Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পিশাচ সাধু  
 

জয়ন্ত দে : ভবিষ্যৎ জানতে সহজের সঙ্গে পিশাচ সাধুর বাড়িতে হাজির হল সৃজনী। ক্যাপ্টেন ব্যঙ্গ করে জটিলা বলে ডাকতে শুরু করলেন সৃজনীকে। ভবিষ্যৎ জানতে চাইতেই পিশাচ সাধু ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন, নীলাদ্রির সঙ্গে তার প্রেমের পরিণতি ভয়ঙ্কর। বরং, মেডিক্যালে চান্স পাওয়ার জন্য সৃজনীর পড়ায় মন বসানো উচিত। তারপর...
বাড়ি ফিরেই টান টান হয়ে শুয়ে পড়ল সহজ। হঠাৎ নিজেকে তার কেমন হালকা লাগছে। পিশাচ সাধুর সঙ্গে দেখা করার জন্য সৃজনী তাকে ব্ল্যাকমেল করেছে। প্রায় জোর করেই তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিষয়টা নিয়ে ভেতরে ভেতরে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ছিল সহজ। কিন্তু সে বুঝতে দেয়নি। ওইটুকু মেয়ে নাক টিপলে এখনও দুধ বের হয়, সে-ই প্রায় তাকে বাধ্য করেছিল। কোথাও যেন সে ভয় পেয়েছিল সৃজনীকে। সে না নিয়ে গেলে সৃজনী কি সত্যি সত্যি বাইরে ওইসব উল্টোপাল্টা কথা বলত? ওকে দেখে সহজের মনে হয়েছিল, এই মেয়ে বিপজ্জনক।  
এখন এই অবেলায় শুয়ে শুয়ে সহজের কাউকে ধন্যবাদ জানাতে ইচ্ছে করছিল। কিন্তু কাকে জানাবে? পিশাচ সাধুকে, সৃজনীকে, নাকি নিজেকে?
পিশাচ সাধু না থাকলে সৃজনীর জীবনে হয়তো এমন কোনও মোড় আসত না। সে নিজেকে চিনতে পারত না। ওঁর সামান্য কথায় সৃজনী মারাত্মক রকম মোটিভেটেড হয়েছে।  মানুষটা কী অদ্ভুতভাবে কথাগুলো বললেন, মানুষের শিরা উপশিরার গিঁট খুলবি তুই, তোর হাতে মাখা রক্তে জীবনের আলপনা! তুই মানুষকে জীবনদান করবি। সৃজনীর জীবনের যে লক্ষ্য কী মানুষটা যেন সরল চোখে তা দেখতে পেলেন!
পাশাপাশি বিচ্যুতিটা ধরিয়ে দিলেন, কে নীলাদ্রি জানে না সহজ। তার সঙ্গে সৃজনীর কতখানি সম্পর্ক, কী সম্পর্ক তাও জানে না। জানতেও চায় না। অথচ পিশাচ সাধু তাকে স্পষ্ট দেখতে পেয়েছে, নাহলে বলল কীভাবে?
পাওয়ার! এ কোন শক্তি? কোন শক্তিবলে তিনি দেখতে পান? শুধু বাইরেরটুকু দেখলেন না, ভেতর পর্যন্ত দৃষ্টি প্রসারিত করলেন। তাতে পুরো মানুষটাকে চিনতে পেরে গেল সৃজনী! 
এক মুহূর্তে সে নিজের ভুল বুঝতে পেরে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল! ভুল সংশোধন করার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়ল। সৃজনী তো সন্দেহ করতে পারত, তার সম্পর্কে বলে রেখেছে সহজ। কিন্তু এটা সে মনে করল না, তার কারণ নীলাদ্রি। যার কথা ঘুণাক্ষরেও সহজ জানত না।
‘কী রে এখন শুয়ে আছিস?’ ঘরে ঢুকে মিমি জিজ্ঞেস করল।
‘সকালে ভালো করে ঘুমাইনি, তাই এখন পুষিয়ে নিচ্ছি।’
‘তোকে একটা কথা বলব?’ মিমি আয়নার সামনে নিজেকে দেখতে দেখতে বলল, ‘এই সরকারটা থাকবে না— এই ইলেকশনেই যাবে।’
সহজ নির্লিপ্ত গলায় বলল, ‘সরকার তো কাগজে কলমে আছে— বাস্তবে কী আছে?’
‘অত সব পলিটিক্যাল ব্যাপারস্যাপার বুঝি না, তবে একটা জিনিস বুঝি, হাওয়া ভালো না। আর সরকার উল্টোলেই তোর পরমেশ্বরদা মার্ডার হয়ে যাবে।’
