Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

ওবামার ‘প্রতিশ্রুতি’ এবং
বিতর্কের রাজনীতি
শান্তনু দত্তগুপ্ত

একটি অ্যাফ্রো-আমেরিকান লোকগানের কয়েকটি লাইন... এক অক্লান্ত উড়ানের কথা... আর ‘প্রমিসড ল্যান্ড’। বইয়ের নামটাও বারাক ওবামা ওটাই রেখেছেন। আত্মজীবনী? হয়তো। আরও স্পষ্টভাবে বললে, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিধর দেশের ক্ষমতার অলিন্দে তাঁর প্রবেশ, রোজনামচা। এবং চাপ চাপ বিতর্ক। বই বাজারে আসার আগে থেকেই। আর হওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ, এই ৯০০ পাতার আত্মকথনে ঢুকে পড়েছে ভারতীয় বেশ কিছু চরিত্র। শুধু প্রবেশে ব্যাপারটা সীমাবদ্ধ থাকলে হয়তো বিতর্ক এতটা মাথাচাড়া দিত না। কিন্তু ওবামা সেই সব চরিত্র বিশ্লেষণ করেছেন... ব্যাখ্যা করেছেন। ইতিহাসের প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন মহাত্মা গান্ধীর কথা... টেনেছেন ইন্দিরা, রাজীব হত্যার প্রসঙ্গ। এবং অবশ্যই সোনিয়া গান্ধী ও তাঁর পুত্র। নানা ব্যক্তি, নানা দল এই ক্ষেত্রবিশেষেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছেন। একজন বিদেশি... হলেই বা প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট! এই বিশ্লেষণের অধিকার তাঁকে কে দিয়েছে? 
মতপ্রকাশের অধিকার তো বিশ্বজনীন! অন্তত এই ইস্যুতে একজনকে কাঠগড়ায় তোলাটা বৃথা। অনেকে এই বইয়ের জন্য ওবামার বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও হুমকি-টুমকি দিচ্ছেন। মামলা হলে ওবামা সামলে নেবেন। প্রশ্নটা অন্যত্র... এই বিশ্লেষণের পিছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই তো? বা ভারতের সংস্কৃতিকে হেয় করার চেষ্টা? আপাত দৃষ্টিতে তেমন কিছু অবশ্য নজরে আসছে না। কারণ তিনি নিজেই লিখেছেন, ‘ভারত মানে আমার কাছে ২ হাজার জনজাতি, আর সাতশোরও বেশি ভাষা। ছেলেবেলার কিছুটা ইন্দোনেশিয়ায় কাটিয়েছিলাম বলেই হয়তো মনের একটা আলাদা ঘরে ভারত সম্পর্কে কল্পনার প্রাসাদ গড়ে উঠেছিল। রামায়ণ, মহাভারত... বা কলেজের সেই বন্ধুরা। তাদের মধ্যে ভারতীয় ছিল, পাকিস্তানিও। ওরা আমাকে ডাল আর কিমা রান্না করতে শিখিয়েছিল। ওদের জন্যই বলতে গেলে বলিউডি মুভির পোকা হয়ে গিয়েছিলাম।’ বিষয়টা খুব পরিষ্কার... ভারত সম্পর্কে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের ধারণা, বিশ্বাস বা ব্যাখ্যায় এতটুকু গলদ নেই। আছে কিছু ভারতীয় সম্পর্কে। সিস্টেমকে ব্যবহার করে একের পর এক কেলেঙ্কারি, মারদাঙ্গা, গণতন্ত্রের নামে পরিবারতন্ত্র... আমাদের দেশের এই ‘মহত্ত্ব’কেও ছুঁয়ে গিয়েছেন ওবামা। যখনই সুযোগ পেয়েছেন। আর বলেছেন ডঃ মনমোহন সিংয়ের কথা। দ্বিধাহীন ভাষায় লিখেছেন, নয়ের দশক থেকে উদার অর্থনীতি এবং সাফল্যের যে দৌড় ভারত শুরু করেছে, তার প্রতীক একজনই—মনমোহন সিং। অসাধারণ জ্ঞান আর শিক্ষণীয় সৌজন্য। নির্বিবাদী এই রাষ্ট্রনেতাকে তিনি ঠিক কতটা সম্মান করেন, তা ওবামা লোকাননি। লোকানোর চেষ্টাও করেননি। লিখেছেন নয়াদিল্লিতে মনমোহনের বাড়ির সেই ডিনারের কথাও... ‘টেবলে সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী... সেদিন দু’জনেই ছিলেন। ষাটের ঘরে বয়স, তাও ধাক্কা লাগার মতো ব্যক্তিত্ব। ট্র্যাডিশনাল শাড়ি, শান্ত-রাজকীয় উপস্থিতি, আর দু’টো কালো চোখ... যা সবসময় কাটাছেঁড়া করে যাচ্ছে। বলেছিলেন খুব কম। শুনেছিলেন বেশি। পলিসি সংক্রান্ত কিছু নিয়ে যখনই কথা উঠেছে, খুব বুঝে পা ফেলেছেন। ভেবেচিন্তে ছাড় দিয়েছেন মনমোহন সিংকে... কথা বলার জন্য। আর সব সময় খেয়াল রেখেছেন, রাহুলের সঙ্গে বা রাহুলকে নিয়ে কী কথা হচ্ছে। আর রাহুল... স্মার্ট, আন্তরিক। রাজনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা বলছিলেন তিনি। মাঝে মাঝে থেমে অপেক্ষা করছিলেন... কিছু বোঝার চেষ্টা। যেন একটি ছাত্র পড়া করে এসে শিক্ষককে ইমপ্রেস করার মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু গভীরভাবে দেখলে, বিষয়টাতে তার না আছে বোধ, না আবেগ। স্মার্ট, কিন্তু নার্ভাস, অপরিণত।’
কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রকে সুকৌশলে বাজারে নামিয়ে এনেছেন ওবামা। প্রমাণ করেছেন, সোনিয়া গান্ধী শুধু তাঁর ছেলের জায়গাটা নিরাপদ রাখার খাতিরে এমন একজন প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচন করেছিলেন, যাঁর মতো যোগ্য কিন্তু নির্বিবাদী মানুষ গোটা ভারতে পাওয়া যাবে না। মনমোহন সিংয়ের প্রধানমন্ত্রিত্ব দেশে ‘উদার গণতন্ত্র’ নিয়ে আসেনি। বরং ওটা ছিল একটা ব্যতিক্রম মাত্র। মনমোহন নিজেও সেটা জানতেন। বুঝতেন। আর তাই পদে পদে থমকে যেতেন। 
ভারতের রাজনীতিতে ক্ষমতাশালী এবং ‘অসহায়ে’র মধ্যে সরাসরি একটা বিভাজিকা টেনে দিয়েছেন বারাক ওবামা। বিতর্ক হওয়াটা তাই স্বাভাবিক। কিন্তু বই প্রকাশের আগেই এই বিতর্ক কেন? নেগেটিভ পাবলিসিটি কখনও কখনও ইতিবাচক প্রচারকেও ছাপিয়ে চলে যায়। ভারতের মতো শিক্ষিত বাজারে একটা ‘প্রি বুকিং’ বিতর্ক ছড়িয়ে দিতে পারলে তার লাভের গুড় প্রকাশক প্রথম কয়েক দিনেই ঘরে তুলে নেবে। ফলে বিতর্ক ছড়িয়ে দেওয়াটা স্ট্র্যাটেজি হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। কী আছে, আর কী নেই... এটা শুধু হাওয়ায় ছড়িয়ে দাও। বাকিটা মার্কেট করে দেবে।
