শিক্ষার জন্য দূরে কোথাও যেতে পারেন। প্রেম-প্রণয়ে নতুন যোগাযোগ হবে। বিবাহের কথাবার্তাও পাকা হতে পারে। ... বিশদ
এদিকে, নস্কর পরিবারের লোকজনদের চিৎকার শুনে আশপাশ থেকে পড়শিরা ছুটে আসেন। দুই ভাইবোনকে সঙ্গে সঙ্গে বারুইপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মল্লিকাকে মৃত বলে জানান চিকিৎসকরা। আকাশকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়। কিশোরীর মৃত্যুতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার পরিজনরা। এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। কিশোরীর বাবা জয়দেব নস্কর বলেন, এবছরই আমার মেয়ে মাধ্যমিক দিয়েছিল। ওর অনেক দূর পর্যন্ত পড়াশুনা করার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু আর হল না। এভাবে বজ্রপাতেই যে মেয়েকে হারাতে হবে, কোনওদিন আঁচই করিনি। ঘটনায় দিদির মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েছে আকাশ। চোখের সামনে আলোর ঝলকানি, তারপরেও দিদির ঝলসে যাওয়া চেহারা দেখে রীতিমতো বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছে সে। পড়শিদের কথায়, ওই দুই ভাইবোন সবসময়ই একসঙ্গে থাকত। একে অন্যকে খুব ভালোবাসত। এমন অবস্থায় দিদিকে চোখের সামনে ঝলসে যেতে দেখে, ছোট্ট আকাশও সম্পূর্ণ চুপ হয়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে, অকাল ঝড়ে প্রাণ গিয়েছে এক যুবকেরও। সুন্দরবনে বন্ধুদের সঙ্গে ঘুরতে এসেছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণগড়ের বাসিন্দা অভিষেক পাণ্ডা (২১)। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার নারায়ণগড় থেকে সুন্দরবনে ঘুরতে এসেছিলেন সাত বন্ধু। তাঁরা রবিবার দিনভর মোটর চালিত ভুটভুটি বিহার করে রাতে তাতেই রয়ে যান। সোমবার ভোররাত থেকে ঝড় শুরু হলে তাঁরা তড়িঘড়ি ঝড়খালি ফেরিঘাটে ফেরার চেষ্টা করেন। তখনই জেটিঘাটের কাছাকাছি এলে ওই ভুটভুটি থেকে অভিষেক হেড়োভাঙা নদীতে পড়ে গিয়ে তলিয়ে যান। স্থানীয় বাসিন্দারা খবর পেলে ভোর থেকে নদীতে নেমে তল্লাশি শুরু করেন এবং বেলার দিকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। দেহটি ঝড়খালি কোস্টাল থানায় রাখা হয়। দুপুরে তাঁর পরিজনরা খবর পেয়ে ঝড়খালিতে চলে আসেন। এদিকে, ঝড়ের মধ্যে মুড়িগঙ্গা নদীতে আটকে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ ফেরি চলাচল বন্ধ থাকল। যার জেরে নিত্যযাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন।