Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব  ২৪
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

পরমেশ্বরের অফিসে বসে ভানুদা, সুজি, শঙ্কর। সেখানে হঠাৎ হাজির হল সহজ। পরমেশ্বর জানাল, মৈত্রেয়ী তাদের বাড়িতে এসেছিল। সুজি নিজের গোঁ ধরে থাকলে ও ডিভোর্স দেবে বলেছে। তর্কাতর্কি চরমে পৌঁছলে সুজির সঙ্গে আর ব্যবসা করবে না বলে জানিয়ে দেয় পরমেশ্বর। তারপর...

 শশাঙ্ক মিত্র ছোট্ট বাগানটায় ঘুরছিলেন। 
সকালের ঠিক এই সময়ে এ-বাড়ির কেউ ওঠে না। এই বাড়ির  গাছপালারা তখন সারাদিনের সব কথা সেরে রাখে হাওয়া বাতাসে। কিছু পাখি যারা বংশ পরম্পরায় এখানে বাস করছে, তারা গাছের আড়াল ছেড়ে নিশ্চিন্তে বাগানের ঘাসের ওপর ঘুরে বেড়ায়। এরপর আর সারাদিন তাদের সঙ্গে মাটির যোগাযোগ থাকবে না। সহজ আগে দু-চারবার খুব ভোরে উঠে পাতার সঙ্গে হাওয়ার, পাখির সঙ্গে মাটির যাপন দেখেছে। তারপর আর কখনও উঠে বাগানে ঘুরে বেড়াতে মন চায়নি। তার মনে হয় ওদের এটুকু ব্যক্তিগত সময়কে কেড়ে না নেওয়াই ভালো।
এ-বাড়িতে রাতের বেলা সম্বুদ্ধ মিত্র ঘুরে বেড়ান।  আর সেটা অনেক রাত পর্যন্ত। তিনি চেষ্টা করেন কতটা নিঃশব্দে হাঁটা যায়। কিন্তু মাঝে মাঝে ক্যাপ ফাটানো আওয়াজের মতো তাঁর পায়ের হাওয়াই চটির ফট ফট একটুকরো জোড়া আওয়াজ হঠাৎই ঠিকরে ওঠে। আওয়াজ হলেই খুব সতর্ক তিনি। আরও নিঃশব্দের ভিতর ঢুকে পড়েন। সহজের মনে হয় কখনও কখনও উনি বাড়তি সতর্কতার জন্য হয়তো খালি পায়ে বারান্দা, সিঁড়িতে ঘোরেন। সচরাচর তিনি দোতলায় ওঠেন না। কিন্তু অধিক রাতে সহজ দোতলার বারান্দায় বাবাকে দেখেছে, অদ্ভুতভাবে নীচের দিকে তাকিয়ে আছেন। মানুষ রাতের বেলায় আকাশ দেখে, আকাশের তারা দেখে, বাবা যে নীচের দিকে কী দেখেন কে জানে!
সম্বুদ্ধ মিত্র জানেন, সহজ অনেক রাত পর্যন্ত লেখাপড়া করে। কী লেখাপড়া আগে জানতেন না। কোনওদিন সেভাবে জানতেও চাননি সহজ ভবিষ্যৎ নিয়ে কী ভাবে? যা, জানতে চান না সে বিষয়ে ওঁকে বলা, বা ওঁর সঙ্গে আলোচনারও কোনও দরকার পড়ে না। কিন্তু ইদানীং উনি যেন অদ্ভুত চোখে সহজের দিকে তাকান। ম্যাথমেটিকসের স্টুডেন্ট সহজ ঠাকুরদা শশাঙ্ক মিত্রের পথ কি অনুসরণ করবে? কী আশ্চর্য, বাহ্‌  রে জীবন! 
