Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

ভৈরবঘণ্টের ভবলীলা
তরুণ চক্রবর্তী

অমাবস্যার নিশুতি রাত, গভীর জঙ্গলে রাত আরও কালি ঢালা। সকাল থেকেই অসময়ের বৃষ্টি কখনও ঝিরঝিরে, কখনও প্রবল হয়ে ঝরেই চলেছে। ঘন জঙ্গলের মধ্যেও এক এক জায়গায় ক’টা চালাঘর। কঞ্চির ওপর মাটি লেপে দেওয়া ঘরগুলোয় চণ্ডালদের বাস। বুনো জানোয়ার আর মানুষের আশ্চর্য এক সহাবস্থান এখানে। বাগে পেলে অবশ্য কেউই কাউকে ছাড়ে না।
চণ্ডালদের চেহারা যেমন অসুরের মতো, দৈহিক বলও প্রচণ্ড। নরহত্যা, লুণ্ঠনের মতো পাশবিক কাজকর্মে এরা সিদ্ধহস্ত। এ তাদের পেশা। জাতে হিন্দু হলেও সমাজে অস্পৃশ্য বলেই জঙ্গল হয়েছে এদের বাসভূমি। উঁচু জাতের মহল্লায় চণ্ডালদের ছায়াও মাড়ানো পাপ হলেও দূর গাঁয়ে ভদ্দর লোকের মড়া পোড়াতে যেতে হয় কিন্তু এদেরই। হয়তো বা সেই আক্রোশবশতই চুরি, ডাকাতি, লুঠতরাজকেই এরা বেছে নিয়েছিল পেশা হিসেবে। আবার এমন পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতেই বুঝি জঙ্গলের মধ্যেই তারা স্থাপন করেছিল ভীষণাকৃতি এক কালীমূর্তির। মাটির বেদির ওপর বসনো ভৈরবী মূর্তিটির পুজো না করে ডাকাতিতে বেরনোর নিয়ম নেই। আজ রাতে দেবীর কার্তিকী অমাবস্যার পুজো।
বহুকাল আগে এখান দিয়েই বয়ে যেত দামোদরের প্রধান স্রোত। নদীপথে পালতোলা পণ্যবোঝাই জাহাজ নিয়ে বণিকরা যেত দেশ-দেশান্তরে। একটি ব্যবসা কেন্দ্র গড়ে ওঠায় ধনে জনে তখন জায়গাটা হয়ে উঠেছিল ভরভরন্ত। তারপর কবে একদিন নদী তার পথ বদলে কয়েক ক্রোশ দূরে চলে যায়। চলে যায় ব্যবসায়ীরাও। দিন গেলে জেগে ওঠে পলিজমা নির্জন চর। বুজে যাওয়া নদীখাত ভরে যায় কাশ, হোগলা, নিম, বাবলা, পাকুড়, বটের জঙ্গলে। জোটে জানোয়ারও। আরও কিছুকাল পরে কোথা থেকে চলে আসে দুলে, বাগদি কয়েকজন মানুষ, গাছপালা কেটে ঘর তুলে ফেলে ছিটেবেড়ার। দু-তিন ঘর থেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে গড়ে ওঠে আরও কটি চালাঘর। এর মধ্যে এসে জোটে কয়েকজন চণ্ডালও। ক্রমে বেড়ে চলে তাদের প্রতিপত্তিও। দশবল চণ্ডডামর নামে দশাসই চেহারার মহাবলশালী এক বাগদি এদের সর্দার হয়ে একটি লেঠেল বাহিনী গড়ে তোলে। বহুদূরের যেসব গ্রামে এককালে অনার্য সর্দার রাজাদের রাজত্ব ছিল, এদের পূর্বপুরুষরা ছিল তাদেরই সেনাদলে। বংশানুক্রমে মড়া পোড়ানো, চালাঘর আর বাঁশ-বেতের ঝুড়ি, চুবড়ি তৈরিই যাদের প্রধান উপজীবিকা ছিল, পরে তার জায়গা নেয় চুরি-ডাকাতি। লাঠি ছাড়াও তরোয়াল, বল্লম, তির-ধনুকের মতো অস্ত্র চালনায় দক্ষ এক বাহিনী নিয়ে চণ্ডডামর একদিন জঙ্গলের বাইরে বেশ ক’টি গ্রাম দখল করে স্বাধীন পরাক্রমশালী রাজা হয়ে বসে। দিল আকাশ নামে একটি গ্রাম হয়ে ওঠে তার রাজধানী।
