শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
সহজের কাছে চিঠিটি এসেছে ‘স্বদেশ’ পত্রিকা থেকে। সেখানে তার গল্প ছাপা হবে। এদিকে, ক্যাপ্টেনের ভবিষ্যদ্বাণী ব্যর্থ হয়েছে শুনে বেজায় খুশি সুজি। পিশাচ সাধুর শক্তি সম্বন্ধে তার বক্তব্য, ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর’। পরের দিন সহজকে নিয়ে ক্যাপ্টেনের বাড়ি যাবে ঠিক করে সুজি। তারপর...
কৃপণ সুরজিৎ গাঁটের কড়ি খরচ করে তেল পুড়িয়ে নিজের বাইক নিয়ে আসবে না। সে বাড়িতে বসে অপেক্ষা করছিল। সহজ বাইক নিয়ে আসতেই সেটার দখল নিল সুজি। সহজকে বলল— পিছনে বোসো। তারপর সুজি বাইক নিয়ে যেন উড়ল। উড়ে উড়ে এসে থামল সটান ক্যাপ্টেনের সামনে।
সাতসকালেই নাকি ক্যাপ্টেনের বাড়ি হানা দিতে হয়। সকালে লোকটার ফুল পাওয়ার থাকে— একথাটা বলেছিল সুরজিৎই। অথচ সুরজিৎই আবার মনে করে, লোকটার তেমন পাওয়ার নেই। ঢপ! পুরোটাই ঢপ!
এখন সকাল আটটা দশ।
সবুজ রঙের চেক লুঙ্গি আর হাফ পাঞ্জাবি গায়ে বাড়ির বাইরে বসেছিলেন ক্যাপ্টেন। সকালবেলা তার সামনে বাইক এসে দাঁড়াতেই অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে নিলেন। বাইক থেকে নেমে সুজি নিজের ক্রমশ কমে আসা চুলে হাত বুলতে বুলতে বলল— গুড মর্নিং ক্যাপ্টেন!
বাইকটা স্ট্যান্ড করিয়েই সুজি কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়েছে, মুখে অদ্ভুত হাসি। হাসিটা ব্যঙ্গের। সহজ ক্যাপ্টেনের মুখের দিকে তাকাল। মুখটা যেন ইলেকট্রিক তারে ঝুলে থাকা মরা কাক। দাড়িগুলো ফনফন করে উড়বে বলে কাঁপছে। সুজি হালকা গলায় বলল, ‘কী গুরু সব ঠিক আছে তো?’
ক্যাপ্টেন হ্যাঁ, না কিছু বললেন না। আগের মতো তাকিয়ে থাকলেন। সুজি বলল, ‘ক্যাপ্টেন, একে মনে আছে তো?’
ক্যাপ্টেন নির্লিপ্ত।
সুজি বলল, ‘এ সহজপাঠ। তোমার পেয়ারের পরির কোলের ছেলে। তুমি বস ওকে ফাঁসিয়ে দিয়েছ। বেচারা হেব্বি কষ্ট পাচ্ছে। আমি বললাম, চলো। যে ঢপ মেরেছে তার সামনেই তোমাকে নিয়ে যাব। তার সঙ্গে বুঝে নেবে।’
সুজির কথায় ক্যাপ্টেন কোনও উচ্চবাচ্য করল না। যেন রাতের ঘুম এখনও কাটেনি।
সুজি বলল, ‘গুরু, কাল খুব মাল খেয়েছ নাকি? খোয়াড়ি কাটেনি!’
সহজ এগিয়ে এসে বলল, ‘ভালো আছেন? আমি সহজ। সহজ মিত্র। আমি ফোন করেছিলাম আপনাকে।’
‘আমাদের সহজপাঠ। একে সেদিন তুমি সময় দিয়েছিলে— তেত্রিশ দিন। তারপর নাকি লাইফ জিঙ্গালালা হয়ে যাবে— মনে আছে? এবার কী হবে?’