সহজ দেখেছে, তার বাবা দু’-দুখানা স্বদেশ পত্রিকা কিনে এনেছিলেন। এখনও একটা বাবার টেবিলে আছে। অন্যটি মায়ের ঘরে। কীভাবে যেন সহজের গল্প লেখা এবং এত বড় একটি পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার খবর ঠাকুমা বাসবী মিত্রের কাছে গিয়েছিল। হয়তো মিমিই খবর বহনকারী পায়রার কাজটি করেছিল। তার সূত্র ধরে বাসবী মিত্র অদ্ভুত একটা মন্তব্য করেন— ওই লোকটা বংশের রক্তে পারাদোষ ঢুকিয়ে দিয়েছে। এই ছাইপাঁশ লেখার অসুখ এবার ঘুরে ফিরে আসবে।
এই কথাগুলোও মিমি বহন করে এনে সহজকে শুনিয়েছে। সহজ শুনেছে। মিমি ওর মুখের রেখা পড়ছে। সহজ কী ভাবছে? কী ভাবছে সহজ? মিমি বলল, ‘কী রে সেই জ্যোতিষীর কাছে কবে নিয়ে যাবি?’
‘যেদিন যেতে চাস।’
‘কালই যাব।’
‘আচ্ছা, সকালবেলা।’
রাতে সম্বুদ্ধ মিত্র বললেন, ‘কী হল, আর লেখা কই? পাঠক কিন্তু ভুলে যাবে তোমার লেখার কথা! আমি পড়তে চাই।’
‘লিটল ম্যাগাজিনে একটা গল্প বেরিয়েছে, পড়বে?’
‘লিটল বলে তুমি এমন সংকোচ করছ কেন? ম্যাগাজিন তো বটে। একজন সম্পাদক বা সম্পাদকমণ্ডলী তোমার লেখা নির্বাচন করেছে। তারা সেই লেখা পাঠকের দরবারে হাজির করছে। আমি একজন পাঠক। কেন পড়ব না, আলবাত পড়ব। সব ভালো লেখাই কি বড় কাগজে ছাপা হয়, দাও।’
সহজ দৌড়ে গিয়ে একটা রোগা পত্রিকা এনে সম্বুদ্ধ মিত্রকে দিল। পত্রিকাটা নিয়ে চলে যেতে গিয়ে ঘুরে দাঁড়ালেন সম্বুদ্ধ মিত্র। খুব নিচু গলায় বললেন, ‘তোমার ঠাকুরদা তাঁর একটা লেখার কথা একদিন আমাকে বলতে এসেছিলেন। আমি তার আগেই তোমার মায়ের কাছে শুনেছিলাম, উনি বেদ, পুরাণ, সমস্ত উপনিষদ, সংহিতা নিয়ে কিছু লিখছেন। যা আমার মাথার অনেক ওপর দিয়ে যাবে। তাই আমি বুঝব না বলে শুনতে চাইনি। শুনতে চাইনি তার আর একটা কারণ ছিল, আমি এসব শুনলে তোমার ঠাকুমা অহেতুক অশান্তি করবেন। সেদিন আমি বড় অন্যায় করেছি। উনি আর আমাকে সুযোগ দেবেন না, তাই তোমার বেলায় কোনও ভুল করতে চাই না।’
সহজ হাসল। বলল, ‘আমি তোমার ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করব।’
‘তাই করো। এটা পিতৃঋণ মনে রেখো। উনি ওই ট্রাঙ্কের মধ্যে গুপ্তধন রেখে যাচ্ছেন। ওর রচনার একটি শব্দও গুরুদেবের চিঠির মতো গঙ্গাজলে ধুয়ে দেওয়া চলবে না। সব উদ্ধার করো। তোমার ঠাকুমা ওই ট্রাঙ্কে গঙ্গাজল শুধু নয়, আগুনও দিতে পারেন।’
সহজ খুব শান্ত গলায় বলল, ‘পারবে না, আমি আছি। তোমার সঙ্গে আর একটি কথা ছিল আমার—’
