Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ধীর পায়ে পিছনে সরে আসা
পি চিদম্বরম

কিছুদিন আগে প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা (সিইএ) বলেছিলেন, ‘‘২০২০-২১ সালে ভারতে কারেন্ট অ্যাকাউন্ট সারপ্লাস বা উদ্বৃত্ত হতে পারে।’’ তিনি আরও উল্লেখ করলেন যে প্রথম ত্রৈমাসিকে (এপ্রিল-জুন ২০২০) ‘‘আমাদের ১৯.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার উদ্বৃত্ত ছিল এবং পরবর্তী ত্রৈমাসিকগুলিতে যদি এই পারফর্ম্যান্স ধরে রাখা না যায় তবুও আমাদের কারেন্ট অ্যাকাউন্ট সারপ্লাস রয়ে যাবে বলে মনে হয়।’’ 
সিইএ ব্যাপারটিকে ‘আন্ডার হিটিং’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন। তার অর্থ চাহিদা উধাও হয়ে গিয়েছে এবং সরকারের তথাকথিত স্টিমুলাস প্যাকেজগুলিও (যা নগণ্য ও দিশাহীন) অন্তত চাহিদা বাড়িয়ে পূর্বের জায়গায় নিয়ে যেতে ব্যর্থ হয়েছে। চাহিদা পরিমাপের একটি ভালো দিক হল তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলির প্ল্যান্ট লোড ফ্যাক্টর। শক্তিমন্ত্রীর মতে, ২০২০-২১ সালে এটি মাত্র ৫৬.৫ শতাংশ স্পর্শ করবে। ‘আন্ডার হিটিং’ সত্ত্বেও মূল্য সূচকের পরিবর্তন (রিটেল ইনফ্লেশন) ৭.৬১ শতাংশে পৌঁছেছিল এবং   নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যের পাইকারি মূল্য সূচক (ফুড ইনফ্লেশন) বেড়ে হয়েছিল ১১.০৭ শতাংশ, যার ফলে গরিব মানুষের ঘাড়ে ভয়ানক আর্থিক বোঝা চেপে গিয়েছিল। 
চ্যালেঞ্জের মুখে চাকরি
কৃষি হল আশার আলো। ২০২০-তে রবি শস্যের ব্যাপক ফলন হয়েছে। খাদ্যশস্য উঠেছে ১৪৮ মিলিয়ন টন। এবছর খারিফ শস্যও ফলেছে প্রচুর—১৪৪ মিলিয়ন টন। এবছর ট্রাক্টরের বিক্রি বেড়েছে ৯ শতাংশ। ফাস্ট মুভিং কনজিউমার গুডস কোম্পানিজ (এফএমসিজি) অনুসারে জানানো যায় যে, শহরাঞ্চলের চেয়ে গ্রামাঞ্চলে চাহিদা ভালো রয়েছে। তবু গ্রামাঞ্চলে মজুরি হার বৃদ্ধির কোনও লক্ষণ নেই। 
সুতরাং অর্থনীতির ছবিটা যা দেখা যাচ্ছে তা ভালো-মন্দ মিশিয়ে। তার মধ্যে ভালোর চেয়ে খারাপটাই বেশি। বৃহত্তর দিক থেকে অর্থনীতির মূল্যায়নে বিকৃতি কিন্তু কাম্য নয়। সার্বিক দিক থেকে অর্থনীতির হাল খারাপ। নীতি  নির্ধারণে দিশার অভাব রয়েছে। অর্থনীতির হাল ফেরানোর ব্যাপারে যেসব দাবি করা হচ্ছে, সোজা কথায়, তা অতিরঞ্জিত। মূল দু’টি লক্ষণ হল—মানুষের চাকরি এবং মজুরি/আয়ের হালচাল কী।  
