Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ২৬
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বোনকে নিয়ে পিশাচসাধুর বাড়িতে হাজির হল সহজ। মিমির অতীত নিয়ে এমন কয়েকটি ইঙ্গিত করলেন তিনি, যার জেরে তার সব কিছু গোলমাল হয়ে গেল। দাদার উপর সব রাগ আছড়ে পড়ল মিমির। এদিকে, সহজ ভাবতে থাকল কীভাবে উদ্ধার করা যায় বঁড়শিকে। তারপর...

‘তুমি ছোকরা একদম সুবিধের নও।’
বিচিত্র ঘোষালের কথায় সহজ হাসার চেষ্টা করল, কিন্তু পারল না। বর্ণিনী জানলার বা‌঩ইরে তাকিয়ে। ঘরের ভেতরটা গুমোট। বিচিত্র ঘোষাল খুব জোরে কেশে উঠলেন, বললেন, ‘ওটা পিশাচ— ওখানে মানুষ যায়। ও রক্ত খায়। তুমি কীসের জন্য যাও ওখানে?’ সহজ উত্তর দিল না। বিচিত্র ঘোষাল উত্তর চাইছেন না। ‘বলো কীসের জন্য যাও? বিশ্বাস করো? বলবে তো বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর—।’ 
সহজ বলল, ‘আমি দেখতে চাই।’
‘দেখতে পাবে না। কারণ, ও দেখার জিনিস নয়। ও মনস্তাত্ত্বিক গেম খেলে, ও একজন মানুষের মন নিয়ে নাড়াচাড়া করে, এর চেয়ে বেশি কিছু নয়। ও না-সাধু, না-পিশাচ! কিন্তু ও এমন কাজ করে যা ধন্দ তৈরি হয়। আমি পরমেশ্বরকে বলেছিলাম। একমাস এলাকায় থেকে দেখ— ক’টা মার্ডার অ্যাটেম্প হয়। পরমেশ্বর আমার কথা উড়িয়ে দিল। বলল, দূর দূর, আমার কাজ থাকে তাই যাই। শখ করে, বা কারও ভয়ে যাই না। ব্যস, পরমেশ্বর হল এ এলাকার মহাজন। মহাজন যে পথে করিবে গমন—ভেড়ার দল সেই পথে যাবে। তুমিও ভেড়া।’
সহজ মাথা নিচু করল।
বর্ণিনী বলল, ‘তুই হঠাৎ কেন মিমিকে নিয়ে গেলি? আমাকে একবার জিজ্ঞেস করলি না!’
‘মিমি খুব চাপ দিচ্ছিল, কিন্তু সিচ্যুয়েশনটা যে এমন হবে বুঝিনি।’
‘এখন কি একটু সামলেছে?’
‘জানি না। চুপচাপ ঘরে বসে আছে। প্রথমে ভেবেছিল, আমি বুঝি কোনও ইনফরমেশন দিয়েছি। কিন্তু যখন ও নিশ্চিত হয়েছে, আমার না-জানা কথাই উনি বলছেন, তখন থেকে মিমি খুব আপসেট।’
‘আবার একটা মাইন্ড গেমের শিকার! উফ আর পারি না, মাঝে মাঝে মনে হয় শয়তানটাকে খুন করে জেলে যাই।’
‘তুমি একটু থামবে, আগে সুস্থ হয়ে উঠে দাঁড়াও, তারপর লড়তে যাবে।’ বর্ণিনী কড়া গলায় ধমক লাগায় বিচিত্রদাকে।
বিচিত্র ঘোষাল বিড়বিড় করলেন, ‘লড়াইটা মাথা দিয়ে লড়তে হবে। চারদিকে সব ভেড়ার দল! বুদ্ধি খাটাবে কে?’
সহজ হাসতে হাসতে বলল, ‘আপনি ওকে খুন করতে পারবেন না বিচিত্রদা, কেন না, উনি বলেছেন ওঁকে মারবে বঁড়শি।’
