Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

স্বর সন্ধান
বিজলি চক্রবর্তী 

তরতর করে লিফ্ট নীচে নেমে এল। যত তাড়াতাড়ি লিফ্ট ওপরে তোলে তত তাড়াতাড়িই নীচে নামিয়ে আনে। বেসরকারি অফিস। ঠাঁটবাটের অভাব নেই। এই ধরনের সংস্থায় চাকরি পাওয়া সহজ নয়। কিন্তু চাকরি চলে যাওয়া সহজ। চাকরি চলে যাওয়ার কারণটা অনেক সময় খুব স্পষ্ট থাকে না। স্পষ্ট হলেও করবার কিছু থাকে না। সেই কারণে সবাই কিছুটা তটস্থই থাকে। অন্যত্র চাকরি খোঁজার চেষ্টা জারি রাখে। বেটার কোনও অপশন পেলে চলেও যায়। সেটা অনেক বেশি সম্মানের। গ্রাউন্ড ফ্লোরে এসে লিফ্ট থামল। নিঃশব্দে ভারী দরজা খুলে গেল। অবনী বাইরে এসে দাঁড়াল। মুক্ত বাতাস। এতক্ষণ যান্ত্রিক বাতাবরণে কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়েছে। থাকতে হয়। এটাই দস্তুর। বাইরের খোলা আকাশ-বাতাসের কথা মনেই পড়ে না। বাইরে এলে উন্মুক্ত বাতাসে শরীর জুড়িয়ে যায়। তবে তখন থাকে না সূর্য বা চাঁদের আলো। যান্ত্রিক আলো সব অন্ধকার ঢেকে দেয়। চট করে অবনী ক্যাব বুক করে নিল। দু’ মিনিটের মধ্যে ক্যাব চলেও এল। কর্মব্যস্ত নিউটাউন। আলো ঝলমল নিউটাউন। ঝকঝকে রাস্তা। একটু এগিয়ে সামনেই বিখ্যাত বৃদ্ধাশ্রম। রহস্যময় আলো দিয়ে ঘেরা। উন্মুক্ত আকাশের নীচে সবুজ গালিচা। সুদৃশ্য লন, নীল আলোর বাতিস্তম্ভ। স্নিগ্ধ আলোর বিচ্ছুরণ। রঙিন ফুলের বাগান। বিরাট গেট বন্ধ। বিশেষ অনুমতি ছাড়া ভেতরে প্রবেশ নিষেধ। কড়া পাহারা। মোটা টাকার বিনিময়ে এখানে থাকবার সুযোগ মেলে। অভিজাত পরিবারের বৃদ্ধবৃদ্ধারা এখানে থাকেন। বাবা-মাকে দেওয়ার মতো সময়, কখনও বা সুযোগ ছেলেমেয়েদের থাকে না। চাকরি সূত্রে অথবা বৈবাহিক কারণে বিদেশবাসী। আছে পর্যাপ্ত টাকা রোজগারের সুযোগ। সেই টাকার বিনিময়ে বাবা-মায়ের জন্য এইরকম নিশ্চিন্ত জীবনযাপনের ব্যবস্থা তারা করতে পারে। প্রিয়জনদের স্পর্শের অভাব দু’তরফই বোধ করে। ইন্টারনেটের দৌলতে দর্শন-সুখটা পাওয়া যায়। নিউটাউনের বাইরে ভিন্ন পরিবেশ। পুরনো পাড়া। তবে পুরনো বাড়ি একটি দু’টির বেশি নেই। অবনী পৌঁছে গেল। তাদের ফ্ল্যাট দোতলায়। বনানী এখন বাড়িতেই আছে। নিজের চাবি ব্যবহার না করে অবনী কলিংবেলে চাপ দিল। ঠিক তখনই তার মাথায় চিন্তাটা ফিরে এল। কয়েকদিন ধরে চিন্তাটা মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছে। ব্যাপারটা নিয়ে মায়ের সঙ্গে সে এখনও