যেমন, শশী থারুর। দিন কয়েক আগে একটি ট্যুইট করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে এক লাইনও লেখেননি ওবামা। ঠিকই... তার একটা কারণও রয়েছে। ওসামা অভিযান... ২০১১ সাল। ওখানেই শেষ হয়েছে ‘আ প্রমিসড ল্যান্ড’-এর সফর। মানে এরপর আরও আসছে। দ্বিতীয় পর্ব। তখন হয়তো নরেন্দ্র মোদি থাকবেন। এবার বলেননি তিনি... কিন্তু বুঝিয়েছেন, ভারত সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে। দিকে দিকে ধর্মের নামে, রাজনীতির নামে মারামারি, জাতের নামে ভোট, হিংসা, দুর্নীতি... এর থেকে ভারত মুক্তি পায়নি। বই প্রকাশের পর ব্যাপারটা এমন হয়েছে, আমার ঘরে হচ্ছে হোক, পড়শি বলতে পারবে না। আমরা নিজেদের শুধরানোর চেষ্টা না করে তাই মার্কিন প্রেসিডেন্টের নামে গাল পাড়ছি। ওবামা নিজেও ধোয়া তুলসিপাতা নন, এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই! নরেন্দ্র মোদির একটি শিক্ষিত এবং বিদেশি ব্র্যান্ড তিনি। প্রকৃত অর্থে বেচুবাবু। স্বপ্নের ফেরিওয়ালা। জানেন, কোনটা পাবলিক খাবে, আর কোনটা ছুঁড়ে ফেলে দেবে। তাই হোয়াইট হাউসে প্রবেশের দিন থেকে তাঁর লক্ষ্য ছিল একজন—ওসামা বিন লাদেন। কারণ ওবামা বুঝেছিলেন, একটা ৯/১১ হামলা প্রত্যেক আমেরিকানের মনে ত্রাস, আর প্রতিশোধের এক বেমানান মিশ্রণ তৈরি করেছে। লাদেনকে খুঁজে বের করতে পারলে গোটা দেশের সেন্টিমেন্ট তাঁর দিকে ধেয়ে আসবে। সেটাই করেছিলেন তিনি। পাকিস্তানের অ্যাবটাবাদের বাড়িতে ঢুকে নেভি সিল খতম করেছিল লাদেনকে। পাকিস্তান তার আগেও আমেরিকার বন্ধু ছিল। তার পরেও কিন্তু আছে। আল কায়েদা সুপ্রিমোর বিরুদ্ধে অপারেশনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন ওবামা। কিন্তু শুধু লাদেন কেন? পাকিস্তান তো সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর! মাসুদ আজহার, হাফিজ সইদদের তথ্যও নিশ্চয়ই আছে আমেরিকার কাছে। তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান কেন চালায়নি ওবামা প্রশাসন? কারণ ওই জঙ্গিরা তাঁর গায়ে আঁচড় দেয়নি। তাঁর আদর্শ যে অহিংসা! হোক না সে পরিস্থিতি বিশেষে। তাই তিনি লেখেন মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ, তাঁর হার না মানা লড়াই, সাদামাটা জীবনের কথা। তুলে ধরেন মিশেলের সঙ্গে মণি ভবনে যাওয়ার মুহূর্তগুলো। মুম্বইয়ের শহরতলিতে। সেখানকার গেস্টবুকে ওবামা দেখেছিলেন মার্টিন লুথার কিং জুনিয়রের