Bartaman Patrika
বিশেষ নিবন্ধ
 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন এগিয়ে?
সমৃদ্ধ দত্ত

লাস্ট কোথায় ট্রেনের অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছিল? কতজন হতভাগ্য যাত্রীর মৃত্যু হল গত পাঁচ বছরে ভারতজুড়ে নানাবিধ মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনায়? দূরপাল্লার ট্রেনের খাবার খেয়ে কেউ কি অসুস্থ হয়ে পড়েছে? পাঁচ বছরে একটিও নতুন রেলপ্রকল্প আসেনি। একটিও নতুন ট্রেন ঘোষণা হয়নি। কিন্তু এসব নিয়ে গত পাঁচ বছরে কখনও দেখা গিয়েছে সিপিএম নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ দল প্রচণ্ড চিন্তা ব্যক্ত করেছে? গত পাঁচ বছরে সিপিএম একবারও কি রেলমন্ত্রীর ইস্তফা দাবি করে রাস্তায় নেমেছে? পশ্চিমবঙ্গ কেন বঞ্চিত হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে কখনও সিপিএমকে প্রেস কনফারেন্স করতে দেখেছে কেউ? কেন কিছু করেনি সিপিএম? কারণ এখন আর রেলমন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়। ২০০৯ সাল থেকে সিপিএমকে দেখলে মনে হতো তাঁদের একমাত্র রাজনৈতিক কর্মসূচি ও গঠনতন্ত্র হল ভারতীয় রেলের উন্নতিসাধন। ওভারহেডের তার ছিঁড়ে গিয়ে সোনারপুর থেকে ক্যানিং সেকশনে সামান্য কিছু সময়ের জন্য ট্রেন বন্ধ থাকলেও সিপিএম মমতার ইস্তফা চাইত তখন। সিপিএমের তখন রেলময় জীবন ছিল। কিন্তু যেই রেলমন্ত্রক আর মমতার দলের হাতে রইল না, সঙ্গে সঙ্গে সিপিএমের রেলের জন্য আকুলতা স্টপ হয়ে গেল। এই যে একের পর এক বাজেট হয়ে চলেছে। সিপিএমের পশ্চিমবঙ্গের জন্য কোনও হেলদোল আছে? নেই। কারণ মমতা তো আর দায়িত্বে নেই! শুধু এই অ্যাঙ্গেলটা ঠান্ডা মাথায় চিন্তা করলে সিপিএম নেতৃত্ব বুঝতে পারবে যে মমতাকে তাঁরা নিজেরাই কতটা গুরুত্বপূর্ণ করে দিয়েছেন। তাঁদের রাজনীতি বস্তুত মমতাকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয়।
আসছেন নরেন্দ্র মোদি। আসছেন অমিত শাহ। আসছেন রাজনাথ সিং। আসছেন যোগী আদিত্যনাথ। আসছেন শিবরাজ সিং চৌহান। যাচ্ছেন ঠাকুরনগরে। যাচ্ছেন দুর্গাপুরে, যাচ্ছেন বর্ধমানে। যাচ্ছেন কোচবিহারে। যাচ্ছেন পুরুলিয়ায়। সকলেরই টার্গেট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লি থেকে মোদি সরকারের তাবৎ মন্ত্রিসভা আসছে নিয়ম করে পশ্চিমবঙ্গে। কারণ লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ দখল। এই তো সেদিন তখন রাজীবকুমার এবং সিবিআইকে নিয়ে বিতর্ক সবেমাত্র শুরু হয়েছে। পরদিনই দিল্লি থেকে কলকাতায় বিজেপি সদর দপ্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে কে চলে এলেন? দেশের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রকাশ জাভরেকর। বিজেপির কোনও রাজ্য নেতাকে সেই দায়িত্ব দেওয়া হল না কিন্তু। তিনি কলকাতায় সাংবাদিক সম্মেলন করে মমতাকে কটাক্ষ করে বললেন, কেন সিবিআইকে এত ভয়? লোকসভায় স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বিবৃতি দিলেন, পশ্চিমবঙ্গে সাংবিধানিক সংকটের সূত্রপাত হয়েছে। দিল্লির বিজেপি দপ্তরে আ‌ইনমন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ কিংবা বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। সকলেই মমতাকে চরম আক্রমণ করে বললেন, মমতা ভয় পেয়েছেন। দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন নির্বাচন কমিশনে গেলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে নালিশ নিয়ে। এই যে বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এভাবে নিজেদের গোটা ফোর্স নিয়ে মমতার বিরুদ্ধে নেমে গেলেন সেটা আসলে কী বার্তা দেয়? মমতাকে হারাতে বিজেপি প্রধানমন্ত্রী থেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী, আইনমন্ত্রী থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী—সকলকেই ময়দানে নামতে হচ্ছে। সেটাই প্রমাণ করে তাঁরাই মমতার গুরুত্ব বিপুলভাবে বাড়িয়ে দিলেন। এই যে কথায় কথায় এঁরা রাজ্যে চলে আসছেন, এর অন্তর্নিহিত বার্তা কি এটাই নয় যে বিজেপি শীর্ষ নেতারাই বুঝিয়ে দিচ্ছেন আসলে রাজ্য বিজেপি নেতারা মমতার বিরুদ্ধে লড়ার পক্ষে যথেষ্ট যোগ্য নয়? এভাবে বারংবার যখন তখন ছোটখাটো বিষয়েও মমতাকে আক্রমণ করার জন্য কলকাতায় কেন্দ্রীয় নেতাদের আসা কিংবা মফস্‌সলের সভাতেও জাতীয় নেতাদের আগমনের অর্থ তো এটাই যে বিজেপি নেতৃত্ব মনে করে, একজনও এমন কোনও রাজ্য বিজেপি নেতা নেই যাঁকে সামনে রেখে মমতা বিরোধী আক্রমণ করলে জনতা সিরিয়াসলি গুরুত্ব দেবে। তাই দরকার পড়ছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের। এর ফলে সবথেকে ক্ষতি কার হচ্ছে? রাজ্য বিজেপির। কারণ তাঁদের নিয়ে জনতা আর আলোচনাই করছে না। মমতাকে মারাত্মক আক্রমণ করে রীতিমতো ব্যাকফুটে ফেলে দিচ্ছেন মোদি, অমিত শাহ, যোগী ইত্যাদি ইত্যাদি। আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু কেউ রাজ্য নেতাদের গুরুত্ব দিচ্ছে না। এটা বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষে কি খুব স্বস্তিদায়ক?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবথেকে বড় রাজনৈতিক কুশলতা হল তিনি অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে তাঁর বিরোধী দলগুলির রাজ্য নেতৃত্বকে রীতিমতো গুরুত্বহীন ও অপ্রাসঙ্গিক করে দিতে সক্ষম হয়েছেন। তাই তাঁকে কখনও দেখা যায় না কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপির রাজ্যস্তরের নেতাদের কোনওরকম আক্রমণের জবাব দিতে। তিনি শুধু পাল্টা জবাব দেন ওইসব দলের দিল্লির নেতাদের বিবৃতির। বিরোধী রাজ্য নেতাদের যে কোনওরকম আক্রমণের জবাব দেওয়ার জন্য তাঁর দলের মেজ সেজ মুখপাত্ররাই যথেষ্ট, এরকমই একটি বার্তা দেন। মমতাকে টাইট দেওয়ার জন্য যতরকম তীব্র রাজনৈতিক আক্রমণ করা হয় তার সবই করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। প্রিমিয়ার লিগের খেলাটা ওই মমতা বনাম মোদির মধ্যে হয়। বিরোধীদের রাজ্য নেতৃত্ব নেহাত সেকেন্ড ডিভিশনের লিগের মতো গুসকরা কিংবা আমতা অথবা বিষ্ণুপুরের মতো ছোট ময়দানে ছোট জনসভা, পথসভার মধ্যেই নিজেদের সীমাবদ্ধ রাখেন। মমতা একাই ব্রিগেড করেন। একাই ২১ জুলাই করেন। কংগ্রেস, বিজেপিকে ব্রিগেড করার আগে দশবার ভাবতে হয় কেন? কারণ তাঁরা জানেন রাহুল গান্ধী কিংবা নরেন্দ্র মোদি না এলে ব্রিগেড করার রিস্ক আছে। সিপিএম এখানে প্রশ্ন তুলতে পারে আমরা তো একাই ব্রিগেড করি? সেখানে মারাত্মক ভিড়ও হয়। ঠিক। আর এই প্রশ্নটির পাল্টা একটি জিজ্ঞাস্য আছে। সেটি হল, তাহলে মমতাকে হারাতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করার জন্য