শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ
ক্যাপ্টেনকে গালমন্দ করতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনল সুজি। ‘কাক হয়ে কোকিলের বাচ্চা মানুষ করবি সুজি,’ পিশাচ সাধুর মুখ থেকে বেরিয়ে এল কয়েকটি ভয়ঙ্কর শব্দ। যা তাকে সারা জীবন কুড়ে কুড়ে খাবে। এদিকে, বর্ণিনীর ফোন এল সহজের মোবাইলে বিচিত্রদার অবস্থা ভালো নয়। তারপর...
সহজ, নচে, গৌর তিনজনেই অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে আছে। কী করবে ঠিক বুঝে উঠতে পারছে না। হাসপাতালের অফিসঘরের ছোট্ট জানলার ওপারে কাউন্টারে যে লোকটা বসেছিল, তিনি বললেন, ‘পেশেন্ট ছাড়া কোনও বেড রিজার্ভ করা যাবে না। এই জানলার ভেতর থেকে পেশেন্টের মুখ দেখান আমি ভর্তি করে নিচ্ছি।’
‘পেশেন্ট আসছে। ওরা একটা গাড়ির ব্যবস্থা করলেই নিয়ে আসবে।’
‘ওভাবে হয় না ভাই। মনে করো আমি বুক করে দিলাম, এরমধ্যে যদি অন্য কোনও পেশেন্ট আসে তখন কী হবে, আমি কী কৈফিয়ত দেব? আমি এই জানলার ফুকো দিয়ে পেশেন্টের মুখ দেখতে চাই। নইলে হবে না। শোনো, বেড একটাই পড়ে আছে। দেরি করলে হবে না। পেশেন্টকে দেখিয়ে আগে টিকিট করিয়ে নাও। তারপর নয় টাকা পয়সা সব রেডি করে দাও।’
‘আচ্ছা মুশকিল তো। পেশেন্টই তো এখনও আসেনি। দেখাব কীভাবে?’
গৌরা বলল, ‘বেডটা মনে হয় হাতছাড়া হয়ে যাবে।’
বণির্নীরা এখনও একটা গাড়ির ব্যবস্থা করে উঠতে পারেনি। অথচ ও ওখান থেকে চিৎকার করছে, ‘তোরা তিন তিনটে ছেলে আছিস, বেডটা আটকাতে পারছিস না। কী অপদার্থ সব!’
সহজের বলতে ইচ্ছে করছিল, ‘না, পারছি না।’ কিন্তু চুপ করে থাকে। নচে বলল, ‘সহজপাঠ, তুই বিচিত্রদার নাম ঠিকানা বয়েস টয়েস সব জানিস?’
সহজ বলল, ‘বিচিত্র ঘোষাল, ঠিকানা? আমাদের ঠিকানা দিলেই হল। বয়স কত হবে? ষাট।’
নচে মাথা নাড়াল। ‘আর কিছু লাগে? কী হয়েছে, না হয়েছে?’
‘শরীর খারাপ। আর কী? আমরা পাড়ার ছেলেরা এনেছি।’
নচে বলল, ‘একটা আত্মীয় লাগে।’
‘সে তো সহজপাঠ আছে, মাসতুতো ভাই। কিন্তু বিচিত্রদা কোথায়, সে নাহলে সব ফালতু হয়ে যাবে।’
হঠাৎ নচে হিসহিস করল, ‘তোরা আমার সঙ্গে থাক, চিৎকার ঝামেলা করবি।’
‘মানে?’ সহজ বলল।
নচে মুহূর্তের মধ্যে ঠিকরে বেরিয়ে গেল। রাস্তা দিয়ে এক হতদরিদ্র বুড়ো যাচ্ছিল। নচে গিয়ে তাকে দাঁড় করাল। তারপর মুহূর্তে চ্যাংদোলা করে তুলে নিল কোলে। নচে এক হাত বুড়োর মুখ চেপে আছে। বুড়ো হতচকিত হয়ে অ্যাঁ অ্যাঁ আওয়াজ করছে। নচে তাকে তুলে নিতেই গৌরা আর সহজ বুঝে গেল নচের প্ল্যান— তারা হইচই করে চলে এল সেই জানলার সামনে কাউন্টারে। গৌরা বলল, ‘পেশেন্ট এসে গিয়েছে, পেশেন্ট এসে গিয়েছে। নাম লিখুন স্যার।
