Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

কৃষ্ণাঙ্গ

নবনীতা সেন : সাইপ্রাস গাছের সূক্ষ্ম পাতার কোণে কোণে জলবিন্দু জমে আছে। রাতে বৃষ্টির পর সকালের মুক্তোরঙা আকাশ কমনীয় অথচ নির্ভার। নরম বালিশের কোলে পাশ ফিরল অনঘ। আলগা অপলক মেঘের গায়ে গোলাপি রঙের ছোঁয়া। এমন রং দেখে ছোটবেলায় মামাবাড়িতে দেখা গোলাপি কাঠশালিকের কথা মনে পড়ে। সেই ধানখেতের ধুলোপথ, ময়না-বুলবুলির ডাকমাখা সকাল, খেজুর গুড়ের গন্ধেনামা বিকেল। মা মারা যাওয়ার পর মামাবাড়ি আর যাওয়া হয়নি। স্মৃতির আর্দ্রতা পেতেই অনুভূতি গাঢ় হয়ে উঠল। ছোট্ট দীর্ঘশ্বাস রেখে বাস্তবে ফিরে এল অনঘ। শিকাগো শহর থেকে মাইল পঞ্চাশেক দূরে উডস্টক নামে ছোট্ট শহরে   সে রয়েছে বিগত দু’বছর ধরে। এখানে লয়োলা ইউনিভার্সিটিতে বায়ো মেডিক্যাল সায়েন্সে রিসার্চ করে সে। কোভিড নাইটিনের জন্য গৃহবন্দি প্রায় মাস ছ’য়েক। আবার জুলাই মাসে কৃষ্ণাঙ্গ হত্যার পর প্রতিবাদ, বিক্ষোভে জর্জরিত আমেরিকা। তবে অনঘ এসব ঝামেলা থেকে শতহস্ত দূরে। বেলা গড়িয়ে আলস্য আরও প্রবল হলে সেদিন দুপুরের খাবার বাইরে থেকে আনবে ঠিক করল সে। 
উডস্টক ছোট্ট শহর, পরিপাটি করে সাজানো। রাস্তার দু’ধারে হলুদ ড্যাফোডিলের কেয়ারি। রাস্তা পেরিয়ে পার্কিং এরিয়ার পর কমপ্লেক্সের কোণে ফ্রেডির জয়েন্ট। ফ্রেডি কৃষ্ণাঙ্গ বলে অনেকেই এড়িয়ে চলে ওই দোকান। অনঘকেও বন্ধুরা বারণ করেছিল। আমেরিকায় আসার পর প্রথমদিকে সাদা চামড়ার আমেরিকান দেখলে কেমন অস্বস্তি লাগত তার। মনে হতো ওরা কোন চোখে দেখে ভারতীয়দের? তৃতীয় বিশ্বের দেশ থেকে উঠে আসা প্রতিভাবান তরুণ? কৃষ্ণাঙ্গ, ল্যাটিনোদের সংস্পর্শ তাকে স্বাচ্ছন্দ্য দিত। তাতে যে খানিকটা উচ্চমন্যতা, কিছুটা করুণা মিশে আছে সেটা তখনও স্পষ্ট করে বোঝেনি অনঘ। তাই ফ্রেডির বারবিকিউ চিকেন, এক্সট্রা রাইসের কম্বো প্যাককে সমীচীন বলেই মনে করত।
দুই
সকাল ছ’টা। ভোরের ছেঁড়া ছেঁড়া আলো তখনও ফ্রেডির ঘরের জানলায় আটকানো হলদে কাগজে জমাট বেঁধে আছে। আঙুলের গিঁটে, শিরদাঁড়ার উপরে ঢিবি হয়ে থাকা মাংসে টনটনে ব্যথা অনুভব করল ফ্রেডি। মুখের কষাটে ভাবটা ঢোঁক গিলে ক্ষয়াটে ওকগাছের মতো শরীরটা নিয়ে কয়েকটা পুশআপ দিল সে। আগুনে ঝলসানো চেহারাটায় বিশেষত্ব বলতে দুটো চোখ, পাথরের মতো স্থির। ময়লা শার্টটা গায়ে জড়িয়ে দোকানের দিকে রওনা দিল। পরিচ্ছন্নতা কাকে বলে সে জানে না। জানে, পরিচ্ছন্নতা সাদা চামড়ার মানুষের জন্মগত অধিকারের মতো। ফ্রেডির মা আফ্রিকার সোমালিয়ার কোনও অখ্যাত গ্রাম থেকে দাসী হয়ে শিকাগোয় এসেছিল এক শ্বেতাঙ্গের বাড়িতে। সকাল থেকে দুপুর সে মনিবের কাপড় কাচত। ফ্রেডি মনিবের মুরগি দেখাশোনা করত। বাবাকে সে চোখে দেখেনি, শুনেছে কোনও কোম্পানির ট্রলারে মাছ ধরতে গিয়েছিল, আর ফেরেনি। বাবার কথা ভাবলে মাছের গন্ধে গুলিয়ে ওঠে মাথা। অবরুদ্ধ আবেগ ফ্রেডি বোঝে না, কয়লার আগুনে মুরগির নরম বুক ঝলসে শিকের দাগ রেখে যায়।
‘হে ইউ, ওল্ড নিগার, গিভ মি সাম মানি।’ গলায় সিলভার চেন, পকেটে গোঁজা বন্দুক, সাপের মতো পাকানো কালো শরীর, মুখে একদলা অবজ্ঞা নিয়ে কথাগুলো বলল জেফ।
চোখ তুলে তাকাল ফ্রেডি। জেফ তারই ছেলে। তোলাবাজি, ছিনতাই করে ছাব্বিশ বছরেই ক’বার জেল খেটেছে। মাসখানেক হল ছাড়া পেয়েছে। কাস্টমার থাকায় কোনও কথা না বলে তিরিশ ডলার গুঁজে দিল জেফের পকেটে। বিপথে যাওয়া ছেলেটা ফ্রেডির কাছে বিষকাঁটার মতো। শক্ত মুখে ফ্রেডি দ্রুত শিকে গেঁথে ফেলতে লাগল মাংসের টুকরোগুলো। 
দুপুরে খানিকটা ভাত, মাংস হাতে নিগ্রো কলোনির দিকে এগল ফ্রেডি। ঘিঞ্জি বাড়িগুলোর আশপাশে জীর্ণতা। অন্ধকার সিঁড়ি পেরিয়ে ঘরে গিয়ে দেখল পাঁচ বছরের নাতনি নাওমি খিদেয় কেঁদে কেঁদে ঘুমিয়ে পড়েছে। চিকন কালো রং, চ্যাপ্টা নাকের নীচে উত্তল ঠোঁটে শৈশব অযত্নে রক্ষিত। ফ্রেডি তাকে তুলে খানিকটা খাইয়ে দিল। জেফ জেলে যাওয়ার পর নাওমির মা আবার বিয়ে করেছে। ফ্রেডির ইচ্ছে করে নাওমিকে নিজের কাছে রাখতে। কিন্তু সারাদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে সে। 