সুজি এমনভাবে কথাগুলো বলছিল, যেন ক্যাপ্টেন কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করেনি, সহজের থেকে তেত্রিশটা দিন হাওয়া করে দিয়েছে। এখন সে দল পকিয়ে এসেছে দিনগুলো ফেরত নিতে।
ক্যাপ্টেনের ঠোঁট দুটো কাঁপল। সেদিন খুব দাপট দেখিয়েছেন, আজ সকালবেলা ওদের দেখে একটু গুটিয়ে গেলেন। বুঝতে পারছিলেন, সুজি এবার খিস্তি করবে। তারপর চাড্ডি জ্ঞানের কথা বলবে। নানা নক্কা-ছক্কা গপ্পো করবে, চা খাবে, সিগারেট খাওয়াবে, তারপর যাবে। এই সকালবেলাটা বড্ড বিচ্ছিরি করে দেবে। তেতো হয়ে যাবে। এই আঁটকুড়োর মুখ দেখাও পাপ! সারাটা দিনের ভেতর একটা গজাল ঢুকিয়ে দেবে। ক্যাপ্টেন ভাবছিলেন, সুজিকে থামাতে হবে। পাশাপাশি সহজকে দেখে তিনি সত্যিই একটু গুটিয়ে। বাচ্চা ছেলে, দুধের সর মাখা মুখ! কেন যে অমন কথাগুলো মনে এল! মনেই যদি এল কেন দুম করে বলে ফেলল!
সুজি নিচু আর জড়ানো গলায় একটা খিস্তি দিল। বলল, ‘সহজ কষ্ট করে এসেছে, কিছু বলো ওকে।’
সহজ একটু এগিয়ে এল, বলল, ‘আপনাকে কিছু বলতে হবে না, আমি বলছি—।’
‘হ্যাঁ, হ্যাঁ, নিজেই বলো। যে তোমায় কাঠ খাইয়েছে তাকেই ফার্নিচারটা দিয়ে যাও,’ সুজি বলল। সহজ এগিয়ে এসে প্রণাম করল।
সুজি বিরক্তিমাখা গলায় বলল, ‘প্রণাম করছ করো। ভালো ছেলে দিয়ে কাজের কাজ হয় না। দেবে খিস্তি, করছে প্রণাম। দিলে সব জল ঢেলে—!’
সহজ বলল, ‘আপনি আমাকে তেত্রিশ দিন সময় দিয়েছিলেন, বলেছিলেন— আমার কিছু একটা হবে। আমার কিছু একটা হয়েছে। যেটা হয়েছে— সেটা দারুণ এক ব্যাপার।’
কথাটা শুনেই ক্যাপ্টেন চোখ কুঁচকে তাকালেন। ভাবটা এমন— ছেলেটা তার সঙ্গে খেলছে।
সুজি বলল, ‘লে হালুয়া!’
সহজ বলল, ‘কাল রাতে আমার কাছে একটা খবর এসেছে, স্বদেশের নাম শুনেছেন, নামী পত্রিকা। সেখানে আমার লেখা বেরুচ্ছে। যা আমি কোনওদিন আশা করিনি। আমার স্বপ্ন!’
‘অ্যাই সহজপাঠ তুমি সত্যি বলছ? না, ড্রামা করছ? কই এ কথা তো তুমি আমাকে বলোনি? আমাকে ঢপ মেরে নিয়ে এলে! না, ওকেই ঢপ মারছ?’
সহজ বলল, ‘আমি সত্যি বলছি— এটা আমার জীবনে খুব বড় ঘটনা! আমি ভাবতেই পারিনি। আর এটা ঘটার কোনও কারণও ছিল না। কারণ, লেখাটি আমি পাঠাইনি।’
‘তাহলে কে পাঠাল?’ সুজি গম্ভীর মুখে বলল।
‘নিশ্চয়ই পরমেশ্বরদা। আমি ওকে পড়তে দিয়েছিলাম।’
ক্যাপ্টেন মাথা নাড়ালেন, ‘সত্যি! যা! আমি যে ভালো কথা বলেছি, ভালো কথা মিলে গেল!’
