Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

বিদিশা কি ভানুমতী?
আশিস ঘোষ

বিদিশাকে বললাম— যাই এবার?
—কেন?
—অনেকক্ষণ তো এসেছি—
—তা হোক, বোসো না, কেউ তো বাড়ি নেই—
বেশি কথা বা শব্দ, আলো এখন ভালো লাগছে না। বিদিশাকে বলতেই, ও টিউব লাইট নিভিয়ে জিরো পাওয়ারের নীল আলো জ্বালিয়ে দিল। জানলার পর্দা হাওয়ায় উড়ছে। বাইরের রাস্তায় গাড়ির শব্দ। বিদিশা আমার দিকে চেয়ে আছে। কিছুই বলছে না। এগিয়ে ওর একটা হাত ধরতে ইচ্ছে করছে। ধরব কি? কিন্তু হাত বাড়াতেই ও চট করে সরে গেল। মুখে অদ্ভুত শব্দ করল। কী যে করি! এভাবে চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকা যায় না। জানলাটা দিলে হয়, কিন্তু ও তো জানলা ধরেই দাঁড়িয়ে। আজ বিকেলেই তো ফোন করেছিলাম। ওর দাদা-বউদি বাড়ি নেই শুনে বলেছিলাম,— দেখলে তো ঠিক সময়েই ফোন করেছি—
—কেন?
—জমিয়ে আড্ডা দেওয়া যাবে।
—যাঃ, ওরা যদি এসে পড়ে?
—এলই বা, আমি কি চোর না ডাকাত?
—তা নয়, তবে এ বাড়িতে কেউ তো তোমাকে চেনে না।
—চেনে না, আজ চিনবে। আর তাছাড়া—
—কী, তাছাড়া?
—বাড়িতে তুমি একা, এমন সুযোগ ছাড়া যায় না—
—অসভ্য!
কথাটা হঠাৎ মনে পড়তেই, ওর দিকে চেয়ে হাসলাম। জিজ্ঞাসু চোখে তাকিয়ে, বিদিশা কী যেন বলল। ঠিক বোঝা গেল না। হাওয়ায় দেওয়ালে ক্যালেন্ডারের পাতা নড়ে উঠতেই, এগিয়ে ওর একটা হাত ধরলাম। ঘরের দরজাটা কেঁপে উঠল। পাশের বাড়িতে কে যেন শব্দ করে হাসছে। জানলার বাইরে ঘোলাটে জ্যোৎস্না। ধোঁয়া কিংবা কুয়াশা।
আমার সামনে এখন যে মেয়েটা দাঁড়িয়ে তার নাম বিদিশা। ওকে আমার ভালোলাগে। অনেক চেষ্টা করেও কথাটা ওকে গুছিয়ে বলতে পারিনি।  হয়তো সেও কিছু বলতে চায়, পারে না। অথচ দু’জনেই জানি, ব্যাপারটা কী। মাথার ঠিক উপরেই ফ্যান ঘুরলেও, কেমন যেন গুমোট। রুমাল বের করে মুখ মুছলাম। হাত তিনেক দূরে সোফায় গা এলিয়ে বিদিশা বসে। বিনুনি সামনে চলে এসেছে। খুচরো চুল হাওয়ায় উড়ছে। কী করি এখন? একটু ইতস্তত করে সোফায় গিয়ে বসতেই, ওর হাতের বালা আর আমার হাতের ঘড়িটা ঠুকে গেল। হাতের মধ্যে হাত। দূরে কোথাও ঘড়িতে ঘণ্টার শব্দ। রাত আটটা। শব্দটা মিলিয়ে যেতেই, নীচে রাস্তায় একটা গাড়ি এসে দাঁড়াল।
বিদিশা জানলার দিকে গেল। নীচের দিকে একটু ঝুঁকে বলল, ওরা আসছে। উঠে দাঁড়ালাম— তাহলে চলি আমি?
—দাদা-বউদির সঙ্গে দেখা করবে না?
—আজ থাক।
মুচকি হাসে বিদিশা— ভীতু কোথাকার!
জুতো পরতে পরতে বললাম— আর একদিন আসা যাবে।
—কিন্তু মশাই, সিঁড়িতে তো দেখা হয়ে যাবে।
—আমাকে তো চেনে না।
বিদিশা আর কিছু বলল না। জানলার দিকে গেল। আমি ততক্ষণে ঘরের বাইরে।
