Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

মাধুকরী  
সৌরভ মিত্র

 

 মেঘ ডাকছিল এতক্ষণ। পাকা রাস্তা ধরে কয়েক পা এগতেই বড় বড় ফোঁটায় বৃষ্টি শুরু হল। ভালোই মেতেছে! দশহাত দূরের মানুষকেও যেন চেনা দায়! পশ্চিম কালো হয়ে আসছিল সকাল থেকেই। গুপ্ত-বৃন্দাবনের মেলার তাড়া না থাকলে হয়তো ঘর ছাড়ত না সুদাম গোঁসাই। ঘরে পরিবার আছেন, সন্তান আছে। তবু কেন যে জ্যৈষ্ঠমাস এলেই টান আসে— সে’ রহস্য প্রভুই জানেন! ছাউনিতে দাঁড়িয়ে হঠাৎ যেন উপলব্ধি হয়— ইচ্ছার মালিক যিনি, তিনি বলবেন আর অবিচারে তার ইচ্ছা মানব। এ-ও এক সেবা। এই ইচ্ছাপালনের জগৎই বৈকুণ্ঠ। তারই হুকুম, তারই খিদমত। কেউ সেবাকে ঐশ্বর্য, বৈরাগ্য আর হিসাব-নিকেশে বাধে। যে বাধে না, তার ঠাঁই বৈকুণ্ঠেরও উপরে। প্রকোষ্ঠ গোলোকে। সেই সেবা অনুরাগের সেবা।— হিসাব নাই, নিকেশ নাই। ও-তে না মাতলে মনও মাতে না।  
না, সাধকের পথে চলা হয়ে ওঠেনি। শেষমেশ ব্যবসার হাল ধরতে হলেও সেদিকে মন নেই তেমন। মান-ও যে নেই বিশেষ। হাত মাঝেমাঝেই ফস্কে যায়। গৃহিণী আছেন, তাই ভেসে যায়নি। সংসারের টান আট আনা, আট আনা ভজন কীর্তনে। তাই, একটানা বাস করলে প্রাণ হাঁসফাঁস করে। সে যেন এক প্রলম্বিত বিষাদ। সে ঘরের আগল খুললেই প্রাণান্তকর হাহাকার হামলে পড়ে! গানটুকু আছে— সেটিই ভরসা। কখনও শোনার আশায়, কখনও গাওয়ার নেশায় মাঝেমধ্যে ছোটা এই অমুক মেলা থেকে তমুক আখড়া। কিন্তু, তা কি শুধুই নামগান আর সাধকসঙ্গের টানে?— স্মৃতিপটে একটি মুখ, একটি নাম ফুটে ওঠে। 
নিজেকে থামায় সুদাম।— ওরে মন, তোর হয়েছেটা কী? নিয়ম-না-মানা দুনিয়ায় কী এমন আশ্চর্য ঘটনা? শ্রীরাধাও তো কলঙ্কিনী হয়েছেন। 
চিন্তায় শ্রীরাধার নামখানি ভেসে আসতেই সেই নামখানা গোঁসাইয়ের ভাবনা স্পর্শ করে যায়। মনের কোন এক অচেনা গহীন দেশ থেকে দীর্ঘশ্বাস উঠে আসে। আগে বহুবার ঘটেছে। ভাবে মাতাল হয়ে গাইবার সময় ‘শ্রীরাধা’ অজান্তেই উদ্ভাসিত হয়েছেন অন্য নামে। বুদ্ধি বলে— চিত্তচাঞ্চল্য। চিত্ত বলে— মনের ভুল। মন মাথা খুঁড়ে মরে— ‘আমায় আর বলতে দিলে কবে!’
টালি আর পুরনো ভাঙাচোড়া টিনের রংমিলান্তি ছাদের ফাঁকফোকর দিয়ে ফোঁটা ফোঁটা জল ঝরার বিরাম নেই। এই ছাদের তলায় সুদাম ছাড়াও রয়েছে দু’জন। সঙ্গী গাঁটরিগুলি দেখে মনে হয় ব্যবসায়ী বুঝি। হাত-চারেকের তফাতে গুটিকয় দোকানঘর। বৃষ্টি মাথায় করে দোকানিরা এবেলা আর ঝাপ খুলতে আসেনি। ঘরগুলির সামনে ছাওনি ছিল বলে রক্ষে। কয়েকজন মানুষের মাথা বাঁচানোর ঠাঁই জুটেছে। অন্য ছাউনিতে দুই স্ত্রীলোক কথা বলছিল নিজেদের মধ্যে। বৃষ্টিতে মুখগুলি স্পষ্ট বোঝা যায় না। কিন্তু, তবু যেন চেনা-চেনা ঠেকে। হঠাৎ চমকে ওঠে সুদাম,— প্রভু তোমার লীলা বোঝা দায়! আজ এতদিন পর, এমন ভাবে স্মৃতিপটের মুখখানি চর্মচক্ষুতে দর্শন হবে কে তা জানত?– শ্রীরূপা!