‘ওর সঙ্গে যে অল্প বয়সি মেয়েটা থাকে—ওর ফোর্থ বউ —।’
‘সাজিয়ে রাখে বউ। চতুর্থ স্ত্রী। কিন্তু বঁড়শি ওর বউ নয়। বঁড়শির সঙ্গে পিশাচের বিয়ে হয়েছে। পিশাচ হচ্ছে মানুষের একটি করোটি!’
‘উফফ ডিসগাস্টিং!’ বিচিত্র ঘোষাল উত্তেজিত হয়ে ঘরের ভিতর ঘুরছেন।
‘ওই পিশাচ-টিশাচ বলে মেয়েটার সঙ্গে ছক করে লিভ ইন করছে—।’ বর্ণিনী সোজা সমাধানে পৌঁছে যায়।
সহজ বলে, ‘না রে ওখানে অনেক গূঢ় কথা আছে। বাদ দে। ওদের জগৎ আলাদা। ওরা দু’জনেই ঘোরে থাকে, শরীর তোর সামনে কিন্তু মন অন্য জায়গায়।’
বর্ণিনী বলল, ‘মিমি আপসেট। কিন্তু তোর ওই ছাত্রীর তো খুব ভালো কাজ দিয়েছে। দুর্দান্ত নাকি পড়াশোনা করছে।’ 
সহজ হাসল। 
‘ফাঁদ! ফাঁদ!’ বিচিত্র ঘোষাল বলে উঠলেন।  
‘মিমিকে কি পদ্মনাভকে নিয়ে নেগেটিভ কিছু বলেছে?’ বর্ণিনী জিজ্ঞেস করল।
‘পদ্মনাভ!’ বিচিত্র ঘোষাল নড়ে উঠল। ‘ওটি একটি অত্যন্ত বাজে ছেলে। শুনলাম, খোকন আর কান-কাটা মণিকে নিয়ে দল পাকাচ্ছে সুজি। সেদিন পরমেশ্বর আমাকে দুঃখ করে বলল, হ্যাঁ সুজিকে আমি সমঝে দেওয়ার জন্য তাড়িয়ে দিয়েছি। কিন্তু আমি কখনও ভাবিনি, ও কান-কাটা মণির সঙ্গে হাত মেলাবে। ও অলরেডি বিশ্ব আর হুতুমকে ধরে মেরেছে। আমি ওদের বললাম, চেপে যা সুজি আমাদেরই লোক, একটু সহ্য করে নে। নইলে সেদিনই ওর বাড়ি ঘরদোর ভেঙে লাট করে দিত। পদ্মনাভ ভালো নয়। পদ্মনাভের সঙ্গে তোমাদের কী সম্পর্ক।’
বিচিত্র ঘোষালের প্রশ্নের কেউ উত্তর দিল না। বরং হয়তো ঘুরিয়ে বর্ণিনী উত্তর দিল, ‘শোন, পদ্মনাভ সম্পর্কে পিশাচ সাধু যদি কোনও নেগেটিভ কথা বলে, আর সেটা মেনে নিয়ে মিমি রিলেশনটা ব্রেকআপ করে, তাহলে বলব— শাপে বর হয়েছে।’
বর্ণিনীর কথায় সহজ কোনও উত্তর দিল না। এবার বর্ণিনী হঠাৎ বলে বসল, ‘আমাকে একবার নিয়ে যাবি?’
‘কেন তুই কি ভবিষ্যৎ জানতে চাস, না চোখের দেখা দেখতে চাস?’
‘আমি চেষ্টা করব ওর হাত থেকে মেয়েটাকে বাঁচাতে। যদি মেয়েটা বেরিয়ে আসতে চায়, ওই লোকটার নামে একটা এফআইআর করাতে পারি, বাদবাকিটা আমি বুঝে নেব।’
‘তোমার বাবা পারবে লকআপে ঢুকিয়ে ওই পিশাচটাকে চোর পেটানো পেটাতে,’ বিচিত্র ঘোষাল যেন একটা সমাধান সূত্র পেয়েছেন। ‘তোমার বাবা তো অনেক ভালো মানুষকে ধরে পেটায়, এবার প্রায়শ্চিত্ত করুক।’
সহজ বলল, ‘ওখান থেকে বঁড়শিকে বের করতে পারলে সবচেয়ে বেশি খুশি হতাম আমি। কিন্তু বের করে আনার কাজটা সহজ নয়।’
