‘উদার আকাশ’ পত্রিকার কুড়ি বছর পূর্তি সংখ্যার প্রচ্ছদটি এতই সুন্দর যে দেখলেই পত্রিকাটি নেড়েচেড়ে দেখতে ইচ্ছে করে। অর্থাৎ যাকে বলে একেবারে প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকিয়ে ইনিংস শুরু করা, এ হল তাই। কিন্তু শুধু প্রথম বলে ছক্কা হাঁকালেই তো হবে না।
হেমন্তের বাতাসে হিমেল ছোঁয়াচটুকু পাঠিয়ে শীত জানান দিয়েছে, সে আসছে। ভাবছেন এই হিম ভাবটুকুই বা সামলাবেন কী করে? কেন? সোয়েড শার্ট আছে তো! কেমন নকশা, কত দাম জানালেন মনীষা মুখোপাধ্যায়।
হেডফোন ইভলভ২৭৫ আনল জাবরা: একটি উন্নতমানের হেডফোন বাজারজাত করল জাবরা। ইভলভ বিভাগের এই নতুন মডেলটির নাম ‘ইভলভ২৭৫’। সিন্থেটিক চামড়ার ডাবল প্যাড ডিজাইনের এই হেডফোন ব্যবহার করা আরামদায়ক। কানের চাপ কমিয়ে বায়ু চলাচলকে সহজ করে তোলে এই মডেলটি।
‘দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
অ্যাসকন সফটেক ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড সম্প্রতি বাজারজাত করল ভারতের সম্পূর্ণ পেটেন্টযুক্ত সোশ্যাল ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ‘জিন্টা’।
স্নানঘরে সুগন্ধি সাবানের কদর আজ নতুন নয়। একটা সময় রিঠার সঙ্গে নানা সুগন্ধি তেল মিশিয়ে রূপচর্চার উপাদান প্রস্তুত করতেন বাঙালি অভিজাত ঘরের মা-বউরা।
ক্যালেন্ডার বলছে শীত আসছে। আবহাওয়ায় শীতের জবরদস্ত কামড় এখনও শুরু না হলেও হালকা ঠান্ডা ভাব রয়েছে হাওয়ায়।
হন্ডা বাজারজাত করল তাদের নতুন স্কুটার গ্রাজিয়া ১২৫রেপসোল হন্ডা টিম এডিশন।
কথায় বলে, বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। শীত পড়ার মুখে পুজো-পার্বণ মিটলেও উৎসবের আবহ কিন্তু পিছু ছাড়ে না।
চিত্রশিল্পী এনএস বেন্দ্রে ছবির জগতে এক অবিস্মরণীয় নাম। তাঁর ৪০টি ব্যতিক্রমী কাজ নিয়ে ইমামি আর্ট অ্যাট কলকাতা সেন্টারের ৫ম তলে শুরু হয়েছে প্রদর্শনী।
ব্যবসায় অগ্রগতি ও শুভত্ব বৃদ্ধি। ব্যয়ের চাপ থাকায় সঞ্চয়ে বাধা থাকবে। গলা ও বাতের সমস্যায় ... বিশদ
মাফলার, চাদর ও স্টোল। হালকা শীতকে মোকাবিলা করতে বাঙালির তিন অস্ত্র। কেমন নকশা উঠল এবার? কিনতে গেলে পকেটে চাপ পড়বে কতটা? খোঁজ দিচ্ছেন মনীষা মুখোপাধ্যায়।
বাতাসে শিরশির ভাব। একটু একটু করে আবহাওয়া বদলাচ্ছে। শীতের আমেজ ধীরেসুস্থে জাঁকিয়ে বসছে শহর ও শহরতলিতে। এমন সময় আলমারি থেকে বের করে ফেলতে হয় প্রয়োজনীয় স্টোল, মাফলারদের। নিদেনপক্ষে স্কার্ফ তো বটেই। পুরনোয় মন না বসলে এটাই নতুন শীতপোশাক ঘরে আনার সময়। আজকাল অনলাইনেও বিভিন্ন কেতার মাফলার ও স্টোল পাওয়া যায়। আর যাঁরা দোকানে ভরসা করেন, তাঁদের জন্যও হাতিবাগান, দক্ষিণাপণ, নিউ মার্কেট, ধর্মতলার অস্থায়ী কাশ্মীরি দোকানপাট, শহরতলির ছোট মার্কেট সেজে উঠেছে নানা রকমের মাফলার ও স্টোলের সম্ভারে। কেমন দাম তাদের? কী কী নকশা এবার শীতের ফ্যাশনে ইন? জেনে নিন এইবেলা।
বিনি ক্যাপ ও মাফলারের যুগলবন্দি: এই শীতে অনেক দোকানেই ব্র্যান্ডেড টুপি ও মাফলার একসঙ্গে পাবেন। টুপির সঙ্গে মাফলারের নকশা ও রং এক্ষেত্রে একসঙ্গে মিলে যায়। তাই দেখতেও ভালো লাগে। টুপি ও মাফলার ম্যাচিং হলে তা এমনিই সাজে একটা আলগা চটক আনে। এই টুপিগুলো বেশিরভাগই বিনি ক্যাপ। তার সঙ্গে গলাবন্ধ মাফলার মিলবে। দাম পড়বে ৩০০-৪০০ টাকার মধ্যে।
