Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পিশাচ সাধু
 

জয়ন্ত দে : নচের মেয়ের কাছ থেকে পিশাচ সাধুর বিষয়ে জানতে পেরেছে সহজের ছাত্রী সৃজনী। সেও জ্যোতিষীর কাছে ভবিষ্যৎ জানতে চায়। তাঁর কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহজকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে সৃজনী। তারপর... যাওয়ার কথা ছিল বর্ণিনীর। কিন্তু যাচ্ছে সৃজনী। রাতেই সহজ ফোন করেছিল সৃজনীকে— কাল সকালে বেরতে পারবে? 
সৃজনী বলল, ‘সকাল মানে— সময় বলুন?’
‘আটটা।’
সহজ একটু থামল, সুজির কথাটাই ওর মনে পড়ে গেল। বলল, ‘ওই সময় পাওয়ারটা বেশি থাকে। পাহাড়ে যেমন হয়, ভোরবেলা পিকগুলো ক্লিয়ার থাকে। যত বেলা হয় মেঘে ঢেকে যায়, এও তেমন। বেলা হলে উনি একটু ঘেঁটে যান। আবোলতাবোল বকেন।’
‘তাহলে সকালেই যাব। আটটা। কোথায় বলুন? আমি অটো স্ট্যান্ডের সামনে থাকব।’
‘যে জায়গায় বাড়ি, তাতে অটো করে যাওয়া মুশকিল। আমি বাইক নিয়ে আসব।’
বাইক নিয়ে এসেছিল সহজ। একটু আগেই এসেছিল। এসে দেখল সৃজনী দাঁড়িয়ে। চুলটা হর্সটেল করা, পিঠে ছোট একটা ব্যাগ। মানে পড়তে যাওয়া সংক্রান্ত কিছু বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছে। সহজ এসে দাঁড়াতেই কোনও কথা না বলেই বাইকে বসল। সহজ পিছনে না ফিরে হেলমেটটা এগিয়ে দিল। ‘হেলমেট পরতে হবে নাকি?’ 
‘হ্যাঁ, পরতে হবে।’
‘কেন? পুলিসে ধরবে? পুলিসে ধরলে আমাকে বলবেন, আমি এক ফোনেই ছাড়িয়ে দেব।’ সৃজনী ঘাড় ঝাঁকিয়ে বলল।
সহজ বলল, ‘সেফটির জন্য।’ 
সহজের হেলমেটে সৃজনীর হেলমেটটা ঠুকে গেল। সহজ বুঝল, এটা ইচ্ছে করে করল।
একটু আসার পর সহজের মনে হল সৃজনী যেন একটু বেশিই জড়িয়ে ধরে বসেছে। সহজ বলল, ‘তোমার কি ভয় করছে?’ 
‘না তো।’ 
‘আমার মনে হচ্ছে তোমার ভয় করছে।’ 
‘আপনাকে একটু বেশি চেপে ধরেছি বলে, আসলে আমি এত রোগা— কেউ কেউ বলে— বাইকে বসে চেপে না ধরলে আমি উড়ে যেতে পারি।’
বাইকটা ঘুরিয়ে সহজ দেখল বাড়ির রকে সাধু বসে। সহজ এসে বাইকটা স্ট্যান্ড করল। ওকে দেখে দু’হাত তুললেন সাধু। বললেন, ‘আরে এসো, এসো।’ 
ওরা দু’জনে এসে সাধুর সামনে দাঁড়াল। সাধু উঠে দাঁড়ালেন, ঝপ করে চেপে ধরলেন সহজের একটা হাত, বললেন, ‘ভেতরে চলো।’
দরজা ঠেলে ভেতরে ঢুকে বাঁদিকে মুখ বাড়িয়ে বললেন, ‘দেখো দেখো, কে এসেছে।’ কথাটা ছুড়ে দিয়েই সহজকে টেনে নিয়ে চললেন ডানদিকের ঘরে। সহজের সঙ্গে যে কেউ আছে সেটা যেন দেখতেই পেলেন না। 
ডানদিকের ঘরটা বিশাল বড়। মনে হয় প্রমাণ সাইজে তিনখানা ঘর একসঙ্গে করা হয়েছে। ঘরের জানলাগুলো বন্ধ থাকায় সারা ঘরটা বেশ অন্ধকার। সাধু ঘরে ঢুকেই পর পর তিন চারখানা জানলা খুলে দিলেন। দুটো জানলা দিয়ে সকালের ঝিলিক দেওয়া রোদ ঢুকে পড়ল ঘরের ভেতর। ঘরে ভেতর টানা লাল সিমেন্টের মেঝে। মাঝে এক জায়গায় একটা শতরঞ্চি পাতা। এক ধারে একটা বেঞ্চ, দুটো চেয়ারও আছে। সাধু বললেন, ‘যাও বসে পড়ো ওখানে, চা আসছে। জল খাবে? জল—। ওই জাগে ভালো জল আছে। আমি সকালেই ভরেছি।’
