Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

লড়াই এবার নেমে এসেছে রণভূমিতে
সন্দীপন বিশ্বাস

লড়াইটা এবার সত্যিই শুরু হয়ে গেল। এতদিন পর্যন্ত ভোটযুদ্ধ জিতে গিয়েছে ধরে নিয়ে বিজেপি শুধু হুঙ্কার ছাড়ত, ক্ষমতায় এলে ঠ্যাং ভাঙব, মেরে তাড়াব, সব পার্টি অফিস জ্বালিয়ে দেব ইত্যাদি ইত্যাদি। কিন্তু লড়াইটা এবার আর শুধু হুঙ্কারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রইল না। তা প্রকারান্তরে রণভূমিতে নেমে এসেছে এবং এই লড়াইটা শুরু হয়ে গেল ‘তৃণমূলের শুভেন্দু অধিকারীর’ বিদ্রোহ ঘোষণার মধ্য দিয়ে। আর কয়েকমাস পরেই এরাজ্যের নির্বাচন। এখনই প্রত্যক্ষ লড়াই শুরু না হলে, আর কবে হবে! বিজেপি নেতৃত্ব অন্য রাজ্যের মতোই এখানেও মোদিজিকে মুখ করে অবিলম্বে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে। একটা-দু’টো বিশিষ্ট মুখ খুঁজতে এবং এই রাজ্যে বিজয়পতাকা ওড়ানোর জন্য ঢালাও প্যাকেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এক একটাকে টোপ হিসাবে ঝুলিয়ে দিয়ে উদার আহ্বান জানানো হচ্ছে, ‘এসো এসো আমার ঘরে এসো, আমার ঘরে।’ অনেকেই এখন পড়িমরি করে সব আদর্শ আর উন্নয়নের কথা ভুলে গেরুয়া পতাকা ধরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বিজেপিরও আর ঝাড়াই বাছাইয়ের সময় নেই। যা পারো, গোডাউনে ভরো। সুতরাং কয়েকদিনের মধ্যেই তৃণমূলের কিছু নেতা দলের তীব্র সমালোচনা করে, মোদির জয়গান গেয়ে এই রাজ্যাটাকে বাঁচানোর দায়িত্বের কথা বলে গেরুয়া পতাকাতলে হয়তো ভিড়বেন। অনেকেই এখন আবার গেরুয়ার নব আনন্দে জাগতে বাধ্য হবেন। এই সব দলবদলুদের দেখে দেখে আর তাঁদের আদর্শের কপচানি শুনে শুনে আমাদেরও চোখকান সব পচে গিয়েছে। 
তৃণমূল আর বিজেপির এবারের লড়াইয়ে সিপিএম-কংগ্রেস জোটের অবস্থা অনেকটা দুধুভাতুর মতো। যা দু’একটা কুড়িয়ে বাড়িয়ে আসবে, তাতেই তাদের সন্তুষ্ট থাকতে হবে। এখন তাদের অবস্থান অনেকটাই স্পষ্ট হয়েছে। প্রকারান্তরে তারা হাত মিলিয়ে নেমেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জব্দ করতে। তাতে অন্য কারও লাভ হলেও তাদের কোনও আপত্তি নেই। কংগ্রেস এবং সিপিএম এরাজ্যে পরস্পরকে খড়কুটো ভেবে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চাইছে।  কিন্তু তারা বুঝতে চাইছে না, এরাজ্যে তাদের অক্সিজেন জোগান দেওয়ার মতো কোনও শক্তি নেই। বরং তারা নিজেদের নাক কেটে অন্যের যাত্রাভঙ্গ করতে আসরে নেমেছে। এবারের নির্বাচনে মমতার যাত্রাভঙ্গ করাই তাদের মূল লক্ষ্য। কেননা এখানে তাদের যেটুকু ভোট রয়েছে, তাতে তারা ভোট কেটে সুবিধা করে দিতে পারে বিজেপির। কিছুদিন আগে বিশিষ্ট সিপিআইএমএল নেতা দীপঙ্কর ভট্টাচার্য এরাজ্যে এসে বলে গিয়েছেন, এরাজ্যের সিপিএম ভুল করছে। যেখানে বিজেপিকে এক নম্বর শত্রু হিসাবে টার্গেট করা উচিত ছিল, সেখানে তাদের এক নম্বর টার্গেট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতে সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে বিজেপি। কিন্তু এরাজ্যের সিপিএম নেতাদের নাবালকত্ব কবে ঘুচবে কে জানে! 