অতীতে প্রভু পথ মিলিয়েছিলেন, সুদাম হারিয়েছে।— বিষয়ের ঘোঁটে যে আশয় হাতছাড়া হয়, তার শোকে উদ্বাস্তুর বুক ফাটে। কিন্তু, আসরে তখনও সেই বিষয়বুদ্ধি— মুখ ফুটতে দেয়নি। আজও কথা বলার ইচ্ছে জাগলেও প্রসঙ্গ খুঁজে পায় না। অনেকগুলো দিন বয়ে গিয়েছে। পরস্ত্রীও বটে! নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার চেষ্টায় ছাউনির এককোণে একখানা সুর গুনগুন করে কিছুক্ষণ। দীর্ঘ আলাপের পর শেষ অবধি পদের মায়া কাটাতে পারে না— ‘এক অদ্ভুত সখী, জনমিঞা নাঞি দেখি, হেন রামা কাহার নন্দিনী।/ গিয়াছিলাম গোচারণে, দেখিল কালিন্দী বনে, পুষ্পতুলি ফিরিছে কামিনী॥’
—এখনও বুঝি আলাপে এত সময় লাগে, গোঁসাই?
সুদাম অবাক হয়। গভীর আনন্দও জাগে মনে, ভোলেনি আজও!
সেদিন ব্রজঘটক গড়গড় করে বলে চলেছিল, ‘গ্রাম: শিবনারায়ণগড়, জেলা: হুগলি, পিতামহ: দয়াময় ঘোষ, পিতা: অরুণ ঘোষ, জ্যেষ্ঠা কন্যা, গোত্র: সৌকালীন, রাশি: কন্যা, নক্ষত্র: চিত্রা, গণ: রাক্ষস।’ 
সুদামের বাপের প্রখর বিষয়বুদ্ধি খটকা গোনে, ‘কুলীন কায়েতের বাড়ি থেকে বেনের ঘরে সম্বন্ধে আপত্তি নাই— ব্যাপারখানা যে হজম হয় না ঠাকুর। সুউপায়ি পরিবার, মেয়েও অসুন্দরী না। মাঙ্গলিক নাকি?’ 
—পঞ্জিকা না দেখে কি কেউ বাঁধা যজমানের ঘরে সম্বন্ধ আনে! নিজের হাতে তাকে আশীব্বাদ করিছি।— সবেতেই সুলক্ষণা। আর সুদামেরও মনে জুড়েছে আগে থেকেই! বলেন যদি কথা এগুই-?
—যা হাঁড়ি, তার ঢাকনাও যদি সৃষ্টিছাড়া হয়, সব্বনাশ হবে। যে মেয়ে বিয়ের আগেই মন জুড়ে বেড়ায়, কুলাঙ্গারটার মতো সে-ও বারমুখো। তেনাদের বলবেন, কুষ্ঠি পাঠানোর দরকার নাই। অথচ, তাকে ভোলার জন্যই তো এত আয়োজন! গাইতে গাইতে পদের মাঝেই অানমনা হয়ে যেত এক-একদিন। বাজনদার হরিহর বিচক্ষণ লোক। আন্তরিক উপদেশই দিয়েছিল, ‘এত অস্থির মনে নামগান হয় না ভায়া।— গাইয়ে তুমি ভালো। কিন্তু, একমাত্র প্রভুর নামের সঙ্গেই গাঁটছাড়া বাঁধার ধাত তোমার নয়। গলায় আর্তির বদলে বেদনার ঝোঁক বেশি। একটা নোঙর লাগে তোমার। সংসারে যাও। থিতু হও ক্ষণিক। গান তো রইলও। আমরাও রইলাম।’
পালটি ঘর, লক্ষ্মীমন্ত বউ। পারিবারিক ব্যবসায় যোগ দেওয়ার পর থেকে গান পুরোপুরি না ছাড়লেও মাঝেমধ্যে দুটো-একটা ছাড়া মেলা-মোচ্ছবে যাতায়াত প্রায় বন্ধই আজকাল। গৃহিণী ভালো মানুষ। সুদামও তার মন জোগানোর চেষ্টায় ত্রুটি রাখে না। অপ্রতুল মায়া আছে তার প্রতি। তা সত্ত্বেও, দিনের শেষে আর কাজের ফাঁকের প্রায় প্রতিটি ছোট-বড় অবকাশে মনের সেই নির্জন পান্থশালায় ফিরে ফিরে এসেছে মুখখানা। তখন নিজেকে বুঝিয়েছে ক্রমাগত— মন মজলে কাবুলিয়ালা হই। আসল থাক আসলের মানে, ভাবের ঘরে রোজের সুদটুকু জীবনের মাধুকরী।... 
