Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

বন্ধুত্বের রং 

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন বুবুন চট্টোপাধ্যায়।

 ২১ 

তখন কলেজ কাল। একটু-একটু করে এ শহরের এদিক, ওদিক করার স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়েছি। না নিয়ে উপায় কী! আমি কোনওদিনই ঘরমুখো, বইমুখো ভালো মেয়ে ছিলাম না। সারা শহর জুড়ে আমার বন্ধুরা। আর সারাদিন জুড়ে শীতের রোদের মতো বন্ধুত্বের ওম্। এক-একজনের কাছে এক-একরকম প্রয়োজন। এক-একরকম অঙ্গীকার। সেই বয়সের প্রয়োজন মানে আসলে তো শালিকের মতো রোদ খুঁটে খাওয়া। আর অপ্রয়োজনে কিচিরমিচির করা। এখন ফিরে তাকালে মনে হয় মেঘ না করলে বুঝতেই পারতাম না এত রোদ ছিল জীবনে ।
সেই কলেজবেলায় আমার একটি অভ্যাস গড়ে উঠেছিল। হাতে সময় থাকলেই আমি নির্দিষ্ট গন্তব্যের দু’স্টপ আগে বাস থেকে নেমে পড়তাম। তারপর হাঁটতাম। ওই হাঁটাটা আসলে ছিল আমার নিজস্ব অন্তর-বাহিরকে এক করে নেওয়ার চেষ্টা। কত লোক, কত চরিত্র, কত ভঙ্গিমাকে মনের মধ্যে টুকে নেওয়া। এই দেখার মধ্যে আমার কেমন নেশা ধরে গিয়েছিল। এর ফলে প্রায়শই বাবা-মাকে আত্মীয়-বন্ধুরা বলতেন, ‘সন্ধেবেলা ওইখানে তোমার মেয়ে...’ আত্মীয়- স্বজন প্রয়োজনের তুলনায় একটু বেশি আঁশটে গন্ধ খোঁজেন। কাজেই আমার মা- বাবা ওসব বিশেষ ধর্তব্যের মধ্যে নিতেন না। আমিও বিন্দাস ঘুরে বেড়াতাম সারা শহরময়। একদিন তো কলেজেই ঠিক করে সেই রাত্তিরেই রাঁচি রওনা হলাম। বন্ধুর দিদির বাড়ি। সেইসময় টেলিফোন অত সহজলভ্য ছিল না। বৃষ্টি মাথায় করে ছুটলাম ডালহৌসি। বাবার অফিস। পারমিশন নিতে হবে। পেয়েও গেলাম। এখনকার বাবা-মায়েরা এসব ভাবতেই পারেন না। ভাবেন বখে যাবে। ছেলেমেয়েদের সোনার শিকলে বেঁধে রাখেন। আরে বখে যেতে গেলে মস্তিষ্কের একটি বিশেষ প্যাটার্ন লাগে। দমও লাগে। প্রতিভাও লাগে। আমাদের মতো ডাল, ভাত খাওয়া বাঙালি মধ্যবিত্তের বেশিরভাগেরই সে সাহস ছিল না। দিনশেষে বেশিরভাগেরই ‘বাবার হোটেল’টা খুব নিশ্চিন্ত জায়গা ছিল।
এই এলোমেলো ঘুরে বেড়ানো আমাকে অনেককিছু দিয়েছে। জীবনের প্রতিটি পরতের রং আমাকে চুবিয়ে দিয়েছে। সে পড়ন্ত বিকেলের একা হয়ে যাওয়ার রংই হোক অথবা বন্ধুত্বের, ভালোবাসার দুধে-আলতাই হোক। আমি ডুবে ছিলাম। ডুবুরির মতো। ডুবুরি যেমন ডুব দেয় মুক্তোর খোঁজে। নিজের ভেতরে এক অনন্ত মনোলগ চলত। একবার তারাতলা থেকে বাস ধরে একা, একা চলে গিয়েছিলাম বজবজ। গঙ্গার ধারে। আমার এক বন্ধুর মারফত শুনেছিলাম গঙ্গার ধারটি নাকি স্বর্গীয়। শহরের মধ্যেই শহরের ইটকাঠ ভুলে থাকার এক অবিস্মরণীয় ভুবন। খুব দেখার সাধ হল। বাস থেকে নেমে ভ্যানরিকশ চেপে যখন গঙ্গার ধারে পৌঁছলাম। আহা! তখন পৃথিবীটা এতটা কালো ছিল না। এত অভাব, হিংসে, অকারণ ব্যক্তিজীবনে উঁকিঝুকি ছিল না। কাজেই আমাদের ছেলেবেলায় হাত বাড়ালেই নরম মোমের মতো উষ্ণ ভালোবাসাও ছিল। এইসব মুক্তোর খোঁজেই আমার মুক্তি ছিল। তখন সময়ও মনে হতো অফুরন্ত। সহজে ফুরোবে না। এখনকার মতো কৃপণ হয়ে যায়নি। সবসময় পালাই, পালাই ভাব।
