শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
‘আমার নাম নন্দিনী। আমি শিবশম্ভু দারোগার মেয়ে।’
পরিচয়টা শুনে সহজ ভেতরে ভেতরে চমকে উঠল। কিন্তু যথাসাধ্য চেষ্টা করল স্বাভাবিক থাকার। পরমেশ্বর আগে বললে সহজ আসত না। এ কী বিড়ম্বনা!
কাজের মহিলা এল, সামনে চা আর প্লেট ভরা মিষ্টি রেখে গেল। সহজ বলল, ‘আমি শুধু চা খাব। প্লিজ মিষ্টি নিয়ে যেতে বলুন।’
‘আমি তো আপনাকে মিষ্টি দিইনি। মিষ্টি পাঠিয়েছেন আমার মা। মাকে বলুন। মা আসছেন।’
সহজ ঢোক গিলল। শিবশম্ভু দারোগার ছোটবউ। যাঁকে নিয়ে সহজের গল্প। কী মুশকিল! পরমেশ্বরদা যে এমন অবস্থায় তাকে ফেলে যেতে পারে সহজ কল্পনাতে কোনওদিন ভাবেনি।
‘নিন চা খান।’
সহজ চায়ের প্লেট টানতেই ঘরে একজন বয়স্কা মহিলা ঢুকলেন। সহজের মুখোমুখি সোফায় এসে বসলেন। বললেন, ‘তোমার গল্প আমি পড়েছি। খুব ভালো হয়েছে।’
সহজ হাসল।
‘আমি শিবশম্ভু দারোগার স্ত্রী। তোমার গল্পের ছোটবউ।’
ভদ্রমহিলা নিজের নাম বললেন না। কিন্তু সহজ ওঁর নাম জানে সনকা। শিবশম্ভু দারোগার ছোটবউ। যাকে নিয়ে অনেক রটনা ওই এলাকায়। সহজ চুপ করে দেখছিল ভদ্রমহিলাকে। মাথার চুল ধবধবে সাদা। ঘাড় পর্যন্ত সেই চুল। বেশ পরিপাটি করে আঁচড়ানো। হাতের মোটা পেটি সোনার চুড়ি, গলায় সরু হার, লকেটের পাথরগুলো থেকে আলো ঠিকরে বেরচ্ছে। হীরেই হবে। কানেও বসানো দুল। সেটা হীরে। আলোর বিচ্ছুরণ যেন তা জানান দিচ্ছে।
ভদ্রমহিলা সোফার ওপর গুছিয়ে বসলেন।
সহজ বেশ কিছুদিন ধরে এই শিবশম্ভু দারোগার বউয়ের কথা শুনে আসছে। সে ভেবেছিল কেমন হবেন, খুব জাঁদরেল টাইপের মহিলা। লম্বা হতে পারেন, অবশ্যই বেশ ভারী চেহারা হবে। বড় বড় চোখ, মোটা ভ্রু, দু’ঠোঁটও বেশ পুরু হবে। দুম দুম করে তার ঠাকুমার মতো হাঁটেন, খুব জোরে জোরে কথা বলেন। এমনই হবে। গায়ের রং খুব ফর্সা নয়, তবে কালো হবে না। কিন্তু এ বাড়িতে এসে তার সমস্ত হিসেবই উল্টে গেল।
ভদ্রমহিলা খুব ফর্সা, মাঝারি উচ্চতা, রোগা নন রীতিমত সুন্দর চেহারা, স্লিম। এই বয়সেও টানটান। এমনভাবে হাঁটেন, যে পায়ের শব্দ কেউ পাবে না। কথা বলেন নিচু গলায়, কেটে কেটে, খুব স্পষ্ট উচ্চারণ। কথা বলার সময় দাঁত দেখা যায় না। সারা শরীরে ও উপস্থিতির মধ্যে আভিজাত্য আছে। বসে আছেন একটু বাঁ দিকে কাত হয়ে। ঠিক সহজের মুখোমুখি।
জানলে হয়তো সহজ আসত না। কোনও না কোনওভাবে এড়িয়ে যেত। ওঁর মনে হতেই পারে সহজ তাঁদের পরিবার নিয়ে কুৎসা করেছে। নাম ধাম সমস্ত পরিচয় বদলে দিলেও যে কেউ বলবে—আরে এটা তো শিবশম্ভু দারোগার গল্প। গল্পে শিবশম্ভু হয়েছে হরিহর দারোগা। তাঁর ছোটবউয়ের নাম ছিল সনকা। গল্পের চরিত্র হয়েছে রমলা। পরিচারিকার নাম ছিল মেনকা। হয়েছে রমা। ওঁর নিশ্চয়ই এসব পছন্দ হয়নি। না হওয়ারই কথা। কে চায় নিজের পরিবারের কেচ্ছা আর পাঁচজন মানুষ জানুক।
সনকা বললেন, ‘তুমি তো বেশ বাচ্চা ছেলে! তুমি আমাদের ওই বাড়ির কথা বাবা-মায়ের কাছে শুনছ নিশ্চয়ই। ওদিকেই থাক?’