কথা বলেনি। দু’ এক দিনের মধ্যে মাকে কথাটা জানাতে হবে। আলোচনা করতে হবে। তারপর সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তার আগে অবনী নিজের ভাবনাটা একটু গুছিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে। প্রথমত মা ব্যাপারটা কীভাবে নেবে! যদি মা রাজি হয়ে যান তবে সমস্যাটা কম। কিন্তু মত না থাকলে মা অনেক প্রশ্ন তুলবে। তার উত্তরগুলো তাকে ঠিকমতো দিতে হবে। মায়ের অমতের জায়গাগুলো বুঝে নিয়ে মাকে রাজি করাতে হবে। মায়ের ইমোশনকে কাজে লাগাতে হবে। প্রকাশ না করলেও মায়ের এই দুর্বলতার খবর সে রাখে। সুপ্ত এক অভিমান থেকে মা হয়তো রাজি নাও হতে পারে। এটা অবনীর অনুমান। বেশ কিছুটা দেরি হয়ে গেছে। কয়েকবছর আগে ভাবনাটা মাথায় এলে ভালো হতো। তার অফিসের কাছেই সুন্দর ছোট একটা অডিটরিয়ম আছে। বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান হয়। সাহিত্য সভাও হয়। কিন্তু এইরকম একটা ভাবনা আগে তার মাথায় আসেনি। এবার এই কাজটা অবনীকে করতেই হবে। টাকা-পয়সা, উপহার কিছু না। সেসব কিছু না। তার থেকে অনেক অনেক বেশি আনন্দ মাকে সে দিতে চায়। যার সঙ্গে হয়তো বিষণ্ণতাও মিশে থাকবে। এটাই হবে অবনীর পিতৃতর্পণ। বনানী দরজা খুলে দিল। প্রতিদিন অবনী অফিস যায়। ফিরে আসে। রোজই ঘরে ঢুকে মায়ের উদ্ভাসিত মুখ দেখতে পায়। ছেলের হাত থেকে ব্যাগটা নিতে চায়। ভারী ব্যাগ। আলতো করে মায়ের গালে গাল ছুঁইয়ে দরজা বন্ধ করে অবনী ঘরে ঢোকে।
—‘মা খুব খিদে পেয়েছে। আগে কিছু খাব। তারপর চা। ফুলিমাসি কি চলে গেছে!’ কিছু খাওয়ার আবদার করলে মা সব থেকে বেশি খুশি হয়। তবে আজ তার সত্যি একটু খিদে পেয়েছে।
—‘নাহ, ফুলি এখনও যায়নি। চিঁড়ের পোলাও করতে বলি!’
—‘সেই ভালো।’ ড্রেস চেঞ্জ করতে অবনী ঘরে ঢুকে গেল।
ঘণ্টাখানেক পর অবনীর কাজ শেষ হল। এতক্ষণ কোনও দিকেই হুঁশ ছিল না। বসার ঘরে মা টিভি দেখছে। কোনও একটা নিউজ চ্যানেল চলছে। মায়ের পাশে চেয়ারে অবনী এসে বসল। আজ বইমেলার শেষ দিন। জন-জোয়ার। অবনী বইমেলায় যাওয়ার সময় পায়নি। তিন-চার বছর হয়ে গেছে মা আর বইমেলায় যায় না। বেশি হাঁটাহাঁটি করতে অসুবিধা হয়। লিটিল ম্যাগাজিনের স্টলে ভিড় উপচে পড়ছে। বড় প্রকাশনার স্টলের সামনে দীর্ঘ লাইন। খুব মনোযোগ দিয়ে অবনী টিভি দেখছে না। তার মনোযোগ মায়ের দিকে। মা কি একটু রোগা হয়ে গেছে? মাকে প্রেশারের ওষুধ খেতে হয়। এছাড়া অন্য