Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

আমরি বাঙাল ভাষা

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন ঋতা বসু।

বহুদিন থেকেই মনে ইচ্ছে ছিল একবার বাংলাদেশ যাব। তিন বাঙাল ও এক ঘটি মিলে একুশে ফেব্রুয়ারি ঢাকা পৌঁছলাম। শহিদ দিবস নিয়ে আজ আর নতুন করে বলার কিছু নেই। বাঙাল-ঘটি দু’দলের কাছেই এই দিনটি গর্বের।
আমার নিজের ভালো লাগার আলাদা গোপন কারণটি হচ্ছে বহুদিন বাদে প্রাণভরে বাঙাল ভাষা শুনলাম ক’দিন আর নানা ভাষার বিভিন্ন শব্দকে নিজস্ব ঢংয়ে কাটছাঁট করে নেবার অপূর্ব ক্ষমতাটি বাঙালের একই আছে দেখে নিশ্চিন্ত হলাম।
বিশেষ করে ইংরেজি শব্দকে ঘুরিয়ে অন্যরকম করে দিতে খাঁটি বাঙালের বিশেষ সময় লাগে না। আমাদের বাড়িতে এক সুপ্রাচীন ঠাকুমা আসতেন। মা জেঠিমারা তখন মিটসেফকে মিসচেফ, কোলাপসিব্‌ল্‌ গেটকে কোলাপসুল গেট, টম্যাটোকে টমেটু বলেন। সেই ঠাকুমা একান্নবর্তী বাড়ির তরকারি কোটার আসরে একটা টম্যাটো হাতে তুলে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আপন মনেই বললেন, ‘আগে কইত বাইগুন, তারপর কয় বিলাইতি বাইগুন। এখন কয় মন্টু।’
কোন শব্দ কার কানে কী যে বাঁশরি শোনায় বোঝা মুশকিল।
বাঙাল বাড়িতে প্রথম টিভি আসার দিন ছেলেপিলেরা বিদেশের অনুষ্ঠান দেখার ইচ্ছে প্রকাশ করলে পর মেকানিকটি অচেনা একটা ইংরেজি শব্দ বলে চলে গেল। অমনি বাড়িসুদ্ধ সবাই বায়না ধরল ‘বুচিস্টার’ চাই। বোঝা গেল মেকানিকের দেশও পদ্মাপারে। নয়তো এত অনায়াসে বুস্টারকে হজম করে নতুন শব্দ বানাতে পারত না।
ঢাকায় আমরা যেখানে উঠেছিলাম সেই অতিথিশালার সেবক একদা প্যারিসে ছিল। আমিও প্যারিসে গিয়েছি শুনে উৎসাহের সঙ্গে জিজ্ঞেস করল, সঞ্জলি বড় সুন্দর, না?
খুব আপসোস হল। প্যারিস গেলাম অথচ এমন জায়গাটা দেখা হল না। সে আমার দুঃখ দূর করার জন্য বর্ণনা শুরু করতেই বুঝতে পারলাম- সাঁজেলিজে।
স্টিমারে বরিশাল যাবার পথে খাদ্যতালিকায় ‘পিচ’ প্রতি কতরকম মাছের দাম দেখেছিলাম। ‘ফুস্‌কাও’ ছিল তার মুচমুচে ‘চ’ বর্ণটিকে হারিয়ে।
আমাদের সারথিটি ছিল অতি চমৎকার। সারা রাস্তা গানে গল্পে ভরিয়ে রেখেছিল। এর ‘ভাইডি’ আবার ভয়ানক বলিউড ভক্ত। তাদের অতীত বর্তমান সব নখদর্পণে। ‘শেফালি খানে’র আগের পক্ষের মেয়েকে চিনি নাকি জিজ্ঞেস করছিল।
—শাহরুখ খান?
—না না শেফালি খান।
—ছেলে না মেয়ে?
—কী যে কন-মাইয়া হইব কোন দুঃখে?
ছেলে হবার সুখটা জানি না বলে মাইয়া হওয়ার দুঃখটাও বুঝলাম না। শেষে হাল ছেড়ে দিয়ে জানি না বলায় সে আশ্চর্য হয়ে তার পরিচয় দিতেই চিনতে পারলাম— সইফ আলি খান।
বাঙাল বলবে, ফ্যানটা একটু ছেড়ে দেবে?
ঘটি বলবে, পাখাটা গোরু না ঘোড়া যে ছেড়ে দেব?
বাঙাল যেমন জীবনে বুঝবে না সে দরজা দেবে কেন? দরজা কি দেবার জিনিস?
স্বাধীনতার পরপর এ বঙ্গের একটু ঘাবড়ে থাকা বাঙালরা প্রাণপণে জিভের শত্রুতা চাপা দিতে পারলেও ভাষার খাঁজখোঁজে এভাবেই আটকে গিয়ে ধরা পড়ে যেত। তারপর এদেশের নরম হাওয়ায় বাঙাল জিভ অনেক মোলায়েম হয়ে এল। একেবারে খেলুম, গেলুম পার্টি না হলে তফাৎ করা মুশকিল।
সেই সময় ঘটি না বাঙাল বোঝার জন্য একটা সহজ পথ ছিল— জিজ্ঞেস করা হতো কোয়েশ্চেনের বাংলা কী?