‘আমি তো যা জানি, ওর আগেই মার্ডার হয়ে যাওয়ার কথা।’
‘কে বলল তোকে?’ ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করল মিমি। 
সহজ খুব সহজ গলায় বলল, ‘পরমেশ্বরদা!’
‘পরমেশ্বরদা!’ আয়না থেকে ঘুরে দাঁড়াল মিনি, ‘তুই কি আমার সঙ্গে জোক করছিস?’
‘একদম নয়। ওর বদলে আর একজন পিঠে গুলি খেয়ে মরেছে। শুনেছি, আরও একবার ওকে বোম মারতে মারতে তাড়া করেছিল, কিন্তু ওদের দুর্ভাগ্য আর পরমেশ্বরদার সৌভাগ্য যে, একটা বোমাও ওর গায়ে পড়েনি।’
মিমি চোখ বন্ধ করে পুঙ্খানুপুঙ্খ শুনল। সহজ তার বোনকে খুব ভালো করেই চেনে। মিনি এখন পদ্মনাভের প্রোমোটিং ব্যবসার জন্য চায় এই সরকারের পড়ে যাক, পরমেশ্বর মার্ডার হয়ে এলাকা ওপেন হয়ে যাক। মিমির এখন এক ও একমাত্র টার্গেট পদ্মনাভকে বিজনেসে প্রতিষ্ঠা করা।
মিমি বলল, ‘না, পরমেশ্বরকে মারা ইজি নয়। শুনেছি, ওর কাছে মাদুলি আছে। ওই জ্যোতিষী দিয়েছে। তুই কোনওদিন ওই মাদুলিটা দেখেছিস?’
‘আমি তো শুনেছি মন্ত্র আছে, ও সেটা জপ করে?’
‘কী মন্ত্র?’ মিমি এগিয়ে আসে।
‘মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্র। তোর লাগবে? আমি তোকে দিতে পারি।’ 
মিমি থমকে দাঁড়ায়। ‘আমি নিয়ে কী করব? আমার কেন লাগবে?’
‘তুই নিয়ে রেখে দে, এখন না হোক পরে কাজে লাগবে। আরে পদ্মনাভ যখন বড় প্রোমোটার হবে, তখন সকাল সন্ধে এটা জপ করতে হবে। নাহলে যে কোনও সময়— ফুটুস!’
‘তুই বাজে কথা রাখ। তুই আমাকে কবে নিয়ে যাবি?’
‘কোথায়? ওই জ্যোতিষীর কাছে?’
‘যাস না, যারাই ওঁর কাছে যাচ্ছে তাদের রেজাল্ট ভালো হচ্ছে না।’
‘তোর হেঁয়ালি রাখ, বি প্র্যাকটিকাল, আমি ওঁকে দেখাতে চাই, যা ফিজ লাগে দেব।’
সহজ উঠে বসে, ‘তোকে যারা নাচিয়েছে, তারা তোকে সব খবর ঠিক ঠিক দেয়নি। আমার কথা বিশ্বাস কর, ওঁর কাছ থেকে ভালো কিছু, আশার কিছু শোনার জন্য যাস না। উনি ভালো কিছু বলতে জানেন না। আমার কথা বিশ্বাস কর। জীবনে চলার পথে আলো থাকে অন্ধকার থাকে। উনি সেই অন্ধকারের দিকে আঙুল তুলে দেখান। সেই ডার্ক সাইডটাই হাইলাইটস করেন। আমি তোকে সাবধান করে দিচ্ছি মিমি, ফালতু টেনশন নিস না।’
‘আমার টেনশন আমার ওপর ছেড়ে দে।’
‘তুই তাহলে যাবি? ঠিক আছে। আমি আজ একজনকে নিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলাম। আমি ওঁর কাছে দু-একদিনের মধ্যে যাব। জেনে আসব, তবু বলছি না গেলেই ভালো করতিস।’
‘খারাপটা শোনার জন্যই আমি ফিজ দিতে চাইছি!
সহজ হাসল, ‘আমার এক পরিচিত ছেলে, খুব বুদ্ধিমান, সাহসী। সেই ছেলেটাকে উনি ঘরবন্দি করে দিয়েছেন— ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন সে অপঘাতে মারা যাবে।  ছেলেটা এখন মেন্টাল পেশেন্ট। সব কিছুর মধ্যে মৃত্যুর ছায়া দেখছে।’
‘আমাকে এমন কিছু বললে, আমি বদার করি না। আমি যাবই।’
সহজ বলল, ‘ঠিক আছে, এখন আমি একটু ঘুমাই।’
