Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আবার ঐতিহাসিক
ভুলের পথে বামপন্থীরা
হিমাংশু সিংহ

দীর্ঘ চারদশক সিপিএমের মিছিলে হেঁটে খগেন মুর্মু আজ বিজেপির এমপি। কী বলবেন, বিচ্যুতি না সংশোধন! ২০১৪’র লোকসভা ভোটে মথুরাপুরের বাম প্রার্থী রিঙ্কু নস্কর সম্প্রতি গেরুয়া দলে যোগ দিয়েছেন। নেতৃত্বের উপর আস্থা হারিয়ে নাকি স্রেফ আখের গোছাতে, আমরা জানি না! সম্ভবত আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থীও হবেন। হলদিয়ায় এককালের বাম নেতা শ্যামল মাইতিও যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। আবার সরাসরি যোগ না দিয়ে তলায় তলায় কাজ করছেন অনেকে। রয়েছেন সুযোগের অপেক্ষায়। এভাবেই জেলায় জেলায় বাম মিছিলে হাঁটা লোক মিশছে রামে। হাতে তুলে নিচ্ছে পদ্ম। খাল কেটে এ রাজ্যে কুমির আনার বিপজ্জনক খেলায় মেতেছে গোটা দলটা। পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে ফ্যাসিস্ট গেরুয়া শক্তি আজ যে কষ্টকল্পিত স্বপ্নটা দেখছে তার ভিত্তি কী? খুব সোজা হিসেব। দীর্ঘ একযুগ ধরে কমতে থাকা বাম ভোটে চূড়ান্ত থাবাটা বসানোর অপেক্ষা। অথচ বামপন্থীরা চূড়ান্ত হতাশায় না ভুগলে এ রাজ্যে তাদের ভোট কোনওভাবেই ২৫ শতাংশের নীচে নামতে পারে না। কিন্তু দুঃখের কথা, তৃণমূলকে শিক্ষা দিতে আবারও সেই আত্মঘাতী পথেই হাঁটছে বঙ্গীয় কমরেডরা। বিজেপি আর মমতাকে এক আসনে বসাতে গিয়ে নিজেদের জনবিচ্ছিন্নতাকেই আরও প্রকট করে তুলছে।
ভোটার তো রাতারাতি তৈরি হয় না। কিন্তু এক দলের ভোট অতি সহজেই পরের নির্বাচনে শত্রু শিবিরে চলে যায়। এ রাজ্যেও সেই অদ্ভুত রসায়নের দিকেই তাকিয়ে বিজেপি। এ খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে গত লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকে। বামের ভোট রামে। সঙ্গে লাল পার্টির অন্দরে অদ্ভুত ফিসফিসানি, একুশে রাম, ছাব্বিশে ফের বাম। সেই অলীক স্বপ্নকে সামনে রেখেই লাল পতাকা নিয়ে হাঁটা মানুষের ভোট পড়ছে রামে। নাহলে এ রাজ্যে সিপিএমের ভোট ৬.৩ শতাংশ আর বিজেপির ভোট ৪০ শতাংশের বেশি, এই উলটপুরাণের পরিসংখ্যান আলিমুদ্দিনের কর্তারা সহজে হজম করতে পারতেন না। অথচ ৩৪ বছর টানা বাংলাজুড়ে একচেটিয়া কর্তৃত্ব করার পর ২০১১ সালে মমতার হাতে ভরাডুবির নির্বাচনেও এ রাজ্যে ৩০ শতাংশ ভোট পেয়েছিল সিপিএম। ৬ মাসেই ঘুরে দাঁড়ানোর শপথও নিয়েছিল। ব্রিগেডে যখনই সভা হয়েছে, তখনই মাঠ উপচে গিয়েছে। শ্রদ্ধেয় বিমানবাবুরা আহ্লাদিত হয়েছেন। কিন্তু কৃষক, শ্রমিক, খেটে খাওয়া মানুষের ভোট আর ফেরেনি। পক্বকেশ নেতৃত্বের উপর কমরেডরা আস্থা রাখতে পারেননি। ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে বামেদের ভোট কমে দাঁড়ায় ২০ শতাংশ। বাম ও কংগ্রেস জোট করেও চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়। পার্ক সার্কাস ময়দানে বুদ্ধদেববাবু ও রাহুল গান্ধী একে অপরকে মালা পরিয়ে উষ্ণ আলিঙ্গন করলেও তার কোনও প্রতিফলন দেখা যায়নি ভোটযন্ত্রে। এরপর থেকেই রাজ্য রাজনীতির মোড় ঘুরিয়ে গেরুয়া শিবিরে যাওয়ার ঝোঁক বেড়েছে। ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের ফল সেই ভয়ঙ্কর পরিণতির ইঙ্গিতই বহন করছে। 
কিন্তু নিজের নাক কেটে তৃণমূলের যাত্রা ভঙ্গ করার এই চোরাগোপ্তা খেলায় সিপিএমের লাভ? এই ভাবের ঘরে চুরি আর কতদিন চলবে! কমরেডরা বুঝতে পারছেন না, এই সর্বনাশা খেলা দলটার আরও বারোটা বাজিয়ে দেবে। শেষে অস্তিত্বটাই বিপন্ন হবে। সর্বনাশ হয়ে যাবে রাজ্যটার। এই উপলব্ধি এখনই না হলে ফ্যাসিস্ট শক্তি যে আলিমুদ্দিনের একটা ইটও আস্ত রাখবে না সে কথা বোঝাবে কে? এবং ইতিহাসে সিপিএম যত বড় বড় ভুল করেছে তার সব রেকর্ড ছাপিয়ে যাবে। কারণ অবশিষ্ট ৬ শতাংশ ভোটও যদি নীতির ভুলে অবাঙালি প্রধান বহিরাগত নেতায় ভরা দলের ঝুলিতে চলে যায় তার সম্পূর্ণ দায়ভার বর্তাবে বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্রদের উপর। ছাব্বিশ কেন, ছত্রিশেও সেই ভুল সংশোধন করে ফেরার সুযোগ পাবে না বামপন্থীরা। আর একটা কথা বলি, সিপিএম অতীতে যাই করে থাকুক, আদ্যন্ত বাংলার মাটিতে মিশে থাকা দল। কোনও ভিনদেশি বর্গি, শাহ, নাড্ডা এই বাংলায় এ দলের নিয়ন্ত্রক নন। দলের সুর ও কৌশল বেঁধে দেওয়ার জন্য কখনও ডাকতে হয়নি কোনও কিশোরকুমারকেও। আর গত ৮-৯ মাসের লকডাউন পর্বে হীনবল হয়েও সাম্প্রদায়িক বিষ না ছড়িয়ে বামেরা যেভাবে কলকাতা থেকে দূর জেলায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে, তাও অত্যন্ত প্রশংসাযোগ্য।
১৯৯৬ সালে মাত্র ৩২ জন এমপি নিয়ে জ্যোতি বসুর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন ভোটাভুটিতেই ভেস্তে দিয়েছিল দল। ওই পদক্ষেপ কত বড় ভুল ছিল, তা নিয়ে আজ এই দুর্দিনেও দল আড়াআড়ি বিভক্ত। এখনও তিনজন বামপন্থী একজায়গায় বসলে তা নিয়ে ঝড় ওঠে। কিন্তু তখন দল অস্তিত্ব সঙ্কটের মধ্যে ছিল না। তারপরও দীর্ঘ ১৫ বছর বামেরা পশ্চিমবঙ্গ শাসন করেছে হেসেখেলে। ত্রিপুরায় লাল পতাকা উড়েছে।  