Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

আর একটি ৮ ফাগুনের প্রতীক্ষায়...
অতনু বিশ্বাস

“প্রতিদিনই মেলায় এসে চুপচাপ বসে থাকেন রফিক, জব্বারের অতৃপ্ত আত্মা!
তাঁরা আবারও বুকের তাজা খুন ঢেলে দিতে চান
আবারও আরেকটি ৮ই ফাগুন ফিরিয়ে আনতে চান
আবারও আরও গাঢ় রঙে রাঙিয়ে দিতে চান শিমূল, কৃষ্ণচূড়া!”—জসীম উদ্দীন মুহম্মদ

কৃষ্ণচূড়া বোধহয় এতটা ঘন রক্তবর্ণ হয়নি কক্ষনো এর আগে। এমনটা যে হতে পারে, তা ভাবতেই পারেনি পশ্চিম পাকিস্তানের উর্দু শাসকেরা। ভাষার আবেগ কতটা গভীর হওয়া সম্ভব? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চল্লিশটি উজ্জ্বল রত্ন বুকের রক্ত দিয়ে লিখল নতুন ইতিহাস। অবাক পৃথিবী জানল, দেশ নয়, স্বাধীনতা নয়, সন্তান নয়, মা নয়–মায়ের ভাষাও হতে পারে এমন পরম প্রিয়। যার জন্যে কৃষ্ণচূড়ার ছেঁড়া পাপড়ির মত, আগুন-রঙা পলাশের মত রক্তের ঢেউ ঢেলে দেওয়া যায় রমনার মাঠে। এমনটাই তো হল ১৯৫২-র একুশে ফেব্রুয়ারি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী, উজ্জ্বল ছাত্ররা—বেঁচে থাকলে যারা অবলীলায় হতো দেশের, সমাজের দিশারি—যুগান্তের সেই সন্ধিক্ষণে মৃত্যুর মধ্য দিয়েও নির্দেশ করল এক সুনির্দিষ্ট দিশার। জাতির জীবনে, মননে। আশা নেই বলেই বোধকরি ভাষা হয়ে ওঠে আশা। সেই সঙ্গে উৎসারিত হয় এক আত্মপ্রত্যয়ের হৃদ্‌স্পন্দন। ভবিষ্যতের প্রতিটা দিন-বদলের ক্রান্তিলগ্নে আর শিকল ছেঁড়ার মুহূর্তে প্রতিধ্বনিত হতে থাকবে একুশের স্পন্দন। স্বাধীন বাংলাদেশের ভ্রূণের সৃষ্টিও বোধকরি বাহান্নর সেই পুন্যদিনে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের মধ্যেই নিশ্চিতভাবে সেই দিশার পূর্ণতা।
ওদিকে বাংলাভাষার তৃতীয় ভুবনে অসমের বারাক উপত্যকায় বাংলাভাষার অধিকার রক্ষার সত্যাগ্রহীদের উপরে পুলিসের নির্বিচার গুলিতে ১৯৬১-র ১৯ মে, রবীন্দ্র শতবর্ষের কবিপক্ষের মাঝেই, জন্ম হল একাদশ শহিদের। স্বাধীন ভারতে ভাষার অধিকার রক্ষায় প্রাণ দিল কেউ প্রথম বারের জন্যে। সালাম, জব্বর, রামেশ্বর, রফিকদের হাত থেকে ভাষা শহীদের ব্যাটনটা হাতে তুলে নেয় কমলা, শচীন্দ্র, কুমুদরঞ্জন-রা।