সহজ এগিয়ে গিয়ে শতরঞ্চিতে বসল। কিছুটা পা ছড়িয়ে। সহজ লক্ষ করেছে সাধু একবারও সৃজনীর দিকে ফিরেও তাকায়নি। সৃজনীকে দেখিয়ে সহজ কিছু বলতে যাচ্ছিল, তার আগে সাধু বললেন, ‘যাও জটিলা তুমিও গিয়ে ওখানে বসে পড়ো।’
সহজ ভ্রূ কোঁচকাল সে কি ঠিক শুনল? কী বললেন পিশাচ সাধু! 
সাধুর পুরো কথা হয়তো শুনতে পায়নি সৃজনী, সে এসে শতরঞ্চির এক ধারে বসল।
সাধু দীর্ঘ পা ফেলে চলে গেলেন ভেতরে। একটু পরেই ফিরলেন। হাতে একটা থালা, তার ওপর চারটে কাপ। পিছন পিছন বঁড়শি এল। হাতে একটা বিস্কুটের কৌটো। শতরঞ্চির ওপর থালাটা রেখে বললেন, ‘নাও, চা খাও আগে।’
সাধু বসলেন মেঝেতে। বললেন, ‘তোমাদের কি গরম হচ্ছে? তাহলে ওই টেবিল ফ্যানটা এনে দেব।’
সহজ বলল, ‘ঠিক আছে।’ সে চায়ের কাপ তুলে নিল। বঁড়শি এসে একটু দূরত্ব রেখে বসল। সরু চোখে তাকিয়ে আছে সৃজনীর দিকে। সহজ একঝলক দেখল বঁড়শির দিকে। বঁড়শির মুখটা ভার। হতেই পারে, নিত্যদিন এই সাতসকালে গেস্ট এসে হাজির হলে বিরক্তি আসতেই পারে। সহজ খুব মন দিয়ে চা খাচ্ছে। 
বঁড়শি বলল, ‘বিস্কুট নিয়ে এলাম, নিলে না? সব কি হাতে করে তুলে দিতে হবে, ওই তো সামনে কৌটো, নিয়ে নাও।’
সৃজনী বলল, ‘আমার লাগবে না। ব্রেকফাস্ট করে বেরিয়েছি।’ 
সহজ বলল, ‘আমার লাগবে।’ সে কৌটোর ভেতর হাত ঢুকিয়ে দুটো বিস্কুট বের করে নিল।
সাধু সুরুত সুরুত করে চা খাচ্ছে। ওঁর কাপটা বেশ বড়। অনেকখানি চা ধরে।
সহজ সৃজনীকে দেখিয়ে বলল, ‘ওর নাম—।’
হে হে হেসে উঠলেন পিশাচ সাধু, বললেন, ‘আমি ওর একটা নাম দিয়েছি— জটিলা!’
‘কী নাম? জটিলা! জটিলা!’ খিল খিল করে হেসে উঠল বঁড়শি, ‘তুমি পার বাপু। ও তো এক্ষুনি এল। এসেই একটা নাম পেয়ে গেল। কী কপাল গো তোমার মেয়ে! আমি তো অনেক পরে বঁড়শি নামটা পেয়েছি। এই নাম পাওয়ার জন্য কত কেঁদেছি, কঁকিয়েছি, সব সময় অ্যাই মেয়ে, অ্যাই মেয়ে বলে ডাকতেন। তারপর একদিন বললেন—তুই বঁড়শি! সেই থেকে আমি বঁড়শি! আর তুমি একদিনেই নাম পেয়ে গেলে। জটিলা!’
পিশাচ সাধু হাসছেন, ‘ও সহজ আর ও জটিলা!’
‘বাহ বাহ দু’জনকে মিলিয়ে দিয়েছেন!’
‘আমার সঙ্গে ওর নাম মেলালেন কেন?’ সহজ একটা অপ্রস্তুতভাবেই বলল।
‘হ্যাঁ, আমার সঙ্গে তো স্যারের নামের ফার্স্ট লেটারে মিল আছে। আমরা দু’জনেই এস। সহজ আর সৃজনী।’
সাধু আকাশে দু’হাত তোলেন, ‘জয় কালী! আমি নামে মেলাইনি, আমি ধর্মে মিলিয়েছি মা। ধর্মের কথা খুব গূঢ়। সে তুমি বুঝবে না।’
সৃজনী নিজেকে ঝাঁকুনি দেয়। ‘সহজের বিপরীত শব্দ জটিল। জটিলের স্ত্রী লিঙ্গ জটিলা! তাই তো?’ সৃজনী ঘাড় ঝাঁকায়, ‘বেশ! এবার বলুন।’