এরাজ্যে গত লোকসভার ভোটের হিসেবটার দিকে নজর দিলে কয়েকটা জিনিস কিন্তু পরিষ্কার হয়ে যাবে। ২০১৪ সালের থেকে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে তৃণমূলের ভোট বেড়েছিল ৩.৪৮ শতাংশ। আসন কমলেও বেড়েছিল ভোট। তাহলে বিজেপির অত আসন পাওয়ার রহস্য কোথায়? কেননা সিপিএমের ভোটেই বিজেপি এখানে ১৮টি আসন জয় করেছিল। বিজেপি গত লোকসভা নির্বাচনে ভোট পেয়েছিল ৪০.৬৪ শতাংশ। তাদের ভোট বেড়েছিল ২২.২৫ শতাংশ। এবার একবার সিপিএম এবং কংগ্রেসের ভোটের দিকে নজর দেওয়া যাক। তাহলেই অঙ্কটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। সিপিএম ভোট পেয়েছিল ৬.৩৪ শতাংশ। তাদের ভোট কমেছিল ১৬.৭২ শতাংশ। অর্থাৎ সিপিএমের তথাকথিত ‘কমরেডমনস্ক’ বলে প্রচারিত ‘কমিটেড ভোট’ ঢুকে গিয়েছিল বিজেপির বাক্সে। আর কংগ্রেস পেয়েছিল ৫.৬৭ শতাংশ ভোট। তাদের ভোট কমেছে ৪.০৯ শতাংশ। এই দু’টি ভোট যোগ করলে দাঁড়ায় ২০.৮১ শতাংশ। তাহলে বোঝাই যাচ্ছে, কাদের ভোট গোপনে গোপনে এরাজ্যে বিজেপিকে বিশাল এক জায়গা করে দিতে প্রয়াসী হয়েছে। তৃণমূলের যে ৩.৪৮ শতাংশ ভোট বেড়েছে, সেই ভোট হল নতুন ভোটার, তরুণ প্রজন্মের ভোটার। সুতরাং চোখকান খোলা রাখলেই বোঝা যাবে, কে কাকে তলে তলে সাহায্য করে মমতাকে টাইট দিতে চাইছেন। পাগলের গো-বধে আনন্দ কথাটা তো একেবারে মিথ্যা নয়! 
বিজেপির বিহারে কৌশলের কথা মনে আছে তো? কীভাবে বিহারের মুসলিম ভোট কাটার জন্য তারা মাঠে নামিয়েছিল আসাদুদ্দিন ওয়াইসির এআইএমআইএমকে। ওয়াইসি সেখানে পাঁচটি আসন পেয়েছেন বটে, কিন্তু তাঁরা মহাগঠবন্ধনের ভোট কাটতে পারেননি। উল্টে নীতীশকুমারের ভোটব্যাঙ্কের মুসলিম ভোট কেটে অন্যদিক থেকে বিজেপিকে তারা অক্সিজেন দিয়েছিল। বিজেপি মুসলিমদের প্রতি যতই কমপ্লেক্সে ভুগুক না কেন, ভোটে জেতার কূটকৌশলে তাদের সাহায্য নিতে ছাড়ে না। এই বাংলাতেও ভোটের আগে ওয়াইসির পার্টিকে টেনে এনে মমতার মুসলিম ভোটব্যাঙ্কের মজবুত ভিতটাকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। অথবা বিজেপি সেই কাজের জন্য তাকিয়ে থাকবে কংগ্রেস-সিপিএম জোটের দিকে। বিজেপির খুব আশা, ওই জোট হয়তো মমতার মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক থেকে ভোট কেটে তাদের সুবিধা করে দিতে পারবে। তবে সিপিএম-কংগ্রেস মমতার বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দাগায় মুচকি হাসছেন বিজেপি নেতারা। আড়ালে বলছেন, সাবাশ। সারা দেশে যে কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করছে, এখানে কিন্তু লড়াইয়ের ময়দানে পরোক্ষভাবে তারা বিজেপির হাতকেই শক্ত করতে চাইছে। কিছু নেতার ব্যক্তিগত উষ্মা থেকেই কংগ্রেসের এই বিভ্রান্তি। 