সময় গড়িয়ে চলে। ‘এমনই করে ফি-বছর নগ্ন পদ বিক্ষেপে ৮ই ফাল্গুন আসে।’ ভাষা শহিদদের ভোলেনি বাঙালি। নিশ্চিতভাবেই। পূর্ব বাংলায় একুশ নিয়েছে গণ-উৎসবের চেহারা। পশ্চিম খণ্ডের বাঙালিও স্মরণ করে চলেছে একুশ আর উনিশের শহিদদের। প্রত্যেক বছর। আজ, একুশের পুণ্যক্ষণে, আমরা বরং একবার ফিরে দেখি আমরি বাংলাভাষার দিকেই। যে-ভাষার জন্যে রক্ত ঝরেছে বাহান্ন আর একষট্টিতে। পূর্ব খণ্ডে আর তৃতীয় ভূখণ্ডে। দুই দেশ জুড়ে। তবু, পশ্চিম খণ্ডের বাংলা ভাষাটা বোধকরি বদলে চলেছে একটু একটু করে। শহুরে কথ্য বাংলাকেও চিনতে আজ কষ্ট হয় অনেক সময়।
আসলে ‘দিবসগুলি পালিত হয়/ শপথগুলি নয়।’ শহিদমিনারের সামনে পুষ্পাঞ্জলি কিংবা কাগজে কাগজে আর সভা-সমিতিতে একুশের বন্দনাই তাই যথার্থ শহিদতর্পণ নয়। আজকের নাগরিক বাংলাভাষাকে গ্রাস করে নিচ্ছে ইংরেজি শব্দের বহুল ব্যবহার। রয়েছে হিন্দি শব্দের জোয়ার। বাংলা থেকে বিচ্যুত হয়ে স্পষ্টতই তৈরি হয়েছে এক মিশ্র ভাষারীতির। ভাষার মাপকাঠিতে এটা ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে আছে তার সঠিক বিশ্লেষণ করতে পারেন যোগ্য ভাষাতাত্ত্বিকরা। বাংলাদেশের বাংলা ইতিমধ্যেই আপন করেছে প্রভূত উর্দু শব্দকে, যে উর্দুর শৃঙ্খল থেকে মুক্তির অভীক্ষায় ঘটেছিল একুশে ফেব্রুয়ারি। সেটা হয়তো ভাষার সমৃদ্ধির পক্ষে ভালোই। কিন্তু সেই সঙ্গে তারা বর্জন করে ফেলেছে বেশ কিছু শব্দকেও, যে শব্দগুলি বার বার ব্যবহার করেছেন রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র। বাংলা তাই সর্বত্রই হারিয়ে ফেলছে স্বকীয়তাকে। হারিয়ে ফেলছে তার রবীন্দ্রনাথকে, তার জীবনানন্দকে। এবং অত্যন্ত দ্রুতলয়ে।
এটা ঠিক যে আজকের দুনিয়ায় কোনও ভাষাই বিচ্ছিন্ন জলাধারের মতো তার স্বতন্ত্র অস্তিত্ব বজায় রাখতে পারে না। সেটা অভিপ্রেতও নয়। ভাষা বহতা স্রোতস্বিনী নদীর মত। দু’পাশের জনপদের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হবার সময় ভাষা-নদী পুষ্ট হয় বর্ষণে, সমৃদ্ধ হয় নানা উপনদীর জলধারায়, এমনকী প্রাণোচ্ছ্বল হয়ে ওঠে দু’ধারের জনপদের জীবন-স্পন্দনেও। ওঠে ফুলে-ফেঁপে। যেমন, ইংরেজি ভাষার কথাই ধরা যাক। তার ২৯ শতাংশ শব্দ এসেছে লাতিন থেকে, আরও ২৯ শতাংশ শব্দের যোগান দিয়েছে ফরাসি ভাষা, যোগ হয়েছে ২৬ শতাংশ জার্মান শব্দও। বাকি ১৬ শতাংশ শব্দের মধ্যে ইতালীয়, স্পেনীয়, ডাচ, আরবি, হিব্রু, কী নেই! এমনকী ‘বাংলো’, ‘জাঙ্গল’, ‘কারি’ কিংবা ‘বারান্দা’-র মতো ভারতীয় শব্দেরও ছড়াছড়ি। এতে বড় একটা অসুবিধার কিছু দেখি না। বরং অন্য ভাষা থেকে ঋণ নিয়ে সমৃদ্ধ হয় যে কোনও ভাষার শব্দভাণ্ডার। তাই উর্দু, হিন্দি বা ইংরেজি শব্দ অর্জন করতে পারলে বাঙলা ভাষার ক্ষতি হবার কথা নয়।
