শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
বিচিত্রদাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে গিয়ে একপ্রস্থ নাটক হল। যদিও শেষপর্যন্ত বিচিত্রদার কপালে বেড জুটল। নচের নানা মজার কীর্তি বর্ণিনীকে শোনাল গৌর। এদিকে, ক্যাপ্টেনের অলৌকিক শক্তি যে কমেনি, তা সহজের গল্প প্রকাশের সুবাদে আরও একবার পরমেশ্বরের গ্রুপে প্রমাণ হয়ে গেল। তারপর...
সহজ মায়ের কাছে এলে সত্যি সত্যি চন্দনের গন্ধ পায়। আর কেউ পায় কী না সে জানে না। মিমিকে একবার জিজ্ঞেস করেছিল। মিমি খুব ঠান্ডা গলায় বলেছিল, ‘আমি লেখক নই।’
সহজ বলেছিল, ‘আরে গন্ধের জন্য দরকার ঘ্রাণশক্তি, কলম নয়। সম্বুদ্ধ মিত্র রাতে যখন চটির ফটফট আওয়াজ তুলে ঘোরাঘুরি করে, তোর কী মনে হয়?’
সহজের কথায় ভ্রু কুঁচকেছিল মিমি। বলেছিল, ‘তুই কী বলছিস, সেটা আমি বুঝেছি। কিন্তু আমার তাকে রোবট মনে হয় না, মানুষই মনে হয়। আমার বাবা বলেই মনে হয়।’
সহজ আবার বলেছিল, ‘আমাদের ঠাকুমা শ্রীমতী বাসবী মিত্র যখন ভারী গলা ঠান্ডা স্বরে চিৎকার করে তখনও কি তোর কিছুই মনে হয় না?’
‘না, মনে হয় না। কারণ আমি ডাক্তার নই। আর ঠাকুমা আমাকে বলেনি, সে দীর্ঘদিন কনস্টিপেশনে ভুগছে। অবশ্য তুই ডাক্তার না হয়েও জানিস ঠাকুমার কস্টিপেশনের অসুখ আছে। এরপর নিশ্চয়ই তুই জিজ্ঞেস করবি, আমার মনে হয় না কেন? আমি বলব, তার কারণ আমি মাথামোটা! তবু তারপরেও আমি তোর মতো ইমম্যাচিওর নই।’
মিমির কথা শুনে সহজ হাসল না। বলল, ‘আমি তোর বুদ্ধিকে মোটা বা রোগা এমন কিছু বলিনি, তবে—।’
মিমি বলল, ‘শোন, একটা গল্প ছাপা হলে সাপের পাঁচ পা বের হয় না। ছাপা হয়েছে খুবই ভালো কথা। আমাদের খাওয়া, সেলিব্রেট কর। কিন্তু তারপরও আমি বলছি, পরমেশ্বরদাকে ধর। একটা জমির ব্যবস্থা হয়ে যাবে, যদি একটা প্রজেক্ট স্টার্ট করা যায়। তোর লাক এখন ঘুরছে, এই লাইনেও তোর হবে। আমি এমন সুযোগ পেলে একবার চেষ্টা করতাম।’
সহজ মাথা নাড়াল, ‘লেডি প্রোমোটার— আছে তো। অনেকই আছে। তুই চেষ্টা করলে কিন্তু সত্যিই পারতিস।’
সহজ হাসে। সে জানে মিমি এসব নিজের কথা বলছে না। ওকে এসব বলাচ্ছে, শেখাচ্ছে পদ্মনাভ। পদ্মনাভ নিজে অনেকবার চেষ্টা করেছিল পরমেশ্বর ব্যানার্জির টিমে ঢুকতে। তারপর জমি জায়গা নিয়ে প্রোমোটিং করবে। ওর কাছে দু-একটা জমির হদিশও ছিল। কিন্তু পরমেশ্বরদা না থাকলে সামলাতে পারবে না। আর কিছুতেই সে পরমেশ্বরকে ম্যানেজ করতে পারেনি, গ্রুপে ঢুকতেও পারেনি। সহজ জানে টিমে ঢোকার জন্য পদ্মনাভ অনেক খরচপাতিও করেছিল নচে, গৌরা, অমল, কালুদের পিছনে। কিন্তু কখনওই সে পরমেশ্বর বা শঙ্করের নাগাল পায়নি। দীর্ঘদিন রংকলের মাঠে, কারখানার মাঠে মদ খাইয়ে হুল্লোড় করেছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। এখন সে মিমিকে উস্কাচ্ছে। সামনে সহজ, তার সঙ্গে পার্টনার মিমি, মিমির বকলমে পদ্মনাভ। এই ছক। সহজের কাছে যা জলের মতো পরিষ্কার।
মিমি চলে যাচ্ছিল। ঘুরে দাঁড়িয়ে বলল, ‘শোন, তোর কাছে কোন এক জ্যোতিষী আছে শুনলাম? সে নাকি নির্ভুল বলে? আমাকে একবার তার কাছে নিয়ে যাবি?’