‘বলো।’
‘আমি ঠাকুরদাকে তাঁর গুরুদেবের আশ্রমে দিয়ে আসতে চাই।’
সম্বুদ্ধ মিত্র সোজা হয়ে দাঁড়ালেন, ‘মানে, তারপর, তুমি তোমার ঠাকুমাকে সামলাতে পারবে?’
সহজ হাসল, ‘আমি ওঁকে সামলানোর চেষ্টাই করব না।’
‘উনি কিন্তু আমার মা, আমি ওঁর অসম্মান চাই না।’
‘কিন্তু ওঁর এই পাপের শাস্তি হওয়া দরকার। ঠাকুরদা দীর্ঘদিনই সংসার ত্যাগ করেছেন। তিনি গুরুদেবের আশ্রমে চলে যাওয়ার জন্য অনুমতি চেয়ে গুরুদেবকে চিঠি দিচ্ছেন। আর ঠাকুমা সেই চিঠি গোপনে হস্তগত করে নষ্ট করে দিচ্ছেন। তাঁর জেদ, তিনি জীবিত অবস্থায় ঠাকুরদাকে এই বাড়ির বাইরে বেরতে দেবেন না। মুক্তি দেবেন না।’
‘এটা ওঁদের দুজনের ব্যাপার, ওঁরা তোমার গুরুজন। এর মধ্যে আমরা থাকব না। আমি কোনওদিন থাকিনি।’
‘তুমি থাকনি বলে আমি থাকব না, এমন কোনও কথা নেই। ঠাকুমা চিঠি নষ্ট করার পাপ নিজে বহন করছেন না, তারজন্যে আমার মাকে ব্যবহার করছেন। গুরুদেবকে লেখা ঠাকুরদার চিঠিগুলোতে আমার মাকে দিয়ে গঙ্গাজল ঢালাচ্ছেন। গঙ্গাজলে ভিজে চিঠিগুলো নষ্ট হয়ে গেলে গাছের গোড়ায় ফেলে দিতে বলেছেন। আমার মা মনে করেন— তিনি ব্রহ্মহত্যার পাপে বিদ্ধ হচ্ছেন। আমি আমার মাকে সেই পাপ থেকে মুক্তি দিতে চাই।’
চমকে উঠে সম্বুদ্ধ মিত্র তাকালেন সহজের দিকে। ‘কী চাও তুমি?’
‘ঠাকুরদাকে শেষ দিনগুলো আশ্রমে থাকার ব্যবস্থা করে দিতে। আর কিছু না।’
‘ব্যাপারটা গোপন থাকবে না, এই বাড়ি তোমার ঠাকুমার নামে করে দিয়েছেন তোমার ঠাকুরদা। তিনি সব সম্পত্তি থেকে তোমাকে বঞ্চিত করবেন, আর এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।’
‘তাতে আমার কোনও সমস্যা নেই। আমি স্বেচ্ছায় ছেড়ে দেব।’
‘তুমি কি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছ, পরে আফশোস করবে না তো?’
‘আমি আমার মাকে ব্রহ্মহত্যার পাপ থেকে আর ঠাকুরদাকে সংসারের বন্ধন থেকে মুক্তি দিতে চাই।’
‘আমি আপত্তি করব না। সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হলেও আমার যা আছে তাতে তোমার জীবন ডালভাতে কেটে যাবে। নিজের যেটা ভালো মনে হয়, সেই কাজ করো।’
সম্বুদ্ধ মিত্র শব্দহীন পায়ে মাথা নিচু করে নিজের ঘরে ঢুকে গেলেন। সহজ ঘরের আলো নিভিয়ে টেবিল ল্যাম্প জ্বালল। 
