শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
অফিস ঘরে পরমেশ্বর মুখ আলো করে বসে আছে। টেবিলের সামনে পড়ে আছে স্বদেশ পত্রিকাটি। সহজ ঢুকতেই ভানুদা একটু থামল। শঙ্কর বলল, ‘আহা তুমি থামলে কেন ভানুদা। ক্যাপ্টেন এমন মাথায় ঢোকাল, বিষয়টা ইন্টারেস্টিং, আমি জানতে চাই, আমার খুব দরকার।’
সহজকে দেখেই ভানুদা বলল, ‘আমার থেকে ও ভালো জানে। ওকে জিজ্ঞেস করো?’
সহজ দেখল ঘরের ভেতর চাঁদের হাট। নচে, গৌরা, দীপু, অমলদের প্রায় পুরো টিম। জনা পনেরো ষোলো ছেলে। পরমেশ্বরদার টেবিল ঘিরে বসে আছে সুজিদা, শঙ্করদা, ভানুদা। টেবিলের ওপর দুটো সিগারেটের প্যাকেট। শঙ্কর একটা ছেলের পিঠে থাবড়া দিল, বলল, ‘চেয়ারটা ছাড়—সহজকে বসতে দে।’ সে চেয়ার ছেড়ে দিয়ে গরাদহীন খোলা জানলার ধারে গিয়ে বসল। শঙ্কর বলল, ‘বলো।’
সহজ বলল, ‘কী বলব?’
ভানুদা বলল, ‘আমাদের শাস্ত্রে আট রকম বিয়ে আর বারো রকম সন্তানের থিওরি দিয়ে গিয়েছেন মুনি ঋষিরা। সেই বিয়ে আর সন্তানগুলোর থিওরি চাইছিল শঙ্কর। ওটা একটু ক্লিয়ার করে তুমি ওকে বুঝিয়ে দাও তো ভাই।’
সহজ দেখল ওদের কথার মাঝে সুজি মুখ নিচু করে নিল। সে এক ঝটকায় বুঝে গেল ক্যাপ্টেন নিশ্চয়ই শঙ্করকে কিছু বলেছে। সেটা শুনে এসে শঙ্কর সবার সামনে সুজিকে খিল্লি করছে। সহজ ভাবার চেষ্টা করল, শঙ্কর কতটা জানে? ক্যাপ্টেন ওকে কতখানি বলেছে?
সহজ বলল, ‘আমি শাস্ত্র জানি না।’
‘তুমি জানো না কি, আমাকে যে ক্যাপ্টেন বলল, সহজ জানে, আট রকম বিয়ে আছে। আমি ছোট বউটাকে রাক্ষসপ্রথায় বিয়ে করেছি আর ছোটবউটা ক্ষেত্রজ প্রথায় সন্তানের মা হবে। ও যাকে মনে করবে, তাকেই ডেকে এনে সন্তান চাইবে।’
সহজ বলল, ‘উনি প্রলাপ বকেন। আমি এসবের কিছুই জানি না।’
‘তুমি জানো না! এই যে ভানুদা বলল, শাস্ত্রে আছে।’ শঙ্কর মৃদু ধমক দিল।
ভানুদা বলল, ‘তবে আমি যেটুকু জানি সেটুকুই বলি। আট রকম বিয়ে হল— ব্রহ্মবিবাহ, দৈববিবাহ, আর্ষবিবাহ, প্রজাপত্যবিবাহ, আসুরবিবাহ, গান্ধর্ববিবাহ, রাক্ষসবিবাহ, পৈশাচবিবাহ। এর মধ্যে রাক্ষসবিবাহ আর পৈশাচবিবাহটা খুব খারাপ। রাক্ষস বিয়েতে খুনখারাবি করে মেয়ে লুঠ করে নিয়ে এসে বিয়ে করা হয়। আর পৈশাচবিবাহ হল কোনও মেয়েকে ঘুমন্ত অবস্থা বা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় রেপ করে তাকে বিয়ে করা। আমি শাস্ত্রের কথা পাতি বাংলায় বললাম। এবার তোমরা বুঝে নাও।’
ভানুদার কথা শুনে, শঙ্কর নিজের মাথায় হাত বোলাল। বলল, ‘শাস্ত্রে আছে! ক্যাপ্টেন বলছিল ও রাক্ষসপ্রথায় ছোটবউটাকে বিয়ে করেছে! তার মানে ওই ছোটবউকে খুনখারাবি করে বিয়ে করেছে!’
পরমেশ্বর বলল, ‘না, না, ক্যাপ্টেন হাবিজাবি বকে।’
‘না, না, নির্ঘাত কোনও গোলমাল আছে। নইলে অমন একটা মেয়ে কেন ওকে বিয়ে করবে? ছেলের কি অভাব! এবার বলছে— ক্ষেত্রজ সন্তান চাই। অন্য কোনও স্কিম আছে।’
শঙ্কর বেশ চিন্তান্বিত। বলল, ‘এবার বারোরকম সন্তানের কেসটা বলো?’
