Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ১৪
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে


বিচিত্রদাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে গিয়ে একপ্রস্থ নাটক হল। যদিও শেষপর্যন্ত বিচিত্রদার কপালে বেড জুটল। নচের নানা মজার কীর্তি বর্ণিনীকে শোনাল গৌর। এদিকে, ক্যাপ্টেনের অলৌকিক শক্তি যে কমেনি, তা সহজের গল্প প্রকাশের সুবাদে আরও একবার পরমেশ্বরের গ্রুপে প্রমাণ হয়ে গেল। তারপর...
সহজ মায়ের কাছে এলে সত্যি সত্যি চন্দনের গন্ধ পায়। আর কেউ পায় কী না সে জানে না। মিমিকে একবার জিজ্ঞেস করেছিল। মিমি খুব ঠান্ডা গলায় বলেছিল, ‘আমি লেখক নই।’
সহজ বলেছিল, ‘আরে গন্ধের জন্য দরকার ঘ্রাণশক্তি, কলম নয়। সম্বুদ্ধ মিত্র রাতে যখন চটির ফটফট আওয়াজ তুলে ঘোরাঘুরি করে, তোর কী মনে হয়?’
সহজের কথায় ভ্রু কুঁচকেছিল মিমি। বলেছিল, ‘তুই কী বলছিস, সেটা আমি বুঝেছি। কিন্তু আমার তাকে রোবট মনে হয় না, মানুষই মনে হয়। আমার বাবা বলেই মনে হয়।’
সহজ আবার বলেছিল, ‘আমাদের ঠাকুমা শ্রীমতী বাসবী মিত্র যখন ভারী গলা ঠান্ডা স্বরে চিৎকার করে তখনও কি তোর কিছুই মনে হয় না?’
‘না, মনে হয় না। কারণ আমি ডাক্তার নই। আর ঠাকুমা আমাকে বলেনি, সে দীর্ঘদিন কনস্টিপেশনে ভুগছে। অবশ্য তুই ডাক্তার না হয়েও জানিস ঠাকুমার কস্টিপেশনের অসুখ আছে। এরপর নিশ্চয়ই তুই জিজ্ঞেস করবি, আমার মনে হয় না কেন? আমি বলব, তার কারণ আমি মাথামোটা! তবু তারপরেও আমি তোর মতো ইমম্যাচিওর নই।’
মিমির কথা শুনে সহজ হাসল না। বলল, ‘আমি তোর বুদ্ধিকে মোটা বা রোগা এমন কিছু বলিনি, তবে—।’
মিমি বলল, ‘শোন, একটা গল্প ছাপা হলে সাপের পাঁচ পা বের হয় না। ছাপা হয়েছে খুবই ভালো কথা। আমাদের খাওয়া, সেলিব্রেট কর। কিন্তু তারপরও আমি বলছি, পরমেশ্বরদাকে ধর। একটা জমির ব্যবস্থা হয়ে যাবে, যদি একটা প্রজেক্ট স্টার্ট করা যায়। তোর লাক এখন ঘুরছে, এই লাইনেও তোর হবে। আমি এমন সুযোগ পেলে একবার চেষ্টা করতাম।’
সহজ মাথা নাড়াল, ‘লেডি প্রোমোটার— আছে তো। অনেকই আছে। তুই চেষ্টা করলে কিন্তু সত্যিই পারতিস।’
