শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
আদরের সময়টা ২০০০ সালের নভেম্বর। মণিপুরের একটি অখ্যাত গ্রাম মালোম। আফস্পা বা আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল পাওয়ার অ্যাক্টের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন শান্তিকামী বহু মানুষ। ২ নভেম্বর শীতের সকালে বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা সাধারণ নাগরিকদের দিকে তাক করে ‘হঠাৎ’ই নির্বিচারে গুলি চালিয়ে দিল অসম রাইফেলসের জওয়ানরা। সঙ্গে সঙ্গে রক্তাক্ত হল মালোম। ঝরে গেল ১০টি তাজা প্রাণ। এদের মধ্যে ছিল ১৮ বছরের একটি কিশোরীও। ওই কিশোরীই আবার সাহসিকতার জন্য সদ্য জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। সদ্য আটাশের এক তরুণীও ছিলেন মালোমের শান্তি আন্দোলনে। ঘটনার আকস্মিকতায় তিনি ঠিক করলেন প্রতিবাদ করতে হবে। তবে একটু অন্যভাবে। ৫ নভেম্বর থেকে শুরু করলেন অনশন। হাজারো চেষ্টায় তাঁকে খাওয়ানো গেল না। পুলিস-প্রশাসন আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগে আটক করল। তাতেও দমানো গেল না ওই তরুণীকে। এই আন্দোলনের জেরে মণিপুর তথা সমগ্র দেশের কাছে তিনি পরিচিত ‘আয়রন লেডি’ হিসেবে। ইরম শর্মিলা চানু। ১৬ বছর পর ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই অনশন প্রত্যাহার করেন তিনি। তারপর ভোটে লড়লেন চানু। কিন্তু গোহারা হারতে হল। মাত্র ৯০টি ভোট পেলেন তিনি। ‘আয়রন লেডি’ কেমন যেন জনমানস থেকে উবেই গেলেন। কোথায় গেলেন তিনি? এখন চানু কী করছেন? পরিচালক ইন্দ্রনীল সরকার ‘দ্য টার্নিং পয়েন্ট’ তথ্যচিত্রে আয়রন লেডির এখনকার কাহিনীই তুলে ধরেছেন। ২০১৭ থেকে ২০১৯। এই সময়কালটাই মূলত তুলে ধরেছেন পরিচালক। পরিচালক বলছেন, ২০১৬ পর্যন্ত তিনি কোনও কথা বলতেন না। চুপ করে থেকে প্রতিবাদ করতেন। এখন তিনি কথা বলছেন। তাঁর প্রতিবাদের ধরনটা বদলেছে। এখন তিনি মানবিক কাজ করছেন। এটাই টার্নিং পয়েন্ট। ৬০ মিনিটের এই তথ্যচিত্রে ২০ মিনিট থাকবে পুরনো ঘটনা। বাকি ৪০ মিনিটে দেখানো হবে তাঁর বর্তমান কাজের সময়টা। পরিচালক বলছেন, শর্মিলাকে বিয়ে করার জন্য ব্রিটিশ নাগরিক ডেসমন্ড সাত বছর অপেক্ষা করে থেকেছেন। তারপর বিয়ে করেছেন। এখন ডেসমন্ড বলছেন, তিনি বাঁচেন শর্মিলার জন্যই। বস্তুত, এই ট্রু-লাভ স্টোরিও টার্নিং পয়েন্টে তুলে ধরেছেন পরিচালক। সদ্য এই তথ্যচিত্রের ট্রেলার মুক্তি পেয়েছে।
প্রীতম দাশগুপ্ত