‘ওকে কি হিপনোটাইজ করে রেখেছে—?’ বিচিত্র ঘোষাল জানতে চাইল। 
‘হ্যাঁ, একপ্রকার ঘোরেই তো আছে। নাহলে এই বিয়েকে ও মান্যতা দেয় কীভাবে?’
বর্ণিনী ছটফট করে, ‘মেয়েটাকে বের করে আনতেই হবে। তুই আমাকে নিয়ে চ।’
‘তুই পারবি না।’
‘ভুলে যাচ্ছিস কেন আমার বাবা পুলিসে চাকরি করেন। তার ওপর আমার সততা আর সাহস আছে। আমাকে রোখা সহজ নয়।’
সহজের মোবাইল ফোন বাজছে। নচে। ফোন ধরতে ওপার থেকে নচে বলল, সন্ধেবেলায় কারখানা মাঠে যাব। একটু দরকার ছিল। তুই আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিবি। আর রাতেও আমাকে বাড়ি দিয়ে যাবি।
‘আজ সন্ধেবেলা, হয়তো হবে না।’     
‘না হলে, তুই কিন্তু পস্তাবি। আমার খুব দরকার ছিল। আমার মন বলছে— আর সময় নেই। তোকে সব কথা বলতে হবে।’
‘কী যা তা বলছিস?’
‘ঠিকই বলছি। খ্রিস্টানদের ওই যে একটা ঘর থাকে না, যার মধ্যে ঢুকে পেটের কথা খালাস করে।’
‘হ্যাঁ, কনফেশন রুম।’
‘তুই আমার আজ কনফেশন রুম। সব বলে দেব— মা কালী কিচ্ছু লুকাব না। যা মনে আসবে সব বলে যাব। দেখি কোন শালা আমাকে রোখে।’
‘ফালতু কথা রাখ। কারখানা মাঠে যাবি তো— আমি ঠিক সময়ে তোর কাছে চলে যাব।’
ঠিক সময়েই সহজ বাইক নিয়ে গিয়ে দাঁড়াল নচের বাড়ির সামনে। ওকে দেখেই বেরিয়ে এল নচের স্ত্রী আরতি। বলল, ‘দাদা, আপনি ওকে নিয়ে যাচ্ছেন। একটু বোঝাবেন তো।’
কী বোঝাবে সহজ জানতে চাইল না। তার আগেই চাপা গলায় আরতি বলল, ‘তিন দিন ডিউটি যায়নি। কিছু বলতে গেলেই বলছে, শোনো, সরকারি চাকরি, অফিস না-গেলে কারও চাকরি যায় না। কিন্তু আমি না থাকলে তখন চাকরির কোনও মূল্য নেই। এমন সাহসী লোক, ভয়ে এতটুকু হয়ে আছে। ও আগে দু’-দুবার মার্ডার কেস খেয়েছে, তখনও এমন ভয় পায়নি। একবার চাকরি থেকে সাসপেন্ড হয়ে ছিল। তাতেও এমন ভয় পায়নি। কিন্তু এবার যে কেন এমন করছে, বুঝে উঠতে পারছি না। সবকিছু নিয়ে প্যানিক করছে। 
জানেন, রাতে এ-বাড়ির কোনও জানলা খোলা থাকে না। আমি ওকে কতবার বলেছি।  এভাবে পারা যায় বলুন? দেখবেন, দমবন্ধ হয়ে একদিন সবাই মরব। আপনি ওকে একটু বোঝান। ওর জন্য মেয়েটাও সিঁটিয়ে রয়েছে। এত ভয়ে ভয়ে কি বাঁচা যায়।’
সহজ বলল, ‘আমার কথা শুনুন, তেমন মনে হলে ডাক্তার দেখান।’
‘কী পাগলের ডাক্তার। ও যাবে না। আপনি নিয়ে যাচ্ছেন, আপনারা বোঝান, অফিস কেন যাবে না?’
