Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ছাতা হারানোর পর
রিমি মুৎসুদ্দি

 টক আর ঝাল একেবারে সমান সমান ছিল আজ। ফুচকা খাওয়ার পরও টাকরায় একটা সুখের রেশ রয়ে গিয়েছে। ট্রামটা হেদুয়া পেরলে সেই পুরনো রেস্তরাঁটা এখনও আছে কি না উঁকি দিয়ে দেখতে গিয়ে মাথায় একটু চোট পেল কলি। 
ট্রামটা আরেকটু এগতেই আবার বৃষ্টি। ব্যাগ থেকে ছাতা বের করতে গিয়ে দেখে ছাতা নেই। 
কী আশ্চর্য! ছাতা তো ও নিয়েই বেরিয়েছিল!
পরের স্টপে নেমে সেই ফুচকাওয়ালার কাছে ফিরে যাবে? ছাতাটা হয়তো ওখানেই... 
ছাতাটা কি ফুচকার গাড়িতেই রেখেছিল? 
স্টার থিয়েটারের উল্টোদিকে ট্রামটা অনেকক্ষণ ট্রাফিক জ্যামে দাঁড়িয়ে। কী মনে করে কলি নেমে পড়ল। বৃষ্টিটা একটু ধরেছে। ছাতাটার জন্য মন খারাপ লাগছে কলির। ছেলে তীর্থর জন্মদিনের কেনাকাটার সময় বেঙ্গালুরুর মালেশ্বরম বাজার থেকে ছাতাটা কিনেছিল। 
ছাতা হারানোর ওর সেই স্বভাবটা কি আবার ফিরে এল? 
লাইব্রেরিতে, ক্যান্টিনে বহুবার ছাতা ফেলে আসা ওর স্বভাব ছিল। আবার মাঝে মধ্যে ছাতা ফিরেও পেয়েছে। একবার তো এরকমই ফুচকাওয়ালার দোকানেই ছাতা ফেলে এসেছিল। সেই কথা মনে পড়তেই হুড়মুড় করে বৃষ্টির মতো বারো বছর আগের পুরনো সময় নেমে এল। 
থার্ড ইয়ারে ফাইনাল পরীক্ষার শেষে পরীক্ষার হল থেকে বেরতেই দেখল মম্পাদা দাঁড়িয়ে গেটের সামনে। সেই ইস্ত্রিবিহীন কোঁচকানো শার্ট আর জিনসের প্যান্ট! 
গত তিন বছর মম্পাদাকে এই এক ভাবেই ও দেখে এল। কলির যখন ফার্স্ট ইয়ার সেবার মম্পার থার্ড ইয়ার— ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক। ছাত্র     সংসদের কী সব বোঝাতে ওদের ক্লাসে এসেছিল। 
কলি দূর থেকে মম্পা বা ওদের গ্রুপের কাউকে দেখলেই পালাত। এরপর একদিন কলেজেরই সোশ্যাল অনুষ্ঠানে মম্পা ওকে প্রোপোজ করল। সেদিনও সেই একই কুঁচকনো শার্ট আর বহু পুরনো জিনস। 
ঘাটালের কাছে কোনও এক গ্রামে মম্পার বাড়ি। কলেজ হস্টেলে থাকত তখন। ছাত্র-রাজনীতি করা একটা ছেলে কি পড়াশোনায় তেমন ভালো হতে পারে? কোনও ধারণা ছিল না কলির। সেদিন মম্পার প্রস্তাবে ও রাজি হয়নি। কিন্তু খুব জোরালো ভাবে নাও বলেনি মম্পাকে। 
এরপর থেকেই মম্পা কখনও কলির ক্লাসের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকত, কখনও আবার লাইব্রেরি গেলে ছুতোনাতায় একটা বই নিয়ে ওর পাশে এসে বসত। খুব বেশি কথা বলে ওকে বিরক্ত করত না। শুধু ভুল করে কলি নিজের ছাতা কোথাও ফেলে আসলে মম্পা পরদিন ছাতাটা ওকে ফিরিয়ে দিত। 
হাঁটতে হাঁটতে কলি হেদুয়ার মোড়ে চলে এল।
পুরনো রাস্তা দিয়ে হাঁটতে ওর বেশ ভালোই লাগছে। বৃষ্টির কারণে ভেজা রাস্তায় একটা অদ্ভুত সুন্দর গন্ধ। 
হেদুয়ার সুইমিং পুলের পাশের ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ও এই জলের গন্ধটা আরও তীব্রভাবে পেল। সামনেই পলিথিনের শিটের আড়ালে কোনও এক ফুটপাত সংসার থেকে ভেসে আসছে ডাল ফোড়নের গন্ধ। গন্ধটা অতিক্রম করে রাস্তা পেরলো কলি।