প্রচণ্ড শক্তিধর হলেও চণ্ডডামরের রাজা হওয়ার পিছনে সহায় হয়েছিল ভৈরবঘণ্ট নামে এক কাপালিক। সেই-ই ছিল তার গুরু। ভৈরবী দেবীর পূজারীও ছিল সে। বিশেষ অমবাস্যায় দেবীমূর্তির সামনে পোঁতা হাড়িকাঠে হতো নরবলি। ভৈরবঘণ্টের হাতেই প্রাণ যেত হতভাগ্যদের, আর তাদের ধরে আনতো চণ্ডডামরের লেঠেলরা।
ঘনজঙ্গলের অদূরে ছোট একটি নদী, নদী তীরে শ্মশান। বয়স্কদের মৃতদেহ দাহ করা হলেও মৃত শিশুদের দেহ পুঁতে দেওয়া হয় মাটিতে। জঙ্গলে আছে ছোট গুলবাঘ, দাঁতাল শুয়োর, বুনো মোষ, ভল্লুক, হায়েনা আর শেয়াল। মাটি খুঁড়ে শবদেহ বের করে তারা উদরপূর্তি করে, যখন যেমন জোটে। চতুর্দিকে ছড়ানো হাড়গোড়, পোড়াকাঠ, ছেঁড়া কাপড়, মড়ার খুলি আর মাটির কলসি দিনের বেলাতেও জায়গাটা ভয়ঙ্কর করে তোলে। এমন জায়গাই তো তন্ত্রসাধনার পক্ষে সবচেয়ে উপযুক্ত। কাপালিক ভৈরবঘণ্টও শ্মশান-লাগোয়া খানিকটা জায়গা বেছে নিয়েছিল ত্রিশূল পুঁতে, ধুনি জ্বালিয়ে তার সাধনস্থল করার জন্য।
এই ভৈরবঘণ্ট আসলে ছিল তন্ত্রসাধকের দলছুট মনুষ্যরূপী এক শয়তান। দু-চারটে হঠযোগের কারসাজি দেখিয়ে জঙ্গলের বোধবুদ্ধিহীন মানুষদের মন জয় করা ছাড়াও, শবসাধনার নামে নরবলির মতো বীভৎস আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে, সে যে অলৌকিক শক্তির অধিকারী, সেটা দেখানোও ছিল তার উদ্দেশ্য। লেঠেলরা তো বটেই, তাদের বাগদি রাজাও এ জন্য পদানত ছিল তার। চণ্ডডামর হয়ে উঠেছিল ভৈরবঘণ্টর প্রধান শিষ্য।
ভৈরবঘণ্ট যে কবে কোথা থেকে এসে সেখানে ত্রিশূল পুঁতেছিল সে ইতিহাস তলিয়ে গেছে কালনদীতে। তবে তাকে প্রথম দেখাতেই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিল চণ্ডডামর—কাপালিকের চিতাভস্ম মাখা দেহ, চোখ দুটো রক্তবর্ণ, পরনে বাঘছাল, গলায় রুদ্রাক্ষ আর হাড়ের মালা। তার হাতে ধরা মড়ার খুলিতে রাখা কারণবারি পান করতে করতে এসে দাঁড়িয়েছিল তার সামনে ভৈরবঘণ্ট, পিলে চমকানো ডাক ছেড়েছিল ‘ব্যোমকালী’। দুর্ধর্ষ লেঠেল চণ্ডডামর সেদিন একেবারে মোহিত হয়ে গিয়েছিল। আর কাপালিকও বশ করে ফেলেছিল তাকে। আভূমি নত হয়ে সাষ্টাঙ্গে প্রণাম করতেই ভৈরবঘণ্ট তার মাথায় হাত রেখে আশীর্বাদ করে বলেছিল ‘তোকেই আমার প্রধান শিষ্য করে নিলুম।’
