সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলাদেশে সাধারণ চাল রপ্তানির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদন দিয়েছে। হাসিনা সরকারের তরফে এই প্রস্তাব এসেছিল। চাল রপ্তানির জন্য টেন্ডার ডাকা হয়। তাতে আপাতত একজন রপ্তানিকারী ৪ লক্ষ টন চাল পাঠানোর বরাত পেয়েছেন। এর জন্য অন্তত ৬ লক্ষ টন ধানের প্রয়োজন পড়বে। আগামী দিনে আরও বেশি পরিমাণ চাল রাজ্য থেকে বাংলাদেশে যাবে বলে আশা করছেন ব্যবসায়ী মহল। বিদেশে কৃষি পণ্য রপ্তানির সঙ্গে যুক্ত কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বাসমতি নয় এমন চাল বাংলাদেশে রপ্তানি হয় মূলত পশ্চিমবঙ্গ থেকে। বাংলদেশ তাদের প্রয়োজন পড়লে এখান থেকে সাধারণ চাল আমদানি করে। প্রয়োজন না থাকলে চাল আমদানির উপর কর আরোপ করা হয়। তখন বাংলাদেশে চাল রপ্তানি বিশেষ হয় না।
রাজ্যে সারা বছরে আড়াই কোটি টনের বেশি ধানের উৎপাদন হয়। এর মধ্যে দেড় কোটি টনের বেশি ধান উৎপাদিত হয় খরিফ চাষে। শীতকালে এই নতুন ধান ওঠে। এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় রেকর্ড পরিমাণ ধান উৎপাদনের আশা করছে কৃষি দপ্তর।
সরকারি উদ্যোগে এবার ৫২ লক্ষ টন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা হয়েছে। গত মরশুমে (যা অক্টোবরে শেষ হয়েছে) প্রায় ৪৮ লক্ষ টন ধান সরকার কিনেছিল। করোনা পরিস্থিতিতে রেশনে চালের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়। তার জন্য এবার মে মাস থেকে বেশি পরিমাণে ধান কিনতে হয়েছিল সরকারকে। এখন ওই ধান থেকে উৎপাদিত যে পরিমাণ চাল সরকারের ভাণ্ডারে আছে তা থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রেশনে চালের চাহিদা মেটানো যাবে। তাই সরকারকে বেশি পরিমাণে চালের সংস্থান রাখতে হচ্ছে। খাদ্য দপ্তরের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, প্রয়োজনে ৫২ লক্ষ টনের থেকে বেশি পরিমাণে ধান সরকারকে কিনতে হবে।