‘ডু ইউ কাম ফ্রম দিস প্রোটেস্ট?’ ফ্রেডির কথায় অনঘ বলে ‘নো নো’। ব্ল্যাক লাইফ ম্যাটারসের বড়সড় মিছিল বেরিয়েছে আজ। কোনওক্রমে ভিড় কাটিয়ে এসেছে সে। 
মাছের মতো নিষ্পলক দৃষ্টিতে ফ্রেডি বলে ‘নাথিং ইজ গোয়িং টু চেঞ্জ। ওরা আমাদের চিরকাল দাসই ভাববে।’ 
‘ওবামা ওয়াজ দ্য প্রেসিডেন্ট। এখন পরিস্থিতি দ্রুত বদলাচ্ছে,’ অনঘ বলে। 
‘ওবামা ডিড নট বর্ন টু আ স্লেভ মাদার’ চিকেন আর রাইস প্যাক করতে করতে বলে ফ্রেডি। সঙ্গে জানায় সে বাড়তি স্যালাডও দিয়েছে। হাসিমুখে টাকা মিটিয়ে চলে আসে অনঘ। 
অনঘের সহজ, বিনীত ভঙ্গিটি ফ্রেডির বেশ লাগে। না জানি কতদূর থেকে এসেছে, একা থাকে, ক’দিন পর বড় চাকরি পাবে। তবু সাদা চামড়ার গর্ব ভরা মুখগুলো থেকে এমন সম্ভ্রমমাখা মুখ ভালো লাগে, এঁটো-কাঁটা তুলতে তুলতে ভাবে ফ্রেডি। 
তিন
গ্রীষ্ম শেষ হতে চলল। বিকেলে হাঁটতে হাঁটতে মিশিগান লেকের ধারে পৌঁছল অনঘ। সূর্যাস্ত হতে আটটা বেজে যায়। দিগন্তে জলের নীল বাষ্পরেখায় সন্ধ্যা নামছে। গ্যাস স্টেশন থেকে দু’প্যাকেট সিগারেট কিনে বাড়ির কাছেই রাস্তার কোণে আরাম করে সিগারেট ধরাল সে। এদিকটায় গাড়ির সংখ্যা বেশ কম, বাড়িগুলোর মাঝে অনেকটা দূরত্ব, ছোট ছোট জঙ্গল। ঝিঁঝির ডাকে ঘনায়মান অন্ধকারে এদেশটাকে আরও নিবিড় লাগে। চারটে ছেলে এদিকেই আসছে মনে হয়, সেই কালো ছেলের দল, মুখে অশ্রাব্য ভাষা, অশালীনতা সর্বাঙ্গে। সিগারেট ফেলে পাশ কাটিয়ে যেতেই আচমকা ওদের মধ্যে একজন সজোরে ঘুসি মারল অনঘের পেটে, সশব্দে মাটিতে পড়ল সে। 
‘হে ইউ, ব্লাডি ইন্ডিয়ান, এনজয়িং হেয়ার?’ চুইংগাম চিবতে চিবতে জুতো দিয়ে অনঘের ডানহাতটা চেপে ধরে বলল ওদের মধ্যে হিলহিলে ছেলেটা। গলায় সিলভার চেনে সাপের মতো চিকচিক করছে হিংস্রতা।
অনঘ চিৎকার করে বলল, ‘ডু ইড নিড মানি?’
কোনও কথা না শুনে এলোপাথারি লাথি, চড় চলতে থাকল। 
 ‘কী চাই তোমাদের? সিগারেট?’ অনঘ হাত জোড় করে বলল। 
‘ডু ইউ হ্যাভ উইড?’ বলে অন্ধকারমাখা মুখে শ্বাপদের মতো হাসতে লাগল চারজন। 
যখন অনঘের মাথা ফেটে রক্ত পড়তে লাগল ওরা পালাল। মানুষের প্রবৃত্তির মধ্যে এ এক চিরায়ত বন্যতা। দুর্বল আরও দুর্বলকে আঘাত করে আনন্দ পায়। কিন্তু ততটাও নয়, যতটা পায় সবলের সঙ্গে জিতে। তাই যখন অনঘের নিরীহ আত্মরক্ষা তাদের আর উন্মাদনা জোগাতে পারল না, তারা চলে গেল। 
অচৈতন্য অবস্থায় কতক্ষণ রাস্তায় পড়েছিল অনঘের মনে নেই। হলদে মরচে পড়া চাঁদের আলোয় হিমধরা বাতাসে তার ঘোর কাটল। কোনওক্রমে বাড়িওয়ালা মিস্টার স্যান্ডার্সের সহযোগিতায় প্রথমে হাসপাতাল, তারপর থানায় রিপোর্ট করে বাড়ি ফিরল সে। 
