Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব   ৮

বাড়িতে সহজের ঠাকুমা বাসবীর দাপট চিরকালের। পান থেকে চুন খসলেই তিনি চিৎকার করে ওঠেন। তাঁর পুত্রবধূর সারাদিনটা কেটে যায় ঠাকুরঘরেই। সহজের বাবা সম্বুদ্ধ মিত্র নামী ল’ইয়ার। তিনি সেই অর্থে বাড়িতে কারও সঙ্গে কথা বলেন না। তবে, দরকার পড়লে সব বিষয়েই রয়েছেন এমন মানুষ। আর রয়েছে সহজের বোন মিমি। লেখক হওয়া নিয়ে বাবার সঙ্গে দ্বন্দ্ব সহজের। তারপর...
 বর্ণিনী স্কুটিটা নিয়ে সটান সহজের গায়ে তুলে দিচ্ছিল। সহজ চমকে উঠেছিল। বনি বলল, ‘কী রে আমাকে দেখে চমকে উঠলি!’ 
‘তোকে নয়, তোর স্কুটিকে দেখে।’ 
‘কেন স্কুটির কী হল?’ 
‘স্কুটির নয়, আর একটু হলে যা হওয়ার আমার হতো।’
‘তোর কী হবে, তোর তো শুনলাম হেব্বি ব্যাপার ক’দিনের মধ্যেই নাকি লটারি লাগিয়ে দিবি!’
‘কে বলল তোকে?’ সহজ হাসল। কিছুটা বোকার মতো। বর্ণিনীও শুনেছে তাহলে।
বনি স্কুটি স্ট্যান্ড করিয়ে তার সামনে এসে বলল, ‘হ্যাঁ তাই তো শুনলাম, আর ক’টা মাত্র দিন, হাতে গোনা। তাই ভাবলাম তোর খোঁজ করি। তোকেই খুঁজতে বেরিয়েছিলাম—’
সহজ হাসল। 
বিকেল ফুরিয়ে এসেছে। আর একটু পরেই সন্ধে নেমে যাবে। আজ দুপুরবেলা মোবাইল অফ করে তেড়ে ঘুমিয়েছে। সকালের ঘুমটা পুষিয়ে নিয়েছে। আজ পড়ানো নেই। বিকেলে বেরিয়ে ভাবছিল রবীন্দ্র লাইব্রেরিতে যাবে। অনেকদিন যায়নি। কিন্তু এখন এখানে বনির সঙ্গে দেখা হয়ে যাবে সে আশা করেনি। বনি কি সত্যি সত্যি তাকে খুঁজতে বেরিয়েছে!
‘তোর মোবাইলটা সুইচ অফ, জানিস?’
‘হ্যাঁ, আমি অফ করে দুপুরে ঘুমিয়েছিলাম। আর খোলা হয়নি বোধহয়।’
‘বোধহয় না, এখনও অফ।’
সহজ পকেট থেকে মোবাইলটা বের করে অন করে। বলল, ‘কোথায় যাচ্ছিস?’
‘বললাম তো তোকে খুঁজতে বেরিয়েছি।’
‘কেন খুঁজছিস তোর বাবার লকআপে পুরবি।’
‘শোন, লকআপে ঢুকতে গেলে সাহস লাগে, তোর সেটা নেই। তোকে কোনও লকআপ নেবে না।’
এই কথাটা নতুন কিছু নয়, পুরনো। বনি সবসময়ই মনে করে সহজ ভিতু। সহজপাঠ। বনির খুব সাহস। যেখানে যখন তখন যা খুশি করতে পারে। গৌতম ওকে বলেছিল, তোর বাবা পুলিস— তুই জানিস কিছু করলে তোর বাবা তোকে ছাড়িয়ে আনবে, কোনও কেস নেই, তাই তোর এত সাহস। বনি ওকে বলেছিল— তোর বাবা ডাক্তার। তোর দু’ঠ্যাং ভাঙলে তোর বাবা সারিয়ে দেবে, তাহলে ঠ্যাং ভাঙা নিয়ে তোর ভয় পাওয়ার কিছু নেই। চল