তা একবার হয়েছে কী! আমার ইস্কুলের বন্ধুর বিয়ে। বন্ধুদের বিয়ে শুরু হওয়ার প্রাক্কালে ওই বিয়ে। স্বভাবতই উত্তেজনা একটু বেশি। তার উপর কচি বয়স। বন্ধুর বিয়ে নিয়ে অনাবশ্যক গুজগুজ, ফুসফুস। পরমা শুধু আমার স্কুলেরই বন্ধু নয়। পাড়ারও মেয়ে। সেহেতু নেমতন্ন কবে আসবে ভাবছি। ওমা! সব বন্ধুদের নিমন্ত্রণ হয়ে গেল। আজ পরমার ‘আই বুড়ো ভাত’। বাবা, মাও যারপরনাই বিস্মিত। অপমানিত। আমাকে মা চুপি চুপি জিজ্ঞেস করলেন, ‘ঝগড়া করেছিলি নাকি?’ আমি বললাম, ‘না। একবার আমি, স্বর্ণালী, ঈশিতা মিলে গরমের ছুটিতে ফিস্টের জন্য দশ টাকা চাঁদা চাইতে গিয়েছিলাম। অনেকদিন ঘোরানোর পর পরমা বলেছিল, চেক দিলে হবে? তখন হেব্বি মাথাটা গরম হয়ে গিয়েছিল। বলেছিলাম, দিবি না বললেই হতো!’ মা কী বুঝলেন জানি না। আমাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য সারদা মায়ের মতো বলেছিলেন, ‘এসব মনে রাখতে নেই। তাহলে জীবনের চলার পথটা ছোট হয়ে যায়।’ মায়ের কথা শুনে আমার মনে হয়েছিল, মনে হয়তো রাখব না। কারণ পরমা আমার সেরকম প্রাণের বন্ধু কেউ নয়। কিন্তু ওই বয়সে অভিজ্ঞতা কম। তাই ছোট, ছোট ঘটনাই খুব মনে লাগে আর কী! কী আর করা! একটা বন্ধুর কাছে যদি অপ্রত্যাশিত হই। দশটা বন্ধুর কাছে আমার অবারিত দ্বার। আজও। তবু ওই বয়সের মায়া! বন্ধুদের দুঃখ, কষ্ট, আনন্দ সবই যেন মনে হতো এর চেয়ে সর্বোত্তম আর কিছু নেই। জীবনের কাছে, যাপনের কাছে এর চেয়ে স্বাদু আর কিছু ছিল না তখন। এখনও নেই। যদিও পরতে, পরতে রং বদলে গিয়েছে। আরও দায়, দায়িত্ব, কর্তব্য, সমাজ মান্যতা প্রয়োজন মতো আমাদের মস্তিষ্কের এক-একটি কম্পার্টমেন্টে বসিয়ে নিতে হয়েছে সুবিধা মতো। তখন প্রয়োজনটাই বড় ছিল। সুবিধার মধ্যে কেমন একটা পচা, স্বার্থের গন্ধ ছিল।
আজ পরমার বিয়ে। ওই তো তারাতলার ‘টবের বাড়িতে’। বন্ধুরা সবাই অবাক। এরকম করতে পারল! তখন বিকেল। পাঁচটা, সাড়ে পাঁচটা। বাড়ি ফিরছি। আমার স্বভাব মতো দু’স্টপ আগে নেমেও পরেছি। যেতে, যেতে রাস্তায় টবের বাড়ি। লোকজনের ব্যস্ততা। গেট সাজানো চলছে। হঠাৎ মাথায় কী ভূত চাপল। সটান ঢুকে পড়লাম। ভাগ্যিস বিয়েবাড়িতে গেটপাস হয় না। গিয়ে একতলার একটি ঘরে দেখলাম পরমাকে ওর আত্মীয়-স্বজন সাজাচ্ছেন। পরমা একটা লাল ভেলভেট দেওয়া ডেকরেটার্সদের বোকা, বোকা চেয়ারে বসে আছে। আমাকে দেখে ভূত দেখার মতো চমকে উঠল। আমি কোনও কথা না বলে ওর রুজ, পাউডার মাখা গালে একটা আঙুল ছুঁয়ে বললাম, ‘যা! এসব কেউ মাখে!’ ব্যস! তারপরে পরের রাস্তাটা যেন উড়তে, উড়তে গেলাম। এত্ত স্যাটিস হল। কী বলব।
এই গল্পটা শুনে আমার বন্ধুরা হেসে খুন। আমারও সেই বয়সের সব অভিমান, অপমান হেমন্তের আকাশে মিলিয়ে গিয়েছিল।
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল 
22nd  November, 2020
আনলাকি শার্ট
প্রদীপ আচার্য