‘কী বলব?’
‘আমার কথা।’
‘কী বলব তোর কথা? মার খাবি, মার খেতে খেতে মরবি। পুলিসের মার, সইতে পারবি না। আর বলব—?’ পিশাচ সাধু দু’হাতে তাল ঠোকে।
বঁড়শি চিৎকার করে ওঠে, ‘এই, এই আপনি আবার খারাপ কথা বলছেন— ভালো কথা বলুন, ভালো কথা, এইটুকু মেয়ে—।’
সহজ হাসতে গিয়ে হাসে না, এই রে পিশাচ সাধুর কী নেটওয়ার্ক! বর্ণিনীর সঙ্গে কি গুলিয়ে ফেলেছে সৃজনীকে? কী ভেবেছে সহজের সঙ্গে যখন এসেছে এ সহজের বান্ধবীই হবে। আর বর্ণিনীর বাবা পুলিসের বড়কর্তা— একথাটা নির্ঘাত কেউ সাধুকে বলেছে। তাই বর্ণিনী আর তার পুলিস বাবাকে নিয়ে চমৎকার ভবিষ্যদ্বাণী করছেন! বাহ ঩পিশাচ সাধু এই তোমার পাওয়ার। লাগে তুক, না লাগে তাক...।
বিস্ফারিত সৃজনী কিছু বলতে যাচ্ছিল, সহজ বলল, ‘না, না, আপনি বলুন—।’ সহজ বুঝেছে পিশাচ সাধু এখন যা বললেন, সব বর্ণিনীকে সামনে রেখে— যার বাবা পুলিস।
পিশাচ সাধু বললেন, ‘আর কী বলব— আমি বলার কে? রূপবান! পুরুষ মানুষের রূপ! পুরুষ হোক আর নারী হোক কারও রূপ ধুয়ে জল খাওয়ার জিনিস নয়। তুই ভুল করবি, পড়াশোনার ক্ষতি হবে। ক্ষতি করিস না, তোর হাতে আলপনা আছে। মানুষের শিরা উপশিরার গিঁট খুলবি তুই, তোর হাতে মাখা রক্তে জীবনের আলপনা আছে।  তুই মানুষকে জীবনদান করবি! যা, যা, পালা ওদের কাছ থেকে, নইলে বাঁচবি না। ঝেড়ে ফেলে দে থু থু!’
সৃজনী থরথর করে কাঁপছে। পিশাচ সাধু ওর হাত ধরেন, ‘কী রে আমি ঠিক বলেছি—?’
উঠে দাঁড়ায় সৃজনী। ‘চলুন স্যার, আমি বাড়ি যাব।’
‘কেন গো বসবে না? এই মানুষটা সবাইকে চটিয়ে দেন। এরপর আপনার কাছে আর কেউ আসবে না। কী বলল ছাই, কিছুই বুঝলাম না। এইটুকু মেয়েকে পুড়িয়ে ছাই করে দিল!’
সহজ হালকা গলায় বলল, ‘আরে এই তো এলাম, বোসো।’
‘আপনি বসুন তাহলে— আমি চলে যাব।’ সৃজনী যাবার জন্য যেন পা বাড়ায়। সহজ বুঝতে পেরেছে, পিশাচ সাধু বর্ণিনীর জন্য ভেবে রাখা কথা সব সৃজনীর ওপর ঢেলে দিয়েছেন। তার ফলেই সৃজনীর মাথা ঘুরছে। ও কী বুঝেছে কে জানে? 
সহজ বলল, ‘তাহলে আর কী যাবে যখন বলছ, চলো।’
সহজ মনে মনে হাসছে। আজ পিশাচ সাধু সব গুলিয়ে ফেলেছেন।
সাধু ঘরের মেঝেয় শুয়ে। সৃজনীর সঙ্গে সহজ বেরিয়ে আসে। ওদের সঙ্গে আসে বঁড়শি। বাইরের দরজার সামনে এসে বঁড়শি সৃজনীর অলক্ষে সহজের হাত ধরে। ফিসফিস করে বলে, ‘এলে আর চলে গেলে— দুটো যে কথা বলব, সে সুখ হল না, আবার কবে আসবে?’
সহজ ঝটকা দিয়ে হাতটা ছাড়াতে চাইছিল, কিন্তু কেন যেন সে পারল না। সারা শরীরের ভেতর কেমন যেন এক ঢেউ খেলে গেল। বলল, ‘আসব, এর মধ্যেই আবার আসব।’
‘এসো। তোমার জন্য অপেক্ষা করব। উনি তো খারাপ কথা বই ভালো কথা বলেন না। তোমার একটা ভালো কথা মিলেছে, আমার একটা ভালো কথা মিলুক। তারপর এমন অনেক অনেক ভালো কথা মিলতে মিলতে সব ভালো হয়ে যাবে। তুমি তো ভালোই চাও, বলো।’