কলি জানত, মম্পা নিজে পড়াশোনা বিশেষ করে না। সারাক্ষণ মিটিং মিছিল নিয়েই ওর সময় কাটে। এমন মিটিং মিছিল করা ছেলের সঙ্গে কী করেই বা ও জড়াত নিজেকে? আর তাও যদি মম্পার রেজাল্টটা তেমন কিছু হতো তাহলেও কিঞ্চিৎ বিবেচনায় ওকে রাখতে পারত। 
মম্পাকে কি কোনওদিন ও প্রশ্রয় দিয়েছিল? মনে করার চেষ্টা করল।
বাটার দোকানের সামনে এসে পড়েছে ও। আর একটু এগলেই কলেজ স্ট্রিট মোড়। তারপর ইউনিভার্সিটি পেরলেই সেই ফুচকার দোকান। 
হাঁটার অভ্যেস তেমন নেই বলে একটু হাঁপ ধরছে কলির।  
পুরনো দিনের স্মৃতি অবশ্য সেটুকু কষ্টও কমিয়ে দিচ্ছে আজ। 

একদিন প্রচণ্ড বৃষ্টিতে আমহার্স্ট স্ট্রিটে জল জমল। বাসগুলোয় উপচে পড়া ভিড়। কলি বাড়ি ফেরার জন্য ট্যাক্সি ধরবে। ট্যাক্সিও দাঁড়াচ্ছে না। মম্পা সেদিন ওর সঙ্গে বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত এল। দু’জনেই কোনও ট্যাক্সি দাঁড় করাতে পারছে না। অবশেষে একটা ট্যাক্সির ড্রাইভার হাতের ইশারায় ডাকল ওদের। সিগন্যাল পেরিয়ে অনেকটা এগিয়ে দাঁড়াল। ওরা প্রায় ছুটতে ছুটতে ট্যাক্সিটার কাছে পৌঁছল। 
ড্রাইভার যথারীতি দ্বিগুণের থেকেও কিছু বেশি ভাড়া চাইল। কলির আর তর্ক করতে ইচ্ছে করছিল না। একে ভিজে গিয়েছে, তার উপর এতক্ষণ অপেক্ষা করেছে। মম্পা কী বিশ্রী ভাষায় ড্রাইভারের সঙ্গে ঝগড়া শুরু করল! 
এরপর অবশ্য কিছু কম ভাড়ায় রাজি হল লোকটি। কলি ট্যাক্সিতে উঠে বসতেই জানলায় মুখ বাড়িয়ে মম্পা বলল, ‘বাড়ি ফিরে ফোন করিস। ট্যাক্সির নম্বরটা আমি নোট করে নিলাম।’ 
এ একরকম কলির উপকারই। কিন্তু ট্যাক্সিটা মম্পাকে পেরতেই ড্রাইভার অস্ফুটে বলেছিল, ‘মস্তান কোথাকার!’
ওই ‘মস্তান’ শব্দটাই কলির একদম ভালো লাগেনি। এরকম কারও সঙ্গে কিছুতেই ও নিজেকে জড়াবে না। সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সেদিনই। এর পরদিন যদি আবার দেখা হয় ও মম্পাকে স্পষ্ট বলে দেবে। 
পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে কলেজের গেটে মম্পাকে দাঁড়াতে দেখে ও খুব বিরক্ত হয়েছিল। কিছু বলার আগে মম্পা নিজেই বলেছিল, ‘তোর সঙ্গে কিছু দরকারি কথা ছিল। চল হাঁটতে হাঁটতে বলি।’ 
কলি তখনই ঠিক করেছিল, ওর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে। কিছুতেই মম্পার মতো কারও সঙ্গে নিজেকে জড়াবে না। কিন্তু গেটের সামনে দাঁড়িয়ে এত কথা বললে আবার অন্য বন্ধুরাও এতে কৌতূহলী হবে। তাই দু’জনে কলেজ স্কোয়ারের দিকে এগিয়ে গেল। ফুচকা খেতে খেতেই বৃষ্টি এসেছিল সেদিন। মম্পা কলির হাত থেকে ছাতাটা নিয়ে ওদের দু’জনের মাথাতেই ধরল। 
