সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
এদিন আশিসবাবু ও নিরঞ্জনবাবু দু’জনকেই দীর্ঘক্ষণ তাঁদের ভবিষ্যৎ পন্থা নিয়ে শলাপরামর্শ করতে দেখা গিয়েছে। নিরঞ্জনবাবুর দাবি অনুসারে, সোমবার জেলা কমিটির বৈঠকে আশিস দত্ত ও মোহন শর্মা বৈঠকে নেই কেন, এই প্রশ্ন তোলায় তাঁকে দল থেকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজ করার জন্য এটা কোনও ইস্যু হতে পারে না বলে দলের অন্দরে কানাঘুঁষো চলছে। দলের জেলা কমিটির প্রথম সারির ওই নেতাকে শোকজের ঘটনা অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। তাই ক্ষুব্ধ কেউ কেউ আবার নিরঞ্জনবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন।
মঙ্গলবার নিরঞ্জনবাবু বলেন, আশিস আমার অনেক পুরনো দিনের বন্ধু। আমরা দু’জনেই ১৯৯৮ সাল থেকে দল করছি। আমাকে শোকজ করার কোনও এক্তিয়ার জেলা নেতৃত্বের নেই। শোকজের চিঠি এখনও আমার হাতে আসেনি। ওই চিঠি পাওয়ার পর আমি আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানাব।
আলিপুরদুয়ার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান আশিসবাবু এদিন বলেন, নিরঞ্জন আমার বাড়িতে এসেছিল। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে দু’জনের মধ্যে অনেক কথা হয়েছে। সময় হলে সবটাই সকলে জানতে পারবেন। নিরঞ্জনবাবুর সঙ্গে দলবিরোধী কাজের অভিযোগে শোকজ করা হয়েছে তৃণমূলের ফালাকাটা ব্লক কমিটির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দাসকেও। মঙ্গলবার সঞ্জয়বাবু বলেন, খবরের কাগজে দেখেছি আমাকে শোকজ করা হয়েছে। আমি শোকজের কোনও চিঠি পাইনি। চিঠি এলে ভেবে দেখব। জেলা নেতৃত্ব এভাবে হুটহাট কাউকে কি শোকজ করতে পারে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন সঞ্জয়বাবুর অনুগামীরা।
ফালাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সঞ্জয়বাবু বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের পর দলীয় চুক্তি হয়েছিল, প্রথম দু’বছর সমিতির সভাপতি হবেন সুরেশ লালা। তারপর সমিতির সভাপতি করা হবে আমাকে। কিন্তু সুরেশবাবুর দু’বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও আমাকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি করা হয়নি। কেন করা হয়নি, এই প্রশ্ন তোলাতেই আমাকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজের চিঠি পাওয়ার পর তার জবাব দেব। এটা কোনও কারণই হতে পারে না।
এদিকে, জেলায় কান পাতলে শোনা যাচ্ছে সঞ্জয়বাবু নাকি বিজেপিতে যাচ্ছেন। ওঁর বাড়িতে নাকি বিজেপির এক জনপ্রতিনিধিও গিয়েছেন। যদিও এ প্রসঙ্গে সঞ্জয়বাবু বলেন, এসব সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। বিজেপির সঙ্গে আমার কোনওরকম সম্পর্ক নেই। আমার অনুগামীদের সঙ্গে কথা বলে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেব, ভবিষ্যতে কী করব।
দুই নেতার শোকজের চিঠি না পাওয়ার দাবি ও সঞ্জয়বাবুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি না হওয়ার বিষয়ে জানতে এদিন দলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামীকে একাধিকবার টেলিফোন করা হয়। কিন্তু মৃদুলবাবু ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তাঁর কোনও বক্তব্য মেলেনি।
দলের ফালাকাটা ব্লক সভাপতি সুভাষ রায় অবশ্য বলেন, এটা ঠিক যে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিয়ে দলীয় চুক্তি হয়েছিল। কিন্তু দলবিরোধী নানা কাজের জন্য দল সঞ্জয়বাবুকে শোকজ করেছে। এর বেশি কিছু আমি বলতে পারব না। নিজস্ব চিত্র