মিমি চলে গেল। সহজের মনে হল, ইদানীং তার সব কিছুই ওই পিশাচ সাধুকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। অদ্ভুত সেই পাক। প্রতি পাকেই সে একটু একটু করে জড়িয়ে যাচ্ছে। যত দিন যাচ্ছে, ততই যেন সেই পাক জটিল আর দুর্বোধ্য হয়ে উঠছে। এই অঙ্ক সে মেলানোর চেষ্টা করেছে, কিন্তু সমাধানের কাছে গিয়ে দেখেছে, আবার প্রথম থেকে শুরু হচ্ছে।
আজ পর্যন্ত তার যে আট-দশটা গল্প ছাপা হয়েছে তা যেমন নামী দৈনিকের রবিবাসরীয়তে আছে, তেমনই আছে ছোট বড় নানা পত্রিকায়। কিন্তু কোনও ছাপার মধ্যেই এত নাটকীয়তা ছিল না। আর এই গল্পটি ছাপার মধ্যে নাটকীয় উপাদান ভরা।  গল্পটি বর্ণিনীর হাত ঘুরে বিচিত্র ঘোষালের কাছে গেল, সেই বিচিত্র ঘোষাল গল্পটি পড়ে পাঠিয়ে দিলেন স্বদেশ পত্রিকার অফিসে। গল্পটি মনোনীত হয়েছে, ছাপা হতো। কিন্তু তার মধ্যে ভবিষ্যদ্বাণী করে ঢুকে পড়লেন পিশাচ সাধু। তারপর থেকে চলছে তো চলছেই। সেদিন উনি না এলেও সহজের গল্প ছাপা হতো। কিন্তু নচে কিংবা সুজিদা এভাবে মানসিক রোগী হয়ে উঠত না। এখনও পর্যন্ত এই সব কিছুর মধ্যে একটাই পজেটিভ দিক— সেটা হল সৃজনী। ওর হয়তো বোধোদয় হতো না, কিংবা যখন হতো তখন হয়তো বড্ড দেরি হয়ে যেত। জীবন চলে যেত মেয়েটার।
সৃজনী হয়তো নীলাদ্রিকে নিয়ে খুশি ছিল না, কিন্তু সে কী করবে বুঝে উঠতে পারছিল না। যখনই দিশা পেল, প্রতিবাদ করতে পারল সৃজনী। যেভাবে পশু-মানুষ শিবশম্ভু দারোগার সঙ্গে লড়েছেন ছোটবউ সনকা, দারোগার মা। আর লালসার শিকার হয়েছে অসহায় মেনকা। মুখ বুজে সহ্য করেছে। দগ্ধে দগ্ধে মরেছে। 
ফোন এল পরমেশ্বরের। বলল, ‘তোর ব্যাপার কী রে ক’দিন দেখছি না? কেমন দেখলি শিবশম্ভু দারোগার ছোটবউকে?’
‘খুব ভালো লাগল। সোজাসাপ্টা।’
‘আমার খুব পছন্দের মানুষ। যাক, তোর যে খারাপ লাগেনি, এই যথেষ্ট। বিকেলে আয়— তোর সুজিদা তো খেপেছে, ওকে বোঝা। কী সব ফালতু সন্দেহ। পাগলা হয়ে যাচ্ছে, হন্যে হয়ে খুঁজছে—কীভাবে ডিএনএ টেস্ট করাবে। কী বলতো, শালাকে আমি বোঝাতে পারছি না। 
এই পৃথিবীতেই এখনও যে এল না তার কপালে কী কালো দাগ লাগিয়ে দিচ্ছিস! আমি ওকে বলেছি, পরীক্ষা করিয়ে দেখলি, বাপ তুই। এই ঝামেলা আপাতত মিটে গেল। কিন্তু এই সন্তান বড় হয়ে শুনল, তার জন্মের সময় তার বাপ ব্যাগড়া দিয়েছিল, তখন তার মানসিক অবস্থা কী হবে? হয় বাপকে ফেলে পেটাবে, নয় নিজে উল্টে পড়ে থাকবে।’
সহজের কানের মধ্যে দিয়ে গরম সিসে ঢুকছে। 
পরমেশ্বর বলল, ‘তুই ওকে দাদা বলিস, ভাইয়ের দায়িত্ব সামলা।’ 
সহজ চুপ করে থাকল। বলতে পারল না, যাব। কোথায় যেন তার নিজেকে অপরাধী লাগছে। সেদিন সে যদি এভাবে না সুজিকে টেনে নিয়ে যেত তাহলে যে শিশুটি পৃথিবীতে আসেনি, সে প্রশ্নের মুখে পড়ত না। সহজ নিজেকে ক্ষমা করতে পারে না। এই ড্যামেজ কীভাবে সে কন্ট্রোল করবে? পরমেশ্বরদার মতো ঠান্ডা মাথার মানুষ যখন সুজিদাকে বোঝাতে পারছে না, সে কি পারবে?
একটু পরে বর্ণিনী ফোন করল, ‘কী রে সকালে দেখলাম, ছাত্রীকে নিয়ে কোথা থেকে ফিরলি, এখন অনেকক্ষণ তোকে ফোনে ট্রাই করছি, পাচ্ছি না। সব ঠিক আছে?’