সরকারি পরিসংখ্যান যতক্ষণ না পাওয়া যাচ্ছে ততক্ষণ সিএমআইই-র তথ্যের উপরেই নজর রাখতে হচ্ছে। সিএমআইই-র হিসেবে, হালফিল বেকারত্বের হার হল ৬.৬৮ শতাংশ। একই সঙ্গে দেখে নেওয়া যাক ‘লেবার পার্টিসিপেশন রেট’ (১৬-৬৪ বছরের ভিতরে যাঁরা তাঁদেরকে কর্মক্ষম জনসংখ্যার মধ্যে ধরা হয়। এই জনসংখ্যার প্রতি ১০০ জনের মধ্যে যাঁরা চাকরি করছেন বা চাকরি খুঁজছেন তাঁদেরকে ধরা হয় এলপিআর) কেমন? মাত্র ৪১ শতাংশ, যা হতাশ করে। আর ফিমেল লেবার পার্টিসিপেশন রেট আরও হতাশাজনক—২৫ শতাংশ। প্রতি ১০০ জন চাকুরের মধ্যে মহিলা মাত্র ১১ জন। কিন্তু কাজ হারানো প্রতি ১১ জনের মধ্যে ৪ জন হলেন নারী। সেপ্টেম্বর ২০১৯ থেকে সেপ্টেম্বর ২০২০-র মধ্যে ভারতের ১১-১২ মিলিয়ন মানুষ লেবার ফোর্স থেকে ছিটকে গিয়েছেন। 
ধনীদের প্রতি পক্ষপাত 
অর্থনীতির ‘আন্ডার-হিটিং’ পরিস্থিতি ‘ওভার-হিটিং’-এর মতোই খারাপ। যখন ওভার-হিটিং ঘটে তখন ইনফ্লেশন বা মুদ্রাস্ফীতি দেখা দেয়। সুদের হার বেড়ে যায়। তাতে চাহিদা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শিল্প-বাণিজ্য সংস্থাগুলো উৎপাদন বাড়াতে আগ্রহী হয়। এইসময় যদি বাজারগুলো ঠিকঠাক চলে এবং সংশোধনের উপায়গুলো নেওয়া হয়, তাহলে কিন্তু চাহিদা ও জোগানের মধ্যে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠিত হয়। কিন্তু ‘আন্ডার হিটিং’ ভারতের সামনে একটা নতুন চ্যালেঞ্জ। এটা এমন একটা বিষয়, যেটা মোকাবিলা করার পক্ষে মোদি সরকারকে অক্ষম বলেই মনে হয়। তার কারণ এই সরকারের গরিবদের পাশে দাঁড়ানোর থেকে কর্পোরেটদের লাই দেওয়ার ঝোঁকটা বেশি। এই প্রসঙ্গে একটা উদাহরণ দিতে পারি যে, কর ছাড়ের নামে কর্পোরেটদেরকে ১ লক্ষ ৪৫ হাজার কোটি টাকার ‘বোনানজা’ দেওয়া হয়েছে। অথচ এই টাকাটা গরিবদের বিনামূল্যে রেশনের জন্য খরচ করা উচিত ছিল, অথবা তাঁদের মধ্যে ক্যাশ ট্রান্সফার বা নগদ হস্তান্তর করা যেত। কর্পোরেটরা এই পড়ে পাওয়া চোদ্দো আনা দিয়ে তাদের ধারদেনা মিটিয়েছে এবং ‘ক্যাশ হোল্ডিং’টাকে মজবুত করে নিয়েছে। তারা এর দরুন নতুন কোনও বিনিয়োগ করেনি। কিন্তু টাকা পেলে গরিব মানুষগুলোকে অনাহারের জ্বালা সইতে হতো না—তিন মাস যাবৎ প্রতি সপ্তাহের কয়েক দিন করে তাদের যে কষ্টটা করতে হয়েছিল। এই টাকা পেলে তারা খাবার, দুধ, ওষুধ এবং অন্যকিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস এবং পরিষেবা কিনতে পারত। তাতে করে সামগ্রিকভাবে চাহিদা অনেকটা বেড়ে যেত।
কারেন্ট অ্যাকাউন্টে সারপ্লাস ঘটার কারণ রপ্তানির অঙ্কটা আমদানিকে ছাপিয়ে গিয়েছে, যদিও ওই দু’টোই অতীতের মানদণ্ডে কমই। বাণিজ্য হ্রাসের ফল, কারেন্ট অ্যাকাউন্টে উদ্বৃত্ত এবং টাকা দামি হয়ে যাওয়ার (অ্যাপ্রিসিয়েটিং রুপি, অর্থাৎ মার্কিন ডলার কিনতে আগের চেয়ে কম পরিমাণ ভারতীয় মুদ্রার প্রয়োজন হলে) পরিণাম অর্থনীতির পক্ষে ভয়ানক হতে পারে। এই ঘটনার প্রধান বলি হয় চাকরি বা কাজের বাজার। এতে যে অদৃশ্য ‘ম্যাক্রো ইকনমিক এফেক্ট’ ঘটবে তার ফলে ভারতের সামান্য পুঁজিটাও বিদেশে লগ্নি হয়ে যাবে। ভাবুন কী ভয়ানক ব্যাপার—পুঁজি জোগাড়ের জন্য মরিয়া একটি উন্নয়নশীল দেশই, অন্য দেশে লগ্নির জন্য পুঁজি রপ্তানি করছে! এর ফলে, আমেরিকার ব্যবসায়ীরা অবশ্যই অতি সহজে প্রয়োজনীয় টাকা পেয়ে যাবে।