ফ্ল্যাটের সিঁড়ির কয়েক ধাপ নামতেই, বিদিশার দাদা-বউদিকে দেখা গেল। যদিও ওরা আমাকে চেনেন না, কিন্তু ওঁদের সামনে দিয়েই তো নামতে হবে। কেমন যেন অস্বস্তি হচ্ছে। এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। কিন্তু কীভাবে? অগত্যা তিনতলার সিঁড়ি ধরলাম। তিনতলায় দু’দিকেই ফ্ল্যাট। দুটোই বন্ধ। এরপর বোধহয় ছাদের সিঁড়ি। কারণ বাড়িটা তো তিনতলা। ছাদে যাব? কেউ কিছু বলবে না তো? নিঃশব্দে ছাদে উঠলাম। আবছা অন্ধকার। কেউ নেই। আবছা আলোয় ফুলের টব, ভাঙা চেয়ার কিংবা কাগজের টুকরোও চোখে পড়ছে না। কখনও এমন ছিমছাম পরিষ্কার ছাদ দেখিনি। বেশ হাওয়া দিচ্ছে। একটু দাঁড়ালে হয়। কিন্তু অচেনা একটা বাড়ির ছাদে কতক্ষণ থাকা যায়। এখন সঙ্গে যদি বিদিশা থাকত।  কিছু একটা ছুতো করে তো চলে আসতে পারে। কিন্তু আমি এখানে ও জানবে কী করে? কয়েক পা এগিয়ে একটু ঝুঁকে নীচের দিকে চাইলাম। বাড়িটার সামনেই একটা দেবদারু গাছ। নীচেটা সিমেন্ট বাঁধানো। কে যেন বসে পা দোলাচ্ছে। ফাঁকা রাস্তা দিয়ে একটা লরি চলে গেল। পিছনে হঠাৎ খসখস শব্দ। ফিরে চাইলাম। সাদা বিড়াল একটা। বিড়ালটা আমাকে পাত্তাও দিল না। হেলেদুলে ছাদের অন্যদিকে চলে গেল। না, এভাবে আর দাঁড়িয়ে থাকা যায় না। সিঁড়ির দিকেই পা বাড়ালাম। নীচে নেমে আবার বিদিশার দরজার সামনে দাঁড়ালাম। দরজা বন্ধ। বেল টিপব? ও নিশ্চয় অবাক হবে। ওর দাদা-বউদি তো কিছুই জানে না। ভাববেন, এই এলাম। অবশ্য ওঁদের সঙ্গে আলাপ করা যেতে পারে। প্রথম আলাপে আমার সম্পর্কে ওদের কী প্রতিক্রিয়া হয়, দেখাই যাক না। হাত বাড়িয়ে কলিং বেল টিপলাম। কোনও সাড়া নেই। আবার টিপলাম। এবার দরজা খোলার শব্দ। সোজা হয়ে দাঁড়ালাম।
‘কাকে চাই?’ বিদিশার দাদা বোধহয়।
‘বিদিশা আছে?’
‘আপনি?’ ভদ্রলোক আপাদমস্তক আমাকে দেখছেন।
‘আমি বিদিশার বন্ধু।’ কী করে যে কথাটা বলে ফেললাম, জানি না। ওর সঙ্গে আমার সম্পর্কটা কি শুধুই বন্ধুত্বের?
ভদ্রলোক দরজাটা পুরোপুরি খুলে দিলেন।— আসুন, ভেতরে আসুন। জুতো না খুলেই ভিতরে ঢুকে সোফায় বসলাম। একটু আগে তো এখানেই বসেছিলাম। ফ্যান চালিয়ে ভদ্রলোক বোধহয় বিদিশাকেই ডাকতে গেলেন।
একাই বসে রইলাম। দেওয়ালের ক্যালেন্ডার হাওয়ায় দুলছে। জানলার পর্দা উড়ছে। ঠিক আগের মতোই। বিদিশার বউদি এলেন। হাসি হাসি মুখ।— আমি কিন্তু ভাই সব জানি— বিদিশা বলেছে। —প্রায় আঁতকে উঠলাম। একটু আগে যে এখানে ছিলাম, বিদিশা কি বলে দিয়েছে? আচ্ছা মেয়ে, যাই হোক। অবাক হয়ে চেয়ে আছি দেখে বউদি একটু মুচকি হেসে বললেন— বসুন আপনি, বিদিশাকে পাঠিয়ে দিচ্ছি।
চুপচাপ বসে রইলাম। টিভিটা বন্ধ। ফ্যানের হাওয়ায় একটু যেন শীত শীত করছে। কতক্ষণ বসে থাকব? পায়ের শব্দে মুখ তুলে চাইলাম। বিদিশা সামনেই দাঁড়িয়ে। একটু যেন গম্ভীর। কী ব্যাপার, তুমি হঠাৎ?
—হঠাৎ মানে?
পাশেই সোফায় বসতে বসতে বিদিশা বলল— বলা-কওয়া নেই, এভাবে এলে যে বড়? ওঁরা কী ভাবছেন বল তো?
এবার আমার অবাক হওয়ার পালা। বিদিশার চোখের দিকে চেয়ে বললাম— আমাকে দেখে অবাক  হচ্ছো কেন? একটু আগে তো এখানেই ছিলাম— অবাক হয় বিদিশা— বল কী? আমি তো এইমাত্র এলাম— ওঁরাও তো ছিলেন না। উঠে  গিয়ে পাশের ঘরে উঁকি দেয় বিদিশা।
ঘুরে দাঁড়িয়ে বলে— তোমার কি মাথা খারাপ হয়েছে? এই ফ্ল্যাটের চাবি আছে তোমার কাছে?
এবার বিরক্ত হলাম। বলে কী মেয়েটা? এতক্ষণ এখানে ছিলাম। ঘরের টিবি-সোফা-জানলার পর্দা, ক্যালেন্ডার— এরা সবাই সাক্ষী। ও বলছে, আমি নাকি এই প্রথম এলাম। মজা করছে? চলে গিয়ে আবার ঘুরে আসায় অসন্তুষ্ট হয়েছে? মেয়েরা সত্যিই রহস্যময়ী। বললাম— বিরক্ত করায় ক্ষমা চাইছি।
ক্ষমা-টমা কী বলছ! বোসো, সারাদিন পর ফিরলাম তো, একটু হাত-মুখ ধুয়ে আসি। বলতে বলতে বিদিশা চলে গেল। কিছু বলার সুযোগই হল না। এরকম হল কেন? আমি তো আমার মতোই আছি। এই তো দুটো হাত, পা, চোখে চশমা, পরনে ট্রাউজার, গায়ে জামা। জামার নীচে গেঞ্জি। গেঞ্জির নীচে আমার বুক। বুকের মধ্যে শব্দ। ঘরের সবকিছুই আগের মতো আছে। গোলমালটা কোথায়? তবে কি সত্যিই আসিনি? এতক্ষণ তবে ছিলাম কোথায়? রুমালে চশমার কাচ পরিষ্কার করলাম। দরজার আবার শব্দ। কে এল? আমার কি দরজা খোলা উচিত? বিদিশার দাদা-বউদি কিংবা বিদিশা তো আসছে না। ওরা তো ঘরেই আছে। তাহলে?
আবার শব্দ। এবার পর পর দু’বার। অগত্যা উঠে গিয়ে দরজা খুলতেই হল। আর খুলতেই—
—এ কি! তুমি কোত্থেকে? অবাক হয়ে বিদিশার দিকে চাইলাম। -তুমি-তুমি তো ঘরেই ছিলে, বাইরে গেলে কখন?
ভিতরে ঢুকতে ঢুকতে বিদিশা বলল, —কী যা-তা বলছ! আমি তো এই এলাম। —হাতের ব্যাগটা টেবিলে রাখল বিদিশা। মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলল— এভাবে না বলেকয়ে, হুট করে চলে আসার মানে কী? দাদা-বউদির সঙ্গে দেখা হয়েছে?
কী বলি? এমন ধাঁধায় পড়ব জানলে, কে আসত? বিদিশাকে ভালোলাগা বা ভালোবাসা আমার মাথায় থাক। এখান থেকে এখন বেরতে পারলে হয়! বললাম, কী ভেবেছ বল তো?
—কেন? খোঁপা খুলতে খুলতে সোফায় গা এলিয়ে দেয় বিদিশা।
—কত আর জাদু দেখাবে? তুমি কি ভানুমতী? হাসল বিদিশা। যেন কিছুই হয়নি— বোসো, দাঁড়িয়ে রইলে কেন?
ভীষণ রাগ হচ্ছে। এখানে আর দাঁড়িয়ে থাকার মানে হয় না। দরজার দিকে এগতে এগতে বললাম— চলি তাহলে? প্রায় লাফিয়ে উঠে বিদিশা পথ আগলে দাঁড়াল— এই, কী হচ্ছে?
—পথ ছাড়। যতটা সম্ভব গম্ভীর হওয়ার চেষ্টা করলাম। আমার চোখের দিকে চেয়ে বিদিশা বলল— এলেই যদি চলে যাচ্ছ কেন? দরজা খুলতে গিয়েও থমকে দাঁড়ালাম। ও আমার দিকেই চেয়ে। কেন জানি না মনে হল, যদি আরও কিছুক্ষণ এখানে থাকি তো, আরও একজন বিদিশা এসে হাজির হবে। তখন হয়তো...
দরজা খুলে বাইরে গেলাম। সিঁড়ির প্রথম ধাপে পা দিতে দিতে শেষবারের মতো পিছন ফিরতেই, দেখি বিদিশা দাঁড়িয়ে। কেমন অদ্ভুতভাবে চেয়ে আছে।      
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল
04th  April, 2021
পিশাচ সাধু