কেরলে ক্ষমতায় এসেছে গেছে। মাঝে ২০০৪ সালে ৫৯ জন এমপি নিয়ে মনমোহন সরকারের প্রাণভোমরার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল বামেরা। কেউ কেউ বলেন, মনমোহনের মন্ত্রিসভায় যোগ না দিলেও ২০০৪ থেকে ২০০৮, ওই চারবছরই ছিল এদেশে বামপন্থীদের স্বর্ণযুগ। কিন্তু ওই যে বললাম, সুখে থাকতে ভূতে কিলোয়। পাঁচবছর যেতে না যেতেই পরমাণু চুক্তি ইস্যুতে সমর্থন প্রত্যাহার করে প্রথম দলের পায়ে কুড়ুল মারলেন প্রকাশ কারাত সাহেব। তার আগেই অবশ্য ২৩৫-এর অহঙ্কারে বুদ্ধদেববাবু সিঙ্গুরের কৃষকদের খেপিয়ে বসে আছেন। সঙ্গে যুক্ত হয়েছে নন্দীগ্রাম আন্দোলন। পার্টি ল্যাজে গোবরে। কিন্তু ২০০৮ থেকে ২০২০— দীর্ঘ এক যুগ ধরে সিপিএমের এই ক্রমশ জনবিচ্ছিন্ন হওয়ার কারণ কি শুধুই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনীতির কাছে পরাজয়, নাকি পদে পদে ভুল সিদ্ধান্ত, বিভ্রান্তিকর পদক্ষেপ? কে বড় শত্রু তা চিনতে ভুল করা? সেই আত্মসমীক্ষা কি বামদলগুলি করেছে? ২০০৪ সালে যে সিপিএম রাজ্যে ২৬টি আসন জিতে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল (আর বামফ্রন্ট সেবার পেয়েছিল সবমিলিয়ে ৩৫ টি), সেই দলই ২০০৯ সালে কেন মাত্র ৯টি আসন পেল? আর মমতার দল ১৯টি জিতে বাংলার চালকের আসন দখল করে নিল। কোথায় ভুল ছিল। দায়ী কে? বামেদের রক্তক্ষরণের তো সেই শুরু, যা আজও শেষ হয়নি। এখন একটাই অপেক্ষা, আগামী বিধানসভা ভোটে বামেরা শুধু নিজেদের ভোটটা নিজেদের প্রতীকে দিন। রাগে অভিমানে হতাশায় অন্যরকম কিছু করলে মুছে যেতে হবে। ইতিহাস তখন ক্ষমা করবে না।
গত লোকসভা ভোটে সারা দেশে ৭০টি আসনে প্রার্থী দিয়ে সিপিএম মাত্র তিনটি আসন জিতেছে। পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরায় দলের প্রাপ্তি শূন্য। এই বিপর্যয়ের সবচেয়ে বড় কারণ হল কে বড় শত্রু তা চিহ্নিত করতেই একযুগ কেটে যাওয়া। বিজেপি ও কংগ্রেস থেকে সমদূরত্ব বজায় রাখার রাজনীতি করতে গিয়ে গেরুয়া শক্তির বাড়বৃদ্ধিকেই ঘুরিয়ে ত্বরান্বিত করেছে দেশীয় বামপন্থীরা। সেই প্রক্রিয়ারই আজ নগ্নরূপ দেখছে পশ্চিমবঙ্গ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মুখোমুখি লড়াইয়ে না পেরে তলে তলে দলের নীচের তলা বিজেপিকে সাহায্য করছে। এর বিষময় পরিণামটা এখনও টের পাচ্ছে না। তৃণমূলকে শিক্ষা দেওয়ার নামে বিজেপিকে জমি ছেড়ে দেওয়ার অর্থ বিরোধী শক্তিকেই দুর্বল করা। তৃণমূল ও বিজেপির থেকে সমদূরত্বের রাজনীতির অর্থ আখেরে মোদি, অমিত শাহ তথা সঙ্ঘ পরিবারকেই পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে অক্সিজেন দেওয়া। নির্ণায়ক নির্বাচনে দুই প্রধান শত্রু থেকে সমদূরত্বের অবস্থান আদতে সোনার পাথরবাটি ছাড়া আর কিছুই নয়। এই ভুল না ভাঙলে বঙ্গের বামপন্থীরা অচিরেই ফসিল হয়ে যাবেন!