স্টোল: চাদরের সঙ্গে স্টোলের মোদ্দা পার্থক্য একটাই। তা হালকা শীতে দিব্যি কাজে আসে। চাদরের চেয়ে হালকাও হয়। স্টোলে চেক, স্ট্রাইপ ও রংচঙে প্রিন্ট প্রচুর পাবেন। গুজরাতি কাজ, সাধারণ ছাপা, ব্লক প্রিন্ট, কাঁথাকাজ, উলের নকশা নানারকম স্টোল পাবেন দোকানে। একটু কমদামি স্টোল কিনতে চাইলে স্বাভাবিকভাবেই এতে নকশা হালকা হবে। একরঙা স্টোলও পাওয়া যায়। তেমন পছন্দ হলে বাজেট রাখুন ২০০-২৫০ টাকার মধ্যে। সুতির হালকা নকশার স্টোল কিন্তু ১৫০ টাকাতেও পাবেন। আবার বিয়েবাড়ির মরশুমে একটু ভারী নকশার বা হাতে বোনা নকশার স্টোল কিনতে চাইলে বাজেট বাড়ান। বরং তখন ৪০০-৫০০ টাকা বাজেট হলে সুবিধা হয়। যেমন, সিল্কের উপর কাঁথাকাজের স্টোলের চাহিদা অনুষ্ঠানবাড়ির মরশুমে বেশি থাকে। এই ধরনের স্টোল দু’দিকেই পরা যায়। ৭৫০-৯০০ টাকার মধ্যে এমন স্টোল পাবেন। খুব ভারী কাজ হলে দাম পড়বে ১২০০ টাকা।
চাদর: শীতে গায়ে দেওয়ার জন্য চাদরের একটা আলাদা বাজার থাকেই। চাদরের বেলাতেও রং ও নকশার নতুনত্ব এবার চোখে পড়বে। ব্লক প্রিন্টের সুতির চাদর ও কুরুশে বোনা হালকা শীতে পরার জন্য উলের চাদর এবার খুব বিকোচ্ছে। ব্লক প্রিন্টের এমন চাদরগুলোর দাম ২৫০ টাকার আশপাশে। হাতে বোনা কুরুশের কাজ হলে বাজেট বেড়ে ৩৫০-৪০০ টাকা হতে পারে। তবে মেশিন উলের নানা নকশার যেসব চাদর সধারণত শীতের আগে দেখা যায়, তেমন একটিও কিনতে পারেন। এগুলোতে শীত বেশি ভালো আটকায়। আকারেও এরা বড় হয়। দাম পড়বে ৩০০-৩৫০ টাকার মধ্যে। তবে উলের মান ও নকশা বাড়লে বাজেটও বাড়বে। তখন ৭০০-৮০০ টাকা বাজেট হলেই চলবে। এবছর পঞ্চোর কায়দায় কিছু কুরুশের কাজের চাদর উঠেছে। পমপম দেওয়া এই চাদর কমবয়সিদের ভালো মানাবে। হালকা শীতে গায়ে জড়িয়ে রাখার জন্য এমন চাদর ভালো। দাম পড়বে ৪০০ টাকার আশপাশে। এবার বেশ কিছু কাশ্মীরি চাদর উঠেছে। রং ও নকশায় বেশ নজরকাড়া। দক্ষিণাপণ, হাতিবাগান ইত্যাদি জায়গার বড় বড় স্টলে বা প্রাদেশিক স্টলগুলোয় খোঁজ করতে পারেন। দাম পড়বে ৭০০-১০০০ টাকার মধ্যে।
মাফলার: সুতি ও উল মূলত এই দুই কাপড় দিয়ে তৈরি মাফলারেরই চাহিদা বেশি। মাফলারে চেক, স্ট্রাইপ ও রংচঙে ছাপা নকশা প্রচুর পাবেন। তবে নিত্য ব্যবহারের জন্য একটা কালো বা ধূসর রঙের উলেন মাফলার কিনে রাখুন। এই রং ময়লা হলে সহজে ধরা যায় না ও সব পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে যাবে। ছেলেদের বেলায় জ্যামিতিক নানা নকশা ও ছিমছাম দেখতে মাফলারের চাহিদা বেশি থাকে। এমন মাফলার সুতির কাপড়ের কিনলে দাম পড়বে ১৫০-২০০ টাকা। উপকরণ উলের হলে বাজেট বাড়িয়ে ২৫০-৩০০ টাকা করুন। মেয়েদের মাফলারের ক্ষেত্রে কিন্তু এবার নানা একটু অন্যরকম কিছু কিনতে পারেন। স্কার্ফের মতো প্যাটার্নে মাফলার উঠেছে এবার। একটু বড় দোকানে খোঁজ করলে এমন জিনিস পাবেন। এগুলি গলায় নানাভাবে জড়িয়ে রাখা যায়। একটি টাইয়ের নটের মতো আলগা ফাঁস বা গিঁটও দিয়ে রাখতে পারেন। এগুলো মূলত উলেরই হয়। দাম পড়বে ৬০০-৬৫০ টাকা। বাজারচলতি প্রচলিত নকশার উলের মাফলারও পছন্দ করতে পরেন। নানা রঙের হলে ও নকশায় উল দিয়ে কাজ করা থাকলে দাম পড়বে ৫০০-৫৫০ টাকা। অনলাইনে আর একটু কমে পাবেন। একরঙা বা হালকা নকশা হলে এই মাফলারই মিলবে ৩৫০-৪৫০ টাকার আশপাশে।
পকেটের উপর চাপ পড়বে না আবার স্টাইলেও এগিয়ে থাকা যাবে— এমন ভাবনাকে সঙ্গী করেই এবার শীতের কেনাকাটা শুরু হোক। আলমারি ভরে উঠুক পশমের ওমে।