‘হ্যাঁ।’
‘তোর গলাটা এমন শুকনো লাগছে কেন?’
‘ভিজিয়ে রাখা হয়নি বলে।’
‘কী ভিজিয়ে রাখিসনি?’
‘গলা!’
‘ইডিয়ট! ফোন রাখলাম।’
‘বাঁচলাম।’
সহজ ফোন রেখে চুপ করে শুয়ে থাকল। সারা সকাল সৃজনীকে নিয়ে ভাবছিল। এখন সমস্ত চিন্তাচেতনায় সুজি। এই ড্যামেজ কন্ট্রোল তাকেই করতে হবে, কিন্তু কীভাবে করবে? না, পিশাচ সাধু একদম ঠিক কথা বলেননি, ভয়ঙ্কর একটা অন্যায় করেছেন। একটা পরিবার, একটা মেয়ে, একটা না-আসা প্রাণ ওঁর কথায় আজ বিপন্ন।
দুপুরে খাওয়ার পরে সহজ মায়ের কাছে গিয়ে বসল। সহজের বসার ভঙ্গি দেখে কস্তুরী বুঝেছে, সহজ কিছু বলতে চায়।
কস্তুরী বলল, ‘কী বলবি?’
‘আমার একজন, খুব পরিচিতজন নিজের সন্তানের পিতৃপরিচয় নিয়ে সন্দিহান! তাকে কী করে বোঝানো যায় বলো তো?’
‘খুব কঠিন প্রশ্ন?’
‘তুমি হলে কী করতে?’
‘আমার কথা বাদ দে।’
‘কেন তোমার কথা বাদ দেব?’
‘কারণ, আমি রোজগার করি না, স্বাবলম্বী নই। মেয়েটি কি চাকরি করে, স্বাবলম্বী?’
‘হ্যাঁ।’
‘তাহলে বলব— মেয়েটির ডিভোর্স নেওয়া উচিত।’
সহজ হাসল, ‘তোমার বর সেলস ট্যাক্সের উকিল, তিনি এই কেস পাবেন না, আইন আদালত ছাড়া কী করে সামলানো যায়?’
‘না, সামলানো যায় না। স্বয়ং শ্রীরামচন্দ্র সীতার অগ্নিপরীক্ষা নিয়েছিলেন।  তখনকার দিনে ডিভোর্স ছিল না, তাই সীতা নিজের সমস্যার সমাধান নিজেই করেছেন। এই পোড়া দেশে মেয়েটা এবার মরতে পারে।’
সহজ চুপ করে বসে থাকে।
কস্তুরী বলে, ‘ছেলেটিকে বোঝা, বাপ হওয়া মুখের কথা নয়। পিতৃত্বর থেকে পিতা হওয়া অনেক কঠিন।’
‘সে বুঝবে না।’ হতাশায় সহজ মাথা নাড়ে, ‘যে আগুন লাগিয়েছে, তাকে বলি, দেখি, সে আগুন নেভানোর উপায় জানে কি না?’
সহজ বেরিয়ে পড়ল বাইক নিয়ে। প্রায় উড়ে এল। সে ঠিক করে এসেছে, প্রয়োজন পড়লে পিশাচ সাধুকে বলবে— আপনি আমার বাইকের পিছনে বসুন। আগুন লাগিয়েছেন আপনি— আপনাকেই ফায়ার বিগ্রেড হতে হবে।
সাধুর বাড়ির দরজা বন্ধ। এর আগে সে যতবারই এসেছে পিশাচ সাধুকে দেখেছে বাইরে বসে আছেন। আজ প্রথম বাড়ির রকে কেউ নেই। সবে বিকেল হয় হয়। বাড়ির দরজার কড়া নেড়ে ভাবল, আর একটু পরে আসা উচিত ছিল। ওঁরা হয়তো ঘুমাচ্ছেন।
দরজা খুলল বঁড়শি। ওকে দেখে অদ্ভুতভাবে দুচোখ সরু করল। ওর দু’চোখে তীব্র ঝিলিক। ‘বাব্বা, তুমি তো দেখছি হাওয়া পড়তে পারো।’
‘হাওয়া পড়তে মানে?’
‘হাওয়া মানে বাতাস, বাতাস— বাতাসের গন্ধ পাও। কী করে জানলে এখন ও থাকবে না? আমিই তো জানতাম না। শুয়েছিল, হঠাৎ উঠে রিকশ ডাকল। বলল, একজনের সঙ্গে দেখা করে আসি, নইলে আর ইহজম্মে দেখা পাব না। বলেই বেরিয়ে গেল।’
‘উনি নেই।’
‘না, উনি নেই। সে-খবরই তো তুমি হাওয়া পড়ে পেয়েছ।’
সহজ কিছু বলতে যাচ্ছিল। কিন্তু বঁড়শি একটা হাত বাড়িয়ে খপাত করে সহজের জামা খামচে ধরে দরজার ভেতর টেনে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দিল।
(চলবে)
অঙ্কন: সুব্রত মাজী
11th  July, 2021
গাছ জগবন্ধু
অভিজিৎ তরফদার