আমরা দু’জনে মিলে ঝাঁপ দিই এই ছাদ থেকে। ওরা দাঁড়িয়ে ছিল গৌতমদেরই দোতলা বাড়ির ছাদে। গৌতমকে নিয়ে বনি টানাটানি করেছিল দোতলার ছাদ থেকে ঝাঁপ দেওয়ার জন্য। গৌতম নাকি হাতে পায়ে ধরে মুক্তি পায়। কিন্তু বনি তাতেও থামেনি, ও দোতলা থেকে ঝাঁপ মেরেছিল। বাঁ পা ভেঙে প্রায় দু’মাস পড়েছিল হাসপাতালে। গোড়ালিতে একটা প্লেটও বসাতে হয়েছিল। তারপর থেকে বনিকে সবাই ভয় পায়। গৌতমদের বাড়ির ছাদ থেকে বনি ঝাঁপ মেরেছিল, ওদেরও কম ঝামেলা পোহাতে হয়নি। বনির বাবা দফায় দফায় তাদের থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে জেরা করে। আমার মেয়ে আপনাদের বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দিল কেন? সেখানে আপনার ছেলে ছিল, সে আপনাদের কী বলেছিল? টানাটানি করেছিল? কে কাকে টেনে ছিল? এমনি এমনি ঝাঁপ দিয়ে দিল! আজব ব্যাপার!    
বনি আজব। আজ আর একটু হলে স্কুটিটা সহজের গায়ের ওপর তুলে দিত। ওর বন্ধু-বান্ধব কম। যে ক’জন আছে তারা সবাই বনিকে সমঝে চলে। শেষে নাকি বনিই ওর বাবাকে বলেছিল, সে নিজেই ঝাঁপ মেরেছে— স্রেফ মজা! সাহসটা চেক করে নিল। আর কিছু না।
মজা! সাহসটা চেক করতে কেউ ছাদ থেকে ঝাঁপ দেয়! বনি বলে, পারি কি না দেখে নিলাম।
এই আজব বনির সঙ্গে কিছু আজব লোকের ভাব আছে। তারা সবাই-ই সাহসী। তাদের মধ্যে একমাত্র ভিতু সহজ। তবে সে-ও তো কম আজব নয়।
সহজ বলল, ‘আমি বলে দিতে পারি— তুই আমাকে খুঁজছিলিস না, কোথাও যাচ্ছিলিস। সেটা কোথায়, সেটাও বলতে পারি।’
বনি কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়াল, ‘বল।’
‘বিচিত্রদার বাড়ি।’
এদিকেই বিচিত্র ঘোষালের বাড়ি। কিন্তু সেটা এখান থেকে অন্তত আধ ঘণ্টা হাঁটতে হবে। বাইকে গেলে পাঁচ-সাত মিনিট।
সহজের কথায় বনি হাসল, হাত বাড়াল সহজের গাল টিপে দেওয়ার জন্য। সহজ ঝটতি নিজেকে সরিয়ে নিল। বনি বলল, ‘তোকে ফোন করছিলাম আমার সঙ্গে বিচিত্রদার বাড়ি যাওয়ার জন্য। ভালোই হল, যাবি? বিচিত্রদার শুনলাম খুব জ্বর। একা মানুষ—’  
সহজ বলল, ‘চল।’