সহজ ঘাড় নাড়ল, ‘হ্যাঁ, আমি ওদিকেই থাকি। কিন্তু বাবা-মায়ের কাছে কিছু শুনিনি। তারা এসব কথা জানেন না।’
‘তবে লোকের মুখে মুখে শুনেছ? পরমেশ্বরের উচিত ছিল তোমাকে আগে আমার কাছে নিয়ে আসা। তাহলে হয়তো—।’
সহজ চায়ের কাপটা টেবিলে রাখল। বলল, ‘পরমেশ্বরদা না এনেছে ভালোই করেছে। এলে গল্পটা হয়তো হতো না।’
‘কেন হতো না? হয়তো আরও ভালো হতো। সত্যিটা জানতে পারতে। ওই যে তুমি লিখছ না, কাজের মেয়ে রমার লাশটা পাওয়া গেল— আর লাশ নিয়ে ধরপাকড় করতে এসে পুলিস কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা উদ্ধার করল। যে টাকার কোনও হিসেব নেই। সত্যিটা কি জানো, মৃত্যুটাকে ধামাচাপা দিতে পুলিসকে ওই টাকার খাজানাটা দেখিয়েছিলেন আমার স্বামীই। আমার স্বামী সারাজীবন টাকা নিয়ে নানা অন্যায় ধামাচাপা দিয়েছেন। সেভাবেই তিনি চেয়েছিলেন বিষয়টা ম্যানেজ করতে। সেটাই করতে গিয়েছিলেন। আর তাতেই বিপত্তি। ওদের পুলিসদের মধ্যে থেকেই শত্রুতা হয়েছিল। ওঁর ডিপার্টমেন্টের একজন কলকাঠি নেড়েছিল। নিজেদের মধ্যে পুরনো লড়াই।’
সনকা থামেন। বললেন, ‘মিষ্টি খাও।’
‘আমি এত মিষ্টি খাব না।’
‘তা বললে শুনব না। আস্তে আস্তে খাও। আমি তোমাকে কেন ডেকেছি জানো? তোমাকে একটা গল্প বলব। নতুন গল্প।’
সহজ অবাক হয়ে সনকার দিকে তাকাল, তাকে ডেকেছেন নতুন একটা গল্প বলবেন বলে!
সনকা বললেন, ‘কী শুনবে তো গল্পটা—তাহলে আমার কথা শুরু করি—।
সহজ হ্যাঁ বা না বলল না।
‘তুমি নিশ্চয়ই আমার নামটা জানো। তুমি যখন রমলার সঙ্গে রমা করেছ। তখনই আমি বুঝছি, সনকার সঙ্গে তুমি মেনকাকে মিলিয়েছ। তবু বলি আমার নাম সনকা। এই বাড়িটা আমার। বিয়েতে যৌতুক পাওয়া। আমাদের পরিবার এখানে থাকত না। আমরা ছিলাম দ্বারভাঙায়। ওখানেই আমার বড় হয়ে ওঠা। পড়াশোনা করা। আমার বাবা ছিলেন দ্বারভাঙার এক জমিদারের ম্যানেজার। বিয়ের আগে আমি কলকাতায় এসেছি একবার। এলে এই বাড়িতেই উঠতাম। এই বাড়িটা অরিজিনালি ছিল জমিদারের। উনিই আমাকে বিয়েতে যৌতুক দেন।
এই সময় কলকাতায় একটা খুনের ঘটনা ঘটে। খুন করে খুনি পালিয়ে যায় দ্বারভাঙায়। সেই খুনিকে ধরতে শিবশম্ভু দারোগা দ্বারভাঙায় যান। তিনি উঠেছিলেন ওই জমিদারের গেস্ট হয়ে। সেখানে তাকে পছন্দ হয়ে যায় জমিদারবাবুর। তার ছোটমেয়ের সঙ্গে বিয়ে দেবেন ঠিক করেন। এই পর্যন্ত ঠিকই ছিল। এরমধ্যে আমাদের পরিবার ছিল না। কিন্তু বিয়ের দিন জমিদারবাবুর ছোটমেয়ে পালিয়ে যায়। এদিকে বরপক্ষের লোকজন ভোররাতে হাজির হয়ে গিয়েছে। কী হবে? তখন জমিদারবাবু আমার সঙ্গে বিয়ের ঠিক করেন। সেই বিয়েতে যৌতুক হিসেবে এই বাড়িটা আমাকে দেন।
