Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

চলার পথে
হ স্তা ক্ষ র 

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন গৌর বৈরাগী।
ঘটনাটা আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগের। তখন যোগাযোগের মাধ্যম ছিল চিঠি। নির্ভরতা ছিল ভারতীয় ডাক ব্যবস্থার ওপর। সাধারণ মানুষের মধ্যে খবর আদান-প্রদানে ছিল একমাত্র অশোকস্তম্ভ ছাপ মারা পোস্টকার্ড। এই নিয়ে কত যে গল্প আছে। অতদিন আগে গ্রামগঞ্জ কিংবা আধা শহরে অক্ষর পরিচয় হওয়া মানুষের সংখ্যা খুব বেশি ছিল না। আমাদের বাড়ির পাশেই ছিল নিশিকান্ত কাকার বাড়ি। বাঁকুড়ার গ্রাম থেকে এই শহরে এসেছিল চটকলে কাজ করতে। নিরক্ষর মানুষ। বাঁকুড়ায় বড় একটা যাওয়াও হতো না। মাঝে মাঝে গ্রাম থেকে চিঠি আসত। সেই চিঠি আবার আমাকেই পড়ে শোনাতে হতো। গ্রামের একমাত্র স্কুলের একমাত্র শিক্ষককে দিয়ে লেখানো চিঠি, মায়ের জবানিতে...
‘পরম কল্যাণীয় বাবা নিশিকান্ত। অনেকদিন তোমার কোন খবর নেই। আশা করি ঈশ্বরেচ্ছায় তুমি কুশলে আছো। এ বছর উত্তর মাঠে ধান ভালো হইয়াছে। এবার পূজায় অবশ্য অবশ্য এক মাসের ছুটি লইয়া আসিবে। পত্র পাঠ মাত্র উত্তর দিবে...’ ইত্যাদি ইত্যাদি।
চিঠির জবাবটি নিশিকান্ত কাকার জবানিতে আমাকেই লিখতে হতো। কিন্তু ‘এবার পুজোয় তার বাড়িতে না যেতে পারার কষ্ট, মাকে বোনকে বহুদিন দেখা হয় নাই বলিয়া মন খারাপ—এইসব আমাকেই লিখে পাঠাতে হতো বাঁকুড়ায়। নিশিকান্ত কাকা হয়ে আমি তার মাকে শতকোটি প্রণাম জানাতাম।
সেসব দিনে পোস্ট কার্ডে এমন কত যে কথার আদান-প্রদান হতো। বুক ভরা আশীর্বাদ, শতকোটি প্রণাম, স্বজনের মৃত্যু সংবাদ, বুধির একটা নৈ বাছুর হওয়ার খবর— এরকম কত মন কেমন করা স্মৃতি সকলেরই কমবেশি জমা হয়ে আছে মনে। এর সঙ্গে কিছু মজার স্মৃতি নেই যে তা নয়।
সব সময় চিঠি লেখার জন্য যে প্রাথমিক ইস্কুলের শিক্ষক পাওয়া যেত তা নয়। তেমন তেমন সময় অনেক ক্ষেত্রে চিঠির বিষয়বস্তু উদ্ধার করতে মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হতো। এই প্রসঙ্গে হস্তাক্ষর নিয়ে কিছু বলার কথা মাথায় আসে। ভালো হস্তাক্ষরের কদর চিরকালই বেশি। আবার ভালো সুছাঁদ লেখা পাওয়াই ছিল বেশ দুষ্কর। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যেত দুর্বোধ্য হস্তাক্ষর। সেসব লেখার মর্মোদ্ধার করা প্রায় অসম্ভব হতো। আসলে তখন লেখালেখির ঢল ছিল না বললেই চলে। আলেকালে এক-আধখানা পোস্টকার্ড— তার ফলে হতো কী, চর্চা না থাকার ফলে সে লেখায় না থাকত ছিরি না থাকত ছাঁদ। মর্মোদ্ধার করার জন্য পত্র প্রাপকের উদ্ভাবনী শক্তির খুব দরকার হতো। এমন কালপর্বেই একটি ঘটনা।
আমার মা ছিলেন চিররুগ্ন। বড় একটা বাড়ি থেকে বেরবার সুযোগ হতো না। একবার প্রায় জোর করেই মেয়ের বাড়ি ক’টা দিনের জন্য গিয়েছিলেন। জায়গাটা খুব বেশি দূরে নয়। চন্দননগর থেকে বাঁশবেড়িয়া। দূরত্ব মোটে দশ-এগারো মাইল। ঘটনার শুরু সেখানেই। দিদির দেওর মহাদেবদা বেশ করিৎকর্মা মানুষ। বাঁশবেড়িয়া জুটমিলে মিল মেকানিক ডিপার্টমেন্ট মিস্ত্রি। আট ঘণ্টার বাঁধা কাজ। বাকি সময়ে তিনি একজন তান্ত্রিক। এই কাজে তাঁর বেশ নামডাক তখন। সেই কাজ পাকাপোক্ত করতেই বাড়িতে মন্দির করে শুরু করেছিলেন কালীপুজো। ভয়ের সঙ্গে ভক্তির মিশেলে মহাদেব মানুষটি তখন এলাকায় বেশ বিখ্যাত। হস্তরেখা বিচার, বশীকরণ, বাস্তুদোষ কাটানো ছাড়াও দুরারোগ্য ব্যাধিতে জড়ি-বুটি, তাগা-তাবিজ এমনকী রত্ন শুদ্ধি করে ধারণ করার নিদান দিতেন। এমন একজন নিকট আত্মীয় বাড়িতে থাকতে বিনা চিকিৎসায় মা কষ্ট পাবেন তা কী করে হয়।