খাদ্য খাদ্যের বিচার নেই কাপালিকের। গাঁজা, মদ তো আছেই, শবদাহের সময় প্রচণ্ড শব্দে মড়ার মাথার খুলি ফাটলেই ভৈরবঘণ্ট একছুটে গিয়ে বড় লোহার চিমটে দিয়ে সেখান থেকে ঘিলুটুকু তার হাতে ধরা খুলিতে ভরে নিয়ে আসে। এ যেন তার পরম উপাদেয় খাদ্য। আর এটি সে খায় তার চ্যালা-চামুণ্ডাদের সামনেই। এহেন ভয়ঙ্কর জীবকে কেউ শ্রদ্ধা না করে পারে? বাগদি রাজার লোকজন তাই নিয়মিত তার মদ, মাংস, গাঁজার জোগান দিয়ে নিজেদের ধন্য মনে করে।
আজও এসেছে মদ, দেবীর বিশেষ পুজো বলে কথা। মাটির বড় জালায় ভর্তি করে রাখা হয়েছে মদ। তাছাড়া জঙ্গল থেকে শিকার করা পেল্লাই সাইজের দুটো বুনো শুয়োরও আছে। ভোজনপর্ব অবশ্য আগামীকাল। আজ পুজো শেষ হলে কাপালিক দেবে নরবলি, তখন অবশ্য সেখানে কারও থাকার অনুমতি নেই।
আজ অবশ্য সন্ধে থেকেই কাপালিকের আশ্রম প্রায় ফাঁকাই। ক’দিন ধরেই তো বৃষ্টি ঝরছে, কখনও ঝিরঝির করে, কখনও জোরে। অকাল বর্ষণ তো বটেই। আকাশ মেঘে মেঘে ঠাসা। বিদ্যুৎ চমকেরও শেষ নেই। তা হোক, ভৈরবঘণ্টের চালাটি এমনই মজবুত, ভেতরে জল পড়ার সম্ভাবনা নেই। তার ধুনি জ্বলছেই, আর সে পরম নিশ্চিন্তে মদ খেয়ে চলেছে। আরও একটু শক্তি সঞ্চয়ের প্রয়োজন বুঝি তার আজ অন্তত।
দেবী ভৈরবীর মন্দির থেকে খানিকটা দূরে জঙ্গলের গা ঘেঁষে গোরুর খোঁয়াড়ের মতো একটু জায়গা কাঠের বল্লা দিয়ে ঘেরা। তার চারদিকে ঢাকা শুকনো ডালপালা দিয়ে। বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই যে সেখানে বেঁধে রাখা হয়েছে নরবলি দেওয়ার মানুষটিকে। ডাকাতি করতে গিয়ে চণ্ডডামরের লেঠেলরা এবারে ধরে এনেছে, সেখান থেকে ক্রোশ দু’য়েক দূরের আসণ্ডা গ্রামের বছর বাইশ-চব্বিশের এক যুবককে। তাদের ডাকাতিতে সে বাধা দেওয়ার খুব চেষ্টা করেছিল। কিন্তু দুর্ধর্ষ লেঠেলদের সঙ্গে সে একা আর কতক্ষণই বা যুঝতে পারে? লেঠেলরা তাকে না মেরে পিছমোড়া করে বেঁধে তাদের রাজগুরু কাপালিকের পায়ের সামনে এনে ফেলেছিল। কাপালিকও খুঁটিয়ে তার সর্বাঙ্গ দেখে নরবলির জন্য যথোপযুক্ত বলে রায় দিয়েছিল।