আত্মনির্ভরতা অথবা অর্থনৈতিক স্বয়ম্ভরতা
আমার গভীর বিশ্বাস যে ‘আত্মনির্ভর’-এর মস্তিষ্করা এই ধরনের ফলাফলের কথা ভাবেননি। যদি আত্মনির্ভর মানে হয় আত্মনির্ভরতার একটি মাত্রা, আমরা অবশ্যই সেটাকে স্বাগত জানাব। কিন্তু, পলিসি এবং প্র্যাকটিসের ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর-এর অর্থ যদি হয় প্রোটেকশনইজম বা সংরক্ষণবাদ, মুক্ত বাণিজ্যের বিরুদ্ধাচারণ, উচ্চ হারে বাণিজ্য শুল্ক, অর্থনৈতিক স্বয়ম্ভরতার নীতিগ্রহণ এবং লাইসেন্সপ্রথা, নিয়ন্ত্রণ, সালিশি ও বিবেচনার কানুন ফিরিয়ে আনা—তাহলে নিশ্চিতরূপে বিপর্যয় ডেকে আনা হবে। আমি আশা করব যে মোদিজি ট্রাম্পের থেকে বড় ট্রাম্প হবেন না। 
আমরা আজ এক অবাক পৃথিবীতে বাস করছি। এখানে কমিউনিস্ট চীনের প্রেসিডেন্ট মুক্ত বাণিজ্য ও বিশ্বায়নের পক্ষে উদ্বাহু হয়ে কীর্তন করছেন। অন্যদিকে, ধনতান্ত্রিক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাণিজ্য চুক্তি, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লুটিও), মুক্ত বাণিজ্য, জলবায়ুর পরিবর্তন এবং প্যারিস চুক্তি নিয়ে তির্যক ভাষায় কথা বলছেন! পৃথিবীটাতে কি উলট-পুরাণে প্রবেশ করল?
অর্থনীতিবিদ প্রফেসর রাজ কৃষ্ণ যেটাকে ‘হিন্দু রেট অফ গ্রোথ’ নাম দিয়েছিলেন তা থেকে বেরিয়ে আসতে ভারত তিরিশ বছর সময় নিয়েছিল। যদিও আমি মনে করি, প্রাচীন চোল এবং মৌর্য সাম্রাজ্যের হিন্দু রাজারা ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, বহির্বিশ্বের দিকে তাকাতেন তাঁরা এবং তাঁরা চীন, ইন্দোনেশিয়া ও রোম পর্যন্ত অর্থনীতির বিস্তার ঘটিয়েছিলেন। তাঁরা ছিলেন সত্যিকার বিশ্বায়নবাদী। তাঁদের আমলে বিশ্বের মোট উৎপাদনের (ওয়ার্ল্ড’স জিডিপি) ২৫ শতাংশ পর্যন্ত একা ভারতের ছিল। সেই রাজতন্ত্রের যুগে, যখন কোনও প্রশিক্ষিত অর্থনীতিবিদ ছিলেন না—ভারত কিন্তু তখন মুক্ত বাণিজ্যকে আন্তরিকভাবে গ্রহণ করেছিল, নতুন নতুন বাজার দখল করেছিল এবং ভারতের ভিতরেই অনেক জাতির সম্পদের বৃদ্ধি ঘটিয়েছিল। আমরা আমাদের সেই সমৃদ্ধ উত্তরাধিকারের যুগে ফিরে যেতে পারি। কিন্তু আমি ভয় পাচ্ছি এই ভেবে যে, গৃহীত নীতি লো গ্রোথ বা নিম্ন বৃদ্ধির দিনগুলিতে আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে। 
অক্সফোর্ড অর্থনীতি আমাদের হুঁশিয়ার করেছে যে, আগামী পাঁচ বছরে ভারতের ক্ষেত্রে গড় বৃদ্ধির হার ৪.৫ শতাংশ হতে পারে। এটা একটা ‘ওয়েক আপ কল’।  
লেখক সংসদ সদস্য ও ভারতের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী। মতামত ব্যক্তিগত
30th  November, 2020
লড়াই এবার নেমে এসেছে রণভূমিতে
সন্দীপন বিশ্বাস

সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের লড়াই ছিল একটা রক্তচক্ষু, বাহুবলী, উদ্ধত শাসকের ভুল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মানুষের সম্মিলিত লড়াই। সেই লড়াইটার সেদিন নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ইতিহাস কোনওভাবেই মুছে ফেলা যাবে না। বিশদ

প্রতিষ্ঠানের থেকে বড় কেউ নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 

প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। যার নেপথ্যে রয়েছে সংগ্রামী অতীত। তাকে কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। বিশদ

01st  December, 2020
আবার ঐতিহাসিক
ভুলের পথে বামপন্থীরা
হিমাংশু সিংহ

দীর্ঘ চারদশক সিপিএমের মিছিলে হেঁটে খগেন মুর্মু আজ বিজেপির এমপি। কী বলবেন, বিচ্যুতি না সংশোধন! ২০১৪’র লোকসভা ভোটে মথুরাপুরের বাম প্রার্থী রিঙ্কু নস্কর সম্প্রতি গেরুয়া দলে যোগ দিয়েছেন। নেতৃত্বের উপর আস্থা হারিয়ে নাকি স্রেফ আখের গোছাতে, আমরা জানি না! সম্ভবত আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থীও হবেন। বিশদ

29th  November, 2020
দলবদলেই শুদ্ধিকরণ
তন্ময় মল্লিক

অনেকেই ঠাট্টা করে বলছেন, যার সঙ্গে চটে তার সঙ্গেই পটে, কথাটা বোধহয় বিজেপির জন্যই খাটে। যাঁদের সঙ্গে খটাখটি হয়েছে তাঁদেরই বিজেপি দলে টেনে নিয়েছে। বিশদ

28th  November, 2020
দেশের একমাত্র মহিলা
মুখ্যমন্ত্রী হয়ে থাকার লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

৩৪টি রাজ্যে মাত্র একটি রাজ্যে ক্ষমতায় আসীন নারী মুখ্যমন্ত্রী, সেটা যথেষ্ট কৌতূহলোদ্দীপক। সুতরাং সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গিতেও আগ্রহটি তীব্র হয় যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি এই নারী ক্ষমতায়নের একমাত্র কেল্লাটি ধরে রাখতে সমর্থ হবেন?  বিশদ

27th  November, 2020
এই ধর্মঘটের লক্ষ্য
মমতা, মোদি নয়
হারাধন চৌধুরী

আজ বাংলাজুড়ে বিজেপির এই যে শ্রীবৃদ্ধি, এর পিছনে নিজেদের অবদানের কথা বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা অস্বীকার করবেন কী করে? অস্বীকার তাঁরা করতেই পারেন। রাজনীতির কারবারিরা কত কথাই তো বলেন। বিশদ

26th  November, 2020
লাভ জেহাদ: বিজেপির
একটি রাজনৈতিক অস্ত্র
সন্দীপন বিশ্বাস

আসলে এদেশে হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান কেউই খতরে মে নেই। যখন নেতাদের কুর্সি খতরে মে থাকে, তখনই ধর্মীয় বিভেদকে অস্ত্র করে, সীমান্ত সমস্যা খুঁচিয়ে তার মধ্য থেকে গদি বাঁচানোর অপকৌশল চাগাড় দিয়ে ওঠে। বিশদ

25th  November, 2020
ওবামার ‘প্রতিশ্রুতি’ এবং
বিতর্কের রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

২০১৬ সালে ভারত সফরে এসে বারাক ওবামা সরব হয়েছিলেন ধর্মান্তরকরণ, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে...। মোদির সামনেই। কাজেই এরপরের অধ্যায় নিয়ে তিনি যদি কলম ধরেন, বিজেপিকে স্বস্তিতে রাখার মতো পরিস্থিতি হয়তো তৈরি হবে না। বিশদ

24th  November, 2020
বিকাশ না গরিমা,
সংস্কার কী জন্য?
পি চিদম্বরম

কিছু কারণে ড. পানাগড়িয়া জোড়াতাপ্পির জিএসটি-টাকে প্রাপ্য গুরুত্ব দেননি এবং বিপর্যয় ঘটাল যে ডিমানিটাইজেশন বা নোট বাতিল কাণ্ড সেটাকেও তিনি চেপে গেলেন। বিশদ

23rd  November, 2020
ভোটের আগে দিল্লির
এই খেলাটা বড় চেনা
হিমাংশু সিংহ

 দিলীপবাবুরা জানেন, সোজা পথে এখনও পশ্চিমবঙ্গ দখল কোনওভাবেই সম্ভব নয়। আর তা বুঝেই একদিকে পুরোদমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার শুরু হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি কাজ করছে তৃণমূলকেই ছলে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দেওয়ার কৌশল। বিশদ