‘...সেই মাধুকরীর ভরসাতেই বেঁচে থাকা, কর্তব্যপালন। তারপর হঠাৎ এই মুখোমুখি।’ একটানা কথা বলে কিছুক্ষণ বিরাম নেয় সুদাম। কাঁচাপাকা কদমফুলি দাড়িতে হাত বুলোয়। ‘সুদাম’ নয়, লোকে এখন তাকে ‘গোঁসাই’ বলে ডাকে। যৌবনের নিকুঞ্জ ছেড়ে পরিযায়ী সময়ের যাই-যাই ঢঙ আর গুপ্ত নয়। তবে সামান্য তফাতের মানুষটির চোখে-মুখে সময় তেমন ছাপ ফেলেনি। পূর্ণিমা ফুরোলেও সে প্রতিপদের চাঁদ।
প্রভুর লীলা বোঝা দায়!— তখন কেন যে অমন চাতক করেছিলেন? কেন যে এমন তৃষ্ণার্ত রেখে দিলেন? আবার দিঘি চেনালেনও এমন এক সময়— যখন জলচল বন্ধ! কিন্তু, তা জানা সত্ত্বেও অর্জিত স্বভাব সংযমকে হেলায় উড়িয়ে কেন হাহাকার করে উঠতে চাইছে অন্তঃপুর? 
সামনের মানুষটি তানপুরার তন্ত্রীর মতো স্থির। কয়েক ফোঁটা জল বৃষ্টিবিন্দুর মতো গড়িয়ে পড়েছে গাল বেয়ে। হঠাৎ মনে হয়, এই গুপ্ত-বৃন্দাবনই বুঝি জীবনের নীলাচল। ওই তো, বৃষ্টিবিন্দুগুলি সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়ছে সামনে। ভিজিয়ে দিচ্ছে। এমনভাবে সিক্ত হলে কি রিক্ততা দূর হয়?— কে জানে! 
—কী ভাবতেছেন গোঁসাই?
—ভাবছি, ভাবনার কালসাপটাকে কোন গর্তে শীতঘুমে পাঠাই?
—ওহ আচ্ছা, ঘুম পাড়াবেন বলেই বুঝি এতদিন তারে ঝাঁপিতে নিয়ে ঘুরতেছিলেন?
—‘...এ ঘোর রজনী মেঘের ঘটা, কেমনে আইলা বাটে? ...আঙ্গিনার মাঝে বঁধুয়া ভিজিছে, দেখে যে পরাণ ফাটে...’
—পরান ফাটে! সত্যি? 
সুদাম কথা ঘোরাতে চায়, ‘একা এসেছেন যে বড়?’ 
—একা কই, পড়শি ননদ আছে সঙ্গে। নামগান শুনছে বসে। 
—কর্তা অনুমতি দিলেন?
—তিনি সাদা-সিধা মানুষ। না করেন না কিচ্ছুতে। ভালোই জানেন, সবটুকুর দখল পান নাই। জমিদারির লোভও নাই তার। ঘরে আছি, এতেই সুখী। আপনার মতো কালসাপের ঝাঁপিতে থেকে-থেকে হাত ঢুকানোর বাতিক নাই যে। যাই হোক, একটা কথা বলেন তো, কাল যদি এগিয়ে কথা না বলতাম, আপনি নিজে সামনে আইতেন না, তাই না? 
একখানা পদ ধরে সুদাম, ‘কেন রে তুই যেথা সেথা করিস প্রাণে ফাঁদ ... পাগলা মনটারে তুই বাঁধ...’
—চালাকি করবেন না গোঁসাই। কোনও প্রশ্নের সিধা জবাব না দিয়ে দু-কলি শুনায়ে দেন। আপনার স্বভাবে বড়ই প্যাঁচ। ভাবখানা এই, আমি তো কাঁদি নাই, এসব পদকত্তার ভাবনা। তাল করেন— নিজে তো বাঁচি, মরলে হতচ্ছাড়া কবি মরুক। 
—‘কান্দিতে না পাই বঁধু কান্দিতে না পাই। নিশ্চয় মরিব তোমার চান্দমুখ চাই।’
—ওই আবার! মরণের অতই যদি শখ, একযুগ আগে কি ভূতের ভয়ে পালায়েছিলেন?
—কোনও উপায় দেখি নাই সেইদিন।
—হুম্, বড়ই নিরুপায় মানুষ আপনি!
অভিমানে কান্তের প্রতি নায়িকার এই যে ছদ্ম অনাদর, পদকর্তারা তাকেই বলেছেন বিব্বোক-অলঙ্কার। সে ধরতে পারে। কিছু বলে না। ভিন্নপানে চেয়ে থাকে শুধু। মুখখানিতে বড়ই মায়া।
‘না গোঁসাই, আমি পারব না।’— কণ্ঠ আর্দ্র হয়ে আসে শ্রীরূপার, ‘আপনি বড়ই নিষ্ঠুর। ছিলাম তো বেশ নিজের খেয়ালে। আপনি ডাকাতের মতো আসবেন। কথায়-কথায় গান শুনাবেন। এই ডুবায়ে দিবেন, সেই ভাসাইবেন। একবার ঘরের আগল ভেঙে চৌকাঠে দাঁড়াইবেন, তারপর দিন-দুনিয়ার কথা তুলে, বিবেকের ধুয়ো তুলে ঘরে দোর দিতে বলবেন— এ কেমন বিচার? কোনওদিন কি ভাব দেখতে চেয়েছিলাম? যেচে দিয়েছিলাম নিজের মনের তলাশ?’