বিচিত্র ঘোষাল বিচিত্র মানুষ। তিনি এখনও বিশ্বাস করেন বিপ্লব হবে। ক্ষেত্র প্রস্তুত, শুধু একজন গণনেতার অভাব। এই গণনেতা যে কোনও সময় যে কোনও আন্দোলন থেকে উঠে আসবে।  বনির বাবা এই বিচিত্র ঘোষালকে সহ্য করতে পারে না। তার স্পষ্ট কথা, পুলিস তক্কে তক্কে আছে, যে কোনওদিন লোকটাকে তুলে নিয়ে এসে পেটাবে বলে। অবশ্য লোকটার এত বার পাবলিকের কাছে পেটানি খেয়েও শিক্ষা হয়নি। লাস্ট বার গিয়েছিল লোকাল এক ডক্টর্স চেম্বারে আন্দোলন করতে। সেখানে তাঁর দাবি ছিল— এদিককার বস্তির লোকজন খুব গরিব, আপনারা এদের জন্য ফিজ নেবেন না। আর যদি নেন তবে সেটাও সামান্য। টোকেন মানি। 
এই নিয়ে বিস্তর গোলমাল হয়। যাঁর চেম্বার, যিনি ডাক্তার বসাচ্ছেন তিনি থানা পুলিস করেন। কিন্তু তাতেও বিচিত্র ঘোষালকে দমানো যায়নি। সেইসঙ্গে তার আরও দাবি ছিল— একটু সস্তার ওষুধ দিন। ডাক্তারবাবুরা বিচিত্রদার হাতের প্রেশক্রিপশনগুলো নিয়ে দেখে বলেছিল— এই অসুখে এগুলোই ওষুধ।  বিচিত্রদা নাকি বিনয়ের সঙ্গে ডাক্তারদের বলেছিলেন— একই কম্পোজিশনে এই এই ওষুধ আছে, সেই নামগুলোও লিখে দিন। বিচিত্রদা নাকি গড় গড় করে চেম্বারের ডাক্তারদের কম্পোজিশন বলে দিয়েছিলেন। তাতে ডাক্তাররা মারাত্মক খাপ্পা, তাঁদের জ্ঞান দেওয়া হচ্ছে? যে চোদ্দোজন ডাক্তার ওই চেম্বারে বসা শুরু করেছিল, তারা সবাই একদিনে আসা বন্ধ করে দেয়। 
চেম্বার বন্ধ হয়ে যেতে এতে খাপ্পা হয়ে এলাকার লোকজন বিচিত্রদাকে ধরে একদিন পিটিয়ে দেয়। সেই নিয়েও থানা পুলিস।  বনি নাকি বিচিত্র ঘোষালের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল। লোকাল পুলিস বনির বাবাকে জানিয়েছিল— স্যার আপনার মেয়ে একটা পাগলের সঙ্গে জুটেছে। শেষে মেয়েকে বাঁচাতে বনির বাবা কেসটাও সালটায়। সেই থেকে বনির বাবা খাপ্পা হয়ে আছে বিচিত্র ঘোষালের ওপর। তাতে অবশ্য বনিকে থামাতে পারেনি। তখনই বনির বাবা খোঁজ নিয়ে জানতে পারে বিচিত্র ঘোষাল নাকি পাবলিকের হাতে এই প্রথম মার খেল না, এর আগেও লোকটা জনগণের স্বার্থে লড়তে গিয়ে তিন-চারবার মার খেয়েছে। কিন্তু তাতেও লোকটাকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারেনি।
বিচিত্র ঘোষালকে চেনে সহজ। মানুষটাকে দেখেছে। কোনওদিন তাঁর বাড়ি যায়নি। উনি মাঝে মাঝেই পরমেশ্বরের অফিসে আসেন। এসে সবার শেষে একটা চেয়ারে চুপ করে বসে থাকেন। চা এলে খান, আর খুব মন দিয়ে খবরের কাগজ পড়েন। সিগারেট দিলে প্রত্যাখ্যান করে তাঁর দিকে বিড়ি এগিয়ে দেন।
সহজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় পরমেশ্বর শান্ত গলায় বলেছিল— বিচিত্রদা সেই বিরল মানুষ যারা এখনও মনে করে বিপ্লব হবে। কখন হবে, কীভাবে হবে কেউ জানে না, শুধুমাত্র একটা স্ফুলিঙ্গ। সেই স্ফুলিঙ্গ থেকে দাবানল হয়ে যাবে।