চার
দু’দিন কেটে গিয়েছে। মাথায় তিনটে স্টিচ, গায়ে অসংখ্য কালসিটে নিয়ে শুয়েছিল অনঘ। সকালে সাইপ্রাসের কোটরে দুটো মর্নিং ডাভের করুণ কূজন যন্ত্রণাকে আরও ঘন করে তুলছে। কাকে বলবে সে নিজের যন্ত্রণার কথা? তিন বছর আগে মা মারা যাওয়ার পর বাবার সঙ্গে সম্পর্কে পলি জমেছে বিস্তর। শুনলেই বলবেন, ঘরে ছেলে ঘরে ফিরে আয়। এখনও মধ্যবিত্ত বাঙালি বাবা-মা সন্তানের মেধাকে নিজেদের নিরাপত্তাবোধের দাঁড়িপাল্লায় মাপেন। প্রতিভারও একটা খিদে আছে— নিজেকে নিষ্কাশন করে প্রমাণ করার খিদে, অর্থ দিয়ে তা মাপা যায় না। নাহলে এত কষ্ট করে এত দূরে একা পড়ে থাকা! অন্যদিকে পুলিস কী করল? সে তো থানায় জানিয়েছিল। এদের নাম না জানলেও, বিবরণ দিয়েছিল। পুলিস ‘এক্সট্রিমলি সরি ফর ইউ দিস ইন্সিডেন্ট’ বলে ক্ষান্ত দিল। ইউনিভার্সিটি খোলা থাকলে ভারতীয় ছাত্র সংগঠনে খানিকটা তরঙ্গ উঠত, তাও হল না। শুধু কৃষ্ণাঙ্গ নয়, নিরীহ, সংখ্যালঘুদের উপর কত অবমাননা, অত্যাচার হয় কে তার খবর রাখে? এইসব অপ্রতুল ঘটনা অধরাই থেকে যায়। শুধু বিদ্বেষের বিষাক্ত পারদ স্থায়ী হয় মনে। দীর্ঘশ্বাস ছাড়ে অনঘ। এদিকে খিদেয় পেটের চামড়া জুড়িয়ে আসছে। হঠাৎ কলিংবেল। দরজা খুলতেই দেখে ফ্রেডি। গায়ে অসংখ্য ছোপধরা জামা, মুখে বাসি দাড়ি। একবাক্স চিকেন এগিয়ে দিয়ে বলল এক্সট্রা রাইস দেওয়া আছে রাতের জন্য। অনঘ টাকা দিতে গেলে নিতে চাইল না, তাড়া আছে বলে চলে গেল। শুকনো খড়িমাটির মতো ফ্রেডির আতিথ্যটুকু সম্পূর্ণভাবে গ্রহণ করল সে। মনে পড়ছিল ছোটবেলায় জ্বর হলে মা নরম আঁচলের টুকরো দিয়ে জলপট্টি দিয়ে দিত। আতপ চালের ভাত, ঘি-আলুসেদ্ধ মেখে খাইয়ে দিত। যন্ত্রণার মধ্যেও প্রসন্নতা ছড়িয়ে পড়ল অনঘের মনে।
সন্ধেবেলা এল প্রভাত। বছর পাঁচেকের সিনিয়র। বলল, ‘গাইডকে জানিয়েছিস ব্যাপারটা?’
‘হ্যাঁ, ওই আমেরিকান প্রফেশনাল ভদ্রতা, সরি টু হেয়ার দ্যাট। কিছু দরকার হলে জানিও,’ বিরক্ত হয়ে বলল অনঘ। 
‘এরপর থেকে আর সন্ধেবেলা বেরস না। সব ব্ল্যাক লাইভ ম্যাটারস বলে দুনিয়া মাতিয়ে দিল, এদিকে সিঁদ কেটে ঘরে চোর ঢোকে দিনেদুপুরে,’ তাচ্ছিল্য প্রভাতের গলায়। 
অনঘ সায় দিয়ে বলল, ‘আজ ফ্রেডি এসেছিল সকালে, খাবার দিয়ে গেল।’ 
‘কে? ফ্রেডি?’ চেঁচিয়ে উঠল প্রভাত। ‘আরে তুই বললি না সেদিন যে চারজন কালো গুন্ডা তোকে পিটিয়েছিল, ওদের মধ্যে লম্বাচুল, সিলভার চেন গলায় ছেলেটা তো জেফ, ফ্রেডির ছেলে। ওকে দেখিসনি আগে ফ্রেডির জয়েন্টে? আগে কাজ করত ওখানে। এখনও তো আসে মাঝে মাঝে।’ 