সহজ হাসে। সে জানে মিমি এসব নিজের কথা বলছে না। ওকে এসব বলাচ্ছে, শেখাচ্ছে পদ্মনাভ। পদ্মনাভ নিজে অনেকবার চেষ্টা করেছিল পরমেশ্বর ব্যানার্জির টিমে ঢুকতে। তারপর জমি জায়গা নিয়ে প্রোমোটিং করবে। ওর কাছে দু-একটা জমির হদিশও ছিল। কিন্তু পরমেশ্বরদা না থাকলে সামলাতে পারবে না। আর কিছুতেই সে পরমেশ্বরকে ম্যানেজ করতে পারেনি, গ্রুপে ঢুকতেও পারেনি। সহজ জানে টিমে ঢোকার জন্য পদ্মনাভ অনেক খরচপাতিও করেছিল নচে, গৌরা, অমল, কালুদের পিছনে। কিন্তু কখনওই সে পরমেশ্বর বা শঙ্করের নাগাল পায়নি। দীর্ঘদিন রংকলের মাঠে, কারখানার মাঠে মদ খাইয়ে হুল্লোড় করেছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। এখন সে মিমিকে উস্কাচ্ছে। সামনে সহজ, তার সঙ্গে পার্টনার মিমি, মিমির বকলমে পদ্মনাভ। এই ছক। সহজের কাছে যা জলের মতো পরিষ্কার।
মিমি চলে যাচ্ছিল। ঘুরে দাঁড়িয়ে বলল, ‘শোন, তোর কাছে কোন এক জ্যোতিষী আছে শুনলাম? সে নাকি নির্ভুল বলে? আমাকে একবার তার কাছে নিয়ে যাবি?’
‘কী করবি গিয়ে?’
কাঁধ ঝাঁকাল মিমি, ‘সবাই যা করে তাই করব। ফিউচার জানব। সে তো তোকে কীসব বলেছে। আর তা নাকি অক্ষরে অক্ষরে মিলেও গিয়েছে। একদম ডেট টাইম দিয়ে দিয়েছিল। কী বলেছিল রে, আর কী-ই বা মিলল?’
সহজ শান্ত গলায় বলল, ‘যা বলেছিল, পুরো মিলে গিয়েছে। মারাত্মক!’
‘কী?’
‘বলেছিল, হঠাৎ রোবটকে তোমার মানুষ মনে হবে। বাবাও মনে হতে পারে। সেটাই তো হয়েছে। আমার না হোক, তোর হয়েছে।’
‘ইডিয়ট! স্ট্রেট বল, তুই আমাকে তার কাছে কবে নিয়ে যাবি? আমি একবার তার কাছে গিয়ে হাত দেখাতে চাই। আমার কিছু কোয়েশ্চেন আছে।’
‘পার আনসার একশো টাকা। তুই আমাকে অ্যাডভান্স কর।’
সহজ বুঝতে পারছে খবরটা পদ্মনাভ হয়ে মিমির কাছে এসেছে। এবার মিমিকে এড়ানো কঠিন। দিনরাত ঘ্যান ঘ্যান করে যাবে।  
‘তুই একটা ডেট নে, আমি যাব।’
খাবার টেবিল থেকে মিমি চলে গেল। অচল এসে রান্নাঘরে ঢুকল। সহজ বলল, ‘অচলদা, তোমার কর্তাবাবার খবর কী?’
‘খুব ভালো। তোমাকে পরশু খুব খুঁজছিলেন। আমাকে বলেওছিলেন। একবার গিয়ে দেখা করো।’
‘এখন যাব? যোগ, ধ্যান সব হয়ে গিয়েছে?’
‘যেতে পার।’ অচল ম্লান হাসল, ‘সে তো সবসময় করছেন, তবে তুমি যাও। আর তোমাকে তো উনিই খুঁজছিলেন। খুশিই হবেন।’