তবে এরপর যে কোথা থেকে বলির জন্য মানুষ পাওয়া যাবে তা ভাবনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। চণ্ডডামরের লোকরাই খবর এনেছে, প্রকোপ দেখা দিয়েছে মহামারীর। ভুরশুট পরগনা জুড়েই একের পর এক গ্রাম জনশূন্য হয়ে যাচ্ছে ওলাউঠায়। কয়েক ক্রোশ দূরে দামোদরের যে শাখা নদ রোন, তার ওপর নৌকো বেয়ে বেশ কিছু মানুষ ভয়ে চলে গেছে দেশান্তরে। লেঠেলরা এখন আর চুরি-ডাকাতিই বা করবে কোথায়? জংলি জানোয়ার মেরে চলবে ক’দিন? কিন্তু সে কথা তো পরে ভাববার। এখন অন্ধকার না থাকলে সেই খোঁয়াড়ে গেলে দেখা যেত, ভয়ে, হতাশায় আসণ্ডা গ্রামের সেই বন্দি যুবকটি মাত্র ক’দিনেই যেন বুড়ো হয়ে গেছে। একদিন তাকে যথেষ্ট খাবার দেওয়া হলেও, মৃত্যুভয়ে সে খাবার তার গলা দিয়ে আর নামেনি। কখনও সে প্রাণপণে ভগবানকে ডেকেছে, কখনও ভেবেছে স্ত্রী-পুত্র পরিজনদের কথা। কোন পাপে তার এমন দশা, কে দেবে তার উত্তর? সে যে আর কোনওদিন প্রাণটুকু নিয়ে তার গাঁয়ে ফিরে যেতে পারবে—এ আশা আর নেই তার মনে। এখন শুধুই শেষ সময়ের প্রহর গোনা। লেঠেলদেরই একজন তাকে সকালে খাবার দিতে এসে বলে গেছে, আজই তার শেষ খাওয়া। লোকটা অবশ্য এও বলেছে, ‘তুমি তো দেবী ভৈরবীর সেবায় নেগে যাচ্চো, এবার নিঘঘাত সঙ্গে যাবে, আর জমা নিতে হবে নে?’ সেই কথাগুলোই কানে বাজছে এখন তার। কিন্তু মন কি তা মানে? ছোটবেলায় গল্প শুনেছিল বটে কাপালিকের, কিন্তু ভৈরবঘণ্টকে দেখার আগে, সে কখনওই কোনও কাপালিককে দেখেনি। অমন ভয়ঙ্কর চেহারার কোনও মানুষকেও না।
মোটা একটি কাঠের খুঁটির সঙ্গে তার একটি পা বাঁধা থাকলেও যুবকটির হাত দুটি খোলাই। কিন্তু কোনওক্রমে পায়ের বাঁধন খুলতে পারলেও খোঁয়াড় থেকে বেরবার কোনও উপায়ই যে তার নেই, একদিনে চারপাশ খুঁটিয়ে দেখে দেখে সে কথা বোঝা হয়ে গিয়েছিল বেচারার।
মাঝে মাঝে মনস্তাপও হয়েছে তার, কেন যে সে একাই লড়তে গেল ডাকাতদের সঙ্গে! কই সেদিন আর তো কেউ এসে তার পাশে দাঁড়াল না? গাঁয়ে তার বয়সি তো অনেকজনই আছে?
রাগ, ক্ষোভ, অভিমান, হতাশা—সব মিলিয়ে বন্দিদশার ক’টা দিন তাকে দুর্বল থেকে দুর্বলতরই করেছে, মন আর শরীর দু’দিক থেকেই। নিজেকে এখন ভাগ্যের হাতে ছেড়ে দিয়ে বসে থাকা ছাড়া আর কী-ই বা করার?