22nd  November, 2020
মমতা বিরোধিতাই
যখন রাজনীতির লক্ষ্য
তন্ময় মল্লিক

বামেদের ধারণা, মমতা তৃণমূল না গড়লে তারা আরও অনেকদিন রাজ্যপাট চালিয়ে যেত। তাদের চোখে মমতা ‘জাতশত্রু’। সেই কারণেই বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক, ফ্যাসিস্ট সহ নানা চোখা চোখা বিশেষণে ভূষিত করলেও মমতা বিন্দুমাত্র সুবিধা পান, এমন কাজ তাঁরা কিছুতেই করেন না। বিশদ

21st  November, 2020
বাইডেন জমানা, ইমরানের অস্বস্তি
মৃণালকান্তি দাস

পাকিস্তান জন্মের পর তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী দেশটির নাম আমেরিকা। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধে পাকিস্তানকে পাশে পেতেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ওয়াশিংটন। ভারতকে বাদ দিয়ে পাকিস্তানকে কেন কাছে টেনেছিল আমেরিকা? 
বিশদ

20th  November, 2020
একনজরে
কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে কুৎসামূলক প্রচার নিয়ে এবার বিজেপি’র এক উগ্র সমর্থকের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিসে অভিযোগ দায়ের হল। মঙ্গলবার শেক্সপিয়র সরণী থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেন প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর ছেলে তথা দলের সাধারণ সম্পাদক রোহন মিত্র। ...

পরিবার পরিকল্পনার অধিকাংশ সূচকে দেশে এক নম্বরে বাংলা। কেন্দ্রীয় সরকারের অক্টোবর মাসের তথ্য থেকে একথা জানা গিয়েছে। এই সূচকগুলির মধ্যে গর্ভনিরোধক ওষুধ বা পিল থেকে শুরু করে বন্ধ্যাত্বকরণ, মেয়েদের আইইউসিডি থেকে শুরু করে ছেলেদের নিরোধ ব্যবহার— অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেশে শীর্ষে ...

কৃষক বিক্ষোভের আঁচ ছড়াল দেশান্তরেও। কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বিক্ষোভরত ‘রোদে পোড়া, তামাটে’ মানুষগুলোর পরিবার ও বন্ধুদের জন্য চিন্তিত বলে জানিয়েছেন তিনি। ...

গত এক মাসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সহায়ক মূল্যে ৬ কোটি ৩৭ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার ধান কেনা হয়েছে। গত ২ নভেম্বর থেকে রাজ্যজুড়ে সহায়ক মূল্যে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায়  সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো
১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু
১৯৮৮: পাকিস্তানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হলেন বেনজির ভুট্টো
১৯৮৯: ভারতের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী হলেন ভিপিসিং 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.১৭ টাকা ৭৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ৯৭.২১ টাকা ১০০.৬৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৬ টাকা ৯০.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৯৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,৪৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭,১৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬০,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া ৩০/৪৪ সন্ধ্যা ৬/২৩। মৃগশিরা নক্ষত্র ১১/২২ দিবা ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৪/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/২৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/২৯ গতে ৮/১২ মধ্যে পুনঃ ১০/২১ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৮/২০ গতে ৩/২৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ গতে ৭/২৯ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ৩/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৫ গতে ১০/৫ মধ্যে পুনঃ ১১/২৬ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৫ গতে ৪/২৫ মধ্যে। 
 ১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া সন্ধ্যা ৫/৪। মৃগশিরা নক্ষত্র দিবা ১০/২৪। সূর্যোদয় ৬/৬, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১০/২৮ গতে ১২/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৬/৩৬ মধ্যে ও ৮/২৫ গতে ৩/৩২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৬ গতে ৭/৩৮ মধ্যে ও ১/১৭ গতে ৩/২৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪৬ গতে ১০/৭ মধ্যে ও ১১/২৭ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৬ গতে ৪/২৬ মধ্যে। 
১৬ রবিয়ল সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। বৃষ: নানা উপায়ে অর্থপ্রাপ্তির সুযোগ। ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
  ১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো ১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস ...বিশদ

04:28:18 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদ ও জামশেদপুরের ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র

09:33:58 PM

জিএসটি ফাঁকি: কলকাতা সহ রাজ্যের ১০৪টি ময়দা মিলে হানা আধিকারিকদের

06:29:00 PM

তৃতীয় একদিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩ রানে জয়ী ভারত

05:15:15 PM

কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ: টিকা নিতে নাইসেডে ফিরহাদ হাকিম

04:15:35 PM