পাথরে যেন ধাক্কা খেল অনঘ। হঠাৎ চিন্তাগুলো জট পাকিয়ে যাচ্ছে। 
সে কিছু জিজ্ঞাসা করার আগেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে প্রভাত বলল, ‘দেখ বস, আমি এসব তোকে বলিনি। ক’মাস বাদে থিসিস জমা দিয়ে কেটে পড়ব, কোনও ঝামেলায় জড়াতে চাই না। তুইও চুপ করে থাক। এসব লোকাল গুন্ডাদের সঙ্গে জড়াস না। তোকে কতবার বলেছি, ওই দোকানে না যেতে। সস্তার লোভে গিয়ে এখন জানপ্রাণ নিয়ে টানাটানি।’ অনঘ বিস্ফারিত চোখে তাকিয়েছিল প্রভাতের দিকে। 
তার সম্ভাব্য প্রশ্নগুলো আঁচ করে প্রভাত দ্রুত বেরিয়ে পড়ল, শুকনো গলায় বলে গেল ‘কিছু লাগলে টাগলে বলিস।’
বিশ্বাসঘাতক! বিশ্বাসঘাতক! কে— ফ্রেডি না প্রভাত? দু’জনেই। একজন ছেলের অন্যায়কে প্রশ্রয় দিয়ে দয়া দেখিয়ে বিনা পয়সায় খাবার দিচ্ছে। আর একজন সেই অন্যায়কারীকে চিনেও বন্ধুর প্রতি অন্যায় দেখেও সন্তর্পণে গা বাঁচিয়ে চলছে। অনঘের হৃদ-ধমনী বেয়ে তীব্র রক্তস্রোত ছড়িয়ে পড়ছে শরীরের সমস্ত কোষে কোষে। একবার রাগ গিয়ে পড়ল ফ্রেডির দেওয়া খাবারের উপর। অবশিষ্ট খাবারটুকু ফেলে দিল ডাস্টবিনে। সজোরে লাথি খেয়ে ডাস্টবিন ছড়িয়ে পড়ল রান্নাঘর জুড়ে। শালা! কালোদের দল! এদের মনগুলোও কালো, কদর্য। ঘেন্নায় জ্বলছিল সে। ফ্রেডি, ওই কালো, ক্লিন্ন লোকটার কাছ থেকে কীসের ভালোমানুষি আশা করেছিল সে? কখন তার মনের কোণ বেয়ে বর্ণবিদ্বেষের সাপটা বেরিয়ে পড়েছে সেটা লক্ষ করল না অনঘ। অসহায় ক্রোধ প্রকাশের জায়গা না পেয়ে তাকেই ছোবল মারতে লাগল।
একবার ভাবল ফ্রেডিকে সরাসরি জিজ্ঞেস করে। কিন্তু বিদেশ-বিভুঁইয়ে একা সাহস পেল না। প্রভাতও সাফ জানিয়েছে পাশে না দাঁড়াবার কথা। তাই পুলিসকে উপযুক্ত প্রমাণও দিতে পারবে না। অতএব অন্যায়ের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ। যেটা অন্যের উপর হলে মানুষ সহজে সহ্য করতে পারে কিন্তু নিজের উপরে নয়। বার বার জেফের হিলহিলে হাসিটা মাথায় আগুন ঝরাচ্ছিল।  চিন্তার গতি এমনই, যে পরিমাণে অতিরিক্ত হলেই যুক্তির থেকে অযুক্তি বেশি হয়ে দাঁড়ায়, আবেগ চিন্তাকে আরও অস্বচ্ছ করে তোলে। অভুক্ত, ক্লান্ত শরীর মাথার ক্ষতটাকে ক্রমশ বেদনাদায়ক করে তুলছে। রাতের অন্ধকারে অজস্র ঝিঁঝির ডাকের সঙ্গে অনঘের চেতনাও ঘোলাটে হয়ে উঠছিল। 
পাঁচ