‘কী করবি গিয়ে?’
কাঁধ ঝাঁকাল মিমি, ‘সবাই যা করে তাই করব। ফিউচার জানব। সে তো তোকে কীসব বলেছে। আর তা নাকি অক্ষরে অক্ষরে মিলেও গিয়েছে। একদম ডেট টাইম দিয়ে দিয়েছিল। কী বলেছিল রে, আর কী-ই বা মিলল?’
সহজ শান্ত গলায় বলল, ‘যা বলেছিল, পুরো মিলে গিয়েছে। মারাত্মক!’
‘কী?’
‘বলেছিল, হঠাৎ রোবটকে তোমার মানুষ মনে হবে। বাবাও মনে হতে পারে। সেটাই তো হয়েছে। আমার না হোক, তোর হয়েছে।’
‘ইডিয়ট! স্ট্রেট বল, তুই আমাকে তার কাছে কবে নিয়ে যাবি? আমি একবার তার কাছে গিয়ে হাত দেখাতে চাই। আমার কিছু কোয়েশ্চেন আছে।’
‘পার আনসার একশো টাকা। তুই আমাকে অ্যাডভান্স কর।’
সহজ বুঝতে পারছে খবরটা পদ্মনাভ হয়ে মিমির কাছে এসেছে। এবার মিমিকে এড়ানো কঠিন। দিনরাত ঘ্যান ঘ্যান করে যাবে।
‘তুই একটা ডেট নে, আমি যাব।’
খাবার টেবিল থেকে মিমি চলে গেল। অচল এসে রান্নাঘরে ঢুকল। সহজ বলল, ‘অচলদা, তোমার কর্তাবাবার খবর কী?’
‘খুব ভালো। তোমাকে পরশু খুব খুঁজছিলেন। আমাকে বলেওছিলেন। একবার গিয়ে দেখা করো।’
‘এখন যাব? যোগ, ধ্যান সব হয়ে গিয়েছে?’
‘যেতে পার।’ অচল ম্লান হাসল, ‘সে তো সবসময় করছেন, তবে তুমি যাও। আর তোমাকে তো উনিই খুঁজছিলেন। খুশিই হবেন।’
বারান্দার ভেতর দিয়ে ঠাকুরদার ঘরে যাওয়া যায়। যায় বলতে সে দরজাটা রাতের দিকে অচল খুলে দেয়। তখন এ বাড়ির মানুষজনের সঙ্গে ওই ঘরের যোগাযোগ সরল পথে হয়। বাদবাকি সারাদিন ওই দরজাটা ভেতর থেকে বন্ধ। ওই ঘরে যেতে গেলে বাঁকা পথে ঘুরে যেতে হবে। প্রায় বাগানের মধ্যে দিয়ে মাটির সরু হাঁটা পথ ধরে। পথের ধারে ফুল গাছের কেয়ারি করা। ফি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার মালি আসে। এ বাড়ির গাছ বাগান পরিচর্যা করে। সেদিন সহজের ঠাকুরদা শশাঙ্ক মিত্রকে দেখা যায়। বাগানে ঘুরছেন, মালির সঙ্গে খুব নিবিষ্টভাবে টুকটাক কথা বলছেন। ওঁর ঘুরে বেড়ানোটা যেন সাপ্তাহিক রোদ লাগানো। আগে কোনও কোনওদিন সহজ গিয়ে শশাঙ্ক মিত্রের কাছে দাঁড়াত। ঠাকুরদার সঙ্গে দু-চারটে কথাও বলত। কিন্তু ক্রমশ সে যেন বুঝতে পারছিল যে, সে গেলে তার ঠাকুরদা আর বেশিক্ষণ বাগানে থাকেন না। দু-চারটে কথা বলে পায়ে পায়ে ঘরে ঢুকে যান। এটা যেদিন থেকে সহজ বুঝেছে, সেদিন থেকে আর যায় না। কী দরকার কেউ যখন একা থাকতে চান, তাঁকে বিরক্ত করার কোনও মানে হয় না। এছাড়াও শশাঙ্ক মিত্র প্রতিদিন ঘর ছেড়ে বের হন, সেটা কাকডাকা ভোরে। তখন এ বাড়ির করাও ঘুম ভাঙে না। সে সময় কোনওদিন সহজ তার ঠাকুরদাকে দেখেনি। শুনেছে অচলদার মুখ থেকে। সত্যি কথা বলতে কি সহজ হয়তো কোনওদিন এ বাড়িতে ভোর দেখেনি।
তবে, সহজ ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে বাগান ঘুরে ঠাকুরদার ঘরের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। গলা তুলে জানতে চায়, ‘কেমন আছো?’ উত্তর আসে, ‘ঠিক আছি।’ এরকমই একদিন সহজ দেখেছিল তার ঠাকুরদা খুব মন দিয়ে কিছু লিখছেন। সহজ জানতে চেয়েছিল, ‘কী লিখছ?’ উত্তর এসেছিল, ‘তেমন বলার মতো কিছু না।’ অচলদার কাছ থেকে জেনেছিল, ‘উনি মহাভারত দেখে দেখে কিছু লেখেন।’ শশাঙ্ক মিত্রের ওদিকের ঘরগুলো বইয়ে ঠাসা। তবে জ্ঞান হতে সহজ দেখেছে, যা বই-ই আসে, তা মহাভারত, পুরাণের নানা টীকা ও ভাষ্যের বই। সহজ একদিন বলেছিল, ‘একদিন তোমার বইগুলো দেখব।’ উত্তর এসেছিল, ‘তোমার ভালো লাগবে না।’
সেই শশাঙ্ক মিত্র তাকে খুঁজছিলেন। কেন?
