের গায়ে গা লাগিয়ে বসে থাকতে থাকতে গাছটাকে খুব চেনা লাগে। খুব আপন। 
—কেন জগবন্ধু? 
—গাছটাও তো একসময় ছোট ছিল। তারপর বাড়তে শুরু করল। মাথা উঁচু করল। উঠতে উঠতে সবাইকে ছাড়িয়ে আকাশে পৌঁছে গেল। 
—তারপর? 
—সঙ্গীসাথীরা তালগাছকে ছেড়ে চলে গেল। বুক ভর্তি ফল নিয়ে গাছ অপেক্ষা করে, পাকা তালের গন্ধে চারপাশ ‘ম-ম’ করে। কেউ ছুঁয়েও দেখে না। 
—কষ্ট হয় জগবন্ধু? চোখে জল আসে? 
—কী জানি? তালগাছ কি কাঁদে?
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল
22nd  August, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ২৬
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বোনকে নিয়ে পিশাচসাধুর বাড়িতে হাজির হল সহজ। মিমির অতীত নিয়ে এমন কয়েকটি ইঙ্গিত করলেন তিনি, যার জেরে তার সব কিছু গোলমাল হয়ে গেল। দাদার উপর সব রাগ আছড়ে পড়ল মিমির। এদিকে, সহজ ভাবতে থাকল কীভাবে উদ্ধার করা যায় বঁড়শিকে। তারপর... বিশদ

22nd  August, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ২৫
জয়ন্ত দে

সহজ বাবাকে জানিয়ে দিয়েছে, সে ঠাকুরদাকে আশ্রমে পৌঁছে দিতে চায়। শশাঙ্ক মিত্রের ঘরে এসে হাজির হল সে। তাঁর লেখা চিঠি যে ঠাকুমার কারসাজিতে গুরুদেবের কাছে পৌঁছয় না, সেই রহস্য ফাঁস করে দিল সহজ। সে চেয়ে নিল আশ্রমের ঠিকানা। মুক্তির আশায় শশাঙ্কের মুখে দেখা গেল হাসির রেখা। তারপর... বিশদ

15th  August, 2021
অনলাইন
ঝিমলি নন্দী

রাত দশটা। মেসেঞ্জারে পিং করে একটা মেসেজ ঢুকল। মোবাইলটা মুঠোয় একটু  ধরে রাখল মণিদীপা। তারপর রোজকার মতোই পরিপাটি মশারি গুঁজতে লাগল। আবার কাল ঠিক সকাল ছ’টায় মেসেজ করবে বুদ্ধ। সুপ্রভাত! বুদ্ধের পাঠানো মেসেজে আজও ঘুমোতে যায় মণিদীপা। বিশদ

08th  August, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব  ২৪
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

পরমেশ্বরের অফিসে বসে ভানুদা, সুজি, শঙ্কর। সেখানে হঠাৎ হাজির হল সহজ। পরমেশ্বর জানাল, মৈত্রেয়ী তাদের বাড়িতে এসেছিল। সুজি নিজের গোঁ ধরে থাকলে ও ডিভোর্স দেবে বলেছে। তর্কাতর্কি চরমে পৌঁছলে সুজির সঙ্গে আর ব্যবসা করবে না বলে জানিয়ে দেয় পরমেশ্বর। তারপর... বিশদ

08th  August, 2021
পিশাচ সাধু

সহজকে নিজের জীবনের গল্প শোনাল বঁড়শি। আশ্রম থেকে কীভাবে সে পিশাচসাধুর খপ্পরে পড়ল সেই গল্প। বঁড়শিকে আদতে বিয়ে করেননি ক্যাপ্টেন।
বিশদ

01st  August, 2021
ঘাম

টানটান চাদরে ঢাকা তক্তার এক কোণে বালিশ-তোশকের স্তূপ, রংচটা সিমেন্টের দেওয়ালটাকে কিছুটা আড়াল করতে একখানা আয়না বসানো।
বিশদ