বিচিত্র ঘোষাল শান্ত চোখে সহজের দিকে তাকিয়েছিলেন। ঝকঝক করছে দু’চোখ। কাঁচা পাকা না-কাটা দাড়ি ভর্তি গালে জানলার গরাদ ডিঙিয়ে রোদ এসে পড়েছে। তিনি ফিসফিস করে বলেছিলেন— আসলে একজন নেতা চাই। যার বুকের ভেতর আগুন আছে, আর যে হবে সংগঠক।
পাশ থেকে কে যেন বলল— কেন পরমেশ্বরদা আছে, হবে না। 
—হবে। নিশ্চিত হতে পারত। কিন্তু ও এখন কোরাপশনে ডুবে গিয়েছে। এখন গণনায়ক হতে হলে ওকে আগুনে শুদ্ধ হতে হবে। সেই আগের পরমেশ্বর আর নেই। যাকে আমি চিনতাম।
বিচিত্র ঘোষালের কথায় পরমেশ্বর হাসে, আর দু’পা নাড়ায়। ওর চোখের ভেতর সরু হয়ে আলো খেলা করে।
কোরাপশন! কোরাপশন! বিচিত্র ঘোষাল মাথা নাড়ান। কেউ না কেউ আসবেই। গণনায়ক! জায়গা ফাঁকা থাকবে না।
প্রফুল্ল সেন কলোনির প্রায় শেষপ্রান্তে বিচিত্র ঘোষালের বাড়ি। কাঁচা নর্দমা টপকে ওরা দু’জনে গিয়ে দাঁড়াল দরজার সামনে। সহজ কড়া নেড়ে ডাকতে যাচ্ছিল, কিন্তু বনি সটান ঢুকে পড়ল বাড়ির ভেতর।
ঘরে চৌকির ওপর বিচিত্র ঘোষাল শুয়ে। মাথার ধারে জলের বোতল, কিছু ওষুধ আর প্লাস্টিকের প্যাকেটে একটা অর্ধেক খাওয়া পাউরুটি।
বনি বলল, ‘কেমন আছ বিচিত্রদা?’
‘একদম ঠিক আছি। সামান্য সর্দি জ্বর। কে তোমাকে খবর দিল?’
‘ক’দিন পড়ে আছ? ডাক্তার দেখিয়েছ?’
‘ডাক্তার লাগবে না, আমি বুঝে গিয়েছি কী হয়েছে। প্যারাসিটামল। ব্যস। খাচ্ছিও তো।’
বনি এগিয়ে গিয়ে বিচিত্র ঘোষালের কপালে গলায় হাত রাখে। ‘ঠিক আছ বলছ, এই তো বেশ জ্বর। একবার ডাক্তার দেখিয়ে নেবে? আমার স্কুটিতে বসতে পারবে? আমি তোমাকে ভবেশ ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতাম।’
বিচিত্র ঘোষাল হাসলেন, ‘ভবেশ প্যারাসিটামল ছাড়া আর কী দেবে? ভিটামিন টনিক দেবে? ওষুধ কোম্পানির থেকে কমিশন খায় তো। আর অ্যান্টাসিড, এই। আমি তো খাচ্ছিই।’
সহজ বলল, ‘হোক, তবু আপনি একবার দেখিয়ে নিন।’
সহজের কথায় ভ্রূ কুঁচকে তাকালেন বিচিত্র ঘোষাল। বনি বলল, ‘আমার বন্ধু। তুমি তো চেনো।’
সহজ বলল, ‘আপনার সঙ্গে পরমেশ্বরদার অফিসে আলাপ হয়েছিল—।’
বিচিত্র ঘোষাল মাথা নাড়লেন। হাত ইশারা করে বসতে বললেন।
বনি বলল, ‘তাহলে কি ডাক্তার দেখাতে যাবে? স্কুটিতে না যেতে পারলে রিকশ ডেকে নিয়ে আসতে পারি।’