সহজ বাগান দিয়ে ঘুরে তাঁর ঘরের কাছে দাঁড়াল। বলল, ‘তুমি নাকি আমাকে খুঁজছিলে?’
‘হ্যাঁ, খুঁজছিলাম। তবে সেটা পরশুদিন। অচল তোমাকে খুঁজে পায়নি।’
‘কী দরকার বলো?’
‘যে দরকার ছিল, সেটা জেনে গিয়েছি।’
‘কী জেনেছ? দরকারটা কী ছিল শুনি।’
সহজের কথায় শশাঙ্ক মিত্র দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। ‘আমি অচলকে দিয়ে খোঁজ নিয়েছিলাম, ঠিক আছে। তেমন বলার মতো কিছু না। বিষয়টি মিটে গিয়েছে।’
সহজ খুব ঠান্ডা গলায় বলল, ‘তবু আমি জানতে চাই, কেন খুঁজছিলে?’
কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলেন শশাঙ্ক মিত্র। ‘অচল বলছিল, কী একটা চিঠি এসেছে। পরে শুনলাম, চিঠিটা তোমার। আমার হলে তুমি নিশ্চয়ই এসে খবর দিতে।’
‘হ্যাঁ, দিতাম।’
‘আসলে আমি আগের একটা চিঠিতে তোমার কথা গুরুদেবকে লিখেছিলাম। লিখেছিলাম, আমার নাতিকে জানালেও সে সব ব্যবস্থা করে নিয়ে যেতে পারবে। ভেবেছিলাম, গুরুদেব হয়তো তারই উত্তর পাঠিয়েছেন। সে চিঠি তোমার কাছে এসেছে।’
‘না, তোমার গুরুদেবের কোনও চিঠি আসেনি।’
‘হ্যাঁ, সেটা শুনেছি। যাক, যদি তোমার নামে কোনও চিঠি আসে, তুমি সঙ্গে সঙ্গে আমাকে জানাবে।’
সম্মতিসূচক ঘাড় নেড়ে মাথা নিচু করে সহজ ফিরে এল। সহজ জানে, তার ঠাকুরদার প্রত্যাশা কোনওদিন পূরণ হবে না। কোনওদিন তাঁর চিঠির উত্তর আসবে না। কেন না গুরুদেবের নামে শশাঙ্ক মিত্রের পাঠানো কোনও চিঠিই আজ পর্যন্ত পোস্ট করা হয়নি।
শশাঙ্ক মিত্র নিয়ম করে তাঁর গুরুদেবকে চিঠি লেখেন। গুরুদেবকে জানিয়ে দেন—তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত। সাংসারিক সব দায় দায়িত্ব থেকে তিনি মুক্ত। তাঁর মন প্রাণ গুরুদেবের পায়ে সমর্পণ করতে চান। গুরুদেব যদি অনুমতি করেন, তাহলে তিনি চিঠির উত্তর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বৈদ্যনাথ ধামের দিকে অগ্রসর হবেন। তাঁর নাতিই তাঁকে দিয়ে আসবে। বৃথা সময় চলে যাচ্ছে। তিনি উদগ্রীব হয়ে প্রতীক্ষা করছেন।
সহজ জানে। তার ঠাকুরদা প্রতি মাসে চিঠি লেখেন, তাঁর বৈদ্যনাথ ধামে থাকা গুরুদেবকে। আগে তিনি খুবই ঘন ঘন চিঠি লিখতেন। এখন একটু কমেছে। প্রতিটা চিঠিতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একই কথা লেখা থাকে। যে কথাগুলো শুধু গুরুদেবের আশ্রমে ঠাঁই পাবার আকুতি।
কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও চিঠিই এই বাড়ি থেকে বের হয়নি। সহজের ঠাকুমা বাসবী দেবীর কড়া নির্দেশ। ‘উনি সাপ ব্যাঙ যা খুশি লিখুন— কিন্তু তা এই বাড়ির ভেতর থেকে এক বর্ণও বাইরে বেরুবে না।’অচল নিয়ম করে পোস্টঅফিস থেকে পোস্টকার্ড, ইনল্যান্ড লেটার কিনে আনে। এনে শশাঙ্ক মিত্রকে দেয়। আবার চিঠি লেখা হলে তারই দায়িত্ব থাকে সে চিঠি পোস্টঅফিসে গিয়ে পোস্ট করে আসার।