এ কথার কী জবাব দেবে সে? হতভাগা সুদাম মরমে মরে। শ্রীরূপার দুই গাল বেয়ে ধারা নেমেছে। এই মাটিতে অশ্রুর মূল্য যে অসীম। চৈতন্য তো বক্তিমেও শোনাননি, তক্কোও করেননি। তার চোখের জলেই এমন বান এসেছিল,— ভেসে গিয়েছে গাঁয়ের পর গাঁ, নগরের পর নগর। কিন্তু, ওই ‘কিন্তু’গুলোও যে—!
সে বলে, ‘ভুল করেছি হয়তো।’ কিন্তু, সত্য তো ভুল হয় না। আত্মপ্রকাশও পাপের কথা না। কালবিশেষে তা অনধিকার হতে পারে। ভৈরব সত্য, সাঁঝের বেলাখানিও বাস্তব। গুরু বলেছেন, সাঁঝের বেলায়  ইমন, কল্যাণ, ধানেশ্রী চলে, তখন ভৈরবে আলাপ জুড়লে অনুচিত হয়।
—তত্ত্বকথা ভালোই জানেন। কিন্তু, তাতে কি হাঁড়ির ভাত সেদ্ধ হয়?
আয়নার সামনে লুকিয়ে থাকা বড় দায়। একখানি দীর্ঘশ্বাস উঠে আসে অন্তর থেকে। ভাবে— আপনাকে আর কোন মুখে বলি, যখন আত্মিক হইবার উপায় থাকে না, তখন তাত্ত্বিকের ভেক ধরতে হয়। 
বহুদিন পুষে রাখা আফশোস যেন জিরিয়ে নিচ্ছিল ওদের যৌথ নীরবতার আশ্রয়ে। কিছু সময় দ্রুত বয়ে যায়। সপ্রশ্ন চোখে চেয়েছিল শ্রীরূপা। সুদাম বলে, ‘কিছু কিছু বেদনা এতটাই সত্য যে, তাদের খুব মমতায় লালন করতে সাধ হয়। কারও জন্য মায়া পড়েছে—’
—এখনও আড়াল গোঁসাই? এখনও বলবেন মায়া পড়েছে? 
সুদাম হাসে, ‘বেশ, তবে না হয় ভালোবাসাই বলি তারে। খুশি তো?
জবাব দেয় অভিমান, ‘যা বলছিলেন, বলেন।’
‘বুকের মধ্যে ভালোবাসা প্রত্যক্ষ করা, সেও কি কম?’— গলা ধরে আসে সুদামের।
—আপনাকে আপনি-আজ্ঞে করতে মন চায় না।
ধীর পায়ে হাঁটতে হাঁটতে মেলাপ্রাঙ্গণ থেকে কিছুটা দূরে চলে গিয়েছিল দু’জন। সুদাম নিজের হাতটি শ্রীরূপার হাতের ওপর রাখে।
কেঁপে ওঠে নারী, ‘এ কী করলে গোঁসাই?’
—খোকামি। 
—তোমার নিয়মনীতি?
—ব্যাকরণের নিয়মনীতি মেনে কবেই বা পদ রচনা হয়েছে রূপা? রাগানুগা মার্গে যে রাধা প্রভুর পরকীয়া, বৈধী মার্গে তিনিই স্বকীয়া। কোন পণ্ডিত ঠিক-বেঠিকের বিচার করে? 
সেই কবে গুরু বলেছিল, ‘ক্রন্দনে আর রোদনে আকাশপাতাল তফাৎ। বুঝলা ভাই!’— এই মুহূর্তে কোনও কিছুই মনে থাকে না। থাকে না সংশয়, ভয়, সংকোচ অথবা কোনও অপরাধবোধ। দূরত্বটুকু নিভে যায় শীতের বিকেলের মতো। জানে ফিরে যেতে হবে যার-যার নিজের পথে।— না, পথে নয়, রাস্তায়। সব রাস্তা পথ হয়ে ওঠে না। তবু সব কিছু ছাপিয়ে, বহু ব্যক্তিক নৈর্ব্যক্তিক পাহারা এড়িয়ে, নীতি-নৈতিকতার সীমা পেরিয়ে কাছে পাওয়ার ইচ্ছে করত। সাহস হতো না। অধিষ্ঠিত নাম, ভূমিকা, পরিচয়গুলো ঘোর বাস্তব যে! তবে আজ এই নিভন্ত আকাশের রং কেন যে গোপন সেতারখানা এমন ভাবে বাজিয়ে তুলল, কে জানে?