তারপর হাসতে হাসতেই বলল, ‘তুই কী ভাবছিস জানি না। কিন্তু আমি এই তিন বছর একদমই সিরিয়াস ছিলাম না। তুই স্টুডিয়াস ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী। নিজের পথে এগিয়ে যা। আমাকে নিয়ে সিরিয়াসলি কিছু ভাবিস না।’ 
কলি অবাক হল। এই কথাটাই তো ও নিজে বলবে ভেবেছিল!
এরপর তো ও বেঙ্গালুরুতে। দীর্ঘ       বারো বছর পর আজ এই ছাতা হারানোয় মম্পার কথা মনে পড়ায় ওর বেশ মজাই লাগছে।
ফুচকাওয়ালার দোকানে ছাতা না পেয়ে বেশ খানিকটা তর্ক হল। ফুচকাওয়ালা সমানে বলছে, ‘এক ছাতরি থা। লেকিন ও আপকা নেহি থা।’ 
কথাটা শুনে কলির আরও রাগ বেড়ে যাচ্ছে। ওর ছাতা না হলে ও এতদূর আবার ফিরে আসে? এরমধ্যেই ওর নাম ধরে একটা ডাক শুনতে পেল
‘কলি!’ 
মম্পাদার পরনে আজও সেই কুঁচকানো শার্ট আর বহু পুরনো জিনস। ছাতা হারিয়েছে শুনে মম্পাদা কি একটু হাসল? হয়তো ভাবল, কলি এখনও আগের মতোই...।  
ফুচকাওয়ালার সঙ্গে তর্ক জুড়েছে মম্পা। কিন্তু না, আগের মতো কোনও অপছন্দের শব্দ ব্যবহার করল না। তবে, পরিস্থিতি যা দাঁড়াল তাতে তেমন হতেই পারত।  
কলি থামাতে চাইল। বলল, ‘থাক থাক। হয়তো উনি ঠিকই বলছেন। আমি ছাতাটা অন্য কোথাও রেখে এসেছি বোধহয়।’
এর মধ্যে একটা ছেলে আর মেয়ে ছাতা মাথায় ওদের পেরিয়ে চলে যাচ্ছে। ফুচকাওয়ালা চিৎকার করে ডাক দিল—
‘আরে ও ভাইয়া, তনিক ইধার আও।’
যেভাবে ওরা দু’জন হেঁটে যাচ্ছে, দেখে মনে হল না ওই ডাক শুনতে পাবে। কিন্তু ওকে অবাক করে দিয়ে ওরা পিছন ফিরল। ওদের সামনে এগিয়ে আসতেই কলি দেখল ছেলেটার হাতে ওর ছাতাটা। 
‘ভাইয়া, এ ছাতরি আপকা হ্যায়? আভি আপ কুছ দের পেহলে ইঁহা ফুচকা খা নে আয়ে থে। ছাতরি আপকাই হ্যায় না?’
ছেলেটাও মাথা নেড়ে জানাল ছাতাটা ওদেরই। এমনকী, বেশ মেজাজ দেখিয়েই বলল, কলেজ স্ট্রিটে প্রায় সবাই চেনে ওকে। ইত্যাদি। 
কলি বলতে যাচ্ছিল, ছাতার পেছনে যে লোগোটা আছে সেটা দেখলেই বোঝা যাবে এটা এই শহরের নয়। তার আগেই মম্পাদা ছেলেটার কলার ধরে ফেলেছে। এইবার একটা হাতাহাতি হয়ে যাবে। কলির খুব বিরক্ত লাগে। আবার একটা সামান্য ছাতার কারণে মম্পাদার মস্তানি দেখতে হবে? এর থেকে ছাতাটা খুঁজতে না এলেই তো ভালো হতো! 
‘এত ত্যাঁদড় না এখনকার কচি ছেলেগুলো...’
কলির ঠিক আগের মতোই বিরক্ত লাগছে।
‘আমি এগই। আবার বৃষ্টি আসবে মনে হয়।’
মম্পাকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই কলি এগিয়ে গেল। 

