Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

প্রতিষ্ঠানের থেকে বড় কেউ নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 

মানুষ ভরসা খোঁজে দিনে আর রাতে...। মানুষ শব্দটা বদলে ভোটার করে নিলেই গোটা বিষয়টা রাজনৈতিক হয়ে যায়। আর সেটাও সার সত্য। ভরসা। দোকানে মিষ্টি কিনতে গেলে প্রশ্ন, ‘দাদা, ফ্রেশ হবে তো?’ নতুন চাকরিতে জয়েন করার আগে দুরুদুরু বুক... ‘জব সিকিওরিটি থাকবে তো?’ ভোট দেওয়ার আগে চুলচেরা বিচার... ‘ভরসাযোগ্য তো?’ 
এটাই যে শেষ কথা! রাজনৈতিক দল, রাজনীতির মুখ—কেউ ভোট দেয় আদর্শে, পারিবারিক পরম্পরায়। কেউ আবার স্রোতে ভেসে। আর বেশিরভাগই ইভিএমের বোতামে চাপ দেয় ভরসায়। ভোটের দিন পেরিয়ে গেলেও এঁকে পাওয়া যাবে। দরকারে-অদরকারে পাশে দাঁড়াবে। কাজ পাব। পেটের ভাতে টান পড়বে না। মানুষের স্বার্থবিরোধী কোনও নীতির জন্য পরে হাত কামড়াতে হবে না। এগুলোই ভোটদানের সাধারণ নিয়ম-নীতি। বাঙালি ভোটাররা আবার একটু অন্যরকম। তাঁরা ভরসাটা একটু বেশিই করেন। ভালোবাসেন সময় দিতে... আহা, আর একটা টার্ম না হয় থাকল। টাইম দিলে তবে তো কাজ করবে! বঙ্গবাসী ভোটাররা তাই সিপিএমকে ৩৪ বছর সময় দিয়েছিল। ভরসার খাতিরে। এই এবার ভালো কিছু হবে... আশার শেষ নাই! কিন্তু মানুষ আশাহত হল। না হলে বাঙালি ভোটারদের কনভিন্স করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কুর্সিতে বসতে পারতেন না। আর আজ, নতুন করে চলছে কনভিন্স করার প্রয়াস। বিজেপি ইস্যু খুঁজছে... ভোটারকে প্রভাবিত করার। মরিয়া চেষ্টা চলছে মূল বিরোধী শক্তি হিসেবে নিজেদের প্রমাণের। সম্বল, লোকসভা ভোটের ফল। আর দল ভাঙানোর খেলা। বছর দুয়েক ধরে বিজেপি হাঁকডাক চালিয়ে যাচ্ছে, শাসক দলের বহু সাংসদ-বিধায়ক নাকি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য বসে আছে। ভাবটা এমন, যেন গোটা তৃণমূল দলটাই লাইনে দাঁড়িয়ে। আজ যোগ না দিলেও, কাল অবশ্যই দেবে। শত চেষ্টাতেও কিন্তু মুকুল রায় ছাড়া তেমন একটা বড় নাম বিজেপি বাজারে আনতে পারেনি। যদিও হাওয়ায় গুজবের কমতি নেই। শুভেন্দু অধিকারীর নামটাও বেশ কয়েক মাস ধরে পাবলিককে খাইয়ে রেখেছে বিজেপি। এই নাকি তিনি বিজেপিতে যোগ দিলেন বলে! কিছু কিছু বিষয়ে দলের প্রতি শুভেন্দুবাবুর অভিমানটাকে এনক্যাশ করেছে গেরুয়া শিবির। আর ‘দাদার অনুগামী’রাও তাতে নেচে উঠেছে। শুভেন্দুবাবু মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন। তাঁর গড় বলে পরিচিত হলদিয়ার ডেভেলপমেন্ট অথরিটির দায়িত্বেও আর নেই। কিন্তু বিধায়ক পদ বা তৃণমূলের সদস্যপদ ছাড়েননি তিনি। হয়তো ছাড়বেন... হয়তো এর মধ্যেই বিজেপিতে যোগ দেবেন। বা আলাদা মঞ্চ গঠন করবেন। কিন্তু এখনও কোনওটাই তো হয়নি! তাহলে তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণীর এত ব্যস্ততা কীসের? তবু হুড়োহুড়ি চলছে। সবাই এখন ‘দাদা’র ঘনিষ্ঠ হয়ে গিয়েছেন। তারিখ দিচ্ছেন... ১০, ২০, ২২, ২৩, ৩০। নভেম্বরের ক্যালেন্ডার ফুরিয়ে গেল, শুভেন্দুবাবু বিজেপিতে যোগ দিলেন না। তারিখ পে তারিখ, তারিখ পে তারিখ... সব ফেল। রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। নিঃসন্দেহে