এখানে আর একটা তথ্য পরিবেশন করা যেতে পারে। সেটা হল ২০১৯ সালে ওড়িশা বিধানসভা ও লোকসভার ফল। এই রাজ্যের পরিপ্রেক্ষিতে এই বিশ্লেষণ অত্যন্ত জরুরি। বিগত লোকসভা ভোটের ফল দেখে এখানে বিজেপির প্রত্যাশা বেড়েছে। তাই এই সময়ে একবার ওড়িশার দিকে তাকানো যেতে পারে। ওড়িশায় নির্বাচন কভার করতে গিয়ে দেখেছিলাম একই মানুষের ভিন্নমত। একই সঙ্গে তাঁরা ভোট দিতে যাচ্ছেন। লোকসভার ভোট বিজেপিকে অনেকে দিলেও বিধানসভার ভোটে তাঁরা কিন্তু নবীন পট্টনায়েকের প্রতি আস্থা রেখেছিলেন। কোনও অ্যান্টি-ইনকাম্বেন্সি ফ্যাক্টর সেখানে কাজ করেনি। লোকসভা ভোটে সেখানে বিজেপি পেয়েছিল ৮টি আসন। আগের লোকসভা ভোটে তারা পেয়েছিল ১টি মাত্র আসন। গত লোকসভা ভোটে নবীনের দলের ভোট কমেছিল ১.৩ শতাংশ। দেখা গেল বিধানসভা ভোটে সেই ভোট নবীনের অটুট। বিজেপি লোকসভায় পেয়েছিল ৩৮.৪ শতাংশ ভোট। বিধানসভায় তাদের ভোট কিন্তু কমে হল ৩২.৪৯ শতাংশ। মনে রাখা দরকার, ভোট কিন্তু হয়েছিল একইসঙ্গে। সুতরাং লোকসভা ভোটের সঙ্গে সবসময় বিধানসভা ভোটের তথ্যকে মেলানো উচিত নয়।    
নন্দীগ্রামও এবার হয়ে উঠছে ভোটের ইস্যু। নন্দীগ্রামের লড়াইটাকে আজ যদি কেউ একক লড়াই বলে সব ঝোলটুক টেনে সুবিধাভোগের চেষ্টা করেন, সেটা অত্যন্ত ভুল হবে। সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের লড়াই ছিল একটা রক্তচক্ষু, বাহুবলী, উদ্ধত শাসকের ভুল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মানুষের সম্মিলিত লড়াই। সেই লড়াইটার সেদিন নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ইতিহাস কোনওভাবেই মুছে ফেলা যাবে না। গায়ে গেরুয়া পতাকা জড়িয়ে আজ যদি কেউ দাবি করেন, নন্দীগ্রাম তাঁরই আন্দোলনের ফসল,তবে মানুষ তার তীব্র প্রতিবাদ করবেন। একটা অগ্নিগর্ভ সময়ের মধ্য থেকে মমতার হাত ধরে একটা স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলনের নামই ছিল সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম। এই আন্দোলন তৈরি করা যায় না। এই আন্দোলন তৈরি হয়ে যায়। আগুনের পাকে পাকে লেখা হয়ে যায় ইতিহাস। সেই আন্দোলনের মুখ হয়ে ওঠেন একজন। এক্ষেত্রে তিনি ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাকিরা সকলেই ছিলেন দ্বিতীয় সারির সৈনিক। 
এরাজ্যের একটা পরম্পরা আছে, শিক্ষার জোর আছে, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য আছে, রাজনৈতিক সচেতনতা আছে। তার সঙ্গে কোনওভাবেই বিজেপির সংস্কৃতি এবং বৌদ্ধিক ঐতিহ্য মেলে না। এটা অবশ্যই ঠিক, এরাজ্যে যত দিন গিয়েছে, ততই অবাঙালি জনগণের সংখ্যা বেড়েছে। আসলে আমাদের সংস্কৃতি সব সময়ই দিবে আর নিবে মিলাবে মিলিবে, যাবে না ফিরে। তাই যে কেউ এরাজ্যে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে এখানে কোনও আন্দোলন হয়নি। সকলেই নিরুপদ্রবে থেকেছেন। অন্য রাজ্যে কিন্তু অমুক খেদাও তমুক খেদাও আন্দোলন হয়েছে। আসলে বিভেদের মধ্য দিয়ে রাজনীতির কুশিক্ষা বাঙালি সম্ভবত কোনওদিন শেখেনি। আজ যেন এরাজ্যে বিজেপি মন্থরার মতো ঢুকে পড়ছে। যে কুমন্ত্রণার কারণে একদিন রামচন্দ্রকে সোনার অযোধ্যা ছেড়ে বনবাসে যেতে হয়েছিল। সোনার অযোধ্যা ছারখার হয়ে গিয়েছিল। আজ মানুষের সঙ্গে মানুষের বিভেদ সৃষ্টি করে বিজেপি অনেকটা সেই মন্থরার ভূমিকায় অবতীর্ণ। সুতরাং বাংলার সাংস্কৃতিক উত্তরাধিকারকে রক্ষা করাই এবারের ভোটে প্রধান ইস্যু।
প্রতিষ্ঠানের থেকে বড় কেউ নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 

