Bartaman Patrika
গল্পের পাতা
 

জিলাবি

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন চিরঞ্জয় চক্রবর্তী।

পাটলিপুত্র তখনও আসেনি, কিন্তু কন্ডাক্টর চেঁচাচ্ছে পাটলিপুত্র, পাটলিপুত্র। যাতে বাসের আরোহীরা প্রস্তুতি নিতে পারে। আমরা দরজার সামনেই ছিলাম। বাসটা হঠাৎ থামতেই মহারাজ বললেন, নেমে পড়ুন। বাস থেকে নেমে একটু অবাক হলাম। এখানে নামলাম কেন? মহারাজ বোধহয় অনুমান করছিলেন, আমি এই প্রশ্নটা করতে পারি। তিনি বললেন, ‘দশটা বাড়িতে মাধুকরী করব, তাই নামলাম।’ হাইওয়েতে নেমে দেখি প্রায় সব বাড়ি নতুন, সম্ভবত নতুন শহরতলি গড়ে উঠছে। বাড়িগুলো দেখতেও সুন্দর। সকালের নরম রোদে বাড়িগুলোর রং যেন জগতের আনন্দযজ্ঞে যোগ দিয়েছে। মনটা ভালো হয়ে গেল। মহারাজ আগে আগে হাঁটছেন, হাইওয়ের একদিকে যেমন সুন্দর সুন্দর বাড়ি, অন্যদিকে দিগন্ত বিস্তৃত ফাঁকা মাঠ। আরেকটা চোখে পড়ার মতো বিষয়— সুন্দর শহরের উল্টোদিকে হাইওয়ে বরাবর প্রচুর ঝুপড়ি। চারদিক দেখতে দেখতে আমরা একটা বাড়ির সামনে দাঁড়ালাম। প্রশান্ত মহারাজ মাধুকরী শুরু করবেন। মহারাজ মুণ্ডিত মস্তক, সাদা পোশাকে অনিন্দ্যকান্তি। আমি নিজেও মাঝে মাঝে ভাবি, ঈশ্বর নিজের পুরুষদের সুন্দর করেন কারণ আমাদের কাছে বার্তা দিতে চান, ‘আমার প্রতিনিধিদের দেখে আমি কত সুন্দর তোমরা অনুভব করার চেষ্টা করতে পার।’ মহারাজ বললেন, ‘ভবতী ভিক্ষাং দেহি।’ দরজা খুলে যিনি বাইরে এলেন, তিনি নবতীপর বৃদ্ধা। আবদার করলেন, ‘ভিক্ষা দেবেন না, ভোজন করাবেন।’ মহারাজ একটু অপ্রস্তুত হয়েছেন। কারণ তিনি মাধুকরী করবেন স্থির করেছেন। দ্বিতীয়ত, পাটলিপুত্রের মঠে আমাদের দুপুরে প্রসাদ পাওয়ার কথা। সেই বৃদ্ধা মা কিছুতেই ভিক্ষা দেবেন না। বেশ কিছুক্ষণ ধরে ওঁকে বোঝানোর পর বললেন, সারাটা জীবন আমি দুঃখ পেলাম কেউ আমার কথা শুনল না। তারপর আঁচল থেকে একটা পাঁচ টাকার নোট সাধুকে দিলেন। তবে তার আগে কথা দিতে হল, এরপর কোনওদিন পাটলিপুত্রে এলে, তাঁর বাড়িতে ভোজন করতে হবে। 
দ্বিতীয় বাড়িতে অনেক ডাকাডাকি করলেও কেউ দরজা খোলেনি। তৃতীয় বাড়িতে কুকুর ছিল। কুকুরের নিরবচ্ছিন্ন কর্কশ চিৎকার শুনে বাড়ির মানুষজন বাইরে এল। এরাও খুব আন্তরিক। সৌম্য দর্শন সাধু দুয়ারে ভিক্ষা চাইছেন, এঁরা যেন কৃতার্থ হয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁরা সিধে গুছিয়ে ফেলেছেন। চাল, ডাল, তরকারির পরিমাণ দেখে আমি ভয় পেয়েছিলাম। এত বইবে কে? প্রশান্ত মহারাজ আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলেন। তারপর ভিক্ষা গ্রহণ করে বললেন, এটা এখন থাক, যাওয়ার সময়ে নিয়ে যাব।
আমরা পরের বাড়ির দিকে হাঁটা শুরু করতেই মহারাজ বললেন, দাদা দশ বাড়ি মাধুকরী করব না। আর দুটো বাড়ি যাব‌। কারণ সবাই যদি এত দেয়, আমরা নিতে পারব না। আমি মাথা নেড়ে সম্মতি জানাতে তিনি হাসলেন, কিছু বললেন না। আমরা আলোচনা করছিলাম ভারতবর্ষে এখনও এমন শহর আছে, যেখানে সাধুকে ভিক্ষা চাইতে হয় না। সন্ত কবীর বলেছেন, মত ঘর তত রাম, অর্থাৎ প্রতি ঘরে রাম আছেন। সাধুদের সঙ্গে মাধুকরী করতে করতে আমার মনে হয়েছে ভারতবর্ষের সব ঘরে মা অন্নপূর্ণা আছেন। ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রদেশে সাধুদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করতে গিয়ে দেখেছি, মায়েরা সবাই অন্নপূর্ণা। হঠাৎ পাঞ্জাবির কোণায় টান পরতেই দেখি এক শিশুকন্যা আমার জামা ধরে টানছে। খালি পা, জামাটাও পরিষ্কার নয়, পিঠে একটাও বোতাম নেই। প্রায় ঘাড় পর্যন্ত চুল, তাতে যত্ন হয় বলে মনে হয় না। হঠাৎ মনে হল মা অন্নপূর্ণা আসেননি তো? আমি হাঁটু গেড়ে বসে হিন্দিতে জিজ্ঞাসা করলাম, কী চাই মা? সে মাথা নেড়ে বলল, কিছু না। মহারাজ ভেবেছেন ও বোধহয় আমার কথা বুঝতে পারেনি। তাই হাঁটু মুড়ে বসে হিন্দিতে বললেন, মাতাজি , তোমার কী চাই?
