ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শিষের উপরে
একটি শিশিরবিন্দু।’
কলকাতার দর্শনীয় কেন্দ্র কথায় ও ছবিতে বইটি পড়তে পড়তে রবীন্দ্রনাথের লেখা লাইনগুলো বারবার মনে পড়ে যাচ্ছিল। ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির পায়ের তলায় সর্ষে। আজ সমুদ্র তো কাল পাহাড়। সারা বছর দেশে দেশান্তরে। তবু নিজের শহরের দর্শনীয় স্থানগুলো ক’জন ঘুরে দেখেছেন? আর সেইসব জায়গার মাহাত্ম্যই বা জানেন কত জন? তাই পল্লব মিত্রর লেখা বইটি খুবই প্রয়োজনীয় এবং উপযোগী। কলকাতার বিভিন্ন বিশিষ্ট বাড়ির ছবি সহ উল্লেখ তো এতে পাবেনই সঙ্গে সেই বাড়ির টুকরো ইতিহাস, পটভূমি বর্ণনা এবং বৈচিত্রের খোঁজও দিয়েছেন লেখক।
যেমন ১৮১৪ সালে রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটির বাড়িতে যে জাদুঘর তৈরি হয়েছিল বা ১৯০৪ সালে ময়দানের দক্ষিণপ্রান্তে অনেকটা জমি নিয়ে রানি ভিক্টোরিয়ার স্মৃতিসৌধ তৈরি করার পরিকল্পনা হয়েছিল — এমন বিভিন্ন বিরল তথ্যে সমৃদ্ধ এই বই। শুধুই যে ঐতিহাসিক ইমারতের ইতিহাস লেখক লিপিবদ্ধ করেছেন তাও নয়, পাশাপাশি কালীঘাট বা দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরে স্থাপন কথাও বলা হয়েছে। আছে বিভিন্ন সংগ্রশালার খবরও। শুধুই শহর কলকাতার ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান বর্ণনায় সীমাবদ্ধ থাকেননি লেখক। তিনি পশ্চিবঙ্গে বিভিন্ন জেলার দর্শনীয় বাড়ির কথাও লিখেছেন এই বইটিতে।
বইটি খুবই তথ্যসমৃদ্ধ। কিন্তু ভাষাটি যেন পাঠ্যবইয়ের কায়দায় লেখা। বর্ণনাগুলো আর একটু গল্পমূলক হলে বুঝি আরও সুখপাঠ্য হত। তবে বইয়ে বর্ণনার পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর ছবি। প্রতিটি বাড়ির ছবি থাকায় পাঠকের তা চিনতে সুবিধে হবে। কলকাতা ও শহরতলির উল্লেখযোগ্য দ্রষ্টব্যগুলো আরও ঘনিষ্ঠভাবে জানার জন্য এই বই পাঠককে সাহায্য করবে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। বইটি সংগ্রহে রাখার মতো।
কলকাতার দর্শনীয় কেন্দ্র/পারুল প্রকাশনী/২০০ টাকা