এত উদগ্রীব কেন আপনারা? এই যে ব্রিগেডে এত ভিড় হল এবং আপনারা মমতাকে কঠিন চ্যালেঞ্জ দিতে পারেন সেটা যদি প্রমাণিতই হয়ে যায়, তাহলে মমতার বিরুদ্ধে একাই লড়ুন। সেটাই তো আত্মবিশ্বাসের প্রমাণ, তাই না? কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কের প্রয়োজন হচ্ছে কেন? কংগ্রেসের সঙ্গে যদি সিপিএম আবার জোট করে, তাহলে তো স্বীকার করে নেওয়া হল একা আর কোনও দল মমতাকে হারাতে পারবে না, নিজেরাই ধরে নিয়েছে দুই দল। অর্থাৎ এভাবে নিজেরাই নিজেদের দুর্বলতা আর মমতার শক্তির ক্রমাগত বিজ্ঞাপন দিয়ে চলেছে বিরোধীরা।
এবং কংগ্রেস! প্রদেশ কংগ্রেস যদি মনে করে মমতা ও মোদি প্রধান প্রতিপক্ষ এবং রাজ্যে কোনওরকম জোটই মমতার সঙ্গে করা সম্ভব নয়, তাহলে কিন্তু শুধু রাজ্যে জোট নয় এই আরজি রাহুল গান্ধীকে জানিয়ে এলেই যথেষ্ট নয়। একইসঙ্গে প্রদেশ নেতৃত্বের উচিত রাহুল গান্ধীকে এটাও জানিয়ে দেওয়া, যে রাহুল ঘোষণা করুন, জাতীয় স্তরেও আগামীদিনে আর যাই হোক কোনওভাবেই মমতার থেকে কংগ্রেস কোনও সাহায্য নেবেও না, দেবেও না। মহাজোটেও তৃণমূলকে নেওয়া চলবে না। এটাই তো স্বচ্ছ রাজনীতি। নীতির রাজনীতি। রাজ্যে মমতা বিরোধী। কিন্তু কেন্দ্রে মোদি-বিরোধী লড়াইকে তুঙ্গে নিয়ে যেতে কিংবা রাহুল প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হলে আশা করা হবে মমতা সমর্থন করবেন, এই অবস্থান সুবিধাবাদী। বিরোধীরা বলেন মমতা সুবিধাবাদী রাজনীতি করেন। যদি সেটা ঠিক হয়, আপনারা তাহলে কেন সেই একই রাজনীতি করছেন? সেক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গে আরও গুরুত্ব হারাবে কংগ্রেস। তৃণমূলের এই একক বৃহৎ শক্তির পাশাপাশি দ্রুত সিপিএমের ক্ষয় এবং বিজেপির অত্যন্ত দ্রুত সমর্থন বৃদ্ধির মধ্যেও কংগ্রেসের এখনও যে সামান্য ভোটব্যাঙ্ক, কর্মী, সমর্থক বেঁচে আছে, সেই অংশটির কাছে মমতা ও মোদি অবশ্যই সমান প্রতিপক্ষ। কিন্তু সিপিএম নামটিকেও তারা কি বন্ধু ভাবেন? মনে হয় না। তাই সিপিএমের সঙ্গে জোট হলে তারা হয়তো কষ্টই পাবেন। তাহলে কেন এই উদ্যোগ? কারণ জোটপন্থীরা মনে করেন, মমতা বিরোধী ভোট তিনভাগে বিভাজিত হওয়ার থেকে দু’ভাগে বিভাজিত হওয়া বেশি আশাপ্রদ। এই দুই দলের সম্মিলিত ভোটব্যাঙ্ক এক হয়ে অন্তত মমতার প্রধান প্রতিপক্ষ হিসেবে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসে বিজেপিকে তৃতীয় স্থানে ঠেলে দেওয়াই লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য স্থাপনে কোনও অন্যায় নেই। দুটি ক্রমক্ষীয়মান দল অস্তিত্ব বাঁচাতে এটা করতেই পারে। কিন্তু প্রশ্ন হল এই একই জোট ২০১৬ সালেও হয়েছিল। সেখানে কংগ্রেস যথেষ্ট সংখ্যক আসনও পেয়েছিল। কিন্তু সেই বিধায়ক সংখ্যার বৃদ্ধি কি সংগঠন বৃদ্ধিতে আদৌ কোনও কাজে লেগেছে? ভোটব্যাঙ্ক বৃদ্ধিতে কোনও পরিবর্তন চোখে পড়েছে? সিপিএমের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে পশ্চিমবঙ্গের সিপিএম কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে কংগ্রেস সম্পর্কে বৈরিতা আর বিশেষ নেই। সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব অনায়াসে কংগ্রেসের হাত ধরতে উদগ্রীব। বহু কর্মীরও কোনও আপত্তি নেই হয়তো। পক্ষান্তরে কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের বহুলাংশের মধ্যে কিন্তু সিপিএম সম্পর্কে তীব্র ক্রোধ, অ্যালার্জি রয়ে গিয়েছে। ক্ষতি সিপিএমের হবে না। কিন্তু কংগ্রেস নিজেদের কর্মী সমর্থক হারাতে পারে এই সিদ্ধান্তের জেরে। ব্লকে, ছোট জনপদে বহু কংগ্রেসি মনে করেন সিপিএমের সঙ্গে হাত মেলালে সেইসব এলাকায় তাঁদের যথেষ্ট রাজনৈতিক তাচ্ছিল্য আর ব্যঙ্গবিদ্রুপের মধ্যেই পড়তে হবে।