কিন্তু অচল কোনওদিনই সে চিঠি পোস্ট করেনি। গৃহকর্ত্রীর কড়া হুকুম ছিল চিঠি লিখলেই পোস্ট করার আগে তা এনে আমার কাছে দিবি। আমি পোস্ট করব। তাঁর কথার অন্যথা হয়নি। অচলকে সব চিঠিই এনে দিতে হয়।
বাসবী মিত্র কোনওদিনই শশাঙ্ক মিত্রকে এ-বাড়ি থেকে বেরুতে দেবেন না। বৈদ্যনাথ ধামে গিয়ে গুরুদেবের আশ্রমে কাটানো তাঁর কাছে অলীক স্বপ্নই হয়ে থাকবে।
সহজ একবার খুব নিচু স্বরে তার ঠাকুরদাকে প্রশ্ন করেছিল— তুমি নিজে চলে যেতে পার না?
‘উনি আমাকে বলেছিলেন, সময় হলে আমি তোমাকে ডেকে নেব। আমার হয়তো সময় হয়নি। নাহলে এত চিঠি লিখি তিনি উত্তর দেন না কেন?’
অচল পোস্ট করতে যাওয়ার নাম করে চিঠিগুলো বাসবীর হাতে তুলে দেয়। আর বাসবী সে চিঠি ছেঁড়েন না, আগুনেও পোড়ান না— তাঁর পাপের ভয় আছে। তিনি চিঠিগুলোর ওপর শুধু গঙ্গাজল ঢালেন, রোজ গঙ্গাজল ঢালেন। জলে জলে ওই চিঠির সব অক্ষর তিনি ধুয়ে দেন।
তবে এই গঙ্গাজলও তিনি নিজের হাতে ঢালেন না। এত পাপ তিনি বইতে পারবেন না। এই কাজটি করে তাঁর পুত্রবধূ কস্তুরী। একটা পাথরের থালায় চিঠিগুলো রেখে জল দেয়। জল দিতে দিতে চিঠিগুলো পচে গেলে গাছের গোড়ায় ঢেলে দেয়। কস্তুরীও জানে সে বড় পাপ করছে, কিন্তু সে অসহায়। তার মনে হয়, মানুষটা তো এখানে এক ঘরে পড়ে আছেন, শেষ জীবনটা তিনি যদি গুরুদেবের আশ্রমে গিয়ে কাটাতেন, তাহলে কার এমন ক্ষতি বৃদ্ধি হতো?
সহজ আজ রাতে বারান্দা দিয়ে সটান হাজির হল শশাঙ্ক মিত্রের ঘরে। দেখল, দুধ সাদা বিছানায় তার ঠাকুরদা ঘুমাচ্ছেন। তার পাশে ছোট খাটে অচলদা ঘুমের গভীরে।
সহজ চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকল কয়েক মুহূর্ত। একটা কথা বলবে বলে সে গিয়েছিল, আস্তে আস্তে ফিরে এল। সিঁড়ির মুখে তার সামনে এসে দাঁড়াল সম্বুদ্ধ মিত্র। ‘তুমি কি তোমার লেখাটা দাদুকে পড়িয়েছ? কাল সকালে যেও। উনি খুশি হবেন।’ খুব বিরক্ত মুখে কথাটা শুনে সহজ চলে যাচ্ছিল। সম্বুদ্ধ মিত্র আবার ডাকলেন, ‘শোনো। শুনেছি, উনি বেদ, উপনিষদ, সমস্ত পুরাণ, সংহিতা নিয়ে কোনও কিছু লিখছেন। লিখছেন আর ট্রাঙ্কে ভরে রাখছেন। ট্রাঙ্কের চাবি ওঁর কোমরে থাকে। আমাকে অনেকদিন আগে একবার বলার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু আমি ওসব বুঝব না। ইন্টারেস্ট পাইনি, তাই শুনিনি। যাই হোক, তুমি ওটা রক্ষা করো। জল ঢালতে দিও না। তুমিই পারবে।’