উত্তরে ‘প্রশনো’ বললেই হয়ে গেল। ছোটবেলায় রাস্তায় বেরলে পাড়ার ছেলেরা নানাভাবে খ্যাপাত। একবার সঙ্গে ঠাকুমা ছিলেন। সংসারে স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত তেজস্বিনী মহিলা। তিনি ঘুরে দাঁড়িয়ে এই ঘোরতর অন্যায় সংলাপের প্রতিবাদ জানালেন। আমরা সংকুচিত হয়ে হাত ধরে টানাটানি করতে তিনি সগর্জনে বললেন, ‘কা হেতিরা কইব চিঙ্গড়ি মাছের কাঙ্গাল? বাঙ্গালরা যত মাছ দেখছে, খাইছে হেতিরা তত চোখে দেখছেনি?’
এই যে নিঃসংকোচে আত্মপরিচয় দিয়ে বাঙাল সংলাপ লিখে ফেললাম তার কারণ হচ্ছে বাংলা ভাষার যতই দুরবস্থা ঘটুক না কেন বাঙাল ভাষা কিন্তু বেশ গ্ল্যামারাস হয়ে উঠেছে। বাঙাল পরিচয়েরও শাপমুক্তি ঘটেছে।
বাঙাল পরিচয়ের জয়ধ্বজা তুলে সিংহ বিক্রমে এগিয়ে যাওয়ার প্রথম কৃতিত্ব অবশ্যই অভিনেতা ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের। বাঙাল ভাষায় একটার পর একটা কমিক পেশ করে ঘটি-বাঙাল দু’দলকেই তিনি কাবু করে ফেলেছিলেন। বাঙালত্ব নিয়ে ঠাট্টা করা এক ঘটিকে তাঁর বিখ্যাত উক্তি— আমি তো বাঙাল আপনি কী?
—বাঙালি।
—তবেই দ্যাখেন, আমি বাঙাল, পুংলিঙ্গ। আপনি বাঙালি, স্ত্রীলিঙ্গ।
মনে করুন মুজিবর রহমানের সেই ঐতিহাসিক বক্তৃতা— ‘কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবা না’। অতি বড় বাঙাল বিদ্বেষীও স্বীকার করবে এই ভাষার জোর।
ভাষার জোর বুঝতে গেলে অবশ্য অত দূর না গেলেও চলে। কারওকে বধ করতে হলে গুলির দরকার নেই বাঙাল ভাষার গালিই যথেষ্ট। ‘লাত্‌থি’র যা জোর তা ‘লাথি’ কল্পনাও করতে পারবে না। ‘থাবড়া’র কাছে চড় নেহাতই বালখিল্য।
এ ব্যাপারে সর্বোত্তম গল্পটি বলেছেন বরিশালের কৃতী সন্তান তপন রায়চৌধুরী। বরিশালে পর্তুগিজ পত্তনির কারণে সেখানকার বেশ কিছু নাম হতো পর্তুগিজ। যেমন গোমেজ আল্ভারেজ ইত্যাদি। সেই সময়ে যাঁরা রোমান ক্যাথলিক হয়েছিলেন তাঁদের বংশধর।
তোমরা কী জাত? এই প্রশ্নের উত্তরে তারা বলতেন ‘আইগ্‌গা মোরা রোমাই কাত্তিক।’ একদা কার্তিক সম্প্রদায় প্রচণ্ড উৎসাহে কালীপুজো করছে দেখে জিজ্ঞেস করা হল— ‘কালীপুজা করতে আছ? তরা না রোমাই কাত্তিক?’
আল্ভারেজ কোম্পানি ক্ষোভে ফেটে পড়লেন— ‘রোমাই কাত্তিক হইছি দেইখ্যা কি আমাগো জাত গ্যাছে?’
ধর্মের সঙ্গে জাতের যে সম্পর্ক নেই সেটা বীর বাঙাল প্রমাণ করে দিয়েছে।
আমাদের ঘটি বন্ধু প্রেম করে বিয়ে করেছে বাঙালকে। ক’দিন বাদে কোনও আত্মীয়া মধুর গলায় জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী করে নতুন বউ?’
বাঙাল শাশুড়ির চাঁচাছোলা উত্তর, ‘ঘুম মারতাসে।’
চল্লিশ বছর আগের বাঙালি সংসারের চালচিত্রে নতুন বউ এখনও উঠে কাজে লাগেনি, এই অনিয়মটা শুধু ঘুমচ্ছে বললে কি বোঝা যেত?
হ্যাঁ ভাই , না ভাই , নেবু, নুচি, নঙ্কার মতো মিঠে বুলি আজ আর শোনা যায় না। ডেড়টা, বারন্ডা, গেলাস বলা ঘটিও প্রায় অমাবস্যার চাঁদ। সে সব স্পেশাল বাঙালরাও কোথায় যেন অদৃশ্য হয়ে গেছে, যারা যে কোনও শব্দকে নিজের ইচ্ছেমতো চেহারা দিয়ে বাজারে ছেড়ে দেবার মতো বেপরোয়া ও স্মার্ট ছিল।
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল 
15th  November, 2020
আনলাকি শার্ট
প্রদীপ আচার্য