পরদিন দুপুরে তীব্র তাপপ্রবাহে দগদগে ব্যথা, ঘাম নিয়েই শুয়েছিল অনঘ। কলিংবেল বেজে উঠল। ফ্রেডি। গতকাল থেকে যে প্রশ্নবাণ তৈরি করেছিল সেগুলো তাকে দেখে সহসা দিকভ্রষ্ট হয়ে গেল। অনঘ জানাল, তার আর খাবার চাই না। আগেরদিনের টাকাটা দিতে গেল। ফ্রেডি টাকা নিতে অস্বীকার করল। হঠাৎ রেগে উঠল অনঘ। গলায় তীব্র উষ্মা নিয়ে বলল, ‘আই নো জেফ ইজ ইয়োর সন। ওর জন্যই আমার আজ এই দশা এবং জেফকে বাঁচাতেই তোমার এই দাক্ষিণ্য।’ 
ফ্রেডি বিচলিত হল না। বলল, ‘আই অ্যাম এ ব্ল্যাক ম্যান। দিস ইজ মাই ডেস্টিনি।’ সংক্ষেপে জানাল, অল্প বয়সে ফ্রেডির স্ত্রীর মৃত্যুর পর জেফ ক্রমশ বিপথে চলে যায়। ফ্রেডি সারাদিন ওই খুপরি দোকানে দু’মুঠো অন্নসংস্থানে ব্যস্ত। প্রথমে স্কুল থেকে বহিষ্কার তারপর কুসঙ্গ, নেশা, সমাজবিরোধী কাজকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়তে থাকে জেফ। এরমধ্যেই চারবার জেল খেটেছে। তার জামিনের টাকা দিতে কপর্দকশূন্য হয়েছে ফ্রেডি। গত চল্লিশ বছর দিনরাত পরিশ্রম করে দোকানটা টিকিয়ে রেখেছে। জানাল, সে কোনও দয়া-দাক্ষিণ্য করছে না।
এদেশে কালো মানুষদের লড়াই— সামাজিক, অর্থনৈতিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া মানুষের লড়াইকে ফ্রেডির মধ্যে দেখতে পেল অনঘ। ঋজু, কালো পাথরের মূর্তি, অজস্র বলিরেখার মাঝে অচঞ্চল দুটো চোখ। খাবার দিয়ে চলে যাচ্ছিল ফ্রেডি। ঈষৎ ঝুঁকে দাঁড়াল। ফিরে অনঘকে বলল গতপরশু গাড়ি চুরির অপরাধে জেফকে পুলিস তুলে নিয়ে গিয়েছে। জামিনে যা অর্থ চেয়েছে, তা দেবার সামর্থ্য ফ্রেডির নেই। একটু থেমে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে বলল, ‘আই নিড টু গো। আমার ছোট্ট নাতনি আছে। আমি না গেলে ওর খাওয়া হবে না।’ ধীর কিন্তু দৃঢ পদক্ষেপে হাঁটতে হাঁটতে দৃষ্টিপথের আড়ালে চলে গেল ফ্রেডি। অনঘ নিস্পন্দ হয়ে দাঁড়িয়ে রইল। 
তখন সন্ধের বাতাস দিনান্তের সব তাপ বিকিরণ করছে। গোলাপি শালিকের বুকের মতো মেঘগুলি ঘিরে নেমে আসা বিষণ্ণতা অনঘের অনুভূতিকে ক্রমশ গভীরতায় নিয়ে যাচ্ছে। মনের কোণে জমে থাকা কত কথা টের পাওয়া যায় এমন বিষণ্ণ মুহূর্তে। কত প্রবৃত্তি, প্রবৃত্তির গভীরে ক্ষমাসুন্দর বোধ। ফ্রেডির প্রতি সমস্ত আক্রোশ ধুয়ে গিয়ে সমভাবাপন্ন বোধ করছিল সে। বুঝতে পারছিল গহীনে থিতিয়ে থাকা বিদ্বেষের পলিতে আচমকা আঘাতে তার দৃষ্টি কতটা অস্বচ্ছ হয়ে উঠেছিল। অনুতাপও হচ্ছিল তবু অসহায় ক্রোধের হাত থেকে মুক্তি পেয়ে মন প্রশমিত হচ্ছিল। জীবন এমনই প্রতিটা সময় একটা অনন্য অভিজ্ঞতা। ভালো বা খারাপ যাই বলি। আঁধারে উদীয়মান নক্ষত্রের আলো অনঘের অন্তরকে স্পর্শ করছে। পাশে গাছের ডালে সেই গিরিমাটিরঙা মর্নিং ডাভ দুটোর বেহাগ সুরে প্রশান্ত রাত্রি নামছে।

অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল
04th  July, 2021
গাছ জগবন্ধু
অভিজিৎ তরফদার

—ওই যে ঘরের মধ্যে টাকা মেশিন। বোতাম টিপলেই টাকা। —এটিএম? বেড়ে বলেছ তো! আচ্ছা জগবন্ধু, একটা কথা জিজ্ঞেস করব, কিছু মনে করবে না তো? —না না, মনে করবার কী আছে? গরিব মানুষের অত মনে করলে চলে না।  বিশদ

22nd  August, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ২৬
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বোনকে নিয়ে পিশাচসাধুর বাড়িতে হাজির হল সহজ। মিমির অতীত নিয়ে এমন কয়েকটি ইঙ্গিত করলেন তিনি, যার জেরে তার সব কিছু গোলমাল হয়ে গেল। দাদার উপর সব রাগ আছড়ে পড়ল মিমির। এদিকে, সহজ ভাবতে থাকল কীভাবে উদ্ধার করা যায় বঁড়শিকে। তারপর... বিশদ

22nd  August, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ২৫
জয়ন্ত দে

সহজ বাবাকে জানিয়ে দিয়েছে, সে ঠাকুরদাকে আশ্রমে পৌঁছে দিতে চায়। শশাঙ্ক মিত্রের ঘরে এসে হাজির হল সে। তাঁর লেখা চিঠি যে ঠাকুমার কারসাজিতে গুরুদেবের কাছে পৌঁছয় না, সেই রহস্য ফাঁস করে দিল সহজ। সে চেয়ে নিল আশ্রমের ঠিকানা। মুক্তির আশায় শশাঙ্কের মুখে দেখা গেল হাসির রেখা। তারপর... বিশদ