প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। যার নেপথ্যে রয়েছে সংগ্রামী অতীত। তাকে কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। বিশদ

01st  December, 2020
ধীর পায়ে পিছনে সরে আসা
পি চিদম্বরম

রাজতন্ত্রের যুগে ভারত মুক্ত বাণিজ্যকে গ্রহণ করেছিল, নতুন নতুন বাজার দখল করেছিল এবং ভারতের ভিতরেই অনেক জাতির সম্পদের বৃদ্ধি ঘটিয়েছিল। আমরা সেই সমৃদ্ধ উত্তরাধিকারের যুগে ফিরে যেতে পারি। কিন্তু ভয় পাচ্ছি এই ভেবে যে, গৃহীত নীতি নিম্ন বৃদ্ধির দিনগুলিতে আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।  বিশদ

30th  November, 2020
আবার ঐতিহাসিক
ভুলের পথে বামপন্থীরা
হিমাংশু সিংহ

দীর্ঘ চারদশক সিপিএমের মিছিলে হেঁটে খগেন মুর্মু আজ বিজেপির এমপি। কী বলবেন, বিচ্যুতি না সংশোধন! ২০১৪’র লোকসভা ভোটে মথুরাপুরের বাম প্রার্থী রিঙ্কু নস্কর সম্প্রতি গেরুয়া দলে যোগ দিয়েছেন। নেতৃত্বের উপর আস্থা হারিয়ে নাকি স্রেফ আখের গোছাতে, আমরা জানি না! সম্ভবত আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থীও হবেন। বিশদ

29th  November, 2020
দলবদলেই শুদ্ধিকরণ
তন্ময় মল্লিক

অনেকেই ঠাট্টা করে বলছেন, যার সঙ্গে চটে তার সঙ্গেই পটে, কথাটা বোধহয় বিজেপির জন্যই খাটে। যাঁদের সঙ্গে খটাখটি হয়েছে তাঁদেরই বিজেপি দলে টেনে নিয়েছে। বিশদ