মাথা নাড়ালেন বিচিত্র ঘোষাল। ‘আর একদিন, ফিট হয়ে যাব। চিন্তা করো না।’
বনি বলল, ‘কাল আমি তোমায় দুপুরে খাবার দিয়ে যাব। পেট ভরে ভাত খাও ফিট হয়ে যাবে।’
‘চা খাব।’
‘চা!’ বনি এদিক ওদিক তাকাল। বলল, ‘চায়ের ব্যবস্থা আছে, তাহলে আমি করছি।’
‘করতে হবে না। আমাদের বাড়ির পিছন দিকে দোকান আছে। ওদের বলে এলেই হবে।’
‘গুড। সেই ভালো আমি যাচ্ছি।’
‘তুই বোস, আমি যাচ্ছি।’ সহজ উঠে গেল। 
ছোট্ট চায়ের দোকান। সহজ চা, চার পিস বাটার টোস্ট আর দুটো ডিম সেদ্ধর অর্ডার দিয়ে এল। মানুষটা না খেয়ে পড়ে আছে। সেই সঙ্গে কথা বলে এল রাতে বিচিত্রদার ঘরে রুটি আর আলুরদম দেওয়ার জন্য। ফিরে এসে বিচিত্রদাকে বলল, ‘আপনার খাবার রাতে ওরা দিয়ে যাবে।’
সহজের কথা শুনে বিচিত্রদা কিছু বলতে যাচ্ছিলেন, বনি কড়া গলায় ধমক দিল। ‘তোমার কী অসুবিধে বলো তো? আমরা কোরাপটেড নই। হ্যাঁ, আমার বাবা ঘুষখোর। কিন্তু তার ঘুষের টাকা এনে তোমাকে খাওয়াচ্ছি না। তুমি চুপচাপ খেয়ে নেবে।’ বনির ধমক খেয়ে বিচিত্রদা অন্যদিকে মুখ ঘুরিয়ে থাকলেন। চা এল, সঙ্গে টোস্ট, ডিম সেদ্ধ। খাবার দেখে বনি খুশি, ‘বাহ্‌ তুই তো বেশ গুছিয়ে এনেছিস।’
বিচিত্র ঘোষাল উঠে বসলেন, খুব আস্তে আস্তে খাবারটুকু খেলেন। 
সহজ বলল, ‘আপনার সঙ্গে পরমেশ্বরদার অনেক দিনের চেনাশোনা?’
ঘাড় নাড়ল বিচিত্র ঘোষাল। ‘পুরনো কমরেড।’
সহজ বলল, ‘ওদের কাছে একজন আসেন— ক্যাপ্টেন। চেনেন?’
হাতের খাবার ফেলে ঠিকরে উঠল বিচিত্র ঘোষাল। ‘ক্যাপ্টেন। চিনি। একটা হারামজাদা। নিজেকে সাধু বলে। আসলে ও পিশাচ!’
‘উনি তো নিজেই নিজেকে পিশাচই বলেন। ভালো কিছু বলেন না।’
‘ও একজন ব্ল্যাকমেলার। ব্ল্যাকমেল করে। কাঁচা মাথায় চিবায়।’
সহজ চুপ করে থাকে।
‘তুমি কি তন্ত্র মন্ত্র মানো?’ বিচিত্র ঘোষাল তীক্ষ্ণ গলায় প্রশ্ন করল। 
‘আমি তন্ত্র মন্ত্রের ব্যাপারে একদমই অজ্ঞ। তাই মানা, না-মানার কোনও প্রশ্ন নেই।’
বিচিত্র ঘোষাল থমথমে মুখে বসে থাকেন। বললেন,  ‘মানুষটা ভালো নয়। ও মানুষকে ভয় ধরায়। ও শরীরের রক্ত শুষে নেয়।’
‘উনি রক্ত শুষে নেয়— এটা আপনি বিশ্বাস করেন?’
‘ওর পাল্লায় যারা পড়ে, তারা আর মানুষ থাকে না, মানুষের খোলসে অমানুষ হয়ে যায়। ভেড়া! ভেড়া বোঝো, ও ভেড়া করে দেওয়ার বিদ্যা জানে।’                 (চলবে)
11th  April, 2021
পিশাচ সাধু