রাত শেষ হয়ে কখন ভোর হয়েছে। এখন শুয়ে পড়লে আর মিমিকে নিয়ে যাওয়া হবে না ক্যাপ্টেনের কাছে। সে বারান্দায় এসে দেখল, শশাঙ্ক মিত্র। লুঙ্গির মতো করে ধুতি পরা। গায়ে একটা ফতুয়া। খালি পা। বাগানের ভিতর চুপ করে দাঁড়িয়ে আছেন। হয়তো কিছু দেখছেন।
শশাঙ্ক মিত্রের সর্বক্ষণের ছায়াসঙ্গী অচল নিশ্চয়ই এত ভোরে ঘুম থেকে ওঠে না। অন্তত সহজ তাকে কোনওদিন এমন ভোরে বাগানে দেখেনি। সহজের খুব ইচ্ছে করছিল, একবার নীচে নেমে ঠাকুরদার পাশে গিয়ে দাঁড়াতে। কিন্তু সহজ বাগানে এলেই উনি পায়ে পায়ে ঘরে ঢুকে যাবেন। সহজ থামাতে চাইলেও তিনি কোনও না কোনও অজুহাত খুঁজে নেবেন। সহজ খুব ভালো করে শশাঙ্ককে দেখেছে। এ-বাড়ি, পরিবারের সবাই মনে করে শশাঙ্ক মিত্র ভিতু একটা মানুষ, স্ত্রীর ভয়ে ভীত হয়ে তাঁর এই আত্মগোপন। ওঁর স্ত্রীও তাই মনে করেন যে, তিনি মানুষটিকে দমাতে পেরেছেন। কিন্তু সহজ মনে করে এটা ডাহা ভুল। তার মনে হয় শশাঙ্ক মিত্রের সিদ্ধান্ত স্থির। তিনি লক্ষ্যে অবিচল। যা সম্বুদ্ধ মিত্রও কোনওদিন বুঝতে পারেননি। তিনি কাজ করে যাচ্ছেন, ফলের আশা না করেই। যা লিখছেন, তা লিখে রেখে যাচ্ছেন ট্রাঙ্কে। আর গুরুদেবের আশ্রমে গিয়ে শেষ জীবনটা কাটানো— তার জন্যে তিনি বার বার চিঠি লিখছেন। চিঠির উত্তর না পেয়ে কখনও কোনওদিন হতাশ হচ্ছেন না। তিনি তো জানতে পারছেন না, তাঁর লেখা সমস্ত চিঠিই হস্তগত করছেন তাঁর স্ত্রী, তারপর সেই চিঠি গঙ্গাজলে ধুয়ে নষ্ট করে দিচ্ছেন।
ভোর হয়ে গিয়েছে। শশাঙ্ক মিত্র বাগান থেকে নিজের ঘরে ফিরে গিয়েছেন। সহজ ঘড়ি দেখল। পাঁচটা পনেরো। সে জানে এখন হয়তো মা উঠেছে ঘুম থেকে। কিন্তু ঠাকুমা ওঠেননি। তিনি উঠে বাইরে এলেই এ বাড়ির দিন শুরু হয়। ঠাকুরদার জন্য অচল চা করে দেবে।  ঠাকুমা উঠবেন ঠিক ছ’টায়। বাগানে এসে ফুল তুলবেন। মা ঢুকবে স্নানের ঘরে। স্নান সেরে ঠাকুরঘরের কাজে। মাঝে একবার এসে চা খাবে।
সহজ এসে দাঁড়াল তার ঠাকুরদার ঘরের সামনে। মেঝেতে আসন পেতে শশাঙ্ক মিত্র পদ্মাসনে বসে। ঘরের সমস্ত জানলা খোলা। পর্দা সরানো। মাথার ওপর পাখা বন্ধ। শুধু এই বাড়ির সঙ্গে সংযোগ করা দরজাটি ভেজানো। ওই দরজার ওপারে এ বাড়ির দীর্ঘদিনের লোক অচলের থাকার জায়গা। সবাই ঘুম থেকে উঠে পড়লে ওই দরজা বন্ধ হয়ে যায়। তখন ঘুরপথে শশাঙ্ক মিত্রের ঘরে আসতে হয়।
শশাঙ্ক মিত্র পদ্মাসনে নিশ্চুপে বসে ছিলেন। সহজ বলল, ‘আমার কিছু কথা আছে তোমার সঙ্গে, একটু ভেতরে আসব।’