বারান্দার ভেতর দিয়ে ঠাকুরদার ঘরে যাওয়া যায়। যায় বলতে সে দরজাটা রাতের দিকে অচল খুলে দেয়। তখন এ বাড়ির মানুষজনের সঙ্গে ওই ঘরের যোগাযোগ সরল পথে হয়। বাদবাকি সারাদিন ওই দরজাটা ভেতর থেকে বন্ধ। ওই ঘরে যেতে গেলে বাঁকা পথে ঘুরে যেতে হবে। প্রায় বাগানের মধ্যে দিয়ে মাটির সরু হাঁটা পথ ধরে। পথের ধারে ফুল গাছের কেয়ারি করা। ফি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার মালি আসে। এ বাড়ির গাছ বাগান পরিচর্যা করে। সেদিন সহজের ঠাকুরদা শশাঙ্ক মিত্রকে দেখা যায়। বাগানে ঘুরছেন, মালির সঙ্গে খুব নিবিষ্টভাবে টুকটাক কথা বলছেন। ওঁর ঘুরে বেড়ানোটা যেন সাপ্তাহিক রোদ লাগানো। আগে কোনও কোনওদিন সহজ গিয়ে শশাঙ্ক মিত্রের কাছে দাঁড়াত। ঠাকুরদার সঙ্গে দু-চারটে কথাও বলত। কিন্তু ক্রমশ সে যেন বুঝতে পারছিল যে, সে গেলে তার ঠাকুরদা আর বেশিক্ষণ বাগানে থাকেন না। দু-চারটে কথা বলে পায়ে পায়ে ঘরে ঢুকে যান। এটা যেদিন থেকে সহজ বুঝেছে, সেদিন থেকে আর যায় না। কী দরকার কেউ যখন একা থাকতে চান, তাঁকে বিরক্ত করার কোনও মানে হয় না। এছাড়াও শশাঙ্ক মিত্র প্রতিদিন ঘর ছেড়ে বের হন, সেটা কাকডাকা ভোরে। তখন এ বাড়ির করাও ঘুম ভাঙে না। সে সময় কোনওদিন সহজ তার ঠাকুরদাকে দেখেনি। শুনেছে অচলদার মুখ থেকে। সত্যি কথা বলতে কি সহজ হয়তো কোনওদিন এ বাড়িতে ভোর দেখেনি।
তবে, সহজ ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে বাগান ঘুরে ঠাকুরদার ঘরের সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। গলা তুলে জানতে চায়, ‘কেমন আছো?’ উত্তর আসে, ‘ঠিক আছি।’ এরকমই একদিন সহজ দেখেছিল তার ঠাকুরদা খুব মন দিয়ে কিছু লিখছেন। সহজ জানতে চেয়েছিল, ‘কী লিখছ?’ উত্তর এসেছিল, ‘তেমন বলার মতো কিছু না।’ অচলদার কাছ থেকে জেনেছিল, ‘উনি মহাভারত দেখে দেখে কিছু লেখেন।’ শশাঙ্ক মিত্রের ওদিকের ঘরগুলো বইয়ে ঠাসা। তবে জ্ঞান হতে সহজ দেখেছে, যা বই-ই আসে, তা মহাভারত, পুরাণের নানা টীকা ও ভাষ্যের বই। সহজ একদিন বলেছিল, ‘একদিন তোমার বইগুলো দেখব।’ উত্তর এসেছিল, ‘তোমার ভালো লাগবে না।’ 
সেই শশাঙ্ক মিত্র তাকে খুঁজছিলেন। কেন?
সহজ বাগান দিয়ে ঘুরে তাঁর ঘরের কাছে দাঁড়াল। বলল, ‘তুমি নাকি আমাকে খুঁজছিলে?’
‘হ্যাঁ, খুঁজছিলাম। তবে সেটা পরশুদিন। অচল তোমাকে খুঁজে পায়নি।’
‘কী দরকার বলো?’
‘যে দরকার ছিল, সেটা জেনে গিয়েছি।’
‘কী জেনেছ? দরকারটা কী ছিল শুনি।’
সহজের কথায় শশাঙ্ক মিত্র দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। ‘আমি অচলকে দিয়ে খোঁজ নিয়েছিলাম, ঠিক আছে। তেমন বলার মতো কিছু না। বিষয়টি মিটে গিয়েছে।’