পরমেশ্বরের অফিসে শঙ্করের সঙ্গে এক চোট হয়ে গেল সহজের। মজা করতে গিয়েই এই বিপত্তি। সুজি কিছুতেই ক্যাপ্টেনের কথাগুলো ভুলতে পারছে না। এদিকে, পরমেশ্বর বিকেলে সহজকে একজনের বাড়িতে নিয়ে গেল। তারপর... 
বিশদ

13th  June, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস: পর্ব ১৫
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

শঙ্কর বলল, ‘তুমি চান্স নাও। সব পাখি মাছ খায় দোষ হয় মাছরাঙার! আমার দরকার নেই। আমার অনেক আছে।’ বিশদ

06th  June, 2021
ছাতা হারানোর পর
রিমি মুৎসুদ্দি

কলি জানত, মম্পা নিজে পড়াশোনা বিশেষ করে না। সারাক্ষণ মিটিং মিছিল নিয়েই ওর সময় কাটে। এমন মিটিং মিছিল করা ছেলের সঙ্গে কী করেই বা ও জড়াত নিজেকে? আর তাও যদি মম্পার রেজাল্টটা তেমন কিছু হতো তাহলেও কিঞ্চিৎ বিবেচনায় ওকে রাখতে পারত।  বিশদ

30th  May, 2021
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ১৪
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে

বিচিত্রদাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে গিয়ে একপ্রস্থ নাটক হল। যদিও শেষপর্যন্ত বিচিত্রদার কপালে বেড জুটল। নচের নানা মজার কীর্তি বর্ণিনীকে শোনাল গৌর। এদিকে, ক্যাপ্টেনের অলৌকিক শক্তি যে কমেনি, তা সহজের গল্প প্রকাশের সুবাদে আরও একবার পরমেশ্বরের গ্রুপে প্রমাণ হয়ে গেল। তারপর... বিশদ

30th  May, 2021
কালা চশমা 
শুচিস্মিতা দেব

সুমিতাকে প্রবাস জীবনের শুরুতে সংসারের বাঙালি স্বাদগন্ধ বজায় রাখতে কম মেহনত করতে হয়নি! কোথায় মেলে বাঙালি পুরুতঠাকুর... শুক্তো-মুড়িঘণ্ট, স্পেশালিস্ট বঙ্গ ক্যাটারার... গাওয়া ঘি-গোবিন্দভোগ চাল অথবা শারদীয় পত্রপত্রিকা! কর্তাটি তার নির্ভেজাল খাঁটি বাঙাল ফলে দীর্ঘ দিল্লিবাসে যাবতীয় বঙ্গসমাচার এখন সুমিতার নখদর্পণে। 
বিশদ

23rd  May, 2021
পিশাচ সাধু 
জয়ন্ত দে

ক্যাপ্টেনকে গালমন্দ করতে গিয়ে নিজের বিপদ ডেকে আনল সুজি। ‘কাক হয়ে কোকিলের বাচ্চা মানুষ করবি সুজি,’ পিশাচ সাধুর মুখ থেকে বেরিয়ে এল কয়েকটি ভয়ঙ্কর শব্দ। যা তাকে সারা জীবন কুড়ে কুড়ে খাবে। এদিকে, বর্ণিনীর ফোন এল সহজের মোবাইলে বিচিত্রদার অবস্থা ভালো নয়।  
বিশদ

23rd  May, 2021
পিশাচ সাধু
জয়ন্ত দে 

সহজের কাছে চিঠিটি এসেছে ‘স্বদেশ’ পত্রিকা থেকে। সেখানে তার গল্প ছাপা হবে। এদিকে, ক্যাপ্টেনের ভবিষ্যদ্বাণী ব্যর্থ হয়েছে শুনে বেজায় খুশি সুজি। পিশাচ সাধুর শক্তি সম্বন্ধে তার বক্তব্য, ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর’। পরের দিন সহজকে নিয়ে ক্যাপ্টেনের বাড়ি যাবে ঠিক করে সুজি।  
বিশদ

16th  May, 2021
ছোঁয়া
বিতস্তা ঘোষাল
 

অফিস থেকে বেরিয়ে নীচে বেশ খানিকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে পর্ণা। এই দাঁড়িয়ে থাকাটা কোনও কিছুর অপেক্ষায় নয়। এটা তার অভ্যাস। আসলে একটানা চার দেওয়ালের ঘেরাটোপে কাজ করতে করতে ভীষণ হাঁফ ধরে যায়। গুমোট লাগে ঘরটা। বিশদ

09th  May, 2021
পিশাচ সাধু
ধারাবাহিক উপন্যাস, পর্ব  ১১
জয়ন্ত দে

 

সহজের ফোনটা পেয়ে কেমন যেন চুপচাপ হয়ে গেলেন পিশাচ সাধু। তাহলে তাঁর খারাপ কথাগুলো মিলে গেলেও কারও ভালো ভবিষ্যদ্বাণী করলে, তা মেলে না! বঁড়শি বারবার জানতে চায় তার কী হয়েছে। অনুমান করে ফেলে ফোন করেছিল সহজ। সে স্বামীকে বোঝায়, না মিলুক, তবুও তিনি যেন মানুষকে ভালো কথাই বলেন। বিশদ