কড়কড় কড়াৎ শব্দে বাজ পড়ল যেন কাছেই। তারপরই বৃষ্টি শুরু হল দ্বিগুণ জোরে। মাঝরাত তো পেরিয়ে গেল, আর তো কালক্ষেপ করা চলে না। কাপালিককে উঠতেই হবে এবার। নরবলির এমন উপযুক্ত সময় এবং আবহাওয়া আর কোনওদিনই আসেনি তার জীবনে। নরমুণ্ডের আসন ছেড়ে উঠে পড়ল ভৈরবঘণ্ট। এমনিতেই এ সময় শ্মশান চত্বর কিংবা তার আশ্রমের আশপাশেও কারও থাকার কথা নয়, তার ওপর এমন প্রবল বর্ষণে কে আর বেরবে বাইরে। ভৈরবঘণ্ট অবশ্য জল-ঝড়-বজ্রপাত কোনও কিছুরই পরোয়া করে না। নিজেকে সে পিশাচসিদ্ধ হিসেবে ভাবতে ও প্রচার করতে ভালোবাসে খুবই। আজ বেশ ভালো পরিমাণ কারণবারি পানের সুবাদে তার মেজাজ হয়েছে আত্মতুষ্ট মাতালের মতোই।
বলিদানের কাজটাও তার কাছে বাঁ হাত কা খেল। এ পর্যন্ত অন্তত পাঁছ-ছটা মানুষের বলি হয়ে গেছে তার হাতে। আজও তো সেই খেলাই। খোঁয়াড় থেকে মানুষটাকে টেনে এনে হাড়িকাঠে প্রথমে তার মাথাটা ঢুকিয়ে দেওয়া, তারপর কিছু মন্ত্রোচ্চারণ করে মানুষটার ওপর একটু জল ছিটিয়ে দিয়ে দেবী ভৈরবীকে নিবেদন করে, ধারালো কাতানটা তুলে নিয়ে এক কোপে তার ধড় আর মুণ্ড আলাদা করে ফেলা। এর অন্যথা হয়নি কোনও দিন। খোঁয়াড়ের দিকে এগতে এগতে এ কথা ভেবে মনে মনে আত্মপ্রসাদের হাসি হেসে নিল ভৈরবঘণ্ট।
বৃষ্টির দাপটে চোখ ঝাপসা হয়ে যাচ্ছে, পা দুটোও কি টলছে তার? শুঁড়ি পথটা নেহাত চেনা তাই, তা না হলে এগনো মুশকিলই হতো এই মুষলধারার বৃষ্টিতে। এ রাতটা কিন্তু কেমন অস্বাভাবিক ঠেকছে কাপালিকের! কত অমাবস্যাই তো এসেছে, কই এমন বৃষ্টি আর...
হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দে আকাশখানা যেন ফেটে পড়ল, আর তার কয়েক মুহূর্ত আগে আগুনের একটা গোলা হয়ে বজ্রপাত, ভৈরবঘণ্টের দীর্ঘ দেহটা কাটা কলাগাছের মতো ফেলে দিল। তার ওপর দিয়ে বইতে লাগল জলের ধারা। নিমেষের মধ্যে অর্ধদগ্ধ মড়া হয়ে পড়ে রইল ভৈরবঘণ্ট।
ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে। একটু আগে থেমে গেছে বর্ষণও। গুরুর ভজন-পূজন সাধন আরাধন—সবই এতক্ষণ সারা হয়ে গেছে ভেবে চণ্ডডামর তার দলবল নিয়ে চলল আশ্রমের দিকে। যেতে যেতে এক ফাঁকে উঁকি দিল খোঁয়াড়ে। আশ্চর্য, যুবকটি তো বসেই আছে; তাহলে কি আজ বলি হল না? চণ্ডডামরের কপালে পড়ল চিন্তার ভাঁজ, এমনটা তো হওয়ার কথা নয়! হন্তদন্ত হয়ে এবার এগতে লাগল সবাই।
কয়েক পা এগিয়েই কিন্তু থমকে দাঁড়াতে হল সবাইকে। এ কী সর্বনাশ! গুরু ভৈরবঘণ্টের এমন দশা কে করল? পিশাচই কি? কিন্তু সে যে বলেছিল পিশাচসিদ্ধ সে! তাহলে? পুজোয় কি কিছু খুঁত হয়েছিল, নাকি মা ভৈরবীই নরবলি চান না আর? 
15th  November, 2020
আনলাকি শার্ট
প্রদীপ আচার্য