ভানুদা হাসে, ‘সব কী মনে আছে ছাই। আমি বলছি, তোমরা গোনো। —ঔরসপুত্র, ক্ষেত্রজপুত্র, দত্তকপুত্র, কৃত্তিমপুত্র, গূঢ়োৎপন্নপুত্র, অপবিদ্ধপুত্র, কানীনপুত্র, সহোঢ়পুত্র, ক্রীতপুত্র, পৌনর্ভবপুত্র, স্বয়ংদত্তপুত্র, শৌদ্রপুত্র— এই বারোটা হল।’ ভানুদা হাতের কড়গুনে পর পর বলে গেল।
সহজ খুব শান্ত গলায় বলল, ‘ক্যাপ্টেন ক্ষেত্রজ সন্তান চাইছে। মানে উনি মৃত নন, তাহলে ব্যাধিগ্রস্ত। মনে কর, উনি তোমাকে পছন্দ করে নিয়োগ করলেন। শঙ্করদা তুমি কিন্তু চান্স নিতে পার।’
শঙ্কর বলল, ‘তুমি চান্স নাও। সব পাখি মাছ খায় দোষ হয় মাছরাঙার! আমার দরকার নেই। আমার অনেক আছে।’
সহজ হাসে, ‘হ্যাঁ, ক্যাপ্টেন বলছিল, তোমার ছ’কোণে ছ’টি নারী দাঁড়িয়ে আছে। পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ, ঈশান, নৈর্ঋতে নাকি তোমার ছ’জন নারী! দু’টি বউ আর চারটি কন্যারত্ন। অগ্নি আর বায়ু কোণ বাকি। দেখো, যদি একটি নতুন বউ আর ক্ষেত্রজ উপায়ে আর একটি কন্যাসন্তানের পিতা হতে পার, তাহলে তিন বউ আর পাঁচ কন্যায় আট কোণ ভরে যাবে।’
শঙ্কর বলল, ‘ক্যাপ্টেন আমাকে নিয়ে খিল্লি করেছে। একদিন গিয়ে ওই বুড়োর বুকে লাথি মেরে আসব।’
সহজ হাসছে, ‘সত্যি লোকটা প্রলাপ বকেন। খুব বাজে কথা বলেন। আমাকে বললেন— শঙ্করের রোবট কালী আছে।’
চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়াল শঙ্কর। ‘ভাই, তুমি একটু বেড়ে খেলছ। উনি তোমাকে বলেছে? না, তুমি এখানে শুনে বলছ?’
‘প্লিজ শঙ্করদা মাইন্ড করো না, উনিই আমাকে বলেছেন। যা বললেন আমি শুনলাম। প্রয়োজন হলে তুমি ওঁকে জিজ্ঞাসা করে নিও। আমার সঙ্গে সুজিদা ছিল। আমি একা ছিলাম না।’
‘শোনো, আমি ওসব সাক্ষী টাক্ষী বুঝি না। শঙ্কর বাপের ব্যাটা, যা করে সবার চোখের সামনে করে।’ শঙ্কর আসর ভেঙে গট গট করে বেরিয়ে গেল। সবাই হো হো হাসিতে ফেটে পড়ল। পরমেশ্বর বলল, ‘শঙ্কর কিন্তু তোর ওপর খেপে গিয়েছে। রোবট কালী কে জানি? ওর সেকেন্ড বউ। শঙ্কর সুযোগ পেলেই তোকে পেটাবে।’
নচে, অমল ঠিকরে উঠল। নচে বলল, ‘কাকে দিয়ে পেটাবে, ওর হাতে এক পিস ছেলে আছে? সেই তো আমাদের বলতে হবে। আমরা ওকে টোকাও মারব না।’
এত কথার মাঝে সুজি মুখ শুকনো করে বসে আছে। একটু পরে সুজি ফিসফিস করে বলল, ‘তোমার কি মনে হয় ক্যাপ্টেন আমার কথাটা শঙ্করকে লাগিয়েছে?’