সহজ খুব ঠান্ডা গলায় বলল, ‘তবু আমি জানতে চাই, কেন খুঁজছিলে?’
কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলেন শশাঙ্ক মিত্র। ‘অচল বলছিল, কী একটা চিঠি এসেছে। পরে শুনলাম, চিঠিটা তোমার। আমার হলে তুমি নিশ্চয়ই এসে খবর দিতে।’
‘হ্যাঁ, দিতাম।’
‘আসলে আমি আগের একটা চিঠিতে তোমার কথা গুরুদেবকে লিখেছিলাম। লিখেছিলাম, আমার নাতিকে জানালেও সে সব ব্যবস্থা করে নিয়ে যেতে পারবে। ভেবেছিলাম, গুরুদেব হয়তো তারই উত্তর পাঠিয়েছেন। সে চিঠি তোমার কাছে এসেছে।’
‘না, তোমার গুরুদেবের কোনও চিঠি আসেনি।’
‘হ্যাঁ, সেটা শুনেছি। যাক, যদি তোমার নামে কোনও চিঠি আসে, তুমি সঙ্গে সঙ্গে আমাকে জানাবে।’
সম্মতিসূচক ঘাড় নেড়ে মাথা নিচু করে সহজ ফিরে এল। সহজ জানে, তার ঠাকুরদার প্রত্যাশা কোনওদিন পূরণ হবে না। কোনওদিন তাঁর চিঠির উত্তর আসবে না। কেন না গুরুদেবের নামে শশাঙ্ক মিত্রের পাঠানো কোনও চিঠিই আজ পর্যন্ত পোস্ট করা হয়নি।
শশাঙ্ক মিত্র নিয়ম করে তাঁর গুরুদেবকে চিঠি লেখেন। গুরুদেবকে জানিয়ে দেন—তিনি শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রস্তুত। সাংসারিক সব দায় দায়িত্ব থেকে তিনি মুক্ত। তাঁর মন প্রাণ গুরুদেবের পায়ে সমর্পণ করতে চান। গুরুদেব যদি অনুমতি করেন, তাহলে তিনি চিঠির উত্তর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বৈদ্যনাথ ধামের দিকে অগ্রসর হবেন। তাঁর নাতিই তাঁকে দিয়ে আসবে। বৃথা সময় চলে যাচ্ছে। তিনি উদগ্রীব হয়ে প্রতীক্ষা করছেন।
সহজ জানে। তার ঠাকুরদা প্রতি মাসে চিঠি লেখেন, তাঁর বৈদ্যনাথ ধামে থাকা গুরুদেবকে। আগে তিনি খুবই ঘন ঘন চিঠি লিখতেন। এখন একটু কমেছে। প্রতিটা চিঠিতে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একই কথা লেখা থাকে। যে কথাগুলো শুধু গুরুদেবের আশ্রমে ঠাঁই পাবার আকুতি।
কিন্তু আজ পর্যন্ত কোনও চিঠিই এই বাড়ি থেকে বের হয়নি। সহজের ঠাকুমা বাসবী দেবীর কড়া নির্দেশ। ‘উনি সাপ ব্যাঙ যা খুশি লিখুন— কিন্তু তা এই বাড়ির ভেতর থেকে এক বর্ণও বাইরে বেরুবে না।’অচল নিয়ম করে পোস্টঅফিস থেকে   পোস্টকার্ড, ইনল্যান্ড লেটার কিনে আনে। এনে শশাঙ্ক মিত্রকে দেয়। আবার চিঠি লেখা হলে তারই দায়িত্ব থাকে সে চিঠি পোস্টঅফিসে গিয়ে পোস্ট করে আসার। 