মাথা নাড়িয়ে বলল, কিছু চাই না।
ও কথা বলে না? বোবা! পকেট থেকে একটা লজেন্স বের করে ওর হাতে দিই। ও লজেন্সটা পেয়েই বলল, থ্যাঙ্ক ইউ। আমরা দু’জনে চমকে উঠেছি। আমাদের অনুমান মিথ্যা হয়েছে। ও মূক নয়। বললাম, আরেকটা চাই? ও অপর হাত পাতল। আমি হাতে না দিয়ে মোড়কটা খুলে ওর মুখে দিয়ে দিলাম। হাসিতে মুখটা ভরে উঠল। এক শিশুকন্যা আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে পরম আনন্দে হাসছে। সূর্যের আলোয় সেই হাসি ছড়িয়ে পড়ছে। আমরা দু’জন অবাক বিস্ময়ে আপাতমলিন সেই শিশুকন্যাকে দেখছিলাম ময়লা উড়ে গিয়ে আসল রূপে উদ্ভাসিত হয়েছে। কতক্ষণ আমরা ওকে দেখছিলাম জানি না। ওর কথাতে সম্বিত ফিরল,আমাদের বাড়ি যাবে না ভিক্ষা করতে?
তোমাদের বাড়ি কোথায়?
ওইদিকে, বলে রাস্তার উল্টোদিক দেখাল।
মহারাজ বললেন, নিশ্চয়ই যাব। তারপর আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, তাহলে আর একটা বাড়ি যাব।
আমরা পরের বাড়িটায় গেলাম। বাড়িটায় গিয়ে অবাক হলাম। মনে হল ওরা কারওর জন্য অপেক্ষা করছে। দরজাটা হাট করে খোলা, উঠোনে দুটো প্লাস্টিকের চেয়ার, বাড়ির সব সদস্যই উপস্থিত। দৃশ্য দেখে আমরা ভেবেছি, কিছু একটা অঘটন ঘটেছে, তাই...। আমরা দরজার কাছে গিয়ে ফিরে আসছিলাম। ভিক্ষা চাওয়া হয়নি।
ওরাই এগিয়ে এলেন, মহারাজ চলে যাচ্ছেন?
জিজ্ঞাসা করলাম, আপনাদের সব কুশল তো?
হ্যাঁ। হ্যাঁ সব কুশল।
তাহলে...!
আসলে পাশের বাড়িতে দেখে আমরা আপনাদের জন্যই অপেক্ষা করছিলাম।
আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে তাকাতেই তিনি বললেন, পাশের বাড়িতে আপনাদের দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আজ আমরা সাধুসেবা করবই।
কথা বলতে বলতে ওঁদের বাড়িতে ঢুকে চেয়ারে বসেছি। শিশুকন্যাটি ওদের বড়গেটের থামের পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের দেখছিল। আমরা বসতে না বসতেই ছাচ হাতে তুলে দিলেন। আমরা দু’জনেই গ্লাস হাতে কন্যার দিকে তাকিয়েছি। সে হাসছে। আমি ইশারায় বললাম খাবি? সে বলল, না।
আমরা মেয়েটির সঙ্গে চললাম তার বাড়ির দিকে। যাওয়ার পথে আগের বাড়ির সিধে নিয়েছি। রাস্তা পার হয়ে একটা ঝুপড়ির সামনে দাঁড়িয়ে বলল, এটা আমাদের বাড়ি। নিজেই একটা চৌপায়া পেতে দিল। আমরা বসতেই বলল, বসো, ভিক্ষা নিয়ে আসি।
ও ঝুপড়িতে ঢুকতেই ওর মা এলেন। প্রণাম করে আড়ষ্ট হয়ে একপাশে দাঁড়ালেন, আমরা খুব গরিব, ভিক্ষা দেওয়ার মতো আমাদের কাছে কিছু নেই। পাগলি যখন ডেকে এনেছে একটু অপেক্ষা করুন। তিনি ঝুপড়ির ভিতরে চলে গেলেন। আমরা উন্মুক্ত হাওয়ায় বসে আছি। রোদ উঠছে। শিশুকন্যাটির দেখা নেই। প্রায় ঘণ্টাখানেক হয়ে গিয়েছে। ঝুপড়ির বাইরে থেকে জিজ্ঞাসা করলাম, কোনও উত্তর এল না। আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম উঠে যাব। তখনই এক আকাশ হাসি নিয়ে উদয় হল শিশুকন্যা, তার হাতে শালপাতায় কিছু একটা আছে। আমাদের সামনে এসে শালপাতাটা মেলে ধরল, মহারাজ খা লো।
শালপাতায় রসে ভর্তি দুটো জিলাবি। মহারাজ দু’হাত পেতে গ্রহণ করলেন। শিশুকন্যাটি পরম তৃপ্তির সঙ্গে হাতে লেগে থাকা রসটা চেটে নিল।মহারাজ আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, দাদা...
অলঙ্করণ: সোমনাথ পাল
01st  November, 2020
আনলাকি শার্ট
প্রদীপ আচার্য