সে অনুমতির অপেক্ষা করল না। চটি ছেড়ে সটান ঢুকে পড়ল ঘরে। ঘরে এসে মেঝেতেই বসল, মুখোমুখি। পদ্মাসনে বসতে পারলে যেন ভালো হতো, কিন্তু সে চেষ্টা করল না। বলল, ‘আমার কিছু কথা ছিল—। যা তোমাকে শুনতেই হবে। তোমার মতামতের আমি অপেক্ষা করব না। প্রথম কথা, তোমার গুরুদেবের আশ্রমের ঠিকানা আমাকে দাও। আমি খোঁজ নেব, তোমার ওখানে থাকার ব্যবস্থা কী আছে? যদি আমার মনে হয়, তুমি ওখানে গিয়ে থাকতে পারবে, তাহলে কাউকে না জানিয়ে তোমাকে আমি নিয়ে যাব। তোমাকে আমার সঙ্গে যেতে হবে। আমি তোমাকে গিয়ে দিয়ে আসব। আর শুনে রাখো, ওই আশ্রম থেকে কোনও চিঠির উত্তর আসবে না, কারণ তোমার চিঠি আশ্রমে পৌঁছচ্ছে না, এ ব্যাপারে আমাকে প্রশ্ন করো না, আমি নিশ্চিত।’
সহজের এই কথাটা শুনে শশাঙ্ক মিত্র যেন কেঁপে উঠলেন।
সহজ বলল, ‘তাই আমার সঙ্গে গোপনে তোমাকে যেতে হবে। অচলদাকে জানানো যাবে না। আর একটা কথা, আমাদের বিশ্বাস করতে হবে। আমরা মানে আমি আর তোমার ছেলে। আমি তাকে সব বলেছি, তুমি এ বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার আগে তোমার সমস্ত লেখা এক রাতে আমি আর বাবা এসে এই ঘর থেকে নিয়ে যাব। সব লেখা আমার আলমারিতে ঢুকিয়ে লক করে দেব। কারণ, আমাদের মনে হয়, তুমি এই বাড়ি ছেড়ে চলে গেলেই, হয়তো তোমার লেখাপত্র নষ্ট হয়ে যাবে। কারণ, ঠাকুমা মনে করেন, এই লেখার নেশায় তুমি সংসার ত্যাগ করেছ। বাদ বাকি লেখার কাজ তুমি আশ্রমে বসেই শেষ করো। তার দায়িত্ব আমার। আমার অনুরোধ যে লেখার জন্য জীবন দিলে, তা সম্পূর্ণ করো, আর তা তুমি পারবে।’
শশাঙ্ক মিত্রের দু’চোখ বেয়ে জলের ধারা নেমে আসছে।
‘আমাকে আশ্রমের ঠিকানাটা দাও। আমি দু’-চারদিনের মধ্যেই খোঁজ নিয়ে নেব। তারপর আমাদের শুভযাত্রা—’
শশাঙ্ক মিত্র আঙুল দিয়ে কালো রঙের বহু পুরনো একটা ডায়েরি দেখাল। সহজ ডায়েরিটি নিয়ে খুলতেই লাল কালিতে লেখা আশ্রমের ঠিকানা। সহজ খুব দ্রুত  ঠিকানার ছবি তুলে নিল মোবাইলে। 
অচলের পায়ের আওয়াজ আসছে। 
‘আমি আসি। দিন ঠিক হলেই তোমাকে জানাব, মানসিকভাবে তুমি প্রস্তুত হও। এ বাড়ি থেকে তোমার মুক্তি, আমি শুধু তোমাকে মুক্ত করব না, আমার মাকেও মুক্তি দেব।’
মুক্তির আকাঙ্ক্ষায় শশাঙ্ক মিত্রের মুখে হাসি। সহজ বেরিয়ে এল ঘর থেকে।
(চলবে)
08th  August, 2021
গাছ জগবন্ধু
অভিজিৎ তরফদার