নীরবে কাঁদতে পারে শ্রীরূপা। ভিজে উঠছে সুদামের বুকখানা। আলিঙ্গন কখন যে সমর্পণ হয়েছে— বোঝা যায়নি। একবুক আগুন যেন পাথরচাপা ছিল এতকাল। দু’চোখ বাষ্পময়। সে মুখ ডোবাতে যায় শ্রীরূপার সিঁথির মাঝে। কিন্তু, অনাত্মীয়া সিঁদুরের ঘ্রাণ হঠাৎ চাবুক চালায় যেন! বুকের ভেতরের চাপা আগুনটা ঝলসে ওঠে। বাষ্পগুলো মেঘ হয়ে ওঠে চোখে। মানসলোকে বুঝি দেখা মেলে দেবতার, ‘মা রুদঃ মা রুদঃ’ প্রবোধে যদি মরুৎসঞ্চার হয়! 
যে বয়সে সব ঘটনার কারণ জানার ঝোঁক থাকে, ও তা পেরিয়ে এসেছে। তবু খড়কুটোর মতো কোনও একটা সংযোগ খোঁজে। লৌকিক, অলৌকিক যা খুশি হোক,— প্রসঙ্গ যদি না-ই থাকে, তবে দুই ভিন্ন পথের যাত্রী বারবার কেন এমন মুখোমুখি হবে? 
বেদন জমতে জমতে বোধ হয়, রোদন বইতে বইতে প্রতিরোধ হয়ে ওঠে। সেই সহভাবে এই দু’জন স্থাণুবৎ। বন্ধনী মুক্ত করতে মন চায় না। সুদাম টের পায়, অলক্ষ্যে জেগে উঠছে ঊনপঞ্চাশবায়ু। ভালো-মন্দ, লাভ-ক্ষতির পরোয়া না করে ঝঞ্ঝা উড়তে পারে যে কোনও মুহূর্তে। তারপর?
—এবার আমরা কী করব গোঁসাই?
—সত্যপালন।
‘কোনটা সত্যি?’— জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে শ্রীরূপা।
—যে সংসারে ফিরতে হবে, তা যেমন চরম সত্য, যে সংসার আজ গড়ে উঠেও পড়ে রইল এই পিয়াসবাড়ির গুপ্ত বৃন্দাবনে, পরম সত্য সে-ও। 
—সে কি সম্ভব?
—বাস্তবটা তাল ভাঙতে পারে। তার সনে বিরোধ নাই। দুনিয়া থাক তার মানে। নীরবেই পালন করব বরং। প্রভু চাইলে দেখা নিশ্চয়ই হবে। 
—আর না চাইলে? 
সুদাম স্মিত হাসে, ‘পরম সত্যটা মনের গভীরেই শ্বাস নেবে না হয়।’
মেলার মাঠ থেকে নাগরদোলার শব্দ, ফিরিওয়ালাদের হাঁকডাক শোনা যাচ্ছে। ভেসে আসছে মৃদঙ্গ করতাল হারমোনিয়াম শঙ্খের ধ্বনি, উচ্চৈঃস্বরে হরির বোল।
শ্রীরূপার অভিমানী চোখ দু’টি ভিজে উঠেছে আবার। এই যাত্রায় অন্তিমবারের মতো বাহুলগ্ন হয় ওরা। সে এক অদ্ভুত প্রশান্তি! মানবজনম যদি এমনই সুন্দর হয়, হয় এমনই দুর্লভ, এমনই সৌভাগ্যময়, তবে কেন যে পুনর্বার না জন্মানোর প্রার্থনা করে মুক্তিকামী সাধকগণ— আশ্চর্য লাগে! 
নতি অথবা পরিণতি নিয়ে ভাবনা নেই ওদের। যে সূক্ষ্ম অনুভবের আশ্রয়ে আত্মা অন্তরপ্রজ্ঞ হয়ে ওঠে, তার খোরাকির জন্য বাইরে হাত পাততে হয় না। আনন্দই তার খাদ্য, অশ্রুই তার পানীয়। মাথুরের পর ভাব-সম্মেলন না ঘটলে কীর্তন যেমন অসম্পূর্ণ, মানের পর মিলন না হলে মানও পূর্ণতা পায় না। তবে ক্ষণে-ক্ষণে টের পাইয়ে দেন অন্তর্যামী— অচেনা হোক, অজানা হোক, দুর্গম হোক, পথ একটা আছেই। তবু বিয়োগের ভয় জাগে। মনে হয়, এই বুঝি পথের শেষ! না, অনুভূতিগুলো নদীর মতো নিজের নামধাম ত্যাগ করে সাগরে অদৃশ্য হয়। কামনা বাসনা ধারণা কল্পনাতেও শুধু নয়। তাদের উপস্থিতি মনে, বুদ্ধিতে, চিত্তে, অহঙ্কারে।— দশ ইন্দ্রিয়ের প্রতিটি সঞ্চালনে।... 
ওরা এভাবেই থাকুক যতক্ষণ সম্ভব। সত্যটা মনের মাঝে রয়ে যাবে ঠিকই।
27th  June, 2021
গাছ জগবন্ধু
অভিজিৎ তরফদার

