সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায় সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ
দিন দশেক আগে কলকাতা পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার হন গোবিন্দ আগরওয়াল। তাঁর অফিস থেকে বছর তিনেক আগে এক কোটির বেশি টাকা উদ্ধার হয়। এই ঘটনার তদন্তে নেমে গোয়েন্দা অফিসাররা জানতে পারেন, আয়করদপ্তরের তদানীন্তন শীর্ষকর্তা নীরজকুমার সিংয়ের কালো টাকা সাদা করতে সাহায্য করছেন গোবিন্দ। এরপর দুর্নীতিদমন আইনে মামলা রুজু করা হয়। তাতে নীরজকুমার সিং ও গোবিন্দ আগরওয়ালের নাম রয়েছে। এই মামলাতেই গ্রেপ্তার হন গোবিন্দ। এখন তিনি জামিনে রয়েছেন।
গোবিন্দের অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া নথি ঘেঁটে অফিসাররা দেখেন, বেশ কিছু কোম্পানির কাগজপত্রে সই রয়েছে আয়করদপ্তরের প্রিন্সিপাল কমিশনার বিশ্বনাথ ঝাঁয়ের। এগুলি আয়কর অফিসে জমা থাকার কথা। কিন্তু সেই কাগজ বাইরে বেরিয়ে এল কী করে এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তদন্তকারী অফিসাররা। আয়কর সূত্রের খবর, নীরজের মতোই প্রিন্সিপাল কমিশনারের সঙ্গে দহরম মহরম ছিল গোবিন্দের। গোবিন্দ যে আয়কর দপ্তরের অফিসারদের সঙ্গে তল্লাশিতে যান তা ওই কর্তা জানতেন বলে দাবি অফিসারদের। নিয়ম অনুযায়ী, এই অভিযানে থাকার কথা নয় গোবিন্দের। অফিসাররা জানতে পারছেন, ওই কর্তা তাঁর পরিচিত বিভিন্ন ব্যক্তিকে গোবিন্দের কোম্পানিতে নিয়ে যান। তাঁদের কালো টাকা সাদা করে দেয় গোবিন্দের সংস্থা। বিনিময়ে বিভিন্ন রকম সুযোগ-সুবিধে নিয়েছেন ওই আধিকারিক।
এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর পেতেই প্রিন্সিপাল কমিশনারকে ডাকা হয়। গোবিন্দের সঙ্গে তাঁর পরিচয়ের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। অফিসারদের কাছে তিনি দাবি করেছেন গোবিন্দকে চেনেন না। আর গোবিন্দের অফিসে তাঁর সই করা কাগজপত্র কী করে এল, তা জানা নেই। পরিচিত না-হওয়ায় গোবিন্দের কাছ থেকে সুযোগ নেওয়ার প্রশ্ন ওঠে না। তবে তাঁকে এখনই ক্লিনচিট দিতে রাজি নয় পুলিস। তাঁর সঙ্গে গোবিন্দের যোগাযোগের নথি হাতে এসেছে। সেগুলি যাচাই করার কাজ চলছে। পাশাপাশি গোয়েন্দাদের সন্দেহ, নীরজকুমার সিংয়ের মাধ্যমে আয়করদপ্তরের নথি গোবিন্দের অফিসে গিয়ে থাকতে পারে। এজন্য তাঁকে জেরা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতা দেখিয়ে বাবরার জেরা এড়ানোয় এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেতে রীতিমতো সমস্যায় পড়েছেন অফিসাররা।