কিন্তু অচল কোনওদিনই সে চিঠি পোস্ট করেনি। গৃহকর্ত্রীর কড়া হুকুম ছিল চিঠি লিখলেই পোস্ট করার আগে তা এনে আমার কাছে দিবি। আমি পোস্ট করব। তাঁর কথার অন্যথা হয়নি। অচলকে সব চিঠিই এনে দিতে হয়। 
বাসবী মিত্র কোনওদিনই শশাঙ্ক মিত্রকে এ-বাড়ি থেকে বেরুতে দেবেন না। বৈদ্যনাথ ধামে গিয়ে গুরুদেবের আশ্রমে কাটানো তাঁর কাছে অলীক স্বপ্নই হয়ে থাকবে।
সহজ একবার খুব নিচু স্বরে তার ঠাকুরদাকে প্রশ্ন করেছিল— তুমি নিজে চলে যেতে পার না?
‘উনি আমাকে বলেছিলেন, সময় হলে আমি তোমাকে ডেকে নেব। আমার হয়তো সময় হয়নি। নাহলে এত চিঠি লিখি তিনি উত্তর দেন না কেন?’
অচল পোস্ট করতে যাওয়ার নাম করে চিঠিগুলো বাসবীর হাতে তুলে দেয়। আর বাসবী সে চিঠি ছেঁড়েন না, আগুনেও পোড়ান না— তাঁর পাপের ভয় আছে। তিনি চিঠিগুলোর ওপর শুধু গঙ্গাজল ঢালেন, রোজ গঙ্গাজল ঢালেন। জলে জলে ওই চিঠির সব অক্ষর তিনি ধুয়ে দেন।
তবে এই গঙ্গাজলও তিনি নিজের হাতে ঢালেন না। এত পাপ তিনি বইতে পারবেন না। এই কাজটি করে তাঁর পুত্রবধূ কস্তুরী। একটা পাথরের থালায় চিঠিগুলো রেখে জল দেয়। জল দিতে দিতে চিঠিগুলো পচে গেলে গাছের গোড়ায় ঢেলে দেয়। কস্তুরীও জানে সে বড় পাপ করছে, কিন্তু সে অসহায়। তার মনে হয়, মানুষটা তো এখানে এক ঘরে পড়ে আছেন, শেষ জীবনটা তিনি যদি গুরুদেবের আশ্রমে গিয়ে কাটাতেন, তাহলে কার এমন ক্ষতি বৃদ্ধি হতো?
সহজ আজ রাতে বারান্দা দিয়ে সটান হাজির হল শশাঙ্ক মিত্রের ঘরে। দেখল, দুধ সাদা বিছানায় তার ঠাকুরদা ঘুমাচ্ছেন। তার পাশে ছোট খাটে অচলদা ঘুমের গভীরে।
সহজ চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকল কয়েক মুহূর্ত। একটা কথা বলবে বলে সে গিয়েছিল, আস্তে আস্তে ফিরে এল। সিঁড়ির মুখে তার সামনে এসে দাঁড়াল সম্বুদ্ধ মিত্র। ‘তুমি কি তোমার লেখাটা দাদুকে পড়িয়েছ? কাল সকালে যেও। উনি খুশি হবেন।’ খুব বিরক্ত মুখে কথাটা শুনে সহজ চলে যাচ্ছিল। সম্বুদ্ধ মিত্র আবার ডাকলেন, ‘শোনো। শুনেছি, উনি বেদ, উপনিষদ, সমস্ত পুরাণ, সংহিতা নিয়ে কোনও কিছু লিখছেন। লিখছেন আর ট্রাঙ্কে ভরে রাখছেন। ট্রাঙ্কের চাবি ওঁর কোমরে থাকে। আমাকে অনেকদিন আগে একবার বলার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু আমি ওসব বুঝব না। ইন্টারেস্ট পাইনি, তাই শুনিনি। যাই হোক, তুমি ওটা রক্ষা করো। জল ঢালতে দিও না। তুমিই পারবে।’ 
(চলবে)    
30th  May, 2021
পিশাচ সাধু

