সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
এই প্রকল্পের অনুমোদন আগেই হয়ে গিয়েছে। এছাড়া অনলাইনে টেন্ডার প্রক্রিয়াও ইতিমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, মালদহ জেলার মধ্যে কোনও পঞ্চায়েতের উদ্যোগে এই প্রথম ওয়াটার এটিএম বসছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হয়ে যাবে।
কেমন করে মিলবে এই জল? পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মেশিনে কয়েন ঢোকালে জল পাওয়া যাবে। তবে কত টাকার কয়েন দিলে কত লিটার জল পাওয়া যাবে, তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি। মেশিন বসানোর পর উদ্বোধনের আগে তা ঠিক করা হবে। প্রাথমিক ভাবে তাঁরা ভেবে রেখেছেন, দু’টাকার কয়েন ফেললে মিলবে এক লিটার পরিশ্রুত পানীয় জল।
গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান রাজীব দাগা বলেন, ওয়াটার এটিএম বসানোর পরিকল্পনা আমাদের অনেক দিন আগে থেকেই ছিল। এবার সেটা বাস্তবায়িত হচ্ছে। মালদহ জেলায় আমাদের এখানেই প্রথম পঞ্চায়েতের উদ্যোগে এই মেশিন বসবে। এর আগে আর কোনও পঞ্চায়েতে এই কাজ হয়নি। সাড়ে ১১ লক্ষ টাকা এর জন্য ব্যয় হবে। টেন্ডার অনলাইনে হয়েছে। খুব দ্রুত কাজ শুরু হয়ে যাবে। তবে একদম বিনামূল্যে জল মিলবে না। সেজন্য সামান্য অর্থ দিতে হবে। কারণ মেশিনটি চালাতে বিদ্যুৎ খরচ হয়। সেই বিদ্যুতের বিলের খরচ রয়েছে। দূর থেকে যেসব যাত্রীরা স্ট্যান্ডে আসেন, তাঁদের সুবিধার জন্যই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও উপকার পাবেন।
হবিবপুর আইটিআইয়ের পড়ুয়া পিঙ্কি মণ্ডল ইংলিশবাজার শহরের বাসিন্দা। তিনি বলেন, শহর থেকে এত দূরে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়তে যাই। যাতায়াতের সময় মাঝপথে জলের প্রয়োজন পড়লে বাধ্য হয়েই পরিশ্রুত পানীয় জলের বোতল কিনতে হয়। সেই জল কিনতে অনেক টাকা লাগে। যদি বুলবুলচণ্ডী বাস স্ট্যান্ডে এমন ওয়াটার এটিএম পরিষেবা চালু হয়ে যায়, তবে আমার মতো আরও অনেকেই সস্তায় ও সহজে পরিশুদ্ধ পানীয় জল পেয়ে যাব। সঙ্গে খালি বোতল থাকলেই জল ভরে নিতে পারব। বহু পড়ুয়া থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ, সকলেই উপকৃত হবেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুলবুলচণ্ডীর ওই বাস স্ট্যান্ডটি থেকে দিনভর বহু যাত্রী বাসে ওঠানামা করেন। এছাড়া বিভিন্ন কাজে প্রতিদিন সংলগ্ন এলাকায় যাতায়াত করেন কয়েক হাজার বাসিন্দা। জনবহুল ওই এলাকায় এধরনের ওয়াটার এটিএম বসানো হলে সকলেরই কাজে লাগবে। তাই এই ওয়াটার এটিএম বসানোর উদ্যোগকে এলাকার মানুষ, বিশেষ করে নিত্যযাত্রীরা সাধুবাদ জানিয়েছেন। প্রতীকী চিত্র