সব শুনে-টুনে মহাদেবদা দুটি শুকনো লঙ্কা মায়ের হাতে দিয়ে বলেছিলেন। সামনের অমাবস্যার রাতে এই লঙ্কা দুটো পোড়াবেন। তারপর তার গন্ধ পেলেন কি না সেটা সঙ্গে সঙ্গে চিঠিতে জানাবেন।
এই পর্যন্ত ছিল ঘটনা। এরপর যেটা হয়েছিল সেটা দুর্ঘটনা। চারদিন বাদেই ছিল অমাবস্যা। ওই চারটে দিন বেশ উত্তেজনায় কেটেছিল আমাদের। লঙ্কা পোড়ার তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধে হাঁচি, কাশি, চোখে জল আসার ঘটনা স্বাভাবিক। চারদিন বাদে এই স্বাভাবিক ঘটনাটাই ঘটেছিল। অলৌকিক কিছু হয়নি। মা লঙ্কা পোড়ার গন্ধ পেলেন। ব্যাপারটা এত স্বাভাবিক, উত্তেজনা যেটা ছিল সেটাও থিতিয়ে গেল। তাই চিঠি দেওয়ার কথা ভুলে গেল সবাই। বেশ কিছুদিন বাদে এক দুপুরে কথাটা মনে পড়েছিল মায়ের। মহাদেবকে কথাটা জানানো হয়নি।
দুপুরবেলা আমরা সকলেই কাজেকর্মে। ছোটরা স্কুল-কলেজে আর বড়রা অফিস বা অন্য কাজে বাড়ির বাইরে। তখনই মনে পড়েছিল হরেনদাকে। মানুষটি কাজে কর্মে বেশ চৌখস। হাতে ফর্দ ধরিয়ে দিলে ঠিক ঠিক মুদিখানা চলে আসত বাড়িতে। অবেলায় কুটুম এসেছে এদিকে ঘরে মাছ নেই। তখন অগতির গতি ছিল হরেনদা। এহেন মানুষটিকে দিয়ে পাড়ার মা-মাসিরা চিঠিও লেখাত। হরেনদা না বলতেন না। তবে একটাই অসুবিধা হরেনদার হাতের লেখা। হস্তাক্ষর ছিল এমন বিখ্যাত যে তার মর্মোদ্ধার করার জন্য হরেনদাকেই প্রয়োজন হতো।
এদিকে পল্লির মা, মাসিরা সেদিন ছিলেন প্রায় অসহায়। এমন একটা কাজ স্কুল-কলেজ পড়ুয়াদের মোটেই পছন্দের নয়। কাজের মানুষদের আরও ব্যস্ততা। অতএব তখন নিরুপায় হয়ে অগতির গতি ছিল হরেনদাই। অনেক চিঠির লেখার অভিজ্ঞতায় হয়েছিল কী সূচনা আর উপসংহার মুখস্থ ছিল তার। শুধু মধ্যপর্বে লেখার ছিল মূল কথা। তো সেখানে হরেনদা লিখলেন, ‘মা গন্ধ পাইয়াছে।’
এরপর চ্যাপ্টার ক্লোজ হয়ে যাওয়ার কথা। কিন্তু হয়নি। দিন দশেক বাদে বেলা আটটা নাগাদ অফিস বেরচ্ছি সাইকেলে। দূর থেকে দেখি হন্তদন্ত হয়ে বড়দি আসছে। কেমন যেন উদ্‌ভ্রান্ত চেহারা, চোখের কোল যেন ভিজে। সাইকেল থেকে নেমে অবাক গলায় বললাম, কী খবর বড়দি! সব ভালো তো?
জবাব না দিয়ে বড়দি বলল, ‘তোরা কেমন আছিস।’ আমরা ভালো আছি। ঠিক আছে বাড়ি যাও। সন্ধ্যায় ফিরে কথা হবে! ট্রেন ধরতে হবে তাই আবার সাইকেলে উঠে পড়েছি। কিন্তু মনের মধ্যে কোথায় যেন একটা দ্বিধা।
সন্ধেবেলা বাড়ি ফিরে অবাক। সকাল থেকে শুরু হওয়া হাসির রেশ তখনও কাটেনি। আমাকে দেখে সেটা যেন আবার উথলে উঠল। তখনই জানা গেল হরেনদার লেখা পোস্টকার্ডে এবার মিসটেকটা ‘সিলি’ নয় ‘মেজর’। চিঠিতে ‘গন্ধ’ শব্দটি হরেনদার হস্তাক্ষরের দৌলতে গঙ্গা হয়ে গেছে। তার ফলে লেখা হয়েছে, ‘মা গঙ্গা পাইয়াছে।’
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল 
08th  November, 2020
আনলাকি শার্ট
প্রদীপ আচার্য