—ওই যে ঘরের মধ্যে টাকা মেশিন। বোতাম টিপলেই টাকা। —এটিএম? বেড়ে বলেছ তো! আচ্ছা জগবন্ধু, একটা কথা জিজ্ঞেস করব, কিছু মনে করবে না তো? —না না, মনে করবার কী আছে? গরিব মানুষের অত মনে করলে চলে না।  বিশদ

22nd  August, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ২৬
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বোনকে নিয়ে পিশাচসাধুর বাড়িতে হাজির হল সহজ। মিমির অতীত নিয়ে এমন কয়েকটি ইঙ্গিত করলেন তিনি, যার জেরে তার সব কিছু গোলমাল হয়ে গেল। দাদার উপর সব রাগ আছড়ে পড়ল মিমির। এদিকে, সহজ ভাবতে থাকল কীভাবে উদ্ধার করা যায় বঁড়শিকে। তারপর... বিশদ

22nd  August, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ২৫
জয়ন্ত দে

সহজ বাবাকে জানিয়ে দিয়েছে, সে ঠাকুরদাকে আশ্রমে পৌঁছে দিতে চায়। শশাঙ্ক মিত্রের ঘরে এসে হাজির হল সে। তাঁর লেখা চিঠি যে ঠাকুমার কারসাজিতে গুরুদেবের কাছে পৌঁছয় না, সেই রহস্য ফাঁস করে দিল সহজ। সে চেয়ে নিল আশ্রমের ঠিকানা। মুক্তির আশায় শশাঙ্কের মুখে দেখা গেল হাসির রেখা। তারপর... বিশদ