কোনও সমস্যা মায়ের নেই। লম্বা চুল পিঠের উপর ছড়ানো। দ্রুত মায়ের চুল সাদা হয়ে যাচ্ছে। গায়ের ফর্সা রঙের সঙ্গে মানানসই। মায়ের সঙ্গে এবার কথা বলতে হবে। লিটিল ম্যাগাজিনের স্টলে অসংখ্য কবিতার বই। অনেক নতুন পত্রপত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে। বইমেলা সংখ্যা। নামগুলো তার অজানা। কবিতা পড়তে অবনীর ভালো লাগে না। বিশেষ কয়েকজন কবির লেখা ছাড়া। অথচ বাবা কবিতা-পাগল মানুষ ছিলেন। তখনকার অনেক কবি ওঁর বন্ধু ছিলেন। নিয়মিত কবিতা সভায় যাতায়াত ছিল। প্রিয় কবির কবিতার কথা মনে রেখে বাবা তার নাম রেখেছেন অবনী। প্রিয় কবির উদাস মন, ভবঘুরে মন, বাউল মন বাবাকে আচ্ছন্ন করে রাখত। ঘরের প্রতি টান, একইসঙ্গে সব কিছু ছেড়ে বাইরে ছড়িয়ে পড়ার আকর্ষণ সেই কবির মধ্যে মিলেমিশে একাকার। সেই কবির কবিতা অনর্গল বলতে পারতেন। কবির মনের সঙ্গে বাবার মনের বোধ হয় কোনও মিল ছিল। বাবা কবিতা লিখতে চেষ্টা করতেন। কিছু কবিতা ছাপাও হয়েছিল। নিজের লেখা কবিতা পড়তে পড়তে বাবা ঘন ঘন মাথা নাড়তেন। মা জিজ্ঞেস করতেন,
—‘কী হয়েছে!’
—‘কিচ্ছু হয়নি বনলতা। আমি পারছি না।’
বনানী না বলে বাবা মাকে বনলতা বলেই ডাকতেন। মা বাবাকে প্রশ্রয় দিতেন। উৎসাহ দিতেন। তাই বোধ হয় বাবার কবিতা লেখা থেমে থাকেনি। কিছু প্রশংসা বাবা পেয়েছিলেন। বাবার বেশ কয়েকটি কবিতা নিয়ে একটা সংকলনও প্রকাশিত হয়েছিল। সেই সংকলন গ্রন্থ এখন আর পাওয়া যায় না। কিছু বন্ধুবান্ধব আর নিজেদের বাড়ি ছাড়া। আর দশ দিন পর বাবার মৃত্যুদিন। বাবার ছবিতে মালা পরানো ছাড়া আর কিছুই করা হয় না। অবনী এবার তার ব্যতিক্রম ঘটাবে। বাবার মৃত্যুদিনে তাদের ফ্ল্যাটে সাহিত্যসভার আয়োজন করবে। বাবার কবি-সাহিত্যিক বন্ধুদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। তাদের কারও সঙ্গে অবনীর যোগাযোগ সেভাবে নেই। কেউ কেউ ফোনে খবরাখবর নেন। মা রাজি হলে তাঁদের সঙ্গে অবনী যোগাযোগ করবে।
অবনীর মুখের দিকে অবাক হয়ে বনানী তাকিয়ে রইল। এটা তার কাছে প্রত্যাশিত ছিল না। সেই বিস্মিত মুখের চোখের দিকে তাকিয়ে অবনী মায়ের সম্মতি টের পেল। মাকে কোনও কথা বলবার সুযোগ দিল না।
—‘চট করে বাবার বন্ধুদের ফোন নম্বরগুলো দাও। আমি প্রথমে ফোন করব। তারপর তুমি কথা বলবে।’
বুক র‌্যাক থেকে ফোনের ডায়েরিটা বনানী এগিয়ে দিল। অবনী মায়ের হাতে হালকা কাঁপুনি দেখতে পেল।