তৃণমূল কংগ্রেসে শুভেন্দু অধিকারী একটা বড় নাম। তিনি বিজেপিতে গেলে অবশ্যই খাল কেটে কুমির আনার সম্ভাবনা দেখা দেবে। এরপরও একটা কথা বলতে হয়, শুভেন্দুবাবুর যতই দাপট থাকুক না কেন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন। সেটা হওয়ার আকাঙ্ক্ষা থাকলেও তাঁর রাজনৈতিক পরিকল্পনা দর কষাকষিতে সীমাবদ্ধ থাকত না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন, কী ছিল তাঁর সঙ্গে? শুধু একটা স্বপ্ন—সিপিএমকে রাইটার্স থেকে উৎখাত করার। বছরের পর বছর সংগ্রাম করেছেন তিনি। জনসভার ভিড় ভোটবাক্স পর্যন্ত এসে পৌঁছয়নি। জিতেছেন তিনি... দল পারেনি। মানুষের বুঝতে সময় লেগেছে, পাহাড় থেকে সমুদ্র ‘প্রার্থী’ একজনই—মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যাঁকে দেখে তৃণমূলে এসেছেন শুভেন্দু অধিকারীও। দলের জন্মলগ্নে নয়, অনেক পরে। এই ধারা কিন্তু আজও বদলায়নি। শুধু খানিকটা প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়া গায়ে এসে লাগছে... তাও বছর দশেক ক্ষমতার অলিন্দে ঘোরাফেরার পর। সেটা খুব স্বাভাবিক। হাতের পাঁচটা আঙুল একরকম হয় না। অভিযোগ উঠেছে, উঠবেও। কিন্তু প্রশ্নটা হল, বিজেপি কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প? বা আদৌ অদূর ভবিষ্যতে তেমন কিছু হয়ে ওঠার সম্ভাবনা আছে? এককথায় উত্তর, না। দূর দূরান্ত পর্যন্ত তেমন কোনও সম্ভাবনা নেই। কেন্দ্রে না হয় গেরুয়া পার্টির একটা মুখ আছে—নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু তিনি তো আর বাংলায় এসে সরকার চালাবেন না! তাহলে এখানে মুখটা কে? দিলীপ ঘোষ? রাজ্যের কতজন  মানুষ তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান? লজ্জার চোটেই বিজেপি সেই সমীক্ষা করাবে না। তাহলে কে? অনুগামীদের অনেকের মনে হতে পারে, শুভেন্দুবাবু বিজেপিতে গেলে তিনিই হবেন মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী। তেমন কোনও সম্ভাবনা কয়েকশো মাইলের মধ্যে নজরে আসছে না। এবার প্রশ্নটা হল, কীসের আশায় তাহলে শুভেন্দু অধিকারী এই বিদ্রোহটি করলেন? মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া তৃণমূল কংগ্রেসে যে গুটিকয় নেতা প্রথম শ্রেণীর গুরুত্ব পেয়ে থাকেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম শুভেন্দুবাবু। সেটা তিনিও বিলক্ষণ জানেন। কিন্তু তিনি এটা জানেন না, একা ভোটের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা তাঁর খুব একটা নেই। কয়েকটি জেলায় তিনি অবশ্যই ভোটে প্রভাব ফেলবেন। সেই অনুগামী তাঁর রয়েছে। কত আসনে? ৩০টি আসন? ৪০টি? এই সংখ্যাটাও অলীক। তাও তর্কের খাতিরে না হয় এমনই কিছু কল্পনা করে নেওয়া যাক। এর মধ্যে একটি আসন হয়তো তিনি জিতবেন—শুভেন্দু অধিকারী নিজে যে কেন্দ্রে দাঁড়াবেন। বাকিগুলি? এখানেও দু’টি সম্ভাবনা রয়েছে। শুভেন্দুবাবু যদি বিজেপির হয়ে বিধানসভা ভোটের ময়দানে নামেন, তাহলে তিনি বিজেপির ভাগের ভোটটাই পাবেন। তৃণমূলের থেকে ভাঙানো ভোট তিনি পাবেন, কিন্তু তা নির্ণায়ক হবে না। আর যদি আলাদা মঞ্চ করেন, তখন বড়সড় হাত পড়বে তৃণমূলের ভোটে। সুবিধা হবে বিজেপির। আর তাঁর নিজের অবস্থা কী হবে? উদাহরণ তো খুব সামনেই আছে—চিরাগ পাসোয়ান। নীতীশের কোমর ভাঙতে গিয়ে চিরাগ নিজেই প্রায় নিভে গিয়েছেন। আমও গিয়েছে, ছালাও। চিরাগের না হয় বয়স কম, ব্যাকগ্রাউন্ডে রামবিলাস পাসোয়ানের মতো একটা নাম আছে। আজ না হয় কাল কোনও না কোনও জোটসঙ্গী খুঁজে আবার নতুন করে শুরু করতে পারবেন। কিন্তু শুভেন্দুবাবু? বিজেপিতে গেলেও তিনি কতটা গুরুত্ব পাবেন, সেটাই সংশয়। ধীরে ধীরে রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে উধাও হয়ে যাবেন তিনি। ব্র্যান্ড বলতে আর কিছু থাকবে না। থাকবে ব্যাগেজ—হতাশার। শুভেন্দু অধিকারীর পরিচিতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামে ছাতার জন্য। জার্সির জন্য। সেই জার্সিটা খুলে ফেললে কী হবে, তার জন্য পরীক্ষা প্রার্থনীয়। ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে খুব বেশি মানুষ কিন্তু নিজের জার্সি গায়ে চাপিয়ে সফল হতে পারেননি। 
প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। যার নেপথ্যে রয়েছে সংগ্রামী অতীত। তাকে কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। শুভেন্দুবাবু যদি সত্যিই দল ছেড়ে যান, তাহলে আসন্ন বিধানসভা ভোটে কিছুটা হলেও কষ্ট হবে মমতার। কিন্তু এরপরও যদি তিনি জিতে ফেরেন, সেই জয় হবে নিষ্কণ্টক। তিনি জানবেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নামটার প্রতি বাংলার মানুষের ভরসা এখনও অটুট। সেই জয় পায়ের নীচের জমিটাকে আরও জমাট করবে। বিজেপির ভ্রান্ত নীতির বিরুদ্ধে তিনি নতুন উদ্যমে সুর চড়াতে পারবেন। দেশের মানচিত্র গেরুয়াকরণের প্রয়াস আরও একবার ধাক্কা খাবে। 
কিন্তু শুভেন্দুবাবু যদি তৃণমূল না ছাড়েন? আপাতত তিনি রাজনৈতিক বানপ্রস্থে চলে গিয়েছেন। সেটা কাটিয়ে বেরনো কঠিন হবে। এখন যাঁরা তাঁর অনুগামী হয়ে ইন্ধন জোগাচ্ছেন, তাঁরাও ধীরে ধীরে সরে যাবেন। তখন ছাতা হয়ে আবার আশ্রয় দিতে পারেন একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যিনি এখন থেকেই আসরে নেমে পড়েছেন। বলে দিয়েছেন, প্রতিটা ব্লকে অবজার্ভার তিনিই। প্রত্যেকের সমস্যার সমাধানও তিনিই করবেন। যেভাবে গত দশ বছর করে এসেছেন। স্কুলছুটদের ফেরাতে কন্যাশ্রীর ব্যবস্থা করেছেন। দরিদ্র বাবা যখন মেয়ের বিয়ে দিতে পারছেন না, এগিয়ে এসেছে তাঁর রূপশ্রী। দাবি উঠেছে কলেজের, বিশ্ববিদ্যালয়ের... পূরণ করেছেন তিনি। প্রশাসক হয়েও মানুষের থেকে দূরে চলে যাননি তিনি। এটাই যে তাঁর ইউএসপি।
বাঁকুড়ার শুনুকপাহাড়ীতে সভা করছেন মমতা। মাঠের মধ্যে আট থেকে আশি, সবাই। সার বেঁধে দাঁড়িয়ে তাঁরা... যুবতী, প্রৌঢ়া, বৃদ্ধা... হাত জোড় করে। এটাই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি বাংলার মানুষের ভক্তি, ভালোবাসা। তাঁরা জানেন, এই নেত্রী যতদিন আছেন, তাঁদের সন্তানরা দুধে-ভাতে না থাকুক... না খেয়ে মরবে না।
রাজনীতির মধ্যে থেকেও যা একেবারে রাজনীতি নয়। শুধুই ভরসা।
01st  December, 2020
লড়াই এবার নেমে এসেছে রণভূমিতে
সন্দীপন বিশ্বাস

সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের লড়াই ছিল একটা রক্তচক্ষু, বাহুবলী, উদ্ধত শাসকের ভুল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মানুষের সম্মিলিত লড়াই। সেই লড়াইটার সেদিন নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ইতিহাস কোনওভাবেই মুছে ফেলা যাবে না। বিশদ

ধীর পায়ে পিছনে সরে আসা
পি চিদম্বরম

রাজতন্ত্রের যুগে ভারত মুক্ত বাণিজ্যকে গ্রহণ করেছিল, নতুন নতুন বাজার দখল করেছিল এবং ভারতের ভিতরেই অনেক জাতির সম্পদের বৃদ্ধি ঘটিয়েছিল। আমরা সেই সমৃদ্ধ উত্তরাধিকারের যুগে ফিরে যেতে পারি। কিন্তু ভয় পাচ্ছি এই ভেবে যে, গৃহীত নীতি নিম্ন বৃদ্ধির দিনগুলিতে আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।  বিশদ

30th  November, 2020
আবার ঐতিহাসিক
ভুলের পথে বামপন্থীরা
হিমাংশু সিংহ

দীর্ঘ চারদশক সিপিএমের মিছিলে হেঁটে খগেন মুর্মু আজ বিজেপির এমপি। কী বলবেন, বিচ্যুতি না সংশোধন! ২০১৪’র লোকসভা ভোটে মথুরাপুরের বাম প্রার্থী রিঙ্কু নস্কর সম্প্রতি গেরুয়া দলে যোগ দিয়েছেন। নেতৃত্বের উপর আস্থা হারিয়ে নাকি স্রেফ আখের গোছাতে, আমরা জানি না! সম্ভবত আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থীও হবেন। বিশদ

29th  November, 2020
দলবদলেই শুদ্ধিকরণ
তন্ময় মল্লিক

অনেকেই ঠাট্টা করে বলছেন, যার সঙ্গে চটে তার সঙ্গেই পটে, কথাটা বোধহয় বিজেপির জন্যই খাটে। যাঁদের সঙ্গে খটাখটি হয়েছে তাঁদেরই বিজেপি দলে টেনে নিয়েছে। বিশদ