15th  August, 2021
অনলাইন
ঝিমলি নন্দী

রাত দশটা। মেসেঞ্জারে পিং করে একটা মেসেজ ঢুকল। মোবাইলটা মুঠোয় একটু  ধরে রাখল মণিদীপা। তারপর রোজকার মতোই পরিপাটি মশারি গুঁজতে লাগল। আবার কাল ঠিক সকাল ছ’টায় মেসেজ করবে বুদ্ধ। সুপ্রভাত! বুদ্ধের পাঠানো মেসেজে আজও ঘুমোতে যায় মণিদীপা। বিশদ

08th  August, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব  ২৪
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

পরমেশ্বরের অফিসে বসে ভানুদা, সুজি, শঙ্কর। সেখানে হঠাৎ হাজির হল সহজ। পরমেশ্বর জানাল, মৈত্রেয়ী তাদের বাড়িতে এসেছিল। সুজি নিজের গোঁ ধরে থাকলে ও ডিভোর্স দেবে বলেছে। তর্কাতর্কি চরমে পৌঁছলে সুজির সঙ্গে আর ব্যবসা করবে না বলে জানিয়ে দেয় পরমেশ্বর। তারপর... বিশদ

08th  August, 2021
পিশাচ সাধু

সহজকে নিজের জীবনের গল্প শোনাল বঁড়শি। আশ্রম থেকে কীভাবে সে পিশাচসাধুর খপ্পরে পড়ল সেই গল্প। বঁড়শিকে আদতে বিয়ে করেননি ক্যাপ্টেন।
বিশদ

01st  August, 2021
ঘাম

টানটান চাদরে ঢাকা তক্তার এক কোণে বালিশ-তোশকের স্তূপ, রংচটা সিমেন্টের দেওয়ালটাকে কিছুটা আড়াল করতে একখানা আয়না বসানো।
বিশদ

01st  August, 2021
পিশাচ সাধু

সহজকে একটা ঘরে বসতে দিল বঁড়শি। সেই ঘরের উত্তর দিকের কোণে চোখ আটকে গেল সহজের। সেখানে একটা জায়গায় বালি ফেলা, পড়ে রয়েছে পোড়া কাঠ।
বিশদ

25th  July, 2021
গাছ
সাইকেল ও প্রেম

কাটারির কোপ গাছে পড়তেই গাছের আর্তনাদ ধক করে বুকে এসে লাগল অপরাজিতের বুকে। ব্যালকনিতে ডিভানে বসে সকালের কাগজ পড়ার অভ্যাস সঙ্গে এক কাপ চা।
বিশদ

25th  July, 2021
পিশাচ সাধু

সহজ বাড়ি ফিরতেই ক্যাপ্টেনের কাছে যাওয়ার জন্য ঘ্যান ঘ্যান শুরু করল মিমি। সুজির সমস্যা নিয়ে ভাবতে ভাবতে কূল-কিনারা পেল না সহজ।
বিশদ

18th  July, 2021
পিশাচ সাধু  
 

ভবিষ্যৎ জানতে সহজের সঙ্গে পিশাচ সাধুর বাড়িতে হাজির হল সৃজনী। ক্যাপ্টেন ব্যঙ্গ করে জটিলা বলে ডাকতে শুরু করলেন সৃজনীকে। ভবিষ্যৎ জানতে চাইতেই পিশাচ সাধু ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন, নীলাদ্রির সঙ্গে তার প্রেমের পরিণতি ভয়ঙ্কর। বরং, মেডিক্যালে চান্স পাওয়ার জন্য সৃজনীর পড়ায় মন বসানো উচিত। বিশদ

11th  July, 2021
পিশাচ সাধু
 

নচের মেয়ের কাছ থেকে পিশাচ সাধুর বিষয়ে জানতে পেরেছে সহজের ছাত্রী সৃজনী। সেও জ্যোতিষীর কাছে ভবিষ্যৎ জানতে চায়। তাঁর কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহজকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে সৃজনী। বিশদ

04th  July, 2021
কৃষ্ণাঙ্গ

সাইপ্রাস গাছের সূক্ষ্ম পাতার কোণে কোণে জলবিন্দু জমে আছে। রাতে বৃষ্টির পর সকালের মুক্তোরঙা আকাশ কমনীয় অথচ নির্ভার। নরম বালিশের কোলে পাশ ফিরল অনঘ। আলগা অপলক মেঘের গায়ে গোলাপি রঙের ছোঁয়া। বিশদ

