উপস্থিত বুদ্ধি ও সময়োচিত সিদ্ধান্তে শত্রুদমন ও কর্মে সাফল্য। ব্যবসায় গোলযোগ। প্রিয়জনের শরীর-স্বাস্থ্যে অবনতি। উচ্চশিক্ষায় ... বিশদ
বর্তমান সমাজের বহু মহিলাই পড়াশোনা, চাকরি, কেরিয়ার, অর্থাভাব— নানা কারণের জালে আটকে এই বয়সের মধ্যে মা হতে পারেন না। অনেকক্ষেত্রে বয়স হয়ে যায় ৪০-এরও উপরে। তাঁদেরই মূল সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়।
সমস্যার সমাধান
এই সমস্যায় আক্রান্ত মহিলাদের দু’টি শ্রেণীতে ভাগ করে নিতে হবে। প্রথম শ্রেণীর মহিলাদের বয়স গণ্ডি ৪০ আশপাশে থাকলেও নিয়মিত মেনস্ট্রুয়েশন হচ্ছে। দ্বিতীয় দলের মহিলাদের বয়স অনেকটা পেরিয়ে গিয়ে মেনস্ট্রুয়েশন বন্ধ (মেনোপজ) হয়ে গিয়েছে।
প্রথম দলের মহিলাদের মেনস্টুয়েশন চললেও এগের গুণগত মান ও সংখ্যা অনেকটা কমে আসে। তাই প্রথমেই কিছু হরমোন, ইউএসজি ইত্যাদি টেস্ট করে এগের গুণগত মান সম্বন্ধে ধারণা করা হয়। এক্ষেত্রে মহিলার শারীরিক দিক এবং এগের মান ভালো থাকলে চিকিৎসার প্রথমপর্বে সাধারণ প্রেগন্যান্সির চেষ্টা করা হয়। তবে ৩-৪ মাসের মধ্যে সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতিতে প্রেগন্যান্সি না এলে তখন আইভিএফ (ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) বা আইসিএসআই (ইন্ট্রাসিস্টোপ্লাসমিক স্পার্ম ইঞ্জেকশন) পদ্ধতির দিকে এগিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।
আইভিএফ এবং আইসিএসআই দু’টি প্রায় একই পদ্ধতি। পুরুষের স্পার্মের গুণগত মান ভালো থাকলে আইভিএফ, আর ভালো না থাকলে আইসিএসআই পদ্ধতির সাহায্য নিতে হয়। এই দুই ক্ষেত্রেই মহিলার এগ বের করে এনে বাইরে কৃত্রিমভাবে স্পার্মের সঙ্গে ফার্টিলাইজ করতে হয়। এর মাধ্যমে তৈরি হয় ভ্রূণ। এরপর নির্দিষ্ট সময়ে ইউটেরাসে সেই ভ্রূণ প্রতিস্থাপিত করা হয়ে থাকে।
কিন্তু অনেকসময় মহিলার এগগুলির মান খারাপ থাকা সত্ত্বেও আইভিএফ করে দেখা হয়। সেক্ষেত্রে সাফল্য না আসলে ডোনার আইভিএফ করতে হবে। এক্ষেত্রে মা হাতে ইচ্ছুক মহিলার বদলে ৩০-এর কমবয়সি কোনও মহিলা দাতার এগ নিয়ে ভ্রূণ তৈরি করে ইউটেরাসে প্রতিস্থাপন করা হয়। ডোনার আইভিএফ-এর সাফল্যের হার খুবই ভালো।
দ্বিতীয় দলের মহিলাদের মেনস্ট্রুয়েশন বন্ধ বা অনিয়মিত হয়ে যাওয়ার কারণে স্বাভাবিক উপায়ে সন্তানধারণ সম্ভব হয় না। এই সমস্যার একমাত্র সমাধান ডোনার আইভিএফ।