01st  August, 2021
পিশাচ সাধু

সহজকে একটা ঘরে বসতে দিল বঁড়শি। সেই ঘরের উত্তর দিকের কোণে চোখ আটকে গেল সহজের। সেখানে একটা জায়গায় বালি ফেলা, পড়ে রয়েছে পোড়া কাঠ।
বিশদ

25th  July, 2021
গাছ
সাইকেল ও প্রেম

কাটারির কোপ গাছে পড়তেই গাছের আর্তনাদ ধক করে বুকে এসে লাগল অপরাজিতের বুকে। ব্যালকনিতে ডিভানে বসে সকালের কাগজ পড়ার অভ্যাস সঙ্গে এক কাপ চা।
বিশদ

25th  July, 2021
পিশাচ সাধু

সহজ বাড়ি ফিরতেই ক্যাপ্টেনের কাছে যাওয়ার জন্য ঘ্যান ঘ্যান শুরু করল মিমি। সুজির সমস্যা নিয়ে ভাবতে ভাবতে কূল-কিনারা পেল না সহজ।
বিশদ

18th  July, 2021
পিশাচ সাধু  
 

ভবিষ্যৎ জানতে সহজের সঙ্গে পিশাচ সাধুর বাড়িতে হাজির হল সৃজনী। ক্যাপ্টেন ব্যঙ্গ করে জটিলা বলে ডাকতে শুরু করলেন সৃজনীকে। ভবিষ্যৎ জানতে চাইতেই পিশাচ সাধু ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন, নীলাদ্রির সঙ্গে তার প্রেমের পরিণতি ভয়ঙ্কর। বরং, মেডিক্যালে চান্স পাওয়ার জন্য সৃজনীর পড়ায় মন বসানো উচিত। বিশদ

11th  July, 2021
পিশাচ সাধু
 

নচের মেয়ের কাছ থেকে পিশাচ সাধুর বিষয়ে জানতে পেরেছে সহজের ছাত্রী সৃজনী। সেও জ্যোতিষীর কাছে ভবিষ্যৎ জানতে চায়। তাঁর কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহজকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে সৃজনী। বিশদ

04th  July, 2021
কৃষ্ণাঙ্গ

সাইপ্রাস গাছের সূক্ষ্ম পাতার কোণে কোণে জলবিন্দু জমে আছে। রাতে বৃষ্টির পর সকালের মুক্তোরঙা আকাশ কমনীয় অথচ নির্ভার। নরম বালিশের কোলে পাশ ফিরল অনঘ। আলগা অপলক মেঘের গায়ে গোলাপি রঙের ছোঁয়া। বিশদ

04th  July, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বর্ণিনীর সঙ্গে বিচিত্রদার বাড়ি গেল সহজ। আর সেখানে গিয়েই গল্প প্রকাশের রহস্যের জট কাটল। আসলে পত্রিকা অফিসে গল্পটি পাঠিয়েছিলেন বিচিত্রদা। কিন্তু সহজের মুখে পিশাচ সাধুর নাম শুনে ভীষণ খেপে গেলেন তিনি। বিশদ

27th  June, 2021
মাধুকরী  
সৌরভ মিত্র

 

 মেঘ ডাকছিল এতক্ষণ। পাকা রাস্তা ধরে কয়েক পা এগতেই বড় বড় ফোঁটায় বৃষ্টি শুরু হল। ভালোই মেতেছে! দশহাত দূরের মানুষকেও যেন চেনা দায়! পশ্চিম কালো হয়ে আসছিল সকাল থেকেই। গুপ্ত-বৃন্দাবনের মেলার তাড়া না থাকলে হয়তো ঘর ছাড়ত না সুদাম গোঁসাই। বিশদ

27th  June, 2021
একনজরে
দুয়ারের সরকারের ক্যাম্পে ছাতা মাথায় দাঁড়িয়ে আছেন মহিলারা। অন্যান্য লাইনে হুড়োহুড়ি থাকলেও শান্ত হয়েই প্রতীক্ষায় মহিলারা। অধিকাংশের মুখেই চওড়া হাসি। কোনও তাড়া নেই তাঁদের। কারণ ...