—ওই যে ঘরের মধ্যে টাকা মেশিন। বোতাম টিপলেই টাকা। —এটিএম? বেড়ে বলেছ তো! আচ্ছা জগবন্ধু, একটা কথা জিজ্ঞেস করব, কিছু মনে করবে না তো? —না না, মনে করবার কী আছে? গরিব মানুষের অত মনে করলে চলে না।  বিশদ

22nd  August, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ২৬
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বোনকে নিয়ে পিশাচসাধুর বাড়িতে হাজির হল সহজ। মিমির অতীত নিয়ে এমন কয়েকটি ইঙ্গিত করলেন তিনি, যার জেরে তার সব কিছু গোলমাল হয়ে গেল। দাদার উপর সব রাগ আছড়ে পড়ল মিমির। এদিকে, সহজ ভাবতে থাকল কীভাবে উদ্ধার করা যায় বঁড়শিকে। তারপর... বিশদ

22nd  August, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ২৫
জয়ন্ত দে

সহজ বাবাকে জানিয়ে দিয়েছে, সে ঠাকুরদাকে আশ্রমে পৌঁছে দিতে চায়। শশাঙ্ক মিত্রের ঘরে এসে হাজির হল সে। তাঁর লেখা চিঠি যে ঠাকুমার কারসাজিতে গুরুদেবের কাছে পৌঁছয় না, সেই রহস্য ফাঁস করে দিল সহজ। সে চেয়ে নিল আশ্রমের ঠিকানা। মুক্তির আশায় শশাঙ্কের মুখে দেখা গেল হাসির রেখা। তারপর... বিশদ

15th  August, 2021
অনলাইন
ঝিমলি নন্দী

রাত দশটা। মেসেঞ্জারে পিং করে একটা মেসেজ ঢুকল। মোবাইলটা মুঠোয় একটু  ধরে রাখল মণিদীপা। তারপর রোজকার মতোই পরিপাটি মশারি গুঁজতে লাগল। আবার কাল ঠিক সকাল ছ’টায় মেসেজ করবে বুদ্ধ। সুপ্রভাত! বুদ্ধের পাঠানো মেসেজে আজও ঘুমোতে যায় মণিদীপা। বিশদ