সই... ১৯৫৯ সালের। জুতো খুলে ঘরে ঢোকার পর প্রতিটা মুহূর্ত পাতায় এঁকেছেন ওবামা। মাটিতে করা বিছানা, চরকা, ছাদের দরজা বেয়ে নেমে আসা হালকা বাতাস, আর আবছা আলো। লিখেছেন, ‘ভীষণভাবে মনে হয়, যদি ওঁর পাশে বসতে পারতাম... কিছু কথা বলার ছিল... আর কিছু জিজ্ঞাসা... এত কম সামর্থ্যে এত বেশি কিছু করার শক্তি কোথায় পেয়েছিলেন? কীভাবে দেখেছিলেন এই স্বপ্ন?’
মহাত্মা গান্ধী কিন্তু সত্যের পক্ষে বা অনাচারের বিরুদ্ধে তাঁর লড়াইকে ব্যক্তিগত স্তরে সীমাবদ্ধ রাখেননি। তাঁর আন্দোলন দেশের সীমান্তে আটকে থাকেনি। দক্ষিণ আফ্রিকাতেও বর্ণবিদ্বেষ ও শ্রেণী বিভাজনের বিরুদ্ধে তাঁর আন্দোলন ইতিহাসের পাতায় লেখা আছে। আর ওবামা? সন্ত্রাসবাদ বিরোধী যুদ্ধে গোটা বিশ্বকে এক হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই আহ্বান বক্তৃতাতেই তালাবন্দি থেকে গিয়েছে। হুমকি দিয়েছেন, জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে পাকিস্তানকে অর্থ সাহায্য বন্ধ করে দেবে আমেরিকা। কিন্তু যুগ যুগ কেটে গেলেও তাতে সিলমোহর পড়েনি। সেদিন ডিনারের আগে কিছুক্ষণ মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে একান্তে কথা বলেছিলেন ওবামা। পিছনে দাঁড়িয়ে থাকার কেউ ছিল না। কেউ নোট নিচ্ছিল না। মনমোহন তাঁকে বলেছিলেন লস্কর-ই-তোইবার কথা। জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে পাকিস্তানের আইএসআইয়ের যোগসাজশের কথা। ওবামা লিখেছেন, ‘হামলার পর পাকিস্তানকে পাল্টা আক্রমণের যে চাপ তৈরি হয়েছিল, তা বহু কষ্টে রুখেছিলেন মনমোহন। কারণ ওটা সমাধান নয়। যার মাশুল তাঁকে দিতে হয়েছিল রাজনৈতিকভাবে। মনমোহনের ভয় ছিল, মুসলিম বিরোধী আক্রোশ যেভাবে বাড়ছে, তার সুযোগ নেবে হিন্দু জাতীয়তাবাদী পার্টি বিজেপি। বলেছিলেন, মিস্টার প্রেসিডেন্ট... কখনও কখনও ধর্মীয় জোট সমাজের কাছে বিষাক্ত হয়ে ওঠে। আর রাজনীতিকরা তার সুযোগ নেয়। ভারতে... অন্য দেশেও।’ দূরদর্শী ছিলেন মনমোহন। বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠ উত্থান যে তারপরই! পাকিস্তান বিরোধী সেন্টিমেন্টকে কাজে লাগিয়ে। ২০১৬ সালে ভারত সফরে এসে বারাক ওবামা সরব হয়েছিলেন ধর্মান্তরকরণ, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার বিরুদ্ধে...। মোদির সামনেই। কাজেই এরপরের অধ্যায় নিয়ে তিনি যদি কলম ধরেন, বিজেপিকে স্বস্তিতে রাখার মতো পরিস্থিতি হয়তো তৈরি হবে না। 
স্বস্তিতে থাকবেন না নরেন্দ্র মোদিও।
24th  November, 2020
লড়াই এবার নেমে এসেছে রণভূমিতে
সন্দীপন বিশ্বাস

সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের লড়াই ছিল একটা রক্তচক্ষু, বাহুবলী, উদ্ধত শাসকের ভুল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মানুষের সম্মিলিত লড়াই। সেই লড়াইটার সেদিন নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ইতিহাস কোনওভাবেই মুছে ফেলা যাবে না। বিশদ

প্রতিষ্ঠানের থেকে বড় কেউ নয়
শান্তনু দত্তগুপ্ত

 

প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে একটি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন। যার নেপথ্যে রয়েছে সংগ্রামী অতীত। তাকে কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। বিশদ

01st  December, 2020
ধীর পায়ে পিছনে সরে আসা
পি চিদম্বরম

রাজতন্ত্রের যুগে ভারত মুক্ত বাণিজ্যকে গ্রহণ করেছিল, নতুন নতুন বাজার দখল করেছিল এবং ভারতের ভিতরেই অনেক জাতির সম্পদের বৃদ্ধি ঘটিয়েছিল। আমরা সেই সমৃদ্ধ উত্তরাধিকারের যুগে ফিরে যেতে পারি। কিন্তু ভয় পাচ্ছি এই ভেবে যে, গৃহীত নীতি নিম্ন বৃদ্ধির দিনগুলিতে আমাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।  বিশদ

30th  November, 2020
আবার ঐতিহাসিক
ভুলের পথে বামপন্থীরা
হিমাংশু সিংহ

দীর্ঘ চারদশক সিপিএমের মিছিলে হেঁটে খগেন মুর্মু আজ বিজেপির এমপি। কী বলবেন, বিচ্যুতি না সংশোধন! ২০১৪’র লোকসভা ভোটে মথুরাপুরের বাম প্রার্থী রিঙ্কু নস্কর সম্প্রতি গেরুয়া দলে যোগ দিয়েছেন। নেতৃত্বের উপর আস্থা হারিয়ে নাকি স্রেফ আখের গোছাতে, আমরা জানি না! সম্ভবত আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থীও হবেন। বিশদ

29th  November, 2020
দলবদলেই শুদ্ধিকরণ
তন্ময় মল্লিক

অনেকেই ঠাট্টা করে বলছেন, যার সঙ্গে চটে তার সঙ্গেই পটে, কথাটা বোধহয় বিজেপির জন্যই খাটে। যাঁদের সঙ্গে খটাখটি হয়েছে তাঁদেরই বিজেপি দলে টেনে নিয়েছে। বিশদ

28th  November, 2020
দেশের একমাত্র মহিলা
মুখ্যমন্ত্রী হয়ে থাকার লড়াই
সমৃদ্ধ দত্ত

৩৪টি রাজ্যে মাত্র একটি রাজ্যে ক্ষমতায় আসীন নারী মুখ্যমন্ত্রী, সেটা যথেষ্ট কৌতূহলোদ্দীপক। সুতরাং সমাজতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গিতেও আগ্রহটি তীব্র হয় যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি এই নারী ক্ষমতায়নের একমাত্র কেল্লাটি ধরে রাখতে সমর্থ হবেন?  বিশদ

27th  November, 2020
এই ধর্মঘটের লক্ষ্য
মমতা, মোদি নয়
হারাধন চৌধুরী

আজ বাংলাজুড়ে বিজেপির এই যে শ্রীবৃদ্ধি, এর পিছনে নিজেদের অবদানের কথা বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা অস্বীকার করবেন কী করে? অস্বীকার তাঁরা করতেই পারেন। রাজনীতির কারবারিরা কত কথাই তো বলেন। বিশদ

26th  November, 2020
লাভ জেহাদ: বিজেপির
একটি রাজনৈতিক অস্ত্র
সন্দীপন বিশ্বাস

আসলে এদেশে হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান কেউই খতরে মে নেই। যখন নেতাদের কুর্সি খতরে মে থাকে, তখনই ধর্মীয় বিভেদকে অস্ত্র করে, সীমান্ত সমস্যা খুঁচিয়ে তার মধ্য থেকে গদি বাঁচানোর অপকৌশল চাগাড় দিয়ে ওঠে। বিশদ

25th  November, 2020
বিকাশ না গরিমা,
সংস্কার কী জন্য?
পি চিদম্বরম

কিছু কারণে ড. পানাগড়িয়া জোড়াতাপ্পির জিএসটি-টাকে প্রাপ্য গুরুত্ব দেননি এবং বিপর্যয় ঘটাল যে ডিমানিটাইজেশন বা নোট বাতিল কাণ্ড সেটাকেও তিনি চেপে গেলেন। বিশদ

23rd  November, 2020
ভোটের আগে দিল্লির
এই খেলাটা বড় চেনা
হিমাংশু সিংহ

 দিলীপবাবুরা জানেন, সোজা পথে এখনও পশ্চিমবঙ্গ দখল কোনওভাবেই সম্ভব নয়। আর তা বুঝেই একদিকে পুরোদমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার শুরু হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি কাজ করছে তৃণমূলকেই ছলে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়িয়ে দেওয়ার কৌশল। বিশদ

22nd  November, 2020
মমতা বিরোধিতাই
যখন রাজনীতির লক্ষ্য
তন্ময় মল্লিক

বামেদের ধারণা, মমতা তৃণমূল না গড়লে তারা আরও অনেকদিন রাজ্যপাট চালিয়ে যেত। তাদের চোখে মমতা ‘জাতশত্রু’। সেই কারণেই বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক, ফ্যাসিস্ট সহ নানা চোখা চোখা বিশেষণে ভূষিত করলেও মমতা বিন্দুমাত্র সুবিধা পান, এমন কাজ তাঁরা কিছুতেই করেন না। বিশদ