পরমেশ্বরের অফিসে শঙ্করের সঙ্গে এক চোট হয়ে গেল সহজের। মজা করতে গিয়েই এই বিপত্তি। সুজি কিছুতেই ক্যাপ্টেনের কথাগুলো ভুলতে পারছে না। এদিকে, পরমেশ্বর বিকেলে সহজকে একজনের বাড়িতে নিয়ে গেল। তারপর... 
বিশদ

13th  June, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১৫
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

শঙ্কর বলল, ‘তুমি চান্স নাও। সব পাখি মাছ খায় দোষ হয় মাছরাঙার! আমার দরকার নেই। আমার অনেক আছে।’ বিশদ

06th  June, 2021
ছাতা হারানোর পর
রিমি মুৎসুদ্দি

কলি জানত, মম্পা নিজে পড়াশোনা বিশেষ করে না। সারাক্ষণ মিটিং মিছিল নিয়েই ওর সময় কাটে। এমন মিটিং মিছিল করা ছেলের সঙ্গে কী করেই বা ও জড়াত নিজেকে? আর তাও যদি মম্পার রেজাল্টটা তেমন কিছু হতো তাহলেও কিঞ্চিৎ বিবেচনায় ওকে রাখতে পারত।  বিশদ

30th  May, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ১৪
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বিচিত্রদাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে গিয়ে একপ্রস্থ নাটক হল। যদিও শেষপর্যন্ত বিচিত্রদার কপালে বেড জুটল। নচের নানা মজার কীর্তি বর্ণিনীকে শোনাল গৌর। এদিকে, ক্যাপ্টেনের অলৌকিক শক্তি যে কমেনি, তা সহজের গল্প প্রকাশের সুবাদে আরও একবার পরমেশ্বরের গ্রুপে প্রমাণ হয়ে গেল। তারপর... বিশদ

30th  May, 2021
কালা চশমা 
শুচিস্মিতা দেব

সুমিতাকে প্রবাস জীবনের শুরুতে সংসারের বাঙালি স্বাদগন্ধ বজায় রাখতে কম মেহনত করতে হয়নি! কোথায় মেলে বাঙালি পুরুতঠাকুর... শুক্তো-মুড়িঘণ্ট, স্পেশালিস্ট বঙ্গ ক্যাটারার... গাওয়া ঘি-গোবিন্দভোগ চাল অথবা শারদীয় পত্রপত্রিকা! কর্তাটি তার নির্ভেজাল খাঁটি বাঙাল ফলে দীর্ঘ দিল্লিবাসে যাবতীয় বঙ্গসমাচার এখন সুমিতার নখদর্পণে। 
বিশদ

23rd  May, 2021
পিশাচ সাধু 
জয়ন্ত দে

ক্যাপ্টেনকে গালমন্দ করতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনল সুজি। ‘কাক হয়ে কোকিলের বাচ্চা মানুষ করবি সুজি,’ পিশাচ সাধুর মুখ থেকে বেরিয়ে এল কয়েকটি ভয়ঙ্কর শব্দ। যা তাকে সারা জীবন কুড়ে কুড়ে খাবে। এদিকে, বর্ণিনীর ফোন এল সহজের মোবাইলে বিচিত্রদার অবস্থা ভালো নয়।  
বিশদ