08th  August, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব  ২৪
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

পরমেশ্বরের অফিসে বসে ভানুদা, সুজি, শঙ্কর। সেখানে হঠাৎ হাজির হল সহজ। পরমেশ্বর জানাল, মৈত্রেয়ী তাদের বাড়িতে এসেছিল। সুজি নিজের গোঁ ধরে থাকলে ও ডিভোর্স দেবে বলেছে। তর্কাতর্কি চরমে পৌঁছলে সুজির সঙ্গে আর ব্যবসা করবে না বলে জানিয়ে দেয় পরমেশ্বর। তারপর... বিশদ

08th  August, 2021
পিশাচ সাধু

সহজকে নিজের জীবনের গল্প শোনাল বঁড়শি। আশ্রম থেকে কীভাবে সে পিশাচসাধুর খপ্পরে পড়ল সেই গল্প। বঁড়শিকে আদতে বিয়ে করেননি ক্যাপ্টেন।
বিশদ

01st  August, 2021
ঘাম

টানটান চাদরে ঢাকা তক্তার এক কোণে বালিশ-তোশকের স্তূপ, রংচটা সিমেন্টের দেওয়ালটাকে কিছুটা আড়াল করতে একখানা আয়না বসানো।
বিশদ

01st  August, 2021
পিশাচ সাধু

সহজকে একটা ঘরে বসতে দিল বঁড়শি। সেই ঘরের উত্তর দিকের কোণে চোখ আটকে গেল সহজের। সেখানে একটা জায়গায় বালি ফেলা, পড়ে রয়েছে পোড়া কাঠ।
বিশদ

25th  July, 2021
গাছ
সাইকেল ও প্রেম

কাটারির কোপ গাছে পড়তেই গাছের আর্তনাদ ধক করে বুকে এসে লাগল অপরাজিতের বুকে। ব্যালকনিতে ডিভানে বসে সকালের কাগজ পড়ার অভ্যাস সঙ্গে এক কাপ চা।
বিশদ

25th  July, 2021
পিশাচ সাধু

সহজ বাড়ি ফিরতেই ক্যাপ্টেনের কাছে যাওয়ার জন্য ঘ্যান ঘ্যান শুরু করল মিমি। সুজির সমস্যা নিয়ে ভাবতে ভাবতে কূল-কিনারা পেল না সহজ।
বিশদ

18th  July, 2021
পিশাচ সাধু
 

নচের মেয়ের কাছ থেকে পিশাচ সাধুর বিষয়ে জানতে পেরেছে সহজের ছাত্রী সৃজনী। সেও জ্যোতিষীর কাছে ভবিষ্যৎ জানতে চায়। তাঁর কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহজকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে সৃজনী। বিশদ

04th  July, 2021
কৃষ্ণাঙ্গ

সাইপ্রাস গাছের সূক্ষ্ম পাতার কোণে কোণে জলবিন্দু জমে আছে। রাতে বৃষ্টির পর সকালের মুক্তোরঙা আকাশ কমনীয় অথচ নির্ভার। নরম বালিশের কোলে পাশ ফিরল অনঘ। আলগা অপলক মেঘের গায়ে গোলাপি রঙের ছোঁয়া। বিশদ

04th  July, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বর্ণিনীর সঙ্গে বিচিত্রদার বাড়ি গেল সহজ। আর সেখানে গিয়েই গল্প প্রকাশের রহস্যের জট কাটল। আসলে পত্রিকা অফিসে গল্পটি পাঠিয়েছিলেন বিচিত্রদা। কিন্তু সহজের মুখে পিশাচ সাধুর নাম শুনে ভীষণ খেপে গেলেন তিনি। বিশদ

27th  June, 2021
মাধুকরী  
সৌরভ মিত্র

 

 মেঘ ডাকছিল এতক্ষণ। পাকা রাস্তা ধরে কয়েক পা এগতেই বড় বড় ফোঁটায় বৃষ্টি শুরু হল। ভালোই মেতেছে! দশহাত দূরের মানুষকেও যেন চেনা দায়! পশ্চিম কালো হয়ে আসছিল সকাল থেকেই। গুপ্ত-বৃন্দাবনের মেলার তাড়া না থাকলে হয়তো ঘর ছাড়ত না সুদাম গোঁসাই। বিশদ