সিপিএম মমতার বিরোধিতা করছে। কিন্তু মমতার বিকল্প রাজনীতিটা তারা কী দেবে সেটা বোঝাতে পারছে না। কারণ সেটা তাদেরই জানা নেই। যদি তাঁরা বলেন, মমতার আমলে দাদাগিরি,সিণ্ডিকেট এসব চলছে। জনগণ হেসে বলবেন, এসবের জন্মদাতা কারা? আপনারা। যদি তাঁরা বলেন, আইনশৃঙ্খলা নেই। পাল্টা প্রশ্ন শুনতে হবে সিপিএমের আমলে একটা দুটো হত্যা হতো না। সিপিএমের শাসনকাল বিখ্যাত হল অসংখ্য গণহত্যার জন্যই। অবশ্যই এটা ঠিক যে চাকরি, শিক্ষাব্যবস্থা, নিচুতলায় দুর্নীতি ইত্যাদি নিয়ে প্রচুর অভিযোগ আছে মানুষের তৃণমূলের আমলে। কিন্তু কই সেগুলি নিয়ে বিরোধীদের কোনও গঠনমূলক পরিকল্পিত আন্দোলনই নেই কেন? ভোটে যেই জিতুক, শাসক ও বিরোধীরা যখন তখন রাজনৈতিক কৌশলে পরস্পরকে টেক্কা দিচ্ছে, এটা যথেষ্ট আকর্ষণীয় এবং তীব্র কৌতুহলোদ্দীপক চিত্র। কিন্তু সমস্যা হল এ রাজ্যে তা দেখা যাচ্ছে না। বিরোধীদের মধ্যে মমতাকে বড়সড় সংকটে ফেলতে পারে এরকম কোনও ইনটেলিজেন্ট মুভমেন্টই দেখা যাচ্ছে না। সেই একই সিবিআই, সারদা ইত্যাদি। কিন্তু ২০১১ অথবা ২০১৪ এবং ২০১৬ কোনও ভোটেই সারদা, সিবিআই এসব মমতাকে ভোটের রাজনীতিতে বিপদে ফেলতে পারেনি। নিশ্চয়ই তাহলে কোনও অন্য ইস্যু আছে যা নিয়ে মমতা এসব ছাপিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে চলেছেন! কী সেটা? ওটার সন্ধানে সময় দিতে রাজি নয় বিরোধীরা। মমতাকে কিন্তু তখনই হারানো সম্ভব যখন মমতার নিজের ভোটব্যাঙ্ক তাঁর বিরুদ্ধে ভোট দেবেন। এই সহজ রাজনৈতিক ফর্মুলাই বিরোধীরা আত্মস্থ না করে মমতাকে ব্যক্তিগতভাবে বিপাকে ফেলার প্রবল প্রয়াসে তাঁর রাজনীতিকে অনেক বেশি শক্তিশালী করে দিচ্ছেন। তিনিও সময় পেয়ে যাচ্ছেন অবিরত নিজস্ব ভোটব্যাঙ্ককে আরও সংহত করার!
মানুষ ঠিক কোন কোন ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ, সেটা আইডেন্টিফাই করাই বিরোধীদের কাজ। অথচ সেই পরিশ্রম কিংবা বুদ্ধিদীপ্ত উদ্যোগ অথবা কর্মসূচির মতো পলিটিক্যাল ম্যাচিওরিটি দেখা যাচ্ছে না বিরোধীদের মধ্যে। তাঁরা ভুলে যাচ্ছেন পজিটিভ হোক, নেগেটিভ হোক, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বদাই আলোচনার, ইস্যুর, চর্চার ভরকেন্দ্র হয়ে বিরাজ করছেন। আমরা যাঁরা নিজেদের সামান্য পারিবারিক সমস্যা কিংবা অফিসের ঝামেলা সমাধান করতে বছরের পর বছর হিমশিম খাই, তাঁরা এক সেকেণ্ডের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসে মমতা ভুল করলেন। মমতাকে নিয়ে তারপর ৭২ ঘণ্টা ধরে হাসাহাসি করলেন বহু মানুষ। কিন্তু এটা ভেবে দেখলাম না ওই ৭২ ঘণ্টা ধরে মিডিয়ায়, চর্চায়, ফেসবুকে, হোয়াটস অ্যাপে, আড্ডায় এক ও একমাত্র আমরা সময় ব্যয় করলাম মমতাকেই নিয়ে। তাঁকে ইগনোর করতে পারলাম না কেউ। এই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকার টেকনিকটাই ধরতে পারছে না বিরোধীরা।
15th  February, 2019
তাহলে পুলওয়ামা কাণ্ডই কি এবার ভোটের প্রধান ইস্যু?
মোশারফ হোসেন