23rd  May, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে 

সহজের কাছে চিঠিটি এসেছে ‘স্বদেশ’ পত্রিকা থেকে। সেখানে তার গল্প ছাপা হবে। এদিকে, ক্যাপ্টেনের ভবিষ্যদ্বাণী ব্যর্থ হয়েছে শুনে বেজায় খুশি সুজি। পিশাচ সাধুর শক্তি সম্বন্ধে তার বক্তব্য, ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর’। পরের দিন সহজকে নিয়ে ক্যাপ্টেনের বাড়ি যাবে ঠিক করে সুজি।  
বিশদ

16th  May, 2021
ছোঁয়া
বিতস্তা ঘোষাল
 

অফিস থেকে বেরিয়ে নীচে বেশ খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে পর্ণা। এই দাঁড়িয়ে থাকাটা কোনও কিছুর অপেক্ষায় নয়। এটা তার অভ্যাস। আসলে একটানা চার দেওয়ালের ঘেরাটোপে কাজ করতে করতে ভীষণ হাঁফ ধরে যায়। গুমোট লাগে ঘরটা। বিশদ

09th  May, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ১১
জয়ন্ত দে

 

সহজের ফোনটা পেয়ে কেমন যেন চুপচাপ হয়ে গেলেন পিশাচ সাধু। তাহলে তাঁর খারাপ কথাগুলো মিলে গেলেও কারও ভালো ভবিষ্যদ্বাণী করলে, তা মেলে না! বঁড়শি বারবার জানতে চায় তার কী হয়েছে। অনুমান করে ফেলে ফোন করেছিল সহজ। সে স্বামীকে বোঝায়, না মিলুক, তবুও তিনি যেন মানুষকে ভালো কথাই বলেন। বিশদ

09th  May, 2021
ছোট গল্প
সম্ভবামি যুগে যুগে

 

মহাপ্রস্থানের পথে অর্জুনের পতনের পর ভীম ও যুধিষ্ঠির আরও উত্তরদিকে এগিয়ে গেলেন। সেই বরফে ঢাকা শ্বেত প্রান্তরে মৃত্যুর অপেক্ষা করতে করতে অর্জুনের মন আসন্ন স্বর্গ না নরক এই দুর্ভাবনার  থেকেও শেষজীবনের পরাজয় ও হতাশায় আচ্ছন্ন হয়ে রইল। তিনি চিরকালের শৌর্যাভিমানী। বিশদ

25th  April, 2021
পিশাচ সাধু
পর্ব  ১০

তেত্রিশ দিন হয়ে গেল অথচ সহজের জীবনে ক্যাপ্টেনের করা ভবিষ্যদ্বাণী মিলল না। পরমেশ্বরের কথা শুনে ক্যাপ্টেনকে ফোন করে সহজ বলে দিল, ‘আপনি ফ্লপ! আপনার ভবিষ্যদ্বাণী ফ্লপ!’ সেদিন রাতেই বাড়ি ফিরে বাবার কাছ থেকে সহজ জানতে পারল, তার নামে একটি অফিসিয়াল চিঠি এসেছে। তারপর... বিশদ

25th  April, 2021
পিশাচ সাধু

 

হঠাৎ বর্ণিনীর সঙ্গে রাস্তায় দেখা হয়ে যায় সহজের। বনির গন্তব্য বিচিত্রদার বাড়ি। সহজকে সঙ্গী করে বনি। জনগণের স্বার্থে লড়াই করতে গিয়ে বহুবার পেটানি খাওয়া বিচিত্র ঘোষাল বিশ্বাস করে, এ দেশে একদিন বিপ্লব হবেই। কথায় কথায় বিচিত্রদাও সহজকে সাবধান করে দেয়, সে যেন পিশাচ সাধুর পাল্লায় না পড়ে। বিশদ

18th  April, 2021
মিষ্টু
উৎপল দাস

রিমা ভিতরে ভিতরে জ্বলে পুড়ে মরে। এ পৃথিবীতে কেউ নেই যে তার অবস্থা বোঝে। মিষ্টুকে বিদায় না করতে পারলে যেন ওর শান্তি নেই।  বিশদ