27th  June, 2021
একনজরে
‘তালিবানের সেবায় পাকিস্তান নিজেকে নিয়োজিত করেছে। তালিবদের কখনই চাপের মুখে পড়তে হয়নি। পাকিস্তানকে ওরা বেস হিসেবে ব্যবহার করেছে। নির্দিষ্ট কোনও এলাকা নয়, গোটা পাকিস্তানই তাদের সাহায্য করতে উঠেপড়ে লেগেছিল।’ ...

দুয়ারের সরকারের ক্যাম্পে ছাতা মাথায় দাঁড়িয়ে আছেন মহিলারা। অন্যান্য লাইনে হুড়োহুড়ি থাকলেও শান্ত হয়েই প্রতীক্ষায় মহিলারা। অধিকাংশের মুখেই চওড়া হাসি। কোনও তাড়া নেই তাঁদের। কারণ ...

দেশজুড়ে সরকারি সংস্থা বিক্রির কড়া সমালোচনা চলছে। তবু মোদি সরকার অনড়। সিংহভাগ ক্ষেত্রেই সরকারের উপস্থিতি যে কমিয়ে আনা হবে, সরাসরি একথা জানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বুধবার তিনি বলেছেন, দুটি ভাগে সরকারি সংস্থাকে বিভাজিত করা হচ্ছে। ...

‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে সুবিধা পাওয়ার জন্য মালদহে তিন লক্ষেরও বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির আওতায় প্রথম ন’দিনের শিবিরে ওই আবেদন জমা পড়েছে বলে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারেন। চলচিত্র ও যাত্রা শিল্পী, পরিচালকদের শুভ দিন। ধনাগম হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭২৩ - অণুবীক্ষণ যন্ত্রের আবিষ্কারক ওলন্দাজ বিজ্ঞানী আন্তেনি ভান লিউভেনহুকের মৃত্যু
১৮৬৯ - রহস্য কাহিনীকার ও সম্পাদক দীনেন্দ্র কুমার রায়ের জন্ম
১৯১০: নোবেল জয়ী সমাজসেবী মাদার টেরিজার জন্ম
১৯২০ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়
১৯২০: অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯২৭ - ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি কলকাতায় প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৪: কবি ও গীতিকার অতুলপ্রসাদ সেনের মৃত্যু
১৯৪৩ - আজাদ হিন্দ ফৌজ আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়
১৯৫৫ - সত্যজিত্ রায়ের চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালী’র মুক্তি লাভ
১৯৫৬: রাজনীতিক মানেকা গান্ধীর জন্ম
১৯৬৮: চিত্র পরিচালক মধুর ভাণ্ডারকরের জন্ম 
২০০৩ - লেখক ও ঔপন্যাসিক বিমল করের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৩৭ টাকা ৭৫.০৮ টাকা
পাউন্ড ১০০.১১ টাকা ১০৩.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৫.৫৯ টাকা ৮৮.৭১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৪, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৪, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ ভাদ্র ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট ২০২১। চতুর্থী ২৯/৪৪ অপরাহ্ন ৫/১৪। রেবতী নক্ষত্র ৪২/৫১ রাত্রি ১০/২৯। সূর্যোদয় ৫/২০/৫২, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/১২। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৫৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১০/২৩ গতে ১২/৫৪ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/৪ মধ্যে।
৯ ভাদ্র ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট ২০২১। চতুর্থী অপরাহ্ন ৫/৩৪। রেবতী নক্ষত্র রাত্রি ১১/৫৫। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৬/০। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৩ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৫০ গতে ৬/০ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১/৫ মধ্যে।
১৭ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তৃতীয় টেস্ট: প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ২৯৮/৩ (চা বিরতি) 

08:49:20 PM

কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ

08:44:00 PM

কাবুল বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু, রয়েছে একাধিক শিশুও 

08:21:08 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৭১৭, মৃত ৯ 

08:03:25 PM

কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণ, হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি 

07:54:59 PM

কমতে পারে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের ব্যবধান: সূত্র 

06:01:10 PM