ট্যাক্সিটা ট্রাফিকের গুঁতো খেতে খেতে ঠনঠনে কালীবাড়ির আগে এসে একেবারেই দাঁড়িয়ে পড়ল। জানলার কাচটা নামাতেই বৃষ্টির ছাঁট এসে মুখে লাগল। ঠিক তখুনি সেই ছেলেটা জানলার বাইরে থেকে মুখ বাড়িয়ে বলল, ‘দিদি, এই নিন আপনার ছাতাটা। আমি ওটা ভুল করে দীপাঞ্জলির ভেবেছিলাম। সরি।’
কলি অবাক হল খুব। 
‘আশ্চর্য! তাহলে তুমি ছাতাটা ওখানেই তো দিতে পারতে?’
ট্রাফিক সিগন্যাল ছেড়ে দিয়েছে। ট্যাক্সিটাও স্টার্ট দেবে এমন সময় কলির মনে হল ওর জানা দরকার কেন ওরা ছাতাটা এখন ফেরত দিল? ও ট্যাক্সির দরজাটা খুলে ছেলেমেয়ে দুটোকে বলল, ‘উঠে এসো। আমি এই সোজা রাস্তা দিয়ে শ্যামবাজার যাব। তোমরা আর বৃষ্টিতে ভিজো না। কিছুটা এগিয়ে দিই তোমাদের।’
ছেলেমেয়ে দুটোও বিনা প্রশ্নে ট্যাক্সিতে উঠে এল। মেয়েটা বলল, ‘আমি বিবেকানন্দ রোডের মোড়ে নেমে যাব দিদি।’ 
‘সে ঠিক আছে। কিন্তু তোমরা আমার প্রশ্নের উত্তর দাও। ছাতাটা তখন দিলে না কেন?’ 
ছেলেটা বলল, ‘দিদি, ক্ষমা করবেন। দীপাঞ্জলি তখন বুঝতে পারেনি যে, ছাতাটা ওর নয়। আমিও তাই তর্ক জুড়েছিলাম আপনার সঙ্গে।’
দীপাঞ্জলি নামের মেয়েটা বলল, ‘কলেজ স্ট্রিটের মোড়ে ছাতার ট্যাগটা চোখে পড়তেই বুঝলাম ভুল হয়েছে। এ ছাতা আমার নয়। তক্ষুণি খুব আফশোস হচ্ছিল দিদি। কী করে আপনাকে ফেরত দেব ভেবে প্রায় ছুটতে ছুটতে এলাম আমি আর অনির্বাণ। আর আপনাকে ট্যাক্সিতে দেখতে পেয়ে গেলাম। কিছু মনে করবেন না। আমাদের সত্যিই ভুল হয়েছিল।’
রাস্তার দিকে তাকিয়ে দীপাঞ্জলি বলল, ‘এই তো বিবেকানন্দ রোডের মোড়।’
ছেলেটাও ওর সঙ্গে নামতে গেলে মেয়েটা বলল, ‘অনি, তুই নামছিস কেন? তুই বরং হেদুয়া পর্যন্ত দিদির সঙ্গে চলে যা। ওখান থেকে জোড়াবাগানের অটো পাবি। আমি আর একটুও দাঁড়াতে পারব না। খুব তাড়া আছে আজ।’ 
মেয়েটা নেমে গেলে ট্যাক্সিতে কলি আর অনির্বাণ নামে ওই ছেলেটা। কলির ভেতর একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। মম্পা ছেলেটার কলার ধরে কী বলল? 
প্রশ্নটা শুনে ছেলেটা খুব অবাক হল।
‘দিদি, আপনার কথা তো কিছুই বুঝতে পারছি না? কে আমার শার্টের কলার ধরেছিল? কেউ তো ছিল না। আপনি আর ফুচকাওয়ালাকাকু ছিলেন শুধু। ওখানে আপনার কোনও বন্ধু তো ছিলেন না।’ 
কলি স্তম্ভিত! ও স্পষ্ট মম্পাকে দেখেছে। মম্পার গলা শুনেছে। ও জোর দিয়ে বলল, ‘ভাই, তোমার কোনও ভুল হচ্ছে না তো? আর কেউ ছিল না? লম্বা মতো একটা ছেলে যার শার্টটা কুঁচকানো...’ 