দেখতে দেখতে লোকসভার ভোট তো এসেই গেল বলা যায়। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে আগামী দু’-তিন সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন কমিশন ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেবে। আর, তারপরই গোটা দেশ মেতে উঠবে ভোট উৎসবে। 
বিশদ

শুধু শোক আর ক্রোধ, চেতনা নেই
পি চিদম্বরম

মাসুদ আজহারকে বাগে পেয়েও ২০০০ সালের জানুয়ারিতে তাকে মুক্তি দিতে বাধ‌্য হওয়ার আফটার শক বা ঝটকা আমরা এখনও নিয়মিত অনুভব করি। প্রতিটা ঝটকা ভারতবাসীকে মনে করিয়ে দেয় যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার মাসুদ আজহারকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পণবন্দি আইসি-১৮৪ বিমানের যাত্রী ও কর্মীদের মুক্তির বিনিময়ে।
বিশদ

25th  February, 2019
পুলওয়ামার পর
শুভা দত্ত

 পুলওয়ামায় আত্মঘাতী জঙ্গি হামলার পর কেটে গেল বেশ কয়েকটা দিন। ওই ঘটনার জেরে দেশ জুড়ে ক্ষোভ শোকের যে আগুনে আলোড়ন উঠেছিল তাও আজ অনেকটাই কমে গেছে। মোমবাতি মিছিল, ধিক্কার সভার রেশও এখন অনেকটাই মিলিয়ে এসেছে। অবশ্য, তুষের আগুনের মতো তার তাপ এখনও সাধারণ ভারতবাসীর নিত্যদিনের জীবনের আড়ালে যে ধিক ধিক করে জ্বলছে তা একটু ভালো করে নজর করলেই টের পাওয়া যায়।
বিশদ

24th  February, 2019
অন্তর্বর্তী বাজেটে শিশুরা কী পেল?
শুভময় মৈত্র

জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মতই বাজেটে বানানোর সময় শিশুদের মত নেওয়া হয় না মোটেই। শিশুদের অবস্থা অনেকটা হতদরিদ্র মানুষের মত। গরিবদের ভালো খারাপ ঠিক করে সমাজের সম্পদশালী মানুষেরা। তেমনই ছোটদের ভালোমন্দ প্রাপ্তবয়স্কদের হাতে।
বিশদ