দোতলা থেকে নচে নেমে এল। প্রায় দু’সপ্তাহ পরে দেখা। নচে যেন অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। আসা মাত্রই সহজকে বলল, ‘তাড়াতাড়ি চ। বড্ড দেরি হয়ে গেল।’
বাইকে উঠল খুব সন্তর্পণে। বাইক স্টার্ট দিয়েই সহজ বলল, ‘তুই ঠিক আছিস?’
‘ঠিক নেই। অনেক কাণ্ড ঘটে গিয়েছে।’
‘তুই নাকি অফিস যাচ্ছিস না।’
‘শোন, রোজ এক রুট দিয়ে যাওয়া আসা ভালো কথা নয়। আমার পিছনে লোক লেগে গিয়েছে। যে কোনওদিন খরচা হয়ে যাব।’
‘কে খরচা করবে তোকে?’
‘খরচা করার লোকের অভাব নেই রে। তারা সব দেখছে— আমি রোজ অফিস যাই, আসি। না, না, এটা ঠিক নয়।’
‘তুই ফালতু ভয় পাচ্ছিস, কেউ তোর দিকে এগবে না।’
‘আমার দিন শেষ। দিন শেষ হলে কী হয় জানিস?’
‘আবার তুই ফালতু কথা বলছিস।’
‘কান-কাটা মণির সঙ্গে সুজি গেম সাজাচ্ছে। ওরা সবার আগে আমাকে ওড়াতে চায়। ওরা জানে, আমি পরমদার ডান হাত।’
ওরা কারখানা মাঠে এসে ওঠে।  নচেকে দেখে অনেকেই হইহই করে ওঠে। মাঠে ঢুকে নচে যেন মুক্তির শ্বাস নিল। একটা হাতল ভাঙা চেয়ারে থপ করে বসে পড়ে। একজন বলল, ‘গুরু তোমার নাকি অ্যান্টেনা নড়ে গিয়েছে।’
সহজ বলল, ‘এখান থেকে যা।’
নচে বলল, ‘আমাকে পাগল ভাবছে। তাই না রে সহজপাঠ!’
একজন এসে দুটো মদের গ্লাস রাখল ওদের সামনে। সহজ পকেট থেকে পাঁচশো টাকা বের করে দিল। সে জানে, একটু পরেই কেউ না কেউ এসে টাকা চাইবে। নচে বলল, ‘সহজপাঠ আজ তুই টাকা দিবি না। তোর টাকায় অনেক খেয়েছি। আজ আমি খাওয়াব। এই টাকাটা ফেরত দিয়ে দে।’
সহজ বলল, ‘তুই অন্যদিন খাওয়াস।’
‘না, আজই খাওয়াব। অন্যদিনের সুযোগ যদি আর না আসে।’
ঠান্ডা মাথায় সহজ হাত বাড়িয়ে টাকাটা নিয়ে নিল। নচে বুক-পকেট থেকে দুটো পাঁচশো টাকার নোট বের করে দিল।  বিস্মিত ছেলেটা বলল, ‘গুরু এ তো হাজার।’ 
‘আমি সাবুকে বলেছিলাম, মাংস করতে। ও জানে।’
ছেলেটা লাফাতে লাফাতে চলে গেল।
নচে ফিসফিস করে বলল, ‘আমি টার্গেট। আমাকে ঘিরে নিয়েছে আসিফ, সুবীরদের দল। ওরা আমার জন্য পাড়াছাড়া। ওদের বাপ মা-রা এসে আমার পায়ে ধরেছে। তাও আমি পারমিশন দিইনি। ওরা আমাকে ছাড়বে না। এখন এলাকাতে কান-কাটা মণি, সুজিরা গেম সাজাচ্ছে। আমার ঘরে-বাইরে শত্রু।’
‘শত্রু তোর, না পরমেশ্বরদার?’
ম্লান হাসল নচে, ‘পরমদা মাথা, আমি হাত। ওরা হাত কাটতে চাইছে। পরমদাকে কিছু করার সাহস ওদের নেই। ওর জন্য বড়বাবা লাগবে।’ নচে গ্লাসটা তুলে চোঁ চোঁ করে শেষ করে দিল। বলল, ‘সহজপাঠ আমি সারা জীবনে কত লোকের মাথা ফাটিয়েছি, হাত-পা ভেঙেছি মনে নেই। আমি ক’দিন আগে একটা খাতায় নাম লিখছিলাম। তোর বউদি এসে ঝামেলা পাকাল। খাতাটা টেনে ছিঁড়ে ফেলে দিল। শুধু বাড়ি পুড়িয়েছি সতেরোটা। আর মানুষ মেরেছি—।’
সাবু আর একটা ছেলে আসে। দুটো জায়গায় মাংস, কটা রুটি, শসা পেঁয়াজ আর জলের জায়গা দিয়ে যায়। সঙ্গে একটা বোতল। বলে, ‘গুরু তোমরা তো মনে হয় আমাদের দিকে যাবে না। তাই দিয়ে গেলাম। এখানে শান্তিতে বসে খাও। আমি তোমাকে বাড়ি ছেড়ে আসব। এখানে ভয়ের কিছু নেই। এখানে অ্যাটাক হবে না।’ সব জিনিস গুছিয়ে শেষকথাটা বলার সময় সাবু হাসছিল। হঠাৎ তড়াক করে লাফিয়ে উঠল নচে। ‘তুই কি আমাকে আওয়াজ দিচ্ছিস। অ্যাটাক হবে মানে কী? শোন আমি যদি মনে করি, এখনই সুজি বা কান কাটার বাড়িতে ঢুকে গুলি করে আসতে পারি। সে ক্ষমতা আমার আছে।’
‘তুমি দাদার থেকে পারমিশন নাও। আমরাও তোমার সঙ্গে যাব। এখানে কুড়িটা ছেলে আছে। আজ এলাকায় কালীপুজো বানিয়ে দেব। ফোন মারো দাদাকে, একবার বলে দাও—’
সহজ বুঝল তাতানোর পালা চলছে। এখন মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। সে বলল, ‘একটু আগেই আমার সঙ্গে পরমেশ্বরদার কথা হয়েছে। সবাইকে আনন্দ করে বাড়ি চলে যেতে বলেছে। কেউ একটুও হুজ্জতি করলে তার দায় নেবে না।’
সাবু ফ্যাকাসে মুখে নচের দিকে তাকিয়ে চলে গেল।
সাবু চলে যেতেই নচে বলল, ‘পরমদা আমার সঙ্গে কথা বলে না। সেদিন বাড়ি এসে বলল— যা, বউ মেয়েকে নিয়ে এক সপ্তাহ পুরী থেকে ঘুরে আয়। আরতির হাতে টাকা দিয়ে গেল।’ নচে গ্লাসে মদ ঢেলে জল মেশায়। দু-তিন চুমুকে শেষ করে দেয়।
‘খুব ভালো বলেছে।’
‘আমি যাব না, মরলে এখানে মরব। এখন আমার দায় কেউ নেবে না। আমিও চাই না কেউ আমার দায় নিক। আমি যা খুন করেছি, পার্টির জন্য করেছি। পার্টিকে ভালোবেসে। আমার কোনও পাপ নেই। আমি পার্টির নির্দেশ মেনেছি। শুধু একটা খুন—।’
নচে আবার গ্লাসে মদ ঢালে। সহজ বলে, ‘এত ঢালছ কেন?’
নচে জল না মিশিয়ে গ্লাসে চুমুক দিল।  ‘শুধু একটা খুন, তাকে আমি চিনি না।  টাকা নিয়েছি।’ কান্না চাপতে চাপতে নয় অদ্ভুতভাবে হাঁসফাঁস করতে করতে নচে বলল, ‘টালির বাড়ি ছিল ওই টাকায় দোতলা করেছি। এটাতেই আমার পাপ লেগেছে, বড্ড পাপ!’
সহজের মনে হল নচের গলায় কেউ ফাঁস পরিয়ে টানছে। 
‘ওই বাড়িতে আমি থাকি কী করে!’
 (চলবে)
22nd  August, 2021
গাছ জগবন্ধু
অভিজিৎ তরফদার