সহজ বিড়বিড় করে, ‘হ্যাঁ, ভালো চাই।’
বাইকে উঠতে গিয়ে সৃজনী টলে গেল। ‘কী হল সৃজনী—তুমি ঠিক আছো তো?’
‘হ্যাঁ, স্যার।’
বাইক নিয়ে একটু এসে সহজ বলল, ‘প্লিজ, তুমি আমাকে ধরো বোসো। তুমি কেমন টল টল করছ।’
‘হ্যাঁ, আমি ধরেছি স্যার।’
বেশ কিছুটা এসে সহজের মনে হল, সৃজনীর হাত বড্ড আলগা হয়ে গিয়েছে। সে বলল, ‘সৃজনী আমাকে ধরে বোসো।’
সৃজনী বলল, ‘স্যার, আমি পড়াশোনায় বড্ড ক্ষতি করছি। উনি একদম ঠিক কথা বলেছেন। আমাকে মেডিক্যালে চান্স পেতেই হবে। আমার কপালে আছে স্যার।’
‘আছেই তো। নিশ্চয়ই তুমি মেডিক্যালে চান্স পাবে। চেষ্টা করো, নিশ্চয়ই পাবে।’
‘উনি কিন্তু পরিষ্কার বলে দিলেন—  মানুষের শিরা-উপশিরা, আমার হাতে মাখা রক্তে জীবনের আলপনা—আমি মানুষকে জীবনদান করব!’
হঠাৎ সৃজনী দু’হাতের বেড়ে সহজকে প্রবলভাবে আঁকড়ে ধরে হাউ হাউ করে কাঁদতে শুরু করে। সৃজনী যে কাঁদছে সহজ কয়েক মুহূর্ত পরে বোঝে, তারপর বাইকটা আরও একটু এগিয়ে নিয়ে এসে ফাঁকা দেখে এক জায়গায় থামায়। ‘এ কী তুমি কাঁদছ কেন?’
‘উনি ঠিক বলেছেন স্যার। আমি রূপে ভুলেছি, রূপে মজেছি। ঠিক বলেছে, মানুষটা ভালো নয়। আমি বুঝতে পেরেও চুপ করে এগিয়ে যাচ্ছি। আমাকে ফিরে আসতেই হবে। নইলে আমি শেষ হয়ে যাব।’
‘তুমি কার কথা বলছ?’
‘ওই যে স্যার উনি বললেন না, পুলিসের মার, আমি পুলিসের মার খেয়ে মরব—।’
সহজ বলতে যাচ্ছিল, আরে উনি তোমাকে বর্ণিনীর সঙ্গে গুলিয়েছেন। অন্ধকারে ঢিল ছুড়েছেন। বর্ণিনীর বাবা পুলিস। কিন্তু সহজের না-বলা-কথাগুলো চাপা দিয়ে সৃজনী বলল, ‘নীলাদ্রি পুলিসে চাকরি পেয়েছে। আমার ওই চাকরিতে খুব আপত্তি। কিন্তু নীলাদ্রি ওর পছন্দের জবই পেয়েছে। ছাড়বে না। ওর বাবাও পুলিস। তিনি শুনেছি নীলাদ্রির মাকে ধরে মারেন।’ সৃজনী থামে, বলে, ‘উনি আমাকে বললেন তো আমি পুলিসের মার খেয়ে মরব। নীলাদ্রি ওর বাবার মতো হবে—। ও ভীষণই উদ্ধত, কথায় কথায় হাত চালায়। আমি ওর সঙ্গে কোনও সম্পর্কই রাখব না। আমাকে মেডিক্যালে চান্স পেতেই হবে। আমি খুব সময় নষ্ট করেছি, আর নয়।’
সৃজনীর মাথায় হাত রাখে সহজ, ‘দুর পাগলি, সব ঠিক হয়ে যাবে। তুই মন থেকে নীলাদ্রিকে একদম ঝেড়ে ফেলে দে। আগে তোকে মেডিক্যালে চান্স পেতে হবে। তোর জন্য অনেক বড় একটা পৃথিবী অপেক্ষা করে আছে। অনেক মানুষ অপেক্ষা করে আছে। পিশাচ সাধুর কথা কতটা সত্যি, কতটা মিথ্যে তা আমি জানি না। জানার আগ্রহও নেই। আমি শুধু জানি, তোকে মেডিক্যালে চান্স পেতে হবে। আরও বড় জীবনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তোর হাতে মানুষের জীবনের ধুকপুক আছে।’
বাসস্ট্যান্ড পেরনোর সময়ই বর্ণিনী ওদের দেখল। আরে এই সকালবেলা সহজ কোথায় গিয়েছিল? বাইকের পিছনে মেয়েটা কে?              (চলবে)
04th  July, 2021
গাছ জগবন্ধু
অভিজিৎ তরফদার