অনির্বাণের মুখের দিকে তাকিয়ে কলি লজ্জা পেল। ছেলেটা কেমন হতভম্বের মতো ওর দিকে তাকিয়ে আছে। 
‘দিদি, কিছু যদি না মনে করেন একটা প্রশ্ন করি?’
সম্মতি দেওয়া ছাড়া কলির আর কী উপায়?
‘আপনি কি কাউকে খুঁজছিলেন?’ 
‘হ্যাঁ মানে... আমি তো ছাতাটা খুঁজতেই ...’ 
‘না, ছাতা নয়। কোনও পুরনো বন্ধু বা চেনা কাউকে?’ 
কলি সজোরে মাথা নাড়ায়। ও ছাতাটা ছাড়া আর কাউকেই খুঁজছিল না। 
‘তবুও আপনি একবার ভেবে দেখবেন দিদি। আমরা আর ওই ফুচকাওয়ালা ছাড়া আর কেউই তো ছিল না? বিশ্বাস না হয় দীপাঞ্জলিকে ফোন করছি দেখুন।’ 
নিজের মোবাইল ফোনটা নিয়ে দীপাঞ্জলিকে ফোন করতে গিয়ে ছেলেটা বলল, ‘নাহ! আমি নিজেই আজ ওকে কথা দিয়েছি। আর কখনও কোনও কারণেই ফোন করব না ওকে। ও কাল ভোরের ফ্লাইটে হায়দরাবাদ চলে যাচ্ছে এমটেক পড়তে। আমি গোটা কলেজ জীবন ওর কাছে ছাত্র রাজনীতি করার সুবাদে নায়কের মতো দেখালেও আসলে যে ওর যোগ্য কখনও হতে পারব না, তা নিজে অন্তত জানি। তাই আজই ওর সঙ্গে শেষ দেখা করে বলে দিলাম আর কখনও ফোন করব না ওকে।’ 
হেদুয়া এসে গিয়েছে। নামার আগে কলি জিজ্ঞেস করল, ‘তোমার কোন কলেজ ভাই?’ 
কলেজের নামটা শুনে কলি চমকে উঠল। একই কলেজের ছাত্রছাত্রী ওরা! কলি কিছু বলার আগে অনির্বাণ বলল, ‘আচ্ছা, দিদি আপনার বন্ধুর নামটা কী বলছিলেন?’ 
‘প্রবীর চক্রবর্তী।’ মনে পড়েছে মম্পার ভালো নাম। 
 ‘নাহ! ওই নামে কাউকে চিনি না।’ 
হেদুয়াতে আবার ট্রাফিকে গাড়ি দাঁড়িয়ে গিয়েছে। অনির্বাণ নেমে গিয়েছে। কী মনে হওয়ায় কলি মুখ বাড়িয়ে ডাকল ওকে। 
‘মম্পা নামে কাউকে চেনো? তোমাদের কলেজে ২০০৬ সালে ছাত্র সংসদের জেনারেল সেক্রেটারি ছিল।’ 
‘এত বছর আগের কাউকে কী করে চিনব দিদি!’ 
অনির্বাণ এগিয়ে যায়। ট্রাফিক তখনও ছাড়েনি। কলি বসে আছে ট্যাক্সিতে। আবার বৃষ্টির বেগ বাড়ল। 
ভিজতে ভিজতে অনির্বাণ ফিরে এল ট্যাক্সির কাছে। 
‘মনে পড়েছে দিদি। গতমাসে আমাদের পার্টির এক কর্মী আমহার্স্ট স্ট্রিটের মোড়ে রোড এক্সিডেন্টে মারা গিয়েছিলেন। তাঁর নাম ছিল মম্পা। পথ দুর্ঘটনায় পার্টি কর্মী মারা যাওয়ায় আমাদের ছাত্র-যুব মিছিলও বের হয়। তখনই জেনেছিলাম, লোকটা এক সময় আমাদের কলেজেরই জেনারেল সেক্রেটারি ছিলেন।’        
সিগন্যাল খুলে গিয়েছে। ট্যাক্সি ড্রাইভার বলল, ‘আর দাঁড়ানো যাবে না দিদি।’ 
ছেলেটার মুখ আর এখন দেখতে পাচ্ছে না কলি।
অঙ্কন : সোমনাথ পাল
30th  May, 2021
পিশাচ সাধু