কংগ্রেসমুক্ত ভারতের ডাক দিয়ে নরেন্দ্র মোদি তাঁর দিল্লি যাত্রা শুরু করেছিলেন বটে, এখন কিন্তু অভিমুখ আরও ধারালো। আরও সুনির্দিষ্ট। শুধু আর কংগ্রেসমুক্ত ভারত নয়, এবার লক্ষ্য বিরোধীশূন্য রাষ্ট্র। আর সেই লক্ষ্যেই যেন তেন প্রকারে মমতাকে দুর্বল করার কাজে বামেরা যদি সঙ্গ দেয় তাহলে তো সোনায় সোহাগা। জয়ললিতা নেই। মায়াবতীর রাজনৈতিক অবস্থান বিজেপির পক্ষে। মুলায়মের বয়স হয়েছে। অখিলেশ অনেকটাই ক্ষীণবল। বিজেপির পক্ষে থাকলেও বিহারে নীতীশ কুমারের এতদিন একটা স্বাধীন দৃষ্টিভঙ্গি ছিল। বিহারের সাম্প্রতিক 
নির্বাচনে তিনি ফের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন বটে কিন্তু তাঁর সরকারের পুরো নিয়ন্ত্রণ অমিত শাহের হাতে। সরকারে জুনিয়র পার্টনার নীতীশ আজ কার্যত বিজেপির হাতের পুতুল। নবীনবাবু কিংবা কেসিআর খুব বেশি মোদিজিকে চটাবেন না। তাহলে রইল বাকি কে? তাই আগামী ২০২৪-এর সাধারণ নির্বাচনের আগে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ দেওয়ার মতো 
অবস্থায় একমাত্র বাংলার অবিসংবাদিত নেত্রী মমতা। তাই বামেদের ক্রমে ক্ষয়ে যাওয়া ভোট ব্যাঙ্ক থেকে আরও তিন-চার শতাংশ  যদি কৌশলে টেনে নেওয়া যায় তাহলেই তো গেরুয়া পার্টির কেল্লা ফতে! সিপিএমের মিছিলে হাঁটা কমরেডরা বাংলায় পদ্মফুল ফোটালে লাভ কার?
কিন্তু মমতাকে দুর্বল করতে ফ্যাসিস্ট আরএসএসের তালে তাল মেলালে ইতিহাস কি বামপন্থীদের ক্ষমা করবে? বিয়াল্লিশের ভারত ছাড়ো আন্দোলনের সময় দেশীয় বাম নেতৃত্বের নেতিবাচক ভূমিকা কিংবা নেতাজিকে বিশ্বাসঘাতক বলে দেগে দেওয়ার কলঙ্ক আজও ইতিহাস থেকে মোছেনি। ঠিক তেমনি বামপন্থী মিছিলে হাঁটা লোক যদি পদ্মফুলে বোতাম টেপে তাহলে বাংলার মানুষ ক্ষমা করবে না। আর যাঁরা ভাবছেন এতে করে আখেরে লাভ হবে, তাঁদের সম্মান দিয়েই বলি, এতে জাত যাবে পেটও ভরবে না। সঙ্ঘ পরিবার আষ্টেপৃষ্ঠে রাজ্যটাকে ঘিরে ফেলবে। সঙ্ঘ পরিবারের শৃঙ্খলে বাংলা ও বাংলার মানুষ বন্দি হয়ে যাবে। বামপন্থীদের ঘুরে দাঁড়ানো তখন চিরতরে দুঃস্বপ্ন হয়েই থেকে যাবে।
29th  November, 2020
লড়াই এবার নেমে এসেছে রণভূমিতে
সন্দীপন বিশ্বাস

সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের লড়াই ছিল একটা রক্তচক্ষু, বাহুবলী, উদ্ধত শাসকের ভুল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মানুষের সম্মিলিত লড়াই। সেই লড়াইটার সেদিন নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ইতিহাস কোনওভাবেই মুছে ফেলা যাবে না। বিশদ

প্রতিষ্ঠানের থেকে বড় কেউ নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 

প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। যার নেপথ্যে রয়েছে সংগ্রামী অতীত। তাকে কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। বিশদ

01st  December, 2020
ধীর পায়ে পিছনে সরে আসা
পি চিদম্বরম

রাজতন্ত্রের যুগে ভারত মুক্ত বাণিজ্যকে গ্রহণ করেছিল, নতুন নতুন বাজার দখল করেছিল এবং ভারতের ভিতরেই অনেক জাতির সম্পদের বৃদ্ধি ঘটিয়েছিল। আমরা সেই সমৃদ্ধ উত্তরাধিকারের যুগে ফিরে যেতে পারি। কিন্তু ভয় পাচ্ছি এই ভেবে যে, গৃহীত নীতি নিম্ন বৃদ্ধির দিনগুলিতে আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।  বিশদ

30th  November, 2020
দলবদলেই শুদ্ধিকরণ
তন্ময় মল্লিক

অনেকেই ঠাট্টা করে বলছেন, যার সঙ্গে চটে তার সঙ্গেই পটে, কথাটা বোধহয় বিজেপির জন্যই খাটে। যাঁদের সঙ্গে খটাখটি হয়েছে তাঁদেরই বিজেপি দলে টেনে নিয়েছে। বিশদ

28th  November, 2020
দেশের একমাত্র মহিলা
মুখ্যমন্ত্রী হয়ে থাকার লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

৩৪টি রাজ্যে মাত্র একটি রাজ্যে ক্ষমতায় আসীন নারী মুখ্যমন্ত্রী, সেটা যথেষ্ট কৌতূহলোদ্দীপক। সুতরাং সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গিতেও আগ্রহটি তীব্র হয় যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি এই নারী ক্ষমতায়নের একমাত্র কেল্লাটি ধরে রাখতে সমর্থ হবেন?  বিশদ

27th  November, 2020
এই ধর্মঘটের লক্ষ্য
মমতা, মোদি নয়
হারাধন চৌধুরী

আজ বাংলাজুড়ে বিজেপির এই যে শ্রীবৃদ্ধি, এর পিছনে নিজেদের অবদানের কথা বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা অস্বীকার করবেন কী করে? অস্বীকার তাঁরা করতেই পারেন। রাজনীতির কারবারিরা কত কথাই তো বলেন। বিশদ

26th  November, 2020
লাভ জেহাদ: বিজেপির
একটি রাজনৈতিক অস্ত্র
সন্দীপন বিশ্বাস

আসলে এদেশে হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান কেউই খতরে মে নেই। যখন নেতাদের কুর্সি খতরে মে থাকে, তখনই ধর্মীয় বিভেদকে অস্ত্র করে, সীমান্ত সমস্যা খুঁচিয়ে তার মধ্য থেকে গদি বাঁচানোর অপকৌশল চাগাড় দিয়ে ওঠে। বিশদ

25th  November, 2020
ওবামার ‘প্রতিশ্রুতি’ এবং
বিতর্কের রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

২০১৬ সালে ভারত সফরে এসে বারাক ওবামা সরব হয়েছিলেন ধর্মান্তরকরণ, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে...। মোদির সামনেই। কাজেই এরপরের অধ্যায় নিয়ে তিনি যদি কলম ধরেন, বিজেপিকে স্বস্তিতে রাখার মতো পরিস্থিতি হয়তো তৈরি হবে না। বিশদ

24th  November, 2020
বিকাশ না গরিমা,
সংস্কার কী জন্য?
পি চিদম্বরম

কিছু কারণে ড. পানাগড়িয়া জোড়াতাপ্পির জিএসটি-টাকে প্রাপ্য গুরুত্ব দেননি এবং বিপর্যয় ঘটাল যে ডিমানিটাইজেশন বা নোট বাতিল কাণ্ড সেটাকেও তিনি চেপে গেলেন। বিশদ

23rd  November, 2020
ভোটের আগে দিল্লির
এই খেলাটা বড় চেনা
হিমাংশু সিংহ

 দিলীপবাবুরা জানেন, সোজা পথে এখনও পশ্চিমবঙ্গ দখল কোনওভাবেই সম্ভব নয়। আর তা বুঝেই একদিকে পুরোদমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার শুরু হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি কাজ করছে তৃণমূলকেই ছলে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দেওয়ার কৌশল। বিশদ

22nd  November, 2020
মমতা বিরোধিতাই
যখন রাজনীতির লক্ষ্য
তন্ময় মল্লিক

বামেদের ধারণা, মমতা তৃণমূল না গড়লে তারা আরও অনেকদিন রাজ্যপাট চালিয়ে যেত। তাদের চোখে মমতা ‘জাতশত্রু’। সেই কারণেই বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক, ফ্যাসিস্ট সহ নানা চোখা চোখা বিশেষণে ভূষিত করলেও মমতা বিন্দুমাত্র সুবিধা পান, এমন কাজ তাঁরা কিছুতেই করেন না। বিশদ