তিনটে মানে ঘড়ি ধরে ঠিক তিনটে। রিনি এসে ক্যাব থেকে নামল। মোহরকুঞ্জের সামনে প্রায় মিনিট কুড়ি আগেই এসে দাঁড়িয়েছে অর্জুন। রিনির কড়া হুকুম, ‘আমার দেরি হোক, তুমি দেরি করবে না।’ না। দেরি করেছে অর্জুন, এমন হয়নি কখনও। আর এখন তো দেরি করার প্রশ্নই ওঠে না। লকডাউন উঠে গিয়ে আনলকের পালা। পায়ের বেড়ি কিছুটা আলগা হতেই রিনির ফোনে হুকুমজারি, ‘খুব জরুরি দেখা করো।’ বিশদ

29th  November, 2020
 আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- প্রথম কিস্তি। বিশদ

29th  November, 2020
সময় ঘড়ি

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত। বিশদ

29th  November, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- শেষ কিস্তি। 
বিশদ

22nd  November, 2020
স্বর সন্ধান
বিজলি চক্রবর্তী 

তরতর করে লিফ্ট নীচে নেমে এল। যত তাড়াতাড়ি লিফ্ট ওপরে তোলে তত তাড়াতাড়িই নীচে নামিয়ে আনে। বেসরকারি অফিস। ঠাঁটবাটের অভাব নেই। এই ধরনের সংস্থায় চাকরি পাওয়া সহজ নয়। কিন্তু চাকরি চলে যাওয়া সহজ। চাকরি চলে যাওয়ার কারণটা অনেক সময় খুব স্পষ্ট থাকে না। স্পষ্ট হলেও করবার কিছু থাকে না। সেই কারণে সবাই কিছুটা তটস্থই থাকে। অন্যত্র চাকরি খোঁজার চেষ্টা জারি রাখে। বেটার কোনও অপশন পেলে চলেও যায়। 
বিশদ

22nd  November, 2020
আজও তারা জ্বলে 

 বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- দশম কিস্তি। বিশদ

15th  November, 2020
আমরি বাঙাল ভাষা

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন ঋতা বসু।  বিশদ

15th  November, 2020
ভৈরবঘণ্টের ভবলীলা
তরুণ চক্রবর্তী

অমাবস্যার নিশুতি রাত, গভীর জঙ্গলে রাত আরও কালি ঢালা। সকাল থেকেই অসময়ের বৃষ্টি কখনও ঝিরঝিরে, কখনও প্রবল হয়ে ঝরেই চলেছে। ঘন জঙ্গলের মধ্যেও এক এক জায়গায় ক’টা চালাঘর। কঞ্চির ওপর মাটি লেপে দেওয়া ঘরগুলোয় চণ্ডালদের বাস। বুনো জানোয়ার আর মানুষের আশ্চর্য এক সহাবস্থান এখানে। বাগে পেলে অবশ্য কেউই কাউকে ছাড়ে না।
বিশদ

15th  November, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- নবম কিস্তি।  বিশদ

08th  November, 2020
চলার পথে
হ স্তা ক্ষ র 

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন গৌর বৈরাগী।  বিশদ

08th  November, 2020
চাঁদনি
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

এখন পলাশের মাস। তাই ফাগুনে আগুন। তবে সে আগুন মনে নয়, বনে। রঙের আগুন। দিগন্তজোড়া বনে পাহাড়ে শিমুল ও পলাশ লালে লাল। দু’চোখ ভরে সেদিকে তাকালে মনভ্রমরা গুনগুনিয়ে ওঠে। একেবারে নিশিভোরে জনতা এক্সপ্রেস থেকে জশিডিতে নেমেই তমালও কেমন যেন উদাস হয়ে গেল।  বিশদ