পরমেশ্বরের অফিসে শঙ্করের সঙ্গে এক চোট হয়ে গেল সহজের। মজা করতে গিয়েই এই বিপত্তি। সুজি কিছুতেই ক্যাপ্টেনের কথাগুলো ভুলতে পারছে না। এদিকে, পরমেশ্বর বিকেলে সহজকে একজনের বাড়িতে নিয়ে গেল। তারপর... 
বিশদ

13th  June, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১৫
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

শঙ্কর বলল, ‘তুমি চান্স নাও। সব পাখি মাছ খায় দোষ হয় মাছরাঙার! আমার দরকার নেই। আমার অনেক আছে।’ বিশদ

06th  June, 2021
ছাতা হারানোর পর
রিমি মুৎসুদ্দি

কলি জানত, মম্পা নিজে পড়াশোনা বিশেষ করে না। সারাক্ষণ মিটিং মিছিল নিয়েই ওর সময় কাটে। এমন মিটিং মিছিল করা ছেলের সঙ্গে কী করেই বা ও জড়াত নিজেকে? আর তাও যদি মম্পার রেজাল্টটা তেমন কিছু হতো তাহলেও কিঞ্চিৎ বিবেচনায় ওকে রাখতে পারত।  বিশদ

30th  May, 2021
কালা চশমা 
শুচিস্মিতা দেব

সুমিতাকে প্রবাস জীবনের শুরুতে সংসারের বাঙালি স্বাদগন্ধ বজায় রাখতে কম মেহনত করতে হয়নি! কোথায় মেলে বাঙালি পুরুতঠাকুর... শুক্তো-মুড়িঘণ্ট, স্পেশালিস্ট বঙ্গ ক্যাটারার... গাওয়া ঘি-গোবিন্দভোগ চাল অথবা শারদীয় পত্রপত্রিকা! কর্তাটি তার নির্ভেজাল খাঁটি বাঙাল ফলে দীর্ঘ দিল্লিবাসে যাবতীয় বঙ্গসমাচার এখন সুমিতার নখদর্পণে। 
বিশদ

23rd  May, 2021
পিশাচ সাধু 
জয়ন্ত দে

ক্যাপ্টেনকে গালমন্দ করতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনল সুজি। ‘কাক হয়ে কোকিলের বাচ্চা মানুষ করবি সুজি,’ পিশাচ সাধুর মুখ থেকে বেরিয়ে এল কয়েকটি ভয়ঙ্কর শব্দ। যা তাকে সারা জীবন কুড়ে কুড়ে খাবে। এদিকে, বর্ণিনীর ফোন এল সহজের মোবাইলে বিচিত্রদার অবস্থা ভালো নয়।  
বিশদ

23rd  May, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে 

সহজের কাছে চিঠিটি এসেছে ‘স্বদেশ’ পত্রিকা থেকে। সেখানে তার গল্প ছাপা হবে। এদিকে, ক্যাপ্টেনের ভবিষ্যদ্বাণী ব্যর্থ হয়েছে শুনে বেজায় খুশি সুজি। পিশাচ সাধুর শক্তি সম্বন্ধে তার বক্তব্য, ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর’। পরের দিন সহজকে নিয়ে ক্যাপ্টেনের বাড়ি যাবে ঠিক করে সুজি।  
বিশদ

16th  May, 2021
ছোঁয়া
বিতস্তা ঘোষাল
 

অফিস থেকে বেরিয়ে নীচে বেশ খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে পর্ণা। এই দাঁড়িয়ে থাকাটা কোনও কিছুর অপেক্ষায় নয়। এটা তার অভ্যাস। আসলে একটানা চার দেওয়ালের ঘেরাটোপে কাজ করতে করতে ভীষণ হাঁফ ধরে যায়। গুমোট লাগে ঘরটা। বিশদ

09th  May, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ১১
জয়ন্ত দে

 