—ওই যে ঘরের মধ্যে টাকা মেশিন। বোতাম টিপলেই টাকা। —এটিএম? বেড়ে বলেছ তো! আচ্ছা জগবন্ধু, একটা কথা জিজ্ঞেস করব, কিছু মনে করবে না তো? —না না, মনে করবার কী আছে? গরিব মানুষের অত মনে করলে চলে না।  বিশদ

22nd  August, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ২৬
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বোনকে নিয়ে পিশাচসাধুর বাড়িতে হাজির হল সহজ। মিমির অতীত নিয়ে এমন কয়েকটি ইঙ্গিত করলেন তিনি, যার জেরে তার সব কিছু গোলমাল হয়ে গেল। দাদার উপর সব রাগ আছড়ে পড়ল মিমির। এদিকে, সহজ ভাবতে থাকল কীভাবে উদ্ধার করা যায় বঁড়শিকে। তারপর... বিশদ

22nd  August, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ২৫
জয়ন্ত দে

সহজ বাবাকে জানিয়ে দিয়েছে, সে ঠাকুরদাকে আশ্রমে পৌঁছে দিতে চায়। শশাঙ্ক মিত্রের ঘরে এসে হাজির হল সে। তাঁর লেখা চিঠি যে ঠাকুমার কারসাজিতে গুরুদেবের কাছে পৌঁছয় না, সেই রহস্য ফাঁস করে দিল সহজ। সে চেয়ে নিল আশ্রমের ঠিকানা। মুক্তির আশায় শশাঙ্কের মুখে দেখা গেল হাসির রেখা। তারপর... বিশদ

15th  August, 2021
অনলাইন
ঝিমলি নন্দী

রাত দশটা। মেসেঞ্জারে পিং করে একটা মেসেজ ঢুকল। মোবাইলটা মুঠোয় একটু  ধরে রাখল মণিদীপা। তারপর রোজকার মতোই পরিপাটি মশারি গুঁজতে লাগল। আবার কাল ঠিক সকাল ছ’টায় মেসেজ করবে বুদ্ধ। সুপ্রভাত! বুদ্ধের পাঠানো মেসেজে আজও ঘুমোতে যায় মণিদীপা। বিশদ

08th  August, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব  ২৪
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