আমরা জানতাম না, আমার স্বামীর আগে একটা বিয়ে ছিল। সেই স্ত্রী মারা গিয়েছেন। এই বাড়িতে আসার কিছুদিন পরে জানতে পারি। কিন্তু সেটা শুনে আমাকে চুপ করেই থাকতে হয়। আমি আর কাকে বলব, আমার বলার কেউ ছিল না। কিন্তু আমার সঙ্গে আমার স্বামীর সম্পর্ক ভালো ছিল না। উনিও আমাকে পছন্দ করতেন না। আমি আমার শাশুড়ির সঙ্গেই ভালো থাকতাম। ততদিনে আমি আমার স্বামীর চরিত্র সম্পর্কে অনেক কথাই শুনে ফেলেছি। সে সময় আমি এক কাজের মহিলার কাছে শুনেছিলাম, আমার স্বামীর প্রথমপক্ষের স্ত্রীকে নাকি আমি শাশুড়ি খুন করেছিলেন। কেন এ কথা রটেছিল আমি জানি না? তবে উনি জানতেন তাঁর নামে এমন একটা রটনা আছে। সে কথা আমি একদিন ওঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। উনি চুপ করে থেকে বলেছিলেন, ঈশ্বর না করুক তোমাকে এমন কোনও পাপের বোঝা ঠেলতে হয়।
কিন্তু অদৃষ্টির কী পরিহাস— সেই পাপের বোঝা আমি এখনও পর্যন্ত ঠেলে যাচ্ছি।
আমি আগেই বলেছি, আমার সঙ্গে আমার স্বামীর সম্পর্ক ভালো ছিল না। এই সময় আমাদের বাড়িতে কাজ করতে আসে একটি মেয়ে। মেনকা। তার সাতকুলে কেউ ছিল না। খুব শান্ত আর ভালো। কিন্তু তাকে ভালো থাকতে দিলেন না আমার স্বামী। বিষয়টা জানাজানি হতেই আমার শাশুড়ি মেনকাকে কিছু টাকা পয়সা দিয়ে তার দেশের বাড়ির এক কাকার কাছে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু আমার স্বামী মেয়েটির কাকাকে চুরির অভিযোগ দিয়ে কলকাতায় টেনে নিয়ে আসেন। মেনকাকে বলেন, যদি কাকাকে বাঁচাতে চাও, আবার কাজ করতে এসো। মেনকা আবার আমাদের বাড়িতে আসে। অসহায় সে। বাপ-মা কেউ নেই। একজন কাকা ছিল, সেও জেলে। সে বাধ্য হয় আবার বাঘের খাঁচায় ঢুকতে। আমরা চেষ্টা করেও তাকে বাঁচাতে পারি না। সে দিনের পর দিন আমার স্বামীর শয্যাসঙ্গিনী হয়। সে আমাদের সঙ্গেই আমাদের বাড়িতে থাকতে শুরু করে। এভাবে বছর খানেক চলে। এক বাড়িতে থাকলেও মেনকার সঙ্গে আমাদের দেখাসাক্ষাৎ কমই হতো। সে সারাদিন নীচের একটা ঘরে পড়ে থাকত। এরমধ্যে একদিন শুনলাম তার শরীর খুব খারাপ। ক্রমশ জানতে পারলাম মেনকা মা হতে চলেছে। আমার স্বামী তাকে গর্ভপাত করানো চেষ্টা করছেন। কিন্তু কোনও ডাক্তার রাজি হচ্ছেন না। মেনকার তখন যে অবস্থা, তখন গর্ভপাত করতে গেলে অবধারিত মৃত্যু। আমার শাশুড়ি তখন ওদের দু’জনের মাঝে আসেন। আমি ও আমার শাশুড়ি পরামর্শ দিই, মেনকাকে বিয়ে করে নিতে। আমার স্বামী রাজি হন না। মেনকাকে আমরা ওপরে তুলে নিয়ে আসি। সেবাশুশ্রূষা করি। তার একটি মেয়ে হয়। মেয়েটি বাঁচে। কিন্তু মেনকা মারা যায়। মেনকা মারা যেতেই পুলিসি হাঙ্গামা শুরু হয়। তাদের টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করতে গিয়ে আমার স্বামী তার খাজানা দেখিয়ে ফেলে। তার অসৎপথে রোজগার নিয়ে আগেই নানা কথা ছিল। এবার কিছু লোক মওকা পায়। মেনকার মৃত্যু কেস ধামাচাপ পড়ে কিন্তু হিসেব বহির্ভূত বিস্তর সম্পত্তির হদিশ পাওয়া যায়।