11th  April, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব   ৮

সহজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় পরমেশ্বর শান্ত গলায় বলেছিল— বিচিত্রদা সেই বিরল মানুষ যারা এখনও মনে করে বিপ্লব হবে। কখন হবে, কীভাবে হবে কেউ জানে না, শুধুমাত্র একটা স্ফুলিঙ্গ। সেই স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল হয়ে যাবে। বিশদ

11th  April, 2021
একনজরে
আগামী পয়লা জুলাই পর্যন্ত রাজ্য সরকারি অফিসে ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালানো হবে। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অফিস কর্তৃপক্ষ কর্মীদের রোস্টার তৈরি করে তাঁদের আসার জন্য পরিবহণের ব্যবস্থা করবে। ...

নন্দীগ্রামের গঙ্গামেলার মাঠে হলদি নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ তিনজনের দেহ উদ্ধার হল সোমবার। এদিন ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে কাঁটাখালি ও ১০কিলোমিটার দূরে জেলিংহাম এলাকায় ...

করোনা আতঙ্কের মধ্যে দেশে কোপা আমেরিকা আয়োজনের বিপক্ষে সুর চড়িয়েছিল ব্রাজিল দল। টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানোরও ইঙ্গিতও ছিল নেইমার-কাসেমিরোদের বক্তব্যে। ...

কোচবিহার পুরসভায় দু’শোরও বেশি ‘ভূতুড়ে’ শ্রমিক! বাস্তবে যাদের কোনও হদিশ মিলছে না। অথচ বেশ কয়েকমাস ধরে প্রতিমাসে ১৪ লক্ষ টাকা করে তাদের বেতন দেওয়া হয়েছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৬: জাপানে সুনামিতে ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু
১৯৫০: শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তালের জন্ম
১৯৫৩: চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের জন্ম
১৯৬০: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়
১৯৬৯: জার্মানির গোলকিপার অলিভার কানের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৪৩ টাকা ৭৪.১৪ টাকা
পাউন্ড ১০১.৬৬ টাকা ১০৫.১৭ টাকা
ইউরো ৮৭.০৬ টাকা ৯০.২৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  June, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯, ১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭, ৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭২, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭২, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
14th  June, 2021

দিন পঞ্জিকা

৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮, মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১। পঞ্চমী ৪৫/৪ রাত্রি ১০/৫৭। অশ্লেষা নক্ষত্র ৪১/৫৬ রাত্রি ৯/৪২। সূর্যোদয় ৪/৫৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৬/১৮/১২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১২/৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৭ গতে ৪/৩১ মধ্যে। রাত্রি ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৪ গতে ৩/৩৭ মধ্যে পুনঃ ৪/৩১ গতে ৫/২৪ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৫ গতে ৯/৫০ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৬ মধ্যে পুনঃ ১/১৭ গতে ২/৫৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৮ গতে ৮/৫৮ মধ্যে। 
৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮, মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১। পঞ্চমী রাত্রি ৭/৩৬। অশ্লেষা নক্ষত্র রাত্রি ৭/৭। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২০।  অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ মধ্যে ও ৯/২৭ গতে ১২/৮ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৪/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ মধ্যে ও ১২/২ গতে ২/৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৮ গতে ৩/৪২ মধ্যে ও ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ গতে ৯/৫৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৭ মধ্যে ও ১/১৮ গতে ২/৫৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪০ গতে ৮/৫৯ মধ্যে। 
৪ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: হাঙ্গেরি ০ পর্তুগাল ৩ (ফুলটাইম)

11:28:00 PM

ইউরো কাপ: হাঙ্গেরি ০ পর্তুগাল ০ (হাফটাইম)

10:28:19 PM

যে এলাকায় সংক্রমণ বেশি সেখানে কড়াকড়ি করতে হবে, নির্দেশ রাজ্য প্রশাসনের 
যে এলাকায় সংক্রমণ বেশি সেখানে কড়াকড়ি করতে হবে। আজ, মঙ্গলবার ...বিশদ

07:51:00 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরপ্রদেশে আক্রান্ত ৩৪০, মৃত ৫৭ 

07:39:36 PM

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতীয় দলে কে কে রয়েছেন, জানুন 
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য আজ, মঙ্গলবার ভারতীয় দল ঘোষণা ...বিশদ

07:23:31 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাখণ্ডে আক্রান্ত ২৭৪, মৃত ১৮ 

07:22:21 PM