পরমেশ্বরের অফিসে শঙ্করের সঙ্গে এক চোট হয়ে গেল সহজের। মজা করতে গিয়েই এই বিপত্তি। সুজি কিছুতেই ক্যাপ্টেনের কথাগুলো ভুলতে পারছে না। এদিকে, পরমেশ্বর বিকেলে সহজকে একজনের বাড়িতে নিয়ে গেল। তারপর... 
বিশদ

13th  June, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১৫
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

শঙ্কর বলল, ‘তুমি চান্স নাও। সব পাখি মাছ খায় দোষ হয় মাছরাঙার! আমার দরকার নেই। আমার অনেক আছে।’ বিশদ

06th  June, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ১৪
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বিচিত্রদাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে গিয়ে একপ্রস্থ নাটক হল। যদিও শেষপর্যন্ত বিচিত্রদার কপালে বেড জুটল। নচের নানা মজার কীর্তি বর্ণিনীকে শোনাল গৌর। এদিকে, ক্যাপ্টেনের অলৌকিক শক্তি যে কমেনি, তা সহজের গল্প প্রকাশের সুবাদে আরও একবার পরমেশ্বরের গ্রুপে প্রমাণ হয়ে গেল। তারপর... বিশদ

30th  May, 2021
কালা চশমা 
শুচিস্মিতা দেব

সুমিতাকে প্রবাস জীবনের শুরুতে সংসারের বাঙালি স্বাদগন্ধ বজায় রাখতে কম মেহনত করতে হয়নি! কোথায় মেলে বাঙালি পুরুতঠাকুর... শুক্তো-মুড়িঘণ্ট, স্পেশালিস্ট বঙ্গ ক্যাটারার... গাওয়া ঘি-গোবিন্দভোগ চাল অথবা শারদীয় পত্রপত্রিকা! কর্তাটি তার নির্ভেজাল খাঁটি বাঙাল ফলে দীর্ঘ দিল্লিবাসে যাবতীয় বঙ্গসমাচার এখন সুমিতার নখদর্পণে। 
বিশদ

23rd  May, 2021
পিশাচ সাধু 
জয়ন্ত দে

ক্যাপ্টেনকে গালমন্দ করতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনল সুজি। ‘কাক হয়ে কোকিলের বাচ্চা মানুষ করবি সুজি,’ পিশাচ সাধুর মুখ থেকে বেরিয়ে এল কয়েকটি ভয়ঙ্কর শব্দ। যা তাকে সারা জীবন কুড়ে কুড়ে খাবে। এদিকে, বর্ণিনীর ফোন এল সহজের মোবাইলে বিচিত্রদার অবস্থা ভালো নয়।  
বিশদ

23rd  May, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে 

সহজের কাছে চিঠিটি এসেছে ‘স্বদেশ’ পত্রিকা থেকে। সেখানে তার গল্প ছাপা হবে। এদিকে, ক্যাপ্টেনের ভবিষ্যদ্বাণী ব্যর্থ হয়েছে শুনে বেজায় খুশি সুজি। পিশাচ সাধুর শক্তি সম্বন্ধে তার বক্তব্য, ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর’। পরের দিন সহজকে নিয়ে ক্যাপ্টেনের বাড়ি যাবে ঠিক করে সুজি।  
বিশদ