09th  May, 2021
ছোট গল্প
সম্ভবামি যুগে যুগে

 

মহাপ্রস্থানের পথে অর্জুনের পতনের পর ভীম ও যুধিষ্ঠির আরও উত্তরদিকে এগিয়ে গেলেন। সেই বরফে ঢাকা শ্বেত প্রান্তরে মৃত্যুর অপেক্ষা করতে করতে অর্জুনের মন আসন্ন স্বর্গ না নরক এই দুর্ভাবনার  থেকেও শেষজীবনের পরাজয় ও হতাশায় আচ্ছন্ন হয়ে রইল। তিনি চিরকালের শৌর্যাভিমানী। বিশদ

25th  April, 2021
পিশাচ সাধু
পর্ব  ১০

তেত্রিশ দিন হয়ে গেল অথচ সহজের জীবনে ক্যাপ্টেনের করা ভবিষ্যদ্বাণী মিলল না। পরমেশ্বরের কথা শুনে ক্যাপ্টেনকে ফোন করে সহজ বলে দিল, ‘আপনি ফ্লপ! আপনার ভবিষ্যদ্বাণী ফ্লপ!’ সেদিন রাতেই বাড়ি ফিরে বাবার কাছ থেকে সহজ জানতে পারল, তার নামে একটি অফিসিয়াল চিঠি এসেছে। তারপর... বিশদ

25th  April, 2021
পিশাচ সাধু

 

হঠাৎ বর্ণিনীর সঙ্গে রাস্তায় দেখা হয়ে যায় সহজের। বনির গন্তব্য বিচিত্রদার বাড়ি। সহজকে সঙ্গী করে বনি। জনগণের স্বার্থে লড়াই করতে গিয়ে বহুবার পেটানি খাওয়া বিচিত্র ঘোষাল বিশ্বাস করে, এ দেশে একদিন বিপ্লব হবেই। কথায় কথায় বিচিত্রদাও সহজকে সাবধান করে দেয়, সে যেন পিশাচ সাধুর পাল্লায় না পড়ে। বিশদ

18th  April, 2021
মিষ্টু
উৎপল দাস

রিমা ভিতরে ভিতরে জ্বলে পুড়ে মরে। এ পৃথিবীতে কেউ নেই যে তার অবস্থা বোঝে। মিষ্টুকে বিদায় না করতে পারলে যেন ওর শান্তি নেই।  বিশদ

11th  April, 2021
বিদিশা কি ভানুমতী?
আশিস ঘোষ

বেশি কথা বা শব্দ, আলো এখন ভালো লাগছে না। বিদিশাকে বলতেই, ও টিউব লাইট নিভিয়ে জিরো পাওয়ারের নীল আলো জ্বালিয়ে দিল। জানলার পর্দা হাওয়ায় উড়ছে। বাইরের রাস্তায় গাড়ির শব্দ। বিদিশা আমার দিকে চেয়ে আছে। কিছুই বলছে না। বিশদ

04th  April, 2021
একনজরে
বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী সামসুন্নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণিকে ধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করল পুলিস। ধৃতের নাম নাসির মেহমুদ। ...

করোনা আতঙ্কের মধ্যে দেশে কোপা আমেরিকা আয়োজনের বিপক্ষে সুর চড়িয়েছিল ব্রাজিল দল। টুর্নামেন্ট থেকে সরে দাঁড়ানোরও ইঙ্গিতও ছিল নেইমার-কাসেমিরোদের বক্তব্যে। ...

দু’মাস আগের কথা। সোশ্যাল মিডিয়ায় তুফান তুলে দেওয়াই বিজেপি’র একনিষ্ঠ নেতা-কর্মী হওয়ার অন্যতম মাপকাঠি ছিল। সময়ের ফেরে সেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন নেতাদের পোস্ট করাই কার্যত ‘ব্যান’ করে দিল বিজেপি নেতৃত্ব। ...