23rd  February, 2019
জঙ্গি হানার পর
সমৃদ্ধ দত্ত

 সেনাপ্রধান স্যাম মানেকশকে ডেকে ইন্দিরা গান্ধী বললেন, জেনারেল, আমার মনে হয় ইস্ট পাকিস্তানি (পরবর্তী বাংলাদেশ) বেঙ্গলিদের রক্ষা করতে আমাদের মিলিটারি অ্যাকশনে যেতে হবে। ইস্ট পাকিস্তান থেকে স্বৈরাচারী আর্মি রুলকে সরাতে হবে। সেটা ইন্ডিয়ার সুরক্ষার জন্যও খুব দরকার।
বিশদ

22nd  February, 2019
শিশুদের বাজেট
শুভময় মৈত্র

 একশো ত্রিশ কোটির দেশে আশি কোটি প্রাপ্তবয়স্ক ভোটার, বাকি পঞ্চাশ কোটি বয়সে ছোট। যার ভোট নেই তার জন্যে লোকসভা নির্বাচনের মাস তিনেক আগে ভাবার সময় থাকে না শাসকদলের। সেই জন্যেই বাজেট বক্তৃতায় শিশুদের কথা খুঁজতে গেলে দূরবিন প্রয়োজন। তবে চশমা ছাড়াই দেখতে পাওয়া যাচ্ছে এবারের বাজেটের বিশালাকার অক্ষরের ভীষণ চমক ‘ভিশন ২০৩০’। আজ থেকে এগারো বছর পর দেশ ঠিক কোথায় পৌঁছবে তার চালচিত্র। কোথাও কিন্তু আজকের শিশুদের কথা নেই।
বিশদ

22nd  February, 2019
আর একটি ৮ ফাগুনের প্রতীক্ষায়...
অতনু বিশ্বাস

ওদিকে বাংলাভাষার তৃতীয় ভুবনে অসমের বারাক উপত্যকায় বাংলাভাষার অধিকার রক্ষার সত্যাগ্রহীদের উপরে পুলিসের নির্বিচার গুলিতে ১৯৬১-র ১৯ মে, রবীন্দ্র শতবর্ষের কবিপক্ষের মাঝেই, জন্ম হল একাদশ শহিদের।
বিশদ

21st  February, 2019
যুগজাগরণে যুগাচার্য স্বামী প্রণবানন্দজি মহারাজ
স্বামী নীলেশ্বরানন্দ

যুগজাগরণ এক যুগাচার্যের সাধনসিদ্ধির প্রাক্কালীন শ্রীমুখ নিঃসৃত যুগমহাবাণী। এ জাগরণ মানব জীবনের উন্নয়ন উদ্বোধনের আকাশবার্তা। ১৯১৬ সনের পুণ্যময়ী মাঘী পূর্ণিমার শুভ লগ্নে এক সাধক সাধন সমাহিত অবস্থা থেকে উত্থিত হয়েই জগৎবাসীর কল্যাণে উৎসর্গ করলেন এক মহাআশ্বাস বাণী—এ যুগ মহাজাগরণের তথা মহাসমন্বয়ের।
বিশদ

19th  February, 2019
ইসলামাবাদের ইসলামি ঐক্যের ফাঁদে কাশ্মীর
হারাধন চৌধুরী

ঘটনাটিকে বাসি বলার সময় এখনও হয়নি। বলিউডের নামজাদা অভিনেতা নাসিরউদ্দিন শাহের এক সংকীর্ণ মন্তব‌্যে উৎসাহিত হয়ে পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান দাবি করে বসলেন, ‘‘সংখ‌্যালঘুদের সঙ্গে কেমন আচরণ করতে হয় তা মোদি সরকারকে দেখিয়ে দেবে পাকিস্তান।’’
বিশদ

19th  February, 2019
বধ্যভূমি কাশ্মীর: আমরা কি
কেবল মার খেতেই থাকব!

শুভা দত্ত

 গত বৃহস্পতিবার আবার জঙ্গি তাণ্ডবে কেঁপে উঠল ভূস্বর্গ, দেশপ্রেমিক জওয়ানদের রক্তে ভিজে গেল কাশ্মীর উপত্যকার মাটি। পুলওয়ামার অবন্তীপোরায় জয়েশ জঙ্গিদের আত্মঘাতী হামলায় সিআরপিএফের ৪৪ জন জওয়ান শহিদ হলেন।
বিশদ

17th  February, 2019
মার্কিন মুলুকে (-) ৬০,
সন্ধিক্ষণ কিন্তু পরিবর্তনেরই
শান্তনু দত্তগুপ্ত