সমস্যাটা কিন্তু অন্যত্র। আবার সেই ইংরেজি ভাষার উদাহরণ দেওয়া যাক। পৃথিবীর নানা প্রান্তে ভাষাটা তাদের নিজের নিজের মত করে গড়ে উঠেছে। যেমন সুবিশাল মার্কিন মুলুকে প্রধান যে ভাষায় কথা বলা হয় তাকে বলে ‘আমেরিকান ইংরেজি’। ব্রিটিশ ইংরাজির সঙ্গে তার পার্থক্য অনেকটাই। ব্রিটিশরা যাকে বলে ‘লিফট’, মার্কিনরা তাকেই বলে ‘এলিভেটর’। কিন্তু পার্থক্যটা কেবলমাত্র এতটাই সোজা নয়। শুধু নতুন শব্দই নয়, আমেরিকান ইংরাজিতে বদলে গিয়েছে বানান-রীতি, বদলে গিয়েছে ব্যাকরণ। নতুন স্টাইলে তাই সেটা যেন সম্পূর্ণ নতুন এক ভাষা। তেমনি করেই অস্ট্রেলিয়রা তৈরি করে ফেলেছে ‘অস্ট্রেলীয় ইংরেজি’। আজ ব্রেক্সিটের সন্ধিক্ষণে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বিদায়-বেলায় ব্রিটিশ ইংরেজি আর এক সংকটের মুখে। ব্রেক্সিটের ফলে ব্রিটেন সরে গেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দু-ডজন সরকারি ভাষার মধ্যেই থাকবে না ইংরেজি। ‘আমেরিকান ইংরেজি’-র মতো ইউরোপ জুড়ে ‘ইউরো ইংরেজি’ নামে যে ভাষাটা ইতিমধ্যেই গড়ে উঠছে বা উঠেছে, ব্রিটিশ ছত্রছায়ার অভাবে তা বিকশিত হয়ে উঠবে পূর্ণ রূপে। হয়তো-বা এক অনিবার্য নতুন আঙ্গিকে। প্রকাশ পাবে আর এক নতুন ভাষা।
নতুন ভাষা? হ্যাঁ, তাই তো বলছেন ভাষাতাত্ত্বিকরা। ‘আমেরিকান ইংরেজি’ অবশ্যই এক স্বতন্ত্র ভাষামাত্র, যা অনেকটাই আলাদা ‘ব্রিটিশ ইংরেজি’ থেকে। তেমনই ‘ইউরো ইংরেজি’ও এক নতুন ভাষা ছাড়া আর কিছু নয়। ভেবে দেখুন না, ইংরেজি, ফরাসি, জার্মান, স্পেনীয়, ইতালীয় ইত্যাদি অনেক ভাষাই তো ব্যবহার করে একই অক্ষরমালা, তাদের মধ্যে রয়েছে একই ধরনের প্রচুর শব্দ। তবু এই ভাষাগুলি তো সম্পূর্ণ আলাদা।
আজ বাংলা ভাষার ক্ষেত্রেও কি আমরা সে রকমেরই এক সংকটের মুখে দাঁড়িয়ে—ইংরাজির ক্ষেত্রে ঠিক যেমন সংকট তৈরি করছে ‘ইউরো ইংরেজি’? হিন্দি এবং ইংরেজির অবাধ অনুপ্রবেশের ফলশ্রুতিতে শুধুমাত্র শব্দভাণ্ডার ফুলে-ফেঁপে ওঠাই নয়, বদলে যাচ্ছে আমাদের কথ্য বাংলার বাচনভঙ্গি, বদলে চলেছে তার ব্যাকরণ। এক দশক আগেও শুনতাম ‘তোমাকে বিয়ে করব’, আর এখন হামেশাই শুনে থাকি ‘তোমার সাথে বিয়ে করব’। আবার