28th  November, 2020
দেশের একমাত্র মহিলা
মুখ্যমন্ত্রী হয়ে থাকার লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

৩৪টি রাজ্যে মাত্র একটি রাজ্যে ক্ষমতায় আসীন নারী মুখ্যমন্ত্রী, সেটা যথেষ্ট কৌতূহলোদ্দীপক। সুতরাং সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গিতেও আগ্রহটি তীব্র হয় যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি এই নারী ক্ষমতায়নের একমাত্র কেল্লাটি ধরে রাখতে সমর্থ হবেন?  বিশদ

27th  November, 2020
এই ধর্মঘটের লক্ষ্য
মমতা, মোদি নয়
হারাধন চৌধুরী

আজ বাংলাজুড়ে বিজেপির এই যে শ্রীবৃদ্ধি, এর পিছনে নিজেদের অবদানের কথা বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা অস্বীকার করবেন কী করে? অস্বীকার তাঁরা করতেই পারেন। রাজনীতির কারবারিরা কত কথাই তো বলেন। বিশদ

26th  November, 2020
লাভ জেহাদ: বিজেপির
একটি রাজনৈতিক অস্ত্র
সন্দীপন বিশ্বাস

আসলে এদেশে হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান কেউই খতরে মে নেই। যখন নেতাদের কুর্সি খতরে মে থাকে, তখনই ধর্মীয় বিভেদকে অস্ত্র করে, সীমান্ত সমস্যা খুঁচিয়ে তার মধ্য থেকে গদি বাঁচানোর অপকৌশল চাগাড় দিয়ে ওঠে। বিশদ

25th  November, 2020
ওবামার ‘প্রতিশ্রুতি’ এবং
বিতর্কের রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

২০১৬ সালে ভারত সফরে এসে বারাক ওবামা সরব হয়েছিলেন ধর্মান্তরকরণ, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে...। মোদির সামনেই। কাজেই এরপরের অধ্যায় নিয়ে তিনি যদি কলম ধরেন, বিজেপিকে স্বস্তিতে রাখার মতো পরিস্থিতি হয়তো তৈরি হবে না। বিশদ

24th  November, 2020
বিকাশ না গরিমা,
সংস্কার কী জন্য?
পি চিদম্বরম

কিছু কারণে ড. পানাগড়িয়া জোড়াতাপ্পির জিএসটি-টাকে প্রাপ্য গুরুত্ব দেননি এবং বিপর্যয় ঘটাল যে ডিমানিটাইজেশন বা নোট বাতিল কাণ্ড সেটাকেও তিনি চেপে গেলেন। বিশদ

23rd  November, 2020
ভোটের আগে দিল্লির
এই খেলাটা বড় চেনা
হিমাংশু সিংহ

 দিলীপবাবুরা জানেন, সোজা পথে এখনও পশ্চিমবঙ্গ দখল কোনওভাবেই সম্ভব নয়। আর তা বুঝেই একদিকে পুরোদমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার শুরু হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি কাজ করছে তৃণমূলকেই ছলে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দেওয়ার কৌশল। বিশদ

22nd  November, 2020
মমতা বিরোধিতাই
যখন রাজনীতির লক্ষ্য
তন্ময় মল্লিক

বামেদের ধারণা, মমতা তৃণমূল না গড়লে তারা আরও অনেকদিন রাজ্যপাট চালিয়ে যেত। তাদের চোখে মমতা ‘জাতশত্রু’। সেই কারণেই বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক, ফ্যাসিস্ট সহ নানা চোখা চোখা বিশেষণে ভূষিত করলেও মমতা বিন্দুমাত্র সুবিধা পান, এমন কাজ তাঁরা কিছুতেই করেন না। বিশদ