তিনটে মানে ঘড়ি ধরে ঠিক তিনটে। রিনি এসে ক্যাব থেকে নামল। মোহরকুঞ্জের সামনে প্রায় মিনিট কুড়ি আগেই এসে দাঁড়িয়েছে অর্জুন। রিনির কড়া হুকুম, ‘আমার দেরি হোক, তুমি দেরি করবে না।’ না। দেরি করেছে অর্জুন, এমন হয়নি কখনও। আর এখন তো দেরি করার প্রশ্নই ওঠে না। লকডাউন উঠে গিয়ে আনলকের পালা। পায়ের বেড়ি কিছুটা আলগা হতেই রিনির ফোনে হুকুমজারি, ‘খুব জরুরি দেখা করো।’ বিশদ

29th  November, 2020
 আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- প্রথম কিস্তি। বিশদ

29th  November, 2020
সময় ঘড়ি

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত। বিশদ

29th  November, 2020
বন্ধুত্বের রং 

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন বুবুন চট্টোপাধ্যায়।
বিশদ

22nd  November, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- শেষ কিস্তি। 
বিশদ

22nd  November, 2020
স্বর সন্ধান
বিজলি চক্রবর্তী 

তরতর করে লিফ্ট নীচে নেমে এল। যত তাড়াতাড়ি লিফ্ট ওপরে তোলে তত তাড়াতাড়িই নীচে নামিয়ে আনে। বেসরকারি অফিস। ঠাঁটবাটের অভাব নেই। এই ধরনের সংস্থায় চাকরি পাওয়া সহজ নয়। কিন্তু চাকরি চলে যাওয়া সহজ। চাকরি চলে যাওয়ার কারণটা অনেক সময় খুব স্পষ্ট থাকে না। স্পষ্ট হলেও করবার কিছু থাকে না। সেই কারণে সবাই কিছুটা তটস্থই থাকে। অন্যত্র চাকরি খোঁজার চেষ্টা জারি রাখে। বেটার কোনও অপশন পেলে চলেও যায়। 
বিশদ

22nd  November, 2020
আজও তারা জ্বলে 

 বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- দশম কিস্তি। বিশদ

15th  November, 2020
ভৈরবঘণ্টের ভবলীলা
তরুণ চক্রবর্তী

অমাবস্যার নিশুতি রাত, গভীর জঙ্গলে রাত আরও কালি ঢালা। সকাল থেকেই অসময়ের বৃষ্টি কখনও ঝিরঝিরে, কখনও প্রবল হয়ে ঝরেই চলেছে। ঘন জঙ্গলের মধ্যেও এক এক জায়গায় ক’টা চালাঘর। কঞ্চির ওপর মাটি লেপে দেওয়া ঘরগুলোয় চণ্ডালদের বাস। বুনো জানোয়ার আর মানুষের আশ্চর্য এক সহাবস্থান এখানে। বাগে পেলে অবশ্য কেউই কাউকে ছাড়ে না।
বিশদ

15th  November, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- নবম কিস্তি।  বিশদ

08th  November, 2020
চলার পথে
হ স্তা ক্ষ র 

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন গৌর বৈরাগী।  বিশদ

08th  November, 2020
চাঁদনি
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

এখন পলাশের মাস। তাই ফাগুনে আগুন। তবে সে আগুন মনে নয়, বনে। রঙের আগুন। দিগন্তজোড়া বনে পাহাড়ে শিমুল ও পলাশ লালে লাল। দু’চোখ ভরে সেদিকে তাকালে মনভ্রমরা গুনগুনিয়ে ওঠে। একেবারে নিশিভোরে জনতা এক্সপ্রেস থেকে জশিডিতে নেমেই তমালও কেমন যেন উদাস হয়ে গেল।  বিশদ