টিভির বিজ্ঞাপণে যখন শুনি ‘এই সুযোগ কাল আসে না আসে’, হতবাক হয়ে খুঁজে ফিরি বাঙালি অস্তিত্ব আর কালচার। সচেতন বা অচেতন ভাবে তৈরি হচ্ছে এমন এক ভাষারীতি যার দীর্ঘশ্বাসের নাম আর ‘চণ্ডীদাস’ থাকছে না কিছুতেই, আমাদের শতাব্দী কাঁপানো উল্লাসের নাম ‘মধুসূদন’ থেকে বদলে যাচ্ছে দ্রুতলয়ে, আমাদের থরোথরো প্রেমের নাম এখন আর ঠিক যেন ‘রবীন্দ্রনাথ’ নয়, আমাদের বিজন অশ্রুবিন্দুর নাম ‘জীবনানন্দ’ থেকে সরে আসছে, আর বিদ্রোহের ‘নজরুল ইসলাম’ নামটাও হয়তো ভুলতে বসেছে আমরি বাংলা ভাষা। শুধু কাব্যে নয়, সাহিত্যে নয়—হয়তো জীবন যাপনের স্তরে স্তরে, হৃদয়ের প্রতিটা তালে ঘটে চলেছে এই বদলগুলি। আমরা বুঝি আর নাই বুঝি। অক্ষরগুলো থাকছে একই, থাকছে শব্দগুলোও। উনিশে মে আর একুশে ফেব্রুয়ারি অবশ্যই পারি দিয়েছে মারের সাগর। কিন্তু যে বাংলাভাষার জন্যে প্রাণ দিয়েছে রফিক, সালাম, রামেশ্বর, বরকত, সফিউর, শফিক, জব্বার, কিংবা শচীন্দ্র, বীরেন্দ্র, কমলা—সে ভাষাটা থেকে অনেকটাই যে আলাদা আজকের বাংলার শহুরে চলতি ভাষা। কিংবা খুব দ্রুতলয়ে ভেঙেচুরে গড়ে উঠছে যে নতুন কথ্য ভাষাটা। কী বলব সেই ভাষাটাকে? বিশ্বায়ণের পথে ধরে বাঙলার বিবর্তনের চালচিত্র? ‘গ্লোবাল বাংলা’ ভাষা?
আমার বাংলাভাষার জন্যে রফিকদের প্রাণের মূল্য, তাদের রক্তের দাম চোকানোর দায় আছে বইকি আমাদের। পুব বাংলার আর পশ্চিমবাংলার এই প্রজন্মের সমস্ত বাঙালিদের। আর যাই হোক, আজকের এই বদলে যাওয়া ভাষাটা কিছুতেই হতে পারে না একুশে ফেব্রুয়ারি কিংবা উনিশে মার্চের উত্তরাধিকার। কিন্তু উর্দুর কবল থেকে বাংলাকে মুক্তি দেওয়া কিংবা শিলচরের বাঙালিদের ভাষার অধিকারের দাবির চাইতে অনেক কঠিন, হয়তো-বা এক প্রকার অসম্ভবই, বাংলাভাষার ক্রমিক অবক্ষয়ের মূল্যে ক্রমশ গড়ে ওঠা নতুন বকচ্ছপ ধরনের ভাষাটার উত্থান আটকানো। বুকের তাজা রক্ত ঢেলে, আবারও আরও গাঢ় রঙে শিমূল, কৃষ্ণচূড়া রাঙিয়ে দিয়েই নতুন কোনও রফিক, জব্বর কিন্তু ফিরিয়ে আনতে পারবে না আরেকটি ৮ ফাগুন!
মায়ের ভাষার জন্যে আজকের রফিক, জব্বরদের তাই দিতে হবে আরও বেশি কিছু। ‘ভক্তি’।
 ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিক্যাল ইনস্টিটিউট, কলকাতার রাশিবিজ্ঞানের অধ্যাপক। মতামত ব্যক্তিগত
21st  February, 2019
তাহলে পুলওয়ামা কাণ্ডই কি এবার ভোটের প্রধান ইস্যু?
মোশারফ হোসেন