21st  November, 2020
বাইডেন জমানা, ইমরানের অস্বস্তি
মৃণালকান্তি দাস

পাকিস্তান জন্মের পর তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী দেশটির নাম আমেরিকা। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধে পাকিস্তানকে পাশে পেতেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ওয়াশিংটন। ভারতকে বাদ দিয়ে পাকিস্তানকে কেন কাছে টেনেছিল আমেরিকা? 
বিশদ

20th  November, 2020
একনজরে
সীমান্তে পাচার রুখতে আরও কঠোর হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত বরাবর কোথাও যেন কাঁটাতারবিহীন এলাকা না থাকে, তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দুই দেশের সীমান্তের মধ্যে কাঁটাতার নেই মালদহের যে সব সীমান্তে, ...

কৃষক বিক্ষোভের আঁচ ছড়াল দেশান্তরেও। কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বিক্ষোভরত ‘রোদে পোড়া, তামাটে’ মানুষগুলোর পরিবার ও বন্ধুদের জন্য চিন্তিত বলে জানিয়েছেন তিনি। ...

পরিবার পরিকল্পনার অধিকাংশ সূচকে দেশে এক নম্বরে বাংলা। কেন্দ্রীয় সরকারের অক্টোবর মাসের তথ্য থেকে একথা জানা গিয়েছে। এই সূচকগুলির মধ্যে গর্ভনিরোধক ওষুধ বা পিল থেকে শুরু করে বন্ধ্যাত্বকরণ, মেয়েদের আইইউসিডি থেকে শুরু করে ছেলেদের নিরোধ ব্যবহার— অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেশে শীর্ষে ...

উম-পুন পরবর্তী ক্ষতিপূরণে দুর্নীতির যাবতীয় অভিযোগের তদন্ত করবে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ক্যাগ)। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল বি রাধাকৃষ্ণাণ ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার তিন মাসের মধ্যে তদন্তসাপেক্ষে ক্যাগকে রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছে। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায়  সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো
১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু
১৯৮৮: পাকিস্তানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হলেন বেনজির ভুট্টো
১৯৮৯: ভারতের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী হলেন ভিপিসিং 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.১৭ টাকা ৭৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ৯৭.২১ টাকা ১০০.৬৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৬ টাকা ৯০.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৯৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,৪৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭,১৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬০,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া ৩০/৪৪ সন্ধ্যা ৬/২৩। মৃগশিরা নক্ষত্র ১১/২২ দিবা ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৪/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/২৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/২৯ গতে ৮/১২ মধ্যে পুনঃ ১০/২১ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৮/২০ গতে ৩/২৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ গতে ৭/২৯ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ৩/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৫ গতে ১০/৫ মধ্যে পুনঃ ১১/২৬ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৫ গতে ৪/২৫ মধ্যে। 
 ১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া সন্ধ্যা ৫/৪। মৃগশিরা নক্ষত্র দিবা ১০/২৪। সূর্যোদয় ৬/৬, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১০/২৮ গতে ১২/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৬/৩৬ মধ্যে ও ৮/২৫ গতে ৩/৩২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৬ গতে ৭/৩৮ মধ্যে ও ১/১৭ গতে ৩/২৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪৬ গতে ১০/৭ মধ্যে ও ১১/২৭ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৬ গতে ৪/২৬ মধ্যে। 
১৬ রবিয়ল সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। বৃষ: নানা উপায়ে অর্থপ্রাপ্তির সুযোগ। ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
  ১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো ১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস ...বিশদ

04:28:18 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদ ও জামশেদপুরের ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র

09:33:58 PM

জিএসটি ফাঁকি: কলকাতা সহ রাজ্যের ১০৪টি ময়দা মিলে হানা আধিকারিকদের

06:29:00 PM

তৃতীয় একদিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩ রানে জয়ী ভারত

05:15:15 PM

কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ: টিকা নিতে নাইসেডে ফিরহাদ হাকিম

04:15:35 PM