সহজের ফোনটা পেয়ে কেমন যেন চুপচাপ হয়ে গেলেন পিশাচ সাধু। তাহলে তাঁর খারাপ কথাগুলো মিলে গেলেও কারও ভালো ভবিষ্যদ্বাণী করলে, তা মেলে না! বঁড়শি বারবার জানতে চায় তার কী হয়েছে। অনুমান করে ফেলে ফোন করেছিল সহজ। সে স্বামীকে বোঝায়, না মিলুক, তবুও তিনি যেন মানুষকে ভালো কথাই বলেন। বিশদ

09th  May, 2021
ছোট গল্প
সম্ভবামি যুগে যুগে

 

মহাপ্রস্থানের পথে অর্জুনের পতনের পর ভীম ও যুধিষ্ঠির আরও উত্তরদিকে এগিয়ে গেলেন। সেই বরফে ঢাকা শ্বেত প্রান্তরে মৃত্যুর অপেক্ষা করতে করতে অর্জুনের মন আসন্ন স্বর্গ না নরক এই দুর্ভাবনার  থেকেও শেষজীবনের পরাজয় ও হতাশায় আচ্ছন্ন হয়ে রইল। তিনি চিরকালের শৌর্যাভিমানী। বিশদ

25th  April, 2021
পিশাচ সাধু
পর্ব  ১০

তেত্রিশ দিন হয়ে গেল অথচ সহজের জীবনে ক্যাপ্টেনের করা ভবিষ্যদ্বাণী মিলল না। পরমেশ্বরের কথা শুনে ক্যাপ্টেনকে ফোন করে সহজ বলে দিল, ‘আপনি ফ্লপ! আপনার ভবিষ্যদ্বাণী ফ্লপ!’ সেদিন রাতেই বাড়ি ফিরে বাবার কাছ থেকে সহজ জানতে পারল, তার নামে একটি অফিসিয়াল চিঠি এসেছে। তারপর... বিশদ

25th  April, 2021
পিশাচ সাধু

 

হঠাৎ বর্ণিনীর সঙ্গে রাস্তায় দেখা হয়ে যায় সহজের। বনির গন্তব্য বিচিত্রদার বাড়ি। সহজকে সঙ্গী করে বনি। জনগণের স্বার্থে লড়াই করতে গিয়ে বহুবার পেটানি খাওয়া বিচিত্র ঘোষাল বিশ্বাস করে, এ দেশে একদিন বিপ্লব হবেই। কথায় কথায় বিচিত্রদাও সহজকে সাবধান করে দেয়, সে যেন পিশাচ সাধুর পাল্লায় না পড়ে। বিশদ

18th  April, 2021
মিষ্টু
উৎপল দাস

রিমা ভিতরে ভিতরে জ্বলে পুড়ে মরে। এ পৃথিবীতে কেউ নেই যে তার অবস্থা বোঝে। মিষ্টুকে বিদায় না করতে পারলে যেন ওর শান্তি নেই।  বিশদ

11th  April, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব   ৮

সহজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় পরমেশ্বর শান্ত গলায় বলেছিল— বিচিত্রদা সেই বিরল মানুষ যারা এখনও মনে করে বিপ্লব হবে। কখন হবে, কীভাবে হবে কেউ জানে না, শুধুমাত্র একটা স্ফুলিঙ্গ। সেই স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল হয়ে যাবে। বিশদ

11th  April, 2021
বিদিশা কি ভানুমতী?
আশিস ঘোষ

বেশি কথা বা শব্দ, আলো এখন ভালো লাগছে না। বিদিশাকে বলতেই, ও টিউব লাইট নিভিয়ে জিরো পাওয়ারের নীল আলো জ্বালিয়ে দিল। জানলার পর্দা হাওয়ায় উড়ছে। বাইরের রাস্তায় গাড়ির শব্দ। বিদিশা আমার দিকে চেয়ে আছে। কিছুই বলছে না। বিশদ

04th  April, 2021
একনজরে
কোচবিহার পুরসভায় দু’শোরও বেশি ‘ভূতুড়ে’ শ্রমিক! বাস্তবে যাদের কোনও হদিশ মিলছে না। অথচ বেশ কয়েকমাস ধরে প্রতিমাসে ১৪ লক্ষ টাকা করে তাদের বেতন দেওয়া হয়েছে। ...