মসজিদে নামাজ পরতে যাওয়ার সময় দুষ্কৃতীদের হাতে প্রহৃত হলেন এক প্রবীণ ব্যক্তি। কেটে দেওয়া হল দাড়ি। প্রহৃত ব্যক্তির নাম আব্দুল সামাদ। প্রথমে তাঁকে অটো থেকে নামিয়ে জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত একটি কুঁড়ে ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শরীর ভালো যাবে না। সাংসারিক কলহ বৃদ্ধি। প্রেমে সফলতা। শত্রুর সঙ্গে সন্তোষজনক সমঝোতা। সন্তানের সাফল্যে ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮৯৬: জাপানে সুনামিতে ২২ হাজার মানুষের মৃত্যু
১৯৫০: শিল্পপতি লক্ষ্মী মিত্তালের জন্ম
১৯৫৩: চীনের প্রেসিডেন্ট জি জিনপিংয়ের জন্ম
১৯৬০: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়
১৯৬৯: জার্মানির গোলকিপার অলিভার কানের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭২.৪৩ টাকা ৭৪.১৪ টাকা
পাউন্ড ১০১.৬৬ টাকা ১০৫.১৭ টাকা
ইউরো ৮৭.০৬ টাকা ৯০.২৭ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
14th  June, 2021
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৯, ১০০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬, ৬০০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭, ৩০০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৭২, ০০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৭২, ১০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]
14th  June, 2021

দিন পঞ্জিকা

৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮, মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১। পঞ্চমী ৪৫/৪ রাত্রি ১০/৫৭। অশ্লেষা নক্ষত্র ৪১/৫৬ রাত্রি ৯/৪২। সূর্যোদয় ৪/৫৫/৩৮, সূর্যাস্ত ৬/১৮/১২। অমৃতযোগ দিবা ৭/৩৬ মধ্যে পুনঃ ৯/২৩ গতে ১২/৩ মধ্যে পুনঃ ৩/৩৭ গতে ৪/৩১ মধ্যে। রাত্রি ৭/০ মধ্যে পুনঃ ১১/৫৭ গতে ২/৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৪ গতে ৩/৩৭ মধ্যে পুনঃ ৪/৩১ গতে ৫/২৪ মধ্যে। রাত্রি ৮/২৫ গতে ৯/৫০ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৬ মধ্যে পুনঃ ১/১৭ গতে ২/৫৭ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৩৮ গতে ৮/৫৮ মধ্যে। 
৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪২৮, মঙ্গলবার, ১৫ জুন ২০২১। পঞ্চমী রাত্রি ৭/৩৬। অশ্লেষা নক্ষত্র রাত্রি ৭/৭। সূর্যোদয় ৪/৫৫, সূর্যাস্ত ৬/২০।  অমৃতযোগ দিবা ৭/৪০ মধ্যে ও ৯/২৭ গতে ১২/৮ মধ্যে ও ৩/৪২ গতে ৪/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৭/৫ মধ্যে ও ১২/২ গতে ২/৯ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ২/৪৮ গতে ৩/৪২ মধ্যে ও ৪/৩৫ গতে ৫/২৯ মধ্যে এবং রাত্রি ৮/৩০ গতে ৯/৫৫ মধ্যে। বারবেলা ৬/৩৬ গতে ৮/১৭ মধ্যে ও ১/১৮ গতে ২/৫৯ মধ্যে। কালরাত্রি ৭/৪০ গতে ৮/৫৯ মধ্যে। 
৪ জেল্কদ।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
ইউরো কাপ: হাঙ্গেরি ০ পর্তুগাল ৩ (ফুলটাইম)

11:28:00 PM

ইউরো কাপ: হাঙ্গেরি ০ পর্তুগাল ০ (হাফটাইম)

10:28:19 PM

যে এলাকায় সংক্রমণ বেশি সেখানে কড়াকড়ি করতে হবে, নির্দেশ রাজ্য প্রশাসনের 
যে এলাকায় সংক্রমণ বেশি সেখানে কড়াকড়ি করতে হবে। আজ, মঙ্গলবার ...বিশদ

07:51:00 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরপ্রদেশে আক্রান্ত ৩৪০, মৃত ৫৭ 

07:39:36 PM

বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতীয় দলে কে কে রয়েছেন, জানুন 
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য আজ, মঙ্গলবার ভারতীয় দল ঘোষণা ...বিশদ

07:23:31 PM

করোনা: গত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরাখণ্ডে আক্রান্ত ২৭৪, মৃত ১৮ 

07:22:21 PM