সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
উম-পুন পরবর্তী ক্ষতিপূরণ প্রসঙ্গে পাঁচটি জনস্বার্থ মামলা হয়। একসঙ্গে যাবতীয় অভিযোগ বিবেচনা করে বেঞ্চ মনে করেছে, অভিযোগের ধরন ও রকম খতিয়ে দেখার জন্য ক্যাগই উপযুক্ত। তাই এই মামলায় স্বশাসিত এই সংস্থাকে যুক্ত করা হয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, উম-পুনে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ্য ছাড়াও অন্য রাজ্যের জন্য প্রকল্প এনেছিল। কিন্তু, মামলাকারীরা অভিযোগ করেছেন যে, বেআইনিভাবে পছন্দের লোকজনকে ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য সরকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য যেসব বিধিনিয়ম বলেছিল, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা মানা হয়নি। বস্তুত, এক্ষেত্রে কোনও স্বচ্ছতাই রাখা হয়নি। তথ্য জানার অধিকার অনুযায়ীও কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে কারা ক্ষতিপূরণ পেল, জানা যাচ্ছে না। অথচ, বিপুল সংখ্যক মানুষ উম-পুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েও এখন পর্যন্ত কিছুই পাননি।
বেঞ্চের অভিমত, এমন অভিযোগের তদন্ত করার সাংবিধানিক ছাড়াও প্রশাসনিক ও আইনগত ক্ষমতা আছে ক্যাগের। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রক্রিয়ায় যুক্তদের কাজের সামগ্রিক আর্থিক লেনদেনের মূল্যায়নও করবে ক্যাগ। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের মতে, যে বা যাঁরা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজে যুক্ত ছিলেন, তাঁদের কাজের মূল্যায়নও এর ফলে সম্পন্ন হবে। বেঞ্চ জানিয়েছে, এই দুই রকমের অডিটের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করা যাবে। বিশেষত যাঁদের কাজে ত্রুটি মিলবে, তাঁদের সম্পর্কে। ক্যাগকে এই বিপুল কাজের জন্য প্রয়োজনে যেকোনও ব্যক্তি বা পক্ষকে ডাকার ছাড়পত্র দিয়েছে বেঞ্চ। যাতে বিষয়টির অর্থপূর্ণ ফল মেলে। বেঞ্চ চায়, ক্ষতিপূরণের জন্য দেওয়া সরকারি অর্থের কোনও অপচয় না হয়। আদালত জানিয়েছে, তদন্ত চালাতে গিয়ে কোনও প্রশ্ন দেখা দিলে ক্যাগ যেকোনও সময় বেঞ্চের কাছে ব্যাখ্যা চাইতে পারবে। মামলাকারীদের অভিযোগ ছিল, রাজ্য সরকারের ওয়েবসাইটে উম-পুন ক্ষতিগ্রস্তদের যে তালিকা দেখানো হয়েছে, তা প্রকৃত চিত্র নয়। ক্যাগকে এই অভিযোগও খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে। ওদিকে এক মামলাকারীর সওয়ালের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত বলেছে, তদন্ত চলাকালীন উম-পুন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ চালিয়ে যেতে হবে।