—ওই যে ঘরের মধ্যে টাকা মেশিন। বোতাম টিপলেই টাকা। —এটিএম? বেড়ে বলেছ তো! আচ্ছা জগবন্ধু, একটা কথা জিজ্ঞেস করব, কিছু মনে করবে না তো? —না না, মনে করবার কী আছে? গরিব মানুষের অত মনে করলে চলে না।  বিশদ

22nd  August, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ২৬
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বোনকে নিয়ে পিশাচসাধুর বাড়িতে হাজির হল সহজ। মিমির অতীত নিয়ে এমন কয়েকটি ইঙ্গিত করলেন তিনি, যার জেরে তার সব কিছু গোলমাল হয়ে গেল। দাদার উপর সব রাগ আছড়ে পড়ল মিমির। এদিকে, সহজ ভাবতে থাকল কীভাবে উদ্ধার করা যায় বঁড়শিকে। তারপর... বিশদ

22nd  August, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ২৫
জয়ন্ত দে

সহজ বাবাকে জানিয়ে দিয়েছে, সে ঠাকুরদাকে আশ্রমে পৌঁছে দিতে চায়। শশাঙ্ক মিত্রের ঘরে এসে হাজির হল সে। তাঁর লেখা চিঠি যে ঠাকুমার কারসাজিতে গুরুদেবের কাছে পৌঁছয় না, সেই রহস্য ফাঁস করে দিল সহজ। সে চেয়ে নিল আশ্রমের ঠিকানা। মুক্তির আশায় শশাঙ্কের মুখে দেখা গেল হাসির রেখা। তারপর... বিশদ

15th  August, 2021
অনলাইন
ঝিমলি নন্দী

রাত দশটা। মেসেঞ্জারে পিং করে একটা মেসেজ ঢুকল। মোবাইলটা মুঠোয় একটু  ধরে রাখল মণিদীপা। তারপর রোজকার মতোই পরিপাটি মশারি গুঁজতে লাগল। আবার কাল ঠিক সকাল ছ’টায় মেসেজ করবে বুদ্ধ। সুপ্রভাত! বুদ্ধের পাঠানো মেসেজে আজও ঘুমোতে যায় মণিদীপা। বিশদ

08th  August, 2021
পিশাচ সাধু

সহজকে নিজের জীবনের গল্প শোনাল বঁড়শি। আশ্রম থেকে কীভাবে সে পিশাচসাধুর খপ্পরে পড়ল সেই গল্প। বঁড়শিকে আদতে বিয়ে করেননি ক্যাপ্টেন।
বিশদ

01st  August, 2021
ঘাম

টানটান চাদরে ঢাকা তক্তার এক কোণে বালিশ-তোশকের স্তূপ, রংচটা সিমেন্টের দেওয়ালটাকে কিছুটা আড়াল করতে একখানা আয়না বসানো।
বিশদ

01st  August, 2021
পিশাচ সাধু

সহজকে একটা ঘরে বসতে দিল বঁড়শি। সেই ঘরের উত্তর দিকের কোণে চোখ আটকে গেল সহজের। সেখানে একটা জায়গায় বালি ফেলা, পড়ে রয়েছে পোড়া কাঠ।
বিশদ

25th  July, 2021
গাছ
সাইকেল ও প্রেম

কাটারির কোপ গাছে পড়তেই গাছের আর্তনাদ ধক করে বুকে এসে লাগল অপরাজিতের বুকে। ব্যালকনিতে ডিভানে বসে সকালের কাগজ পড়ার অভ্যাস সঙ্গে এক কাপ চা।
বিশদ

25th  July, 2021
পিশাচ সাধু

সহজ বাড়ি ফিরতেই ক্যাপ্টেনের কাছে যাওয়ার জন্য ঘ্যান ঘ্যান শুরু করল মিমি। সুজির সমস্যা নিয়ে ভাবতে ভাবতে কূল-কিনারা পেল না সহজ।
বিশদ