দেখতে দেখতে লোকসভার ভোট তো এসেই গেল বলা যায়। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে আগামী দু’-তিন সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেবে। আর, তারপরই গোটা দেশ মেতে উঠবে ভোট উৎসবে। 
বিশদ

শুধু শোক আর ক্রোধ, চেতনা নেই
পি চিদম্বরম

মাসুদ আজহারকে বাগে পেয়েও ২০০০ সালের জানুয়ারিতে তাকে মুক্তি দিতে বাধ‌্য হওয়ার আফটার শক বা ঝটকা আমরা এখনও নিয়মিত অনুভব করি। প্রতিটা ঝটকা ভারতবাসীকে মনে করিয়ে দেয় যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার মাসুদ আজহারকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পণবন্দি আইসি-১৮৪ বিমানের যাত্রী ও কর্মীদের মুক্তির বিনিময়ে।
বিশদ

25th  February, 2019
পুলওয়ামার পর
শুভা দত্ত

 পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার পর কেটে গেল বেশ কয়েকটা দিন। ওই ঘটনার জেরে দেশ জুড়ে ক্ষোভ শোকের যে আগুনে আলোড়ন উঠেছিল তাও আজ অনেকটাই কমে গেছে। মোমবাতি মিছিল, ধিক্কার সভার রেশও এখন অনেকটাই মিলিয়ে এসেছে। অবশ্য, তুষের আগুনের মতো তার তাপ এখনও সাধারণ ভারতবাসীর নিত্যদিনের জীবনের আড়ালে যে ধিক ধিক করে জ্বলছে তা একটু ভালো করে নজর করলেই টের পাওয়া যায়।
বিশদ

24th  February, 2019
অন্তর্বর্তী বাজেটে শিশুরা কী পেল?
শুভময় মৈত্র

জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মতই বাজেটে বানানোর সময় শিশুদের মত নেওয়া হয় না মোটেই। শিশুদের অবস্থা অনেকটা হতদরিদ্র মানুষের মত। গরিবদের ভালো খারাপ ঠিক করে সমাজের সম্পদশালী মানুষেরা। তেমনই ছোটদের ভালোমন্দ প্রাপ্তবয়স্কদের হাতে।
বিশদ

23rd  February, 2019
জঙ্গি হানার পর
সমৃদ্ধ দত্ত

 সেনাপ্রধান স্যাম মানেকশকে ডেকে ইন্দিরা গান্ধী বললেন, জেনারেল, আমার মনে হয় ইস্ট পাকিস্তানি (পরবর্তী বাংলাদেশ) বেঙ্গলিদের রক্ষা করতে আমাদের মিলিটারি অ্যাকশনে যেতে হবে। ইস্ট পাকিস্তান থেকে স্বৈরাচারী আর্মি রুলকে সরাতে হবে। সেটা ইন্ডিয়ার সুরক্ষার জন্যও খুব দরকার।
বিশদ

22nd  February, 2019
শিশুদের বাজেট
শুভময় মৈত্র

 একশো ত্রিশ কোটির দেশে আশি কোটি প্রাপ্তবয়স্ক ভোটার, বাকি পঞ্চাশ কোটি বয়সে ছোট। যার ভোট নেই তার জন্যে লোকসভা নির্বাচনের মাস তিনেক আগে ভাবার সময় থাকে না শাসকদলের। সেই জন্যেই বাজেট বক্তৃতায় শিশুদের কথা খুঁজতে গেলে দূরবিন প্রয়োজন। তবে চশমা ছাড়াই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে এবারের বাজেটের বিশালাকার অক্ষরের ভীষণ চমক ‘ভিশন ২০৩০’। আজ থেকে এগারো বছর পর দেশ ঠিক কোথায় পৌঁছবে তার চালচিত্র। কোথাও কিন্তু আজকের শিশুদের কথা নেই।
বিশদ

22nd  February, 2019
যুগজাগরণে যুগাচার্য স্বামী প্রণবানন্দজি মহারাজ
স্বামী নীলেশ্বরানন্দ

যুগজাগরণ এক যুগাচার্যের সাধনসিদ্ধির প্রাক্কালীন শ্রীমুখ নিঃসৃত যুগমহাবাণী। এ জাগরণ মানব জীবনের উন্নয়ন উদ্বোধনের আকাশবার্তা। ১৯১৬ সনের পুণ্যময়ী মাঘী পূর্ণিমার শুভ লগ্নে এক সাধক সাধন সমাহিত অবস্থা থেকে উত্থিত হয়েই জগৎবাসীর কল্যাণে উৎসর্গ করলেন এক মহাআশ্বাস বাণী—এ যুগ মহাজাগরণের তথা মহাসমন্বয়ের।
বিশদ