তিনটে মানে ঘড়ি ধরে ঠিক তিনটে। রিনি এসে ক্যাব থেকে নামল। মোহরকুঞ্জের সামনে প্রায় মিনিট কুড়ি আগেই এসে দাঁড়িয়েছে অর্জুন। রিনির কড়া হুকুম, ‘আমার দেরি হোক, তুমি দেরি করবে না।’ না। দেরি করেছে অর্জুন, এমন হয়নি কখনও। আর এখন তো দেরি করার প্রশ্নই ওঠে না। লকডাউন উঠে গিয়ে আনলকের পালা। পায়ের বেড়ি কিছুটা আলগা হতেই রিনির ফোনে হুকুমজারি, ‘খুব জরুরি দেখা করো।’ বিশদ

29th  November, 2020
 আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- প্রথম কিস্তি। বিশদ

29th  November, 2020
সময় ঘড়ি

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত। বিশদ

29th  November, 2020
বন্ধুত্বের রং 

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন বুবুন চট্টোপাধ্যায়।
বিশদ

22nd  November, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- শেষ কিস্তি। 
বিশদ

22nd  November, 2020
স্বর সন্ধান
বিজলি চক্রবর্তী 

তরতর করে লিফ্ট নীচে নেমে এল। যত তাড়াতাড়ি লিফ্ট ওপরে তোলে তত তাড়াতাড়িই নীচে নামিয়ে আনে। বেসরকারি অফিস। ঠাঁটবাটের অভাব নেই। এই ধরনের সংস্থায় চাকরি পাওয়া সহজ নয়। কিন্তু চাকরি চলে যাওয়া সহজ। চাকরি চলে যাওয়ার কারণটা অনেক সময় খুব স্পষ্ট থাকে না। স্পষ্ট হলেও করবার কিছু থাকে না। সেই কারণে সবাই কিছুটা তটস্থই থাকে। অন্যত্র চাকরি খোঁজার চেষ্টা জারি রাখে। বেটার কোনও অপশন পেলে চলেও যায়। 
বিশদ

22nd  November, 2020
আজও তারা জ্বলে 

 বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- দশম কিস্তি। বিশদ

15th  November, 2020
আমরি বাঙাল ভাষা

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন ঋতা বসু।  বিশদ

15th  November, 2020
ভৈরবঘণ্টের ভবলীলা
তরুণ চক্রবর্তী

অমাবস্যার নিশুতি রাত, গভীর জঙ্গলে রাত আরও কালি ঢালা। সকাল থেকেই অসময়ের বৃষ্টি কখনও ঝিরঝিরে, কখনও প্রবল হয়ে ঝরেই চলেছে। ঘন জঙ্গলের মধ্যেও এক এক জায়গায় ক’টা চালাঘর। কঞ্চির ওপর মাটি লেপে দেওয়া ঘরগুলোয় চণ্ডালদের বাস। বুনো জানোয়ার আর মানুষের আশ্চর্য এক সহাবস্থান এখানে। বাগে পেলে অবশ্য কেউই কাউকে ছাড়ে না।
বিশদ

15th  November, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- নবম কিস্তি।  বিশদ

08th  November, 2020
চাঁদনি
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

এখন পলাশের মাস। তাই ফাগুনে আগুন। তবে সে আগুন মনে নয়, বনে। রঙের আগুন। দিগন্তজোড়া বনে পাহাড়ে শিমুল ও পলাশ লালে লাল। দু’চোখ ভরে সেদিকে তাকালে মনভ্রমরা গুনগুনিয়ে ওঠে। একেবারে নিশিভোরে জনতা এক্সপ্রেস থেকে জশিডিতে নেমেই তমালও কেমন যেন উদাস হয়ে গেল।  বিশদ