পোলার ভর্টেক্সের প্রভাব কি ভারতেও পড়েছে? এবার উত্তর ভারতের দীর্ঘস্থায়ী ঠান্ডার জন্য আবহাওয়াবিদরা কিছুটা হলেও পোলার ভর্টেক্সকে দায়ী করছেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পোলার ভর্টেক্স দুর্বল হয়ে ঠান্ডাটাকে আমেরিকা ও ইউরোপের উত্তরভাগে প্রবেশ করিয়ে দিয়েছে। আর তার ধাক্কায় দক্ষিণের দিকে চলে এসেছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। এমনিতে বছরে চার থেকে ছ’টি পশ্চিমী ঝঞ্ঝা ভারতীয় উপমহাদেশে এসে ধাক্কা খায়। চলতি বছর সেই সংখ্যাটা সাত। যার জন্য শীতের প্রকোপ বেড়েছে ভারতে। মূলত হিমালয় এবং তার সংলগ্ন রাজ্যগুলিতে।
বিশদ

16th  February, 2019
রাফাল না সিবিআই, মোদি-বিরোধিতায় সবচেয়ে শক্তিশালী ইস্যু কোনটি?
বিশ্বনাথ চক্রবর্তী

 রাফাল ইস্যুকে সামনে রেখে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তির ওপর প্রশ্ন তুলে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। ধারাবাহিকভাবে রাফাল ইস্যু প্রচারের কেন্দ্রে রাখতে পেরেছিলেন রাহুল। হিন্দি বলয়ে তিন রাজ্য—মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তিশগড়-এ বিজেপি’র পরাজয়ের পিছনে অন্য সমস্ত কারণের মধ্যে রাহুল গান্ধীর তোলা রাফাল যুদ্ধ বিমান দুর্নীতির প্রচার বিজেপি’র বিরুদ্ধে গিয়েছিল বলে অনেকে মনে করেন।
বিশদ

14th  February, 2019
একনজরে
বিএনএ, কোচবিহার: লোকসভা নির্বাচনের মুখে প্রার্থী নির্বাচনকে ঘিরে কোচবিহারে বিজেপি’তে জোর কোন্দল শুরু হয়েছে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির জেলা সভাপতি মালতী রাভা সহ জেলা কমিটির একাধিক নেতা প্রার্থী হতে চেয়ে আবেদন করেছেন।  ...

সুকান্ত বসু, কলকাতা: জেলে অসাধু উপায়ে মোবাইল এবং সিম কার্ডের অনুপ্রবেশ রুখতে এবার কারারক্ষীদেরই একটি বিশেষ টিমকে সংশোধনাগারের বাইরে তিনটি শিফটে নজরদারি চালানোর কাজে নিযুক্ত করা হয়েছে। কারা দপ্তর সূত্রের খবর, রাজ্যের প্রতিটি সংশোধনাগারে একই ব্যবস্থা চালু হয়েছে। প্রয়োজনে স্থানীয় ...

 দীপ্তিমান মুখোপাধ্যায়, হাওড়া: আমতা ব্রিজ থেকে ঝিকিরা পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগ নিল পূর্ত দপ্তর। এখন এই রাস্তাটি অত্যন্ত অপরিসর ও খারাপ অবস্থায় আছে। ফলে লোকজনের যথেষ্ট ভোগান্তি হচ্ছে। এই অবস্থায় এই রাস্তাটি সংস্কার করার জন্য পূর্ত দপ্তরের কাছে ...

 কানেস, ২৫ ফেব্রুয়ারি: গ্র্যান্ডমাস্টার অভিজিৎ গুপ্তা কানে ইন্টারন্যাশনাল ওপেন দাবায় চ্যাম্পিয়ন হলেন। সোমবার প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডে ইতালির পিয়ের লুইগি বাসোর সঙ্গে ড্র করেন অভিজিৎ। ...