—ওই যে ঘরের মধ্যে টাকা মেশিন। বোতাম টিপলেই টাকা। —এটিএম? বেড়ে বলেছ তো! আচ্ছা জগবন্ধু, একটা কথা জিজ্ঞেস করব, কিছু মনে করবে না তো? —না না, মনে করবার কী আছে? গরিব মানুষের অত মনে করলে চলে না।  বিশদ

22nd  August, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ২৫
জয়ন্ত দে

সহজ বাবাকে জানিয়ে দিয়েছে, সে ঠাকুরদাকে আশ্রমে পৌঁছে দিতে চায়। শশাঙ্ক মিত্রের ঘরে এসে হাজির হল সে। তাঁর লেখা চিঠি যে ঠাকুমার কারসাজিতে গুরুদেবের কাছে পৌঁছয় না, সেই রহস্য ফাঁস করে দিল সহজ। সে চেয়ে নিল আশ্রমের ঠিকানা। মুক্তির আশায় শশাঙ্কের মুখে দেখা গেল হাসির রেখা। তারপর... বিশদ

15th  August, 2021
অনলাইন
ঝিমলি নন্দী

রাত দশটা। মেসেঞ্জারে পিং করে একটা মেসেজ ঢুকল। মোবাইলটা মুঠোয় একটু  ধরে রাখল মণিদীপা। তারপর রোজকার মতোই পরিপাটি মশারি গুঁজতে লাগল। আবার কাল ঠিক সকাল ছ’টায় মেসেজ করবে বুদ্ধ। সুপ্রভাত! বুদ্ধের পাঠানো মেসেজে আজও ঘুমোতে যায় মণিদীপা। বিশদ

08th  August, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব  ২৪
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

পরমেশ্বরের অফিসে বসে ভানুদা, সুজি, শঙ্কর। সেখানে হঠাৎ হাজির হল সহজ। পরমেশ্বর জানাল, মৈত্রেয়ী তাদের বাড়িতে এসেছিল। সুজি নিজের গোঁ ধরে থাকলে ও ডিভোর্স দেবে বলেছে। তর্কাতর্কি চরমে পৌঁছলে সুজির সঙ্গে আর ব্যবসা করবে না বলে জানিয়ে দেয় পরমেশ্বর। তারপর... বিশদ

08th  August, 2021
পিশাচ সাধু

সহজকে নিজের জীবনের গল্প শোনাল বঁড়শি। আশ্রম থেকে কীভাবে সে পিশাচসাধুর খপ্পরে পড়ল সেই গল্প। বঁড়শিকে আদতে বিয়ে করেননি ক্যাপ্টেন।
বিশদ