সুজি ভ্রু কুঁচকে বলল, ‘ক্যাপ্টেন তোমাকে কি পরমেশ্বর কখনও সহজের লেখালিখির কথা বলেছিল? পরমেশ্বর পত্রিকা অফিসে লেখা জমা দিচ্ছে তুমি জানতে?’
সুজি তীক্ষ্ণ গলায় ডিটেক্টিভ হয়ে উঠতে চায়।
‘দুঃশালা খেয়ে দেয়ে কাজ নেই আমার, তোদের কথা শুনে এ-কান থেকে ও-কানে ঢালতে যাব? বল, বল, কী লেখা লিখেছিস তুই—গপ্পো! কাকে নিয়ে গপ্পো? আমাকে নিয়ে?’
সুজি বলল, ‘ক্যাপ্টেন তুমি স্কিম করছ— তোমাকে পরমেশ্বর ঘুঁটি সাজিয়ে দিয়েছে, তুমি ছক্কা ফেলছ!’
ক্যাপ্টেন হা হা করে হেসে উঠলেন।
সুজি ওর পাশের জায়গায় ধপ করে বসে পড়ল। বলল, ‘একটা লেখা ছাপা হয়েছে তো কী হয়েছে? ক’টাকা পাবে? চাকরি হবে?’
কিন্তু ক্যাপ্টেন খুশ, বললেন, ‘বোসো ভায়া!’
সুজি গর্জন করছে, ‘ফালতু! বাঙালিদের কিছু হবে না। একটা লেখা ছাপা হয়েছে, যেন লটারি পেয়েছে। রবীন্দ্রনাথ হয়ে গিয়েছে! কী খুশি!’
ক্যাপ্টেন সহজকে বলল, ‘তুই খুশি!’
‘হ্যাঁ, আমি তো খুশি!’
‘তাহলে আনন্দে থাকা বাচ্চা! দাঁড়া চা বলি—।’ ক্যাপ্টেন একটুখানি মুখ তুলে জানলার সামনে নিয়ে গিয়ে হাঁক দিল। ‘তিন কাপ চা করো— সুজি এয়েছে, সহজ এয়েছে।’
ক্যাপ্টেনের পিছন দিকের বাঁ পাশের দরজা খুলে গেল। সহজের মুখোমুখি বঁড়শি। ওকে দেখে খুব সুন্দর করে হাসল, বলল, ‘কখন এলে?’
ক্যাপ্টেন বলল, ‘এয়েছে, অনেকক্ষণ আগেই এয়েছে। এসে থেকে খিস্তি দিচ্ছি।’
‘কে খিস্তি দিচ্ছে?’ বঁড়শি বেশ ক্ষুব্ধ গলায় বলল।
ক্যাপ্টেন হাসল, ‘এই সুজি।’
সুজি বলল, ‘ডাহা মিথ্যে কথা!’
বঁড়শি মুখ ব্যাজার করল, ‘এই বুড়োটা এমন, কাছের লোকদের ঠেলা মারে! ঠাকুরপো তোমরা বোসো, আমি চা করি।’
বঁড়শি চলে যেতেই সুজি আবার ডিটেক্টিভ হল। বলল, ‘গুরু, একটু ঝেড়ে কাশো না, তোমার পরি ওর গল্প স্বদেশে পাঠিয়েছিল তুমি জানতে। পরির অনেক সোর্স, একটা গল্প ছাপিয়ে দেওয়া ওর কাছে কোনও ব্যাপার। খবরের কাগজের কত লোকই তো ওর কাছে আসে।’
চা আসে।
ক্যাপ্টেন চুপ করে বসে আছেন। সুজি চা খায়। সিগারেট ধরায়। চাপা গলায় বলে, ‘ক্যাপ্টেন তুমি সব জানতে, জেনে শুনে স্কিম করেছ।’
ক্যাপ্টেন চায়ের কাপ রাখেন। তারপর খুব শান্ত মুখে বলে, ‘তুই জানতিস, তুই কোনওদিন বাবা হতে পারবি না? সাত বছর ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছিস। হলি না। অথচ এখন হঠাৎ তুই বাপ হয়ে গেলি সুজি! বউকে জিজ্ঞেস করেছিস...’