সহজ শান্ত মুখে বলল, ‘কী কথা? তুমি ওই ফালতু লোকটার কথা গুরুত্ব দিচ্ছ কেন? উনি দু-চার পাতা শাস্ত্র পড়েছেন, সেটা বলেছেন শঙ্করদাকে।’
সুজি বুকে হাত ঠেকাল, বলল, ‘তাই যেন হয়। তবে ভাই আমি থামব না। আগে পিশাচটার মুখ বন্ধ করব, তারপর ঘরের লোকের মুখোমুখি হবো।’ সুজি কথাটা পুরো বলতে পারল না। কথাগুলো গলার ভেতর আটকে গেল।
সহজ বলল, ‘তুমি কুকুরের ঘেউ শুনেই ভাবছ চোর এসেছে।’
‘বিশ্বাস করো আমি ক’দিন ধরে খেতে পারছি না, শুতে পারছি না। সবকিছু আমার কাছে বিষবৎ! পলিটিক্যাল সিচ্যুয়েশন যদি আগের মতো থাকত, আমি মেরে ওকে পাঁজরা ভেঙে দিতাম।’
সহজ বলল, ‘এই জন্য তোমাকে সবাই মাথামোটা বলে।’
সহজের কথায় চমকে উঠল সুরজিৎ, ‘কী! আমি মাথামোটা!’
সহজ বলল, ‘হ্যাঁ, তাই তো দাঁড়াচ্ছে। ওই পিশাচটা কী বলল, সেটা নিয়ে তুমি পড়ে আছো? অথচ তোমার সামনে একটা এত বড় খেলা হচ্ছে, তুমি বুঝতে পারছ না!’
‘কী খেলা?’ সুরজিৎ চাপা গলায় জিজ্ঞাসা করল।
‘শঙ্করদা খেলতে এসেছিল? বুঝেছ?’
‘শঙ্কর আমাকে নিয়ে খিল্লি করতে এসেছিল, সেটা আমি বুঝব না।’
‘কিন্তু ও কি পারল? পারল না। ও তোমাকে নিয়ে খেলছে না। আড়ালে থেকে এই খেলা খেলছে ওই পিশাচটা। ও ওই মেয়েটাকে টোপ করেছে শঙ্করের সামনে। টোপ করে ক্ষেত্রজ সন্তানের গল্প দিচ্ছে। বলে দিচ্ছে, বঁড়শি যে পুরুষকে আহ্বান করবে তাতে ওর আপত্তি নেই।’
সুজি চোখ বড় বড় করল, ‘হ্যাঁ, তাই তো।’
‘মেয়েটাকে দিয়ে শঙ্করকে গাঁথতে চাইছে। শঙ্কর এখানে এসেছিল সেই ক্ষেত্রজ সন্তান ব্যাপারটা বুঝতে।’
‘সত্যি ওই মেয়েটা তাহলে বঁড়শি!’
‘দেখো, প্রথমদিন বলেছিল, তোদের শঙ্কর আমার ঘরে সিঁদ কাটছে। পিশাচ সাধু কী বলেছিল সেদিন, শঙ্কর বঁড়শির দিকে এগুলে রক্তবমি করাবে। আর আজ কী বলছে— বঁড়শি যাকে খুশি ডেকে নেবে। একটাই মানুষ কিন্তু পুরো দু’রকম কথা বলছে। আমার দৃঢ় বিশ্বাস ও শঙ্করের জন্য ফাঁদ পাতছে।’ সুজি মাথা নিচু করে বসে আছে। সহজ দেখল, ক’দিনে ওর চোখের কোলে কালি জমে। কেমন যেন অবিন্যস্ত চেহারা। সেই প্রমোটারসুলভ ফিটফাট বাবুটি আর নেই। অফিসঘরে আজ উপচে পরা ভিড়। নানারকম কথাবার্তা চলছে।
সহজ চাপা গলায় বলল, ‘শোনো সুজিদা, তোমাদের ক্যাপ্টেন খুব চালাক। নিজেকে ক্যামোফ্লেজ করার জন্য পিশাচ পিশাচ বলে নাটক করে। ওঁর পাওয়ার টাওয়ার কিচ্ছু নেই। যা আছে তা হল পোষা কিছু ইনফরমার আর অসম্ভব অনুমান ক্ষমতা। সেটা চরম বাস্তববাদী কথা। কিন্তু সেসব কথা সাহস করে ক’জন বলতে পারে। পরমেশ্বরদা যে ধরনের রাজনীতি করত তাতে গুলিগোলা চলবে এটা তো স্বাভাবিক। শঙ্কর প্রোমোটিং করে বড়লোক হয়েছে। জিরো থেকে অনেক টাকা কামিয়েছে। খুব ভালো করে ভেবে বলো তো তুমিও তো জিরো ছিলে, তোমার ব্যাঙ্কে এখন কত টাকা? ক্যাপ্টেন কিন্তু তোমাকে কোনও ভবিষ্যদ্বাণী করেনি। অথচ তুমিও প্রচুর কামাচ্ছ। সবাই জানে। শঙ্করের নারীর নেশা ছিল। টাকা হয়েছে নেশা মেটাচ্ছে। আমি ভবিষ্যদ্বাণী করছি, এই সরকার ওল্টালে তোমরাও এত কাজ আর করতে পারবে না। এলাকা ছাড়া হবে। মিলিয়ে নিও। কিন্তু শঙ্কর থাকবে, ও টাকা পয়সা দিয়ে ঠিক ম্যানেজ করে নেবে। টাকায় সবাই বশ। ওই ক্যাপ্টেন পরিস্থিতি ও পারিপার্শ্বিকটা দারুণ বিশ্লেষণ করতে পারে। তার জোরেই কিছু কথা বলে। বেশির ভাগ কথাই চমক দেওয়া। আর শোনো, উনি আমার কোনও কিছু মেলাননি। উনি আমাকে নিয়ে খেলছেন। আমিও ওই সাধুকে নিয়ে খেলছি। এটা একটা গেম! আমি জানতাম, ওই গল্পটা আমার ছাপা হবে। তিন মাস আগেই ওরা আমাকে জানিয়ে দিয়েছিল। আমি এখন ওটা নিয়ে নাটক করলাম। পুরো ফলস!’