তিনটে মানে ঘড়ি ধরে ঠিক তিনটে। রিনি এসে ক্যাব থেকে নামল। মোহরকুঞ্জের সামনে প্রায় মিনিট কুড়ি আগেই এসে দাঁড়িয়েছে অর্জুন। রিনির কড়া হুকুম, ‘আমার দেরি হোক, তুমি দেরি করবে না।’ না। দেরি করেছে অর্জুন, এমন হয়নি কখনও। আর এখন তো দেরি করার প্রশ্নই ওঠে না। লকডাউন উঠে গিয়ে আনলকের পালা। পায়ের বেড়ি কিছুটা আলগা হতেই রিনির ফোনে হুকুমজারি, ‘খুব জরুরি দেখা করো।’ বিশদ

29th  November, 2020
 আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- প্রথম কিস্তি। বিশদ

29th  November, 2020
সময় ঘড়ি

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত। বিশদ

29th  November, 2020
বন্ধুত্বের রং 

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন বুবুন চট্টোপাধ্যায়।
বিশদ

22nd  November, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- শেষ কিস্তি। 
বিশদ

22nd  November, 2020
স্বর সন্ধান
বিজলি চক্রবর্তী 

তরতর করে লিফ্ট নীচে নেমে এল। যত তাড়াতাড়ি লিফ্ট ওপরে তোলে তত তাড়াতাড়িই নীচে নামিয়ে আনে। বেসরকারি অফিস। ঠাঁটবাটের অভাব নেই। এই ধরনের সংস্থায় চাকরি পাওয়া সহজ নয়। কিন্তু চাকরি চলে যাওয়া সহজ। চাকরি চলে যাওয়ার কারণটা অনেক সময় খুব স্পষ্ট থাকে না। স্পষ্ট হলেও করবার কিছু থাকে না। সেই কারণে সবাই কিছুটা তটস্থই থাকে। অন্যত্র চাকরি খোঁজার চেষ্টা জারি রাখে। বেটার কোনও অপশন পেলে চলেও যায়। 
বিশদ

22nd  November, 2020
আজও তারা জ্বলে 

 বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- দশম কিস্তি। বিশদ

15th  November, 2020
আমরি বাঙাল ভাষা

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন ঋতা বসু।  বিশদ

15th  November, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- নবম কিস্তি।  বিশদ

08th  November, 2020
চলার পথে
হ স্তা ক্ষ র 

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন গৌর বৈরাগী।  বিশদ

08th  November, 2020
চাঁদনি
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

এখন পলাশের মাস। তাই ফাগুনে আগুন। তবে সে আগুন মনে নয়, বনে। রঙের আগুন। দিগন্তজোড়া বনে পাহাড়ে শিমুল ও পলাশ লালে লাল। দু’চোখ ভরে সেদিকে তাকালে মনভ্রমরা গুনগুনিয়ে ওঠে। একেবারে নিশিভোরে জনতা এক্সপ্রেস থেকে জশিডিতে নেমেই তমালও কেমন যেন উদাস হয়ে গেল।  বিশদ

08th  November, 2020
জিলাবি

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন চিরঞ্জয় চক্রবর্তী। বিশদ

01st  November, 2020
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- অষ্টম কিস্তি। বিশদ