ক্যাপ্টেনের কথায় ঠিকরে ওঠে সুরজিৎ। ‘ক্যাপ্টেন মুখ সামলে কথা বলবে।’
ক্যাপ্টেন দাঁত ছরকুটে হাসে, ‘রোয়াব দেখাস না সুজি, যা, যা বউকে গিয়ে জিজ্ঞেস কর...।’
সুজি থরথর করে কাঁপছে। ‘তুমি আমার বাড়িরলোক নিয়ে ইনসাল্ট করছ।’
‘ক্ষেত্রজ পুত্র জানিস? মহাভারতে আছে, শাস্ত্র তোদের জন্য ব্যবস্থা করে রেখেছে—।’
‘খুব পচা মাল তুমি— আমার কাছে মেশিন থাকলে তোমাকে আমি—।’
ক্যাপ্টেন হাসেন, ‘সে আমার কপালে আছে—নলি কেটে, বলি হবো। কিন্তু তোর হাতে হব না। আমি কোনও নপুংসকের হাতে মরব না সুজি।’
সহজ দেখল পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরালো হয়ে উঠছে। সে বলল, ‘আসি ক্যাপ্টেন। চলো আমরা যাই।’
‘আবার আসিস। যেতে যেতে সুজিকে আট প্রকার বিয়ে, আর বারো প্রকার সন্তান কী কী একটু বলে দিস বাপ!’
সহজ বাইকের কাছে যায়। সুজির কাছে বাইকের চাবি। সুজি এসে বসে, বাইকে স্টার্ট দেয়। সহজ ওঠে। বাইকের আওয়াজ শুনে বঁড়শি বেরিয়ে এসেছে।
‘আবার আসিস। শোন, এদের সঙ্গে মিশিস না। এদের সব ধসা রোগ লেগেছে। সবগুলো ধসে যাবে। ওই পরি বাড়ি ফেলে পালাবে। ওই সুজি— কাক হয়ে কোকিলের বাচ্চা মানুষ করবে।’
সুজি বাইক নিয়ে বেরিয়ে এল ক্যাপ্টেনের বাড়ির রাস্তা ছেড়ে। সুজি গর্জন করছে। সহজ পিছন ফিরে দেখল— বঁড়শি হাত নাড়াচ্ছে। একটু এসে সুজি গিয়ারের গোলমাল করে স্টার্ট বন্ধ করে ফেলল। আবার বাইক চলতে শুরু করল। সহজের মনে হল, বাইকটা যেন টলমল করছে। সহজ বলল, ‘মনে হচ্ছে হাওয়া কম।’
সুজি বাইকটা রাস্তার ধারে দাঁড় করাল। বলল, ‘আমার শরীরটা খারাপ লাগছে, তুই চালা ভাই।’
সহজ বাইক চালাচ্ছে। আরও কিছুটা রাস্তা আসার পর সহজের মনে হল সুরজিৎ ওর গায়ের ওপর ঢলে পড়ছে। যে কোনও সময় বাইক থেকে পড়ে যাবে। সহজ একটা চায়ের দোকান দেখে বাইক থামল। বলল, ‘চা খাবে সুজিদা।’
সুজি উত্তর করল না। বাইক থেকে নেমে চায়ের দোকানের বেঞ্চে বসল দু’জনে। সহজ দেখল শূন্য চোখে সুজি পেটাই পরটার দিকে তাকিয়ে আছে। বলল, ‘সুজিদা পরটা খাবে। অনেকদিন খাইনি।’
‘নে।’