21st  November, 2020
বাইডেন জমানা, ইমরানের অস্বস্তি
মৃণালকান্তি দাস

পাকিস্তান জন্মের পর তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী দেশটির নাম আমেরিকা। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধে পাকিস্তানকে পাশে পেতেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ওয়াশিংটন। ভারতকে বাদ দিয়ে পাকিস্তানকে কেন কাছে টেনেছিল আমেরিকা? 
বিশদ

20th  November, 2020
একনজরে
কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে কুৎসামূলক প্রচার নিয়ে এবার বিজেপি’র এক উগ্র সমর্থকের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিসে অভিযোগ দায়ের হল। মঙ্গলবার শেক্সপিয়র সরণী থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেন প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর ছেলে তথা দলের সাধারণ সম্পাদক রোহন মিত্র। ...

পরিবার পরিকল্পনার অধিকাংশ সূচকে দেশে এক নম্বরে বাংলা। কেন্দ্রীয় সরকারের অক্টোবর মাসের তথ্য থেকে একথা জানা গিয়েছে। এই সূচকগুলির মধ্যে গর্ভনিরোধক ওষুধ বা পিল থেকে শুরু করে বন্ধ্যাত্বকরণ, মেয়েদের আইইউসিডি থেকে শুরু করে ছেলেদের নিরোধ ব্যবহার— অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেশে শীর্ষে ...

সীমান্তে পাচার রুখতে আরও কঠোর হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত বরাবর কোথাও যেন কাঁটাতারবিহীন এলাকা না থাকে, তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দুই দেশের সীমান্তের মধ্যে কাঁটাতার নেই মালদহের যে সব সীমান্তে, ...

কৃষক বিক্ষোভের আঁচ ছড়াল দেশান্তরেও। কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বিক্ষোভরত ‘রোদে পোড়া, তামাটে’ মানুষগুলোর পরিবার ও বন্ধুদের জন্য চিন্তিত বলে জানিয়েছেন তিনি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায়  সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো
১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু
১৯৮৮: পাকিস্তানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হলেন বেনজির ভুট্টো
১৯৮৯: ভারতের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী হলেন ভিপিসিং 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.১৭ টাকা ৭৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ৯৭.২১ টাকা ১০০.৬৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৬ টাকা ৯০.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৯৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,৪৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭,১৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬০,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া ৩০/৪৪ সন্ধ্যা ৬/২৩। মৃগশিরা নক্ষত্র ১১/২২ দিবা ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৪/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/২৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/২৯ গতে ৮/১২ মধ্যে পুনঃ ১০/২১ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৮/২০ গতে ৩/২৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ গতে ৭/২৯ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ৩/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৫ গতে ১০/৫ মধ্যে পুনঃ ১১/২৬ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৫ গতে ৪/২৫ মধ্যে। 
 ১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া সন্ধ্যা ৫/৪। মৃগশিরা নক্ষত্র দিবা ১০/২৪। সূর্যোদয় ৬/৬, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১০/২৮ গতে ১২/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৬/৩৬ মধ্যে ও ৮/২৫ গতে ৩/৩২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৬ গতে ৭/৩৮ মধ্যে ও ১/১৭ গতে ৩/২৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪৬ গতে ১০/৭ মধ্যে ও ১১/২৭ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৬ গতে ৪/২৬ মধ্যে। 
১৬ রবিয়ল সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। বৃষ: নানা উপায়ে অর্থপ্রাপ্তির সুযোগ। ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
  ১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো ১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস ...বিশদ

04:28:18 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদ ও জামশেদপুরের ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র

09:33:58 PM

জিএসটি ফাঁকি: কলকাতা সহ রাজ্যের ১০৪টি ময়দা মিলে হানা আধিকারিকদের

06:29:00 PM

তৃতীয় একদিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩ রানে জয়ী ভারত

05:15:15 PM

কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ: টিকা নিতে নাইসেডে ফিরহাদ হাকিম

04:15:35 PM