16th  May, 2021
ছোঁয়া
বিতস্তা ঘোষাল
 

অফিস থেকে বেরিয়ে নীচে বেশ খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে পর্ণা। এই দাঁড়িয়ে থাকাটা কোনও কিছুর অপেক্ষায় নয়। এটা তার অভ্যাস। আসলে একটানা চার দেওয়ালের ঘেরাটোপে কাজ করতে করতে ভীষণ হাঁফ ধরে যায়। গুমোট লাগে ঘরটা। বিশদ

09th  May, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ১১
জয়ন্ত দে

 

সহজের ফোনটা পেয়ে কেমন যেন চুপচাপ হয়ে গেলেন পিশাচ সাধু। তাহলে তাঁর খারাপ কথাগুলো মিলে গেলেও কারও ভালো ভবিষ্যদ্বাণী করলে, তা মেলে না! বঁড়শি বারবার জানতে চায় তার কী হয়েছে। অনুমান করে ফেলে ফোন করেছিল সহজ। সে স্বামীকে বোঝায়, না মিলুক, তবুও তিনি যেন মানুষকে ভালো কথাই বলেন। বিশদ

09th  May, 2021
ছোট গল্প
সম্ভবামি যুগে যুগে

 

মহাপ্রস্থানের পথে অর্জুনের পতনের পর ভীম ও যুধিষ্ঠির আরও উত্তরদিকে এগিয়ে গেলেন। সেই বরফে ঢাকা শ্বেত প্রান্তরে মৃত্যুর অপেক্ষা করতে করতে অর্জুনের মন আসন্ন স্বর্গ না নরক এই দুর্ভাবনার  থেকেও শেষজীবনের পরাজয় ও হতাশায় আচ্ছন্ন হয়ে রইল। তিনি চিরকালের শৌর্যাভিমানী। বিশদ

25th  April, 2021
পিশাচ সাধু
পর্ব  ১০

তেত্রিশ দিন হয়ে গেল অথচ সহজের জীবনে ক্যাপ্টেনের করা ভবিষ্যদ্বাণী মিলল না। পরমেশ্বরের কথা শুনে ক্যাপ্টেনকে ফোন করে সহজ বলে দিল, ‘আপনি ফ্লপ! আপনার ভবিষ্যদ্বাণী ফ্লপ!’ সেদিন রাতেই বাড়ি ফিরে বাবার কাছ থেকে সহজ জানতে পারল, তার নামে একটি অফিসিয়াল চিঠি এসেছে। তারপর... বিশদ

25th  April, 2021
পিশাচ সাধু

 

হঠাৎ বর্ণিনীর সঙ্গে রাস্তায় দেখা হয়ে যায় সহজের। বনির গন্তব্য বিচিত্রদার বাড়ি। সহজকে সঙ্গী করে বনি। জনগণের স্বার্থে লড়াই করতে গিয়ে বহুবার পেটানি খাওয়া বিচিত্র ঘোষাল বিশ্বাস করে, এ দেশে একদিন বিপ্লব হবেই। কথায় কথায় বিচিত্রদাও সহজকে সাবধান করে দেয়, সে যেন পিশাচ সাধুর পাল্লায় না পড়ে। বিশদ

18th  April, 2021
মিষ্টু
উৎপল দাস

রিমা ভিতরে ভিতরে জ্বলে পুড়ে মরে। এ পৃথিবীতে কেউ নেই যে তার অবস্থা বোঝে। মিষ্টুকে বিদায় না করতে পারলে যেন ওর শান্তি নেই।  বিশদ

11th  April, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব   ৮

সহজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় পরমেশ্বর শান্ত গলায় বলেছিল— বিচিত্রদা সেই বিরল মানুষ যারা এখনও মনে করে বিপ্লব হবে। কখন হবে, কীভাবে হবে কেউ জানে না, শুধুমাত্র একটা স্ফুলিঙ্গ। সেই স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল হয়ে যাবে। বিশদ