পরমেশ্বরের অফিসে বসে ভানুদা, সুজি, শঙ্কর। সেখানে হঠাৎ হাজির হল সহজ। পরমেশ্বর জানাল, মৈত্রেয়ী তাদের বাড়িতে এসেছিল। সুজি নিজের গোঁ ধরে থাকলে ও ডিভোর্স দেবে বলেছে। তর্কাতর্কি চরমে পৌঁছলে সুজির সঙ্গে আর ব্যবসা করবে না বলে জানিয়ে দেয় পরমেশ্বর। তারপর... বিশদ

08th  August, 2021
পিশাচ সাধু

সহজকে নিজের জীবনের গল্প শোনাল বঁড়শি। আশ্রম থেকে কীভাবে সে পিশাচসাধুর খপ্পরে পড়ল সেই গল্প। বঁড়শিকে আদতে বিয়ে করেননি ক্যাপ্টেন।
বিশদ

01st  August, 2021
ঘাম

টানটান চাদরে ঢাকা তক্তার এক কোণে বালিশ-তোশকের স্তূপ, রংচটা সিমেন্টের দেওয়ালটাকে কিছুটা আড়াল করতে একখানা আয়না বসানো।
বিশদ

01st  August, 2021
পিশাচ সাধু

সহজকে একটা ঘরে বসতে দিল বঁড়শি। সেই ঘরের উত্তর দিকের কোণে চোখ আটকে গেল সহজের। সেখানে একটা জায়গায় বালি ফেলা, পড়ে রয়েছে পোড়া কাঠ।
বিশদ

25th  July, 2021
গাছ
সাইকেল ও প্রেম

কাটারির কোপ গাছে পড়তেই গাছের আর্তনাদ ধক করে বুকে এসে লাগল অপরাজিতের বুকে। ব্যালকনিতে ডিভানে বসে সকালের কাগজ পড়ার অভ্যাস সঙ্গে এক কাপ চা।
বিশদ

25th  July, 2021
পিশাচ সাধু

সহজ বাড়ি ফিরতেই ক্যাপ্টেনের কাছে যাওয়ার জন্য ঘ্যান ঘ্যান শুরু করল মিমি। সুজির সমস্যা নিয়ে ভাবতে ভাবতে কূল-কিনারা পেল না সহজ।
বিশদ

18th  July, 2021
পিশাচ সাধু  
 

ভবিষ্যৎ জানতে সহজের সঙ্গে পিশাচ সাধুর বাড়িতে হাজির হল সৃজনী। ক্যাপ্টেন ব্যঙ্গ করে জটিলা বলে ডাকতে শুরু করলেন সৃজনীকে। ভবিষ্যৎ জানতে চাইতেই পিশাচ সাধু ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন, নীলাদ্রির সঙ্গে তার প্রেমের পরিণতি ভয়ঙ্কর। বরং, মেডিক্যালে চান্স পাওয়ার জন্য সৃজনীর পড়ায় মন বসানো উচিত। বিশদ

11th  July, 2021
কৃষ্ণাঙ্গ

সাইপ্রাস গাছের সূক্ষ্ম পাতার কোণে কোণে জলবিন্দু জমে আছে। রাতে বৃষ্টির পর সকালের মুক্তোরঙা আকাশ কমনীয় অথচ নির্ভার। নরম বালিশের কোলে পাশ ফিরল অনঘ। আলগা অপলক মেঘের গায়ে গোলাপি রঙের ছোঁয়া। বিশদ

04th  July, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বর্ণিনীর সঙ্গে বিচিত্রদার বাড়ি গেল সহজ। আর সেখানে গিয়েই গল্প প্রকাশের রহস্যের জট কাটল। আসলে পত্রিকা অফিসে গল্পটি পাঠিয়েছিলেন বিচিত্রদা। কিন্তু সহজের মুখে পিশাচ সাধুর নাম শুনে ভীষণ খেপে গেলেন তিনি। বিশদ

27th  June, 2021
মাধুকরী  
সৌরভ মিত্র

 

 মেঘ ডাকছিল এতক্ষণ। পাকা রাস্তা ধরে কয়েক পা এগতেই বড় বড় ফোঁটায় বৃষ্টি শুরু হল। ভালোই মেতেছে! দশহাত দূরের মানুষকেও যেন চেনা দায়! পশ্চিম কালো হয়ে আসছিল সকাল থেকেই। গুপ্ত-বৃন্দাবনের মেলার তাড়া না থাকলে হয়তো ঘর ছাড়ত না সুদাম গোঁসাই। বিশদ