01st  August, 2021
ঘাম

টানটান চাদরে ঢাকা তক্তার এক কোণে বালিশ-তোশকের স্তূপ, রংচটা সিমেন্টের দেওয়ালটাকে কিছুটা আড়াল করতে একখানা আয়না বসানো।
বিশদ

01st  August, 2021
পিশাচ সাধু

সহজকে একটা ঘরে বসতে দিল বঁড়শি। সেই ঘরের উত্তর দিকের কোণে চোখ আটকে গেল সহজের। সেখানে একটা জায়গায় বালি ফেলা, পড়ে রয়েছে পোড়া কাঠ।
বিশদ

25th  July, 2021
গাছ
সাইকেল ও প্রেম

কাটারির কোপ গাছে পড়তেই গাছের আর্তনাদ ধক করে বুকে এসে লাগল অপরাজিতের বুকে। ব্যালকনিতে ডিভানে বসে সকালের কাগজ পড়ার অভ্যাস সঙ্গে এক কাপ চা।
বিশদ

25th  July, 2021
পিশাচ সাধু

সহজ বাড়ি ফিরতেই ক্যাপ্টেনের কাছে যাওয়ার জন্য ঘ্যান ঘ্যান শুরু করল মিমি। সুজির সমস্যা নিয়ে ভাবতে ভাবতে কূল-কিনারা পেল না সহজ।
বিশদ

18th  July, 2021
পিশাচ সাধু  
 

ভবিষ্যৎ জানতে সহজের সঙ্গে পিশাচ সাধুর বাড়িতে হাজির হল সৃজনী। ক্যাপ্টেন ব্যঙ্গ করে জটিলা বলে ডাকতে শুরু করলেন সৃজনীকে। ভবিষ্যৎ জানতে চাইতেই পিশাচ সাধু ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন, নীলাদ্রির সঙ্গে তার প্রেমের পরিণতি ভয়ঙ্কর। বরং, মেডিক্যালে চান্স পাওয়ার জন্য সৃজনীর পড়ায় মন বসানো উচিত। বিশদ

11th  July, 2021
পিশাচ সাধু
 

নচের মেয়ের কাছ থেকে পিশাচ সাধুর বিষয়ে জানতে পেরেছে সহজের ছাত্রী সৃজনী। সেও জ্যোতিষীর কাছে ভবিষ্যৎ জানতে চায়। তাঁর কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহজকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে সৃজনী। বিশদ

04th  July, 2021
কৃষ্ণাঙ্গ

সাইপ্রাস গাছের সূক্ষ্ম পাতার কোণে কোণে জলবিন্দু জমে আছে। রাতে বৃষ্টির পর সকালের মুক্তোরঙা আকাশ কমনীয় অথচ নির্ভার। নরম বালিশের কোলে পাশ ফিরল অনঘ। আলগা অপলক মেঘের গায়ে গোলাপি রঙের ছোঁয়া। বিশদ

04th  July, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বর্ণিনীর সঙ্গে বিচিত্রদার বাড়ি গেল সহজ। আর সেখানে গিয়েই গল্প প্রকাশের রহস্যের জট কাটল। আসলে পত্রিকা অফিসে গল্পটি পাঠিয়েছিলেন বিচিত্রদা। কিন্তু সহজের মুখে পিশাচ সাধুর নাম শুনে ভীষণ খেপে গেলেন তিনি। বিশদ

27th  June, 2021
মাধুকরী  
সৌরভ মিত্র

 

 মেঘ ডাকছিল এতক্ষণ। পাকা রাস্তা ধরে কয়েক পা এগতেই বড় বড় ফোঁটায় বৃষ্টি শুরু হল। ভালোই মেতেছে! দশহাত দূরের মানুষকেও যেন চেনা দায়! পশ্চিম কালো হয়ে আসছিল সকাল থেকেই। গুপ্ত-বৃন্দাবনের মেলার তাড়া না থাকলে হয়তো ঘর ছাড়ত না সুদাম গোঁসাই। বিশদ

27th  June, 2021
একনজরে
হাওড়া সিটি পুলিস প্রায় ৪৫ কেজি নিষিদ্ধ চীনা মাঞ্জা উদ্ধার করল। মঙ্গল ও বুধবার জাগাছা থানার বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয় এই বিপুল পরিমাণ সুতো। ...

