শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
স্বপ্নার দুই পায়েই ৬টি করে আঙুল। এই অস্বাভাবিকতার জন্য মাঝে মাঝেই পায়ে প্রচণ্ড যন্ত্রণা হতো। সাধারণ জুতোয় পা গলাতেও অসুবিধে হতো তাঁর। উচ্চতার জন্য হজম করতে হয়েছে কটূক্তিও। এছাড়াও নানা রকম বাধা বিপত্তির সঙ্গে নিত্য লড়াই করতে করতেই মাত্র ২১ বছর বয়সে এই ভারতীয় তরুণীর সাফল্যকে ছোঁয়া। কেরিয়ারের শুরু থেকেই নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে লড়তে হয়েছে স্বপ্নাকে। তা সত্ত্বেও হার না মানা মানসিকতা আর অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরেই আজ বিশ্বমঞ্চে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন স্বপ্না। এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী তরুণীর পরবর্তী লক্ষ্য যে অলিম্পিক গেমসে পদক জয় তা বলাই বাহুল্য।
বায়োপিকে মূল চরিত্রাভিনেতা কে হবেন, তার উপরেই মূলত ছবির সাফল্য ব্যর্থতার সিংহভাগ নির্ভর করে। সেলুলয়েডে স্বপ্নার জন্য পরিচালক বেছে নিয়েছেন সোহিনী সরকারকে। ১০০ মিটার হার্ডলস, হাইজাম্প, শট পাট, ২০০ মিটার, লং জাম্প, জ্যাভলিন থ্রো এবং ৮০০ মিটার দৌড়ে দু’দিন ধরে সর্বমোট ৬০২৬ পয়েন্ট নিয়ে চিনা প্রতিদ্বন্দ্বি কুইংলিঙ্গ ওয়াঙ্গকে হারিয়ে সোনা যেতেন স্বপ্না। পুরস্কার জিতে জলপাইগুড়ির মেয়ে স্বপ্না স্বীকার করেছিলেন, ‘দু’দিন ধরে অসহ্য যন্ত্রণা সয়েই এই সাফল্য এসেছে।’ শিগগিরই এই ছবির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার ট্রেনিং শুরু করবেন সোহিনী। রিল লাইফে অ্যাথলিট হয়ে ওঠার জন্য বিস্তর পরিশ্রম করতে হবে সোহিনীকে। ছবির জন্য হবে ওয়ার্কশপও। সৃজিত বলছেন,‘স্বপ্না শুধু বাঙালির গর্ব নয়, দেশের গর্ব। এত অল্পবয়সে এই সাফল্যের কাহিনী দেশের তরুণ-তরুণীদের খেলাধুলোর প্রতি আকৃষ্ট করবে। এই ছবি জীবনের প্রতি স্বপ্নার দৃষ্টিভঙ্গি, তাঁর লড়াই আর সাফল্যের কাহিনীর দিকেই আলোকপাত করবে।’
সন্দীপ রায়চৌধুরী