01st  November, 2020
স্মৃতির সরণী বেয়ে
সায়ন্তনী বসু চৌধুরী

সদ্য পাটভাঙা ধবধবে সাদা শাড়ির মতো কুয়াশার আস্তরণটা একটু একটু করে সরছে। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আড়মোড়া ভাঙতে ভাঙতে শুভ্র দেখল ব্লু কোরাল ব্লকের একটা বাচ্চা নাইটস্যুট পরে দরজায় দাঁড়িয়ে মুখভর্তি কুয়াশা টেনে নিয়ে হাঁ করে করে ধোঁয়া ছাড়ছে। আর কচি হাত দুটো দু’পাশে ছড়িয়ে ব্যস্ত পাখির ডানা ঝাপটানোর মতো একটা ভঙ্গি করছে। বিশদ

01st  November, 2020
একনজরে
সীমান্তে পাচার রুখতে আরও কঠোর হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত বরাবর কোথাও যেন কাঁটাতারবিহীন এলাকা না থাকে, তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দুই দেশের সীমান্তের মধ্যে কাঁটাতার নেই মালদহের যে সব সীমান্তে, ...

পরিবার পরিকল্পনার অধিকাংশ সূচকে দেশে এক নম্বরে বাংলা। কেন্দ্রীয় সরকারের অক্টোবর মাসের তথ্য থেকে একথা জানা গিয়েছে। এই সূচকগুলির মধ্যে গর্ভনিরোধক ওষুধ বা পিল থেকে শুরু করে বন্ধ্যাত্বকরণ, মেয়েদের আইইউসিডি থেকে শুরু করে ছেলেদের নিরোধ ব্যবহার— অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেশে শীর্ষে ...

গত এক মাসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সহায়ক মূল্যে ৬ কোটি ৩৭ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার ধান কেনা হয়েছে। গত ২ নভেম্বর থেকে রাজ্যজুড়ে সহায়ক মূল্যে ...

কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে কুৎসামূলক প্রচার নিয়ে এবার বিজেপি’র এক উগ্র সমর্থকের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিসে অভিযোগ দায়ের হল। মঙ্গলবার শেক্সপিয়র সরণী থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেন প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর ছেলে তথা দলের সাধারণ সম্পাদক রোহন মিত্র। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায়  সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো
১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু
১৯৮৮: পাকিস্তানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হলেন বেনজির ভুট্টো
১৯৮৯: ভারতের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী হলেন ভিপিসিং 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.১৭ টাকা ৭৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ৯৭.২১ টাকা ১০০.৬৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৬ টাকা ৯০.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৯৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,৪৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭,১৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬০,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া ৩০/৪৪ সন্ধ্যা ৬/২৩। মৃগশিরা নক্ষত্র ১১/২২ দিবা ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৪/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/২৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/২৯ গতে ৮/১২ মধ্যে পুনঃ ১০/২১ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৮/২০ গতে ৩/২৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ গতে ৭/২৯ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ৩/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৫ গতে ১০/৫ মধ্যে পুনঃ ১১/২৬ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৫ গতে ৪/২৫ মধ্যে। 
 ১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া সন্ধ্যা ৫/৪। মৃগশিরা নক্ষত্র দিবা ১০/২৪। সূর্যোদয় ৬/৬, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১০/২৮ গতে ১২/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৬/৩৬ মধ্যে ও ৮/২৫ গতে ৩/৩২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৬ গতে ৭/৩৮ মধ্যে ও ১/১৭ গতে ৩/২৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪৬ গতে ১০/৭ মধ্যে ও ১১/২৭ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৬ গতে ৪/২৬ মধ্যে। 
১৬ রবিয়ল সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। বৃষ: নানা উপায়ে অর্থপ্রাপ্তির সুযোগ। ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
  ১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো ১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস ...বিশদ

04:28:18 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদ ও জামশেদপুরের ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র

09:33:58 PM

জিএসটি ফাঁকি: কলকাতা সহ রাজ্যের ১০৪টি ময়দা মিলে হানা আধিকারিকদের

06:29:00 PM

তৃতীয় একদিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩ রানে জয়ী ভারত

05:15:15 PM

কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ: টিকা নিতে নাইসেডে ফিরহাদ হাকিম

04:15:35 PM