ওপার থেকে জানলার গরাদে মুখ ঠেসে লোকটা দেখল। বলল, ‘এই তো, এই তো এনেছ, যাও যাও, ওঁকে ওদিকে শুইয়ে রাখো, আর একজন এখানে এসে নাম ধাম বলো।’
নচে বুড়োকে চ্যাংদোলা করে হাসপাতালের বাইরে নিয়ে চলে গেল। সহজ গড়গড় করে নাম, ঠিকানা, বয়েস, কী হয়েছে সব উগরে দিল। লোকটা বলল, ‘টিকিট হয়ে গিয়েছে। এবার বেডের টাকা জমা করো।’
টাকাও জমা হল। কাগজপত্র নিয়ে বাইরে এসে গৌরা বলল, ‘আরে টাকা জমা দিতে হবে এটা তো মাথায় ছিল না, ভ্যাগিস তোর কাছে টাকা ছিল।’
সহজ তখন নচেকে খুঁজছিল। দেখল হাসপাতালের উল্টোদিকে নচে বুড়োটাকে আলুর দম আর পাউরুটি খাওয়াচ্ছে। ওরা যেতেই একগাল হেসে নচে বলল, ‘দাদু আমার কোল থেকে নেমেই আমার হাত আঁচড়ে দিয়েছে—এই দেখ।’
বুড়ো তখন মন দিয়ে খাচ্ছে। নচে বলছে, ‘দাদুকে ফিট করে ফেলেছি, তেমন হলে দাদুকেই ভর্তি করে দেব। তারপর রিপ্লেস করব।’
সহজ হাঁ করে তাকিয়েছিল নচের দিকে। মনে হচ্ছিল, নচে মজা করছে না। খুব সিরিয়াসভাবেই কথাগুলো বলছে। নচে পারে, অসাধ্য নয়।
বুড়ো আলুর দম পাউরুটি খেয়েছে। চা খাচ্ছে। নচে তাকে বসিয়ে রেখেছে, টাকা দেবে বলে। আসলে যদি কাজে লাগে। একটু পরেই বণির্নীরা চলে এল বিচিত্র ঘোষালকে নিয়ে। নচে কুড়ি টাকা বুড়োর হাতে দিয়ে ঝপাত করে একটা প্রণাম করল। বলল, ‘মাফ করে দিও। নিজের জন্য কিছু করিনি। যা করছি সব পার্টির জন্য।’
বিচিত্র ঘোষালকে হাসপাতালের ওয়ার্ডে পাঠিয়ে নিশ্চিন্ত গলায় নচে বলল, ‘সারাটা জীবন লোকটা পার্টির বিবেকের কাজ করেছে। অথচ যা পড়াশোনা, যেমন সংগঠক চেষ্টা করলে মন্ত্রী হতে পারত। আজ এটুকু না করলে বেইমানি করা হতো।’
‘পার্টি কিছু করেনি কেন?’
‘পার্টির কিছু উনি নেবেন না, উনি শুধু আত্মশুদ্ধি চান। কে আত্মশুদ্ধি করবে? কার আত্মা আছে, সব প্রেত হয়ে গিয়েছে। যাক বাবা আমি অন্তত পার্টির একটা পাপ থেকে বেঁচে গেলাম।’
বনি বলল, ‘এখন আমাদের কোনও কাজ নেই, চলো। বিকেলে আমি আসব। যা ওষুধপত্র লাগবে আমি কিনে দিয়েছি।’
নচে বলল, ‘আমাকে একবার অফিসে গিয়ে মুখ দেখিয়ে আসতে হবে। নাহলে ফালতু কামাই হয়ে যাবে। সহজ তোরা একটা ট্যাক্সি নিয়ে চলে যা, তোর বাইকটা আমাকে দে, আমি সন্ধেবেলা দেব।’
সহজ চাবি দিল। নচে বেরিয়ে গেল।
ট্যাক্সিতে উঠে গৌরা বলল, ‘দাদা এলাকায় থাকলে ভালো হতো, টাকা পয়সা তুলে নেওয়া যেত, হাসপাতালে খরচ আছে।’
বণির্নী বলল, ‘আপাতত আমি করছি, যদি লাগে তোমাদের বলব।’
গৌরা বলল, ‘তুমি? বিচিত্রদা তোমার কেউ হয়?’