18th  July, 2021
পিশাচ সাধু  
 

ভবিষ্যৎ জানতে সহজের সঙ্গে পিশাচ সাধুর বাড়িতে হাজির হল সৃজনী। ক্যাপ্টেন ব্যঙ্গ করে জটিলা বলে ডাকতে শুরু করলেন সৃজনীকে। ভবিষ্যৎ জানতে চাইতেই পিশাচ সাধু ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিলেন, নীলাদ্রির সঙ্গে তার প্রেমের পরিণতি ভয়ঙ্কর। বরং, মেডিক্যালে চান্স পাওয়ার জন্য সৃজনীর পড়ায় মন বসানো উচিত। বিশদ

11th  July, 2021
পিশাচ সাধু
 

নচের মেয়ের কাছ থেকে পিশাচ সাধুর বিষয়ে জানতে পেরেছে সহজের ছাত্রী সৃজনী। সেও জ্যোতিষীর কাছে ভবিষ্যৎ জানতে চায়। তাঁর কাছে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহজকে ব্ল্যাকমেল করতে শুরু করে সৃজনী। বিশদ

04th  July, 2021
কৃষ্ণাঙ্গ

সাইপ্রাস গাছের সূক্ষ্ম পাতার কোণে কোণে জলবিন্দু জমে আছে। রাতে বৃষ্টির পর সকালের মুক্তোরঙা আকাশ কমনীয় অথচ নির্ভার। নরম বালিশের কোলে পাশ ফিরল অনঘ। আলগা অপলক মেঘের গায়ে গোলাপি রঙের ছোঁয়া। বিশদ

04th  July, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বর্ণিনীর সঙ্গে বিচিত্রদার বাড়ি গেল সহজ। আর সেখানে গিয়েই গল্প প্রকাশের রহস্যের জট কাটল। আসলে পত্রিকা অফিসে গল্পটি পাঠিয়েছিলেন বিচিত্রদা। কিন্তু সহজের মুখে পিশাচ সাধুর নাম শুনে ভীষণ খেপে গেলেন তিনি। বিশদ

27th  June, 2021
মাধুকরী  
সৌরভ মিত্র

 

 মেঘ ডাকছিল এতক্ষণ। পাকা রাস্তা ধরে কয়েক পা এগতেই বড় বড় ফোঁটায় বৃষ্টি শুরু হল। ভালোই মেতেছে! দশহাত দূরের মানুষকেও যেন চেনা দায়! পশ্চিম কালো হয়ে আসছিল সকাল থেকেই। গুপ্ত-বৃন্দাবনের মেলার তাড়া না থাকলে হয়তো ঘর ছাড়ত না সুদাম গোঁসাই। বিশদ

27th  June, 2021
একনজরে
দুয়ারের সরকারের ক্যাম্পে ছাতা মাথায় দাঁড়িয়ে আছেন মহিলারা। অন্যান্য লাইনে হুড়োহুড়ি থাকলেও শান্ত হয়েই প্রতীক্ষায় মহিলারা। অধিকাংশের মুখেই চওড়া হাসি। কোনও তাড়া নেই তাঁদের। কারণ ...

দেশজুড়ে সরকারি সংস্থা বিক্রির কড়া সমালোচনা চলছে। তবু মোদি সরকার অনড়। সিংহভাগ ক্ষেত্রেই সরকারের উপস্থিতি যে কমিয়ে আনা হবে, সরাসরি একথা জানিয়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। বুধবার তিনি বলেছেন, দুটি ভাগে সরকারি সংস্থাকে বিভাজিত করা হচ্ছে। ...

‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে সুবিধা পাওয়ার জন্য মালদহে তিন লক্ষেরও বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। ‘দুয়ারে সরকার’ কর্মসূচির আওতায় প্রথম ন’দিনের শিবিরে ওই আবেদন জমা পড়েছে বলে ...