15th  August, 2021
অনলাইন
ঝিমলি নন্দী

রাত দশটা। মেসেঞ্জারে পিং করে একটা মেসেজ ঢুকল। মোবাইলটা মুঠোয় একটু  ধরে রাখল মণিদীপা। তারপর রোজকার মতোই পরিপাটি মশারি গুঁজতে লাগল। আবার কাল ঠিক সকাল ছ’টায় মেসেজ করবে বুদ্ধ। সুপ্রভাত! বুদ্ধের পাঠানো মেসেজে আজও ঘুমোতে যায় মণিদীপা। বিশদ

08th  August, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব  ২৪
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

পরমেশ্বরের অফিসে বসে ভানুদা, সুজি, শঙ্কর। সেখানে হঠাৎ হাজির হল সহজ। পরমেশ্বর জানাল, মৈত্রেয়ী তাদের বাড়িতে এসেছিল। সুজি নিজের গোঁ ধরে থাকলে ও ডিভোর্স দেবে বলেছে। তর্কাতর্কি চরমে পৌঁছলে সুজির সঙ্গে আর ব্যবসা করবে না বলে জানিয়ে দেয় পরমেশ্বর। তারপর... বিশদ

08th  August, 2021
পিশাচ সাধু

সহজকে নিজের জীবনের গল্প শোনাল বঁড়শি। আশ্রম থেকে কীভাবে সে পিশাচসাধুর খপ্পরে পড়ল সেই গল্প। বঁড়শিকে আদতে বিয়ে করেননি ক্যাপ্টেন।
বিশদ

01st  August, 2021
ঘাম

টানটান চাদরে ঢাকা তক্তার এক কোণে বালিশ-তোশকের স্তূপ, রংচটা সিমেন্টের দেওয়ালটাকে কিছুটা আড়াল করতে একখানা আয়না বসানো।
বিশদ

01st  August, 2021
পিশাচ সাধু

সহজকে একটা ঘরে বসতে দিল বঁড়শি। সেই ঘরের উত্তর দিকের কোণে চোখ আটকে গেল সহজের। সেখানে একটা জায়গায় বালি ফেলা, পড়ে রয়েছে পোড়া কাঠ।
বিশদ

25th  July, 2021
গাছ
সাইকেল ও প্রেম

কাটারির কোপ গাছে পড়তেই গাছের আর্তনাদ ধক করে বুকে এসে লাগল অপরাজিতের বুকে। ব্যালকনিতে ডিভানে বসে সকালের কাগজ পড়ার অভ্যাস সঙ্গে এক কাপ চা।
বিশদ

25th  July, 2021
পিশাচ সাধু

সহজ বাড়ি ফিরতেই ক্যাপ্টেনের কাছে যাওয়ার জন্য ঘ্যান ঘ্যান শুরু করল মিমি। সুজির সমস্যা নিয়ে ভাবতে ভাবতে কূল-কিনারা পেল না সহজ।
বিশদ

18th  July, 2021
পিশাচ সাধু  
 

ভবিষ্যৎ জানতে সহজের সঙ্গে পিশাচ সাধুর বাড়িতে হাজির হল সৃজনী। ক্যাপ্টেন ব্যঙ্গ করে জটিলা বলে ডাকতে শুরু করলেন সৃজনীকে। ভবিষ্যৎ জানতে চাইতেই পিশাচ সাধু ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন, নীলাদ্রির সঙ্গে তার প্রেমের পরিণতি ভয়ঙ্কর। বরং, মেডিক্যালে চান্স পাওয়ার জন্য সৃজনীর পড়ায় মন বসানো উচিত। বিশদ

11th  July, 2021
পিশাচ সাধু
 

নচের মেয়ের কাছ থেকে পিশাচ সাধুর বিষয়ে জানতে পেরেছে সহজের ছাত্রী সৃজনী। সেও জ্যোতিষীর কাছে ভবিষ্যৎ জানতে চায়। তাঁর কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহজকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে সৃজনী। বিশদ

04th  July, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বর্ণিনীর সঙ্গে বিচিত্রদার বাড়ি গেল সহজ। আর সেখানে গিয়েই গল্প প্রকাশের রহস্যের জট কাটল। আসলে পত্রিকা অফিসে গল্পটি পাঠিয়েছিলেন বিচিত্রদা। কিন্তু সহজের মুখে পিশাচ সাধুর নাম শুনে ভীষণ খেপে গেলেন তিনি। বিশদ

27th  June, 2021
মাধুকরী  
সৌরভ মিত্র

 