‘হয় নয়, হবে। আমার বাপ হবে। আমি দত্তক নেব।’ বণির্নী খুব ট্যারা গলায় জবাব দিল।
গৌরা কী বুঝল কে জানে। সে একটু চুপ করে থাকল। বেশ কিছুটা এসে বলল, ‘নচে কীভাবে হাসপাতালের বেড দখল করল সেটা বল বনিকে।’
গৌরার মুখে বণির্নী নিজে নাম বনি শুনে মুখ গম্ভীর করল। সহজ হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ঘটনা পুরোটাই বলল বণির্নীকে। সব শুনে সে ট্যাক্সি ফাটিয়ে হাসছে। গাড়ির ভেতরকার পরিবেশ বেশ সহজ হয়ে এল। ‘আর একটা গল্প শুনবে, নচের? কিন্তু খবরদার এটা যে আমি বলেছি, সেটা বলবে না, তাহলে আমার মুখ ফাটিয়ে দেবে।’
বণির্নী বলল, ‘না, বলব না, তুমি বলো।’
গৌরা একটু কাশল। বলল, ‘বছর তিন-চার আগে ঘটনা। তখন আমাদের আরও চলতি ছিল। যেখানে যেতাম পুরো দল থাকত। সেদিন আমরা সবাই শ্মশানে গিয়েছি, এক কমরেড মারা গিয়েছেন। তখন সন্ধে হয় হয়। ক্যাওড়াতলা শ্মশানে বেশ লাইন। পর পর তিনটে বডি আছে। তারপর কমরেডের বডি। সবাই বাইরে যে যার মতো গল্প করছে। আমি আর নচে ঘুরছি। একটা খুব বড়লোকের বডি এসেছে। মারোয়াড়ি বুড়ো। তার অনেক আত্মীয় স্বজন। তার বডি লাইনে পাঁচ নম্বরে। কিন্তু বডির কাছে তেমন কেউ নেই। সবাই ব্যস্ত মাথা ন্যাড়া করাতে। এমন সময় নচে বলল, আরে এ তো বাবুজি! বলেই চিৎকার করে উঠে সেই বুড়োর বডির কাছে ঝাঁপিয়ে পড়ে কাঁদতে শুরু করল। এত কাঁদতে দেখে আমি অবাক হয়ে গেলাম। নচের হল কী? নচেকে এত কাঁদতে দেখে কেউ কেউ এসে ওর গায়ে মাথায় হাত বুলিয়ে গেল। একসময় নচে ঝাড়া মেরে উঠে বেরিয়ে গেল। বলল, তুই দাঁড়া আমি নাক ঝেড়ে আসছি। এসে আবার কাঁদব। পাশে বসে, আমাকে সান্ত্বনা দিবি। ও চলে গেল, একটু পরেই ফিরে এসে আবার কাঁদতে বসল তেমনভাবে। আমি দাঁড়িয়ে রইলাম। যতই বলুক আমি কী সান্ত্বনা দেবে ভাবছিলাম! ও কি রুদালির কাজ নিল? কে বাবুজি? ওর পুরনো কোম্পানির মালিক কি না জানি না, শুনিওনি কোনওদিন। যাই হোক, একটু পরে ওর কান্না পর্ব শেষ হল, আমাকে বলল, হয়ে গিয়েছে, চল।
আমি বললাম, চলে যাব মানে। আর একজনের পর কমরেড বডি ঢুকবে, সবাই আছে। ও বলল, তুই থাক। আমি চলে যাচ্ছি। আমার মুখ দেখানো হয়ে গিয়েছে। অগত্যা ওর সঙ্গে বেরিয়ে এলাম। বাইরে বেরিয়ে বললাম, ব্যাপার কী হল? ওই বুড়ো মাড়োয়ারিটা কে? নচে উত্তর দিল, কে আমি কী করে জানব। তাহলে তুই যে অত কাঁদলি? ছাদ্দে নেমন্তন্ন খেতে যাবি না কি? তখন নচে বলল, বুড়োর হাতে একটা সোনার আংটি ছিল। ওই সুদ্ধু চুল্লিতে ঢোকাত। আমি খুলে নিলাম। হেবি টাইট। কিছুতেই খুলতে পারছিলাম না। সেই জন্যই তো কাঁদতে কাঁদতে উঠে গেলাম। শ্মশানের বাইরে এক মাসি ডিমের মামলেট করছিল, তার কাছ থেকে ডিম ভাজার পোড়া তেল নিয়ে এলাম। ব্যস। কেল্লা ফতে। নচে পকেটে থেকে রুমাল বের করে দেখাল— এই এত্ত বড় একটা সোনার আংটি।’
গৌরার কথাশুনে বনি হেসে গড়িয়ে পড়ছে। স্তম্ভিত সহজ!
গৌরা বলল, ‘তবে নচে ওই আংটি বাড়িতে ঢোকায়নি। ছেলেপুলে নিয়ে সংসার। সোজা নিয়ে গেল সোনার দোকানে। এক্কেবারে ওজন করে মেয়ের বিয়ের কানের দুল গড়াল। গলিয়ে ফেললে আর পাপ থাকে না কোনও। আগুনে সব শুদ্ধ। এছাড়া ওই সোনা তো আগুন খেয়ে নিত।’
বিকেলে বণির্নী আর সহজ দেখতে গিয়েছিল বিচিত্র ঘোষালকে। স্যালাইন আর অক্সিজেন চলছে। ঠিক সময়ে আনা হয়েছিল, নইলে মানুষটা বেঘোরে মরে যেত।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে বনি বলল, ‘তোর কি হয়েছে বলত, সকাল থেকে দেখছি কেমন অন্যমনস্ক? গৌরের অমন হাসির কথাতেও হাসলি না, কেমন দম মেরে থাকলি। এখনও দেখছি সকালের মতোই।’
সহজ নিজেকে ঝাড়া দিল, ‘কই তেমন কিছু না।’
নচে আর গৌরার সম্পর্কে নানা কথা জানতে চাইছিল বনি। সহজ যেটুকু জানে উত্তর দিচ্ছিল।
বিকেলে খোঁজ নিল, ঠেক শূন্য পরমেশ্বরদা ফেরেনি। সকালের বিষয়টা তার মনের মধ্যে খচখচ করছে। ক্যাপ্টেনের কথা সুজির বুকে একেবারে ক্ষুর মেরে দিয়েছে। সেলাই করে আটকানো যাবে না। আর দাগও কোনওদিন মিলিয়ে যাবে না। সুজি কি মনোকষ্টে ভুগছে, নাকি বাড়ি গিয়ে বউকে বলবে— তাহলেই সর্বনাশ!