করোনা আতঙ্কের মধ্যে দেশে কোপা আমেরিকা আয়োজনের বিপক্ষে সুর চড়িয়েছিল ব্রাজিল দল। টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানোরও ইঙ্গিতও ছিল নেইমার-কাসেমিরোদের বক্তব্যে। ...

বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণিকে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। ধৃতের নাম নাসির মেহমুদ। ...

নন্দীগ্রামের গঙ্গামেলার মাঠে হলদি নদীতে ট্রলারডুবির ঘটনায় নিখোঁজ তিনজনের দেহ উদ্ধার হল সোমবার। এদিন ঘটনাস্থল থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে কাঁটাখালি ও ১০কিলোমিটার দূরে জেলিংহাম এলাকায় ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৬: জাপানে সুনামিতে ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু
১৯৫০: শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তালের জন্ম
১৯৫৩: চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের জন্ম
১৯৬০: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়
১৯৬৯: জার্মানির গোলকিপার অলিভার কানের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৪৩ টাকা ৭৪.১৪ টাকা
পাউন্ড ১০১.৬৬ টাকা ১০৫.১৭ টাকা
ইউরো ৮৭.০৬ টাকা ৯০.২৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  June, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯, ১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭, ৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭২, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭২, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
14th  June, 2021

দিন পঞ্জিকা

৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮, মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১। পঞ্চমী ৪৫/৪ রাত্রি ১০/৫৭। অশ্লেষা নক্ষত্র ৪১/৫৬ রাত্রি ৯/৪২। সূর্যোদয় ৪/৫৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৬/১৮/১২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১২/৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৭ গতে ৪/৩১ মধ্যে। রাত্রি ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৪ গতে ৩/৩৭ মধ্যে পুনঃ ৪/৩১ গতে ৫/২৪ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৫ গতে ৯/৫০ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৬ মধ্যে পুনঃ ১/১৭ গতে ২/৫৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৮ গতে ৮/৫৮ মধ্যে। 
৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮, মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১। পঞ্চমী রাত্রি ৭/৩৬। অশ্লেষা নক্ষত্র রাত্রি ৭/৭। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২০।  অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ মধ্যে ও ৯/২৭ গতে ১২/৮ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৪/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ মধ্যে ও ১২/২ গতে ২/৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৮ গতে ৩/৪২ মধ্যে ও ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ গতে ৯/৫৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৭ মধ্যে ও ১/১৮ গতে ২/৫৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪০ গতে ৮/৫৯ মধ্যে। 
৪ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: হাঙ্গেরি ০ পর্তুগাল ৩ (ফুলটাইম)

11:28:00 PM

ইউরো কাপ: হাঙ্গেরি ০ পর্তুগাল ০ (হাফটাইম)

10:28:19 PM

যে এলাকায় সংক্রমণ বেশি সেখানে কড়াকড়ি করতে হবে, নির্দেশ রাজ্য প্রশাসনের 
যে এলাকায় সংক্রমণ বেশি সেখানে কড়াকড়ি করতে হবে। আজ, মঙ্গলবার ...বিশদ

07:51:00 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরপ্রদেশে আক্রান্ত ৩৪০, মৃত ৫৭ 

07:39:36 PM

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতীয় দলে কে কে রয়েছেন, জানুন 
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য আজ, মঙ্গলবার ভারতীয় দল ঘোষণা ...বিশদ

07:23:31 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাখণ্ডে আক্রান্ত ২৭৪, মৃত ১৮ 

07:22:21 PM