 মেঘ ডাকছিল এতক্ষণ। পাকা রাস্তা ধরে কয়েক পা এগতেই বড় বড় ফোঁটায় বৃষ্টি শুরু হল। ভালোই মেতেছে! দশহাত দূরের মানুষকেও যেন চেনা দায়! পশ্চিম কালো হয়ে আসছিল সকাল থেকেই। গুপ্ত-বৃন্দাবনের মেলার তাড়া না থাকলে হয়তো ঘর ছাড়ত না সুদাম গোঁসাই। বিশদ

27th  June, 2021
একনজরে
দেশজুড়ে সরকারি সংস্থা বিক্রির কড়া সমালোচনা চলছে। তবু মোদি সরকার অনড়। সিংহভাগ ক্ষেত্রেই সরকারের উপস্থিতি যে কমিয়ে আনা হবে, সরাসরি একথা জানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বুধবার তিনি বলেছেন, দুটি ভাগে সরকারি সংস্থাকে বিভাজিত করা হচ্ছে। ...

দীর্ঘ ১১ মাসের আইনি কচকচানির অবসান। ডেফিনেটিভ এগ্রিমেন্টে সই না হলেও আসন্ন আইএসএলে খেলবে এসসি ইস্ট বেঙ্গল। টার্মশিটের ভিত্তিতেই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অংশ নেবে লাল-হলুদ। বুধবার ...

দুয়ারের সরকারের ক্যাম্পে ছাতা মাথায় দাঁড়িয়ে আছেন মহিলারা। অন্যান্য লাইনে হুড়োহুড়ি থাকলেও শান্ত হয়েই প্রতীক্ষায় মহিলারা। অধিকাংশের মুখেই চওড়া হাসি। কোনও তাড়া নেই তাঁদের। কারণ ...

হাওড়া সিটি পুলিস প্রায় ৪৫ কেজি নিষিদ্ধ চীনা মাঞ্জা উদ্ধার করল। মঙ্গল ও বুধবার জাগাছা থানার বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয় এই বিপুল পরিমাণ সুতো। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারেন। চলচিত্র ও যাত্রা শিল্পী, পরিচালকদের শুভ দিন। ধনাগম হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭২৩ - অণুবীক্ষণ যন্ত্রের আবিষ্কারক ওলন্দাজ বিজ্ঞানী আন্তেনি ভান লিউভেনহুকের মৃত্যু
১৮৬৯ - রহস্য কাহিনীকার ও সম্পাদক দীনেন্দ্র কুমার রায়ের জন্ম
১৯১০: নোবেল জয়ী সমাজসেবী মাদার টেরিজার জন্ম
১৯২০ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়
১৯২০: অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯২৭ - ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি কলকাতায় প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৪: কবি ও গীতিকার অতুলপ্রসাদ সেনের মৃত্যু
১৯৪৩ - আজাদ হিন্দ ফৌজ আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়
১৯৫৫ - সত্যজিত্ রায়ের চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালী’র মুক্তি লাভ
১৯৫৬: রাজনীতিক মানেকা গান্ধীর জন্ম
১৯৬৮: চিত্র পরিচালক মধুর ভাণ্ডারকরের জন্ম 
২০০৩ - লেখক ও ঔপন্যাসিক বিমল করের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৩৭ টাকা ৭৫.০৮ টাকা
পাউন্ড ১০০.১১ টাকা ১০৩.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৫.৫৯ টাকা ৮৮.৭১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৪, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৪, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ ভাদ্র ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট ২০২১। চতুর্থী ২৯/৪৪ অপরাহ্ন ৫/১৪। রেবতী নক্ষত্র ৪২/৫১ রাত্রি ১০/২৯। সূর্যোদয় ৫/২০/৫২, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/১২। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৫৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১০/২৩ গতে ১২/৫৪ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/৪ মধ্যে।
৯ ভাদ্র ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট ২০২১। চতুর্থী অপরাহ্ন ৫/৩৪। রেবতী নক্ষত্র রাত্রি ১১/৫৫। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৬/০। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৩ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৫০ গতে ৬/০ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১/৫ মধ্যে।
১৭ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তৃতীয় টেস্ট: প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ২৯৮/৩ (চা বিরতি) 

08:49:20 PM

কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ

08:44:00 PM

কাবুল বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু, রয়েছে একাধিক শিশুও 

08:21:08 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৭১৭, মৃত ৯ 

08:03:25 PM

কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণ, হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি 

07:54:59 PM

কমতে পারে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের ব্যবধান: সূত্র 

06:01:10 PM