08th  November, 2020
জিলাবি

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন চিরঞ্জয় চক্রবর্তী। বিশদ

01st  November, 2020
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- অষ্টম কিস্তি। বিশদ

01st  November, 2020
স্মৃতির সরণী বেয়ে
সায়ন্তনী বসু চৌধুরী

সদ্য পাটভাঙা ধবধবে সাদা শাড়ির মতো কুয়াশার আস্তরণটা একটু একটু করে সরছে। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আড়মোড়া ভাঙতে ভাঙতে শুভ্র দেখল ব্লু কোরাল ব্লকের একটা বাচ্চা নাইটস্যুট পরে দরজায় দাঁড়িয়ে মুখভর্তি কুয়াশা টেনে নিয়ে হাঁ করে করে ধোঁয়া ছাড়ছে। আর কচি হাত দুটো দু’পাশে ছড়িয়ে ব্যস্ত পাখির ডানা ঝাপটানোর মতো একটা ভঙ্গি করছে। বিশদ

01st  November, 2020
একনজরে
পরিবার পরিকল্পনার অধিকাংশ সূচকে দেশে এক নম্বরে বাংলা। কেন্দ্রীয় সরকারের অক্টোবর মাসের তথ্য থেকে একথা জানা গিয়েছে। এই সূচকগুলির মধ্যে গর্ভনিরোধক ওষুধ বা পিল থেকে শুরু করে বন্ধ্যাত্বকরণ, মেয়েদের আইইউসিডি থেকে শুরু করে ছেলেদের নিরোধ ব্যবহার— অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেশে শীর্ষে ...

কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে কুৎসামূলক প্রচার নিয়ে এবার বিজেপি’র এক উগ্র সমর্থকের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিসে অভিযোগ দায়ের হল। মঙ্গলবার শেক্সপিয়র সরণী থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেন প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর ছেলে তথা দলের সাধারণ সম্পাদক রোহন মিত্র। ...

উম-পুন পরবর্তী ক্ষতিপূরণে দুর্নীতির যাবতীয় অভিযোগের তদন্ত করবে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ক্যাগ)। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল বি রাধাকৃষ্ণাণ ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার তিন মাসের মধ্যে তদন্তসাপেক্ষে ক্যাগকে রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছে। ...

গত এক মাসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সহায়ক মূল্যে ৬ কোটি ৩৭ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার ধান কেনা হয়েছে। গত ২ নভেম্বর থেকে রাজ্যজুড়ে সহায়ক মূল্যে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায়  সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো
১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু
১৯৮৮: পাকিস্তানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হলেন বেনজির ভুট্টো
১৯৮৯: ভারতের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী হলেন ভিপিসিং 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.১৭ টাকা ৭৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ৯৭.২১ টাকা ১০০.৬৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৬ টাকা ৯০.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৯৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,৪৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭,১৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬০,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া ৩০/৪৪ সন্ধ্যা ৬/২৩। মৃগশিরা নক্ষত্র ১১/২২ দিবা ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৪/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/২৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/২৯ গতে ৮/১২ মধ্যে পুনঃ ১০/২১ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৮/২০ গতে ৩/২৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ গতে ৭/২৯ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ৩/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৫ গতে ১০/৫ মধ্যে পুনঃ ১১/২৬ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৫ গতে ৪/২৫ মধ্যে। 
 ১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া সন্ধ্যা ৫/৪। মৃগশিরা নক্ষত্র দিবা ১০/২৪। সূর্যোদয় ৬/৬, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১০/২৮ গতে ১২/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৬/৩৬ মধ্যে ও ৮/২৫ গতে ৩/৩২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৬ গতে ৭/৩৮ মধ্যে ও ১/১৭ গতে ৩/২৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪৬ গতে ১০/৭ মধ্যে ও ১১/২৭ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৬ গতে ৪/২৬ মধ্যে। 
১৬ রবিয়ল সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। বৃষ: নানা উপায়ে অর্থপ্রাপ্তির সুযোগ। ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
  ১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো ১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস ...বিশদ

04:28:18 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদ ও জামশেদপুরের ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র

09:33:58 PM

জিএসটি ফাঁকি: কলকাতা সহ রাজ্যের ১০৪টি ময়দা মিলে হানা আধিকারিকদের

06:29:00 PM

তৃতীয় একদিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩ রানে জয়ী ভারত

05:15:15 PM

কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ: টিকা নিতে নাইসেডে ফিরহাদ হাকিম

04:15:35 PM