শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
পরিচালক ইন্দ্র কুমারের এই সিনেমা ‘ধামাল’ সিরিজের তৃতীয় ছবি। রয়েছে বিগ বাজেট স্টার কাস্ট। কী নেই এই ছবিতে— সিলিং ফ্যান লাগানো লজঝড়ে হেলিকপ্টার, জলের তোড়ে ভেসে যাওয়া গাড়ি, কাঠের তৈরি দীর্ঘ ব্রিজ ভেঙে পড়া, গাড়িতে রেল ইঞ্জিনের ধাক্কা, বাঘ-সিংহের হামলা। সব মিলিয়ে একটা হইহই ব্যাপার। লোকেশনও দুর্দান্ত। উপরি পাওনা ‘মুঙ্গড়া’ গানে সোনাক্ষী সিনহার আইটেম ডান্স। কিন্তু চিত্রনাট্য অত্যন্ত দুর্বল হওয়ায় খুব স্বাভাবিকভাবেই তার মাশুল দিতে হল ছবিকে।
ছবিতে চেনা ছন্দে অজয় দেবগণ। অনেকদিন বাদে নজর কাড়ল অনিল কাপুর-মাধুরী জুটি। তাঁদের অনস্ক্রিন কেমিস্ট্রি দুর্দান্ত। আরশাদ ওয়ারসি এবং জাভেদ জাফরিও নিজেদের একশো শতাংশই দিয়েছেন। হতাশ করেননি রীতেশও। পীতবাসকে কেন এই সিনেমায় নেওয়া হয়েছিল সেটা লাখ টাকার প্রশ্ন। অন্যদিকে একবারেই জমাতে পারেননি সঞ্জয় মিশ্র। তবে বোমান ইরানি, মহেশ মঞ্জরেকর, জনি লিভার, বিজয় পাটকর, সুদেশ লহরি এবং এষা গুপ্তাদের সেভাবে ব্যবহারই করেননি পরিচালক। ছবিতে এতজন স্টার থাকায় কারুর উপরেই সঠিক ভাবে ফোকাস করা যায়নি। পাশাপাশি সময়ের অভাব থাকায় কোনও অভিনেতাই সেভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি। বলা যায়, অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট হয়েছে। ফলে প্রেক্ষাগৃহে বসে থাকা দর্শকের বিরক্তি বেড়েছে।