একই বিষয় নিয়ে দুটি মামলা। প্রথমটির উল্লেখ না করেই দ্বিতীয়টি দায়ের করা হয়েছে। এমন অভিযোগে বাঁকুড়ার মেজিয়া এলাকা থেকে বেআইনি কয়লা তোলার দ্বিতীয় মামলাটি বুধবার খারিজ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

হঠাৎ নেওয়া সিদ্ধান্তে বিপদে পড়তে পারেন। চলচিত্র ও যাত্রা শিল্পী, পরিচালকদের শুভ দিন। ধনাগম হবে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৭২৩ - অণুবীক্ষণ যন্ত্রের আবিষ্কারক ওলন্দাজ বিজ্ঞানী আন্তেনি ভান লিউভেনহুকের মৃত্যু
১৮৬৯ - রহস্য কাহিনীকার ও সম্পাদক দীনেন্দ্র কুমার রায়ের জন্ম
১৯১০: নোবেল জয়ী সমাজসেবী মাদার টেরিজার জন্ম
১৯২০ - মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের ভোটাধিকার স্বীকৃত হয়
১৯২০: অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম
১৯২৭ - ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং কোম্পানি কলকাতায় প্রথম বেতার সম্প্রচার শুরু করে
১৯৩৪: কবি ও গীতিকার অতুলপ্রসাদ সেনের মৃত্যু
১৯৪৩ - আজাদ হিন্দ ফৌজ আনুষ্ঠানিকভাবে গঠিত হয়
১৯৫৫ - সত্যজিত্ রায়ের চলচ্চিত্র ‘পথের পাঁচালী’র মুক্তি লাভ
১৯৫৬: রাজনীতিক মানেকা গান্ধীর জন্ম
১৯৬৮: চিত্র পরিচালক মধুর ভাণ্ডারকরের জন্ম 
২০০৩ - লেখক ও ঔপন্যাসিক বিমল করের মৃত্যু



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.৩৭ টাকা ৭৫.০৮ টাকা
পাউন্ড ১০০.১১ টাকা ১০৩.৫৭ টাকা
ইউরো ৮৫.৫৯ টাকা ৮৮.৭১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮, ২০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৫,৭৫০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৬, ৪৫০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬৪, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬৪, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

৯ ভাদ্র ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট ২০২১। চতুর্থী ২৯/৪৪ অপরাহ্ন ৫/১৪। রেবতী নক্ষত্র ৪২/৫১ রাত্রি ১০/২৯। সূর্যোদয় ৫/২০/৫২, সূর্যাস্ত ৫/৫৬/১২। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৫৩ গতে ৩/৩ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১০/২৩ গতে ১২/৫৪ মধ্যে। বারবেলা ২/৪৭ গতে অস্তাবধি। কালরাত্রি ১১/৩৮ গতে ১/৪ মধ্যে।
৯ ভাদ্র ১৪২৮, বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট ২০২১। চতুর্থী অপরাহ্ন ৫/৩৪। রেবতী নক্ষত্র রাত্রি ১১/৫৫। সূর্যোদয় ৫/২০, সূর্যাস্ত ৬/০। অমৃতযোগ রাত্রি ১২/৪৩ গতে ৩/৪ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৭/৩ মধ্যে ও ১০/১৯ গতে ১২/৪৪ মধ্যে। কালবেলা ২/৫০ গতে ৬/০ মধ্যে। কালরাত্রি ১১/৪০ গতে ১/৫ মধ্যে।
১৭ মহরম।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
তৃতীয় টেস্ট: প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ২৯৮/৩ (চা বিরতি) 

08:49:20 PM

কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ফের কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে দ্বিতীয় বিস্ফোরণ

08:44:00 PM

কাবুল বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু, রয়েছে একাধিক শিশুও 

08:21:08 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে আক্রান্ত ৭১৭, মৃত ৯ 

08:03:25 PM

কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণ, হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি 

07:54:59 PM

কমতে পারে কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের দুটি ডোজের ব্যবধান: সূত্র 

06:01:10 PM