04th  July, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বর্ণিনীর সঙ্গে বিচিত্রদার বাড়ি গেল সহজ। আর সেখানে গিয়েই গল্প প্রকাশের রহস্যের জট কাটল। আসলে পত্রিকা অফিসে গল্পটি পাঠিয়েছিলেন বিচিত্রদা। কিন্তু সহজের মুখে পিশাচ সাধুর নাম শুনে ভীষণ খেপে গেলেন তিনি। বিশদ

27th  June, 2021
একনজরে
দুয়ারের সরকারের ক্যাম্পে ছাতা মাথায় দাঁড়িয়ে আছেন মহিলারা। অন্যান্য লাইনে হুড়োহুড়ি থাকলেও শান্ত হয়েই প্রতীক্ষায় মহিলারা। অধিকাংশের মুখেই চওড়া হাসি। কোনও তাড়া নেই তাঁদের। কারণ ...

‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে সুবিধা পাওয়ার জন্য মালদহে তিন লক্ষেরও বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির আওতায় প্রথম ন’দিনের শিবিরে ওই আবেদন জমা পড়েছে বলে ...

দেশজুড়ে সরকারি সংস্থা বিক্রির কড়া সমালোচনা চলছে। তবু মোদি সরকার অনড়। সিংহভাগ ক্ষেত্রেই সরকারের উপস্থিতি যে কমিয়ে আনা হবে, সরাসরি একথা জানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বুধবার তিনি বলেছেন, দুটি ভাগে সরকারি সংস্থাকে বিভাজিত করা হচ্ছে। ...

দীর্ঘ ১১ মাসের আইনি কচকচানির অবসান। ডেফিনেটিভ এগ্রিমেন্টে সই না হলেও আসন্ন আইএসএলে খেলবে এসসি ইস্ট বেঙ্গল। টার্মশিটের ভিত্তিতেই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অংশ নেবে লাল-হলুদ। বুধবার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারেন। চলচিত্র ও যাত্রা শিল্পী, পরিচালকদের শুভ দিন। ধনাগম হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭২৩ - অণুবীক্ষণ যন্ত্রের আবিষ্কারক ওলন্দাজ বিজ্ঞানী আন্তেনি ভান লিউভেনহুকের মৃত্যু
১৮৬৯ - রহস্য কাহিনীকার ও সম্পাদক দীনেন্দ্র কুমার রায়ের জন্ম
১৯১০: নোবেল জয়ী সমাজসেবী মাদার টেরিজার জন্ম
১৯২০ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়
১৯২০: অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯২৭ - ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি কলকাতায় প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৪: কবি ও গীতিকার অতুলপ্রসাদ সেনের মৃত্যু
১৯৪৩ - আজাদ হিন্দ ফৌজ আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়
১৯৫৫ - সত্যজিত্ রায়ের চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালী’র মুক্তি লাভ
১৯৫৬: রাজনীতিক মানেকা গান্ধীর জন্ম
১৯৬৮: চিত্র পরিচালক মধুর ভাণ্ডারকরের জন্ম 
২০০৩ - লেখক ও ঔপন্যাসিক বিমল করের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৩৭ টাকা ৭৫.০৮ টাকা
পাউন্ড ১০০.১১ টাকা ১০৩.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৫.৫৯ টাকা ৮৮.৭১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৪, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৪, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ ভাদ্র ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট ২০২১। চতুর্থী ২৯/৪৪ অপরাহ্ন ৫/১৪। রেবতী নক্ষত্র ৪২/৫১ রাত্রি ১০/২৯। সূর্যোদয় ৫/২০/৫২, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/১২। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৫৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১০/২৩ গতে ১২/৫৪ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/৪ মধ্যে।
৯ ভাদ্র ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট ২০২১। চতুর্থী অপরাহ্ন ৫/৩৪। রেবতী নক্ষত্র রাত্রি ১১/৫৫। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৬/০। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৩ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৫০ গতে ৬/০ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১/৫ মধ্যে।
১৭ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তৃতীয় টেস্ট: প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ২৯৮/৩ (চা বিরতি) 

08:49:20 PM

কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ

08:44:00 PM

কাবুল বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু, রয়েছে একাধিক শিশুও 

08:21:08 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৭১৭, মৃত ৯ 

08:03:25 PM

কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণ, হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি 

07:54:59 PM

কমতে পারে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের ব্যবধান: সূত্র 

06:01:10 PM