সহজ পেটাই পরোটার অর্ডার দিল। পরোটা ওজন করে ছিঁড়ে ছিঁড়ে তার ওপর আলু ভরা ঘুগনি দিয়ে দোকানদার দুটো থালা এগিয়ে দিল। সহজ খাচ্ছিল। সুরজিৎও খাচ্ছিল, তবে সেটা মেশিনের মতো। অন্য সময় হলে সুজি লঙ্কা চাইত, মশলা চাইত, আরও একটু ঘুগনি নিত। আজ কোনও কথা বলল না। মাঝে মাঝে সুরজিতের দু’চোখ বন্ধ হয়ে আসছে। ওর বুকের ভেতর হু হু করছে। ক্যাপ্টেন ঠিক কথা বলল না। ভেতর ভেতর সুজি কাঁপছে, ও বাড়ি ফিরে মৈত্রেয়ীকে কী বলবে? না, না, ও কিছু বলবে না। ওয়েট করবে। সুজি ছাড়ার পাত্র নয়, সে টেস্ট করাবে। ডিএনএ টেস্ট করাবে। বাইক স্টার্ট দিল সহজ। সুজি বসল। তারপর হুড়মুড় করে নেমে এল সুজি। হড়হড় করে বমি করল।
দোকানি জলের জগ নিয়ে দৌড়ে এল। সুজি বিড়বিড় করল, ‘অ্যাসিড হয়ে গিয়েছে।’ সে বিড়বিড় করে চলেছে— ডিএনএ করাব। দেখে নেব। তারপর সারা রাস্তা আলুর বস্তার মতো সুজি এল লগবগ করতে করতে। সহজ বলল, ‘তোমাকে কোথায় নামাব?’
‘অফিসে নিয়ে চল।’
অফিসের সামনে বাইক থেকে নেমে সুরজিৎ বলল, ‘তুই আমার ছোট ভাইয়ের মতো, ক্যাপ্টেনের কথা বিশ্বাস করিস না। কাউকে বলিস না।
এসব কথা সবাই জানলে আমাকে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলতে হবে।’
সহজ বলল, ‘ওই ক্যাপ্টেনের কথা আমি বিশ্বাস করি না! ওকে নিয়ে আমি একটু খেললাম।’
হঠাৎ সুরজিৎ হাউ হাউ করে কেঁদে উঠল। বলল, ‘এমন কথা কেউ কাউকে বলে? এর থেকে ক্যাপ্টেন আমাকে জুতো দিয়ে মারতে পারত। আমাকে অভিশাপ দিতে পারত। কিন্তু কেউ এমন কথা বলে? তবু তুই কাউকে কোনও কথা বলিসনি ভাই।’
সুরজিৎ মাথা নিচু করে অফিসে ঢুকে গেল।
তখনই সহজকে ফোন করল বণির্নী। ‘শোন না, বিচিত্রদার শরীরটা খুব খারাপ। হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে, আর কোনও উপায় নেই।’
‘হাসপাতাল?’
‘হ্যাঁ, আমি একটা গাড়ির ব্যবস্থা করে বিচিত্রদাকে সেবা প্রতিষ্ঠান হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি। তোরা গিয়ে ভর্তির ব্যবস্থা করে ফেল।’
‘আচ্ছা।’
সহজ ফোন রেখেই সামনে দেখল নচে আর গৌরা। সহজ ওদের বিচিত্রদার খবরটা দিল। তারপর দু’জনকে বাইকে তুলে ছুটে চলল হাসপাতালের দিকে। নচে বলল, ‘ভাই আস্তে বাইক চালা। আমার কপালে অপঘাতে মৃত্যু লেখা আছে।’
কথাটা বলার সময় নচের গলা কেঁপে উঠল, ‘অ্যাক্সিডেন্টটাও অপঘাত তো?’
(চলবে)