তিনটে মানে ঘড়ি ধরে ঠিক তিনটে। রিনি এসে ক্যাব থেকে নামল। মোহরকুঞ্জের সামনে প্রায় মিনিট কুড়ি আগেই এসে দাঁড়িয়েছে অর্জুন। রিনির কড়া হুকুম, ‘আমার দেরি হোক, তুমি দেরি করবে না।’ না। দেরি করেছে অর্জুন, এমন হয়নি কখনও। আর এখন তো দেরি করার প্রশ্নই ওঠে না। লকডাউন উঠে গিয়ে আনলকের পালা। পায়ের বেড়ি কিছুটা আলগা হতেই রিনির ফোনে হুকুমজারি, ‘খুব জরুরি দেখা করো।’ বিশদ

29th  November, 2020
 আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছবি বিশ্বাস- প্রথম কিস্তি। বিশদ

29th  November, 2020
সময় ঘড়ি

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন হিমাদ্রিকিশোর দাশগুপ্ত। বিশদ

29th  November, 2020
বন্ধুত্বের রং 

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন বুবুন চট্টোপাধ্যায়।
বিশদ

22nd  November, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- শেষ কিস্তি। 
বিশদ

22nd  November, 2020
স্বর সন্ধান
বিজলি চক্রবর্তী 

তরতর করে লিফ্ট নীচে নেমে এল। যত তাড়াতাড়ি লিফ্ট ওপরে তোলে তত তাড়াতাড়িই নীচে নামিয়ে আনে। বেসরকারি অফিস। ঠাঁটবাটের অভাব নেই। এই ধরনের সংস্থায় চাকরি পাওয়া সহজ নয়। কিন্তু চাকরি চলে যাওয়া সহজ। চাকরি চলে যাওয়ার কারণটা অনেক সময় খুব স্পষ্ট থাকে না। স্পষ্ট হলেও করবার কিছু থাকে না। সেই কারণে সবাই কিছুটা তটস্থই থাকে। অন্যত্র চাকরি খোঁজার চেষ্টা জারি রাখে। বেটার কোনও অপশন পেলে চলেও যায়। 
বিশদ