19th  February, 2019
ইসলামাবাদের ইসলামি ঐক্যের ফাঁদে কাশ্মীর
হারাধন চৌধুরী

ঘটনাটিকে বাসি বলার সময় এখনও হয়নি। বলিউডের নামজাদা অভিনেতা নাসিরউদ্দিন শাহের এক সংকীর্ণ মন্তব‌্যে উৎসাহিত হয়ে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দাবি করে বসলেন, ‘‘সংখ‌্যালঘুদের সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হয় তা মোদি সরকারকে দেখিয়ে দেবে পাকিস্তান।’’
বিশদ

19th  February, 2019
বধ্যভূমি কাশ্মীর: আমরা কি
কেবল মার খেতেই থাকব!

শুভা দত্ত

 গত বৃহস্পতিবার আবার জঙ্গি তাণ্ডবে কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ, দেশপ্রেমিক জওয়ানদের রক্তে ভিজে গেল কাশ্মীর উপত্যকার মাটি। পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় জয়েশ জঙ্গিদের আত্মঘাতী হামলায় সিআরপিএফের ৪৪ জন জওয়ান শহিদ হলেন।
বিশদ

17th  February, 2019
মার্কিন মুলুকে (-) ৬০,
সন্ধিক্ষণ কিন্তু পরিবর্তনেরই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পোলার ভর্টেক্সের প্রভাব কি ভারতেও পড়েছে? এবার উত্তর ভারতের দীর্ঘস্থায়ী ঠান্ডার জন্য আবহাওয়াবিদরা কিছুটা হলেও পোলার ভর্টেক্সকে দায়ী করছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পোলার ভর্টেক্স দুর্বল হয়ে ঠান্ডাটাকে আমেরিকা ও ইউরোপের উত্তরভাগে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে। আর তার ধাক্কায় দক্ষিণের দিকে চলে এসেছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এমনিতে বছরে চার থেকে ছ’টি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ভারতীয় উপমহাদেশে এসে ধাক্কা খায়। চলতি বছর সেই সংখ্যাটা সাত। যার জন্য শীতের প্রকোপ বেড়েছে ভারতে। মূলত হিমালয় এবং তার সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে।
বিশদ

16th  February, 2019
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন এগিয়ে?
সমৃদ্ধ দত্ত

গত পাঁচ বছরে সিপিএম একবারও কি রেলমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করে রাস্তায় নেমেছে? পশ্চিমবঙ্গ কেন বঞ্চিত হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে কখনও সিপিএমকে প্রেস কনফারেন্স করতে দেখেছে কেউ? কেন কিছু করেনি সিপিএম? কারণ এখন আর রেলমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়। বিশদ

15th  February, 2019
রাফাল না সিবিআই, মোদি-বিরোধিতায় সবচেয়ে শক্তিশালী ইস্যু কোনটি?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 রাফাল ইস্যুকে সামনে রেখে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তির ওপর প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। ধারাবাহিকভাবে রাফাল ইস্যু প্রচারের কেন্দ্রে রাখতে পেরেছিলেন রাহুল। হিন্দি বলয়ে তিন রাজ্য—মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়-এ বিজেপি’র পরাজয়ের পিছনে অন্য সমস্ত কারণের মধ্যে রাহুল গান্ধীর তোলা রাফাল যুদ্ধ বিমান দুর্নীতির প্রচার বিজেপি’র বিরুদ্ধে গিয়েছিল বলে অনেকে মনে করেন।
বিশদ

14th  February, 2019
একনজরে
বিএনএ, কোচবিহার: লোকসভা নির্বাচনের মুখে প্রার্থী নির্বাচনকে ঘিরে কোচবিহারে বিজেপি’তে জোর কোন্দল শুরু হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির জেলা সভাপতি মালতী রাভা সহ জেলা কমিটির একাধিক নেতা প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদন করেছেন।  ...