08th  November, 2020
জিলাবি

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন চিরঞ্জয় চক্রবর্তী। বিশদ

01st  November, 2020
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- অষ্টম কিস্তি। বিশদ

01st  November, 2020
স্মৃতির সরণী বেয়ে
সায়ন্তনী বসু চৌধুরী

সদ্য পাটভাঙা ধবধবে সাদা শাড়ির মতো কুয়াশার আস্তরণটা একটু একটু করে সরছে। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আড়মোড়া ভাঙতে ভাঙতে শুভ্র দেখল ব্লু কোরাল ব্লকের একটা বাচ্চা নাইটস্যুট পরে দরজায় দাঁড়িয়ে মুখভর্তি কুয়াশা টেনে নিয়ে হাঁ করে করে ধোঁয়া ছাড়ছে। আর কচি হাত দুটো দু’পাশে ছড়িয়ে ব্যস্ত পাখির ডানা ঝাপটানোর মতো একটা ভঙ্গি করছে। বিশদ

01st  November, 2020
একনজরে
সাখির (বাহরিন): গত সাতদিনে তিনবার কোভিড টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ এল ফর্মুলা-ওয়ান তারকা লুইস হ্যামিলটনের। যার জেরে আসন্ন সাখির গ্রাঁ প্রি’তে অংশ নিতে পারবেন না সাতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন রেসারটি। মঙ্গলবারই মার্সিডিজ-এএমজি পেট্রোনাস এফওয়ান দলের পক্ষ থেকে হ্যামিলটনের করোনায় আক্রান্তের খবর প্রকাশ্যে আনা ...

কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে কুৎসামূলক প্রচার নিয়ে এবার বিজেপি’র এক উগ্র সমর্থকের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিসে অভিযোগ দায়ের হল। মঙ্গলবার শেক্সপিয়র সরণী থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেন প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর ছেলে তথা দলের সাধারণ সম্পাদক রোহন মিত্র। ...

গত এক মাসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সহায়ক মূল্যে ৬ কোটি ৩৭ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার ধান কেনা হয়েছে। গত ২ নভেম্বর থেকে রাজ্যজুড়ে সহায়ক মূল্যে ...

পরিবার পরিকল্পনার অধিকাংশ সূচকে দেশে এক নম্বরে বাংলা। কেন্দ্রীয় সরকারের অক্টোবর মাসের তথ্য থেকে একথা জানা গিয়েছে। এই সূচকগুলির মধ্যে গর্ভনিরোধক ওষুধ বা পিল থেকে শুরু করে বন্ধ্যাত্বকরণ, মেয়েদের আইইউসিডি থেকে শুরু করে ছেলেদের নিরোধ ব্যবহার— অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেশে শীর্ষে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায়  সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো
১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু
১৯৮৮: পাকিস্তানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হলেন বেনজির ভুট্টো
১৯৮৯: ভারতের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী হলেন ভিপিসিং 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.১৭ টাকা ৭৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ৯৭.২১ টাকা ১০০.৬৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৬ টাকা ৯০.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৯৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,৪৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭,১৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬০,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া ৩০/৪৪ সন্ধ্যা ৬/২৩। মৃগশিরা নক্ষত্র ১১/২২ দিবা ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৪/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/২৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/২৯ গতে ৮/১২ মধ্যে পুনঃ ১০/২১ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৮/২০ গতে ৩/২৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ গতে ৭/২৯ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ৩/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৫ গতে ১০/৫ মধ্যে পুনঃ ১১/২৬ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৫ গতে ৪/২৫ মধ্যে। 
 ১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া সন্ধ্যা ৫/৪। মৃগশিরা নক্ষত্র দিবা ১০/২৪। সূর্যোদয় ৬/৬, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১০/২৮ গতে ১২/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৬/৩৬ মধ্যে ও ৮/২৫ গতে ৩/৩২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৬ গতে ৭/৩৮ মধ্যে ও ১/১৭ গতে ৩/২৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪৬ গতে ১০/৭ মধ্যে ও ১১/২৭ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৬ গতে ৪/২৬ মধ্যে। 
১৬ রবিয়ল সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। বৃষ: নানা উপায়ে অর্থপ্রাপ্তির সুযোগ। ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
  ১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো ১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস ...বিশদ

04:28:18 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদ ও জামশেদপুরের ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র

09:33:58 PM

জিএসটি ফাঁকি: কলকাতা সহ রাজ্যের ১০৪টি ময়দা মিলে হানা আধিকারিকদের

06:29:00 PM

তৃতীয় একদিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩ রানে জয়ী ভারত

05:15:15 PM

কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ: টিকা নিতে নাইসেডে ফিরহাদ হাকিম

04:15:35 PM