সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
গত বছর রাজ্যের বেঁধে দেওয়া টার্গেট পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে খাদ্যদপ্তর। শাস্তি হিসেবে এবছর কোটা কমিয়ে দিয়েছে রাজ্য। সেজন্য এবার মরশুমের গোড়া থেকেই ধান কেনার ব্যাপারে সক্রিয় হয়েছে জেলা খাদ্যদপ্তর। বুধবার জেলাশাসকের উপস্থিতিতে সহায়ক মূল্যে ধান কেনার বিষয়ে ডিস্ট্রিক্ট লেভেল মনিটরিং কমিটির(ডিএলএমসি) মিটিং আছে। ওই বৈঠকের পরই ক্যাম্প করে ধান কেনার তারিখ চূড়ান্ত হবে।
জেলা খাদ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক মাসে পূর্ব মেদিনীপুরে সহায়ক মূল্যে ৩৩৭৬ মেট্রিকটন ধান কেনা হয়েছে। মোট ৬ কোটি ৩৭ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা মেটানো হয়েছে। এবছর সহায়ক মূল্যে ধানের দাম প্রতি কুইন্টালে ১৮৬৮ টাকা। সিপিসিতে বিক্রি করলে কুইন্টালপিছু ২০টাকা ইনসেনটিভ আছে। তাতে এক কুইন্টাল ধান থেকে ১৮৮৮টাকা পাওয়া যাচ্ছে। একজন চাষির কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ কুইন্টাল ধান নেওয়া হচ্ছে। ধান দেওয়ার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এনইএফটি-র মাধ্যমে অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে যাচ্ছে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট ২৫টি ব্লকের মধ্যে ময়না বাদে সবক’টি ব্লকে একটি করে সিপিসি খোলা হয়েছে। কিন্তু, এই মুহূর্তে পটাশপুর, ভগবানপুর, এগরা এবং কাঁথি এলাকায় ধান বিক্রির চাহিদা বাড়ছে। সেজন্য ভগবানপুর-২ ব্লকের জুখিয়া বাজার, এগরা-১ ব্লকের নেগুয়া, এগরা-২ ব্লকের পানিপারুল, পটাশপুর-১ ব্লকের চিস্তিপুর এবং পটাশপুর-২ ব্লকের খড়ুইবাজার এবং দেশপ্রাণ ব্লকের বামুনিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ডাইরেক্ট পারচেজ সেন্টার(ডিপিসি) খোলা হবে। অর্থাৎ ওইসব জায়গায় ক্যাম্প করে সহায়ক মূল্যে ধান কিনতে নামবে খাদ্যদপ্তর।
গত বছর পূর্ব মেদিনীপুর জেলাকে সহায়ক মূল্যে ২ লক্ষ ৮৫ হাজার মেট্রিকটন ধান কেনার টার্গেট দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ধান কেনা হয়েছিল ২ লক্ষ ৫৪ হাজার মেট্রিকটন। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অনেকটা আগেই আটকে যেতে হয়েছিল। সেজন্য এবছর কোটা কমিয়ে ২লক্ষ ৩৫হাজার মেট্রিকটন করে দিয়েছে রাজ্য। তারমধ্যে খাদ্যদপ্তর ১লক্ষ ৫ হাজার মেট্রিকটন, ইসসিএসসি ৯০হাজার মেট্রিকটন এবং বেনফেড ৪০হাজার মেট্রিকটন ধান কিনবে বলে কোটা বেঁধে দিয়েছে রাজ্য।
খাদ্য দপ্তর গত ২নভেম্বর থেকে ধান কেনা শুরু করে দিয়েছে। কিন্তু, ইসিএসসি এখনও ময়দানে নামতে পারেনি। ইসিএসসি সমবায় সমিতি, স্বনির্ভর গোষ্ঠী এবং ফার্মার্স প্রডিউসার্স কোম্পানির মাধ্যমে ধান কেনে। তার আগে চুক্তি করতে হয়। ইসিএসসি-র ডিস্ট্রিক্ট ম্যানেজার গৌতম দাস বলেন, দ্রুত আমরা ধান কিনতে নামব। এখনও অবধি ২৯টি সোসাইটি এবং আটটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। বুধবার ডিএলএমসি-র বৈঠকের পর ওই কাজে আরও জোর আসবে।
জেলা খাদ্য নিয়ামক সৈকত চক্রবর্তী বলেন, গত ২ নভেম্বর থেকে ধান কেনা শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত আমাদের জেলায় ৩৩৭৬ মেট্রিকটন ধান কেনা হয়েছে। ধান কেনার পর তিনদিনের মধ্যে অ্যাকাউন্টে টাকা চলে যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৬কোটি ৩৭লক্ষ টাকা মূল্যে ধান কেনা হয়েছে।