22nd  November, 2020
আজও তারা জ্বলে 

 বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- দশম কিস্তি। বিশদ

15th  November, 2020
আমরি বাঙাল ভাষা

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন ঋতা বসু।  বিশদ

15th  November, 2020
ভৈরবঘণ্টের ভবলীলা
তরুণ চক্রবর্তী

অমাবস্যার নিশুতি রাত, গভীর জঙ্গলে রাত আরও কালি ঢালা। সকাল থেকেই অসময়ের বৃষ্টি কখনও ঝিরঝিরে, কখনও প্রবল হয়ে ঝরেই চলেছে। ঘন জঙ্গলের মধ্যেও এক এক জায়গায় ক’টা চালাঘর। কঞ্চির ওপর মাটি লেপে দেওয়া ঘরগুলোয় চণ্ডালদের বাস। বুনো জানোয়ার আর মানুষের আশ্চর্য এক সহাবস্থান এখানে। বাগে পেলে অবশ্য কেউই কাউকে ছাড়ে না।
বিশদ

15th  November, 2020
আজও তারা জ্বলে 

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- নবম কিস্তি।  বিশদ

08th  November, 2020
চলার পথে
হ স্তা ক্ষ র 

জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই কেবল মনে থাকার কথা। কিন্তু অনেক সময়ই দেখা যায় স্মৃতির অতলে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করে বেশ বড় হয়ে জাঁকিয়ে বসে রয়েছে। সাহিত্যিকদের ‘ভবঘুরে’ জীবনের তেমনই নানা ঘটনা উঠে এল কলমের আঁচড়ে। আজ লিখছেন গৌর বৈরাগী।  বিশদ

08th  November, 2020
চাঁদনি
ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় 

এখন পলাশের মাস। তাই ফাগুনে আগুন। তবে সে আগুন মনে নয়, বনে। রঙের আগুন। দিগন্তজোড়া বনে পাহাড়ে শিমুল ও পলাশ লালে লাল। দু’চোখ ভরে সেদিকে তাকালে মনভ্রমরা গুনগুনিয়ে ওঠে। একেবারে নিশিভোরে জনতা এক্সপ্রেস থেকে জশিডিতে নেমেই তমালও কেমন যেন উদাস হয়ে গেল।  বিশদ

08th  November, 2020
আজও তারা জ্বলে

বাংলা ছবির দিকপাল চরিত্রাভিনেতারা একেকটা শৈল্পিক আঁচড়ে বঙ্গজীবনে নিজেদের অমর করে রেখেছেন। অভিনয় ছিল তাঁদের শরীরে, মননে, আত্মায়। তাঁদের জীবনেও ছড়িয়ে ছিটিয়ে অনেক অমূল্য রতন। তারই খোঁজে সন্দীপ রায়চৌধুরী। আজ ছায়া দেবী- অষ্টম কিস্তি। বিশদ

01st  November, 2020
স্মৃতির সরণী বেয়ে
সায়ন্তনী বসু চৌধুরী

সদ্য পাটভাঙা ধবধবে সাদা শাড়ির মতো কুয়াশার আস্তরণটা একটু একটু করে সরছে। ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আড়মোড়া ভাঙতে ভাঙতে শুভ্র দেখল ব্লু কোরাল ব্লকের একটা বাচ্চা নাইটস্যুট পরে দরজায় দাঁড়িয়ে মুখভর্তি কুয়াশা টেনে নিয়ে হাঁ করে করে ধোঁয়া ছাড়ছে। আর কচি হাত দুটো দু’পাশে ছড়িয়ে ব্যস্ত পাখির ডানা ঝাপটানোর মতো একটা ভঙ্গি করছে। বিশদ

01st  November, 2020
একনজরে
সীমান্তে পাচার রুখতে আরও কঠোর হচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সীমান্ত বরাবর কোথাও যেন কাঁটাতারবিহীন এলাকা না থাকে, তা নিশ্চিত করার উদ্যোগ নেওয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। দুই দেশের সীমান্তের মধ্যে কাঁটাতার নেই মালদহের যে সব সীমান্তে, ...

গত এক মাসে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সহায়ক মূল্যে ৬ কোটি ৩৭ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকার ধান কেনা হয়েছে। গত ২ নভেম্বর থেকে রাজ্যজুড়ে সহায়ক মূল্যে ...

সাখির (বাহরিন): গত সাতদিনে তিনবার কোভিড টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ এল ফর্মুলা-ওয়ান তারকা লুইস হ্যামিলটনের। যার জেরে আসন্ন সাখির গ্রাঁ প্রি’তে অংশ নিতে পারবেন না সাতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন রেসারটি। মঙ্গলবারই মার্সিডিজ-এএমজি পেট্রোনাস এফওয়ান দলের পক্ষ থেকে হ্যামিলটনের করোনায় আক্রান্তের খবর প্রকাশ্যে আনা ...

কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে কুৎসামূলক প্রচার নিয়ে এবার বিজেপি’র এক উগ্র সমর্থকের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিসে অভিযোগ দায়ের হল। মঙ্গলবার শেক্সপিয়র সরণী থানায় এই অভিযোগ দায়ের করেন প্রয়াত প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রর ছেলে তথা দলের সাধারণ সম্পাদক রোহন মিত্র। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। কর্মে দায়িত্ব বৃদ্ধিতে মানসিক চাপবৃদ্ধি। খেলাধূলায়  সাফল্যের স্বীকৃতি। শত্রুর মোকাবিলায় সতর্কতার ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো
১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনায় কমপক্ষে আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু
১৯৮৮: পাকিস্তানের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হলেন বেনজির ভুট্টো
১৯৮৯: ভারতের সপ্তম প্রধানমন্ত্রী হলেন ভিপিসিং 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭৩.১৭ টাকা ৭৪.৮৮ টাকা
পাউন্ড ৯৭.২১ টাকা ১০০.৬৪ টাকা
ইউরো ৮৬.৯৬ টাকা ৯০.১২ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৪৮,৯৮০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৪৬,৪৭০ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৪৭,১৭০ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৬০,৯০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৬১,০০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া ৩০/৪৪ সন্ধ্যা ৬/২৩। মৃগশিরা নক্ষত্র ১১/২২ দিবা ১০/৩৮। সূর্যোদয় ৬/৪/৪৩, সূর্যাস্ত ৪/৪৭/২৫। অমৃতযোগ দিবা ৬/৪৬ মধ্যে পুনঃ ৭/২৯ গতে ৮/১২ মধ্যে পুনঃ ১০/২১ গতে ১২/৩০ মধ্যে। রাত্রি ৫/৪০ গতে ৬/৩৩ মধ্যে পুনঃ ৮/২০ গতে ৩/২৫ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৪৬ গতে ৭/২৯ মধ্যে পুনঃ ১/১৩ গতে ৩/২২ মধ্যে। বারবেলা ৮/৪৫ গতে ১০/৫ মধ্যে পুনঃ ১১/২৬ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৫ গতে ৪/২৫ মধ্যে। 
 ১৬ অগ্রহায়ণ, ১৪২৭, বুধবার, ২ ডিসেম্বর ২০২০, দ্বিতীয়া সন্ধ্যা ৫/৪। মৃগশিরা নক্ষত্র দিবা ১০/২৪। সূর্যোদয় ৬/৬, সূর্যাস্ত ৪/৪৮। অমৃতযোগ দিবা ৬/৫৬ মধ্যে ও ৭/৩৮ গতে ৮/২০ মধ্যে ও ১০/২৮ গতে ১২/৩৫ মধ্যে এবং রাত্রি ৫/৪৩ গতে ৬/৩৬ মধ্যে ও ৮/২৫ গতে ৩/৩২ মধ্যে। মাহেন্দ্রযোগ দিবা ৬/৫৬ গতে ৭/৩৮ মধ্যে ও ১/১৭ গতে ৩/২৪ মধ্যে। কালবেলা ৮/৪৬ গতে ১০/৭ মধ্যে ও ১১/২৭ গতে ১২/৪৭ মধ্যে। কালরাত্রি ২/৪৬ গতে ৪/২৬ মধ্যে। 
১৬ রবিয়ল সানি।

ছবি সংবাদ

এই মুহূর্তে
আপনার আজকের দিনটি
মেষ: সম্পত্তিজনিত মামলা-মোকদ্দমায় সাফল্য প্রাপ্তি। বৃষ: নানা উপায়ে অর্থপ্রাপ্তির সুযোগ। ...বিশদ

04:29:40 PM

ইতিহাসে আজকের দিনে
  ১৯৭৬: কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন ফিদেল কাস্ত্রো ১৯৮৪: ভোপাল গ্যাস ...বিশদ

04:28:18 PM

আইএসএল: হায়দরাবাদ ও জামশেদপুরের ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র

09:33:58 PM

জিএসটি ফাঁকি: কলকাতা সহ রাজ্যের ১০৪টি ময়দা মিলে হানা আধিকারিকদের

06:29:00 PM

তৃতীয় একদিনের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ১৩ রানে জয়ী ভারত

05:15:15 PM

কোভ্যাক্সিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ: টিকা নিতে নাইসেডে ফিরহাদ হাকিম

04:15:35 PM