সুজির মুখের দিকে তাকিয়ে সহজ খুব শান্ত আর নির্লিপ্ত গলায় কথাগুলো বলল। শেষটাও করল খুব সুন্দর মিথ্যে কথা দিয়ে।
সুজি চুপ করে থাকল কিছুক্ষণ। তারপর খুব ধীরে ধীরে বলল, ‘ওগুলো তোমাদের বিষয়। আমার কিছু এসে যায় না। আমাকে আমারটা বুঝে নিতে হবে। আমি কাক হয়ে কোকিলের ছানা মানুষ করব না। আমি আজ না হোক কাল ডিএনএ টেস্ট করাবই।’
‘তাই করিও, যাতে তোমার শান্তি।’
সহজ বুঝল সুজির গাঁটে কথাটা আটকে গিয়েছে, কিছুতেই ও গাঁট খুলবে না। আর বুঝিয়ে লাভ নেই। ওরা অফিসের ঘরের সামনের ছাদে ছিল। সহজকে ঘরে ডাকল পরমেশ্বর। ওর টেবিলে ওপর স্বদেশ পত্রিকা। পরমেশ্বর ড্রয়ার খুলে সহজের গল্পটা বের করে টেবিলের ওপর রাখল। বলল, ‘এই তোর গল্প, বিশ্বাস হল। আমি তোর লেখা কোথাও পাঠায়নি। তোর আরও দুটো লেখা আছে, তুই পড়তে দিয়েছিলি, পড়েছি। দেখ সবগুলোই আছে।’
সহজ লেখাটা নিয়ে পাতা উল্টে গেল। তবে কে লেখাটা পাঠাল! কে?
পরমেশ্বর বলল, ‘তুই আমার সঙ্গে এক জায়গায় যাবি? একজন তোর সঙ্গে একটু কথা বলতে চান। কে এখন বলব না। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ আমি তোকে তুলে নেব।’
বিকেলবেলা পরমেশ্বর গাড়ি নিয়ে এল।
পাঁচটা নাগাদ পৌঁছে গেল, হাজরা মোড় পেরিয়ে ২৩ পল্লির সামনের একটা বিশাল বাড়িতে। গাড়ি পার্ক করে দু’জনে নামল। বেল দিতেই একজন মহিলা বেরিয়ে এলেন। পরমেশ্বর বলল, ‘এর নাম সহজ।’
মহিলাটি মৃদু হেসে ঘাড় নাড়ল। বলল, ‘ঠিক আছে, তুমি কি ভেতরে আসবে?’
‘না, আমার একটা অন্য কাজ আছে।’ সহজের দিকে তাকিয়ে পরমেশ্বর বলল, ‘এর পরিচয় আমি দিলাম না। ওপরে যা সব জানতে পারবি। তুই নিশ্চয়ই ভয় পাচ্ছিস না।’
সহজ হাসল।
মহিলার পিছন পিছন সহজ চলল। লাল মেঝের সিঁড়ি। ধারে সাদা বর্ডার। সিঁড়ির ধারের রেলিংগুলো ঢালাই লোহার, খুব সুন্দর নকশা করা। সহজদের বাড়িতেও ঠিক এধরনের সিঁড়ির রেলিং। তবে এ বাড়ির রেলিং-এর ওপরে কাঠের টপটা দীর্ঘদিন পালিশহীন। দোতলায় যেখানে এসে মহিলা থামল তার সামনে এক লম্বাটে হলঘর। পর পর সোফা পাতা। ফুলের টব, শোপিস ভরা আলমারি।
সোফায় এসে বসল সহজ। উল্টো দিকে বসল মহিলাটি। বলল, ‘আপনি আমাকে নামে চিনবেন না। তবে পরিচয় দিলে নিশ্চয়ই চিনবেন। তবে আমার থেকে আমার মাকে বেশি চিনবেন। মা আপনার জন্য অপেক্ষা করে আছেন।’ (চলবে)