দুয়ারের সরকারের ক্যাম্পে ছাতা মাথায় দাঁড়িয়ে আছেন মহিলারা। অন্যান্য লাইনে হুড়োহুড়ি থাকলেও শান্ত হয়েই প্রতীক্ষায় মহিলারা। অধিকাংশের মুখেই চওড়া হাসি। কোনও তাড়া নেই তাঁদের। কারণ ...

‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে সুবিধা পাওয়ার জন্য মালদহে তিন লক্ষেরও বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির আওতায় প্রথম ন’দিনের শিবিরে ওই আবেদন জমা পড়েছে বলে ...

‘তালিবানের সেবায় পাকিস্তান নিজেকে নিয়োজিত করেছে। তালিবদের কখনই চাপের মুখে পড়তে হয়নি। পাকিস্তানকে ওরা বেস হিসেবে ব্যবহার করেছে। নির্দিষ্ট কোনও এলাকা নয়, গোটা পাকিস্তানই তাদের সাহায্য করতে উঠেপড়ে লেগেছিল।’ ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারেন। চলচিত্র ও যাত্রা শিল্পী, পরিচালকদের শুভ দিন। ধনাগম হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭২৩ - অণুবীক্ষণ যন্ত্রের আবিষ্কারক ওলন্দাজ বিজ্ঞানী আন্তেনি ভান লিউভেনহুকের মৃত্যু
১৮৬৯ - রহস্য কাহিনীকার ও সম্পাদক দীনেন্দ্র কুমার রায়ের জন্ম
১৯১০: নোবেল জয়ী সমাজসেবী মাদার টেরিজার জন্ম
১৯২০ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়
১৯২০: অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯২৭ - ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি কলকাতায় প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৪: কবি ও গীতিকার অতুলপ্রসাদ সেনের মৃত্যু
১৯৪৩ - আজাদ হিন্দ ফৌজ আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়
১৯৫৫ - সত্যজিত্ রায়ের চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালী’র মুক্তি লাভ
১৯৫৬: রাজনীতিক মানেকা গান্ধীর জন্ম
১৯৬৮: চিত্র পরিচালক মধুর ভাণ্ডারকরের জন্ম 
২০০৩ - লেখক ও ঔপন্যাসিক বিমল করের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৩৭ টাকা ৭৫.০৮ টাকা
পাউন্ড ১০০.১১ টাকা ১০৩.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৫.৫৯ টাকা ৮৮.৭১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৪, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৪, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ ভাদ্র ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট ২০২১। চতুর্থী ২৯/৪৪ অপরাহ্ন ৫/১৪। রেবতী নক্ষত্র ৪২/৫১ রাত্রি ১০/২৯। সূর্যোদয় ৫/২০/৫২, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/১২। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৫৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১০/২৩ গতে ১২/৫৪ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/৪ মধ্যে।
৯ ভাদ্র ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট ২০২১। চতুর্থী অপরাহ্ন ৫/৩৪। রেবতী নক্ষত্র রাত্রি ১১/৫৫। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৬/০। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৩ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৫০ গতে ৬/০ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১/৫ মধ্যে।
১৭ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তৃতীয় টেস্ট: প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ২৯৮/৩ (চা বিরতি) 

08:49:20 PM

কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ

08:44:00 PM

কাবুল বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু, রয়েছে একাধিক শিশুও 

08:21:08 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৭১৭, মৃত ৯ 

08:03:25 PM

কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণ, হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি 

07:54:59 PM

কমতে পারে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের ব্যবধান: সূত্র 

06:01:10 PM