27th  June, 2021
একনজরে
‘তালিবানের সেবায় পাকিস্তান নিজেকে নিয়োজিত করেছে। তালিবদের কখনই চাপের মুখে পড়তে হয়নি। পাকিস্তানকে ওরা বেস হিসেবে ব্যবহার করেছে। নির্দিষ্ট কোনও এলাকা নয়, গোটা পাকিস্তানই তাদের সাহায্য করতে উঠেপড়ে লেগেছিল।’ ...

হাওড়া সিটি পুলিস প্রায় ৪৫ কেজি নিষিদ্ধ চীনা মাঞ্জা উদ্ধার করল। মঙ্গল ও বুধবার জাগাছা থানার বিভিন্ন জায়গা থেকে উদ্ধার করা হয় এই বিপুল পরিমাণ সুতো। ...

একই বিষয় নিয়ে দুটি মামলা। প্রথমটির উল্লেখ না করেই দ্বিতীয়টি দায়ের করা হয়েছে। এমন অভিযোগে বাঁকুড়ার মেজিয়া এলাকা থেকে বেআইনি কয়লা তোলার দ্বিতীয় মামলাটি বুধবার খারিজ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক। ...

দীর্ঘ ১১ মাসের আইনি কচকচানির অবসান। ডেফিনেটিভ এগ্রিমেন্টে সই না হলেও আসন্ন আইএসএলে খেলবে এসসি ইস্ট বেঙ্গল। টার্মশিটের ভিত্তিতেই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অংশ নেবে লাল-হলুদ। বুধবার ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারেন। চলচিত্র ও যাত্রা শিল্পী, পরিচালকদের শুভ দিন। ধনাগম হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭২৩ - অণুবীক্ষণ যন্ত্রের আবিষ্কারক ওলন্দাজ বিজ্ঞানী আন্তেনি ভান লিউভেনহুকের মৃত্যু
১৮৬৯ - রহস্য কাহিনীকার ও সম্পাদক দীনেন্দ্র কুমার রায়ের জন্ম
১৯১০: নোবেল জয়ী সমাজসেবী মাদার টেরিজার জন্ম
১৯২০ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়
১৯২০: অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯২৭ - ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি কলকাতায় প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৪: কবি ও গীতিকার অতুলপ্রসাদ সেনের মৃত্যু
১৯৪৩ - আজাদ হিন্দ ফৌজ আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়
১৯৫৫ - সত্যজিত্ রায়ের চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালী’র মুক্তি লাভ
১৯৫৬: রাজনীতিক মানেকা গান্ধীর জন্ম
১৯৬৮: চিত্র পরিচালক মধুর ভাণ্ডারকরের জন্ম 
২০০৩ - লেখক ও ঔপন্যাসিক বিমল করের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৩৭ টাকা ৭৫.০৮ টাকা
পাউন্ড ১০০.১১ টাকা ১০৩.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৫.৫৯ টাকা ৮৮.৭১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৪, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৪, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ ভাদ্র ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট ২০২১। চতুর্থী ২৯/৪৪ অপরাহ্ন ৫/১৪। রেবতী নক্ষত্র ৪২/৫১ রাত্রি ১০/২৯। সূর্যোদয় ৫/২০/৫২, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/১২। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৫৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১০/২৩ গতে ১২/৫৪ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/৪ মধ্যে।
৯ ভাদ্র ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট ২০২১। চতুর্থী অপরাহ্ন ৫/৩৪। রেবতী নক্ষত্র রাত্রি ১১/৫৫। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৬/০। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৩ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৫০ গতে ৬/০ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১/৫ মধ্যে।
১৭ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তৃতীয় টেস্ট: প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ২৯৮/৩ (চা বিরতি) 

08:49:20 PM

কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ

08:44:00 PM

কাবুল বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু, রয়েছে একাধিক শিশুও 

08:21:08 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৭১৭, মৃত ৯ 

08:03:25 PM

কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণ, হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি 

07:54:59 PM

কমতে পারে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের ব্যবধান: সূত্র 

06:01:10 PM