সুজিদা মাথামোটা ওকে বিশ্বাস নেই। বাড়ি গিয়ে হয়তো হম্বিতম্বি করল। সকালে সহজ নিজের কানে শুনেছে, সুজিদা বলছে ডিএনএ টেস্ট করাব। হয়তো বউকে শাসিয়ে রাখল— বাচ্চা হলে ডিএনএ টেস্ট করাবে বলে।
সহজের অস্থির অস্থির লাগছিল। ক্যাপ্টেন হঠাৎই দুম করে সুজিদাকে এমন কথা বলতে গেল কেন? ইচ্ছে করে বলল, অ্যাটাক ইজ দ্য বেস্ট ডিফেন্স, সুজিদার চিৎকার খিস্তি হম্বিতম্বি থামানোর জন্য? নাকি এমনিই বলে ফেলল। যা বলতে চায়নি কিন্তু গলা চিরে সেকথাই বেরিয়ে এল? এটাই কি ক্যাপ্টেনের পাওয়ার? এটা যদি ক্যাপ্টেনের পাওয়ার হয়, তাহলে বলতে হয় খুব খারাপ পাওয়ার। এই পাওয়ার মানুষকে শেষ করে দেবে। ধ্বংস করে দেবে।
ক্যাপ্টেনের অপঘাত মৃত্যুর ফর্মুলায় নচের মতো ছেলে কুঁকড়ে গিয়েছে। সন্ধেবেলা বাড়ি থেকে কম বের হচ্ছে। বাড়িতে বসে একা একা মদ খাচ্ছে। যেন আর স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে না। বাইকে বসে ভয় পাচ্ছে— বলছে অ্যাক্সিডেন্টও অপঘাত!সহজের মনে হল, লোকটা সবার কাছে ‘পাওয়ার’ খুইয়ে মরে যেত। লোকটাকে সে কি বাঁচিয়ে দিল।
কাল পর্যন্ত সবাই জানত ক্যাপ্টেনের ভবিষ্যদ্বাণী মেলেনি। ডাহা ফ্লপ! তাহলে কী হতো? নচে জানত তাকে করা ক্যাপ্টেনের ভবিষ্যদ্বাণীও মিলবে না। অপঘাতের থিওরি খাটবে না। ‘সুজি তুই কাক— তোকে সারাজীবন কোকিলের বাচ্চা মানুষ করতে হবে’ শুনে সুজি খিস্তিতে ভূত ভাগাত। ক্যাপ্টেন কথা বিশ্বাস করত না। আর একবার যদি পরমেশ্বর একুশ দিন পেরিয়ে এক মাস, দু’মাস, তিন মাস এলাকায় থাকতে পারত, মার্ডার না হতো তাহলে, ক্যাপ্টেন পিশাচ সাধুর সব খেল খতম হয়ে যেত—।
আজ নিজের ভবিষ্যদ্বাণী না মিলিয়ে ওই ক্যাপ্টেনের ‘পাওয়ার’-এ জল দিত সহজ। ওই পাওয়ার বিষবৃক্ষ!
নিজের বোকামির জন্য খুব রাগ হচ্ছিল সহজের। এখন হাত থেকে তির বেরিয়ে গিয়েছে। তবু— কিছু একটা ভাবতে হবে, ক্যাপ্টেনের চক্কর থেকে বেরিয়ে আসার জন্য। কিন্তু কী ভাববে সে?
বিকেলবেলা ফোন এল নচের। খুব নিচু গলা। বলল, ‘সহজ ভাই, তোর বাইকটা কি তোর বাড়িতে দিয়ে আসব? না ঠেকে আসবি?’ সহজ কিছু বলতে যাচ্ছিল, তার আগেই নচে বলল,‘হ্যাঁ রে তোর নাকি মিলে গিয়েছে। ক্যাপ্টেনের পাওয়ার কমেনি তাহলে!’
(চলবে)