 দীপ্তিমান মুখোপাধ্যায়, হাওড়া: আমতা ব্রিজ থেকে ঝিকিরা পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগ নিল পূর্ত দপ্তর। এখন এই রাস্তাটি অত্যন্ত অপরিসর ও খারাপ অবস্থায় আছে। ফলে লোকজনের যথেষ্ট ভোগান্তি হচ্ছে। এই অবস্থায় এই রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য পূর্ত দপ্তরের কাছে ...

সুকান্ত বসু, কলকাতা: জেলে অসাধু উপায়ে মোবাইল এবং সিম কার্ডের অনুপ্রবেশ রুখতে এবার কারারক্ষীদেরই একটি বিশেষ টিমকে সংশোধনাগারের বাইরে তিনটি শিফটে নজরদারি চালানোর কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে। কারা দপ্তর সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রতিটি সংশোধনাগারে একই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। প্রয়োজনে স্থানীয় ...

 ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জে যেসব সংস্থার শেয়ার গতকাল লেনদেন হয়েছে শুধু সেগুলির বাজার বন্ধকালীন দরই নীচে দেওয়া হল। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০২: ফরাসি লেখক ভিক্টর হুগোর জন্ম
১৯০৮: লেখিকা লীলা মজুমদারের জন্ম
১৯৩৬: চিত্র পরিচালক মনমোহন দেশাইয়ের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.১৯ টাকা ৭১.৮৯ টাকা
পাউন্ড ৯১.২৫ টাকা ৯৪.৫৪ টাকা
ইউরো ৭৯.১৪ টাকা ৮২.১৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৩,৮৯০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩২,১৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩২,৬৩৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪০,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪০,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ ফাল্গুন ১৪২৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, অষ্টমী ৫৮/১০ শেষ রাত্রি ৫/২১। অনুরাধা নক্ষত্র ৪২/২৬ রাত্রি ১১/৩। সূ উ ৬/৪/৫০, অ ৫/৩৪/৪০, অমৃতযোগ দিবা ৮/২২ গতে ১০/৪২ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে পুনঃ ৩/১৫ গতে ৪/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৩ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/৫৫ গতে ৩/৩৫ মধ্যে, বারবেলা ৭/৩২ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১/১৬ গতে ২/৪২ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৪২ মধ্যে।
১৩ ফাল্গুন ১৪২৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ১০/১৪/২৯। অনুরাধানক্ষত্র রাত্রি ৩/৫৪/২৩, সূ উ ৬/৬/৫, অ ৫/৩৩/১, অমৃতযোগ দিবা ৮/২৩/৫৮ থেকে ১০/৪০/৫১ মধ্যে ও ১২/৫৪/১৫ থেকে ২/২৯/৫০ মধ্যে ও ৩/১৫/৩৮ থেকে ৪/৪৭/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৩/১৩ মধ্যে ও ৮/৫৩/৫০ থেকে ১১/২৪/২৭ মধ্যে ও ১/৪৫/৪ থেকে ৩/৩৫/২৮ মধ্যে, বারবেলা ৭/৩১/৫৭ থেকে ৮/৫৭/৪৯ মধ্যে, কালবেলা ১/১৫/২৫ থেকে ২/৪১/১৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৭/৯ থেকে ৮/৪১/১৭ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়স সানি
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বৃষ: মামলা-মোকদ্দমায় জয় লাভ। মিথুন: বয়স্ক ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিন  
১৮০২: ফরাসি লেখক ভিক্টর হুগোর জন্ম১৯০৮: লেখিকা লীলা মজুমদারের জন্ম১৯৩৬: ...বিশদ

07:03:20 PM

ফের সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের  
আজ বিকাল ৫.৩০টা নাগাদ জম্মু ও কাশ্মীরের নৌসেরা, কৃষ্ণঘাঁটি ও ...বিশদ

06:26:29 PM

উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম দিনেই মোবাইল সহ ধরা পড়ল ৫ জন, বাতিল রেজিস্ট্রেশন 

05:04:13 PM

২৪০ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

03:51:20 PM

যে কোনও পরিস্থিতির জন্য সেনা এবং দেশবাসীকে তৈরি থাকতে বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান  

03:45:06 PM