11th  April, 2021
বিদিশা কি ভানুমতী?
আশিস ঘোষ

বেশি কথা বা শব্দ, আলো এখন ভালো লাগছে না। বিদিশাকে বলতেই, ও টিউব লাইট নিভিয়ে জিরো পাওয়ারের নীল আলো জ্বালিয়ে দিল। জানলার পর্দা হাওয়ায় উড়ছে। বাইরের রাস্তায় গাড়ির শব্দ। বিদিশা আমার দিকে চেয়ে আছে। কিছুই বলছে না। বিশদ

04th  April, 2021
একনজরে
আগামী পয়লা জুলাই পর্যন্ত রাজ্য সরকারি অফিসে ২৫ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চালানো হবে। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, অফিস কর্তৃপক্ষ কর্মীদের রোস্টার তৈরি করে তাঁদের আসার জন্য পরিবহণের ব্যবস্থা করবে। ...

দু’মাস আগের কথা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুফান তুলে দেওয়াই বিজেপি’র একনিষ্ঠ নেতা-কর্মী হওয়ার অন্যতম মাপকাঠি ছিল। সময়ের ফেরে সেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন নেতাদের পোস্ট করাই কার্যত ‘ব্যান’ করে দিল বিজেপি নেতৃত্ব। ...

করোনা আতঙ্কের মধ্যে দেশে কোপা আমেরিকা আয়োজনের বিপক্ষে সুর চড়িয়েছিল ব্রাজিল দল। টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানোরও ইঙ্গিতও ছিল নেইমার-কাসেমিরোদের বক্তব্যে। ...

বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণিকে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। ধৃতের নাম নাসির মেহমুদ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৬: জাপানে সুনামিতে ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু
১৯৫০: শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তালের জন্ম
১৯৫৩: চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের জন্ম
১৯৬০: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়
১৯৬৯: জার্মানির গোলকিপার অলিভার কানের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৪৩ টাকা ৭৪.১৪ টাকা
পাউন্ড ১০১.৬৬ টাকা ১০৫.১৭ টাকা
ইউরো ৮৭.০৬ টাকা ৯০.২৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  June, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯, ১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭, ৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭২, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭২, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
14th  June, 2021

দিন পঞ্জিকা

৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮, মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১। পঞ্চমী ৪৫/৪ রাত্রি ১০/৫৭। অশ্লেষা নক্ষত্র ৪১/৫৬ রাত্রি ৯/৪২। সূর্যোদয় ৪/৫৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৬/১৮/১২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১২/৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৭ গতে ৪/৩১ মধ্যে। রাত্রি ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৪ গতে ৩/৩৭ মধ্যে পুনঃ ৪/৩১ গতে ৫/২৪ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৫ গতে ৯/৫০ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৬ মধ্যে পুনঃ ১/১৭ গতে ২/৫৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৮ গতে ৮/৫৮ মধ্যে। 
৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮, মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১। পঞ্চমী রাত্রি ৭/৩৬। অশ্লেষা নক্ষত্র রাত্রি ৭/৭। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২০।  অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ মধ্যে ও ৯/২৭ গতে ১২/৮ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৪/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ মধ্যে ও ১২/২ গতে ২/৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৮ গতে ৩/৪২ মধ্যে ও ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ গতে ৯/৫৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৭ মধ্যে ও ১/১৮ গতে ২/৫৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪০ গতে ৮/৫৯ মধ্যে। 
৪ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: হাঙ্গেরি ০ পর্তুগাল ৩ (ফুলটাইম)

11:28:00 PM

ইউরো কাপ: হাঙ্গেরি ০ পর্তুগাল ০ (হাফটাইম)

10:28:19 PM

যে এলাকায় সংক্রমণ বেশি সেখানে কড়াকড়ি করতে হবে, নির্দেশ রাজ্য প্রশাসনের 
যে এলাকায় সংক্রমণ বেশি সেখানে কড়াকড়ি করতে হবে। আজ, মঙ্গলবার ...বিশদ

07:51:00 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরপ্রদেশে আক্রান্ত ৩৪০, মৃত ৫৭ 

07:39:36 PM

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতীয় দলে কে কে রয়েছেন, জানুন 
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য আজ, মঙ্গলবার ভারতীয় দল ঘোষণা ...বিশদ

07:23:31 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাখণ্ডে আক্রান্ত ২৭৪, মৃত ১৮ 

07:22:21 PM