08th  November, 2020
জিলাবি

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন চিরঞ্জয় চক্রবর্তী। বিশদ

01st  November, 2020
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- অষ্টম কিস্তি। বিশদ

01st  November, 2020
স্মৃতির সরণী বেয়ে
সায়ন্তনী বসু চৌধুরী

সদ্য পাটভাঙা ধবধবে সাদা শাড়ির মতো কুয়াশার আস্তরণটা একটু একটু করে সরছে। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আড়মোড়া ভাঙতে ভাঙতে শুভ্র দেখল ব্লু কোরাল ব্লকের একটা বাচ্চা নাইটস্যুট পরে দরজায় দাঁড়িয়ে মুখভর্তি কুয়াশা টেনে নিয়ে হাঁ করে করে ধোঁয়া ছাড়ছে। আর কচি হাত দুটো দু’পাশে ছড়িয়ে ব্যস্ত পাখির ডানা ঝাপটানোর মতো একটা ভঙ্গি করছে। বিশদ

01st  November, 2020
একনজরে
কৃষক বিক্ষোভের আঁচ ছড়াল দেশান্তরেও। কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। বিক্ষোভরত ‘রোদে পোড়া, তামাটে’ মানুষগুলোর পরিবার ও বন্ধুদের জন্য চিন্তিত বলে জানিয়েছেন তিনি। ...

সাখির (বাহরিন): গত সাতদিনে তিনবার কোভিড টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ এল ফর্মুলা-ওয়ান তারকা লুইস হ্যামিলটনের। যার জেরে আসন্ন সাখির গ্রাঁ প্রি’তে অংশ নিতে পারবেন না সাতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন রেসারটি। মঙ্গলবারই মার্সিডিজ-এএমজি পেট্রোনাস এফওয়ান দলের পক্ষ থেকে হ্যামিলটনের করোনায় আক্রান্তের খবর প্রকাশ্যে আনা ...

উম-পুন পরবর্তী ক্ষতিপূরণে দুর্নীতির যাবতীয় অভিযোগের তদন্ত করবে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ক্যাগ)। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল বি রাধাকৃষ্ণাণ ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার তিন মাসের মধ্যে তদন্তসাপেক্ষে ক্যাগকে রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছে। ...

সীমান্তে পাচার রুখতে আরও কঠোর হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত বরাবর কোথাও যেন কাঁটাতারবিহীন এলাকা না থাকে, তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দুই দেশের সীমান্তের মধ্যে কাঁটাতার নেই মালদহের যে সব সীমান্তে, ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায়  সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো
১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু
১৯৮৮: পাকিস্তানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হলেন বেনজির ভুট্টো
১৯৮৯: ভারতের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী হলেন ভিপিসিং 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.১৭ টাকা ৭৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ৯৭.২১ টাকা ১০০.৬৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৬ টাকা ৯০.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৯৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,৪৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭,১৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬০,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া ৩০/৪৪ সন্ধ্যা ৬/২৩। মৃগশিরা নক্ষত্র ১১/২২ দিবা ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৪/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/২৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/২৯ গতে ৮/১২ মধ্যে পুনঃ ১০/২১ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৮/২০ গতে ৩/২৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ গতে ৭/২৯ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ৩/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৫ গতে ১০/৫ মধ্যে পুনঃ ১১/২৬ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৫ গতে ৪/২৫ মধ্যে। 
 ১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া সন্ধ্যা ৫/৪। মৃগশিরা নক্ষত্র দিবা ১০/২৪। সূর্যোদয় ৬/৬, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১০/২৮ গতে ১২/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৬/৩৬ মধ্যে ও ৮/২৫ গতে ৩/৩২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৬ গতে ৭/৩৮ মধ্যে ও ১/১৭ গতে ৩/২৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪৬ গতে ১০/৭ মধ্যে ও ১১/২৭ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৬ গতে ৪/২৬ মধ্যে। 
১৬ রবিয়ল সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। বৃষ: নানা উপায়ে অর্থপ্রাপ্তির সুযোগ। ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
  ১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো ১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস ...বিশদ

04:28:18 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদ ও জামশেদপুরের ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র

09:33:58 PM

জিএসটি ফাঁকি: কলকাতা সহ রাজ্যের ১০৪টি ময়দা মিলে হানা আধিকারিকদের

06:29:00 PM

তৃতীয় একদিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩ রানে জয়ী ভারত

05:15:15 PM

কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ: টিকা নিতে নাইসেডে ফিরহাদ হাকিম

04:15:35 PM