শেষ পর্যন্ত পনেরো জনের সঙ্গে যোগাযোগ করা গেল। যাঁরা এক সময় কবিতা লিখেছেন। এখনও লেখেন। ব্যক্তিগতভাবে চেনা-পরিচয় না থাকলেও বাবার লেখা কেউ কেউ পড়েছেন। ওঁরা খুবই উৎসাহিত। শরীর সুস্থ থাকলে সবাই আসবেন বলেছেন। শুক্রবার বাবার মৃত্যুতিথি। সেই দিনটিই স্থির করা হয়েছে। অবনীকে ছুটি নিতে হয়েছে। কোনও সভাকক্ষ ভাড়া করে নয়। ফ্ল্যাটে বসবার ঘরেই অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খবরটা অবনী কোনও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেয়নি। তাই খুব বেশি লোকজন আসবে বলে মনে হয় না। ঘরের কোণে টেবিলে বাবার ছবি রাখা হয়েছে। রজনীগন্ধা নয়। বিভিন্ন রঙের গোলাপ দিয়ে ঘর সাজানো হয়েছে। এটা মায়ের ইচ্ছে। বিস্মৃত হলেও মানুষটা তো মনেপ্রাণে এক কবি। তাঁর মনের ভিতর কবিতার জন্ম হয়েছে। খাতা-কলমে হয়তো সেভাবে রূপ দিতে পারেনি। কখনও সে ব্যর্থ। কখনও বা পাঠক অনুধাবনে ব্যর্থ। তাতে তো কবির কাব্যানুরাগ মিথ্যে হয়ে যায় না। শেষ হয়ে যায় না। সাদা রজনীগন্ধার গন্ধ যেন শেষের ইঙ্গিত বয়ে আনে। তাই গোলাপ। বনানীর ভাবনাটা সেইরকম। শেষ পর্যন্ত সবাই না এলেও অনেকেই এলেন। একঘেয়ে স্মৃতিচারণা। বনানীর ভালো লাগছে না। স্বামীর কবিতার আলোচনা সে শুনতে চায়। সে কথা বিশেষ কেউ বলছেন না। টেবিলে রাখা কবিতা সংকলনটি সবাই একবার নেড়েচেড়ে দেখলেন। তাদের সংগ্রহে এই সংকলনটি নেই। পাঠ করলেন নিজেদের লেখা কবিতা। সেগুলো ওঁরা সঙ্গে করেই নিয়ে এসেছেন। অনেক কবিতাই বেশ ভালো। তবু অপেক্ষা। উপস্থিত কেউ হয়তো তার স্বামীর লেখা কোনও একটা কবিতা পাঠ করবেন। একটু দেরি করে এলেন জন্মেজয় রায়।
এ কালের বিখ্যাত এক কবি। অবনীর প্রিয় কবি। ফোনে অনুরোধ করেছিল আসবার জন্য। আসবেন বলে কথা দিয়েছিলেন।
—‘একটু দেরি হয়ে গেল। আপনাদের অসুবিধায় ফেললাম না তো! সকালে অন্য একটা সভায় যেতে হয়েছিল।’ ঈষৎ সংকুচিতভাবে সোফায় এসে বসলেন। মৃত কবির ছবির দিকে একবার তাকিয়ে টেবিল থেকে কাব্যগ্রন্থটি তুলে নিলেন।
—‘ওঁর সঙ্গে ব্যক্তিগত আলাপ তো আমার নেই। তবে ওঁর লেখা কবিতা আমি পড়েছি। তবে এই গ্রন্থটি আমার সংগ্রহে নেই। ওর লেখা একটি কবিতা পড়ে আমার শ্রদ্ধা, প্রণাম জানাচ্ছি।’
চোখ বন্ধ করল বনানী। কানে বেজে চলেছে আবেগভরা কণ্ঠে তাঁরই স্বামীর লেখা কবিতা। এত যে কান্না মনের মধ্যে জমে ছিল সেটা বনানীর জানা ছিল না। 
22nd  November, 2020
আনলাকি শার্ট
প্রদীপ আচার্য