‘তালিবানের সেবায় পাকিস্তান নিজেকে নিয়োজিত করেছে। তালিবদের কখনই চাপের মুখে পড়তে হয়নি। পাকিস্তানকে ওরা বেস হিসেবে ব্যবহার করেছে। নির্দিষ্ট কোনও এলাকা নয়, গোটা পাকিস্তানই তাদের সাহায্য করতে উঠেপড়ে লেগেছিল।’ ...

দীর্ঘ ১১ মাসের আইনি কচকচানির অবসান। ডেফিনেটিভ এগ্রিমেন্টে সই না হলেও আসন্ন আইএসএলে খেলবে এসসি ইস্ট বেঙ্গল। টার্মশিটের ভিত্তিতেই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অংশ নেবে লাল-হলুদ। বুধবার ...

দেশজুড়ে সরকারি সংস্থা বিক্রির কড়া সমালোচনা চলছে। তবু মোদি সরকার অনড়। সিংহভাগ ক্ষেত্রেই সরকারের উপস্থিতি যে কমিয়ে আনা হবে, সরাসরি একথা জানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বুধবার তিনি বলেছেন, দুটি ভাগে সরকারি সংস্থাকে বিভাজিত করা হচ্ছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারেন। চলচিত্র ও যাত্রা শিল্পী, পরিচালকদের শুভ দিন। ধনাগম হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭২৩ - অণুবীক্ষণ যন্ত্রের আবিষ্কারক ওলন্দাজ বিজ্ঞানী আন্তেনি ভান লিউভেনহুকের মৃত্যু
১৮৬৯ - রহস্য কাহিনীকার ও সম্পাদক দীনেন্দ্র কুমার রায়ের জন্ম
১৯১০: নোবেল জয়ী সমাজসেবী মাদার টেরিজার জন্ম
১৯২০ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়
১৯২০: অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯২৭ - ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি কলকাতায় প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৪: কবি ও গীতিকার অতুলপ্রসাদ সেনের মৃত্যু
১৯৪৩ - আজাদ হিন্দ ফৌজ আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়
১৯৫৫ - সত্যজিত্ রায়ের চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালী’র মুক্তি লাভ
১৯৫৬: রাজনীতিক মানেকা গান্ধীর জন্ম
১৯৬৮: চিত্র পরিচালক মধুর ভাণ্ডারকরের জন্ম 
২০০৩ - লেখক ও ঔপন্যাসিক বিমল করের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৩৭ টাকা ৭৫.০৮ টাকা
পাউন্ড ১০০.১১ টাকা ১০৩.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৫.৫৯ টাকা ৮৮.৭১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৪, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৪, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ ভাদ্র ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট ২০২১। চতুর্থী ২৯/৪৪ অপরাহ্ন ৫/১৪। রেবতী নক্ষত্র ৪২/৫১ রাত্রি ১০/২৯। সূর্যোদয় ৫/২০/৫২, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/১২। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৫৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১০/২৩ গতে ১২/৫৪ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/৪ মধ্যে।
৯ ভাদ্র ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট ২০২১। চতুর্থী অপরাহ্ন ৫/৩৪। রেবতী নক্ষত্র রাত্রি ১১/৫৫। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৬/০। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৩ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৫০ গতে ৬/০ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১/৫ মধ্যে।
১৭ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তৃতীয় টেস্ট: প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ২৯৮/৩ (চা বিরতি) 

08:49:20 PM

কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ

08:44:00 PM

কাবুল বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু, রয়েছে একাধিক শিশুও 

08:21:08 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৭১৭, মৃত ৯ 

08:03:25 PM

কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণ, হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি 

07:54:59 PM

কমতে পারে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের ব্যবধান: সূত্র 

06:01:10 PM