আজকের দিনটি কিংবদন্তি গৌতম ( মিত্র )
৯১৬৩৪৯২৬২৫ / ৯৮৩০৭৬৩৮৭৩

ভাগ্য+চেষ্টা= ফল
  • aries
  • taurus
  • gemini
  • cancer
  • leo
  • virgo
  • libra
  • scorpio
  • sagittorius
  • capricorn
  • aquarius
  • pisces
aries

শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ


ইতিহাসে আজকের দিন

১৮০২: ফরাসি লেখক ভিক্টর হুগোর জন্ম
১৯০৮: লেখিকা লীলা মজুমদারের জন্ম
১৯৩৬: চিত্র পরিচালক মনমোহন দেশাইয়ের জন্ম 



ক্রয়মূল্য বিক্রয়মূল্য
ডলার ৭০.১৯ টাকা ৭১.৮৯ টাকা
পাউন্ড ৯১.২৫ টাকা ৯৪.৫৪ টাকা
ইউরো ৭৯.১৪ টাকা ৮২.১৩ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
পাকা সোনা (১০ গ্রাম) ৩৩,৮৯০ টাকা
গহনা সোনা (১০ (গ্রাম) ৩২,১৫৫ টাকা
হলমার্ক গহনা (২২ ক্যারেট ১০ গ্রাম) ৩২,৬৩৫ টাকা
রূপার বাট (প্রতি কেজি) ৪০,৬০০ টাকা
রূপা খুচরো (প্রতি কেজি) ৪০,৭০০ টাকা
[ মূল্যযুক্ত ৩% জি. এস. টি আলাদা ]

দিন পঞ্জিকা

১৩ ফাল্গুন ১৪২৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, অষ্টমী ৫৮/১০ শেষ রাত্রি ৫/২১। অনুরাধা নক্ষত্র ৪২/২৬ রাত্রি ১১/৩। সূ উ ৬/৪/৫০, অ ৫/৩৪/৪০, অমৃতযোগ দিবা ৮/২২ গতে ১০/৪২ মধ্যে পুনঃ ১২/৫৮ গতে ২/২৯ মধ্যে পুনঃ ৩/১৫ গতে ৪/৪৭ মধ্যে। রাত্রি ৬/২৩ মধ্যে পুনঃ ৮/৫৪ গতে ১১/২৫ মধ্যে পুনঃ ১/৫৫ গতে ৩/৩৫ মধ্যে, বারবেলা ৭/৩২ গতে ৮/৫৮ মধ্যে পুনঃ ১/১৬ গতে ২/৪২ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৮ গতে ৮/৪২ মধ্যে।
১৩ ফাল্গুন ১৪২৫, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, মঙ্গলবার, সপ্তমী ১০/১৪/২৯। অনুরাধানক্ষত্র রাত্রি ৩/৫৪/২৩, সূ উ ৬/৬/৫, অ ৫/৩৩/১, অমৃতযোগ দিবা ৮/২৩/৫৮ থেকে ১০/৪০/৫১ মধ্যে ও ১২/৫৪/১৫ থেকে ২/২৯/৫০ মধ্যে ও ৩/১৫/৩৮ থেকে ৪/৪৭/১ মধ্যে এবং রাত্রি ৬/২৩/১৩ মধ্যে ও ৮/৫৩/৫০ থেকে ১১/২৪/২৭ মধ্যে ও ১/৪৫/৪ থেকে ৩/৩৫/২৮ মধ্যে, বারবেলা ৭/৩১/৫৭ থেকে ৮/৫৭/৪৯ মধ্যে, কালবেলা ১/১৫/২৫ থেকে ২/৪১/১৭ মধ্যে, কালরাত্রি ৭/৭/৯ থেকে ৮/৪১/১৭ মধ্যে। 
২০ জমাদিয়স সানি
এই মুহূর্তে
আজকের রাশিফল  
মেষ: প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বৃষ: মামলা-মোকদ্দমায় জয় লাভ। মিথুন: বয়স্ক ...বিশদ

07:11:04 PM

ইতিহাসে আজকের দিন  
১৮০২: ফরাসি লেখক ভিক্টর হুগোর জন্ম১৯০৮: লেখিকা লীলা মজুমদারের জন্ম১৯৩৬: ...বিশদ

07:03:20 PM

ফের সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের  
আজ বিকাল ৫.৩০টা নাগাদ জম্মু ও কাশ্মীরের নৌসেরা, কৃষ্ণঘাঁটি ও ...বিশদ

06:26:29 PM

উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম দিনেই মোবাইল সহ ধরা পড়ল ৫ জন, বাতিল রেজিস্ট্রেশন 

05:04:13 PM

২৪০ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স 

03:51:20 PM

যে কোনও পরিস্থিতির জন্য সেনা এবং দেশবাসীকে তৈরি থাকতে বললেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান  

03:45:06 PM