সেসময় আমার স্বামী চেয়েছিল মেনকার ওই মেয়েকে কোনও অনাথ আশ্রমে দিয়ে দেবে। আর বাড়িতে থাকলে আছাড় মেরে মেরে ফেলবে। আমার স্বামীর প্রথমপক্ষের দু’টি মেয়ে ছিল। তারা থাকত তাদের মামার বাড়িতে। আমার স্বামী তাদের যাবতীয় খরচ দিতেন। কিন্তু আমার কোনও সন্তান ছিল না। আমি ওই মেয়েটিকে নিয়ে এই বাড়িতে পালিয়ে আসি। উনি তখন পাগলা কুকুর। কোর্টঘর করছেন। একদিকে পরিচারিকার অস্বাভাবিক মৃত্যু, অন্যদিকে হিসেববিহীন টাকা, জায়গা জমি। ওর বিরুদ্ধে যারা নেমেছিল, তারা বেশ তৈরি হয়েই নেমেছিল। তখন আমার স্বামীর সঙ্গে আমার একটা চুক্তি হয়— আমি ওর উকিলের কথামত কথা বলে ওকে বাঁচাব। আর উনি কোনওদিন এই মেয়ের দিকে হাত বাড়াবেন না। ওকে নিয়ে আমি এই বাড়িতেই থাকব। আমি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দিই। আমাকে দিয়ে বলানো হয়েছিল—ওই হিসেব বহির্ভূত টাকা আমার। আমি এই টাকা শরীরবিক্রি করে রোজগার করেছি— যা আমার স্বামী জানতে না। উনি মুক্তি পেয়ে যান। কিছুদিন পরে আমার শাশুড়িও আমার কাছে চলে আসেন। তিনি ছেলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক রাখতেন না। শেষদিন পর্যন্ত। এমনকী, উনি লিখিত রেখেছিলেন, ওঁর মৃত্যুর হলে যেন ওঁর ছেলেকে না জানিয়ে দাহ করা হয়। আমরা তাই করেছিলাম।’
সনকা থামেন। দু’চোখ বন্ধ করে চুপচাপ বসে থাকেন।
বললেন, ‘বেশ কিছুদিন পরে আমি শুনি আমার স্বামী নাকি বলেছেন—মেনকাকে মেরেছি আমি। হয়তো ওঁর প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুটা উনিই ওঁর মায়ের নামে রটিয়েছিলেন। আমার স্বামীর পক্ষে সব সম্ভব। শুনেছি, আমরা চলে আসার পর ওই বাড়িতে যা তা চলত। মদে ডুবে থাকতেন উনি। ওঁর মৃত্যুর খবর পেয়েও আমি যাইনি। শ্রাদ্ধশান্তি করিনি। আত্মীয়স্বজন এসে শ্রাদ্ধের কথা বলেছিল। আমি বলেছিলাম—আমি চাই না উনি মুক্তি পাক। উনি প্রেত হয়ে ওই বাড়িতে থাকুন। হয়তো সেখান থেকেই ভূতের বাড়ির গল্পকথা ছড়ায়।
তোমার গল্পে তুমি অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থান থেকে আমাদের মেনকা মানে রমাকে দেখিয়েছ। আমার বলা কাহিনি কিন্তু একজন পশু-পুরুষের বিপরীতে দাঁড়িয়ে কয়েকজন নারীর লড়াইয়ের গল্প— আমি, আমার শাশুড়ি আর মেনকা। আমরা তিন নারী ওই পশুর বিপরীতে লড়েছি। তুমি তিন নারীর লড়াই নিয়ে একটা নতুন গল্প লিখতে পারো। এ গল্পের আর একটি চরিত্র কিন্তু নন্দিনী, মেনকার মেয়ে। মানে আমারও মেয়ে।’
নন্দিনী এসে সনকাকে আলতো করে জড়িয়ে ধরল।
সহজ চুপ করে বসেছিল। সনকা বললেন, ‘তোমার মনে হয় কোনও প্রশ্ন আছে, নির্দ্বিধায় করতে পারো।’
সহজ বলল, ‘শুনেছি, ওই বাড়ি নিয়ে মামলা হচ্ছে। যে বাড়ির সঙ্গে আপনাদের এত ঘৃণা জড়িয়ে সেই বাড়ির ভাগ চাইছেন কেন?’
‘নন্দিনী ভাগ চাইনি। আমিও না। এই মামলা মোকদ্দমা হচ্ছে ওঁর প্রথমপক্ষের দুই মেয়ের মধ্যে। তাতেই কীভাবে যেন নন্দিনীর নামও এসেছে। আমরা কিছু চাই না। এবার তুমি মিষ্টিগুলো খেয়ে নাও।’
(চলবে)