শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
একটা প্রত্যাশার পটভূমিতে ‘নগরকীর্তন’ মুক্তি পেল। কতটা চাপে ছিলেন?
দেখুন, ছবির সাফল্য কে না চায়। তাই ‘নগরকীর্তন’-এর সাফল্য আমরা চাইব এটাই স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে একটা চাপা টেনশন তো থাকেই, সেটা সব ছবি মুক্তির আগেই থাকে। সেটা বেড়ে যায় যখন সাফল্যের কারণটা স্পষ্ট হয়ে যায়। এই ছবিটা প্রেমের কথা বলে, খাঁটি ইমোশনের কথা বলে, মানুষের কথা বলে। ফলে আমাদের মনে হয়েছে এই ছবিটা মানুষ দেখলে তারা নিজেদের কানেক্ট করতে পারবেন। ছবিটা নিয়ে মানুষের উৎসাহ আছে। জাতীয়স্তরে ছবিটা এতগুলো পুরস্কার পেয়েছে। তাই ঠিক চাপ নয়, আমরা আশা নিয়ে আছি।
আপনার চরিত্রের নাম মধু। এই মধুর জীবনের সঙ্গে আপনার কতটা পরিচয় ছিল?
মধুর জীবনের সঙ্গে একদম যে পরিচয় ছিল না, তা নয়। মধু একজন কীর্তনীয়া পরিবারের ছেলে। কলকাতার একটা রেস্তরাঁয় খাবার ডেলিভারি করে। এই মধুকে আমার চেনা ছিল। কিন্তু সেই মধুর সেক্সচুয়ালিটি আমার চেনা ছিল না। তার ফলে মধু যে জীবনের মধ্যে দিয়ে যায়, তা একদমই আমার অচেনা ছিল।
সেই মধুকে তাহলে ফুটিয়ে তুললেন কীভাবে?
তার রসদ ছবির চিত্রনাট্যেই ছিল। মধুর যে জীবন... তার একটা স্পষ্ট জার্নি আছে গোটা ছবি জুড়ে। এমনকী মধুর যে সেক্সচুয়াল প্রেফারেন্স তাকেও মধু বুঝতে যায়। মধুর এই জার্নিটাই এই ছবির একটা স্ট্রং রেফারেন্স। যেটাকে ও ক্রমাগত বোঝার চেষ্টা করতে থাকে। এমনিতে মধু আমার ভীষণ পছন্দের চরিত্র। আপাদমস্তক প্রেমিক। মধু আসলে একটা প্রেম। যাঁরা দেখবেন তাঁরা ঠিক বুঝতে পারবেন। কারণ, ওই প্রেমটা সবার মধ্যেই আছে।
পুটির (ঋদ্ধি অভিনীত) মতো চরিত্রের জীবনযাপন করা মানুষদের সম্পর্কে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী?
দেখুন, এটা সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত একটা মত। মানুষের ব্যক্তিগত অগ্রাধিকারের উপরে, চাহিদা ও রুচির উপরে যদি সমাজ বার বার নাক গলায় তার ফল খুব একটা ভলো হয় না। আমি সেই দলের নই। আমি চিরকালই একার সিদ্ধান্তে চলা মানুষ। আমি ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্যে বিশ্বাস করি। ঠিক সেইভাবেই কোনও মানুষের যে কোনও ধরনের পছন্দ, সেই মানুষটির ব্যক্তিগত মতামত, রুচি, আচার-আচরণ, খাওয়া-দাওয়া সমস্ত কিছুর পক্ষে আমি।
ইতিমধ্যেই তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়ে একটা সুস্পষ্ট রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই আইন কি সত্যিই সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির বদল ঘটাতে সক্ষম হয়েছে?
দেখুন, আইন আইনের মতো করে তৈরি হয়। আমি আইনের ছাত্র নই। ছবিটা কিন্তু আইনটাকে ভেবে করা হয়নি। তৈরি হয়েছে সমাজকে ভেবে। এর আগে বহু আইন তৈরি হয়েছে সমাজকে ভেবে। তাতে সমাজ এরকমভাবে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। কখনও সে সংস্কারের মধ্যে দিয়ে চলে। আবার কখনও তার থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করে। আইন যেমন হয়েছে, নিশ্চয়ই সেই আইনকে সম্পূর্ণভাবে প্রোটেকশন দেওয়ার ব্যবস্থা রাষ্ট্র করেছে।
মধুকে নিয়ে প্রস্তুতি পর্বটা কেমন ছিল?
প্রস্তুতিটা ছিলই। মধু বাইরে থেকে চেনা একটা মানুষ। সে বাঁশি বাজায়। বাড়ি বাড়ি গিয়ে খাবার দিয়ে আসে। মধুর অচেনা দিকটাকে আমায় চিনতে হয়েছে। বুঝতে হয়েছে। তৈরি করতে হয়েছে।
এখন কি মনে হচ্ছে, চিনতে পেরেছেন?
এখন এই মধুকে আমি চিনি। তার সম্পর্কে আমার একটাই উপলদ্ধি সে একজন প্রেমিক।
ঋদ্ধির সঙ্গে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
এককথায় বলি, ঋদ্ধি একজন ব্রিলিয়ান্ট অ্যাক্টর। যোগ্য অভিনেতাই জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে।
কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে আগেও কাজ করেছেন, নগরকীর্তন-এর অভিজ্ঞতা?
কৌশিকদা এমন একটা বিষয় নিয়ে কাজ করার কথা ভেবেছেন, সেটাই তো চরম বিস্ময়। এছাড়া মানুষটার সম্পর্কে আর নতুন করে কী বলব।
নতুন কাজের খবর?
রানাদা-সুদেষ্ণাদির সঙ্গে একটা ছবি করছি। অভিমন্যুর সঙ্গে একটা ছবি করলাম। অনীক দত্তর সঙ্গে একটা ছবি করব। কৌশিকদার সঙ্গে করলাম ‘জ্যেষ্ঠপুত্র’। আছে, অনেক ছবিই আছে। ক্রমশ প্রকাশ্য।
হিন্দি ছবির কোনও অফার?
এই মুহূর্তে এখানকার ছবিতেই মনোনিবেশ করতে চাই।