তিনটে মানে ঘড়ি ধরে ঠিক তিনটে। রিনি এসে ক্যাব থেকে নামল। মোহরকুঞ্জের সামনে প্রায় মিনিট কুড়ি আগেই এসে দাঁড়িয়েছে অর্জুন। রিনির কড়া হুকুম, ‘আমার দেরি হোক, তুমি দেরি করবে না।’ না। দেরি করেছে অর্জুন, এমন হয়নি কখনও। আর এখন তো দেরি করার প্রশ্নই ওঠে না। লকডাউন উঠে গিয়ে আনলকের পালা। পায়ের বেড়ি কিছুটা আলগা হতেই রিনির ফোনে হুকুমজারি, ‘খুব জরুরি দেখা করো।’ বিশদ

29th  November, 2020
 আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- প্রথম কিস্তি। বিশদ

29th  November, 2020
সময় ঘড়ি

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত। বিশদ

29th  November, 2020
বন্ধুত্বের রং 

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন বুবুন চট্টোপাধ্যায়।
বিশদ

22nd  November, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- শেষ কিস্তি। 
বিশদ

22nd  November, 2020
আজও তারা জ্বলে 

 বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- দশম কিস্তি। বিশদ

15th  November, 2020
আমরি বাঙাল ভাষা

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন ঋতা বসু।  বিশদ

15th  November, 2020
ভৈরবঘণ্টের ভবলীলা
তরুণ চক্রবর্তী

অমাবস্যার নিশুতি রাত, গভীর জঙ্গলে রাত আরও কালি ঢালা। সকাল থেকেই অসময়ের বৃষ্টি কখনও ঝিরঝিরে, কখনও প্রবল হয়ে ঝরেই চলেছে। ঘন জঙ্গলের মধ্যেও এক এক জায়গায় ক’টা চালাঘর। কঞ্চির ওপর মাটি লেপে দেওয়া ঘরগুলোয় চণ্ডালদের বাস। বুনো জানোয়ার আর মানুষের আশ্চর্য এক সহাবস্থান এখানে। বাগে পেলে অবশ্য কেউই কাউকে ছাড়ে না।
বিশদ

15th  November, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- নবম কিস্তি।  বিশদ

08th  November, 2020
চলার পথে
হ স্তা ক্ষ র 

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন গৌর বৈরাগী।  বিশদ

08th  November, 2020
চাঁদনি
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

এখন পলাশের মাস। তাই ফাগুনে আগুন। তবে সে আগুন মনে নয়, বনে। রঙের আগুন। দিগন্তজোড়া বনে পাহাড়ে শিমুল ও পলাশ লালে লাল। দু’চোখ ভরে সেদিকে তাকালে মনভ্রমরা গুনগুনিয়ে ওঠে। একেবারে নিশিভোরে জনতা এক্সপ্রেস থেকে জশিডিতে নেমেই তমালও কেমন যেন উদাস হয়ে গেল।  বিশদ

08th  November, 2020
জিলাবি

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন চিরঞ্জয় চক্রবর্তী। বিশদ

01st  November, 2020
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- অষ্টম কিস্তি। বিশদ

01st  November, 2020
স্মৃতির সরণী বেয়ে
সায়ন্তনী বসু চৌধুরী

সদ্য পাটভাঙা ধবধবে সাদা শাড়ির মতো কুয়াশার আস্তরণটা একটু একটু করে সরছে। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আড়মোড়া ভাঙতে ভাঙতে শুভ্র দেখল ব্লু কোরাল ব্লকের একটা বাচ্চা নাইটস্যুট পরে দরজায় দাঁড়িয়ে মুখভর্তি কুয়াশা টেনে নিয়ে হাঁ করে করে ধোঁয়া ছাড়ছে। আর কচি হাত দুটো দু’পাশে ছড়িয়ে ব্যস্ত পাখির ডানা ঝাপটানোর মতো একটা ভঙ্গি করছে। বিশদ