28th  November, 2020
দেশের একমাত্র মহিলা
মুখ্যমন্ত্রী হয়ে থাকার লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

৩৪টি রাজ্যে মাত্র একটি রাজ্যে ক্ষমতায় আসীন নারী মুখ্যমন্ত্রী, সেটা যথেষ্ট কৌতূহলোদ্দীপক। সুতরাং সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গিতেও আগ্রহটি তীব্র হয় যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি এই নারী ক্ষমতায়নের একমাত্র কেল্লাটি ধরে রাখতে সমর্থ হবেন?  বিশদ

27th  November, 2020
এই ধর্মঘটের লক্ষ্য
মমতা, মোদি নয়
হারাধন চৌধুরী

আজ বাংলাজুড়ে বিজেপির এই যে শ্রীবৃদ্ধি, এর পিছনে নিজেদের অবদানের কথা বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা অস্বীকার করবেন কী করে? অস্বীকার তাঁরা করতেই পারেন। রাজনীতির কারবারিরা কত কথাই তো বলেন। বিশদ

26th  November, 2020
লাভ জেহাদ: বিজেপির
একটি রাজনৈতিক অস্ত্র
সন্দীপন বিশ্বাস

আসলে এদেশে হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান কেউই খতরে মে নেই। যখন নেতাদের কুর্সি খতরে মে থাকে, তখনই ধর্মীয় বিভেদকে অস্ত্র করে, সীমান্ত সমস্যা খুঁচিয়ে তার মধ্য থেকে গদি বাঁচানোর অপকৌশল চাগাড় দিয়ে ওঠে। বিশদ

25th  November, 2020
ওবামার ‘প্রতিশ্রুতি’ এবং
বিতর্কের রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

২০১৬ সালে ভারত সফরে এসে বারাক ওবামা সরব হয়েছিলেন ধর্মান্তরকরণ, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে...। মোদির সামনেই। কাজেই এরপরের অধ্যায় নিয়ে তিনি যদি কলম ধরেন, বিজেপিকে স্বস্তিতে রাখার মতো পরিস্থিতি হয়তো তৈরি হবে না। বিশদ

24th  November, 2020
বিকাশ না গরিমা,
সংস্কার কী জন্য?
পি চিদম্বরম

কিছু কারণে ড. পানাগড়িয়া জোড়াতাপ্পির জিএসটি-টাকে প্রাপ্য গুরুত্ব দেননি এবং বিপর্যয় ঘটাল যে ডিমানিটাইজেশন বা নোট বাতিল কাণ্ড সেটাকেও তিনি চেপে গেলেন। বিশদ

23rd  November, 2020
ভোটের আগে দিল্লির
এই খেলাটা বড় চেনা
হিমাংশু সিংহ

 দিলীপবাবুরা জানেন, সোজা পথে এখনও পশ্চিমবঙ্গ দখল কোনওভাবেই সম্ভব নয়। আর তা বুঝেই একদিকে পুরোদমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার শুরু হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি কাজ করছে তৃণমূলকেই ছলে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দেওয়ার কৌশল। বিশদ

22nd  November, 2020
মমতা বিরোধিতাই
যখন রাজনীতির লক্ষ্য
তন্ময় মল্লিক

বামেদের ধারণা, মমতা তৃণমূল না গড়লে তারা আরও অনেকদিন রাজ্যপাট চালিয়ে যেত। তাদের চোখে মমতা ‘জাতশত্রু’। সেই কারণেই বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক, ফ্যাসিস্ট সহ নানা চোখা চোখা বিশেষণে ভূষিত করলেও মমতা বিন্দুমাত্র সুবিধা পান, এমন কাজ তাঁরা কিছুতেই করেন না। বিশদ

21st  November, 2020
বাইডেন জমানা, ইমরানের অস্বস্তি
মৃণালকান্তি দাস

পাকিস্তান জন্মের পর তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী দেশটির নাম আমেরিকা। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধে পাকিস্তানকে পাশে পেতেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ওয়াশিংটন। ভারতকে বাদ দিয়ে পাকিস্তানকে কেন কাছে টেনেছিল আমেরিকা? 
বিশদ

20th  November, 2020
একনজরে
সীমান্তে পাচার রুখতে আরও কঠোর হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত বরাবর কোথাও যেন কাঁটাতারবিহীন এলাকা না থাকে, তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দুই দেশের সীমান্তের মধ্যে কাঁটাতার নেই মালদহের যে সব সীমান্তে, ...