21st  November, 2020
বাইডেন জমানা, ইমরানের অস্বস্তি
মৃণালকান্তি দাস

পাকিস্তান জন্মের পর তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী দেশটির নাম আমেরিকা। তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সঙ্গে স্নায়ুযুদ্ধে পাকিস্তানকে পাশে পেতেই ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ওয়াশিংটন। ভারতকে বাদ দিয়ে পাকিস্তানকে কেন কাছে টেনেছিল আমেরিকা? 
বিশদ

20th  November, 2020
একনজরে
উম-পুন পরবর্তী ক্ষতিপূরণে দুর্নীতির যাবতীয় অভিযোগের তদন্ত করবে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ক্যাগ)। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল বি রাধাকৃষ্ণাণ ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার তিন মাসের মধ্যে তদন্তসাপেক্ষে ক্যাগকে রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছে। ...

সাখির (বাহরিন): গত সাতদিনে তিনবার কোভিড টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ এল ফর্মুলা-ওয়ান তারকা লুইস হ্যামিলটনের। যার জেরে আসন্ন সাখির গ্রাঁ প্রি’তে অংশ নিতে পারবেন না সাতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন রেসারটি। মঙ্গলবারই মার্সিডিজ-এএমজি পেট্রোনাস এফওয়ান দলের পক্ষ থেকে হ্যামিলটনের করোনায় আক্রান্তের খবর প্রকাশ্যে আনা ...

পরিবার পরিকল্পনার অধিকাংশ সূচকে দেশে এক নম্বরে বাংলা। কেন্দ্রীয় সরকারের অক্টোবর মাসের তথ্য থেকে একথা জানা গিয়েছে। এই সূচকগুলির মধ্যে গর্ভনিরোধক ওষুধ বা পিল থেকে শুরু করে বন্ধ্যাত্বকরণ, মেয়েদের আইইউসিডি থেকে শুরু করে ছেলেদের নিরোধ ব্যবহার— অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেশে শীর্ষে ...

কৃষক বিক্ষোভের আঁচ ছড়াল দেশান্তরেও। কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বিক্ষোভরত ‘রোদে পোড়া, তামাটে’ মানুষগুলোর পরিবার ও বন্ধুদের জন্য চিন্তিত বলে জানিয়েছেন তিনি। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায়  সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো
১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু
১৯৮৮: পাকিস্তানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হলেন বেনজির ভুট্টো
১৯৮৯: ভারতের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী হলেন ভিপিসিং 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.১৭ টাকা ৭৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ৯৭.২১ টাকা ১০০.৬৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৬ টাকা ৯০.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৯৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,৪৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭,১৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬০,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া ৩০/৪৪ সন্ধ্যা ৬/২৩। মৃগশিরা নক্ষত্র ১১/২২ দিবা ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৪/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/২৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/২৯ গতে ৮/১২ মধ্যে পুনঃ ১০/২১ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৮/২০ গতে ৩/২৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ গতে ৭/২৯ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ৩/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৫ গতে ১০/৫ মধ্যে পুনঃ ১১/২৬ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৫ গতে ৪/২৫ মধ্যে। 
 ১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া সন্ধ্যা ৫/৪। মৃগশিরা নক্ষত্র দিবা ১০/২৪। সূর্যোদয় ৬/৬, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১০/২৮ গতে ১২/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৬/৩৬ মধ্যে ও ৮/২৫ গতে ৩/৩২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৬ গতে ৭/৩৮ মধ্যে ও ১/১৭ গতে ৩/২৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪৬ গতে ১০/৭ মধ্যে ও ১১/২৭ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৬ গতে ৪/২৬ মধ্যে। 
১৬ রবিয়ল সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। বৃষ: নানা উপায়ে অর্থপ্রাপ্তির সুযোগ। ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
  ১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো ১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস ...বিশদ

04:28:18 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদ ও জামশেদপুরের ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র

09:33:58 PM

জিএসটি ফাঁকি: কলকাতা সহ রাজ্যের ১০৪টি ময়দা মিলে হানা আধিকারিকদের

06:29:00 PM

তৃতীয় একদিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩ রানে জয়ী ভারত

05:15:15 PM

কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ: টিকা নিতে নাইসেডে ফিরহাদ হাকিম

04:15:35 PM