01st  November, 2020
একনজরে
সাখির (বাহরিন): গত সাতদিনে তিনবার কোভিড টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ এল ফর্মুলা-ওয়ান তারকা লুইস হ্যামিলটনের। যার জেরে আসন্ন সাখির গ্রাঁ প্রি’তে অংশ নিতে পারবেন না সাতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন রেসারটি। মঙ্গলবারই মার্সিডিজ-এএমজি পেট্রোনাস এফওয়ান দলের পক্ষ থেকে হ্যামিলটনের করোনায় আক্রান্তের খবর প্রকাশ্যে আনা ...

গত এক মাসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সহায়ক মূল্যে ৬ কোটি ৩৭ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার ধান কেনা হয়েছে। গত ২ নভেম্বর থেকে রাজ্যজুড়ে সহায়ক মূল্যে ...

উম-পুন পরবর্তী ক্ষতিপূরণে দুর্নীতির যাবতীয় অভিযোগের তদন্ত করবে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটার জেনারেল অব ইন্ডিয়া (ক্যাগ)। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি থোট্টাথিল বি রাধাকৃষ্ণাণ ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মঙ্গলবার তিন মাসের মধ্যে তদন্তসাপেক্ষে ক্যাগকে রিপোর্ট দাখিল করতে বলেছে। ...

পরিবার পরিকল্পনার অধিকাংশ সূচকে দেশে এক নম্বরে বাংলা। কেন্দ্রীয় সরকারের অক্টোবর মাসের তথ্য থেকে একথা জানা গিয়েছে। এই সূচকগুলির মধ্যে গর্ভনিরোধক ওষুধ বা পিল থেকে শুরু করে বন্ধ্যাত্বকরণ, মেয়েদের আইইউসিডি থেকে শুরু করে ছেলেদের নিরোধ ব্যবহার— অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেশে শীর্ষে ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায়  সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো
১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু
১৯৮৮: পাকিস্তানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হলেন বেনজির ভুট্টো
১৯৮৯: ভারতের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী হলেন ভিপিসিং 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.১৭ টাকা ৭৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ৯৭.২১ টাকা ১০০.৬৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৬ টাকা ৯০.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৯৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,৪৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭,১৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬০,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া ৩০/৪৪ সন্ধ্যা ৬/২৩। মৃগশিরা নক্ষত্র ১১/২২ দিবা ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৪/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/২৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/২৯ গতে ৮/১২ মধ্যে পুনঃ ১০/২১ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৮/২০ গতে ৩/২৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ গতে ৭/২৯ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ৩/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৫ গতে ১০/৫ মধ্যে পুনঃ ১১/২৬ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৫ গতে ৪/২৫ মধ্যে। 
 ১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া সন্ধ্যা ৫/৪। মৃগশিরা নক্ষত্র দিবা ১০/২৪। সূর্যোদয় ৬/৬, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১০/২৮ গতে ১২/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৬/৩৬ মধ্যে ও ৮/২৫ গতে ৩/৩২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৬ গতে ৭/৩৮ মধ্যে ও ১/১৭ গতে ৩/২৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪৬ গতে ১০/৭ মধ্যে ও ১১/২৭ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৬ গতে ৪/২৬ মধ্যে। 
১৬ রবিয়ল সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। বৃষ: নানা উপায়ে অর্থপ্রাপ্তির সুযোগ। ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
  ১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো ১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস ...বিশদ

04:28:18 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদ ও জামশেদপুরের ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র

09:33:58 PM

জিএসটি ফাঁকি: কলকাতা সহ রাজ্যের ১০৪টি ময়দা মিলে হানা আধিকারিকদের

06:29:00 PM

তৃতীয় একদিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩ রানে জয়ী ভারত

05:15:15 PM

কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ: টিকা নিতে নাইসেডে ফিরহাদ হাকিম

04:15:35 PM