উম-পুন পরবর্তী ক্ষতিপূরণে দুর্নীতির যাবতীয় অভিযোগের তদন্ত করবে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ক্যাগ)। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল বি রাধাকৃষ্ণাণ ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার তিন মাসের মধ্যে তদন্তসাপেক্ষে ক্যাগকে রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছে। ...

সাখির (বাহরিন): গত সাতদিনে তিনবার কোভিড টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ এল ফর্মুলা-ওয়ান তারকা লুইস হ্যামিলটনের। যার জেরে আসন্ন সাখির গ্রাঁ প্রি’তে অংশ নিতে পারবেন না সাতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন রেসারটি। মঙ্গলবারই মার্সিডিজ-এএমজি পেট্রোনাস এফওয়ান দলের পক্ষ থেকে হ্যামিলটনের করোনায় আক্রান্তের খবর প্রকাশ্যে আনা ...

পরিবার পরিকল্পনার অধিকাংশ সূচকে দেশে এক নম্বরে বাংলা। কেন্দ্রীয় সরকারের অক্টোবর মাসের তথ্য থেকে একথা জানা গিয়েছে। এই সূচকগুলির মধ্যে গর্ভনিরোধক ওষুধ বা পিল থেকে শুরু করে বন্ধ্যাত্বকরণ, মেয়েদের আইইউসিডি থেকে শুরু করে ছেলেদের নিরোধ ব্যবহার— অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেশে শীর্ষে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায়  সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো
১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু
১৯৮৮: পাকিস্তানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হলেন বেনজির ভুট্টো
১৯৮৯: ভারতের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী হলেন ভিপিসিং 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.১৭ টাকা ৭৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ৯৭.২১ টাকা ১০০.৬৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৬ টাকা ৯০.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৯৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,৪৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭,১৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬০,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া ৩০/৪৪ সন্ধ্যা ৬/২৩। মৃগশিরা নক্ষত্র ১১/২২ দিবা ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৪/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/২৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/২৯ গতে ৮/১২ মধ্যে পুনঃ ১০/২১ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৮/২০ গতে ৩/২৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ গতে ৭/২৯ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ৩/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৫ গতে ১০/৫ মধ্যে পুনঃ ১১/২৬ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৫ গতে ৪/২৫ মধ্যে। 
 ১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া সন্ধ্যা ৫/৪। মৃগশিরা নক্ষত্র দিবা ১০/২৪। সূর্যোদয় ৬/৬, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১০/২৮ গতে ১২/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৬/৩৬ মধ্যে ও ৮/২৫ গতে ৩/৩২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৬ গতে ৭/৩৮ মধ্যে ও ১/১৭ গতে ৩/২৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪৬ গতে ১০/৭ মধ্যে ও ১১/২৭ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৬ গতে ৪/২৬ মধ্যে। 
১৬ রবিয়ল সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। বৃষ: নানা উপায়ে অর্থপ্রাপ্তির সুযোগ। ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
  ১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো ১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস ...বিশদ

04:28:18 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদ ও জামশেদপুরের ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র

09:33:58 PM

জিএসটি ফাঁকি: কলকাতা সহ রাজ্যের ১০৪টি ময়দা মিলে হানা আধিকারিকদের

06:29:00 PM

তৃতীয় একদিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩ রানে জয়ী ভারত

05:15:15 PM

কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ: টিকা নিতে নাইসেডে ফিরহাদ হাকিম

04:15:35 PM